![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্যাপ্টেন হীরণ কক্সের আবিষ্কৃত কক্সবাজারের সাগরবিধৌত ‘ম্যাক্সাল’ দ্বীপ নামের বিবর্তনে বর্তমানে মহেশখালী দ্বীপ অবশেষে দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ হিসেবে রূপ লাভ করতে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিগত দিক দিয়ে দেশের অনুন্নত পিছিয়ে পড়া উপকূলীয় অঞ্চল মহেশখালীকেই বেছে নিয়ে ডিজিটাল দ্বীপ প্রকল্পের আওতায় উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমাধানের ব্যবহার নিশ্চিত করাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। প্রায় ২২ কোটি ৩৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষ এ প্রকল্পের কাজ আগামী ২০১৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হবে। প্রাথমিকভাবে মহেশখালী পৌরসভা এবং উপজেলার ছোটমহেশখালী ও বড়মহেশখালী ইউনিয়নের ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। তাছাড়া প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি উপজেলার একটি পৌরসভা ও দুটি ইউনিয়নে প্রায় ১৯ কিলোমিটার অপটিকাল ফাইবার লাইন টানা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাদ্রাসা, চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক, চারটি সরকারি দপ্তরসহ ওই ২৫টি ভবনে সংযোগ দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে মহেশখালীর মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তি সুবিধা পাবে। তাদের শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, তথ্য ও জ্ঞানে প্রবেশাধিকার বাড়বে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ‘শিক্ষামূলক কর্মসূচি’ চালু ও শিক্ষার্থীদের এমআইএস ডেটাবেইস তৈরি, কৃষকদের জন্য ই-বাণিজ্য সুবিধা, তথ্যপ্রযুক্তিতে শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষ করতে প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। প্রায় ৩৬২ দশমিক ১৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ প্রকল্প পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়িত হলে মহেশখালী দ্বীপের সাড়ে ৩ লাখ বাসিন্দা আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সেবা পাবে।
©somewhere in net ltd.