নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে জলবিদ্যুৎ আমদানি

০৮ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার পরিপেক্ষিতে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভারতীয় কোম্পানি জিএমআর নেপালের আপার করনালী বেসিনে ৯০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। সেখান থেকে বাংলাদেশ ৩০০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে। আমদানি করা বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তারাই ঠিক করবে কিভাবে আমদানি করা বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার করা যায়। কয়েক বছর ধরে আলোচনার পর ভারতীয় এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভেপার নিগাম লিমিটেডের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। এমওইউ অনুযায়ী পিডিবির সঙ্গে এনভিভিএনের বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি সই করা হচ্ছে। পিএসএর ভিত্তিতে আপার করনালী হাইড্রোপাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে এনভিভিএনের মধ্যে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করা হবে। জলবিদ্যুৎ আমদানির ঘটনা আমাদের জন্য নতুন বিষয়। এক্ষেত্রে বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের বিশেষ অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। এর আগে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করলেও তা মিশ্র জ্বালানিতে উৎপাদিত। সঙ্গত কারণে বিদ্যুৎ আমদানির পরামর্শক হিসেবে জি থমাস (টম) ওয়েস্টকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। পিডিবি এবং এনভিভিএনের মধ্যে পাওয়ার সেল এগ্রিমেন্ট চূড়ান্ত করার পাশাপাশি মূল্য নির্ধারণ চূড়ান্ত করা হবে। দরকষাকষিতে পরামর্শক হিসেবে তারা পিডিবিকে সহায়তা করবে। এছাড়া তারা ভারত, নেপাল এবং বাংলাদেশের আইন, নীতি, গাইডলাইন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অবস্থান সম্পর্কে পিডিবিকে পরামর্শ প্রদান করবে। উল্লেখ্য গত বছরের শেষ দিকে নেপালের জ্বালানিমন্ত্রী জনার্দন শর্মা ঢাকা সফরে আসেন। ওই বৈঠকে নেপাল-বাংলাদেশ জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। দেশের বাইরে নেপাল এবং ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। জলবিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদন হওয়ায় এক্ষেত্রে ঋণ প্রাপ্তিও সহজ। সরকার এক বিলিয়ন ডলার নিজেদের মূলধন হিসেবে বিনিয়োগ করলে অন্তত সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে। নেপালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হবে। কেন্দ্রে নেপাল এবং বাংলাদেশ সরকারের মালিকানা থাকবে। বাংলাদেশে যে প্রক্রিয়ায় কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে একই পদ্ধতি নেপালের ক্ষেত্রেও অনুসরণ করা হবে। সরকার নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলো থেকেও বিদ্যুৎ আমদানির চেষ্টা করে যাচ্ছে। ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এসব দেশে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের বিশাল সুযোগ রয়েছে। এজন্য ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ দেশটির ওপর দিয়েই বিদ্যুৎ আনতে হবে। ভারত এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে রাজিও আছে। নেপালে ৩০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা থাকলেও দেশটি বর্তমানে সামান্য পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এখানেও ভারতের বিভিন্ন কোম্পানি কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। নেপাল এবং ভুটানে বিনিয়োগ করতে নতুন একটি বিদ্যুৎ কোম্পানি করতে যাচ্ছে সরকার। নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হবে প্রয়োজনে তৃতীয় কোন অভিজ্ঞ কোম্পানি থাকবে এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে। বিদ্যুতের একটি অংশ বাংলাদেশ পাবে। সরকারের দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনাতেও ছয় হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্য রয়েছে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে দেশে আর বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকবে না।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: যেভা্ই হোক বিদুৎ সমস্যার সমাধান হোক।

২| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কলোনিয়েল রিপাবলিক অব বাংলাদেশ

৩| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫০

মৎস্যকন্যা বলেছেন: তবু বিদ্যুত সমস্যা সমাধান হোক আর সুন্দরবন বেচে থাকুক আজীবন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.