![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর অনেক দেশেই এখন ফসলি জমি ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে মাছ উৎপাদন নিরুৎসাহ করা হচ্ছে। সেসব দেশে মাছ চাষে ব্যবহার করা হচ্ছে মিনি আরএএস। ঘরের ভেতর স্থাপিত বড় জলাধারে একই পানি বারবার পরিশোধিত করে তা মাছ চাষে ব্যবহার করা হয়, এটাই এ পদ্ধতির বড় বৈশিষ্ট্য। এ পদ্ধতিতে পুকুরের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ গুণ বেশি মাছ উৎপাদন সম্ভব। আর পুকুরে এক বছরে মাছ যতটুকু বড় হয়, এখানে সমপরিমাণ বড় হয় চার মাসে। ঘরের ভেতর হওয়ায় যখন-তখন মাছ আহরণ সম্ভব। এতে শ্রমিক খরচ খুবই কম। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয় না। পরিশোধিত পানি ও কাদামুক্ত স্থানে চাষ হওয়ায় এ মাছ দুর্গন্ধমুক্ত ও সুস্বাদু। এ পদ্ধতিতে শিং, মাগুর কোরাল (ভেটকি), পাবদা ও গুলশা (টেংরাজাতীয় মাছ) মাছ চাষ করা সম্ভব। বছরখানেক আগে দেশে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করেছিল ময়মনসিংহের মাছের খামার ‘এগ্রো থ্রী’র ব্যবস্থাপনায় ঘরের ভেতর জলাধারে মাছ চাষ। মিনি আরএএস (রিসাইক্লিং অ্যাকোয়াকালচার সিস্টেম) নামে বিশ্বের সর্বাধুনিক এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে সুফল মিলেছে ভালোভাবেই। ছয় মাস আগে ময়মনসিংহ শহরের মাসকান্দা থেকে উৎপাদিত মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়েছিল। মানসম্মত ও নিরাপদ হওয়ায় এবার সেই মাছ যাচ্ছে কুয়েতে। আর অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে বাংলাদেশ। আলোচিত প্রযুক্তিটির বহুল ব্যবহার নিশ্চিত হলে দেশে মাছ চাষে এখন ব্যবহার হওয়া বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি রক্ষা পাবে। একই সঙ্গে কম সময়ে অধিক পরিমাণে মাছ উৎপাদনে সক্ষম হবে চাষিরা।
২| ২১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: মিনি আরএএস প্রযুক্তিতে পুকুরের তুলনায় প্রায় ৩০ গুণ বেশি মাছের উৎপাদন হয়। মাছ বড় হতে সময় লাগে তিন ভাগের এক ভাগ। আলোচিত প্রযুক্তিটির বহুল ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে দেশে মাছ চাষে এখন ব্যবহার হওয়া বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি রক্ষা পাবে। একই সঙ্গে কম সময়ে অধিক পরিমাণে মাছ উৎপাদনে সক্ষম হবে চাষিরা। ‘এগ্রো থ্রী’র প্রকল্পটি নিয়ে এরই মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পৃথিবীর অনেক দেশেই এখন ফসলি জমি ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে মাছ উৎপাদন নিরুৎসাহ করা হচ্ছে। সেসব দেশে মাছ চাষে ব্যবহার করা হচ্ছে মিনি আরএএস। ঘরের ভেতর স্থাপিত বড় জলাধারে একই পানি বারবার পরিশোধিত করে তা মাছ চাষে ব্যবহার করা হয়, এটাই এ পদ্ধতির বড় বৈশিষ্ট্য। এ পদ্ধতিতে পুকুরের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ গুণ বেশি মাছ উৎপাদন সম্ভব। আর পুকুরে এক বছরে মাছ যতটুকু বড় হয়, এখানে সমপরিমাণ বড় হয় চার মাসে। ঘরের ভেতর হওয়ায় যখন-তখন মাছ আহরণ সম্ভব। এতে শ্রমিক খরচ খুবই কম। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয় না। পরিশোধিত পানি ও কাদামুক্ত স্থানে চাষ হওয়ায় এ মাছ দুর্গন্ধমুক্ত ও সুস্বাদু। এ পদ্ধতিতে শিং, মাগুর কোরাল (ভেটকি), পাবদা ও গুলশা (টেংরাজাতীয় মাছ) মাছ চাষ করা সম্ভব। তবে উৎপাদনকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
‘এগ্রো থ্রী’র কর্ণধার এ বি এম শামসুল আলম বাদল জানান, তিনি ২০ বছর ধরে মাছ চাষ করছেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ছুঁয়ে ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নে তাঁর মাছের খামার আছে। তিনি দেশে-বিদেশে মাছ চাষে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। মাছ চাষে আধুনিক প্রযুক্তিগুলো সম্পর্কে তিনি সব সময়ই উৎসাহী। এর অংশ হিসেবেই তিনি গত বছরের জুনে মিনি আরএএস প্রযুক্তিটি ময়মনসিংহ শহরের মাসকান্দা এলাকায় স্থাপন করেন। এখানে আটটি ওয়াটার ট্যাংক (জলাধার) আছে। একেকটির পানি ধারণক্ষমতা ১০ হাজার লিটার। এগুলোর উচ্চতা চার ফুট, প্রশস্ততা ১২ ফুট। শুরুতে আলম বাদলকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয় ঢাকার জ্যাক ইন্টারন্যাশনাল। সব কিছু মিলিয়ে তখন তাঁর প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ পড়ে। তবে মূল খরচটি যায় ফিল্টার ক্রয়ে।
শামসুল আলম বাদল বলেন, তিনি আটটি জলাধারে পাবদা ও গুলশা ছাড়েন। চার মাস পরেই তিনি বড় পাবদা বিক্রি করেন, যা পুকুরে বড় হতে অন্তত এক বছর লাগত। আর পাঁচ মাস পর বড় গুলশা বিক্রি করেন। এটি পুকুরে বড় হতে এক বছর তিন-চার মাস সময় লাগত। উৎপাদনের পরিমাণ ছিল পুকুরের তুলনায় প্রায় ৩০ গুণ। স্থানীয়ভাবে তিনি মাছ দুটি গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এরপর তিনি আবার পোনা ছাড়েন। গত সপ্তাহে তিনি গুলশা সংগ্রহ করেন। এসব যাচ্ছে কুয়েতে।
বাদল জানান, বর্তমানে তাঁর মাত্র দুজন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। তাঁরা দিনে-রাতে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, মিনি আরএএস প্রযুক্তির বড় বিষয় হচ্ছে সেখানে সার্বক্ষণিক বিদ্যুত্সংযোগ রাখতে হবে। বিদ্যুৎ চলে গেলে তিনি জেনারেটর ব্যবহার করেন। এরই মধ্যে দেশের অনেক মাছ চাষি তাঁর খামারে এসে এ প্রযুক্তি দেখে গেছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের সঙ্গে তিনি মিনি আরএএস প্রযুক্তি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ করছেন। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এ কার্যক্রম পরিচালনা করার আশা তাঁর।
৩| ২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬
গারোপাহাড় বলেছেন: মাসকান্দা কোথায়? ডিটেইলস্ ঠিকানা দিতে পারেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ভালো খবর।