![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহুমুখী পরিবর্তন এসেছে দেশের অর্থনৈতিক গতিধারায়। নানা বাধা-বিপত্তি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক ঝড়ঝঞ্ঝা, আন্তর্জাতিক প্রতিকূলতা, হাজারো রকমের দুর্নীতির পাহাড় অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর যে বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছিল, সে দেশকেই এখন অনেক ক্ষেত্রে অনুকরণীয় বলে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। এগিয়েছে দেশের অর্থনীতি। বেড়েছে প্রবৃদ্ধির হার। এর সঙ্গে বেড়েছে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ। মাথাপিছু আয় বাড়ার কারণে দেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উঠে এসেছে। গত অর্থবছর বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৪৬৫ ডলার। এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ১৩৭ ডলার মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য রক্ষায় আগে বৈদেশিক সহায়তাই বড় ভূমিকা রাখত। এখন সেখানে এগিয়ে এসেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। কৃষিতেও উৎপাদন বেড়েছে ঈর্ষণীয়ভাবে। বড় পুঁজির পাশাপাশি ক্ষুদ্র পুঁজির ব্যবসারও প্রসার ঘটেছে। সব মিলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বেড়েছে। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় ছিল মাত্র ১২৯ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৬০২ ডলার। এ হিসাবে গত ৪৪ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় বেড়েছে প্রায় ১১ গুণ। তবে মাথাপিছু আয় বাড়লেও সমাজের মধ্যে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বেড়েছে। ফলে সম্পদের সুষম বণ্টন হচ্ছে না। সম্পদ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে একটি গ্রুপের হাতে। এতে আয় বাড়ার সুফল সব মানুষ পাচ্ছে না। সম্পদের সুষম বণ্টন করতে হবে। মানবসম্পদে বাংলাদেশের সূচক ৬৬তে নামিয় আনতে হবে। বর্তমানে আছে ৭০। শিশু, মাতৃমৃত্যু, দক্ষ মানবসম্পদ ও উৎপাদন সক্ষমতার ওপর এ সূচক নির্ভর করে। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতায় বাংলাদেশের সূচক ৩২-এ উন্নীত করতে হবে। বর্তমানে এটি আছে ২৫ দশমিক ৩-এ। অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষমতার ভিত্তিতে এ সূচক তৈরি করা হয়। জাতিসংঘের বিধি অনুযায়ী, যেসব দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় ১ হাজার ৪৫ ডলার বা তার নিচে, তাদের বলা হয় নিম্নআয়ের দেশ। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে এ তালিকাতেই ছিল। আর ১ হাজার ৪৬ ডলার থেকে শুরু করে যেসব দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় ১২ হাজার ৭৩৬ ডলার, তারা মধ্যম আয়ের দেশের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক গতিধারা চলমান থাকলে অতিশিগ্রই এদেশ উন্নত থেকে উন্নততর হবে।
©somewhere in net ltd.