নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে সকল কারণে বাড়লো মোটা চালের দাম

২৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪



বাজারে মোটা চালের দাম বাড়ার সম্ভাব্য যে সকল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে তা হল মোটা চালের বর্তমান মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক ও মৌসুমি। প্রতি বছর এ সময় মোটা চালের মূল্য বৃদ্ধি ঘটে। কিছুদিন পর আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে। তবে আবহাওয়াজনিত দুর্যোগের কারণে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেই ঘাটতি কাটাতে জরুরি ভিত্তিতে আমদানি করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান সরকার। বর্তমানে বাজারে মোটা আকারের স্বর্ণা ও গুটি চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে, যা ছয় মাস আগেও ছিল ৩৮ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ গত ছয় মাসে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ৮ থেকে ১০ টাকা। নিম্নোক্ত কারণে মোটা চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছেঃ

১। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও মিল মালিকদের দ্বারা মোটা চালকে মেশিনে ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে চিকন চালে রূপান্তরের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মোটা চালের খুচরা বাজারে সরবরাহ কমে যায়।

২। চলতি অর্থবছরে ২০ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ থাকায় ধান-চাল সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে এরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে যে, দেশে চালের সংকট তৈরি হলে আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাবে। এ ধরনের পরিস্থিতি অনুমান করে ব্যবসায়ীরা মজুদ বাড়িয়ে দিয়ে খুচরা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন।

৩। এ বছর অস্বাভাবিক আগাম বৃষ্টি হওয়ার কারণে জমিতে সূর্যকিরণ কম হয়েছে। ফলে বোরো ধানের সালোকসংশ্লেষণ কম হওয়ায় ফলন কম হতে পারে এমন অনুমানে ব্যবসায়ীরা সাময়িক মজুদ বাড়িয়ে দিয়েছেন।

৪। শিলাবৃষ্টির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হলে বাজারে চালের দাম পাওয়া যেতে পারে এই অনুমানেও মজুদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরপর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে হাওরে অকাল বন্যায় ধানের উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার ফলে মোটা চাউলের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কিছু দিনের মধ্যেই তা আবার স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে দেশের কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী ও মিল মালিকদের কারণে আর যাতে চাউলের দাম বৃদ্ধি না পায় সেদিকেও লক্ষ রাখছে সরকার।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:

"তবে দেশের কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী ও মিল মালিকদের কারণে আর যাতে চাউলের দাম বৃদ্ধি না পায় সেদিকেও লক্ষ রাখছে সরকার। "

-এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের ভাইয়েরা এমপি

২| ২৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

বেনামি মানুষ বলেছেন: ১। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও মিল মালিকদের দ্বারা মোটা চালকে মেশিনে ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে চিকন চালে রূপান্তরের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মোটা চালের খুচরা বাজারে সরবরাহ কমে যায়।


মোটা চালকে চিকন চালে রুপান্তরিত করা কিভাবে অসাধু কাজ?


আমরাইতো খামোকা চিকন চালের প্রতি দুর্বলতা দেখাই!
সুযোগ থাকলে পণ্যকে উত্তমরুপে(দর্শনীয়) বাজারজাত করা-ই উৎপাদক বা ব্যবসায়ীদের কারবার

৩| ২৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: দেখুন,চাহিদার উপরেই নির্ভর করে অনেক কিছু।আমরা চাহিদা দেখাই যার ফলে ব্যবসায়ীরা সেই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসার উন্নতি করে।আর সবচাইতে বড় কারণ,আমরা জেনেও সেই ব্যবসায়ীদের কাছেই ঘুরেফিরে যাই চাহিদার ফলে।

৪| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: বাজারে সব জিনিসের দাম'ই বেশি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.