নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বনাঞ্চল

১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪



প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনজ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের প্রায় ৫ হাজার বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বনাঞ্চল রয়েছে। এ বনাঞ্চল দেশের মোট জমির ৭ ভাগ মাত্র। দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ থাকার কথা ৩০ ভাগ, কিন্তু আমাদের তা নেই। উপরন্তু এ ৭ ভাগ বনাঞ্চল থেকে নির্দয়ভাবে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। দৈনন্দিন প্রয়োজন মিটানো ছাড়াও বৃক্ষ এদেশের প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক পরিবেশকে বহুলাংশে প্রভাবিত করে। বনভূমি বৃষ্টিপাতে সাহায্য করে, বন্যা, খরা, জলোচ্ছাস ইত্যাদি হতে প্রাণীকূলকে রক্ষা করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃক্ষ ও বনাঞ্চলের অভাবে প্রায় প্রতি বছরই আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হতে হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বনাঞ্চল সম্ম্রসারণ করা ছাড়া কোন গতি নেই। কিছু সংখ্যক দুর্নীতিপরায়ন চোরাকারবারীরা কাঠ কেটে অবাধে চোরাই পথে বিক্রি করে চলেছে। হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। চোরাই কাঠের বেশীরভাগই অবৈধভাবে বসানো স’মিলগুলোতে জড়ো করে তা করাত কলের মাধ্যমে সাইজ করে সড়ক ও নদী পথ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করে। প্রতিদিন নতুন নতুন স’মিল গজিয়ে উঠছে। সরকারের স’মিল লাইসেন্স বিধিমালা ১৯৯৮-এর ৮(১) ধারায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত ও অন্য যে কোন ধরণের সরকারি বনভূমির সীমানার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন স’মিল স্থাপন ও পরিচালনা করা যাবে না (পৌর এলাকা ছাড়া)। বর্তমান সরকার ইতিমধ্যেই বৃক্ষ রোপনের জন্য ব্যাপক কর্মস–চী গ্রহণ করেছে। বৃক্ষমেলা উদ্বোধনকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিজন নাগরিককে অন্তত ১টি ফলজ, ১টি বনজ ও ১টি ঔষধী গাছের চারা রোপণ করে দেশের বনভূমির পরিমাণ ৭ থেকে বৃদ্ধি করে ২০ শতাংশে উন্নীত করার পরামর্শও দেন। ১৯৯৮ সালের ১৬ই নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পর্যালোচনা বৈঠকে বৃক্ষরোপণে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের গাছ লাগানো ও পরিচর্যার জন্যে পদ্ধতি চালু কারর পরামর্শ দিয়েছেন। যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের লাগানো গাছে ফল ধরে এবং পরবতীতে গাছ থেকে স্কুলের আসবাবপত্র তৈরী করা সম্ভব হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের গাছ লাগানোর মানসিকতা তৈরির দায়িত্ব শিক্ষকদের নিতে হবে। মানুষের বসবাসের জন্য যেমন বাড়ীঘরের প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্যও বনভূমির প্রয়োজন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানুষের প্রয়োজনে বহু অরণ্য বৃক্ষহীন হয়ে পড়লেও তারা আজ বনাঞ্চল স¤প্রসারণ ও সংরক্ষণের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। বর্তমান সরকার বনাঞ্চল সম্প্রসারণের ব্যাপারে খুবই উদ্যোগী। তবে সরকারি উদ্যোগ একাই যথেষ্ট নয় এ ব্যাপারে প্রত্যেক সচেতন নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে। সবাইকে বোঝাতে হবে গাছ মানুষের পরম বন্ধু। আমাদের প্রয়োজনেই আমরা গাছের কাছে ঋণী। কাজেই সবাই এগিয়ে আসুন একটি গাছ কাটার পূর্বে ফলজ, বনজ ও ঔষধি তিন’টি গাছ সম্ভব হলে চারটি গাছ রোপন করে তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষদের উদ্বুদ্ধ করি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.