নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসছে রাডার

১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০১





বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী – বিষয়টি আরও একবার প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। চিহ্নিত কুচক্রিমহলের অব্যাহত ইন্ধন আর ষড়যন্ত্রে দেশে জঙ্গিবাদের অশুভ আগ্রাসনের অশনিসংকেত দেখা দেয়া মাত্রই সরকার এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স নীতির কথা ঘোষণা করেছিল। তবে তা অতীতের অপশাসকদের মতো কোন ফাঁকা বুলি নয়, দায়বদ্ধতায় উজ্জীবিত গণমুখী সরকারের ইস্পাত দৃঢ় প্রতিশ্রুতি। তারপর থেকেই সরকার এই প্রতিশ্রুতি পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ – একের পর এক সময়োপযোগী উদ্যোগে ও তার সফল বাস্তবায়নে দেশে জঙ্গিবাদের অপ-তৎপরতা তাই তো আজ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার জঙ্গী গোষ্ঠীর গোপন আস্তানায় জঙ্গী সদস্য লুকিয়ে থাকলে তা শনাক্ত করে জঙ্গী ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়া হবে রাডার। বাড়িভাড়া নিয়ে গোপনে জঙ্গী আস্তানা তৈরি করে সেখানে অস্ত্র, গোলাবারুদ, গ্রেনেড, বোমা ও বিস্ফোরক মজুদ গড়ে তোলা হলে তা রাডারের মাধ্যমে সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এতে জঙ্গী আস্তানায় জঙ্গীদের নাশকতা, ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রাণ ও সম্পদহানির হাত থেকে রক্ষা করতে রাডারে ধরা পড়া সঙ্কেতের মাধ্যমে আগাম তথ্য পাওয়া যাবে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ রাডার প্রস্তুতকারক দেশ থেকে রাডার আমদানি করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। জঙ্গী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বা অভিযানের সময় জঙ্গীরা অনেক সময়ই নিজেদের বিশেষভাবে তৈরি গোপন জঙ্গী আস্তানার বাড়িতে বা দেওয়ালের পেছনে বা কোন বাড়ির ভেতরে লুকিয়ে থাকলে রাডার তাদের খুঁজে বের করবে। এসব রাডার অন্তত ২০ মিটার দূরত্বে থাকা জঙ্গীকেও শনাক্ত করতে পারবে। তবে আরও বেশি দূরত্বে থাকা জঙ্গীকে যাতে শনাক্ত করা যায় তার ওপর কাজ চলছে। এতে প্রাণহানি ও সম্পদহানি দুইটাই রক্ষা পাবে। কারণ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গী গোষ্ঠী বাড়ি ভাড়া নিয়ে গোপন জঙ্গী আস্তানায় মওজুদ করে রাখা গ্রেনেড, বোমা, বিস্ফোরক, সুইসাইডাল ভেস্ট, আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ মওজুদ গড়ে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটিয়ে প্রাণহানি ও সম্পদ ধ্বংস করছে জঙ্গী গোষ্ঠী।উল্লেখ্য, দূরের কোন বস্তুর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র রাডারের সাহায্যে ঘন অন্ধকার রাতেও দূরের বস্তুকে লক্ষ্য করা যায়। এর ফলেই রাডার উড়োজাহাজের পাইলট কিংবা সামুদ্রিক জাহাজের ক্যাপ্টেনের একটি তৃতীয় নয়ন হিসেবে কাজ করে। যদি কোন জাহাজের ক্যাপ্টেন তার রাডার যন্ত্রের পর্দায় চোখ রাখেন তাহলে দেখতে পাবেন পর্দার কোথাও ফুটে উঠেছে একটি ক্ষুদ্র আলোর বিন্দু। রাডারের পর্দাটি আসলে একটি টেলিভিশন পর্দার মতো। এ পর্দার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে আছে একটি অপেক্ষাকৃত বড় আলোর বিন্দু। বড় আলোর বিন্দুটি হলো নিজের অবস্থান। এর চারপাশে যদি কোন আলোর বিন্দু ফুটে ওঠে তাহলে ধরে নিতে হবে ওখানেই আছে বা এত দূরে আছে নির্দিষ্ট বস্তুটা। রাডারের পর্দার নম্বর এবং অক্ষরই বলে দিতে পারে বস্তুটির অবস্থান কোথায়, কোন দিকে আছে এবং কত দূরে আছে। রাডার যন্ত্র আকাশে উড়োজাহাজে, সামুদ্রিক জাহাজে এবং স্থলভাগের যে কোন স্থানেই ব্যবহার করা যায়। এ কারণেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক জঙ্গী দমনে রাডার ব্যবহৃত হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব জঙ্গী গোষ্ঠী গোপন আস্তানা গড়ে তুলে তাতে অস্ত্র, গোলাবারুদ, গ্রেনেড, বোমা, বিস্ফোরক দ্রব্যের মওজুদ ও সুইসাইডাল ভেস্ট পড়ে অবস্থান নেয়ার মতো ঘটনাগুলো রাডারের পর্দায় ভেসে উঠবে। এতে জঙ্গী আস্তানা ও জঙ্গী সদস্যদের শনাক্তকরণের মাধ্যমে জঙ্গীবিরোধী অভিযান জোরদার করা সম্ভব হবে এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই জঙ্গীবিরোধী অভিযানের সফল সমাপ্তি ঘটানো সম্ভবপর হবে। এ জন্যই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য রাডার আনার বিষয়টি এখন সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

নতুন বলেছেন: বাড়িভাড়া নিয়ে গোপনে জঙ্গী আস্তানা তৈরি করে সেখানে অস্ত্র, গোলাবারুদ, গ্রেনেড, বোমা ও বিস্ফোরক মজুদ গড়ে তোলা হলে তা রাডারের মাধ্যমে সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এতে জঙ্গী আস্তানায় জঙ্গীদের নাশকতা, ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রাণ ও সম্পদহানির হাত থেকে রক্ষা করতে রাডারে ধরা পড়া সঙ্কেতের মাধ্যমে আগাম তথ্য পাওয়া যাবে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ রাডার প্রস্তুতকারক দেশ থেকে রাডার আমদানি করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

B-)) =p~

এই রকমের কাহিনি তো গ্রামে চায়ের দোকানে সবাইকে বলতে হয়। ব্লগে চলে না।

রাডারে কোন স্থাপনার পজিসন জানা যায়...কিন্তু তাতে গোলাবারুদ আছে কিনা সেটা জানা যাবে না।

https://www.youtube.com/watch?v=f78yIn0rFzU
https://www.youtube.com/watch?v=J5y0XDZFQug

২| ১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

নতুন বলেছেন: এ কারণেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক জঙ্গী দমনে রাডার ব্যবহৃত হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব জঙ্গী গোষ্ঠী গোপন আস্তানা গড়ে তুলে তাতে অস্ত্র, গোলাবারুদ, গ্রেনেড, বোমা, বিস্ফোরক দ্রব্যের মওজুদ ও সুইসাইডাল ভেস্ট পড়ে অবস্থান নেয়ার মতো ঘটনাগুলো রাডারের পর্দায় ভেসে উঠবে।

এটা সম্ভবত আয়ামীলী রাডারের মাধমেই সম্ভব....

কারন রাডারের মাধ্যমে অস্ত্র, গোলাবারুদ, গ্রেনেড, বোমা, বিস্ফোরক দ্রব্যের মওজুদ ও সুইসাইডাল ভেস্ট এই সব জানতে পারলে তো আমেরিকা বৃটেনে বোমা হামলা হইতো না...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.