![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহন চাহিদার তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। বিলাসবহুল ট্যাক্সিক্যাব আর সিএনজি অটোরিকশা যাত্রীদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এ অবস্থায় যাতায়াতের জন্য কার্যকর ও সহজলভ্য বিকল্প পরিবহনব্যবস্থা হচ্ছে রাইড শেয়ারিং। এটি মুঠোফোন অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি ভাড়া করার পদ্ধতি। এ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কেনা গাড়ি অনলাইন সেবার মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করবে। এ সেবাকে বৈধতা দিয়ে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনার অংশ হিসেবেই প্রস্তুত করা হয়েছে ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা ২০১৭’। এ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এ সেবা সারাদেশের জন্যই প্রযোজ্য হবে। মূলত পাঁচ ধরনের যানবাহনের জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশনভিত্তিক এ সেবা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। জিপ, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেল - এ পাঁচ ধরনের যানের সেবা পাবেন গ্রাহকরা। বর্তমানে রাজধানীতে উবার, পাঠাও, চলো, আমার রাইডসহ স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন যাত্রীসেবা চালু রয়েছে। বর্তমানে মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাসের মতো ছোট গাড়ির পরিকল্পনাহীন ব্যবহারের কারণে শহর ও মহাসড়কে যানজট তৈরি হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি একজন বা এক পরিবারের পাশাপাশি অনেক মানুষের জন্য ব্যবহারের উপযোগী করা গেলে ব্যক্তিগত গাড়ির পরিকল্পনাহীন ব্যবহারের প্রবণতা কমবে, সেই সঙ্গে কমবে যানজট। এসব বিষয়ের বিবেচনাতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অ্যাপভিত্তিক এ সেবার কিছু শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে খসড়া নীতিমালায়। শর্তের মধ্যে রয়েছে, অ্যাপ তৈরিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান এবং যানবাহনের মালিককে বিআরটিএ থেকে সনদ নিতে হবে। এরপর রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান, যানবাহনের মালিক ও চালকের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হতে হবে। এ সেবা চালুর জন্য অন্তত ২০০ গাড়ির একটি ফ্লিট থাকতে হবে এবং কোম্পানির টিআইএন সনদ থাকতে হবে। তবে ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ি হলে একজন একটি এবং ভাড়ায় চালিত হিসেবে নিবন্ধন নেয়া গাড়ি হলে একাধিক গাড়ি এই সেবায় ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ি নিবন্ধনের কমপক্ষে এক বছর পর এই সেবায় নিয়োগ করা যাবে। এ সেবার জন্য সরকার ভাড়া নির্ধারণ করে দেবে না। তবে যাত্রী অসন্তোষ দেখা দিলে তখন সরকারিভাবে ভাড়ার বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে। রাইড শেয়ারিং সেবায় চালককে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতসহ সব আইন মানতে হবে। এই সেবাকে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও সহজলভ্য করতে সম্ভাব্য ভাড়ার পরিমাণ যাত্রার শুরুতেই যাত্রীদের জানানোর ব্যবস্থা থাকবে। ভাড়া ও দূরত্ব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যাত্রীরা ইলেকট্রনিক রেকর্ড এসএমএসের মাধ্যমে পেতে পারেন এ ব্যবস্থাও থাকতে হবে। এছাড়া এসব তথ্য প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে অন্তত তিন মাস সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। চালক, গাড়ি ও তার ভ্রমণ নিয়ে কোনো মতামত বা অভিযোগ যাত্রীরা যাতে বিআরটিএ ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে জানাতে পারে সে ব্যবস্থা থাকতে হবে। বর্তমানে উবারের মাধ্যমে যে কেউ ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়িতে অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করছেন। কিন্তু প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী প্রথমেই তাকে বিআরটিএর অনুমোদন নিতে হবে। অ্যাপভিত্তিক কোম্পানির অনুমোদনে সংগ্রহ করতে হবে সনদ। তার আগে অনুমোদন ফি হিসেবে গুনতে হবে ১ লাখ টাকা। অনুমোদনের জন্য কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। কোম্পানির অধিভুক্ত গাড়িগুলোর বিস্তারিত তথ্য এর সঙ্গে যুক্ত করার শর্তও রয়েছে। আর নবায়নের জন্য প্রতি বছর ১০ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে। গত বছরের ২২ নভেম্বর ঢাকা শহরে যাত্রা শুরু করা উবারের নিজস্ব কোনো ট্যাক্সিক্যাব নেই। অ্যাপল স্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে উবার ডাউনলোড করা যায়। এরপর ই-মেইল ও ফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হয় চালক ও যাত্রীকে। তারপরই তারা এর সেবা নিতে পারেন। বিআরটিএর প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী, গাড়ির বিবরণসহ সব তথ্য জমা এবং যাচাইপূর্বক রাইড শেয়ারিং সনদ মিলবে। এক্ষেত্রে তথ্য সংশোধনীর দরকার হলে নেয়া হবে আরো ৫০০ টাকা। আর উবারের মতো বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন নিতে হলে কোম্পানির বিস্তারিত তথ্যের সঙ্গে আরো বাড়তি কাগজপত্র এবং কর জমা দিতে হবে। নীতিমালার পর অ্যাপভিত্তিক এই সেবা বাড়লে গণপরিবহনের অনেক বিকল্প হবে এবং প্রতিযোগিতাও বাড়বে।
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
এ্যাপটার নাম দিতে পারেন, "জিং জিং শেয়ারিং"
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
রাইড শেয়ারিং করার নামে ডাকাত উঠে, গাড়ী নিয়ে যাবে; পারলে গাড়ীতে থাকা বউকে, মেয়েকে জিং জিং করে দেবে।