নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলাদা স্ক্যানিং বিভাগ চালু হচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমসে

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১০



চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শতভাগ স্ক্যানিংয়ের আওতায় আনতে নতুন লোকবল নিয়োগ ও বন্দরের প্রতিটি গেটে স্ক্যানার বসানোর পাশাপাশি আলাদা একটি বিভাগ চালু করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম পোর্ট ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের আওতায় অঘোষিত ও বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য আমদানির পাশাপাশি নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক করা হয়। বাধ্যতামূলক হলেও শুরু থেকেই স্ক্যানার সংকটের অজুহাতে রফতানি পণ্যবাহী কনটেইনারগুলোকে স্ক্যানিংয়ের আওতায় আনা যায়নি। এছাড়া কমলাপুর আইসিডি, বেনাপোল ও খুলনা কাস্টমস স্টেশনে কোনো স্ক্যানার মেশিন না থাকায় সেখানেও পণ্যবাহী কনটেইনারের স্ক্যানিং সম্ভব হচ্ছে না। নিয়ম থাকলেও দীর্ঘদিন ধরেই প্রশিক্ষিত লোকবল ও পর্যাপ্ত স্ক্যানার সংকটে পণ্যবাহী ৫৫ শতাংশ কনটেইনারকে স্ক্যানিংয়ের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। চট্টগ্রাম বন্দরের ১২টি গেটের মধ্যে মাত্র চারটি দিয়ে পণ্যবাহী কনটেইনার স্ক্যানিং করা হচ্ছে। ফলে সঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহ নেয়া সম্ভব হচ্ছিল না। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিটি গেটে স্ক্যানার বসানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি স্ক্যানিং বিভাগ চালুর যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা যত দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব ততই ভালো। গত নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি হওয়া ৯ লাখ ২ হাজার ৪৭০টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। পর্যাপ্ত স্ক্যানার না থাকায় স্ক্যানিংয়ের আওতায় আনা গেছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৯ কনটেইনার। বাকি ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮১টি কনটেইনার স্ক্যানিং করা যায়নি, যা মোট আমদানি-রফতানি কনটেইনারের ৫৫ শতাংশ। এসব কনটেইনার স্ক্যানিং বাবদ কাস্টমস আয় করেছে ২৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। শতভাগ কনটেইনার স্ক্যানিংয়ের আওতায় আনতে গত মার্চে আলাদা একটি বিভাগের কাঠামো অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও এনবিআরে পাঠানো হয়। এতে ১৮৩ জন লোকবল নিয়োগ, ১২টি গেটের জন্য ১২টি স্ক্যানার মেশিন, ১০টি বিস্ফোরক পদার্থ শনাক্তকারী যন্ত্র, সাতটি মাইক্রোবাস, ৩৭টি কম্পিউটারসহ সিসিটিভি, টেলিফোন ও আনুষঙ্গিক আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে বলা হয়। নবগঠিত স্ক্যানিং বিভাগের কনটেইনার স্ক্যানিং ও বিস্ফোরক পদার্থ শনাক্তকারী যন্ত্র পরিচালনার জন্য একজন অপারেশন ম্যানেজার, একজন কম্পিউটার অপারেশন সুপারভাইজার, একজন সিনিয়র কম্পিউটার অপারেটর নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি বিস্ফোরক পদার্থ শনাক্তকারী যন্ত্র পরিচালনার জন্য দুজন কম্পিউটার অপারেটর ও দুজন ট্রাফিক কো-অর্ডিনেটর (সমন্বয়কারী) পদ রাখা হয়েছে। মোট ৮০ জন কম্পিউটার অপারেটর ও ৮০ জন ট্রাফিক কো-অর্ডিনেটরসহ পুরো বিভাগে মোট ১৮৩ জন চার শিফটে ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। চট্টগ্রাম বন্দর, কমলাপুর আইসিডি, বেনাপোল ও খুলনায় শুল্কস্টেশনের জন্য সাত মাস আগে চারটি স্ক্যানার আনা হলেও তা এখনো বসানো হয়নি। স্ক্যানিং সংকট নিরসনে গত নভেম্বরে চীনের ৬৪ কোটি টাকার অনুদানে অত্যধুনিক এসব স্ক্যানার মেশিন আনা হয়েছে। এই বিভাগ চালু হলে বন্দর ও দেশের নিরাপত্তা বাড়ার পাশাপাশি অবৈধ বা বিস্ফোরক পদার্থ প্রবেশ প্রতিরোধ সম্ভব হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.