![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের অর্থনীতিতে একসময় পাটের অবস্থান ছিল প্রাণ ভোমরার মতো। স্বাধীনতার আগে বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ আসত পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি থেকে। দেশের শিল্প খাতও ছিল অনেকটাই পাট নির্ভর। সমগ্র পৃথিবীর শতকরা ৮০ ভাগ পাট বাংলাদেশে উৎপন্ন হয়। স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। একই সঙ্গে এ পণ্য রফতানির পরিমাণও প্রতি বছর বাড়ছে। চলতি অর্থ বছরে ১১ মাসে এ খাতে আয় হয়েছে ৮২ কোটি মার্কিন ডলার। ইতোমধ্যেই পাটকে কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ সরকার। সরকারি ও বেসরকারি পাটকলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে এখন। বন্ধ পাটকল পুনরায় চালু করার মাধ্যমে ফিরে এসেছে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য। দেশে এখন ১৩১ ধরনের পাটপণ্য তৈরি হচ্ছে। পাটের চাষ এবং এর ব্যবহারের প্রসারের লক্ষ্যে চাল, চিনি, গম, ধান, ভুট্টা ও সারের মোড়কে পাটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০১০ সালে পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়। বর্তমানে এই চাহিদা মাত্র ৯০ হাজার পিস। অথচ এই আইনের পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হলে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের বার্ষিক চাহিদা ৮৪ কোটি পিসে উন্নীত হবে। এছাড়াও সরকার ঘোষিত চাল, চিনি, গম, ধান, ভুট্টা ও সারের মোড়কে পাটের ব্যবহার নিশ্চিত হলে বছরে ৫০ হইতে ৫৫ কোটি পাটের বস্তা প্রয়োজন পড়বে। স্পষ্টতই পাটের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। সুতরাং উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের নানামুখী উদ্যোগকে আমরা সাধারণ জনগণ স্বাগত জানাই।
©somewhere in net ltd.