![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ফ্রীল্যান্স সাংবাদিক, পত্রিকায় ও ব্লগে লেখাই আমার নেশা।
বাংলাদেশের ইতিহাস অনুসারে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের সদস্যরা শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। যদিও তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে অস্থায়ী সরকার। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। দায়িত্বগ্রহণের দু'দিনের মাথায় ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার গঠন করেন তিনি। শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। এই বিবেচনায় শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপরি হলেও তিনি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত নন।
কিন্তু এর বিপরীতে ১৯৭৮ সালের ৩০ মে গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। গণভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঘটনা ওই বারই প্রথম ঘটেছিল। এই বিবেচনায় বিএনপি বলছে জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের ভোটে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপতি। বিএনপি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই বিবেচনা থেকেই জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দাবি করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দাবি করে তারেক-খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়েছেন বলে সমালোচনা করেছেন অনেকেই। কিন্তু যে যুক্তি থেকে বিএনপি এই দাবি করছে তা সামনে আনছেন না কেউই।
কারণ স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মত সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসন লাভ করে সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি দেশে বিরাজমান পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সংসদে চতুর্থ সংশোধনী বিল পাশ হয়। নির্বাচনে বিজয়ী এই বৈধ সরকারের সদস্যরা শেখ মুজিবুর রহমানকে আজীবন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে। দেশে জারি করা হয় জরুরী অবস্থা। নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অনুমোদনের মাধ্যমে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ’ নামের রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়। সংক্ষেপে যার নাম দেওয়া হয়, বাকশাল। বাকশাল থেকে প্রত্যন্ত জনসাধারণ, কৃষক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে আজীবন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই পদেই আসীন ছিলেন।
বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি। তার আগে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আরো ছয় ব্যক্তি। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিকালীন অস্থায়ী সরকান গঠনের দিন ১১ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ১০ই এপ্রিল ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেই হিসেবে তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরে এসে অন্তবর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দুই দিনের মধ্যে ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসন পদ্ধতি ভেঙ্গে দেন শেখ মুজিবুর রহমান। সংসদীয় শাসনকাঠামো প্রবর্তন করে নতুন মন্ত্রীপরিষদ গঠন করেন তিনি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার জন্য নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের নিয়েই নতুন রাষ্ট্রের প্রথম সংসদ গঠন করেন তিনি। নতুন এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ মুজিবুর রহমান। আগেই বলেছি যদিও স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম গণতান্ত্রিক সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসন লাভ করে সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন শেখ মুজিবুর রহমান।
বাকশাল গঠন ও শেখ মুজিবুর রহমানকে আজীবন রাষ্ট্রপতি ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন আবু সাঈদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ উল্লাহ। আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন। রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগের পর তিনি জেনেভায় বাংলাদেশের বিশেষ দূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আবু সাঈদের পদত্যাগের পর রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পান মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি ১৯৭৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে খুন হন শেখ মুজিবর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেন মোশতাক আহমেদ। এই পদে তিনি মাত্র ৮৩ দিন আসীন ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৫ নভেম্বর সেনাবিদ্রোহের দ্বারা অপসারিত হন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের আলোচিত-সমালোচিত চরিত্র মোশতাক আহমেদ।
মোশতাক আহমেদের অপসারণের পর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ও ৬ নভেম্বর এর সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিচাপতি সায়েমকে দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২৯ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল দুর্বল স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়েন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম প্রধান বিচারপতি।
এর পরেই বাংলাদেশের ক্ষমতা দৃশ্যপটে আবির্ভাব ঘটে জিয়াউর রহমানের। আবু সাদাত সায়েমের পদত্যাগের পর ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন জিয়া। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন জিয়া দেশে আবার গণতন্ত্রায়ণের উদ্যোগ নেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালুর সিদ্ধান্ত নেন। ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের। নির্বাচনে হ্যাঁ-না ভোটের আয়োজন করেন তিনি। জিয়াউর রহমান মে মাসে ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা এবং আস্থা যাচাইয়ের জন্য ৩০শে মে গণভোট আয়োজন করেন। ‘হাঁ-না’ সূচক ভোটে বিপুল জনসমর্থন লাভ করেন তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত জনগণের ভোটের দ্বারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেন জিয়াউর রহমান। খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বেই ছিলেন।
জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণার পিছনে আরো একটি বিষয় কাজ করতে পারে বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে। বিএনপির নেতৃত্বের মনে শঙ্কা থাকতে পারে, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারির মত বর্তমানে নির্বাচিত দশম সংসদের সদস্যরা সংবিধান পরিবর্তন করে শেখ হাসিনাকে আজীবনের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করতে পারে। আর বর্তমানের এই সংসদ যদি তেমন কোন কিছু করে তবে তা মেনে নেবে না বিএনপি। বিএনপির নেতৃত্ব জিয়া জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দাবি করার মাধ্যমে সরকারকে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছে। (সংগ্রহ)
২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৫
তথ্য অধিকার বলেছেন: কেন--এটা তো ইতিহাসেই লেখা আছে--সেখান থেকে সংগ্রহ মানে এটা আমার বানানো কিচ্ছা নয়--এর আকি কী? কী বুঝলেন!!
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০৭
ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: অস্থির... ... অস্থির... ...
আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন......
... ... আবু সাঈদের পদত্যাগের পর রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পান মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি ১৯৭৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন... ... ...
দেশের জনগণকে এরা ভাবে কী? কাগজি লেবু না কলা?
একবার চিপ্পা চিপ্পা খায় আর একবার নেংটা করে খায়......... ......
২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৬
তথ্য অধিকার বলেছেন: থামেন থামেন-এত অস্থির হবেন না--
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৩
নহে মিথ্যা বলেছেন: ভাই বাদ দেন... দেশের ভবিষ্যত অথল গভীরে ডুবে যাচ্ছে আর কি নিয়ে আমজনতা কাইজ্জা কইরা বেড়াচ্ছে...
ভাই... গাড়ি চালাবার সময় যেমন শুধু রিয়ার ভিউ মিরর দেখে চালানো যায় না... তেমনি শুধু সামনের দিকে শুধু তাকিয়ে রিয়ার ভিউ মিরর না দেখেও চালানো যায় না... দুটার মধ্যে একটা সামঞ্জস্য রাখতে হয়...
বর্তমানে আমরা সবাই অতীর নিয়েই পরে আছি অনেকটা শুধু রিয়ার ভিউ মিরর দেখে গাড়িচালাবার মত... সামনের দিকে তাকাবার সময়ই পাচ্ছি না.....
২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩১
তথ্য অধিকার বলেছেন: সহমত--আমাদের মত শাসিতের জাতি শাসক হলে এমনই হয়--আমাদের দরকার বিদেশীদের লাথি-গুতা--তাহলেই সোজা!!!
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০২
আখিলিস বলেছেন: দেশের প্রথম এভারেস্ট জয়ীও তো জিয়া ! আর নোবেলটাও তো উনিই পেলেন !
৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:০৬
তথ্য অধিকার বলেছেন: অযৌক্তিক প্যাচাল কি ঠিক হলো?
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৬
মিটুল বলেছেন: প্রিয় লেখক মহোদয়,
আমরা প্রতে্যকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে যাচ্ছি, যেটা অবশ্যই কোন অন্যায় নয়। তবে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত নৈতিকতার সাথে আপোষ কয়বার করা যায় বলুন? আমি ব্যক্তিগতভাবে এই কারণে বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের একতরফা সমর্থন দিতে সক্ষম দিতে পারি না। আমি নতুন দিনের আশাই থাকি বড় কোন পরিবর্তনের। নতুর প্রজন্মের রাজনীতিবীদদের নাম নিতে চাই না। তাদের কয়েকজনের মধ্যে দিন পরিবর্তনের সেই স্বপ্ন জোর করে দেখবার চেষ্টা করেও এখন সম্পূর্ন হতাশ। যাই হোক, আপনার লেখাতে বিএনপি-র দাবীর পক্ষে খোঁড়া যুক্তি গুলো বুঝতে খুব বেশী লেখাপড়া জানা বা বুদ্ধি থাকবার দরকার আছে বলে মনে করি না। আবার হতেও পারে যে আমাদের সাধারন জনগন বুঝেনা বলেই আপনারা এমন করে খোঁড়া যুক্তি দিয়ে সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে ফেলেন।
চায়ের দোকানের গল্প করা এক ইতিহাস আর ডকুমেন্টরী প্রুফ দিয়ে তৈরা ইতিহাস কখনো এক হয় না। বিএনপি-র এহেন দাবী আজ এত বছর পরে উপস্থাপন টা-ই প্রথম যুক্তি যে তাদের দাবী সত্য নয়। আপনার যুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রথম সরাসরি জনগণের ভোটে পাশ করা রাষ্ট্রপতির নাম জিয়াউর রহমান (যদিও বিএনপি এভাবে দাবীটি করেনি), এটি একটি সুন্দর এবং সত্য রাজনৈতিক বক্তব্য। যেমন, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া নাকি মুজিব এই তর্ক হাজার বছরেও শেষ হবার নয় কারণ সত্যি সত্যি জিয়াউর রহমান-ই রেডিও-তে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়েছিলেন। এখন বিকর্তটা হচ্ছে কার পক্ষ্য থেকে উনি পড়েছিলেন, তার আগে ৭ মার্চের ঘোষণা তবে কি ছিল, ২৬ মার্চ রাতে রেডিও তে ঘোষণার আগেই রাজারবাগ পুলিশ ও ইপিআর এর সদস্যরা প্রতিরোধ শুরু করেছিল কারো নির্দেশ ছাড়ায় ইত্যাদি।
আপনার কাছে আমার প্রশ্ন জিয়াউর রহমান সাহেব তো প্রত্যক্ষভাবে জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করেছেন এরপর তার রাজনৈতিক দলটি উত্তারিকার সুত্রে বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি করছেন। এতো বছরেও এতগুলো মিটিং, মিছিল, সভা, সেমিনার কখনো এভাবে দাবী করতে শুনেছেন (যদিও দাবীটি সত্যি যে, প্রথম জনগণের ভোটে নির্বাচিত রাষ্টপতি হচ্ছেন জিয়াউর রহমান)? অবশ্যই এ নিয়েও স্বাধীনতার ঘোষক কে এর মতো বিতর্ক থাকতো যে, সামরিক বাহীনি থেকে ক্ষমতা নিয়ে হ্যাঁ/না ভোট কতটুকু গ্রহনযোগ্য বা গর্বের বিষয়।
আপনার যুক্তির দুর্বল দিক হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা হোক আর প্রধানমন্ত্রী শাসিত হোক সব সরকার ব্যবস্থায় কিন্তু একজন রাষ্ট্রপতি থাকেন এবং আমাদের দেশেও ছিলেন। আপনিও তাদের নাম গুলো ক্রমানুসারে উল্লেখ করেছেন এবং কোন মন্তব্য করেনি। তাহলো কিভাবে তাদেরকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে গণনার আগেই জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবী করবে বিএনপি? রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থায় জনগণের ভোটে জয়ী রাষ্ট্রপতি আর প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার ব্যবস্থার নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে কিভাবে দুই নামে (ভিন্ন পদবী) ডাকবেন?
যদি সত্যিই দুই রকম পদবী দেওয়া যেতো এবং অবশ্যই রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থায় জনগণের ভোটে (হ্যাঁ/না ভোট হলেও চলবে) জয়ী রাষ্ট্রপতিকে শুধু রাষ্ট্রপতি/প্রেসিডেন্ট বলা যাবে আর অন্য ভাবে যারা রাষ্ট্রপতি ছিলেন বা হবেন তাদেরকে পতিরাষ্ট্র/দেশপতি/রাষ্টপিতা ইত্যাদি যেকোনটা দিলেই চলবে। এভাবে যদি সংবিধান সংশোধন করা যায় তাহলে একটা চান্স আছে কিন্তু।
৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:১২
তথ্য অধিকার বলেছেন: ভাই, আমিতো ইতিহাস ছাড়া নিজের মত বলিনি-আর বহুদিন পর কেউ কিছু দাবী করা যদি অযৌক্তিক হয়, তবে এতদিন পর যুদ্ধাপরাধী ও বংগবন্ধুর বিচার দাবীও কি অযৌক্তিক আপনার থিউরিমতে?
আসল তথ্য ১ম ও ৭ম প্রেসিডেন্ট কে বলেছি আর নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের যুক্তিতে ১ম রাষ্ট্রপতিও কি সঠিক নয়-যা বিএনপি দাবী করেছে?
যাক--বিতর্ক চলুক আমরা মজা নিই--
৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৯
অনামিক রেজা বলেছেন: ভালই লাগল লেখা
৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:১৫
তথ্য অধিকার বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হায়রে ইতিহাস! নাবিস্কো বিস্কুটের টিনের ইতিহাস থেকে প্রথম প্রেসিডেন্ট কে তার ইতিহাস কোন কিছুরই কোন ঐক্য নাই
৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:১৭
তথ্য অধিকার বলেছেন: হুম
৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২২
কাকপাখি ২ বলেছেন: জিয়াউর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি - কথাটা এভাবে না বলে - জিয়াউর রহমান জনগনের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপতি - এভাবে বললে ক্যাচাল কম হইত।
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
তথ্য অধিকার বলেছেন: নারে ভাই-এখন দেখছি বিএনপি বলছে--সরাসরি ১ম রাষ্ট্রপতি ছিলেন
৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
মুদ্দাকির বলেছেন: বি এন পি আর বাল রে বলেন এই গুলা নিয়া ক্যাচাল না কইরা দেশের সব মানুষ কেমনে সারাক্ষন বিদ্যুৎ পাবে তার চিন্তা বা পরিকল্পনা করতে !!!!!!
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩০
তথ্য অধিকার বলেছেন: হুম, যুকতি আছে কথায়
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এইটা কি আওয়ামী ষ্টাইলে বিএনপির ছোড়া কোন বল নয়তো??????
যা নিয়ে আওয়ামীরা ব্যস্ত!!!!
কি দূর্ভাগ্য আমাদের- স্বপ্ন আর কল্পনায় ইতিহাস গড়ে নিজে নিজেই। আরে ইতিহাসকে তার সময় দাও। সেই স্থান টিক করে দেবে। তুমি না দিলেও দেবে।
মাঝে তুমি হবে মিথ্যাবাদী নয় স্বার্থপর!
বিএনপির মূল কাজ রেখে এই অযথা কুতর্কের দোকান খোলার বুদ্ধি যেই দিয়েছে-তার বুদ্ধি হাটুর নীচে বৈ নয়!
জাতীয় সরাসরি স্বার্থ সংশ্লীষ্ট বিষয় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, টোল, রামপাল, নিয়ে বুদ্ধি বৃত্তিক প্রতিবাদ, আয়োজন জাগরন না ঘটীয়ে ইতিহাস খেচাখেচি করে আর যাইহোক কল্যান হবে না।
কে কারে বোঝাবে?????
১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৯
তথ্য অধিকার বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন বি এন পি আওয়ামীলীগকে বোকা বানিয়েই ছেড়েছে।
১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৮
ফাহিম ইসলাম বলেছেন: লাইক
১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৯
তথ্য অধিকার বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন বি এন পি আওয়ামীলীগকে বোকা বানিয়েই ছেড়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
রাকীব হাসান বলেছেন: কই থেইক্কা সংগ্রহ করলেন ভাই ???
জানতে মন্চায়