নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

seee83

seee83 › বিস্তারিত পোস্টঃ

বছরজুড়ে আলোচিত সেরা ৫ ট্যাবলেট কম্পিউটার

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৯

এ বছরের শুরু থেকেই প্রযুক্তির বাজারে বাজিমাত করেছিল রেখেছিল ট্যাবলেট কম্পিউটার। ডেস্কটপের পর ল্যাপটপের বিকাশ হতে যতটা সময় লেগেছে, তার চেয়ে অনেক কম সময়ের মধ্যে ট্যাবলেট কম্পিউটার গ্রাহকদের চাহিদা পুরন করতে সক্ষম হয়েছে। আকারে ছোট, সহজে বহনযোগ্য আর নানা ফিচারে ভর্তি টেবলেট কম্পিউটার খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গ্রাহকদের কাছে।তাই সারা বছর জুড়ে

আলোচনায় ছিল এই প্রযুক্তি পন্যটি। সহজে বহনযোগ্য এবং এর উপযোগিতার কারণে ল্যাপটপের বদলে ট্যাবলেট পিসির জয়জয়কার এখন পৃথিবীজুড়েই। প্রযুক্তি ম্যাগাজিন টেকরিপাবলিক অবলম্বনে এ সময়ের সেরা পাঁচ ট্যাবলেট পিসি নিয়েই এবারের ফিচার-



এপল আইপ্যাড ২

এপলের যেকোনো নতুন পণ্যের প্রতি মানুষের চাহিদা থাকে আকাশচুম্বী। আর সেই চাহিদা মেটাতেই এই বছরেই বাজারে আসলো আইপ্যাড ২। এ বছরের শুরুতে বাজারে আসার পর ট্যাবলেটটি আকাশছোঁয়া সাফল্য পেয়েছে। আইপ্যাড ২ প্রথম সংস্করণের তুলনায় ৩৩ শতাংশ পাতলা এবং ১৫ শতাংশ হালকা এবং এটা এর ৯.৭-ইঞ্চি এলইডি-ব্যাকলিড এলসিডি স্ক্রিন পরিবর্তন না করেই করা হয়েছে। এ ট্যাবলেট পিসি ১০ ঘণ্টার অধিক

ব্যাটারি ব্যাক আপ দেয়।এটি মাল্টিটাচ এবং আইপিএস প্রযুক্তি সমর্থিত। ১০২৪x৭৬৮ পিক্সেল রেজল্যুশনের ডিসপ্লের প্রতি ইঞ্চিতে পিক্সেল রয়েছে ১৩২টি। ওলিওফোবিক কোটিং থাকায় এই ডিসপ্লেতে হাতের ছাপ পড়ে না। তবে মাল্টিটাচ ডিসপ্লেটি একাধিক আঙুলের মাধ্যমে সহজেই পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।আইপ্যাড ২-এ ব্যবহার করা হয়েছে এ-৫ নামে সম্পূর্ণ নতুন ডুয়েল কোর প্রসেসর।

আইপ্যাডের এ-৪ চিপের তুলনায় এই প্রসেসরে গতি দ্বিগুণ।নতুন এই ট্যাবলেট পিসির অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে একদম নতুন আইওএস ৪.৩। অ্যাপলের নতুন এই ট্যাবলেট অপারেটিং সিস্টেম আসছে আইপ্যাড-২-এর হাত ধরেই।এছাড়া ও ফ্রন্ট ফেসিং আর রেয়ার ফেসিংসহ আইপ্যাড ২-এ রয়েছে দুটি ক্যামেরা।এতে আরও আছে ত্রিমাত্রিক অক্ষের গাইরোস্কোপ প্রযুক্তি, অ্যাকসেলারোমিটার, অ্যাম্বিয়েন্ট

লাইট সেন্সর, ওয়াই ফাই, ব্লু-টুথ ২.১, ইডিআর এবং থ্রিজি। গাইরোস্কোপ প্রযুক্তি থাকার ফলে গেম, ম্যাপিং বা এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশনে আইপ্যাড ২-কে ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরিয়েও ব্যবহার করা যাবে সহজেই।



স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব ১০.১

স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব একমাত্র ট্যাবলেট পিসি যা কিনা অ্যাপ্‌ল আইপ্যাড এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পেরেছিল। দক্ষিন কোরিয়ার এ কোম্পানি তাদের প্রথম ৭-ইঞ্চি সাইজের ট্যাবলেট পিসি, যা কিনা ২০১০ সালে বাজারে ছাড়া হয়েছিল, ২ মিলিয়ন এরও বেশি বিক্রি করেছে।স্যামসাং নতুন দুইটি ভিন্ন সাইজের গ্যালাক্সি ট্যাব প্রদর্শন করে। এর একটির সাইজ হল ১০.১-ইঞ্চি এবং আরেকটির সাইজ

হল ৮.৯-ইঞ্চি। এর ডিসপ্লে সাইজ ছাড়া দুইটি ট্যাবলেট পিসিতে প্রায় একই ধরণের ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে।১০.১ এবং ৮.৯-ইঞ্চি ট্যাবলেট পিসিতে প্রায় ডাব্লিউএক্সজিএ ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যা ১২৮০x৮০০ রেজুলেশন সাপোর্ট করে। এর ডিসপ্লে রেজুলেশন আইপ্যাড ২ এর ১০২৪x৭৬৮ রেজুলেশনের থেকে অনেক গুনে ভাল।এ নতুন দুইটি ট্যাবলেট পিসি ডুয়াল-কোর ১গিগাহার্টজ প্রসেসর সমৃদ্ধ। এ

প্রসেসর মাল্টি-টাস্কিং এর জন্য খুব ভাল। ব্যবহারকারী এ নতুন দুইটি ট্যাবলেট পিসিতে ১গিগাবাইট র্যা।ম পাবেন।আইপ্যাড ২ এর মত স্যামসাং তিনটি ভিন্ন স্টোরেজ অপশন অফার করে। এগুলো হল- ১৬ গিগাবাইট, ৩২ গিগাবাইট এবং ৬৪ গিগাবাইট।এ নতুন দুইটি ডিভাইসে অ্যানড্রয়েড ৩.০ হানিকম্ব অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ট্যাবলেট পিসির কথা মাথায় রেখে গুগল এ উন্নত সংস্করণ বাজারে

ছাড়ে।ব্যবহারকারী এ নতুন দুইটি ট্যাবলেট পিসিতে ২১ মেগাবাইট পার সেকেন্ড গতি সমৃদ্ধ এইচএসপিএ+, ওয়্যারলেস-এন ওয়াই-ফাই, এবং ব্লুটুথ ২.১+ ইডিআর পাবে।এতে দুইটি ক্যামেরা আছে। এর পিছনে আছে ৩-মেগাপিকজেল। এটা ব্যবহারকারীকে ছবি তুলতে এবং হাই ডেফিনেশন ভিডিও রেকর্ড করতে সাহায্য করবে। এর সামনে আছে ২ মেগাপিকজেল ক্যামেরা যা ব্যবহারকারীকে ভিডিও কল করতে সাহায্য করবে।এতে ৬৮০০

এমএএইচ ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে যা ব্যবহারকারীকে ট্যাবলেট ডিভাইস দীর্ঘ সময় ব্যবহার করতে সাহায্য করবে।নতুন গ্যালাক্সি ট্যাব গুলোতে মাইক্রোএসডি স্লট কার্ড ব্যবহার করে এর মেমোরি বাড়ানো যাবে। যেহেতু ডিভাইস দুইটি অ্যাডব ফ্ল্যাশ ১০.২ সাপোর্ট করে তাই এতে সেসব কন্টেন্ট ব্যবহার করা যাবে যেগুলো অ্যাডব সাপোর্ট করে।



মটোরোলা জুম

স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব এর পাশাপাশি মটোরোলা জুমকেও অ্যাপল আইপ্যাড এর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে করা হয়। অ্যান্ড্রোয়েড হানিকম্ব অপারেটিং সিস্টেম ছাড়াও জুম ট্যাবলেট পিসিটিতে রয়েছে আরো কয়েকটি আকর্ষণীয় ফিচার যেমন ডুয়াল কোর এনভিদিয়া টেগ্রা ২ প্রসেসর, এবং দুটি ক্যামেরা যার একটি সামনে এবং একটি পেছনে।

মটোরোলা জুম ট্যাবলেট পিসি ওয়াই-ফাই এবং থ্রিজি উভয় ভার্সনেই পাওয়া যাচ্ছে। জুম টু নামের নতুন এই ট্যাবলেটটি ৮ দশমিক ২ ইঞ্চি পর্দাবিশিষ্ট। এর পুরুত্ব ৯ মিলিমিটার। এটি ১ দশমিক ২ গিগা হার্জ গতির ডুয়েল কোর প্রসেসর চালিত। এতে ১ জিবি র্যা ম রয়েছে। ফোনটির এইচডি ভিডিও রেকর্ডিংয়েরও ক্ষমতা আছে।

এছাড়া ফোনটির সঙ্গে একটি কিবোর্ড কেস এবং একটি স্টাইলাস রয়েছে।অ্যান্ড্রয়েড ২.৩ অপারেটিং সিস্টেম চালিত এই ফোনটি মিডিয়া সংস্করণ। এটি ই-রিডার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। ট্যাবলেটটির ওজন ৫০০ গ্রাম এবং এইচডি আইপিএস পর্দা বিশিষ্ট ট্যাবলেট পিসি প্রযুক্তি প্রেমিদের কাছে ব্যাপক সারা ফেলেছে।





ব্ল্যাকবেরি প্লেবুক

গোটা বিশ্ব যখন আইপ্যাডের মহিমায় পঞ্চমুখ, সৃষ্ঠিকর্তা জোবস যার জন্য চারিদিক থেকে সাধুবাদ পাচ্ছেন, তখনই সেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কড়া টক্কর দিতে হাজির বাজারে ব্ল্যাকবেরি প্লেবুক. ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা রিলায়েন্সের এই নতুন উদ্যোগে প্লেবুক এখন আই প্যাডের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। এই বছর গোটা বিশ্বের বাজারে আত্মপ্রকাশ করে এই প্লেবুক।ব্ল্যাকবেরি প্লেবুক

দেখতে অনেকটাই আইপ্যাডের সেটের মতোই। টাচ স্ক্রিন সুবিধা যুক্ত এই সেটটির পেছনের দিকটি রাবার ফিনিশ. ওয়াই-ফাই সুবিধা যুক্ত সেটে আছে ১৬ জিবি মেমোরি. ব্ল্যাকবেরি প্লেবুকের পুরত্ব আধা ইঞ্চির মতো। ওজন এক পাউন্ডেরও কম। সাত ইঞ্চি ডিসপ্লের প্লেবুকটিতে আছে এক গিগাহার্টজের ডুয়াল কোর প্রসেসর। সেই সঙ্গে নতুন ব্ল্যাকবেরি ট্যাবলেট অপারেটিং সিস্টেম। অন্যান্য সেটের মতো আছে

ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, ভিডিও চ্যাটিং ও ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সুবিধাও. তবে সফটওয়্যার কিছুটা আলাদা রকমের. এতে ব্যবহার করা হয়েছে গুগলের অ্যানড্রয়েড সফটওয়্যার. সংস্থার দাবি এটি ব্যবহার করে আনন্দ পাচ্ছেন ও পাবেনও ক্রেতারা. আরআইএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারত) ফ্রেনি বাওয়া বলেন, ‘বর্ধনশীল ট্যাবলেট কম্পিউটারের বাজারে ব্ল্যাকবেরি প্লেবুক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন

নতুন একটি পণ্য। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এটি যেমন উপযোগী। একইভাবে প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনেও এটি ব্যবহার করা যাবে। মোবাইল ফোন সম্পর্কে এটি গ্রাহকদের ধারণাই বদলে দেবে।’





এইচপি টাচপ্যাড

বিশ্বজুড়ে ট্যাবলেট পিসি নিয়ে প্রযুক্তির অঙ্গনজুড়ে যত আলোচনা চলছে তাতে নতুন মাত্রা এনেছে এইচপি।মাত্র ০.৭ কিলোগ্রাম ওজনের এইচপির টাচপ্যাডে রয়েছে ৯.৭ ইঞ্চি মাপের পূর্ণ স্পর্শকাতর স্ক্রিন এবং এতে ব্যবহার করা হয়েছে কুয়ালকম প্রসেসর, যা টাচপ্যাডে কাজ করার গতি অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। 'টাচপ্যাড' নামের এই ট্যাবলেট কম্পিউটারে রয়েছে ১৬ ও ৩২ গিগাবাইটের মেমোরি, ১.২

গিগাহার্জ প্রসেসর, ১৮ বিট রঙিন মাল্টিটাচ স্ক্রিন, ১ গিগাবাইট র্যা়ম, ওয়াইফাই, জিপিএস, ১.২ গিগহার্জের ডুয়েলকোর প্রসেসর, এঙ্েেলামিটার জাইরোস্কোপ, কস্পাস, ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক এবং চার্জার। ২.০ হাইস্পিড মাইক্রোইউএসবি কানেকটর। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে ওয়েবওএস।এইচপি টাচপ্যাডই প্রথম ট্যাবলেট কম্পিউটার যেটিতে ওয়েবওএস সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় পাঁচ বছর আগে এইচপি সর্বপ্রথম তাদের 'পাম' স্মার্টফোনে ওয়েবওএস সফটওয়্যার প্লাটফর্ম ব্যবহার করেছিল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.