নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সহজ ভাবে বুঝতে ও বোঝাতে চাই

আমি হিটলার বলছি

আমি হিটলার বলছি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাজহাব কি ? এত মাজহাব মাজহাব কেন ? আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) কোন মাজহাবের ছিলেন ? এই প্রশ্ন গুলো যাদের মনে রয়েছে তাদের জন্য কিছু কথা ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

বর্তমান সময় দেখলাম ব্লগে এবং বেশ কিছু ফেসবুক পেজ মাজহাব সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে । এদের বেশির ভাগই হল আহালে হাদিস এবং শিয়া । এরা যেমন নিজেদের ভুল পথে পরিচালিত করেছে তেমনি এরা আমাদের যাদের শরিয়াহ্‌ জ্ঞান কম আছে তাদেরকে ও বিভ্রান্ত করছে । সুতরাং এদের কথায় আমরা কান দিব না ।



আমাদের যদি কোন বিষয়ে ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা আমাদের নিকটস্থ সুন্নাতের অনুসারী ভালো কোন আলেমের কাছে যাব ।



এখন হয়ত অনেকে বলতে পারেন এত মাজহাব মাজহাব কেন ? আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) কোন মাজহাবের ছিলেন ? সাহাবারা কোন মাজহাবের ছিলেন ?



তাদের বলি মাজহাব কোন শরিয়াহ্‌ দলিল নয় , মাজহাব হোল শরিয়াহ্‌ দলিল গুলোর ব্যাখ্যা ।



আমি আমার মত বলতে পারি --- আমার আল-কোরআন বা হাদিস সমুহকে বিস্তারিত ভাবে জানার সুযোগ হয় নাই । আল-কোরআন সীমাহীন জ্ঞানে পরিপূর্ণ , কিন্তু এই জ্ঞান অর্জন করতে গেলে আমাকে এর উপযুক্ত হতে হবে । অন্যদিকে লক্ষ্য লক্ষ্য হাদিস রয়েছে , আমার জীবনে রসুল (সঃ) এর সুন্নত প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আমাকে সেই সব হাদিস জানতে হবে , তার মর্মার্থ বুঝতে হবে , তার আগে আমাকে এই জ্ঞান আহরণের উপযুক্ত হতে হবে । এর পর বাস্তব জীবনে প্রয়োগ । ইত্যাদি ইত্যাদি । আমি নিজে যদি ইসলাম সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত নিতে যাই তাহলে আমাকে উপরিউক্ত প্রকৃয়ার মধ্য দিয়ে এগোতে হবে । তা না হলে গোমরাহ্‌ হওয়ার সম্ভবনা ১০০% ।



এখন আমার বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী আমারপক্ষে কোন ভাবে এত এত গবেষণা করা সম্ভব না । কিন্তু আমাকে তো অবশ্যই সহি ইসলাম অনুযায়ী চলতে হবে । তাহলে এখন উপায় ?



উপায় একটাই !!! এই বিষয়ে যে বা যারা গবেষণা করেছেন তার কাছ থেকে জেনে নেওয়া ।



কে বা কারা এগুলো নিয়ে গবেষণা করেছেন ?



ইনাদের মধ্যে সব থেকে গ্রহণযোগ্য হলেন -----

১। ইমাম আজম আবু হানিফা (রঃ) ;

২। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রঃ) ;

৩। ইমাম শাফেয়ী (রঃ) ;

৪। ইমাম মালেক ইবন আনাস (রঃ) ।



এখন আপনি ইনাদের যে কোন একজনের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন সহি ইসলাম মানার জন্য আপনাকে কি ভাবে চলতে হবে । আপনার এখানে যার মতামত ভালো লাগবে তিনার মতামত গ্রহন করতে পারেন । কিন্তু এখানে যার মতামত আপনি গ্রহন করবেন সব ক্ষেত্রেই তার বক্তব্য গ্রহন করতে হবে । কারন আপনি নিজে গবেষণা করেন নাই , অন্য একজন অভিজ্ঞ আলেমের গবেষণার ফল গ্রহন করছেন মাত্র সুতরাং এখানে নিজের মতামত প্রয়োগের কোন সুযোগ নেই ।



এই পোস্টটি আমার মত সাধারন মুসলমানদের জন্য যারা সহি ইসলাম অনুযায়ী চলতে চান । এখন কারো যদি মনে হয় যে তিনি ইনাদের থেকে বেশি জ্ঞানী হতে পারবেন বা কমপক্ষে ইনাদের মত হতে পারবেন তাহলে এই পোস্ট তিনার জন্য নয় । তাকে বলি আপনি চেষ্টা চালিয়ে যান , শুভকামনা রইল ।



পরিশেষে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন মাজহাব ইসলামকে বিভিন্ন ধারায় ভাগ করেনি । কারন মাজহাব কোন নতুন ধর্ম,মতবাদ বা কোরআন সুন্নাহ বহির্ভূত ব্যক্তি বিশেষের নিজস্ব মতের নাম নয়, বরং মাজহাব হল কোরআন, সুন্নাহ,ইজমা ও কেয়াসের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধর্মীয় সমস্যার প্রদত্ত সমাধান যা এবিষয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ প্রদান করেছেন। মাজহাব হল , কোরআন -সুন্নাহর তে অঅস্পষ্ট আয়াতও হাদীস গুলোর ব্যাখ্যা মাত্র । কোন ইমাম ই রাসুলের কথার বাহিরে এক কদম ও দেননি । যেহেতু চার মাজহাবই ইসলামের মুল ৪ টি ভিত্তি তথা কোরআন ,সুন্নাহ, ইজমা, ও কিয়াসের আলোকে প্রণীত । অতএব মাজহাব মানার মানেই হল রাসুলের পথ মেনে চলা ।



মাজহাব সম্পর্কে আরও পরিষ্কারভাবে জানতে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন ।



Click This Link



মাজহাব গুলোর মধ্যকার সম্পর্ক জানতে youtube এ গিয়ে নিচের বয়ানটি শুনে আসতে পারেন ।



Allama Nurul Islam Olipuri - Importance of following a Mazhab Part 02 ----------- https://www.youtube.com/watch?v=7PFQscEcxYQ

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

মদন বলেছেন: ঠিক তাই।
মাজহাব হলো ধর্মের ব্যাখ্যা। কাজেই যার যে ব্যাখ্যা ভালো লাগে সেটি গ্রহন করবে তার বিবেক মতো। মাজহাব মানা ফরজ/ মাজহাব মানা জরুরী/ মাজহাব মানতেই হবে এইসব আজগুবি কথা না বলাই ভালো।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

মদন বলেছেন: আর অনেকেতো মাজহাবকে একেবারে ধর্মের মতো মনে করে। ধর্মের ভেতরে অনুধর্মের মতো।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

মদন বলেছেন: আর মাজহাবের মতামত গ্রহনের ক্ষেত্রে যে সীমা রেখা আপনি বললেন, যেমন যে মাজহাব মানবেন তিনি একটিই মানবেন মানে যিনি আবু হানিফার বক্তব্য/ব্যাখ্যা গ্রহন করবেন তিনি শুধু মাত্র তারই মাজহাব মানতে হবে।
কিন্তু কেনো? যেখানে আমি যদি আমার বিবেক দিয়ে বুঝতে পারি এই মাজহাব অপেক্ষা ঐ মাজহাবের ব্যাখ্যাটি আমার মনের মতো লাগছে এবং যেহেতু কোনো ইমামই কোরআন-সুন্নাহর বাইরে মতামত দেননি কাজেই যে মাজহাব ই আমি মানি না কেনো অথবা যে মাজহাবের যে অংশই আমি মানি না কেনো তা কোরআন-সুন্নাহই। তাহলে সমস্যা কোথায়?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

আমি হিটলার বলছি বলেছেন: যে মাজহাব ই আমি মানি না কেনো অথবা যে মাজহাবের যে অংশই আমি মানি না কেনো তা কোরআন-সুন্নাহই। --------

আপনার শরিয়াহ্‌ জ্ঞান যদি ঐ পর্যায়ে গিয়ে থাকে যে আপনি এই সকল মুস্তাহিদ ইমামগনের সিদ্ধান্ত থেকে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন , তাহলে আমার কিছু বলার নেই । যাই হোক আপনার কিছু ভুল ধারনা আছে বলে আমার মনে হয়েছে । আপনি youtube এ গিয়ে নিচের বয়ান দুটি শুনে আসতে পারেন । তাহলে আপনার সব উত্তর পেয়ে যাবেন , ইনশাআল্লাহ্‌ ।

Allama Nurul Islam Olipuri - Importance of following a Mazhab Part 01 ---------- http://www.youtube.com/watch?v=OxSuyaVzrVw

Allama Nurul Islam Olipuri - Importance of following a Mazhab Part 02 ----------- https://www.youtube.com/watch?v=7PFQscEcxYQ

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রাসুল সঃ কোন মাজহাবের নন। তিনি নিজেই তো রসুল। ইসলামের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে সংস্কার সেটা থেকে মাযহাবের উৎপত্তি। একসময় নামাযের মধ্যে রসুল সঃ ছালামের জবাব নিতেন।পরে তা বাদ হয়ে যায়।তদ্রুপ নামাযে হাত বাধার সময় ওর ভিতর দিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা পুতুল নাড়ী ভূড়ি এসব ঢুকিয়ে দিতেন।মক্কাবিজয়ের পর তেমনটি আর হয়নি। তাই হাত বাধায় এসেছে পরিবর্তন। সাহাবীরা সব সময় নতীজীর ছোহবতে থাকতে পারেন নি।অনেকে প্রথম যুগে ইসলাম গ্রহণ করে আর নবীর সাক্ষাৎ পান নি তারা সেই আগের নিয়মই চালিয়ে গেছেন। শধু মাত্র নামাযের মধ্যে মাযহাব মতে ১২০০মত পার্থক্য পাওয়া যায়। কোনটা কিন্তু ফরয তো নয় ই ওয়াজিব লেভেলেরও নয়। মুস্তাহাব লেভেলের বা সুন্নত। সুন্নত অনেক লেভেলের আছে। দাড়ি রাখা অনেক বড় সুন্নত ।প্রত্যেক নবীর সুন্দর অনেকে দায়ীমি সুন্নত বলেন। আবার যোহরের নামাযের ফরযের পর দুই রাকাত সুন্নতের পর দুই রাকাত নফল সেটিও সুন্নত কিন্তু অনেক ছোট সুন্নত। এই লেভেলের ছোট মোট ব্যাপার নিয়েই হাদীসের উপর ভিত্তি করে মাযহাবের উৎপত্তি। সুতরাং মাযহাব তেমন কোন সমস্যা নয়। হানাফী মাযহাব ইমাম আবু হাানিফা প্রধানত আব্ধুল্লাহ ইবণে মাসুদ রাঃ এর বর্নিত হাদীসকে প্রাধান্য দিয়ে করা। এই সাহাবী শেষ পর্যন্ত নবী সঃ এর সঙ্গে ছিলেন। নবী তার বিশ্বস্ততার ও এলেমের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর হানাফী রঃ ইমামদের মধ্যে সবার সিনিয়র।তিনি সাহাবী নন তাবে তাবেইন হবেন। সুতরাং সাহাবীরা কোন মাযহাব নন। বলা যায় সাহাবীদের মুস্তাহাব বা সমমানের আমলের যে ভিন্নতা সেখান থেকে মাযহাবের উৎপত্তি। এতে আক্বীদা বিষয়ে কোন পার্থক্য নেই। এমন কি ফরয ওয়াজিব নিয়েও নেই। এ ব্যাপারে আমার ব্যাক্তগত উদ্যোগে পড়াশুনা বা তাবলীগের অনেক উচু লেভেলের আলেমদের কাছ থেকে জানা টুকু শেয়ার করলাম। সুন্দর পোস্ট।

ব্লগ ডের শুভেচ্ছা ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

আমি হিটলার বলছি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য । ইমাম আজম আবু হানিফা (রঃ) তাবেঈন ছিলেন এবং বাকি তিন জনই তাবে-তাবেঈন ছিলেন । আপনার লেখাটিতে আমার জন্য নতুন কিছু তথ্য ছিল । এজন্য আবারও ধন্যবাদ । আপনি নিচের বয়ান দুটি শুনলে এ বিষয়ে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন , ইনশাআল্লাহ্‌ । যিনি বয়ান করেছেন তার ভাষায় আঞ্চলিক টান আছে , আসা করি এতে বুঝতে সমস্যা হবে না ।

Allama Nurul Islam Olipuri - Importance of following a Mazhab Part 01 ---------- http://www.youtube.com/watch?v=OxSuyaVzrVw

Allama Nurul Islam Olipuri - Importance of following a Mazhab Part 02 ----------- https://www.youtube.com/watch?v=7PFQscEcxYQ

আপনার জন্য ও ব্লগ ডের শুভেচ্ছা ।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

মদন বলেছেন: আমার জ্ঞান তাদের থেকে বেশি নয় কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি আমি নামাজে আমিন জোরে বলবো নাকি মনে মনে বলবো, তারাবি ৮ রাকাত পড়বো নাকি ২০ রাকাত পড়বো এই সিদ্দান্ত আমিই নেই। কেননা, যে ইমাম বলেছেন তারাবি ৮ রাকাত এবং যে ইমাম বলেছেন তারাবি ২০ রাকাত, দুজনেই ঠিক তাই নয় কি? নাকি একজন ভুল একজন ঠিক?

আবার নামাজে হাত কোথায় বাধবো? বুকে, নাভি বরাবর, নাভির নীচে, নাকি হাত ছেড়ে দিয়ে নামাজ পড়বো? একেকজন ইমাম একেক কথা বলেছেন। কারটা টা ঠিক? সবারটার পক্ষেই যুক্তি আছে, রেফারেন্স আছে। তো আমি যে কোনো একটি মানতে সমস্যা কোথায়?

হয়তো গুছিয়ে বলতে পারিনি। আমার মূল বক্তব্য হচ্ছে। যে কোনো একজন ইমামের কথা ১০০% অনুসরন করতে হবে কেনো যেখানে বাকি ইমামের কথাও কুরআন-সুন্নাহর পরিপন্থী নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.