নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অস্থির মানুষ। বৈপরীত্যকে লালন করি নিজের ভিতরে । সময়ের ধুলোবালি দৃষ্টিকে ঝাপসা করে- তবু চোখ মেলে চেয়ে থাকি নির্বিকার। অন্তরাত্মা চিতকার করে তবু শান্ত ভাবে হেঁটে চলি -যেন অন্যকারো চলা । উচ্চারিত কথামালা-সে ও যেন অন্য কারো বলা।

সেজুতি_শিপু

লেখালেখি করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাথার ভিতর তাগিদ অনুভব করি। কত কী দেখছি চারপাশে, কত কত অনুভব বুদ্বুদের মত জেগে ওঠে, ইচ্ছে করে রেখে দেই শব্দ মালা গেঁথে। কিন্তু শব্দগুলো ফুল হয়ে ফোটে না। কেন কে জানে?

সেজুতি_শিপু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাকতালীয়

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮



আলবেয়ার কাম্যু, সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ফরাসী-আলজেরিয়ান দার্শনিক, সাংবাদিক, লেখক । দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম নোবেল বিজয়ী এই লেখক ১৯৫৭ সালে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। ' দি স্ট্রেঞ্জার্স' , ' দি মিথ অফ সিসিফাস', দি রেবেল', দি প্লেগ' ইত্যাদি তাঁর বিখ্যাত রচনা । তিনি যে কোনরকম নিপীড়ন, নির্যাতন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। বামধারায় বিশ্বাসী থাকলেও সোভিয়েত আধিপত্যবাদের বিরোধী ছিলেন। তাঁর জীবনে কাকতালীয়ভাবে নেমে এসেছিল এক বাস্তবতা যাকে তিনি ভয় পেয়ে এড়াতে চেয়েছেন সমস্তজীবন।

১৯৬০ সালের ৪ জানুয়ারী আলবেয়ার কাম্যু ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন ছুটি কাটিয়ে প্যারিসে ফিরবেন বলে। তাঁর বন্ধু এবং তাঁর প্রকাশকের ভাগ্নে মাইকেল গালমার্ড তার পরিবারের সাথে তার Facel Vega গাড়িতে চেপে ফেরার জন্য অনুরোধ করলেন। বিলাসবহুল বন্ধুর গাড়িতে গল্প-মজায় প্যারিস ফিরতে বন্ধুপত্নী ও কন্যার সাথেই সামনের যাত্রীসিটে চেপে বসেছিলেন কাম্যু। তার পকেটে ছিল ট্রেনের ফিরতি টিকিট । আর ছিল ১৪৪ পৃষ্ঠার তাার হাতেলেখা বহুল আকাঙ্খিত আত্মজৈবনিক উপন্যাসের পান্ডুলিপি। সেখানে তিনি ওৈপনিবেশিক আলজেরিয়ায় কাটানো তাঁর জীবনের প্রথম অংশকে তুলে নিয়ে এসেছিলেন। এই উপন্যাসকে লেখক তার জীবনের সবচে' সুন্দর সৃষ্টি হিসেবে রচনা করতে চেয়েছিলেন।

আলবেয়ার কাম্যুর ছিল ভয়াবহ মোটরগাড়ী ভীতি । মোটরফোবিয়া। তিনি যেখানেই যেতেন ট্রেনে চড়ে যেতেন। পারতপক্ষে গাড়ী চড়তেন না। চালাতেন না।
কাম্যু বলতেন,
' গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাবার চেয়ে নির্বুদ্ধিতার আর কোন কিছু আমার জানা নেই।"
কাম্যু , আলবেয়ার কাম্যু , ১৯৬০ সালের ৪ জানুয়ারী ট্রেনের ফিরতি টিকিট পকেটে নিয়েও বন্ধুর অনুরোধে গাড়িতে প্যারিস ফিরছিলেন। প্যারিসের মাত্র ১০৫ কিলোমিটার অদূরে তার বন্ধু গাড়ীর নিয়ন্ত্রণ হারান। একটি গাছের সংগে ধাক্কা লাগলে আলবেয়ার কাম্যু ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার বন্ধু ৫ দিন পর হাসপাতালে মারা যান। সকলেই মারাত্মক আহত হন। পুলিসের ভাষ্যমতে, গাড়ীর গতি সীমার মধ্যেই ছিল, রাস্তা সরল ও বরফমুক্ত ছিল । তবু দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়ীটি ধ্বংস হয়ে যায় ।
এই দুর্ঘটনা নিয়ে, মৃত্যু নিয়ে রহস্য জট পাকিয়েছে । অনেকেই একে ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন । সে অন্য আলোচনা।
সত্যি এই, আলবেয়ার কাম্যু , মোটরফোবিয়ায় গাড়ী এড়িয়ে চলা সতর্ক কাম্যু, এই গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান।
----------

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ কিছু তথ্য জানলাম।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩১

সেজুতি_শিপু বলেছেন: কৃতার্থ হলাম। ধন্যবাদ।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:২৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার এই চমৎকার লেখাটায় আরো আগেই মন্তব্য না করাটা যে একটা বিরাট ব্যর্থতা শিকার করতেই হচ্ছে । আলবেয়ার কামুর মৃত্যুর কথাটা গাড়ি একসিডেন্টে সেটা জানতাম কিন্তু তার গাড়ি চড়ার ভয় সম্পর্কে জানতাম না । আপনার লেখা পড়তে গিয়ে কামুর ফেমাস বইগুলোর নাম দেখে বিরাট ঝামেলায় পড়লাম । কলেজে থাকতে আমার পছন্দের একটি বই ছিল আলবেয়ার কামুর দ্যা আউটসাইডার । তার আরেকটা বই শুধু আমি পড়েছি সেটা হলো দ্যা প্লেগ । কিন্তু আপনার লেখাতে দ্যা আউটসাইডার-এর নাম না দেখে খুব অবাক হলাম । সেটা নিয়ে খোঁজ করতে করতেই মন্তব্যে দেরি । যা জানলাম সেটা এতো দিন কেন জানতাম না সেটাই ভেবে পাচ্ছি না । তার 'স্ট্রেন্জার্স' যে উপন্যাস্টের কথা আপনি লিখেছেন সেটা অরিজিনালি ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজে লেখা কামুর 'L'Étranger' বইয়ের আমেরিকান ভার্সনের টাইটেল । কিন্তু এই L'Étranger'-এর ইংলিশ ভার্সনের টাইটেলই হলো 'The Outsider' । আপনার লেখাটা না পড়লে হয়তো এই না জানাটা অজানাই থেকে যেত ।

চমৎকার লেখায় ভালোলাগা । অনেক ধন্যবাদ ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৬

সেজুতি_শিপু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও। আমিও জানলাম 'L'Étranger ও The Outsider' সংক্রান্ত তথ্য।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭

কনফুসিয়াস বলেছেন: ব্যথিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন। |-) :||

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২০

সেজুতি_শিপু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.