|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 সেজুতি_শিপু
সেজুতি_শিপু
	লেখালেখি করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাথার ভিতর তাগিদ অনুভব করি। কত কী দেখছি চারপাশে, কত কত অনুভব বুদ্বুদের মত জেগে ওঠে, ইচ্ছে করে রেখে দেই শব্দ মালা গেঁথে। কিন্তু শব্দগুলো ফুল হয়ে ফোটে না। কেন কে জানে?

  শৈশবের বিজ্ঞান বইয়ে খাদ্যশৃঙ্খল পাঠ করেছি । সমাজে সংসারে জটিল খাদ্যশৃঙ্খল দেখে দেখে অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছি ক্রমশ:।
  'মাৎস্য-ন্যায়' নীতির এই ব্যবস্থায় বড়মাছটি ছোটমাছকে গিলে খাবে এটিই নিয়ম জগতে। শক্তিমান খাদক আর শক্তিহীন তার করুণ খাদ্য ।
  পাশাপাশি আরেকটি খাদ্যশৃঙ্খল দেখছি । সেখানের নিয়ম যেন কিছু ভিন্ন! খাদ্য ভিন্ন, খাদক ভিন্ন। হিসেবও এখানে ভিন্ন।
  বাজার অর্থনীতির যুগ এখন । জগৎজুড়ে বিশাল এক বাজার বসেছে ।
  এখানে নতুন নতুন গেজেট আসছে - খাচ্ছি ।
  নতুন ভিডিও গেম আসছে- খাচ্ছি
  নতুন এ্যাপস্ - খাচ্ছি
  নতুন সিনেমা আসছে- খাচ্ছি
  নতুন ফ্যাশন আসছে- খাচ্ছি
  নতুন বিনোদন - খাচ্ছি
  নতুন ড্রাগ - খাচ্ছি
  নতুন পিজ্জা- খাচ্ছি
  নতুন রেস্টুরেন্ট - খাচ্ছি
  রং ফর্সা করার ক্রিম ...খাচ্ছি
  ত্বক টানটান রাখে -খাচ্ছি
  লোভের টোপ-  খাচ্ছি
  কেবল খাচ্ছি, খাচ্ছি আর খাচ্ছি।
  চারিদিকে ক্ষুধার্ত হাঙর । গপাগপ ।
  কিন্তু প্রশ্ন হোলো, কে জিতছে এখানে ? কে শক্তিমান? পুষ্ট হচ্ছেে কে? বড় মাছটি কোনদিকের?  ক্ষুধার্ত হাঙর ?  
  হিসেব যে গুবলেট হয়ে যাচ্ছে!!! 
  হে অতৃপ্ত খাদক, হে হাঙর, হে প্রিয় বন্ধুরা, হেরে  যাচ্ছি আমরা!! আমি, তুমি! এত খাবার পুষ্টিহীনই করছে ক্রমশ: ।
  আসলে আমরাই শিকার হয়ে যাচ্ছি ! বড়শীতে গেঁথে শিকারি সামনে ধরতে পারলেই দিগ্বিদিকশূন্য খেয়ে নিচ্ছি সব ।
  এই শিকারের নিপুন নিশ্ছেদ্র ব্যবস্থা বহু যত্নে নির্মিত হয়েছে এবং  হচ্ছেে । এবং হতেই থাকবে।
  বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ডলারের শিকার !
 
  পণ্য ও বাজারের জটিল এক খাদ্যশৃঙ্খলে আটকে যাচ্ছে সিংহভাগ মানুষ।
  কে জিতছে?  সহজ হিসাব- 
  কে উৎপাদন করছে ?  উৎপাদক কে ?
  অথবা, কে ভোগ করছে?  ভোক্তা কে ?
  
  অতএব, এস, এই খাদ্যশৃঙ্খল পুন:পাঠ করি । 
  কোনদিকে নিজেকে দেখতে চাই - ঠিক করে নিয়ে-মুখ খুলি । ধীরে-সুস্থে, ভেবে চিন্তে, সময় নিয়ে, মাথাটাকে খুলে । আরেকটু জেনে-বুঝে ।
  করুণ খাদ্য হতে কারইবা ভালো লাগে?
 
    ==========================
==============
 ৪ টি
    	৪ টি    	 +০/-০
    	+০/-০  ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:৫৮
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:৫৮
সেজুতি_শিপু বলেছেন: ঠিক বলেছেন , সেই সময়টাকে মাৎস্যন্যায় যুগ বলা হয় । তবে মাৎস্যন্যায়' ধারনাটিকে চানক্য কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে(১.৪.১৩-১৪) ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যখন আইনের শাসন এবং তার প্রয়োগ থাকে না তখন সমাজে এমন একটি অরাজগতাপূর্ণ অবস্থা তৈরী হয় যে সেখানে মৎস সমাজের আইন কার্যকর হয়। আর মৎস সমাজের আইন হচ্ছে, বড় মাছ (যে শক্তিশালী) ছোট মাছকে খেয়ে নেবে। শাঙ্কের মৃত্যুর পর থেকে পাল সাম্রাজ্যের পত্তনের আগপর্যন্ত বাংলায় তেমন একটি সময় এসেছিল।
ধন্যবাদ পাঠের ও মন্তব্যের জন্য।
২|  ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:৩৭
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের চেয়ে বড় খাদক দুনিয়াতে আর নেই।
  ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:৫৮
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:৫৮
সেজুতি_শিপু বলেছেন: ঠিক।ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:১০
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:১০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মাৎস্যন্যায় এই শব্দটির অর্থ "বড় মাছ যেমন ছোট মাছ কে খেয়ে ফেলে সেরকম"।
সমাজটাও যখন এমন বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে, শক্তিধর ব্যক্তি
যখন দুর্বলকে গ্রাস করতে থাকে- সেই অবস্থা বোঝাতে এটা বলা হয়।
বাংলার প্রথম বাঙালি শাসক রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলার
ইতিহাসে এক দুর্যোগপূর্ণ অন্ধকার যুগের সূচনা হয়,
যা মাৎস্যন্যায় যুগ বলে পরিচিত।
আমি আজকের অবস্থা জানিনা।