নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অস্থির মানুষ। বৈপরীত্যকে লালন করি নিজের ভিতরে । সময়ের ধুলোবালি দৃষ্টিকে ঝাপসা করে- তবু চোখ মেলে চেয়ে থাকি নির্বিকার। অন্তরাত্মা চিতকার করে তবু শান্ত ভাবে হেঁটে চলি -যেন অন্যকারো চলা । উচ্চারিত কথামালা-সে ও যেন অন্য কারো বলা।

সেজুতি_শিপু

লেখালেখি করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাথার ভিতর তাগিদ অনুভব করি। কত কী দেখছি চারপাশে, কত কত অনুভব বুদ্বুদের মত জেগে ওঠে, ইচ্ছে করে রেখে দেই শব্দ মালা গেঁথে। কিন্তু শব্দগুলো ফুল হয়ে ফোটে না। কেন কে জানে?

সেজুতি_শিপু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মহনন

০১ লা মে, ২০২২ বিকাল ৫:২৪


বিপ্র কুমার বিপ্রতীপ আয়নায়
আত্মশক্তির সন্ধান পায়না বলে-
শ্বাপদ অরণ্যে ঘুরে মরছিল ভীত সন্ত্রস্ত ।
সেখানে কোন ময়ুর নৃত্য তার চোখে পড়েনি,
গড়িয়ে চলা ভয়াল অজগরের শরীরে নিপুন নক্সা
তার চোখে পড়েনি, অন্ধকার জঙ্গলে সবাইকে ছাড়িয়ে
আলোর তৃষ্ণায় ক্রমশ: বর্ধিত বৃক্ষের অক্লান্ত যুদ্ধ
কখনও তাকে আপ্লুত করেনি।

মাংশাসি ব্যাঘ্রের প্রতিবেশি
কোমল বিচিত্রা হরিণ শিশুর মায়াময় চোখ
তাকে পথ বাতলায়নি কোন,
আবার নিজের পথ আবিস্কারের কৌশলও
তাকে কেউ শিখিয়ে দেয়নি ,
কিংবা দিয়েছিল - সেসব কিছুটা ঝঞ্ঝাটময়
এবং কষ্টসাধ্য বলে সে বরং
আকুল অপেক্ষা করেছে -
সহসা হাত ধরে কেউ বলুক,
“পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ?”
অসংগত হলেও যে অপেক্ষার শেষটা
বাড়াবাড়ি রকমের সৌভাগ্যবান ছাড়া
সাধারন কেউ দেখতে পায়নি কখনও,
পায়না কোনকালে।

বিপ্র কুমার অবহেলার লু ঝড়ের প্রতিরোধক
শক্ত দেয়াল গড়তে পারেনি -
ফলে,অভিমানের চোরা স্রোতে ভেসে গেছে উত্তাল-
অথচ তার জানা ছিল না, বিরুদ্ধ বাতাসেও
উড়িয়ে দেওয়া যায় ঘুড়ি।
আত্ম শব্দের পিঠে সম্মানের পাখা
গেঁথে নেবার সূত্রটাও
আবিষ্কার করে নিতে হয় নিজেকেই।
ফলে, বিপ্র কুমার ভয়াল আত্মহন্তারক হবার
সিদ্ধান্ত নেবার পরেও-
মানুষের কাছে আগুনের ছেঁকা কিংবা
কাটা ছেঁড়ার কষ্টহীন
সৎকার প্রার্থনা রেখে যায়।

বড় বেশী পরমুখাপেক্ষি তার আকাঙ্খাসমূহ!
বিপ্র কুমার আসলে নিজের পায়ে
কখনও দাঁড়াতেই শেখেনি,
জাগতিক অমোঘ সত্যকে জানেনি,
কোথাও কারো কিচ্ছুটি এসে যাবে না-
বিশ্বজগতের কোথাও তার প্রস্থানে শোক জানিয়ে
মুহূর্তিক নীরবতা পালন হবে না,
এমনকি জন্মদাত্রীর শূন্য জঠরেও
শরীরবৃত্ত খেলা করবে জাগতিক নিয়মেই।
অভিমান শব্দটির বাস্তবিক কোন অর্থ নেই,
থুতনির ভাঁজে জমে ওঠা অভিমানি রেখা
সনাক্ত করার যন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা মনুষ্য সমাজ
কখনও অনুভব করেনি।

হায় করুণ বিপ্র কুমার!
কত অজস্র ভয়াল লড়াই শেষে
মানুষ দাঁড়িয়েছে মানুষ পরিচয়ে
অমিত শক্তির প্রতিমূর্তি হয়ে।
জীবন অলৌকিক আলোকময় এক উপহার
যাকে হাতে পেয়ে কতজন
অমর হবার সাধনা করেছে-
কীভাবে তাকে ছুঁড়ে ফেল হঠকারী অবহেলায়
দ্বিতীয়বার ফিরে পাবার আর কোন সুযোগ নেই জেনেও?
——-।।।——-

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩

অক্পটে বলেছেন: চমৎকার! মেসেজটি আসলে সার্বজনীন এবং গুরুতর। মানুষ পথ হারায় খুব বেশি প্রয়োজনে নয় অভিমানেই বেশি। আর অভিমানের কিচ্ছুটি মূল্য নেই এখানে। গেঁথেছেন বড় সুন্দর করে।
ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকে।

০১ লা মে, ২০২২ রাত ১০:৪৯

সেজুতি_শিপু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আসলে এধরনের খবরগুলো খুব নাড়া দেয়। আপনার ভালো লাগলো জেনে কৃতার্থ হলাম।
ঈদের শুভেচ্ছা ।

২| ০১ লা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

এম ডি মুসা বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা

০১ লা মে, ২০২২ রাত ১০:৫০

সেজুতি_শিপু বলেছেন: ধন্যবাদ। ঈদের শুভেচ্ছা ।

৩| ০১ লা মে, ২০২২ রাত ১০:২৩

বিজন রয় বলেছেন: শেষটায় বসে এমন গভীর ভাবনায় জড়িয়ে গেলাম।
অনেক কিছু মনে এলো, বললাম না।

শুধু বলি, অনেক ভাল হয়েছে, অনেক।

০১ লা মে, ২০২২ রাত ১০:৫১

সেজুতি_শিপু বলেছেন: কতদিন পর আপনার মন্তব্য পেলাম । কেমন আছেন? অনেক ধন্যবাদ ও ঈদের শুভেচ্ছা ।

৪| ০১ লা মে, ২০২২ রাত ১০:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: ভাল আছি। আশাকরি আপনিও ভাল আছে।
আসলে ব্লগে খুব একটা আসা হয় না যে!

আশা আছে ব্লগে কিছুটা সময় দেওয়ার, দেখা যাক কি হয়।

আপনাকেও ঈদ মোবারক।
শুভকামনা সবসময়ের।

০১ লা মে, ২০২২ রাত ১১:০৫

সেজুতি_শিপু বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.