নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অস্থির মানুষ। বৈপরীত্যকে লালন করি নিজের ভিতরে । সময়ের ধুলোবালি দৃষ্টিকে ঝাপসা করে- তবু চোখ মেলে চেয়ে থাকি নির্বিকার। অন্তরাত্মা চিতকার করে তবু শান্ত ভাবে হেঁটে চলি -যেন অন্যকারো চলা । উচ্চারিত কথামালা-সে ও যেন অন্য কারো বলা।

সেজুতি_শিপু

লেখালেখি করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাথার ভিতর তাগিদ অনুভব করি। কত কী দেখছি চারপাশে, কত কত অনুভব বুদ্বুদের মত জেগে ওঠে, ইচ্ছে করে রেখে দেই শব্দ মালা গেঁথে। কিন্তু শব্দগুলো ফুল হয়ে ফোটে না। কেন কে জানে?

সেজুতি_শিপু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষ্ময় পুরের পথে

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৩৬



আমার যাত্রা ছিল বিষ্ময়লোকের মহাসড়ক ধরে -
এপাশে ওপাশে, পায়ের তলে, করতল ও
উদ্ধত আকাশের বুকে যাকিছু ছিল
বিষ্ময়াভূত চোখে কেবল গিলেছি!
আর কত কি যে ছিল সেখানে ,
এই ধর, বীজতলার স্বচ্ছ ডগায় হীরের বিন্দুটি
থেকে শুরু করে জ‍্যোৎস্না প্লাবনে নৃত‍্যরত সাপ,
শৈলদহের ঢেউ থেকে শুরু করে রেলগাড়ির ঝিক ঝিক,
বৃষ্টি প্লাবনে বুদবুদ থেকে উচ্চতম বৃক্ষটি, নীল মাছরাঙ্গা ,
বাতাসের গান, নানান তন্ত্র , দৈত‍্য, দেবতা কিংবা দস‍্যু,
ফলে বিষ্ময়াবর্তে কেটেছিল আমার শৈশব, কৈশোর
তারুন‍্য এবং আরও বহুকাল।

তারপর একসময়, ঠিক কখন থেকে
সেই মুহূর্তটি সনাক্ত করতে না পারলেও
সনাক্ত করলাম,
আমার বিষ্ময়কর বিষ্মিত হবার ক্ষমতাটুকু
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে!
এরপর আমি চলেছি, ফিরেছি, শুনেছি, জেনেছি
হেসেছি খেলেছি কিন্তু কিছুতেই আর বিষ্ময় ছিল না-
সবই যেন , এ আর এমন কি-ছকবাঁধা,
খোল নলচেসহ জানা, একঘেয়ে।
ক্লান্তিকর সেসব দিনগুলোতেও
বিষ্ময়ের জন‍্যে অপেক্ষারা
জেগে ছিল বেমানান অন্তরালে ! অধরা ।
আজকাল আমি অত‍্যন্ত বিষ্ময়করভাবে দেখছি,
বিষ্মিত হবার সেই অনবদ্য ক্ষমতাটা
ফিরে এসেছে আবার!
এবং তা মূলতঃ কেন্দ্রীভূত হয়েছে মানুষকে ঘিরে!
এখন আমি কেবল মানুষ দেখি, আর
মানুষের দিকে তাকালেই বিষ্মিত হই!

বিষ্ময়ে দেখি, মানুষ জানে, মানুষ সব জানে
সে হয়তো কোনদিন জানার জন‍্যে দু’কদম হাঁটেনি
কিন্তু সে জানে, একটা আকাশকে কীভাবে
ভাঁজ করে রেখে দিতে হয় বুক পকেটে!
স্রোতস্বিনী নদীটাকে কীভাবে বেঁধে রাখতে হয় ঘাটে,
সূর্যাস্তের মায়া আলোটুকু
কীভাবে চেটেপুটে খেয়ে ঢেকুর তুলতে হয় শেষে !
মানুষ জানে! মানুষ সব জানে!
মাটির নীচে কত কিলোমিটারে কত খনিজ রয়েছে
তার উত্তোলন খরচ -বিক্রয়মূল‍্যসহ মুনাফা !
জীবনের অসমাপ্ত সেতুর দুপাশের সংযোগ সড়ক,
নিশ্চিত গন্তব্য সমুদয় অনুসঙ্গসহ জানে!
এবং মানুষ জানে, নিশ্চিত করে জানে,
চরাচরের কোথাও কোন অবিদিত প্রান্তর নেই!
সকল চেনা-জানা -দৃশ্যমান অতীত বর্তমানকে
বিষ্ময়কর যাদুর চাদরে ঢেকে দিয়ে-
যা খুশী দেখার, দেখানোর, বোঝানোর, ভাবার,
বলার, করার এক তাজ্জব ক্ষমতা মানুষের আছে!
মানুষ এও জানে যে, কেবলমাত্র সে এবং তার গুটিকয়েক
সংগী সাথী ছাড়া বাকী এক পৃথিবী মানুষ
হেঁটে চলেছে অনন্ত ভ্রান্তিময় ভয়াল অরন‍্যের দিকে।
ধন্যবাদ, হে মহান মানুষ!
ধন্যবাদ, আমাকে আমার একরত্তি সম্পদ
ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যে ।
আমি বিষ্মিত, পরম, চরম বিষ্মিত !
————।।———-

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:০৪

আইজ্যাক আসিমভ্‌ বলেছেন: অসাধারণ। ডাইরেক্ট বুকে হিট করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.