![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাথার ভিতর তাগিদ অনুভব করি। কত কী দেখছি চারপাশে, কত কত অনুভব বুদ্বুদের মত জেগে ওঠে, ইচ্ছে করে রেখে দেই শব্দ মালা গেঁথে। কিন্তু শব্দগুলো ফুল হয়ে ফোটে না। কেন কে জানে?
আমার যাত্রা ছিল বিষ্ময়লোকের মহাসড়ক ধরে -
এপাশে ওপাশে, পায়ের তলে, করতল ও
উদ্ধত আকাশের বুকে যাকিছু ছিল
বিষ্ময়াভূত চোখে কেবল গিলেছি!
আর কত কি যে ছিল সেখানে ,
এই ধর, বীজতলার স্বচ্ছ ডগায় হীরের বিন্দুটি
থেকে শুরু করে জ্যোৎস্না প্লাবনে নৃত্যরত সাপ,
শৈলদহের ঢেউ থেকে শুরু করে রেলগাড়ির ঝিক ঝিক,
বৃষ্টিপ্রবাহে বুদবুদ থেকে উচ্চতম বৃক্ষটি, নীল মাছরাঙ্গা ,
বাতাসের গান, নানান তন্ত্র , দৈত্য, দেবতা কিংবা দস্যু,
ফলে বিষ্ময়াবর্তে কেটেছিল আমার শৈশব, কৈশোর
তারুন্য এবং আরও বহুকাল।
তারপর কখন যেন, সঠিক মুহূর্তটি
সনাক্ত করতে না পারলেও -সনাক্ত করলাম,
আমাকে পুষ্টিদানকারী বিষ্মিত হবার ক্ষমতাটুকু
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে!
আমি চলেছি, ফিরেছি, শুনেছি, জেনেছি,
হেসেছি, খেলেছি কিন্তু কিছুতেই আর বিষ্ময় ছিল না-
সবই যেন, এ-আর-এমন-কি ছকবাঁধা,
খোল নলচেসহ অনুমেয়, একঘেয়ে গুজরান।
ক্লান্তিকর সেসব দিনগুলোতে প্রতিপদে
বিষ্ময়ের জন্যে আকাঙ্ক্ষারা জেগে ছিল বুভুক্ষু,
হয়তো বেমানান,অসংগত,অন্তরালে ! অধরা ।
আজকাল হঠাৎই আমি বিষ্ময়করভাবে দেখছি,
বিষ্মিত হবার সেই অনবদ্য ক্ষমতাটা ফিরে এসেছে আবার!
আদ্যপান্ত এবং তা মূলতঃ কেন্দ্রীভূত হয়েছে
পরাক্রমশালী মানুষকে ঘিরে!
এখন আমি কেবল মানুষ দেখি,
মানুষ জানে, মানুষ সব জানে!
সে হয়তো কোনদিন জানার জন্যে
দু’কদম সমতল বা বন্ধুর পথে হাঁটেনি,
কিন্তু সে অবিশ্বাস্য রকমের সবজান্তা!
একটা আকাশকে খন্ড বিখন্ড করে কীভাবে
ভাঁজ করে রেখে দিতে হয় বুক পকেটে,
স্রোতস্বিনী নদীটাকে কীভাবে বেঁধে রাখতে হয় ঘাটে,
চন্দ্রালোকের মায়াটুকু কীভাবে চেটেপুটে খেয়ে
ঢেকুর তুলতে হয় শেষে -
মানুষ জানে, মানুষ সব জানে!
সূর্যের আলো কিংবা বৃষ্টিধারায় কার কতটুকু অধিকার,
মাটির নীচে কত কিলোমিটারে কত খনিজ রয়েছে
তার উত্তোলন খরচ -বিক্রয়মূল্যসহ মুনাফা !
জীবনের অসমাপ্ত সেতুর দুপাশের সংযোগ সড়ক,
শেষ প্রান্তে অপেক্ষমান গন্তব্যকেও
সমুদয় অনুসঙ্গসহ মানুষ জানে
এবং চরাচরের কোথাও তার কোন অবিদিত প্রান্তর নেই!
সকল লিপিবদ্ধ- চর্চিত- চেনা -জানা -দৃশ্যমান
অতীত বর্তমানকে বিষ্ময়কর যাদুর চাদরে ঢেকে দিয়ে-
যা খুশী দেখার-দেখানোর, বোঝার- বোঝানোর,
ভাবার-ভাবানোর, বলার-করার
এক তাজ্জব ক্ষমতা মানুষের আছে !
সে নিশ্চিত জেনেছে যে, কেবলমাত্র সে
এবং তার গুটিকয়েক সংগী সাথী ছাড়া
বাকী এক পৃথিবী মানুষ হেঁটে চলেছে
অনন্ত ভ্রান্তিময় ভয়াল অরন্যের দিকে,
আর তাদেরকে সুপথে ফিরিয়ে আনার
মহান দায়িত্বটুকুও তাঁরই উপর বর্তায়।
ধন্যবাদ, হে মহান মানুষ!
ধন্যবাদ, আমাকে আমার একরত্তি সম্পদ
ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যে ।
আমি বিষ্মিত,পরম, চরম বিষ্মিত !
————।।।————
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১৩
সেজুতি_শিপু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ-এত বড় একটা হাবিজাবি লেখা ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য।কৃতার্থ হলাম। শুভকামনা রইলো।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১৫
সেজুতি_শিপু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। কবিতা টি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি ও অনুপ্রাণিত হলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:০৪
আইজ্যাক আসিমভ্ বলেছেন: অসাধারণ। ডাইরেক্ট বুকে হিট করেছে।