নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কালপুরাণ

জন্ম থেকেই জ্বলছি

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি পদার্থে। সৃজনশীল সাহিত্যে আমার আগ্রহ। নিয়মিত কবিতা চর্চা করি প্রায় ১০ বছর হল। ব্লগে নিয়মিত হয়ে মূলধারার সাহিত্যিক, লেখক, সমালোচক দের সাথে যুক্ত হতে চাই।

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

একুশের বইমেলায় বিদেশি লেখকদের বই প্রবেশ করতে না দেয়া একটি অসাধারণ উদ্যোগ

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

বইমেলাতে বিদেশি লেখকদের লেখা বাংলা বই নিষিদ্ধ করা একটি অসাধারণ উদ্যোগ বলে আমার মনে হয়েছে। তার পূর্বে এই স্ট্যাটাস দেবার পিছনে যে কারণ তা বলে নেই। ফেসবুকে এবং ব্লগে এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন অনেকে। আমি তাদের সুনির্দিষ্ট করতে চাইনা তবে আমার মনে হয়েছে এর বিরোধিতাকারীরা ফেসবুকে শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্যই এসেছেন অথবা এটাই তাদের পেশা। সে যাই হোক যাদের আমি এইসব স্ট্যাটাস দিতে দেখলাম তাদের প্রায় প্রত্যেকেই দিনরাত দেশ, দেশের সার্বভৌমত্ব, সাম্প্রদায়িকতা এই সমস্ত গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে জাতিকে জ্ঞান দেয়। সেটা ভালো। খারাপ না। এখন কথা হচ্ছে যারা ফেসবুকের মতো পাবলিক প্লেসে এতো জ্ঞান বিতরণ করে যাচ্ছেন তাদের কয়জন সেসব বুঝেন বা ভালো জানেন নাকি হুজুগের বান্দা? একুশের বইমেলা একটি অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম। এখানে নতুন লেখকদের উঠে আসার দারুণ সুযোগ থাকে। পরিচিত আর সেলিব্রেটি লেখক তো আছেই। এখন কথা হচ্ছে বিদেশি তথা কোলকাতার লেখকদের বই এখানে আসলে ক্ষতিটা কি? ক্ষতি হচ্ছে ওদের মধ্যে লেখার প্রবণতা বেশি। সেজন্য দ্যাখা যায় আমাদের দেশের বইমেলায় ওদের লেখকদের প্রচুর বই আসে এবং ভালো বিক্রি হয়। এমন এক সময় ছিল যখন এদেশের লেখকদের বইই চলতোনা। হুমায়ুন আহমেদের অনেকটা একক অবদানে সেই অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। তারপরেও এখনো মেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বই কোলকাতার লেখকদের। তাতে কি হয়, প্রতিযোগিতা অনেক বেড়ে যায়, পাঠক এতো হাজার হাজার বই থেকে যেসব বই চেনে সেগুলোর দিকেই বেশি নজর দেয়। আর ৭০ এর আগে বাংলা সাহিত্যে এপার বাংলার অবদান খুব সীমিত। তাই রবীন্দ্র, শরত এমনকি অধুনা সুনীল, সমরেশ, সিরসেন্দু ধুমসে বিক্রি হয়। অথচ নতুন বাংলাদেশী লেখকদের মৌলিক বই চোখেই পড়েনা। গত বইমেলায় আমার এক প্রতিবেশীর ৫০০ কপি বইয়ের ১ কপিও বিক্রি হয়নি। প্রথম বই তার, ভদ্রলোক এতোই দুঃখ পেয়েছেন যে লেখা ছেড়েই দিয়েছেন। তো এমন ঘটনা ঘটছে। বইমেলার যে উদ্দেশ্য আমাদের দেশের লেখকদের , বিশেষ করে নবীন লেখকদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা সেটা আজ অবধি করা যায়নি তার মূল কারণ বিদেশি বই। আমি একথা বলছি না আমাদের দেশের লেখকদের লেখা মানসম্পন্ন নয়, তবে কোলকাতার বই না আসলে আমাদের লেখকরা যারা সারা বছর বা কয়েক বছর পরিশ্রম করে একটা বই সম্পূর্ণ করেন পাঠকদের নজর কিছুটা হলেও তাদের দিকে ফিরবে। প্রকাশকরা বিদেশি বস্তাপচা পুরান বই বেঁচে দুটাকা কামাতে চায়, নতুন লেখকদের লেখা পড়েই দেখেন না (হুমায়ুন আহমেদ নিজে এই ঘটনার স্বীকার। তাঁর লেখা কি মানসম্পন্ন ছিলোনা?) এখন তারা এসব লেখা পড়তে ও ছাপাতে বাধ্য হবে। তাহলে আমাদের ফেসবুকের কবি, ব্লগের হাজার হাজার হিট খাওয়া ব্লগাররা বই লিখতে পারবেন। আমাদের সাহিত্যের কিছু উপকার হবে। আর হ্যাঁ। আপনার যেকোনো লেখা পড়ার অধিকার আছে। সুনীলের বই পড়বেন, যান নীলক্ষেত। অহরহ পাবেন। পাবেন না এমন তো নয়। শুধুমাত্র একুশের বইমেলায় বাংলাদেশের লেখকদের একটু প্রিভিলেজ দেয়া সেটা কোন অন্যায় নয়। সেটা একটি প্রগতিশীল সিদ্ধান্ত।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জাতীয় করন নীতি

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: সেটাই তো উচিৎ। লোকে সরকারকে ভারতের তাবেদার বলে। অন্তত এই ক্ষেত্রে আমরা আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রমাণ রাখলাম।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৭

wrongbaaz বলেছেন: একুশে বইমেলায় বিদেশি লেখকের বই নিষিদ্ধ করার দাবি জানাই, বিদেশি গল্পের দেশিয় অনুবাদ চর্চা করা যেতে পারে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৪

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: সেটা বলবত আছে

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫০

অ আ ই ঈ বলেছেন: এটা সাময়িকভাবে করে দেখা যেতে পারে...

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১২

পুংটা বলেছেন: কবিগুরুর লেখা নিয়ে আবার ক্যাচাল হবে নাতো..? :#>

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪০

রেজোওয়ানা বলেছেন: বাংলা একাডেমীর লোকেদের কারণেই এই বিতর্কের সৃষ্টি, এরা বিষয়টা ঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে পারেনি।

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

টাইটান ১ বলেছেন: আমাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ন্যাশনালিস্ট হবার প্রয়োজন আছে।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫০

মাথাল বলেছেন: Click This Link


এই নীতিমালাকে অবশ্যই স্বাগত জানাই। খুব ভালো উদ্যোগ, বিশেষ করে আমাদের দেশের লেখক/লেখিকাদের কথা চিন্তা করলে।
কিন্তু এই নীতিমালার একটা সংশোধনী খুবই প্রয়োজন। হয় রবি ঠাকুরকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হোক, অথবা তার বই মেলায় বিক্রি করার বিশেষ অনুমতি দেয়া হোক। তাহলে মনে হয় সবার কাছে সিচুয়েশনটা উইন উইন হবে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০১

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: ভাই আপনি কি পাগল? রবীন্দ্রনাথ ভারতের জাতীয় কবি। তারে আপনি বাংলাদেশের নাগরিক বানাবেন সেইটা কিভাবে? কিচ্ছু বুঝলাম না। রবিন্দ্রনাথের বই পড়ার ইচ্ছা থাকলে নীলক্ষেতে যান। সব বই পাবেন। দেড়শ বছর আগের বই বিক্রির জন্য বইমেলা না।

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: ..........সুনীলের বই পড়বেন, যান নীলক্ষেত। অহরহ পাবেন। পাবেন না এমন তো নয়। শুধুমাত্র একুশের বইমেলায় বাংলাদেশের লেখকদের একটু প্রিভিলেজ দেয়া সেটা কোন অন্যায় নয়। সেটা একটি প্রগতিশীল সিদ্ধান্ত।


সহমত

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১০

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: হুম, এই সহজ কথাটাই কেউ বুঝতে চাইছে না

৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

স্তব্ধতা' বলেছেন: খুবই ভালো এবং সাহসী উদ্যোগ। তরুন প্রকাশকদেরও বাঁচাতে হবে সাথে নতুন লেখকদের একটা প্ল্যাটফর্ম করে দিতে হবে।

১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

ইনকগনিটো বলেছেন: সহমত।

১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

মুহাই বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.