নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কালপুরাণ

জন্ম থেকেই জ্বলছি

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি পদার্থে। সৃজনশীল সাহিত্যে আমার আগ্রহ। নিয়মিত কবিতা চর্চা করি প্রায় ১০ বছর হল। ব্লগে নিয়মিত হয়ে মূলধারার সাহিত্যিক, লেখক, সমালোচক দের সাথে যুক্ত হতে চাই।

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোটগতভাবে নির্বাচনে গেলে বিএনপির চেয়ে আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

এর আগে আমাদের ভোটের রাজনীতির ব্যাপারে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। সেখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আলোকপাত করেছিলাম। এবার আবারো একই বিষয়ে কিছু সম্পূরক তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। বড় দুটি দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে একটি সুস্পষ্ট ভোটের ব্যবধান আছে বলেই আমার সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখতে পেয়েছি। যদিও সরকারে দুই দলই সমান সংখ্যক বার অধিষ্ঠিত হয়েছে। ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রায় ২০০ আসন পায়, আওয়ামীলীগ পায় মাত্র ৬২ টি। কিন্তু ভোটের ব্যবধান কিন্তু খুব কম। বিএনপি ৪১% আর আওয়ামীলীগ ৪০.৫% ভোট দখল করে। তাহলে বিএনপির এই বৃহৎ বিজয় কেন? তার কারণ বিএনপি একটি শক্তিশালী ৪ দলীয় জোট গঠন করেছিলো। আওয়ামীলীগ ছিল একদিকে সরকারী দল, অন্যদিকে তারা একাই নির্বাচন করেছিলো। চারদলীয় জোট ২০০১ এর নির্বাচনে সর্বমোট ৪৭.২% ভোট পায়। অর্থাৎ আওয়ামীলীগের সাথে মোট ভোটের ব্যবধান ছিল প্রায় ৭% এর মতো। জাতীয় পার্টির ২ টি পক্ষ আলাদাভাবে কোন জোটে না গিয়ে নির্বাচন করেছিলো। তাদের মোট ভোট ছিল প্রায় ৮ শতাংশ। যদি আওয়ামীলীগ জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধত তাহলে হয়তো ঠিক এমন হতোনা ভোটের হিসাব তবুও কাছাকাছি থাকতো তা বলাই যায়। ৪৮% এর বেশি ভোট সেবারও পেয়েছিলো এই ২ দল যারা এখন ক্ষমতাসীন মহাজোটের প্রধান ২ দল। যা ছিল বিজয়ী ৪ দলীয় জোটের মোট ভোটের চেয়েও বেশি। তাহলে একটি কথা কিন্তু স্পষ্ট ২০০১ সালে আওয়ামীলীগের পরাজয়ের মূল কারণ তাদের অজনপ্রিয়তা নয়, কৌশলগত ব্যর্থতাই প্রধান কারণ। এর পূর্বে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ বিএনপি কোন জোট ছাড়া অংশগ্রহণ করলে তাদের ভোটের মধ্যে প্রায় ৪% এর মতো একটি ব্যবধান লক্ষ্য করা যায়। এই ব্যাপারটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯১ সালে আওয়ামীলীগ ৮৮ টি এবং বিএনপি ১৪০ আসন পায়। তখনও বিএনপি জামাতের সাথে নির্বাচনী সমঝোতায় যায়। ফলে জামাতের ৫-৬% ভোট বিএনপির সাথে যুক্ত হয়। কিন্তু সেবারও বিএনপির মূল ভোট আওয়ামীলীগের একক ভোটের চেয়েও কয়েক হাজার কম ছিল। আর ৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা বিএনপির চেয়ে সামান্য কম ছিল বলেই ধারণা করা হয়। সে হিসেবে আওয়ামীলীগ ৯১ এর নির্বাচনে ভালো ফল করে। ৯১ এর পরে প্রতি নির্বাচনেই আওয়ামীলীগের ভোট বেড়েছে, বিএনপির ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট অনেক কমেছে, তার পূর্বে বেড়েছে। আওয়ামীলীগ গভীরভাবে বামপন্থীদের ভোট আত্মিকরন করেছে। খালেদা জিয়ার নিকট থেকে শিক্ষা নিয়ে আওয়ামীলীগ যখন জাতীয় পার্টির সাথে জোট গঠন করলো তখন দুদলের পার্থক্য স্পষ্ট হল। বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ একাই ৫০% ভোট পায়, মহাজোটের মোট ভোট ছিল প্রায় ৬০% এর কাছাকাছি। অন্যদিকে জোটগত ভাবে নির্বাচন করার পরেও বিএনপির ৪ দল মাত্র ৩৮% এর চেয়েও কম ভোট পায়। এইযে বিশাল ব্যবধান তা প্রমাণ করে যেকোনো মুহূর্তে বাংলাদেশে আওয়ামীলীগই সর্ববৃহৎ দল। আওয়ামীলীগ জোট ছাড়াও ক্ষমতায় এসে তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে ৯৬ তে। বিএনপি তা কোনোদিন পারেনি। তাই ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি যতোই এগিয়ে থাক জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল পূর্বের মতো সাথে থাকলে আওয়ামীলীগের সম্ভাবনাই উজ্জ্বল। তবে এরশাদ জোটে থাকবেন না বলছেন। একক নির্বাচন করবেন এমন কথা অনেকদিন ধরে বলছেন। কিন্তু এরশাদের একক নির্বাচনে বিজয়ী হবার কোন সম্ভাবনা নেই আর বিএনপির সাথে তারা জোটে যাবে তেমন সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী। তাহলে জনগণ আর তাদের বিশ্বাস করবে না। সে সম্ভাবনা এক প্রকার নেই বললেই চলে। এরশাদের জন্য আওয়ামীলীগের সাথে থাকাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ, মুখে তিনি যাই বলুন না কেন। সে অবস্থায় নিয়মিত সমর্থন খোয়াতে থাকা জামাতের সাথে জোটের রাজনীতি বিএনপি কে ক্ষমতায় নিতে পারবে সেটা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। কারণ আওয়ামীলীগের এতো ব্যর্থতার পরেও বিএনপি ভালো কোন আন্দোলনই করতে পারেনি। খালেদা জিয়ার ২ পুত্র বিদেশে। দল চলছে সাবেক আমলা উপদেষ্টাদের দিয়ে। এমন অবস্থায় শেষ বছরে আওয়ামীলীগ যেভাবে তাদের কাজ তুলে ধরা শুরু করেছে তাতে আগামী নির্বাচনে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: বিএনপি নামে কোনো দলের অস্তিত্ব কয়দিন পর খুজে পাওয়া যাবেনা। বিএনপি এখন জামাতে ইসলামী দলে রুপান্তর হয়ে গেছে। আর জামায়াতে পিছলামী দল বাংলাদেশ থেকেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। থাকলো কি!

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

আহসান২০২০ বলেছেন: আবুল, শেয়ার বাজার, পদ্মা, কম খান, বিদ্যুত/তেলের দাম --- এইসব কি জনগর ভুলে যাবে??? আপনার এই গবেষনাটা করল কে আপনি??? পদার্থের ভর আর ওজনের পার্থক্য বলেন?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: আমি ভোটের পার্থক্যের হিসেবে কে ক্ষমতায় আসতে পারে সে বিষয়ে গবেষণা করেছি। কারণ নির্বাচন তো ভোটের মাধ্যমেই হয়। আমি কারও সম্ভাবনা বাতিল করিনি। বলেছি আওয়ামীলীগের সম্ভাবনা বেশি যদি তারা জোট করে। তা না হলে বিএনপির সম্ভাবনা বেশি কারণ বিএনপি জামাতকে জোটে রাখবেই নিশ্চিত। মহাজোট ৬০% ভোট পেয়েছে। ১৫০ আসন পাবার জন্য ৪৭-৪৮% ভোট পাওয়া যথেষ্ট। ২০০১ সালের পরে বিএনপির সরকার খুবই ব্যর্থ ছিল সেটা সবাই স্বীকার করবে তারপরও ৪ দলীয় জোটের মোট ভোট কমেছে মাত্র ৮.৫% এর মতো। ৬০ থেকে ৮% খুব বেশি হলে ১০% ভোট কমলেও কিন্তু আওয়ামীলীগই এগিয়ে থাকবে। আমি জাস্ট একটা গবেষণা করেছি। কারও সমর্থন না। কে কি করেছে তা আমি বলতে যাইনি কারণ সেটা আমার কাজ না। আপনি আমার হিসেবের উপর তো কোন ভুল ধরতে পারবেন না। আবুল, শেয়ার বাজার এসব বিবেচনা করেই লোকে ভোট দেবে। আমি শুধু কোন দল কেমন ভোট পেতে পারে তারই একটা আইডিয়া দিলাম।

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

নেক্সাস বলেছেন: আজকে হাসতে এই পোষ্টে প্রবেশ করলাম।

মহাজ্ঞানী গবেষকের পোষ্ট পড়ে অবশেষে ব্যাপুক হাসলাম।


১৯৯১ সালে বিএনপি জামাতের সাথে জোট করেছিল (!) হাহাহা। এটা শুনলে গোয়েবলেসও লজ্জা পেতো।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০১

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: নেক্সাস আপনি সম্ভবত না জেনেই লাফাচ্ছেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি জোট নয় বরং নির্বাচনী সমঝোতা করেছিলো। আমি সেকথাই বলেছি। নির্বাচনী সমঝোতা মানে বিএনপি জামাতের জন্য প্রায় ৩০ টির মতো আসন ছেড়ে দিয়েছিলো, তার বিনিময়ে জামাত অন্যান্য আসনে বিএনপির বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী দেয়নি এবং বিএনপির পক্ষে কাজ করেছে। এটার সাথে নির্বাচনী জোটের পার্থক্য খুব কম। পার্থক্য হচ্ছে জোট করলে জোট একসাথে সরকারে বসবে। মানে বিজয়ী হলে সরকারী দলে একসাথে আর পরাজিত হলে বিরোধী দলে একসাথে। আর জোট না করে সমঝোতায় গেলে ২ টি দল একসাথে বসবে কিনা সেটা নির্বাচনের পরে সিদ্ধান্ত নেবে। আর আপনি হয়তো এটাও জানেন না ১৯৯১ সালে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ১৪০ আসন পেয়েছিলো। তাদের প্রয়োজন ছিল ১১ আসন। আর জামাত ১৬ বা ১৭ টি আসন পায়। তখন জামাত বিএনপিকে সমর্থন দেয়ায় বিএনপি সরকার গঠন করতে পারে। ৯৬ তে এই সমঝোতা ভেঙে যায়। আর ২০০১ এ এই সমঝোতা জোরদার করার জন্যই জোট করা হয়।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জবাব নিচে একজন দিয়েছেন।

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

নেক্সাস বলেছেন: খালদা জিয়ার দুই পূত্রকে আদালাতেরমাধ্যমে দলীয় করণ করে বিদেশে রাখা হয়েছে...

ছাত্রলীগের গুন্ডা বাহিনী রেডি...
পুলিশের বন্ধুক নিয়ে তারা বিএনপিকে গুলি করবে...
গোপালী পুলিশের হাতে পিপার স্প্রে...

খুনের আসামী বিচারক... খুন করে লাশের নামে মামলা হবে...বিচারক লাশের কারাদন্ড দিবেন।

বিশ্বজীৎরা রাস্তায় খুন হয়ে যাবে....একের পর এক..
শেয়ার লগ্নীকারিরা ভিক্ষার থালা নিয়ে রাস্তায় জমা হবে...
তানভীরেরা হাজার কৌটি টাকা নিয়ে যাবে জননেত্রীর ভাগ রেখে...
আবুলেরা সেতু খাবে, কালভার্ট খাবে.. নর্দমার নালী খাবে...

গুপ্তবাবুরা টাকার বস্তা নিয়ে দৌঁড়াবে ঢাকার রাস্তায়...
ফেলানীরা লাশ হয়ে ঝুলে থাকবে কাঁটা তারে...
বাজারে আগুন লেগে পুড়ে যাবে গরীবের ক্ষুধা...

আর আওয়ামী বাবুরা বসে বসে জরিপ করবে । আম্লিগ আবার আসছে ক্ষমতায়..... জনগন উপরের কাজগুলো খুব ভালবাসে বলে দলে দলে নৌকায় সীল মারবে।


১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: কে কি করছে সেটা আমি বলিনি। আমি জাস্ট ভোটের হিসেব করেছি। আওয়ামীলীগের পক্ষে বা বিএনপির পক্ষে কিছু বলার প্রশ্নই উঠে না। এটা একটি গবেষণা। আমি বলেছি জোট করলে আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বেশি। কারণ ভোট বেশি।

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

সামদ বলেছেন: প্রতিটা ইলেকশনে নতুন ভোটাররা একটা বড় ফ্যক্টর হিসাবে কাজ করে। যেমন ২০০৮ এ লীগ তরুন ভোটারদের সিংহভাগ ভোট পেয়েছিল বলে ধারনা করা হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অংগীকারের জন্য। এবারের ইলেকশনে কোন কারনটা নতুনদের আন্দোলিত করতে পারে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ন।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: নতুন ভোটারদের মধ্যে এভারেজ আওয়ামীলীগ বিএনপি থাকে। এমন তো নয় যারা বুড়ো তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়না, শুধু নবীনরাই চায়। নবীন ভোটার সংখ্যা ২০০৮ এ বেশি ছিল, কারণ ৭ বছরেরও বেশি সময় পরে নির্বাচন হয়েছিলো। তাই আওয়ামীলীগ নির্বাচনী কৌশল হিসেবে নতুন ভোটার ব্যাপারটা সামনে এনেছিল।

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

মুহাই বলেছেন: জোটগতভাবে নির্বাচনে গেলে বিএনপির চেয়ে আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল>right u r.

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

জ্ঞাতিবৈর বলেছেন: গত নির্বাচনের আগে ৯০, ৯৬, ২০০১ এর নির্বাচনের আসন ভিত্তিক ফলাফল হিসাব করেছিলাম আমি। তখন ২২০ টার মত আসনের মধ্যে ২০৫ টা পাবার মত ছিল মহাজোটের; ফলাফলও সেরকমই হয়েছিল।

এখানে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, দেখা যায় ২০০১ এ বিএনপি অনেক আসনে ১০-১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছে, কিন্তু অই আসনে জাতীয় পার্টির ভোট দেখা যায় ২৫-৩০ হাজার এর মত আছে, সাভাবিক ভাবেই অই আসন মহাজোটের। এটা ২০০১ এ ও যদি জোটবদ্ধ ভাবে হতো, একই রকম ঘটত। এখানে লক্ষ্যনিয় যে, নতুন ভোটাররা বা বিভ্রান্ত ভোটাররা ইউনিফর্মলি ভাগ হয়ে যায় যে কারনে আসন ভিত্তিক পেটার্নগুলো একই রকম হয়। তবে এভারেজে মহাজোটের আসন ২২০-২৩০ এর মত। কিন্তু পৃথক নির্বাচন বা বিদ্রোহীপ্রার্থী ফলাফলে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারে। এছাড়া আরেকটি বিষয় হচ্ছে, গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ কিছু ইস্যু কাজে লাগিয়ে ছিল যে কারনে ব্যাবধান বেড়েছিল।

কিছুদিন আগেও আসন ভিত্তিক ভোট নির্বাচন কমিশনের সাইটে দেয়া ছিলো, এখন নাই। থাকলে আপনার যুক্তিগুলো আরোও ভালভাবে ব্যাখ্যা করতে পারতাম।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। গত নির্বাচনে আমি এতোটা প্রযুক্তির সহায়তা পাইনি। বলেছিলাম বিএনপি ৩০-৪০ আসন পেতে পারে। আর আওয়ামীলীগ ২২০ এর উপর। দ্যাখা গেছে বিএনপি ৩০ এর বেশি পায়নি। তবে এবার সম্ভবত খুব হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। আগের মতো ২ জোট হলে হয়তো ১০-২০ আসনের ব্যবধানে কে ক্ষমতায় যাবে তা নির্ধারিত হবে। ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করে ঢাকার সিট পাওয়া কঠিন। আর ঢাকা সিটিতে ১৫ টা সিট আছে। এটা বিএনপির জন্য প্লাস পয়েন্ট। আবার মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, মিরপুর, বনানি এলাকায় আওয়ামীলীগের অবস্থান খুব ভালো। ক্যান্টনমেন্টে এরশাদ আছেন। অন্যান্য জায়গায় বিএনপি এগিয়ে। আর ঢাকার বাইরে আশেপাশের এলাকায় আওয়ামীলীগ বিএনপি সমানে সমান। উত্তরাঞ্চল ও সিলেটের ভোট ব্যবধান গড়ে দেবে।

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

চারু_চারবাক বলেছেন: নেক্সাস বলেছেন : ১৯৯১ সালে বিএনপি জামাতের সাথে জোট করেছিল (!) হাহাহা। এটা শুনলে গোয়েবলেসও লজ্জা পেতো।

এমনি এমনি বলে না বাংগালীর গোল্ডফিশ মেমরী। নিজে না জানেন গুগল মামু তো রয়েছে। ১৯৯১ তে জামাত প্রথমে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষনা করে। পরে বিএনপির সংগে গোপন আতাত করে ২০০ আসন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করে। বিএনপির নির্বাচিত অধিকাংশ আসন ঐ ২০০ আসনে।

আর আওয়ামী বাবুরা বসে বসে জরিপ করবে । আম্লিগ আবার আসছে ক্ষমতায়..... জনগন উপরের কাজগুলো খুব ভালবাসে বলে দলে দলে নৌকায় সীল মারবে।

১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ কম অকাম করেনি। শামীম ওসমান আবু তাহের, সেরনিয়াবত এদের অত্যাচারের কাহিনী ঘরে ঘরে সবাই জানতো।তখনো পত্রিকায় প্রকাশিত হত আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংকে ধ্বস নেমেছে। অথচ ভোটের পর দেখা গেলো আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ এর তুলনায় ৬০ লক্ষ ভোট বেশি পেয়েছে। শুধু ভোট নয় ভোটের পারসেন্টেজও বেড়েছিল। ১৯৯৬ এর ৩৭% এর তুলনায় ২০০১ এ ৪১% ভোট পায়। তারপরেও এই লেখকের মতে একমত হয়ে বলছি ২০০১ এ আওয়ামী লীগ হেরেছিল জোটবদ্ধ ভোটের কাছে। নেক্সাসের হয়ত খারাপ লাগবে কিন্তু বাস্তবতা হলো বাংলাদেশের মানুষ দুই দলের সংগে প্রেম করে। এরা ভালো করুক খারাপ করুক এদের সংগ ছাড়বে না। এখানে হারজিত এর সমাধান হয় কে কার সংগে জোট করলো বা যে স্বল্প সংখক ভাসমান ভোটার আছে তাদের নিজের পক্ষে টানা। ধন্যবাদ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কিছু পলিটিক্যাল ফ্রিক লোক আছে, তাদের জন্য এই স্ট্যাটাস নয়। আওয়ামীলীগ ২০০১ সালের নির্বাচনে যেসব কারণে হেরেছে তার অন্যতম কারণ ছিল একাই নির্বাচন করা। অন্য কারণও ছিল।

৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

রবিউল ৮১ বলেছেন: কে হারবে আর কে জিতবে সেটা নিয়া টেনশনে নাই আমি চাই আওয়ামীলীগ যে উন্নয়নমূলক কাজ গুলো শুরু করছে আর যেগুলো করার প্ল্যাণ করছে সে সব কাজ গুলো পরবর্তী সরকার চালু রাখুক।যেমন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে,ভূমি ব্যাবস্থাপনা ডিজিটাল,ডীপ সি পোর্ট স্থাপন,পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন,মেট্রো রেল চালু ইত্যাদী।এই সব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে আমরা অনেকদুর এগিয়ে যাব।এখন আওয়ামীলীগ পদ্মা সেতুই খেয়ে দিল।তাই আমি একটু মনোক্ষুন্ন তবে আমার বাড়ি পূর্বদিকে হওয়াতে তেমন সমস্যায় নাই।তবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বিল্লা হইয়া আছে।সেটা ভোটের সময় দেখায়া দিতে পারে।আর আওয়ামী লীগ যেতার ব্যাপারে এত কনফিডেন্ট হলে তত্তাবধায়ক দিতে কেন রাজী না বলতে পারেন?এক মাত্র আমাদের দেশে এই পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি আপাতত গ্রহণযোগ্য নয়।গায়ের জোরে নির্বাচন করা যেতে পারে ক্ষমতায়ও থাকা যেতে পারে তবে জাতি হিসেবে ফলাফল আমাদের কারো জন্যই ভালো হবে না।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: আমার আলোচনার বিষয়বস্তু আলাদা, আপনি যে প্রসঙ্গে বলছেন সে বিষয়ে আমি আলোচনা করিনি। কার কেমন ভোট আছে, বা কে পূর্বে কেমন ভোট পেয়েছে তার ভিত্তিতে আগামীতে নির্বাচন হলে কি ফলাফল হতে পারে তারই একটি অনুমান করেছি। এটি একটি গবেষণা। কারও পক্ষে বা বিপক্ষে কিছুই লিখিনি।

১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

স্বাধীকার বলেছেন:
আম্লীগ আগামী নির্বাচনে জিতবে-এই আশায় অনেকেই চাপাতি বানানোর অর্ডার দিতে পারেন।

আম্লীগ জিতবে-এটা হেমায়েতপুর ফেরত পাগলও বিশ্বাসও করেনা, করে কেবল রঙহেডেডদল ও তার মুরীদরা!!!

নির্বাচনে জিতবে আম্লীগ, কেবল আম্লীগকে বলুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিক, ভোট চাইতেও রাস্তায় বেরুতে পারবেনা আম্লীগ। কোনদেশে থাকেন ভারতে নাকি রাশিয়া?

মিথ্যা তিন প্রকার- মিথ্যা, ঢাহা মিথ্যা আর পরিসংখ্যান-যা নিয়ে আপনি দিবাস্বপ্ন দেখছেন, দলীয় কর্মীদের হতাশাদূর করার চেষ্টা করছেন-কিন্তু আপনি লিখে রাখেন আগামী নির্বাচনে আম্লীগ কোনোভাবে জিতবেনা।

চলমান চুরিচামারী, লুটপাটের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে আম্লীগকে ভোট দিন-এ জাতীয় ফতোয়ায় আর কাজ হবে বলে মনে হচ্ছেনা, হিজাবওয়ালী পোস্টার দিয়েও কাজ হবেনা।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: লেখার বিষয়বস্তু না বুঝে বকবক করছেন কেন? আমি কোথায় লিখেছি আওয়ামীলীগ জিতবে? আমি বলেছি জাতীয় পার্টির সাথে জোটে গেলে বিএনপির চেয়ে সবসময় আওয়ামীলীগ এগিয়ে। জোটে না গেলে ভিন্ন কথা। কে কাকে কেন ভোট দেবে বা দেবেনা সেটা নিয়ে আমার কোন টেনশন নাই। আমি নিতান্তই একজন ব্যক্তিগত পর্যায়ের গবেষক। এই লেখার পূর্বে আরেকটি লেখা দিয়েছিলাম যেখানে ব্যাখ্যা করেছিলাম কেন বিএনপি কম ভোট পেলেও বেশি আসন পায়। সেই পোস্টে অনেকেই এসে ল্যাদাইছে আপনার মতো। আরে আপনি কোন জায়গায় ভোট দিবেন, কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ সেটা আপনার কাছে রাখেন। আমি একটি পর্যালোচনা করেছি, যদি কোন তথ্যে ভুল ধরতে পারেন তাহলে আমি মানতে পারি আমার বক্তব্য সঠিক না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.