নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

সেলিম৮৩

সেলিম৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চরম অজ্ঞতা থেকে নাস্তিকতা-"সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ কি? যা দেখিনা তা বিশ্বাস করিনা"।

২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

একটি সরল জবাবঃ
এক মূর্খ বৃদ্ধাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো , অাল্লাহ যে অাছেন, এমন কোন হিসাব কি পাইছো?
বৃদ্ধা বললেন, অামি যে চরকা কাটি-এই চরকার মধ্যে অাল্লাহকে পাইছি।
প্রশ্ন: কিভাবে পাইলা?
বৃদ্ধা: এই চরকা ঘুরালে ঘুরে, না ঘুরালে বন্ধ হয়ে যায়। এই দুনিয়াটা যে চলে, ফল পাকে-ঝরে, সূর্য, চাঁদ উঠে অাবার ডুবে-এগুলো কেউ না চালালে চলতো না ।

একটি জটিল জবাবঃ
কিছু নাস্তিক ইমাম শা-ফিঈ রাহঃ কে জিজ্ঞেস করলেন, সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ কি?
তখন তিনি বললেন, তুত গাছের পাতার স্বাদ এবং ওর রং ও গন্ধ অার ওর প্রকৃতি তোমাদের নিকট একই রকম লাগে কি-না?
তারা বললো, হ্যা।
এবার তিনি বললেন, উহার পাতা গুটিপোকা খায়। ওর পেট থেকে রেশম বের হয়। অার মৌমাছি খেলে ওর পেট থেকে মধু বের হয়। উহা বকরী খেলে তার পেট থকে পায়খানা বের হয়। অার ওটাকে হরিনও খায়। কিন্তু তার পেট থেকে মৃগনাভী বের হয়। তাহলে তিনি কে? যিনি এইসব একটিমাত্র প্রকৃতি থেকে তৈরী করেছেন?
উত্তরে তারা সন্তুষ্ট হলো এবং ইসলাম গ্রহণ করলো।
কোরঅানে প্রায় ৫০০ শত অায়াত রয়েছে যাতে অাল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ রয়েছে।
অাল্লাপাক এক জায়গায় বলেন, অার যমীনের মধ্যে অনেক টুকরো রয়েছে পাশাপাশি । অার বাগানও রয়েছে অাঙ্গুরের এবং শস্যক্ষেত এবং খেজুর গাছও অাছে, যা গোছা গোছা ছড়া এবং কিছু বিনা গোছা ছড়া। একই পানি দ্বারা এর সেচ দেয়া হয়। এমতবস্থায় অামি( ঐ ফলগুলোর) খাওয়ার স্বাদে ওদের কিছুকে অন্যের উপর প্রাধান্য দিয়ে থাকি। নিশ্চই এসবের মধ্যে (অামার কুদরতের) বহু নিদর্শন রয়েছে সেই সম্প্রদায়ের জন্য যারা বুঝে থাকে। ( সুরা অার-র'দ-৪ র্থ অায়াত)
অর্থাৎ একটি গাছে একটি ফল মিষ্টি , অন্যটি পানসে এবং অারেকটি তেতো। তা হয় কি করে। এই তারতম্যকারী কে? তিনিই অাল্লাহ।

অামরা না দেখে কিন্তু অনেক কিছু্ বিশ্বাস করি। যেমন-
বাতাস দেখিনা কিন্তু বিশ্বাস করি।
শব্দ দেখিনা কিন্তু বিশ্বাস করি।
ইথার দেখিনা কিন্তু বিশ্বাস করি।
বিদ্যুৎ এর ইলেক্ট্রন প্রবাহ দেখিনা কিন্তু বিশ্বাস করি।
বাতাসের মধ্য দিয়ে কোটি কোটি ডাটা-তথ্য অাদান প্রদান হচ্ছে কিন্তু অামরা দেখিনা।
তাহলে বিশ্বাস করি কেন?
এগুলো না দেখলেও এর কিছু চিহ্ন অাছে বা কিছু কার্যকারীতা অাছে বা একটা অনুভবের বিষয় অাছে। যার থেকে অামরা অস্তিত্বের একটা প্রমান স্বীকার করে নেই।
সুতরাং অাসমান-জমিনে যে লাখো-কোটি নিদর্শন এবং নেয়ামত এবং সেগুলো মানুষের কল্যানে নিয়োজিত-তার পেছনে যার হাত অাছে তার অস্তিত্বের প্রমাণে কেন এত সন্দেহ সেটা বুঝে অাসেনা।
এটা কি চরম অজ্ঞতা নয়।


মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

অভদ্র চিন্তাবিদ বলেছেন: নাস্তিকতা হচ্ছে সবচেয়ে বড় অজ্ঞতা ও ছাগলামি

২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

সেলিম৮৩ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।

২| ২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

ব্লগারনির্ভীক বলেছেন: যারা নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয় দেয় তারা আসলে অজ্ঞতা প্রদর্শন ও বিশৃংখলা করার জন্য এটা করে থাকে।

২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

সেলিম৮৩ বলেছেন: একটা ডিগ্রী নিয়েই মনে করে অামি সব জেনে গেছি। অামি মহা পন্ডিত।
এগুলোকে অাল্লাহপাক চতুষ্পদ জন্তু বলেছেন। কারণ, এগুলো শুধু খায় অার পায়খানা করে।

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধর্ম কর্ম মানলে জীবন চালানো অনেকটা কঠিন - তাই নাস্তিকতা বেছে নেয় অনেকে...

২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: পরীক্ষা যত কঠিন তার মর্যাদা তত বেশি।
একজন ধর্মহীন লোক একমাত্র সমস্ত অনৈতিক কাজকে জায়েজ করার জন্য এই পথ বেছে নেয়।
এরা, খাও দাও ফূর্তি করো-দুনিয়াটা মস্ত বড়ো-এই নীতিতে বিশ্বাসী।
ধর্ম কর্ম মানলে জীবন চালানো অনেকটা কঠিন -মুমিনদের জন্য অত্যান্ত সহজ।
একজন মুমিন লোকের যে পরিমান মানসিক তৃপ্তি থাকে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা।
এটা ঐ সমস্ত পশুরা পাবেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.