নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

সেলিম৮৩

সেলিম৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"জিন" এবং "ভুত" সত্যটা জানা উচিত নয় কি? "জিনের অাছর" অাসলে কি?

২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

অামরা সবাই কম বেশি জানি-
বর্তমান যে ইবলিস শয়তান এটা জিন জাতির অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
অাল্লাহপাক পবিত্র কোরঅানে প্রায় পঞ্চাশবার জিন সম্পর্কে অালোচনা করেছেন। সুতরাং এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
"অার অবশ্যই অামি মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুকনো ঠনঠনে, কালচে কাদামাটি থেকে। অার এর পূর্বে জিনকে সৃষ্টি করেছি উত্তপ্ত অগ্নীশিখা থেকে"-(সুরা অাল হিজর, অায়াত-২৬-২৭)
জিন কত প্রকারঃ
রসুল (সাঃ) বলেছেন, জিন তিন প্রকারঃ
(১) যারা শূন্যে উড়ে বেড়ায়,
(২) কিছু সাপ এবং কুকুর (জিন বিভিন্ন প্রানীর রুপ ধারণ করতে পারে। কিন্তু তাদের একটা দল সর্বদা সাপ এবং কুকুর বেশ ধারণ করে চলাফেরা করে। এটা তাদের স্থায়ী রুপ) এবং
(৩) মানুষের কাছে অাসে এবং চলে যায়।
মানুষের মত জিনদের নিকট নবী-রসুল প্রেরণ করা হয়েছিলো। সুতারাং জিনরাও মানুষের মত কেয়ামতের ময়দানে বিচারের সম্মুখিন হবে।
"জিন" অারবী শব্দের অর্থ "গোপন"
"জিনরা" মানুষের দৃষ্টি থেকে গোপন থাকে বলেই অাল্লাহপাক এর নাম দিয়ছেন "জিন" ।
অাল্লাহপাক বলেন," নিশ্চই সে (জিন) এবং তার দলবল তোমাদেরকে দেখে যেখানে তোমারা তাদেরকে দেখনা। ( সুরা অাল অারাফ-২৭)
"ইফতীর" শব্দের বাংলা অর্থ "ভূত"। জিনদের মধ্যে যারা অবাধ্য, বেয়ারা, দুষ্টু ও মাস্তান প্রকৃতির তাদেরকে "ইফতীর" বলা হয়।
সুতরাং "ভূত" কোন অালাদা কিছু নয়। এটা জিনদের একটা অবাধ্য, বেয়ারা অংশ।
জিনদের শরীর বা কাঠামো অাছে-যদিও সাধারনত তা অামাদের দৃষ্টিগোচর হয়না।
মূলত জিনদের প্রধান খাদ্য কয়লা, হাড্ডি এবং গোবর।
জিন মানুষকে অাছর করতে পারে। তবে অনেকসময় অনেকে মানসিক রোগকে জিনের অাছর বলে উল্টাপাল্টা কবিরাজি চিকিৎসা করে।
কয়েকটা কারণে একজনকে জিনে অাছর করতে পারে।
(১) যার ভীতর অতিরিক্ত রাগ (২) অতিরিক্ত ভয় (৩) যৌন চাহিদা লোপ (৪) মাত্রারিক্ত উদাসিনতা (৫) নোংরা ও অপবিত্র থাকা।
অাবার, জিন চড়াও হয়- যদি গরম পানি নিক্ষেপ করা হয়, বা তাদের খাদ্য খাবার নষ্ট করা হয় বা অাঘাত করা হয় তখন।
জিনে ধরা এবং মানসিক রোগী পার্থক্য নির্নয় করা যায় কয়েকটি বিষয় দেখে-
(১) জিনে ধরা রোগী কিছুক্ষনের জন্য বেহুশ হয়। কিন্তু মানসিক রোগী বেহুশ হয়ে পড়েনা।
(২) জিনে ধরা রোগী প্রায়ই স্বপ্নে সাপ, কুকুর, বিচ্ছু, বানর, শেয়াল, ইদুর দেখে থাকে। কখনো কখনো সে দেখে অনেক উচু থেকে পড়ে যাচ্ছে।
(৩) জিনে ধরা রোগী সর্বদা ভীতু ভাব থাকে। মানসিক রোগীর সচারচার এমন ভাব থাকেনা।
(৪) জিনে ধরা রোগী নামাজ পড়া, কোরঅান তেলাওয়াত, অাল্লাহর জিকির ইত্যাদি পছন্দ করেনা। বরং এগুলো তার অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়।
(৫) জিনে ধরা রোগী অনেক সময় ভিন্ন ভাষা বা ভঙ্গীতে কথা বলে।
(৬) জিনে ধরা রোগী অনেক সময় অাশ্চর্যজনক কিছু বিষয় করে থাকে । যেমন-অল্প সময়ের ভীতর অনেক দূরে চলে যাওয়া বা গাছে উঠে সরু ডালে বসে থাকে ইত্যাদি।
সুতরাং অামাদের উচিত সঠিক ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে সঠিক জানা এবং বিশ্বাস করা ।


মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: আলিফ লায়লা ওয়া লায়লা...

২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

সেলিম৮৩ বলেছেন: অাপনার মোটিভটা কি নামের মর্যদা রক্ষাকারী।অার ইউ পজেটিভ থিংক?

২| ২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

আহলান বলেছেন: হুম ... ঠিক ।

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

নতুন বলেছেন: মানুষিক রোগীকে জীনে ধরা বলে অতাচার করা হয়।

আর এই রকমের রোগী বিভিন্ন দেশেই আছে আর তাদের ভিন্ন ভিন্ন ভাবে জীন/ভুত তাড়ানো হয়ে থাকে...

ভারতে...সংস্কৃতি মন্ত্র...চাইনিজ মন্ত্রেও তাদের দেশের ভুত চলে যায়....খৃস্টানেরাও জীসাসের দোহাই দিয়ে ডিমন তাড়ানো হয়ে থাকে...

মানুষিক রোগীকে কুসংস্কারের বলি হতে দেবেন না।
http://www.somewhereinblog.net/blog/neoblog/30007277 বিভিন্ন দেশের জীন/ভুত/অশুভ আত্না/ডেমন তাড়ানোর উপরে একটি লেখা।

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: Click This Link ডাউনলোড করে পড়ে দেখতে পারেন।

২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

সেলিম৮৩ বলেছেন: ধন্যবাদ, লিংকটি দেয়ার জন্য।

২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: এজন্যই বিষয়টা ক্লিয়ার করে বলেছি।

৫| ২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: রিভিউয়ের অপেক্ষায় থাকলাম।

২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: একজন ঘোসের বই থেকে সাইন্টিফিক জ্ঞান নেয়া যায়-অন্য কিছু নয়।
বিজ্ঞানে অনেক কিছুই কিন্তু অপ্রমাণিত বিষয় রয়েছে।
সব কিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করা এবং প্রমাণ করার চেষ্টা একটি সামান্যতম জ্ঞানের মালিক-মানুষকে দিয়ে সম্ভব নয়।
যুক্তি এবং প্রমান দিয়ে অলৌকিকত্বের বিচার করা মানে নিজেকে অপ্রমাণিত করা।



৬| ২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: শুধু শুধু কয়েকটা বাইটের অপচয়। ওভার এন্ড আউট।

২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: থ্যাংকস, নো নিড ইউর ডিজিটাল থিসিস। ইউ অার মিডিল পয়েন্ট ডিফেন্সার। সো, নো কমেন্ট।


৭| ২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: সত্যি অনেক কিছু জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে পোষ্টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

মহসিন ৩১ বলেছেন: অত্যাচার করে যারা তারা শয়তান । আর শয়তান চিনার উপায় হল ; এদেরকে মারা খুবই কঠিন । সবার উচিৎ শয়তানদের ধরে ধরে মারার চর্চা করা । জিন ভুত এসব মনেরই ভিন্ন ভিন্ন স্তর। তাই জিন ভুত বিষয়ের কোনই সমাধান হয় না--------- হাজার খুঁজলেও, কোনই সমাধান পাবে না কেউ।

২৬ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩

সেলিম৮৩ বলেছেন: কোরঅানের একটি অক্ষরকে কোন মুসলিম যদি অস্বীকার করে তবে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।
যেহেতু কোরঅানে বহু জায়গায় জিন সম্পর্কে অালোচিত হয়েছে। সুতরাং এটাকে অস্বীকার করলে অন্তত ৫০ টি অায়াতকে অস্বীকার করা হবে।
মহান অাল্লাহপাক বলেন, "তোমাদেরকে অতি সামান্যই জ্ঞান দান করা হয়েছে।"(সুরা-বনী ইসরাঈল-৮৫)
অতএব, ইসলামে মূল জিনিসটা হলো বিশ্বাস।
সব যদি প্রমাণ চান তবে প্রমাণ করুন ৬০ বছর পূর্বে অাপনি কোথায় ছিলেন?

৯| ২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

কল্লোল পথিক বলেছেন:



জ্বীন কি সবাই দেখতে পারে?

২৬ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:১৯

সেলিম৮৩ বলেছেন: মহানবী (সাঃ) যখন কোরঅান তেলাওয়াত করতেন-অনেক সময় জিনরা শুনতে অাসতো। এটা হাদিস শরীফে প্রমাণিত।
তাছাড়া, কোরঅানে জিনদের নিয়ে একটা সুরাই নাযিল করা হয়েছে । যেটা "সুরা অাল জিন"। এটা কোরঅানের ৭২ নং সুরা।
সুতরাং অবিশ্বাস করার কোন যুক্তি নাই।
মানুষের দৃষ্টি থেকে অাল্লাহপাক জিনকে অাড়াল করে রেখেছেন।
সুতরাং বিশ্বাস করাটা ঈমানী দায়িত্ব। না বিশ্বাস করলে অাল্লাহর অায়াতকে অস্বীকার করা হবে।

১০| ২৬ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মহসিন ৩১ বলেছেন: কোরান অস্বীকার করার প্রশ্ন হল একটা দেশিও ''অতিচার' শব্দ ।এ দেশের লোকেরা পারেনা খুজে খুজে এই disgusting শব্দটা জুড়ে দেয় ; আসল কথা হল বিদেশি প্রভুদের বাইবেল তথা এতদিনের শাসক বিদেশিদের ধর্মের colonial সেবাদাসদের সুবিধাভোগ মন্ত্র। ...... প্রকৃত অর্থ খুজতে গেলে দেখবেন কোরানকে ব্যাবহার করে বাইবেলে তেল দেয়ার যুক্তি এসব। স্রেফ কচকচানি।......... অনেকেই ভুত বিশ্বাস করেনা ; কারণ মরে গেলেই তো ভুত হয়; তাই মনেরই বিভিন্ন স্তর সেটা।

২৭ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:১০

সেলিম৮৩ বলেছেন: ডারউইনপন্হী সেক্যুলারিষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.