![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অামার মনে হয় রমজান অাসলে অাট এবং বিশ সংখ্যা দুটো নিয়ে রীতিমত তর্ক শুরু হয়।
কিন্তু সমাধান খুঁজতে খুজতে শেষ পর্যন্ত কি করবেন-নিজেই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যান।
কেননা, অালেম উলামারা যদি বিষয়টা নিয়ে বিভক্ত হয়-তবে অামি অাপনি যাই কোথায়।
একটা সর্টকার্ট ভিউঃ
প্রথমত: তারাবীহ্ এর রাকা‘আত সংখ্যা আট। আর এটা অধিকাংশ মুহাদ্দিস ও কতিপয় প্রখ্যাত ফকীহদের মত।
দ্বিতীয়ত: তারাবীহ্ এর সালাত বিশ রাকা‘আত। এ মতের প্রবক্তা হলেন ঈমাম শাফেয়ী, আবু হানিফা ও আহমদ রাহেমাহুমুল্লাহ্।
তৃতীয়ত: তারাবীহ্ এর সালাত ছত্রিশ রাকা‘আত, এটি ইমাম মালেক (রহঃ) এর মত।
প্রশ্ন হলো ,উপরিউক্ত রাকাত সংখ্যা যারা উল্লেখ করেছেন তারা নিশ্চই কোরঅান-হাদিস পর্যালোচনা করে বলেছেন-না-কি?
এখন, সাধারণ মুসলমানের কি উচিত উনাদের থেকে বেশি বড় পর্যালোচক হওয়া?
মজার ব্যপার হচ্ছে, ঈমাম শাফেয়ী, আবু হানিফা ও আহমদ রাহেমাহুমুল্লাহ্ এবং ইমাম মালেক (রহঃ) নিঃস্বন্দেহে অাল্লাহর ওলী ছিলেন-এখানে কারো দ্বিমত নেই।
তার থেকে বোঝার ব্যাপার হচ্ছে, তারাবীর নামাজ বা কিয়ামূল লাইল কিন্তু বাধ্যতামূলক ইবাদত নয় বান্দাদের জন্য। কিন্তু অশেষ নেকি বা ফজিলতের জন্য অামরা করে থাকি।
তারাবির রাকাত নিয়ে তর্ক করার থেকে নামাজের কোয়ালিটির উপর বেশি জোর দেয়া উচিত। কেননা, নবী করিম(সাঃ) দুই রাকাত নামাজে অনেকসময় দুই থেকে অাড়াই ঘন্টা সময় নিতেন।
সুতরাং পাশের মসজিদে যত রাকাত পড়া হয় তত রাকাত পড়া উচিত।
ঈমামের পেছন থেকে সরে পড়া বা বিশ রাকাত যারা পড়েন তাদের ইনসার্ট করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
কেননা, তাহাজ্জুত বা তারাবী বা কিয়ামুল লাইলের মাধ্যমে অাপনি জান্নাত অর্জন করতে পারবেন না -যদি না বাকী ১১ মাসে অাপনার পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের খবর না থাকে।
সুতরাং অাপনার ফাউন্ডশন(৫ ওয়াক্ত নামাজ) যদি মজবুত না থাকে তবে পিলার(তারাবী) গুণে কোন লাভ হবেনা।
২৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪
সেলিম৮৩ বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৫০
মানুষমানব বলেছেন: ভাই। অসাধারণ লিখেছেন। এই সাধারণ কথাগুলো কেন যে মুসলিমদের মাথায় ডুকে না বুঝি না।