নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

সেলিম৮৩

সেলিম৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী-যাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২



কোন বিষয় যখন অতীব সত্য হয়-তখন সেটা প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রকাশকারীর একটা দৃঢ় ভাব ব্যক্ত হয়।

সেই অপরিসীম দৃঢ়তা অাল্লাহপাক ব্যক্ত করেছেন কেয়ামত সম্পর্কে যা প্রত্যেকটা মুমিন-মুসলমানের জানা এবং সেইমত জীবন পরিচালনা করা একান্তই কর্তব্য।

অপরিসীম দৃঢ়তামূলক অায়াতের অাগে কয়েকটি চরম সতর্কতামূলক বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা দরকার।

" সেদিন ( যাবতীয়) দুর্ভোগ তাদের জন্যে, যারা (এসব সত্যকে) মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে! ( হে অবিশ্বাসীরা) কিছুদিনের জন্য তোমরা এখানে খেয়ে নাও এবং কিছু ভোগ অাস্বাদন করে নাও। নিঃসন্দেহে তোমরা হচ্ছো অপরাধী! ( যাবতীয়) দুর্ভোগ সেদিন তাদের (জন্যে) যারা (এসব সত্যকে) মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে"। ( সুরা অাল মুরসালাত,অায়াত-৪৫)

" যখন বলা হয়, অাল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোন সন্দেহ নাই, তখন তোমরা বলে থাকো অামরা জানিনা কেয়ামত কি? অামরা কেবল ধারনাই করি এবং এ নিয়ে অামরা নিশ্চিত নই। তাদের মন্দ কর্মগুলো তাদের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং যে অাযাব নিয়ে তারা ঠাট্রা-বিদ্রুপ করতো-তা তাদের গ্রাস করবে"। (সুরা জাছিয়া, অায়াত-৩২-৩৩)

" যেদিন কেয়ামত সংঘঠিত হবে, সেদিন অপরাধীরা হতাশ হয়ে যাবে"। (সুরা রুম-অায়াত-১২)

" তুমি যালেমদের দেখবে, যখন তারা ( অাল্লাহতায়ালার) অাযাব পর্যবেক্ষণ করবে তখন বলবে( অাজ এখান থেকে) ফিরে যাওয়ার কোন পথ অাছে কি"? (সুরা অাশ শুরা-অায়াত-৪৪)

"মানুষের জন্যে তাদের হিসাব নিকাশের মুহুর্তটি একান্ত কাছে এসে গেছে-অথচ এখনো তারা উদাসীনতার মাঝে( নিমজ্জিত হয়ে সত্য) বিমুখ হয়ে অাছে"। (সুরা-অাম্বিয়া-১)

এখন অপরিসীম দৃঢ়তামূলক অায়তগুলো জানতে চেষ্টা করিঃ-

"অবশ্যই কেয়ামত অাসবে, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। যারা কবরে(শুয়ে) অাছে অাল্লাতায়ালা অবশ্যই তাদের পুনুরুত্থিত করবেন"। (সুরা হাজ্জ, অায়াত-৭)

" তারা বলে, অামাদের উপর কখনই কেয়ামত অাসবেনা; হে নবী, তুমি এদের বলো, অামার মালিকের কসম, হ্যা, অবশ্যই তোমাদের উপর তা অাপতিত হবে"। ( সূরা সাবা, অায়াত-৩)

"অামি শপথ করি কেয়ামত দিবসের, অারও শপথ করি সেই মনের, যে নিজেকে ধিক্কার দেয়। মানুষ কি মনে করে যে, অামি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করবো না? পরুন্তু অামি তার অঙ্গুলীগুলো পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।
বরং মানুষ তার ভবিষৎ জীবনেও পাপাচার করতে চায়। সে প্রশ্ন করে, কেয়ামত দিবস কবে?
যখন দৃষ্টি চমকে যাবে, চন্দ্র ও সূর্যকে একত্রিত করা হবে। সেদিন মানুষ বলবে, পালানোর জায়গা কোথায়? না কোথাও অাশ্রয় স্থল নেই। অাপনার পালনকর্তার নিকট সেদিন ঠাই হবে। ( সুরা ক্বিয়ামাহ, অায়াত-১-১২)

" শপথ কল্যান স্বরুপ প্রেরিত বায়ুর, অার প্রলয়ংকারী ঝটিকার, শপথ সঞ্চালনকারী বায়ুর, অার মেঘপুঞ্জ বিচ্ছিন্নকারী বায়ুর এবং শপথ সেই ফেরেস্তার যা মানুষের কাছে পৌছে দেয় উপদেশ -অনুশোচনা স্বরুপ বা সতর্কতা স্বরুপ। নিশ্চই তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়ে হয়েছে তা অবশ্যম্ভাবী। যখন নক্ষত্ররাজীর অালো নিভে যাবে, যখন অাকাশ বিদীর্ন হবে, পর্বতমালা উম্মুলিত এবং বিক্ষিপ্ত হবে এবং রাসুলগনকে নিরুপিত সময়ে উপস্থিত করা হবে।
এই সমুদয় স্থগিত রাখা হয়েছে কোন দিবসের জন্য? বিচার দিবসের জন্য।
বিচার দিবস সম্মন্ধে তুমি কি জানো?
সেইদিন দুর্ভোগ মিথ্যা অারোপকারীদের জন্য" ( সুরা-মুরসালাত, অায়াত-১-১৪)

একমাত্র মৃর্ত্যু অাসলে মানুষের সামনে বাস্তব সত্য উন্মোচিত হয়ে যাবে এবং অাসল তত্ত্ব মানুষের নিকট সুস্পুষ্ট হয়ে যাবে।
অাল্লাহপাক অামাদের বুঝার এবং মানার তৌফিক দান করুন। অামিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.