![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কিছু মুসলিম নওজোয়ানেরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে জিহাদের নামে বিষ্ফোরন ঘটিয়ে বা নির্বিচারে গুলিবর্ষন বা জবেহ করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখছেন।
ইসলামে বড় বড় উলামাগন যা অবৈধ ঘোষনা করেছেন।
কোন রাষ্ট্রনায়ককে যখন সর্বােসম্মতিক্রমে "কাফের" ফতোয়া দেয়া হয় তখনই জিহাদের চিন্তাধারা বাস্তবায়ন করার একটা সুযোগ অাছে।
এক মালিক তার চাকরকে ঠিকমত খেতে দেয় না, কোন কাজে কোন ত্রুটি হলে মারধর করে, ঠিকমত বেতন দেয়না, তার দায়িত্বের বাইরে তাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়।
এ মালিককে কি "কাফের" বলবেন?
এক ব্যক্তি চার মাযহাবের কোন মাযহাব অনুসরন করেনা। তাকে কি কি "কাফের" বলবেন?
এক রাজা ইসলামী অাইন অনুযায়ী দেশ শাসন করেনা তাকে কি "কাফের" বলবেন?
কোন মুসলিম ব্যক্তিকে কোন ইসলাম বিরোধী কথা বলতে শুনে বা কাজ করতে দেখে তাকে "কাফের" বলা কোন সাধারন গালি বা সাধারন সহজ ব্যাপার নয়। মুসলিমের কোন পাপ দেখে তাকে কুফরে প্রতি সম্মন্ধ করা বড় বিপজ্জনক।
" যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইকে বলে এ 'কাফের' এবং সে যদি প্রকৃতপক্ষে কাফের না হয়, তাহলে সে কথা তার নিজের উপর বর্তায়।(সহিই মুসলিম)
কোন শ্রেনীর মানুষ কাফের হয়?
(১) যে ব্যক্তি রসুল (সাঃ) এর অানীত জীবন ব্যবস্থার কোন অংশকে ঘৃণা করে বা অবজ্ঞা করে ; যদিও বা সে তার দ্বারা অামল করে , তবুও সে কাফের।
(২) যে ব্যক্তি শিরক করে, অাল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ভিন্ন সৃষ্টির নিকট সাহায্য চায় এবং মুক্তির জন্য অন্য কারো উপর ভরসা করে সে কাফের।
(৩) যে ব্যক্তি অাল্লাহ, রসুল বা ফিরিসতাকে গালি দেবে সে কাফের।
(৪) ঈমানের কোন রুকুন, যেমন অাল্লাহ, তার নাম বা গুণ, ফিরিস্তা, অবতীর্ন গ্রন্থ , পয়গম্বর, পরকাল ও বিচার দিবস অথবা তকদীর বা ভাগ্যকে অবিশ্বাস ও অস্বীকার করলে সে কাফের।
(৫) যে ব্যক্তি ধারনা করে যে, নবী (সাঃ) এর অাদর্শ থেকে অন্য কারো অাদর্শ উত্তম এবং তার অানীত সংবিধান থেকে অন্য কোন সংবিধান উত্তম এবং ইসলামী জীবন ব্যবস্থা বিংশ শতাব্দী এবং তার পরে অচল অথবা তা মুসলিমদের অধঃপতনের কারণ এবং ইসলামী দন্ডবিধি এ যুগে উপযুক্ত নয় , সে কাফের।
(৬) যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ করলো( বেশিরভাগ অালেমের মতে) সে কাফের। নবী (সাঃ) বলেছেন, অামাদের ও ওদের(কাফেরদের ) মাঝে পার্থক্য হলো সালাত।
এছাড়া অারো কিছু বিষয় অাছে সেগুলো কাফেরের হওয়ার জন্য যথেষ্ট।
এই কাফেরের বিধান কি?
শরিয়া প্রমান দ্বারা সুনিশ্চিতভাবে যখন কাফের প্রমানিত হবে-তখন
ইহলৌকিক এবং পরলৌকিক দুটি বিধানই প্রযোজ্য । পরলৌকিক শাস্তি নাই উল্লেখ করলাম।
দুনিয়ার শাস্তি ইসলামী সরকার প্রয়োগ করবে। কোন ব্যক্তি বা জামাঅাত নয়। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সে শাস্তি প্রয়োগ করার অধিকার কোন ব্যক্তি বা জামাঅাতের হাতে নেই। তার নাম জিহাদ নয়।
এখন কোন ব্যক্তি যদি মনে করে, এই কাফেরকে হত্যা করার দায়িত্ব তার তবে সেটা হবে অাত্বহননের সমান।
কোন অমুসলিম সে যদি কোন মুসলিম দেশে সাধারণ নিরিহ মানুষ হিসাবে বসবাস করে তবে তাকে অন্যন্য সাধারন মানুষের মত বসবাস করার সুযোগ করে দিতে হবে। এটা মুমিন-মুসলমানের দায়িত্ব।
যেহেতু রসুল (সাঃ) বলেছেন, "মুমিন ব্যক্তি তার দ্বীনের প্রশস্ততায় থাকে; যতক্ষন না সে কোন অবৈধ রক্তপাতে লিপ্ত হয়।" ( বুখারী)।
সুতরাং জিহাদের নামে অমুসলিম হত্যা বেহেস্তের টিকিট পাইয়ে দেবে এমন ধারনা বা বিশ্বাস ইসলামের কোন নীতিতে টিকেনা।
©somewhere in net ltd.