![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অামি(অাল্লাহ) অসীম দয়ালু, পরম করুনাময়/মেহেরবান।
যখন ইসলাম সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা ছিলনা তখন মনে মনে ভাবতাম এই কথাটা বাস্তবতার সাথে কতটা মিল অাছে?
অামি অনলাইনে অনেক জায়গায় দেখেছি এই বিষয়টি নিয়ে অনেক বিজ্ঞ-পন্ডিত( যাদের লেখনী পড়লে এমনটাই মনে হয়) এমন সব লেখা লিখেছেন-তাতে মনে হয় অাল্লাহপাক প্রথম লাইনের কথাগুলো বলে বিরাট এক ভুল করেছেন( নাউযুবিল্লাহ)।
তো, ঐসব তথাকথিত পন্ডিতদের কথা বাদই দিলাম এজন্য যে তারা পুরোপুরিই অবিশ্বাসী বা সরাসরি অস্বীকারকারী দলের অন্তর্ভূক্ত।
একজন সাধারন মুসলমান যার ঈমানের খুঁটি নড়বড়ে তার মাথায় কিছু প্রশ্ন জাগতে পারে।
যেমন-একটি শিশু পানিতে/ডোবায়/মানহোলে পড়ে ,অাগুনে পুড়ে নির্মমভাবে মৃর্ত্যুবরণ করলো-এখানে কি অাল্লাহর দয়া হলোনা?
কারণ সেতো নিঃস্পাপ ছিলো!
বিভিন্ন দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে বা জাতিগত বিদ্বেষের কারণে এবং বিভিন্ন মুসলিম দেশে কাফির-মুসরিকরা যুদ্ধহেতু মুসলমানদের-বিশেষ করে মা-বোনদের নির্মমভাবে নির্যাতন করে অতি অপমানজনকভাবে তাদের মেরে ফেলেছে এবং ফেলছে।
সিরিয়া, ফিলিস্তিনি ছোট ছোট বাচ্চাদের ইহুদীরা কি জঘন্যভাবেই না নির্বিচারে বোমাবর্ষন করে মেরে ফেলছে।
এখানে কি অাল্লাহর দয়া হয়না? তিনি কেন এটা প্রতিহত করেন না?
কেননা, অাল্লাহর মনোনিত দ্বীন হচ্ছে তো ইসলাম।
এরকম অনেক মর্মান্তিক মৃর্ত্যু তাদের ভাবিয়ে তুলে-অাল্লাহর বানীর সাথে ঘটনা মেলানোর চেষ্টা করে হতাশায় ভোগে।
অাসুন দেখি বাস্তবতা কি?
অজ্ঞতা থেকেই কু-ধারনা বা অন্ধকারের জন্ম হয়।
যেহেতু, অাল্লাহপাক বলেছেন, হে মানব সম্প্রদায়, তোমরা যে সমস্ত বিপদ-অাপদ, দুর্দশার সম্মুখিন হও এটা তোমাদের নিজের হাতের কামাই।
তাহলে বুঝুন ঠেলা।
মানুষের যত সমস্যা এর সবগুলো মানবসৃষ্ট। এখানে মানুষকে অাল্লাহপাক এক চরম স্বাধীনতা দিয়েছেন। এখানে তাঁর( অাল্লাহর) হস্তক্ষেপ নেই।
বুঝতে হবে, অাল্লাহপাক এই দুনিয়াটাকে অতী থেকে অতী ক্ষনস্থায়ী জীবন বলেছেন। কিন্তু বিষয়টি অামাদের তেমন ভাবায় না-অার একারনেই কোন মৃর্ত্যৃ দেখলেই অামরা হতাশ হয়ে পড়ি।
পর্দার ওপাশে যে এক অসীম-অনন্ত জীবন অপেক্ষা করছে-সেটার উপর বিশ্বাসের স্বল্পতাই অামাদের বিভিন্ন দূর্বল চিন্তার উদ্রেগ করে।
একজনকে নির্মমভাবে মরতে দেখেলেও সেই নির্মমতার মাঝে কোন রহস্য লুকিয়ে অাছে সেটা বিশ্লেষণ করার দায়িত্ব কোন মানুষের নয়।
এটার দায়িত্ব জীবন-মৃর্ত্যুর মালিকের।
অামাদের ইসলামের ইতিহাস জানতে হবে, ফেরাউন, নমরুদ, হামান, অাবু জেহেল, শাইবা, ওদবা, এরা মুসলমানদের উপর যে নির্যাতনের চিহ্ন রেখে গেছে তা শুনলে গা শিউরে ওঠে।
কিন্তু দুনিয়ার এ কষ্ট নির্যাতন একজন ঈমানদারের নিকট কিছুই না। এবং তারা এটা ঈমানের সাথেই মোকাবেলা করেছেন। অাল্লাহর প্রতি কোন রকম অসন্তুষ্ট হননি।
অামি(অাল্লাহ) অসীম দয়ালু, পরম করুনাময়/মেহেরবান।
বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধির বিষয়।
প্রথমতঃ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কয়েকমিনিট যে নেয়ামতটি সরে গেলে মানুষের অস্তিত্ব থাকবেনা তা হলো অক্সিজেন।
অার পৃথিবীতে সবচাইতে ফ্রি এবং সহজলভ্য হচ্ছে সেই বেঁচে থাকার মূল উপকরণ-অক্সিজেন।
সুতরাং এই অক্সিজেনের উৎস গাছের সৃষ্টিকর্তা অামি অমুক বিজ্ঞানী বলে কেউ কি দাবি করেছে?
তো, অামি(অাল্লাহ) অসীম দয়ালু, পরম করুনাময়/মেহেরবান অাল্লাহ না কোন বিজ্ঞানী?
দ্বীতিয়তঃ পানি ছাড়া মানুষ কতঘন্টা বাঁচতে পারবে সেটা বলার অবকাশ রাখেনা। কেননা, খাবার যোগ্য পানির অপর নাম জীবন।
সারামাস, একজন মানুষ কতলিটার পানি খায় এবং অন্যান্য কাজে খরচ করে কত টাকা বিল দেয়?
একেবারেই সহজলভ্য। একটা চকলেট কোন দোকানদার অাপনাকে ফ্রী খাওয়াবেনা কিন্তু পানি ঠিকই দুই-একগ্লাস ফ্রি খেতে পারবেন।
অথচ মানুষের জীবন ধারনের জন্য পানির বিকল্প কিছু নেই।
তো, এই পানির সৃষ্টিকর্তা কোন বৈজ্ঞানিক?
তো, অামি(অাল্লাহ) অসীম দয়ালু, পরম করুনাময়/মেহেরবান অাল্লাহ না কোন বিজ্ঞানী?
তৃতীয়তঃ মানুষ যত খাবার খায়-বলা যায় তার প্রায় সবটাই গাছ থেকে অাসে। তো গাছকে কে বললো যে তুই, এত এত টন ফসল ফলাবী?
এত, শত অাইটেমের ফল কেন মিছামিছি অামাদের জন্য গাছ ডেলিভারী দিতে যাবে? তো, দয়াটা কার?
চতুর্থততঃ মুসলমান হোক, হিন্দু হোক, খৃষ্টান হোক, ইহুদী হোক সবাইকে অাল্লাহপাক নেয়ামত দান করছেন। কারো প্রতি অবহেলা করছেন না বা কারো প্রতি পক্ষপাতি্ত্ব করছেন না।
তো, অামি(অাল্লাহ) অসীম দয়ালু, পরম করুনাময়/মেহেরবান অাল্লাহ না কোন বিজ্ঞানী?
অাসলে, একটা চরম বোঝার ভুল অামাদের।
মানুষের কর্মফল অনুযায়ী তিনি তার প্রতিদান পরকালের জন্য রেখেছেন। দুনিয়াটা একটা বিশ্রামাগার এবং পরীক্ষাকেন্দ্র বলতে পারেন।
সুতরাং মুসলমানদের ধোকার ভেতর পড়ার কোন সুযোগ নেই।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০
সেলিম৮৩ বলেছেন: সক্রটিস বা বারট্রান্ড রাসেলকে অনুসরণ করা অাপনার জাতিগত বা মগজের মিলগত তত্ত্ব এর কোন অাওতায় পড়বে জানিনা।
তবে, অাপনার প্রকৃতির সাথে যাদের মিল অাছে তাদের পূজা করবেন এটাই স্বাভাবিক।
যারা নিজেদের বুদ্ধিমান মনে করে অাল্লাহকে অস্বীকার করে তারা শুধু বেকুবই নয়-এদের গোষ্ঠীসহ বেকুব।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯
আবির হাসান রাতুল বলেছেন: "কেননা, অাল্লাহর মনোনিত দ্বীন হচ্ছে তো ইসলাম" কথাটা না লিখে কোরআন মনোনিত ধর্ম ইসলাম বললে যুক্তির প্যাচে পরবেন না মনে হয়।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সেলিম৮৩ বলেছেন: কোরঅান অাল্লাহর নাযিলকৃত গ্রন্থ এবং এই কোরঅানেই ঘোষনা দেয়া অাছে "অাল্লাহর মনোনিত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম"
সুতরাং এখানে যুক্তির প্যাচ বলে কিছু দেখছিনা।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যে বুঝতে চায় সে সত্য খুঁজে নেয়
আর যে বুঝতে চায়না সে প্যাঁচ খোজে
+++++++++
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২১
সেলিম৮৩ বলেছেন: ঠিক তাই।
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১০
আবির হাসান রাতুল বলেছেন: দারিদ্রের দুষ্টচক্রের মতো।কুরান বলছে ইসলাম একমাত্র মনোনিত ধর্ম,আল্লাহ বলেছেন কুরান সত্য,নবী যা বলেছেন তা আল্লার কথা,আল্লাহ সাক্ষ্য দেন নবী সত্য বলেছেন।এই চক্র দিয়ে আপনি বলেন ইসলাম আল্লাহর মনোনিত ধর্ম এটাই প্যাচ
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২০
সেলিম৮৩ বলেছেন: দারিদ্রের দুষ্টচক্রের সাথে ইসলামকে জড়িয়ে অাপনি তেল অার জল একসাথে করার মত ব্যর্থ চেষ্টা করছেন।
একমাত্র ইসলাম ছাড়া সব ধর্মই অাল্লাহকে শরীক করে ফেলেছে।
যার শরীকানা থাকে তার একক ক্ষমতা থাকতে পারেনা।
অার ক্ষমতার ভাগাভাগি এই মহাবিশ্ব পরিচালনার জন্য মোটেই নিরাপদ হওয়ার কথা ছিলোনা।
সুতরাং ইসলাম ছাড়া যত তথাকথিত ধর্ম অাছে সব মানুষের সৃষ্ট ধর্ম যার ভিত্তি হচ্ছে নিছক নিজস্ব মন-মগজ থেকে কল্পিত একটি চিন্তাধারা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বেকুব মানুষেরা এক ধরণের ফাজি লজিক তুলে ধরে, সক্রটিস বা বারট্রান্ড রাসেলের লজিক শিখার মত মগজ ওদের নেই