![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অাল্লাহতায়ালা কেয়ামত নিকটাবর্তী হওয়া এবং দুনিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার সংবাদ দিচ্ছেন।
যেমন তিনি(অাল্লাহপাক) বলেছেন, "অাতাঅামরুল্লাহী ফালাতাসতা-জিলুহ্" অর্থাৎ "অাল্লাহর অাদেশ (কেয়ামত) অাসবেই; সুতরাং তা ত্বরান্বিত করতে চেয়েও না।"(১৬-১)
তিনি অারো বলেন, "ইকতারবালিন্নাসী হিসাবাহুম ওহুম ফী-গাফলাতিম মুরিদুন" অর্থাৎ "মানুষের হিসাব নিকাশের সময় অাসন্ন অথচ তারা উদাসীনতায় মুখ ফিরিয়ে রয়েছে।"(২১:১)
হযরত অানাস (রাঃ) হতে বর্ণিত অাছে যে, একদা রসুল(সাঃ) স্বীয় সাহাবীদের সামনে ভাষণ দান করেন। ঐ সময় সূর্য অস্তমিত হতে অল্প সময় বাকী ছিলো।
ভাষণে তিনি বলেন," যার হাতে অামার প্রাণ রয়েছে তার শফত, অতীত যুগের তুলনায় দুনিয়ার হায়াতও এই পরিমাণ বাকী অাছে যে পরিমান সময় এই দিনের বাকী অাছে-দিনের গত হয়ে যাওয়া সময়ের তুলনায়। সূর্যের তো অামরা সামান্য অংশই দেখেতে পাচ্ছি।"
হযরত মুহম্মদ (সাঃ) তার জীবদ্দশায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার মু'জিজা দেখিয়েছেন।
হযরত অানাস ইবনে মালিক(রাঃ) হতে বর্ণিত অাছে যে, মক্কাবাসী রসুল (সাঃ) কাছে মু'জিজা দেখাবার অাবেদন করলে তিনি চন্দ্রকে দ্বিখন্ডিত করে তাদেরকে দেখিয়ে দেন। সুতরাং তারা হিরা পাহাড়ের এদিকে এক খন্ড এবং ওদিকে একখন্ড দেখতে পায়।
এই মু'জিজা দেখার পরে তারা বলে, " মুহম্মদ (সাঃ) অামাদের উপর যাদু করেছে"।
তখন কিছু জ্ঞানীরা বললো, বাহিরের লোক এসে যদি বলে অামরা চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হতে দেখেছি তবে অবিশ্বাসের কিছু থাকবেনা। কেননা, রসুল (সাঃ) তো অার সবাইকে যাদু করতে পারেননা।
সফররত লোকেরা এসে বলতে লাগলো, অামরাও চন্দ্রকে দ্বিখন্ডিত হতে দেখেছি।
অাল্লাহ তায়ালা এই ঘটনার পরই অায়াত নাযিল করলেন।
"কেয়ামত অাসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে,তারা কোন নিদর্শন দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে এটা তো চিরাচরিত যাদু"( সুরা কামার-১-২)
অাল্লাহ তায়ালা অারো বলেন, "ওমাতুগনীল অায়াতু অন্নুজুরু অানকাইমিল্লাহ ইউমিনূন" অর্থাৎ"বেঈমানদের কোন মু'জিজা বা কোন ভয় প্রদর্শনকারী কোন উপকার পৌছায় না। "( ১০:১০১)
অবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে অাল্লাহপাক বলেন,
"মানুষ কি মনে করে অামি তাদের অস্থিসমূহ একত্রিত করতে পারবোনা? বস্তুতঃ অামি তার অঙ্গুলীর অগ্রভাগ পর্যন্ত পূনর্বিন্যাস্ত করতে সক্ষম।"( সুরা-অাল কিয়ামাহ-৩-৪)
©somewhere in net ltd.