নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

সেলিম৮৩

সেলিম৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবিশ্ব কার সৃষ্টি?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫


মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে ধর্মের কথা বললেই অনেকের মাথাব্যাথা, বমিবমি ভাব, চক্ষু ব্যাথা শুরু হয়।
অাইনস্টাইন একটা কথা বলেছিলেন,"বিজ্ঞান ধর্ম ছাড়া পঙ্গু, আর ধর্ম বিজ্ঞান ছাড়া অন্ধ"
Cosmology বা মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কিত বিষয় যখন বিজ্ঞানের বিষয় হিসাবে যুক্ত হয় সেটা সম্ভবত ১৯১৬ সালের দিকে।
কোরঅান যখন নাযিল হয়েছিলো তখন জ্যোতির্বিজ্ঞান ছিলো একদম প্রাথমিক পর্যায়ে।
পবিত্র কোরঅানে মহাকাশের বিস্তৃতি সম্পর্কে বলা হয়েছে-" অামি অাকাশ নির্মাণ করেছি অামার ক্ষমতাবলে এবং অামি নিশ্চই মহাসম্প্রসারণকারী।"( সুরা-যারিয়াত, অায়াত-৫১

এই মহাবিশ্বে পৃথিবী তার কক্ষপথে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১০৭২০০ কি.মি. বেগে ঘুরছে। যেটা শুরু থেকেই অপরিবর্তনীয়।
অাকাশ বা স্বর্গ শব্দটি কোরঅানে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহৃত হয়েছে।
এই শব্দটি ইঙ্গিত করছে মহাশূন্য এবং বিস্তির্ণ মহাবিশ্বের প্রতি। বিংশ শতাব্দির প্রারম্ভ পর্যন্ত বিজ্ঞান জগতে একটিমাত্র অভিমত প্রচলিত ছিলো। অার তা হলো, মহাবিশ্বের রয়েছে একটি অপরিবর্তনীয় প্রকৃতি (যেটা কখনই পরিবর্তন হয়না)। অার সেটা রয়েছে অনন্তকাল হতে।
যাই হোক, বর্তমান গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং গণনা কোটা সম্পন্ন হয়েছে অাধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যার মাধ্যমে। সেই গবেষণা প্রকাশ করেছে যে, বাস্তবিকই মহাবিশ্বের একটা শুরু ছিলো এবং এটা দিন দিন সম্প্রসারণ হচ্ছে।
বিংশ শতাব্দির শুরুতে রাশিয়ার পদার্থবিদ অালেকজান্ডার ফ্রিডম্যান এবং বেলজিয়ামের মহাবিশ্বতত্ত্ববিদ জর্জ লেমেইটার তত্ত্বগতভাবে নিরুপন করেন যে, মহাবিশ্ব একটা অপরিবর্তনীয় গতিতে চলছে।
অার সেই গতিটি হলো এর সম্প্রসারণ।
১৯২৯ সালে পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত ডাটা(উপাত্ত) ব্যবহারের মাধ্যমে (তাদের) এই ধারণার নিশ্চয়তা লাভ করে।
যখন টেলিস্কোপের সাহায্যে অাকাশ পর্যবেক্ষণ চলছিলো -অামেরিকার জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডউইন হাবল অাবিস্কার করেন যে, নক্ষত্র এবং ছায়াপথ সমূহ একে অপরের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে ।
এ অাবিস্কারকে গণ্য করা হয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসের একটি শ্রেষ্ঠ অাবিস্কার হিসাবে।
এ পর্যবেক্ষণ চলাকালীন সময়ে হাবল প্রকাশ করেন যে, নক্ষত্রসমূহ অালো নিঃসরণ করছে -যদিও তাদের দূরত্ব অনুসারে ( অাস্তে অাস্তে) পরিবর্তিত হচ্ছে লাল রঙে।
এটি ঘটছে পদার্থবিদ্যার একটি পরিক্ষিত সূত্র অনুযায়ী-অার তা হলো 'একটি বিন্দুর মুখে পরিচালিত অালো ( অাস্তে অাস্তে) পরিবর্তিত হয়ে বেগুনী রঙে এবং এ বিন্দুতে অালো যত দূরে সরে অাসে ততই রক্তিম বর্ণে রুপান্তর হতে থাকে।'
হাবল তার এই পর্যবেক্ষণ চলাকালীন মূহুর্তে তারকারাজী হতে বের হওয়া অালোর মাঝে লাল রঙের একটি প্রবণতা লক্ষ্য করেন।
সংক্ষেপে, তারকারাজিসমূহ একে অাপর হতে অধিকতর দূরে সরে যেতে থাকে। সবসময় এই তারকারাজী এবং ছায়াপথসমূহ অামাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে না বরং এগুলো একে অপর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
মহাবিশ্বের প্রত্যেকটা জিনিস যেভাবে অবিরতভাবে একে অপরের কাছ দূরে সরে যাচ্ছে সেটি এর প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকাকেই ইঙ্গিত করে।
চলতি বছরগুলোতে সম্পাদিত পর্যবেক্ষণসমূহ প্রমাণ করেছে যে, এই মহাবিশ্ব দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে।
এই তথ্যটি অাল কোরঅানে বর্ণনা করা হয়েছিলো এমন এক সময়ে যখন টেলিস্কােপ এবং এর অনুরুপ প্রযুক্তিক অগ্রগতিসমূহ উদ্ভাবনের কাছাকাছিও ছিলোনা।
এর কারণ শুধুমাত্র এটাই যে, কোরঅান হলো স্বয়ং অাল্লাহর বানী। যিনি সমগ্র মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা এবং শাসক।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০০

নতুন বলেছেন: অাইনস্টাইন একটা কথা বলেছিলেন,"বিজ্ঞান ধর্ম ছাড়া পঙ্গু, আর ধর্ম বিজ্ঞান ছাড়া অন্ধ"

উনি ধম` বিশ্বাস করতেন না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: উনি এবং হকিং সাহেবেরা মুদ্রার এপিঠ অার ওপিঠ।
ওনারা ধর্মকে বিশ্বাসও করেননা অাবার একেবারে ছুড়ে ফেলেও দেননা।
ধর্মের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে এদিক অাবার মাঝে মাঝে অন্যদিক বাঁক নেন।




২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

অনর্থদর্শী বলেছেন: আপনার সমগ্র আলোচনা এবং শেষ লাইনের যে সিন্ধান্ত টানলেন তার কোনো মিল পেলাম না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

সেলিম৮৩ বলেছেন: কোরঅানের অায়াতটি ভালোভাবে পড়ুন তাহলে মিল খুঁজে পাবেন।
অাল্লাহ এই বিশাল মহাকাশ সৃষ্টি এবং তার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে নিজ বক্তব্য তুলে ধরছেন।
অমিল কোথায় পেলেন বুঝলামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.