নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

সেলিম৮৩

সেলিম৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওরা কেন \'লাবিদের\' নিকট দৌড়ায়?

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

অারবী সাহিত্যের জয়জয়কার ছিলো তৎকালীন অারব বিশ্বে।
বলছি হযরত মুহম্মাদ (সাঃ) এর নবুয়ত প্রাপ্তির সময়কালের কথা।
তখনকার সময়ে অারবী সাহিত্য এমন উচ্চ পর্যায়ে পৌছেছিলো যে, সেই সময়ের কবি-সাহিত্যিকের অারবী কবিতা, সাহিত্যের উপর বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইউনিভার্সিটিতে থিথিস করে পি,এইচ,ডি ডিগ্রী পর্যন্ত অর্জন করছে।
যাহোক, নবী করিম(সাঃ) এর উপর যখন কোরঅান নাযিল শুরু হয় হলো তখন তার বিরোধীরা তথা কাফের-মুশরিকরা বলাবলি শুরু করলো, মুহম্মদের উপর নাকি ছুরা নাযিল হচ্ছে! এটা বানানো মিথ্যা কথা। অাসলে মুহম্মদ কবি হয়ে গেছে। এগুলো তারই রচনা করা।
যাহোক, তারা গলাবাজি শুরু করলো।
অাল্লাহপাক ঠিক এসময় এই অবিশ্বাসিদের প্রতি চ্যলেন্স ছুড়ে দিলেন। অাল্লাহপাক বললেন, তোমরা বলছো, কোরঅান মুহাম্মাদের লেখা কিতাব। তাহলে কােরঅানের সুরার মত একটি সুরা তৈরী করে নিয়ে এসো। (এটি অায়াত নাযিল করে চ্যালেন্স দিয়েছিলেন)।
কেননা,তিনি তো লেখাপড়া জানতেন না।
তখনকার কবি-সাহিত্যিকরা দিনরাত চেষ্টা করে গলদঘর্ম হয়ে গেলো কিন্তু একটি সুরা তো দূরে থাক একটা লাইন পর্যন্ত রচনা করতে পারলোনা।
কিন্তু তারপরও তাদের গলাবাজি বন্ধ হলোনা। তারা বললো, তোমরা যাই বলো, এগুলো তারই(মুহম্মদ (সাঃ) রচনা করা সুরা।
এর ভিতরে কোরঅানের সর্বকনিষ্ঠ সুরা নাযিল হলো। তিন অায়াত বিশিষ্ট সুরা; সুরা কাওছার।
তখন সাহাবিরা এই সুরার প্রথম দুই অায়াত ( ইন্না অা-ত্বইনা কালকাওছার। ফাছাল্লিরাব্বিকা অনহার) লিখে কাবা শরীফের গায়ে টাঙ্গিয়ে দেয়া হলো।
অার বলা হলো, তোমরা যারা বলছো এসব মুহম্মদ(সাঃ) বানানো কিতাব। তাদের জন্য কাবা শরীফের গায়ে একটি নাযিলকৃত সুরার প্রথম দুই অায়াত(তিন অায়াতের ভীতর) টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থের দিক থেকে মিল করে পরবর্তী অায়াতটি লিখে নিয়ে এসো।
এবার, দ্বীতিয় চ্যালেন্সটিতে তারা উঠেপড়ে লেগে গেল।
চেষ্টা যখন ব্যর্থতার দিকে এগুচ্ছে তখন তারা তৎকালীন কবি সম্রাট লাবিদ; যাকে বলা হতো 'অামিরুস শুয়ারা' তার দারস্থ হলেন এবং বললেন, ভাই লাবিদ, অামাদের কবিগিরির সম্মান এখন তুমি বাচাঁতে পারো।
অামাদের বিশ্বাস এই প্রথম দু'লাইনের পর তৃত্বীয় লাইনটি তুমি লিখে অামাদের ইজ্জত বাঁচাবে।
লাবিদ দিন-রাত চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত তৃত্বীয় লাইনটি লিখে ফেললেন।
এবং এই লাইনের যা অর্থ দাড়ালো তাতে অন্যন্য কবিরা হতাশ হয়ে পড়লেন।
তিনি ছন্দ মিলিয়ে লিখলেন, লাইছা হাযাল মিন কালামিল বাশার।
উল্লেখ্য প্রথম দু'লাইন/দুই অায়াত ছিলো, ইন্না অা-ত্বইনা কালকাওছার। ফাছাল্লিরাব্বিকা অনহার।
এখানে জুড়ে দিলেন, লাইছা হাযাল মিন কালামিল বাশার ।
যার অর্থ, এটা মানুষের তৈরী করা কোন সুরা নয়।
লাবিদ অসহায়ের সাথে বললেন, অামি দিন রাত চেষ্টা করে তৃত্বীয় লাইন যখন লিখতে ব্যর্থ হলাম তখন অামি এই লাইনটি লেখা ছাড়া অন্য উপায় ছিলোনা।
তিনি এবং তার দলবল নবী করিম (সাঃ) নিকট যেয়ে ইসলাম কবুল করলেন।
বর্তমান বিশ্বে লাখ নয় কোটি কোটি কোরঅানের হাফেজ রয়েছে।
৫-৬ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধ/বৃদ্ধা পর্যন্ত তাদের মগজে কোরঅান ধারণ করে ফেলছে।
এ পর্যন্ত অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থ কেউ মগজে হুবুহু ধারণ করতে পেরেছেন কি-না অামার জানা নাই।
এটা সম্ভব হয়েছে; কারণ-
'ওয়ালাকদ্ব ইয়াছছারনাল কুরঅানিল যিকর' অর্থাৎ অাল্লাহপাক বলেন, এই কোরঅান হেফজ করা/মুখস্ত করা অামি বান্দাদের জন্য সহজ করে দিয়েছি। (সুবহানাল্লাহ)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



এত সাহিত্যিক কিসের উপর লিখতেন? নিশ্চয় ব্লগে লিখতেন?

ইসলামের নবীর আবির্ভাবের কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে 'অন্ধ যুগ', কবিরা অন্ধ যুগের সৃস্টি করেছিলেন?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: সাহিত্যিকরা কিসের উপর লিখতেন? সাহিত্যিকরা তো অার অামেরিকা নিয়ে লিখতেন না।
বা দেশ কিভাবে উন্নয়নের জোয়ারে প্লাবিত করা যায় সে বিষয়ে লিখতেন না ।
'অন্ধ যুগ' বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
যেনা, ব্যভিচার, অযাচার, অন্যায় হত্যাকান্ড, লুটপাট, দখলবাজ, মেয়ে শিশু হত্যা তথা মানবীয় মূল্যবোধের চরম বিপর্যয়ের সময়কালকে তৎকালীন সময়ের 'অন্ধ যুগ' বলা হয়েছে।
অাপনারা যারা সভ্য বলে দাবি করছেন তারা ঐ সময়ের থেকে কম কিসে?
প্রযুক্তি, টেকনোলোজি মানুষের জীবনকে সহজ করেছে, অাদামদায়ক করেছে। কিন্তু মানবীয় গুনাবলী তৈরী করতে পারেনি।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

কল্যানপুর বলেছেন: কেননা,তিনি তো লেখাপড়া জানতেন না।
এটা কোথায় পেলেন? হাদিস থেকে? আপনি এসব হাদিস বিশ্বাস করেন? রাসূল (স) কে আর কত নিচে নামাবেন আপনারা? ব্লগার হানিফঢাকার view this link এই লেখাটি পড়ুন।

৫-৬ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধ/বৃদ্ধা পর্যন্ত তাদের মগজে কোরঅান ধারণ করে ফেলছে।
এ পর্যন্ত অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থ কেউ মগজে হুবুহু ধারণ করতে পেরেছেন কি-না অামার জানা নাই।

শুধু কি কোরআন মুখস্ত থাকলে হবে? যারা কোরআনের হাফেজ তারা কয়জনে কোরআন বুঝে পড়েন?

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: অাপনি বুঝতে ভুল করেছেন।
হযরত জিবরাইল তাঁর(হযরত মুহম্মদ(সাঃ) নিকট আসলেন(হেরা গুহায়) এবং তাঁকে সম্বোধন করে বললেন, "ইক্বরা" আপনি পড়ুন।রাসূল (স) বললেন আমি পড়তে জানিনা। তখন জিবরাইল রাসূল (স)-কে জড়িয়ে ধরলেন ও আলিঙ্গন করলেন। অতঃপর বললেন,"ইক্বরা"আপনি পড়ুন। রাসুল (স) উত্তরে বললেন আমি পড়তে জানিনা। জিবরাইল পুনরায় রাসুল(স)-কে আলিঙ্গন করলেন। এরুপে তিনবার আলিঙ্গন করার পর বললেন-সুরা আলাক্বের প্রথম পাঁচ আয়াত। রাসুল (স) উক্ত আয়াত মুখস্থ করে খাদীজার ঘরে ফিরে আসলেন।
এখানে ছোট করা হয়নি। কাফের-মুসরিকদের অবিশ্বাসের যুক্তিকে খন্ডন করার জন্য সত্য কথাটাই বলা হয়েছে।
শুধু ব্লগ থেকে হাবিজাবি মুখস্ত করে পান্ডিত্য না করে কোরঅান-হাদিস অধ্যায়ন করেন। সঠিকটা জানতে পারেবেন।
যারা কোরঅানের অাশপাশ দিয়েও চলেনা তারাই হাফেজ সম্পর্কে মন্তব্য করে, হাফেজ হলে হবে কি? কোরঅানের অর্থ জানেনা।
একজন কোরঅানের হাফেজ যদি কোরঅানের অর্থ নাও জানে তারপরও তার মূল্য অাল্লাহর নিকট অনেক অনেক বেশি।
অার অর্থ বুঝে যদি অামল করতে পারে তাহলে তো তার মূল্য কোন মাফকাঠিতে অানা যাবেনা।
অাপনার লিংক লেখলাম। এটা একটা চরম শঠতা মূলক লেখা।
অাপনি ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খান কেন? একজন মনের মাধূরী মিশিয়ে ইসলাম সম্পর্কে মনগড়া কিছু কথা লিখে দিলো অার অাপনি ঢোকঢোক করে গিলে ফেললেন!
যাচাই বাছাই করা তো দরকার না-কি?
অাসলে, মুল কথা হচ্ছে ইসলামের প্রতি এলার্জি থেকেই এসমস্ত উদ্ভট কথা অাপনাদের মত ব্যক্তিদেরই শোভা পায়।





৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দারুন লিখেছেন।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১১

সেলিম৮৩ বলেছেন: ওরা এখনো গলাবাজি করেই যাবে। ধন্যবাদ অাপনাকে।

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: চলুক তবে কলমের জিহাদ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: চলবে ইনশাঅাল্লাহ।

৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

মোঃ রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন: পড়ে আমার খুব ভালো লাগছে, চালিয়ে যান আপনার লেখা..................................

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: ধন্যবাদ অনুপ্রেরণার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.