নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

সেলিম৮৩

সেলিম৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'অামেরিকা\' হরমোন নিঃস্বরণ বাড়ে যাদের; সেক্স হরমোন না-কি প্রযুক্তি অার টেকনোলোজির হরমোন?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮


সামু ব্লগে অামার হাটাহাটি খুব বেশিদিন একটা নয়।
ব্লগে যাদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় তারা খুব ইনটেলিজেন্ট টাইপের।
এতটাই ইনটেলিজেন্ট যে, তাদের ব্লগে ঢু না মারলে পেটের ভাতই হজম হয়না।
অাবার মাঝে মাঝে পেটের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠে যখন দেখি এই ইনটেলিজেন্ট লোকগুলোর শরীরে অামেরিকান হরমােন ঢুকার চেষ্টা করছে।
বোধকরি, পৃথিবীতে যে কয়টি রাষ্ট্র অাধুনিক প্রযুক্তি অার টেকনােলজি সম্মৃদ্ধ( অামেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানী, জাপান, চায়না) তারা এই প্রযুক্তির অার টেকনােলজির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে অনৈতিক কর্মকান্ড সরবরাহ করছেন এবং নিজেরাও এর প্রতিযোগীতায় নেমেছেন।
যখন রিপোর্ট দেখলাম, অামেরিকায় প্রতি দুই মিনিটে একজন নারী ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে তখন বুঝলাম এটা প্রযুক্তির অার টেকনােলজির পাশাপাটি ধর্ষণেরও প্রতিযোগীতার একটা অংশ।

বিশ্বে যতগুলো উলঙ্গ সী বীচ অাছে ( সম্ভবত ৮-৯ টি হবে) তথা যেখানে কাপড় খুলিয়া অনায়াসে ঘোরাঘুরি করা যায় তার দু'ইটিই ফ্লোরিডায় অবস্থিত। একটা মিয়ামীতে হউলোভার বীচ অন্যটা এ্যাপোলো বীচ।
অন্যান্যগুলো ব্রাজিল, অট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, হাউয়াই, ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতে অবস্থিত।
শুনেছি অাদিম মানুষ লজ্জা নিবারনের জন্য গাছের পাতা পরতো। এখন অাধুনিক সভ্যতার ধারক এবং বাহকরা লজ্জা খুলে দেয়ার জন্য অান্দোলন করছে কেন সেটা চিন্তার বিষয়।
অামেরিকার নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান দেখলে কিভাবে মনে হতে পারে তারা একটি সিভিলাইজড জাতি।
অামেরিকার গড়ে প্রতি বছর প্রায় ২৮৮৮২০ জন শিশু এবং নারী ধর্ষনের স্বীকার হচ্ছে সেটা পৃথিবীর সব্বোর্চ রেকর্ড।
এর ভীতর ১২-১৭ বছরের ১৫%, ১৮-৩৪ বছরের ৩৪% , ৩৫-৬৪ বছরের ২৮% যৌন নির্যাতন বা ধর্ষনের স্বীকার হচ্ছে।
প্রশ্ন হলো, যে দেশের নারী স্বাধীনতা একেবারেই চরমে, সেক্সের ক্ষেত্রে বিশাল স্বাধীনতার সুযোগ রয়েছে। সেদেশে এই অবস্থা কেন?

এটাও একটা বিরাট প্রশ্ন , কেন অামেরিকায় প্রতি ছয়জন নারীর একজন সেক্সচ্যুয়াল ভায়োলেন্সের স্বীকার হয় ? যেখানে গড়ে প্রতিজন নারী-পুরুষ ৮/১০ জনের সাথে অবৈধ পন্হায় সেক্স করে থাকে।

কর্তব্যরত অবস্থায় নারী সেনাবাহিনী তার পুরুষ সহকর্মী দ্বারা অপ্রত্যাশিতভাবে সেক্সচ্যুয়াল ভায়োলেন্সের স্বীকার হতে হয়। যার মাত্রা ৪.৩%.
সেটা সেপ্টেম্বরের ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত প্রায় ১৮৯০০ জন।
যাদের নিকট হেজাব ইডেয়টদের সৃষ্টি তারা চোখে দেখেনা যে, যেখানে উন্মুক্ত যৌন পরিবেশ রয়েছে সেখানে কিভাবে নারীরা পুরুষদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে।
না-কি তাদের সেক্স হরমোনের নিঃস্বরণ বাঙ্গালীর থেকে বেশি?
নারীরা কাপড় অাটোসাটো,খাটো এবং ছোট করে পরবে অার পুরুষদের বলা হবে তোমরা হরমোনের নিঃস্বরণ কমাও।
জৈনিক ব্লগারের ভাষ্যের সারমর্মটা এমন,
তিনি একটা পিকচার দেখলেন; সেখানে কয়েকজন ইয়াং তরুণ-তরুনী উলঙ্গ হয়ে অাড্ডা মারছে। কিন্তু পুরুষদন্ডগুলো নিস্তেজ রয়েছে। যেটা ইয়ের জন্য প্রস্তুত নহে।
এর থেকে তিনি প্রমাণ টেনেছেন, পোষাক থাকুক বা না থাকুক সেটা মূখ্য বিষয় নয় বিষয়টা মানসিক বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত।
মানে দাড়ালো, পুরুষদন্ডটা নিয়ন্ত্রন করবেন নিজ দায়িত্বে সেটা যে পরিবেশ হোকনা কেন?
এমন মচতকার যুক্তি পড়ে অনেকে বাহাবা দিয়ে দিলেন। অামিও একগাল হেসে বললাম, যতেচ্ছাই ব্যবহারে ওটার বারোটা বেজে গেছে।
কিছুদিন পরে অার কোনদিন জাগ্রত হবেনা।
যারা এমন ধ্যান-ধারনা নিয়ে চলেন, তাদের বোধকরি শরীরে শুধু প্রযুক্তি অার টেকনোলোজির হরমোন ছাড়া অন্য কোন হরমোন নেই।
কিন্তু অামেরিকার সবটাই অর্থাৎ সেক্স হরমোন এবং প্রযুক্তি অার টেকনোলোজির হরমোন দু'টই অাছে।














মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক মনযোগ দিয়ে লিখাটি পড়লাম । দিন কয়েক ধরে আমিরিকার সেক্নচুয়াল ঘটনাবলীর পরিসংখ্যান নিয়ে একটু ঘ্টাঘাটি করতে ছিলাম । আমিরিকার প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে দেখরাম দুই প্রার্থীই এটা নিয়ে টানাটানি করছেন । একদিকে নারী আর এক দিকে পুরুষ থাকায় এটায় পালে বেশ হাওয়া লেগেছে । তথ্য ঘেটে দেখতে চেয়েছিলাম এটা কেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারে ।
অাপনার তথ্যবহুল লিখার পরিসংখ্যান হতে মিলল অনেক উত্তর প্রয়োগ হবে তা যেখানে যখন প্রয়োজন পরে ।
অনেক ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: ধন্যবাদ অাপনার মতামতের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.