![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যতটা না বাস্তব তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গবেষণা করেন; ফলাফল বা তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে গানিতিক হিসাব নিকাশের উপর বেশি নির্ভর করে থাকেন। এজন্য দেখা যায়, তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফলের ক্ষেত্রে 'ধারণা' শব্দটি সংযুক্ত থাকে। এবং প্রায়শই তাদের ফলাফল পরিবর্তিত হতে থাকে।
অামরা মানুষ হিসাবে চাঁদের বাইরের কোন গ্রহে স্বশরীরে যাবার ক্ষমতা অর্জন করতে পারি নাই। তার মানে, অামরা মহাকাশে মাত্র ৩৮৪৪০৩ কিলোমাটার বা ২৩৮৮৫৭ মাইল যেতে পেরেছি । হয়তো ২০২০-৩০ সাল নাগাদ অারো কিছুটা দূরে তথা মঙ্গল গ্রহে পা রাখতে পারবো। হয়তো তখন অামরা অানুমানিক ৫ কোটি ৬০ লক্ষ কিলোমিটার বা ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ মাইল দূরে অবস্থান করতে পারবো।
এই দূরত্বটা বলা হলো- যখন মঙ্গল পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটে থাকে তখনকার হিসাব। কেননা, মিনিটে মিনিটে পৃথিবী থেকে মঙ্গলের দূরত্ব পরিবর্তিত হচ্ছে।
অামাদের পৃথিবী এবং অাটটি গ্রহ এবং শতাধিক উপগ্রহ যে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে; এটাকে অামরা বলি সৌরজগত। এইরকম লক্ষ কোটি সৌরজগত নিয়ে তৈরী হয় এক একটা গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ।
এই একএকটা ছায়াপথে রয়েছে কোটি কোটি নক্ষত্র এবং অামাদের সূর্য এই নক্ষত্রের একটি সদস্য মাত্র। অামাদের নিকটাবর্তী যে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি অর্থাৎ যে গ্যালাক্সিতে অামরা বসবাস করি তার ব্যাস ১০০০০০–১২০০০০ লাইট ইয়ার।অর্থাৎ ১০০০০০ -১২০০০০ বছর ধরে অালো যত পথ যেতে পারে। ( অালাে এক সেকেন্ডে যেতে পারে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল ) । এগুলো কিন্তু জ্যোতির্বিদ এবং মহাকাশবিজ্ঞানীদের ধারণাগত বা গানিতিক হিসাব।
জ্যোতির্বিদরা এখন বলছেন, এই রকম গ্যালাক্সি মহাকাশে প্রায় দুই ট্রিলিয়নের বেশি রয়েছে। অর্থাৎ ২০০০০০ কোটির উপর গ্যালাক্সি রয়েছে। এটাও কিন্তু সেই হাবল টেলিস্কপের সাহায্যে প্রাপ্ত ছবি থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাপ্ত ফলাফল।
এটা কিন্তু সঠিক হিসাব নয়। কেননা মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এখনো পর্যন্ত মোট ছায়পথের বা গ্যালাক্সির হিসাবের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে অাসতে পারেন নি।
কেন পারা সম্ভব নয়?
বিশ্বজগতে অালোর একটি মাত্র উৎস রয়েছে যা থেকে পৃথিবীতে অালো এসে পৌছায় । বাকীগুলো অামাদের অাওতার বাইরে। অর্থাৎ অালোকিত অংশটুকু নিয়ে অামরা গবেষণা করছি তাও অাবার অামরা যেটেকু দেখতে পাচ্ছি । অানন্দিত হবার কিছু নেই। এই দৃশ্যমান মহাবিশ্বের মাত্র ১০ ভাগ অামরা দেখতে পারি উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে।
বাকী যে অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাবিশ্ব সেটা একেবারেই অজানা। অাবার অাধুনিক কিছু বিজ্ঞানীরা বলছেন মহাবিশ্ব একটা নয় কোটি কোটি হতে পারে। টেগ্মার্কের হিসাব অনুযায়ী আমাদের মতই একটা ইউনিভার্স বা মহাবিশ্ব পাওয়া যেতে পারে 10^10^10000000 টি।
ওতদূর নাই গেলাম। অামাদের কথাই বলি।
ইউনিভার্সিটি অব নটিংহামের বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার কোনসেলাইস বলেন, শুনতে চমক লাগতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ছায়াপথগুলোর ৯০ শতাংশের গবেষণাই এখনো বাকী রয়েছে।
এখন পর্যন্ত গানিতিক মডেল ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা 'অদৃশ্যমান' (যেখানে অালো নেই বা অামরা দেখতে পাইনা) ছায়াপথগুলোকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক দাবি করছেন যে তারা পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরের ছায়াপথ অাবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। যার নাম দিয়েছন ইযেএস-জেড৮-১। তার দূরত্ব পৃথিবী থেকে খুব একটা বেশি নয়। মাত্র কয়েক হাজার কোটি অালোকবর্ষ দূরে। কিন্তু অাসলে কি এটাই সবচেয়ে দূরের? অবশ্যই না। কেননা, এই বিজ্ঞানীরাই কিছুদিন পর অাবার হিসাব পাল্টাবেন। তাও অাবার থিউরীগত বা অনুমান বা ধারণাগত। এভাবে শুধু হিসাব হতেই থাকবে ( কেয়ামত পর্যন্ত) অার উনাদের (বিজ্ঞানীদের)গলা শুকাতে থাকবে।
অার অামরা সেই হিসাব শুনে পুলোকিত হতে থাকবো। অার বলতে থাকবো, ওরা মহাকাশের মাপামাপির কাজ সব শেষ করে ফেললো অার অামরা কি করলাম?
দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। এক বস্তা সরিসার ভিতর একটা সরিসা নিয়ে গবেষনাই উনারা শেষ করে পারেন নাই। বাকী বস্তা বস্তা সরিসা তো পড়েই অাছে ।
অহংকারী কিছু মানুষকে বলি ; তোমাদের অস্তিত্বটা কোথায়? ভেবে দেখেছো কি?
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬
সেলিম৮৩ বলেছেন: Also you for nice comment.
অামাদের পৃথিবীর অস্তিত্বটা মহাবিশ্বের তুলনায় অতিশয় নগন্য।
সেই পৃথিবীর মানুষ অামরা গান গাই, 'দুনিয়াটা মস্ত বড়, খাও দাও ফুর্তি করো'।
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
বাবাজান বলেছেন: বাহ্ দারুন, দারুন, আপনি ঠিক কথা বলেছেন,
এসবই নিউটন ও অন্যান্যদের, ধারনা, কল্পনা, ও সুত্র দিয়ে, করা "অন্ধবিশ্বাস"
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
সেলিম৮৩ বলেছেন: 'নিউটন' অাবার কি করলো?
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
কানিজ রিনা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আসলে আমার
বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারনা খুব কম।
তবুও বলব বিজ্ঞান আমাদের যান্ত্রীক সভ্যতা
দিয়েছে।
আর জর্তিবীজ্ঞান আজও পুতুল খেলার ছল
মাত্র। যা আমাদের জ্ঞানের পরিধির বাইরে
তা নিয়ে পুতুল খেলার ছল বৈকি।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬
সেলিম৮৩ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। যেটা অামাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে সেটার নাগাল মানুষ কখনই পাবেনা।
সসীম মানুষ অসীম জগত সম্পর্কে কখনই জানতে পারবেনা। হয়তো দৃশ্যমান সামান্য কিছু জানতে পারবে।
ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সসীমতা দিয়ে অসীমেক কখেনা বোঝা সম্ভব নয়!
+++
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮
সেলিম৮৩ বলেছেন: অবশ্যই সম্ভব নয়। ধন্যবাদ।
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭
মেহেদী হাসান জাহিদঅ বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর একটি পোস্ট। খুব ভালো লাগলো।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪
সেলিম৮৩ বলেছেন: ধন্যবাদ অাপনার মন্তব্যের জন্য।
৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০
করুণাধারা বলেছেন: পড়তে পড়তে গলা শুকিয়ে গেল। সব মিমাংসা হয়ে যাবে যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
সেলিম৮৩ বলেছেন: জ্বি, অব্যশ্যই মিমাংসা হয়ে যাবে। অার অবিশ্বাসীরা সেদিন হতাশ হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ অাপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:
অহংকারী কিছু মানুষকে বলি ; তোমাদের অস্তিত্বটা কোথায়? ভেবে দেখেছো কি?
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১
সেলিম৮৩ বলেছেন: হুম..
৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তারপরও হেনতেন কথা বলেই যাবে অবিশ্বাসীরা...
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
সেলিম৮৩ বলেছেন: অবিশ্বাসিদের সামনে যখন সব সত্য প্রকাশিত হয়ে যাবে তখন তাদের সামনে অার কোন পথ খোলা থাকবে না।
শুধুই হতাশা , দূর্ভোগ তাদের সামনে ধরা দেবে।
তারপরও হেনতেন কথা বলেই যাবে অবিশ্বাসীরা...
৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬
কলাবাগান১ বলেছেন: পাগলের মনে সুখ এটা মনে করে যে 'ওরা' কিছুই জানে না। এই বিজ্ঞানীরা যা আবিস্কার করেছে, তা দিয়ে আজ যেখানে ২০-৩০ বছর মানুষ বাচত... সেটা এসে ৭০-৮০ তে ঠেকেছে। আপনার মত মহা বিজ্ঞানীর দ্বারা তো একটা সুচ ও আবিস্কার হয় না... কম্পিউটারের কি বোর্ডে ঝড় তুলছেন..এই কম্পিউটার আবিস্কার করতে কোন সরিসা বিজ্ঞানীর গলা শুকায় নাই
আপনাদের হাতে আছে শুধু চাপাতি..সৃস্টি করতে না পারেন কিন্তু ধ্বংস করতে উস্তাদ
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৪
সেলিম৮৩ বলেছেন: অামার লেখায় মহাকাশ সম্মন্ধে বলা হয়েছে; কোন বিজ্ঞানীকে ছোট করা হয়নি।
স্পেশালী যারা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করেন তাদের গবেষণালব্ধ তথ্য এবং মহাকাশের প্রাপ্ত ছবির ভিত্তিতে তারা প্রতিনিয়ত তাদের হিসাব পাল্টাচ্ছেন।
তারা অসীম মহাবিশ্বের এখনো কিনারে পড়ে অাছেন।
অামার লেখার উদ্দেশ্য হয়তো অাপনাকে বোঝাতে পারে নাই।
মানুষের যে জ্ঞানের একটা লিমিট অাছে। এটাই অামি বোঝাছে চেয়েছি।
চাপাতী কারা বেশি ব্যবহার করে; নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে জরিপ করে দেখেন।
১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭
কলাবাগান১ বলেছেন: উনারা হিসাব পাল্টাচ্ছেন না। নতুন জ্ঞান যোগ করছেন।
"there aren't 200 billion galaxies in the universe. It's more like 2 trillion. " হাবল টেলিস্কোপ এই নতুন জ্ঞান উপহার দিল..। এখানে হিসাব পাল্টানোর কি হল। আরো পাওয়ার ফুল টেলিস্কোপ আবিস্কার হলে এই সংখ্যা বাড়তে ও পারে...তারপরে ও আপনার মত বিজ্ঞানীরা বলবেন যে আমরা মানুষ রা সকল কিছুর কেন্দ্রবিন্দু...গ্যালিলিও না আসলে এখনও বক ধার্মিকের কথা মত আমাদের বিশ্বাস করতে হত এই মহা বিশ্বের সব কিছুই পৃথিববির চারদিকে ঘুরছে এমনকি সূর্য ও। আর যখন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ধর্মান্ধদের যে বিশ্বাস ছিল যে পৃথিবী সমতল এবং সে বিশ্বাস কে ভেংগে যখন বলল যে পৃথিবী গোল, ঠিক তখনই আপনার মত কিছু মাথা মোটা সামু ব্লগে বিরাট জ্ঞানী পোস্ট দিয়েছিল যে বিজ্ঞানীরা আবার হিসাব পাল্টায়ে একদিন বলবে যে না পৃথিবী গোল না .... এটা চারকোনা
১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
সেলিম৮৩ বলেছেন: It's more like 2 trillion. এটাই অামি উল্লেখ করেছি।
কোরঅানের কোথায় পৃথিবীকে সমতল বলা হয়েছে রেফারেন্স দিন।
বলা হয়েছে, And after that He made the earth shoot out from the Cosmic Nebula and made it spread out egg-shaped (79:30)
যিনি তোমাদের জন্য ভুমিকে করেছেন বিছানা । সূরা-যুখরুফ-৪৩:১০
"আল্লাহ তা'আলা তোমাদের জন্য ভূমিকে করেছেন বিছানা।" (সুরা নুহ - ৭১: ১৯)
এই অায়াতগুলোর অর্থ সুকৌশলে প্রচার করা হয়েছে যে, পৃথিবীকে সমতল বলা হয়েছে।
এ কথা পরিষ্কার যে, বিছানা দ্বারা কখনোই সমতল বুঝানো হয়না বরং আরাম বা আয়েশ বুঝানো হয়।
মানুষ যদি চিন্তার সীমাবদ্ধতায় ভোগে তবে সে কার্পেট বা বিছানাকে সমতলই ধরে নিবে। স্ফেরিকাল কিংবা বক্র বিছানা কি অসম্ভব??- নয়। আমি যদি পুরো পৃথিবীকে কার্পেট দিয়ে মুড়িয়ে দেয়ার চিন্তা করি তবে কি সেই বিছানা সমতল হবে??-না। সেটি স্ফেরিকালই হবে। আপনি পাহাড়ি অর্ধবৃত্তাকার রাস্তায় কার্পেটিং করুন, সেটা কি সমতল হবে?-না। বরং বক্র হবে
তাহলে কেন কার্পেট বা বিছানা বলতেই সমতল বুঝতে হবে??
একমাত্র কোরঅানই বলেছে প্রায় ১৪৫০ বছর অাগে যে, সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া, আর রজনীর পক্ষে সম্ভব নয় দিবসকে অতিক্রম করা; আর প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমন করছে (সাঁতার কাটছে)” [সূরা ইয়াসিন: ৪০]
জানিনা, অাপনি এসব উল্টাপাল্টা কথা কই পেলেন।
১২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১৯
কলাবাগান১ বলেছেন: আবল তাবল কথা...আমার আসল কথা ছিল নীচের
১৫০০ -১৬০০ সন পর্যন্ত্য সকল ধর্মের গুরু দের কথায় সবাই বিশ্বাস করত যে পৃথিবীর চারদিকে সব কিছু ঘুরে...গ্যালিলিও উল্টা বলাতে চাপাতির কোপের মতই তাখে মৃত্য বরন করতে হয় ধরমান্ধদের হাতে...
ধর্মগ্রন্হ যদি সবই জানে তবে এই সিম্পল কথা কেন জানত না যে পৃথিবির চারদিকে সূর্য ঘুরে না
১৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮
সেলিম৮৩ বলেছেন: তাকে যারা গৃহে অন্তরীন করে রেখেছিলেন এবং ধর্মদ্রোহী হিসাবে অাখ্যায়িত করেছিলেন তারা ধর্মজ্ঞানী ছিলোনা; ধর্মান্ধ ছিলো।
অাধুনিক যুগে এসেও মানুষ ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করে মানুষ কোপায়। মানুষকে জেলে বন্ধী করে রাখে।
কোরঅান শুধু যদি বলতো পৃথিবী সূর্যের চারাদিকে ঘুরে; তবে অাপনাদের মত কিছু কোরঅানের ভুল ধরা পন্ডিত বলতো, তাহলে কোরঅানের তথ্য মতে বলা যায়, সূর্য স্থির অার পৃথিবী ঘুরে।
কোরঅান বলেছে, .....আর প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমন করছে ।
শুধু পৃথিবী নয়; সমগ্র মহাবিশ্বের যত গ্রহ , উপগ্রহ, নক্ষত্র অাছে সবই ঘুরছে। কোরঅান কেন শুধু পৃথিবী ঘোরার কথা বলতে যাবে।
তাহলে তো অাপনাদের ভুল ধরার পথটা অারো প্রশস্ত হতো।
১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০
কলাবাগান১ বলেছেন: ক্যাথলিক পোপের লোকেরা ধর্মজ্ঞানী ছিলোনা; ধর্মান্ধ ছিলো। হাসালেন ....
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪
সেলিম৮৩ বলেছেন: ওরা এখনো ভুল নিয়েই বেঁচে অাছে।
প্রোটেস্ট্যান্ট বলেন অার রোমান ক্যাথলিক পোপ বলেন ওরা একই সূত্রে গাঁথা।
বাইবেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অগনিত ভুলে ভরা। এগুলো নিজস্ব চিন্তাধারা থেকে কাটছাট করে মনের মাধুরী মিশিয়ে লেখা এক গ্রন্থ।
এই গ্রন্থের অনুসারীরা ধর্মান্ধ ছাড়া কিছুই নয়।
অার এজন্যই গ্যালিলিওকে তার চরম মূল্য দিতে হয়েছিলো।
পোপের অনুমতি ছাড়া কোন গবেষণা বা থিওরী তিনি প্রকাশ করতেও সক্ষম ছিলেন না।
এটা কতবড় রক্ষণশীল টাইপের মনোভাব ভেবে দেখুন। টলেমীর এবং কোপার্নিকাস তো ভুল বলেছেন; সেই ভুল শোধরাতে তাকে এতবড় মূল্য দিতে হলো; সেটা ধর্মান্ধ ছাড়া অার কে-বা দিতে পারে।
১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
সেলিম৮৩ বলেছেন: গ্যালিলিও উল্টা বলাতে চাপাতির কোপের মতই তাখে মৃত্য বরন করতে হয় ধরমান্ধদের হাতে...
কথাটি অাপনি বলেছেন। অাবার অাপনিই স্বীকার করছেন যে তৎকালীন ক্যাথলিক পোপ ধর্মান্ধ ছিলেন না।
বলেছেন, ক্যাথলিক পোপের লোকেরা ধর্মজ্ঞানী ছিলোনা; ধর্মান্ধ ছিলো। হাসালেন ....
কি যে বলেন সেটা মনে হয় নিজেই বুঝতেছেন না। ভেরি স্যাড মি. কলাবাগান১
১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৫
কলাবাগান১ বলেছেন: যারা ই ধর্ম দিয়ে বিজ্ঞান কে জাস্টিফাই করে তার উভয়ই- নিজেরা মনে করে ধর্মজ্ঞানী কিন্তু আসলে ধর্মান্ধ
১৬০০ সন পর্যন্ত্য আপনার ধর্মজ্ঞানী রা কেন এই এত বড় ভুল ধরলেন না.. কেননা আপনারা এটা যে কি বিরাট বিষয় সেটাই বুঝেন নাই.
সব ধর্ম ই মনে করে আসছিল যে তারাই সেরা আর সবাই তাদের (পৃথিবীর) চারদিকে ঘুরছে।
গ্যালিলিও আবিস্কারের আগে কেন
"আর প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমন করছে" এই সমস্ত অতিকায় ব্যাখা আসে নাই..কেননা তারা ও জানত না এটা দিয়ে কি বুঝায়...আপনারা এখন আপন মনের মাধুরী দিয়ে ব্যাখ্যা দাড় করিয়েছেন.... এটা দিয়ে কি বুঝায় পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে???? শব্দ কে ষ্ট্রেস করে অনেক ব্যাখাই দাড় করানো যায় বিজ্ঞান সেটা করে না...তারা এক্সপেরিমেন্ট করে সিউর হয়েই তবে কথা বলে...আপনার মত কাঠমোল্লাদের মত না বুঝেই বলে উঠেনা যে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা সরিসা বিজ্ঞানী...আপনাদের উচিত নাসা কে দখল করে নিয়ে ধর্মগন্ত্র এর আলোকে নাসাকে পরিচালিত করা
মহা বিশ্বের যে ব্যাপ্তি তাতে পৃথিবী র যত বালুকনা আছে (সমুদ্র তীরে) তার একটা মাত্র বালুকনা হল পৃথিবী..মহা বিশ্বে তার কোন অস্তিত ই নাই...আর সেখানে দাড়িয়ে আপনারা বলছেন যে আমরাই সুপ্রিম।
১৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
সেলিম৮৩ বলেছেন: শব্দকে স্ট্রেস করে 'টেবিল' কে তো অার 'চেয়ার' বানানো যায়না।
এখানে অারবীতে যে শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা হলো, 'ইয়াছবাউন' যার অর্জিনাল মিনিং হলো 'সাঁতার কাটা'। গ্রহ, নক্ষত্র সাঁতার কাটছে মানে কি বুঝবেন?
এখন এই 'সাঁতার কাটা' শব্দটিকে মোল্লারা (অাপনার কথায়) কি স্ট্রেস করেছে ব্যাখ্যা দিন?
গ্যালিলিও কোন কাঠমোল্লা দ্বারা অাক্রান্ত হয়নি। ওটা বাইবেলের অনুসারীদের নিকট শুনুন। তারাই বর্তমানে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির শীর্ষে অবস্থান করছে।
কোরঅান কোন বিজ্ঞানের বই নয়। It isn't a book of Science but of Sign.
কোরঅানের কোন অংশই বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। ৮০% বিষয় বিজ্ঞান সমর্থন করে। বাকী ২০% বিজ্ঞান প্রমাণ করতে পারে নাই। তার মানে এই নয় যে ২০% ভুল। হয়তো মানুষ বাকী ২০% ভবিষৎতে বিজ্ঞানের অারো উন্নতির সাথে সাথে প্রমান করতে সক্ষম হবে অথবা মানুষের জ্ঞানের অাওতার বাইরেই থেকে যাবে।
১৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:২১
কলাবাগান১ বলেছেন: যদি কোথাও দেখাতে পারেন যে 'কক্ষপথ' /orbit শব্দটা আক্ষরিক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে, তাহলে আপনার কথা মেনে নিব।
কমন সেন্সেই বলে যে চাদ ভাসছে আর 'সাতার কাটছে" কেননা সন্ধায় চাদ যেখানে সকালে চাদ অন্য জায়গায়...
সাতার শব্দ পর্যন্ত্য ই দৌড়....
১৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:১৮
নতুন বলেছেন: কেননা, এই বিজ্ঞানীরাই কিছুদিন পর অাবার হিসাব পাল্টাবেন। তাও অাবার থিউরীগত বা অনুমান বা ধারণাগত। এভাবে শুধু হিসাব হতেই থাকবে ( কেয়ামত পর্যন্ত) অার উনাদের (বিজ্ঞানীদের)গলা শুকাতে থাকবে।
অার অামরা সেই হিসাব শুনে পুলোকিত হতে থাকবো। অার বলতে থাকবো, ওরা মহাকাশের মাপামাপির কাজ সব শেষ করে ফেললো অার অামরা কি করলাম?
দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। এক বস্তা সরিসার ভিতর একটা সরিসা নিয়ে গবেষনাই উনারা শেষ করে পারেন নাই। বাকী বস্তা বস্তা সরিসা তো পড়েই অাছে ।
অহংকারী কিছু মানুষকে বলি ; তোমাদের অস্তিত্বটা কোথায়? ভেবে দেখেছো কি?
আসলেই বিজ্ঞানীরা কিছু দিন পরে পরেই তাদের থিউরি/আবিস্কার পাল্টায়...
এরা না পাল্টালে এই ব্লগ আপনি লিখতে পারতেন না। ( এই সব আবিস্কারই হতো না)
বিজ্ঞানীদের সরিসা বিজ্ঞানী বলাটা কি অকৃতঙ্গতা নয় নি?
এন্টিবায়টিক/ভ্যাকসিন/ঔষুধের জন্য আপনি এতো তিন বেচে আছেন.... নতুবা ২০-৩০ বছর গড় আয়ু থাকতো...
চাকা/গাড়ী আবিস্কার না হলে উটের পিঠে চলাফেরা করতে হতো।
কম্পিঊটার আবিস্কার না হলে আপনার ব্লগ লেখা হোত না...
<<<এই লিস্ট অনেক লম্বা...
আর আপনি এর পেছনে যেই সব বিজ্ঞানীদের অবদান আছে তাদের দিকে তাকিয়ে হাসছেন? সরিসা বিজ্ঞানী বলছেন?
মানুষ যেহেতু চাদে গিয়েছে ...মঙ্গলে যাবার পরিকল্পনা করছে তাই আপনি যেই টাকে সবচেয়ে দুরের গেলাক্সি বলছেন .... সেটাতেও মানুষ একদিন যাবে বলেই বিশ্বাস করি। ( হয়তো সেটা কোটি কোটি বছর পরে কিন্তু সেটা সম্ভব এই সব সরিসা বিজ্ঞানীদের দাড়াই)
২০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৪১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: সায়েন্টিস্টদের ছোট না করে সামগ্রিকভাবে মানুষ জাতিকে ক্ষুদ্রভাবে দেখলে আপত্তি থাকত না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০২
রাসেল বলেছেন: Thanks for your writing, especially for your last paragraph.