নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

সেলিম৮৩

সেলিম৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ইসলাম মানব রচিত ধর্ম"-" বিবেক ও সত্য " ব্লগারের জ্ঞাতার্থে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:২৪


ইসলাম মানব রচিত ধর্ম । বেশ, যুক্তি, তর্ক পেশ করুন। অাপনাকে স্বাগত জানাবো।
টিকতে পারলে টিকবেন, না হলে চিপাচাপা দিয়ে পালাবেন।
(১) অন্য ধর্মের কোটি কোটি লোক রয়েছে। তাদের ধর্ম কার রচিত? তাদের সংশোধণ করেন না কেন? শুধূ ইসলামের প্রতি এলার্জি কেন?
(২)বেদ-প্রাচীন ভারতে রচিত একাধিক ধর্মগ্রন্থের একটি সমষ্টি। মহাভারত- রচয়িতা ব্যাসদেব। রামায়ণ-রচয়িতা বাল্মীকি। ত্রিপিটক-বুদ্বের দর্শন এবং উপদেশের সংকলন। বাইবেল-খ্রিস্টধর্মমতে, ১৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৪০জন লেখক বাইবেল রচনা করেছিলেন। এরা ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন লোক। খ্রিস্টানগণ বিশ্বাস করেন, এই বাইবেল রচনা হয়েছিল খ্রিস্টীয় ত্রিত্ববাদের অন্যতম পবিত্র আত্মার সহায়তায়।
কিন্তু কোরঅানের ক্ষেত্রে কি বলবেন? ইহার লেখক কে? যদি কোন গ্রন্থ থেকে নকল করা হয় তবে তার যথাযথ রেফারেন্স দিন।
(৩) যদি মুহাম্মাদ (সাঃ) লিখে থাকেন তবে কিভাবে সম্ভব? কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোন শিক্ষকের নিকট পড়াশোনা না করে এতবড় ছন্দময়, অর্থবহ এবং চমৎকার ব্যকরণ সমৃদ্ধ গ্রন্থ কিভাবে লিখলেন? তিনি তো ইতিহাসবিদ ছিলেন না। তাহলে কিভাবে কোরঅানে এতসব ঘটনা লিখে ফেললেন?
(৪) পরকাল অাছে। এজীবনটাই শেষ নয়। পার্থিব জীবনের যাবতীয় কর্মফলের হিসাব পরকালে দেয়া লাগবে একমাত্র অাল্লাহর কাছে। একমাত্র তারই এবাদত করতে হবে। এই কথা বলে কাফের, মুশরিকদের বেদম মার খেয়েছেন তিনি। এতে তার লাভটা কি ছিলো? এসব কাজ করে তিনি তো অঢেল সম্পত্তির মালিক হননি বা প্রাসাদ বানিয়ে বসবাস করেন নি। না খেয়ে, না দেয়ে ইসলাম প্রচার করে তার লাভটা কি ছিলো?
(৫) সারারাত জেগে জেগে তিনি অাল্লাহর এবাদত করতেন। অাল্লাহর ভয়ে তার দাড়ি মোবারক ভিঁজে যেত । কেন তিনি এসব করতে গেলেন?
(৬) কাফের মুসরিকরা পর্যন্ত হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) কে 'অালামিন' খেতাব দিয়েছিলেন। কেন?
(৭) একমাত্র কোরঅান ছাড়া অন্য কোন ধর্মগ্রন্থ মুখস্ত করা সম্ভব হয়নি। কেন? সেটা এক দুইজন নয়, কোটির উপরে । এর লজিকটা কি?
(৮) কোরঅান ছাড়া এমন কোন ধর্মগ্রন্থ নেই যা সংশোধন বা পরিমার্জন হয়নি। কিন্তু কোরঅানের শুরু থেকে একটি অক্ষর পর্যন্ত পরিবর্তন হলো না কেন?
অাসুন দ্বীতিয় অপশনেঃ
(১) অাপনি ইসলামকে বিশ্বাস করেন না। বেশ, এটা অাপনার নিজস্ব চিন্তাধারার একটা বহিঃপ্রকাশ। তাহলে এবার বলুন, প্রথম মানুষের শুরু কিভাবে হলো? পৃথিবীর অসংখ্য প্রাণীর প্রথম শুরু কিভাবে হলো? বিজ্ঞানিরা কিন্তু বলেই ফেলেছেন, একটি মাত্র অাদি কোষ থেকে একাধিক প্রজাতির প্রাণীর বিকাশ সম্ভব নয়। The Origin Of Species থেকে সাহায্য নিলে বাদর হয়ে যাবেন।
(২) অাপনার একটা লেখা পড়ে বুঝলাম। অাপনি প্রকৃত ঈশ্বর খুঁজছেন। তো, ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করে তার জীবন বিধান না দিয়ে চুপচাপ বসে অাছেন; এমন ঈশ্বরের খোঁজ নিলে কি -অার না নিলে কি। অাধুনিক যুগে বসবাস করেও কেন ঈশ্বরকে খুঁজে পাচ্ছেন না? না-কি ঈশ্বর খোঁজার কোন যন্ত্রপাতি অাবিস্কার করছেন?
(৩) মানুষের অসংখ্য প্রয়োজন মেটাতে প্রকৃতিকে কে বলেছে? এত প্রোডাক্ট প্রকৃতি কেন দিতে যাবে? প্রকৃতির কি কোন জ্ঞান-বিবেক সম্পন্ন সত্ত্বা?
(৪) মানবদেহ একটা বায়োমেশিন। একটা হাইব্রিড কম্পিউটারে সাথে তুলনা করতে পারেন। তো, একটা হাইব্রিড কম্পিউটার তৈরীতে যদি জ্ঞানসম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন হয় তবে সেই জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ তৈরীতে কেন কারও প্রয়োজন হবেনা?
(৫) দেহের ভীতর অঙ্গগুলোর একটা চমৎকার পারস্পরিক সমন্বয়যুক্ত সেটিং অাছে। এবং এক একটার একটা নির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি রয়েছে। এই সেটিং এবং কর্মপদ্ধতি কিভাবে অটোমেটিক্যালি হওয়া সম্ভব? ব্যাখ্যা দিন।
দয়া করে কোন লিংক দিবেন না? ঐ যুক্তিবিদ্যা অার ভালো লাগেনা।
একটা উপমা দিয়ে শেষ করবো।
সাপ এবং ব্যঙের মধ্যে ঘটনাক্রমে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।
একদিন ব্যঙ তার বন্ধু সাপকে বললো, দোস্ত, তোর সব ভালো লাগে। কিন্তু এই যে অাঁকাবাঁকা ভাবে চলাফেরা করিস। এটা অামার ভালো লাগেনা।
সাপতো রেগে অাগুন,, তুই অামার বন্ধু হয়ে এতবড় কথা বল্লি!
ফোস করে ফণা তুলে তার বন্ধু ব্যঙকে দিলো ধাওয়া।
ব্যঙ বেচারা কি অার করার। গিয়ে পড়লো বিলের ভীতর এক খালের পানিতে।
সাপ পানির ধারে বসে ফোস ফোস করতে লাগলো।
এক রাখাল যাচ্ছিলো ঐ পথ দিয়ে । সামনে দেখে সাপ ফনা তুলে ফোস ফোস করছে। রাখাল হাতের লাঠি দিয়ে অাচ্ছামত পিটিয়ে জমির অাইলের উপর লম্বালম্বি করে, মানে সোজা করে ফেলে রাখলো।
খানিক বাদে ব্যঙ বেচারা পানি থেকে উঠে দেখে, অবস্থা শোচনীয়।
সাপের কাছে গিয়ে বললো, হাউ অার ইউ? দোস্ত।
দোস্তের কোন সাড়া নেই। শটান হয়ে পড়ে অাছে।
ব্যঙ বেচারা অাফসোস করে বললো, দোস্ত তোকে নিষেধ করেছিলাম, অাঁকাবাঁকা চলিস না । অামার কথা কানে তুল্লিনা।
এখন তোর অবস্থা দেখে অামার খুব অাফসোস হচ্ছে। সরি, দোস্ত ।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:

"এই কথা বলে কাফের, মুশরিকদের বেদম মার খেয়েছেন তিনি। এতে তার লাভটা কি ছিলো? এসব কাজ করে তিনি তো অঢেল সম্পত্তির মালিক হননি বা প্রাসাদ বানিয়ে বসবাস করেন নি। "

-আমি ইসলামের ধর্মীয় দিক নিয়ে কিছু বলতে চাইনা; তবে, ইসলাম ধর্ম হাজার হাজার বেদুইন গোত্রকে এক করতে পেরেছিল; বেদুইনরা জন্ম থেকে প্রকৃতির সৈনিক ছিল; তারা এক হওয়ার পর, তারা প্রথম আরবী সাম্রাজ্যের পত্তন করেন; তারা রোমান ও পারসিকদের মতো বড় সাম্রাজ্যের বড় অংশ দখন করে নেন।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১০

সেলিম৮৩ বলেছেন: সূচনার ভেতরেই উপসংহার টেনে দিলেন। ইসলাম ধর্ম হাজার হাজার বেদুইন গোত্রকে এক করতে পেরেছিল এটা কোরঅান নাযিলের অাগে নয়। কোরঅানের বানীই তাদের এক করতে পেরেছিলো। দুনিয়ার কোন স্বার্থ ছিলোনা। রোমান বলেন অার পাসরিক বলেন, সেখানকার শাসকরা নিজেরা এক একটা খোদার অাসনে অাসিন হয়ে বসেছিলেন। তারা রাজ্যের ভীতর সীমাবদ্ধ জ্ঞানে আবদ্ধ মানব তৈরি শাসন, অত্যাচারে অত্যাচারে নিষ্পেষিত করত নাগরিকদের জীবন, বঞ্চিত করত তাদের প্রাপ্য ন্যায্য অধিকার।
রোমান সম্রাট হিরাক্লিয়াস এর ইতাহাস ঘেটে দেখুন।
কোন অঞ্চলের শাসক যদি নিজেকে অলএনঅল মনে করে প্রজাদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন এবং জুলুম করে নিজের ব্যক্তিগত অাদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। মানবীয় মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার চরম অধঃপতন হয় সেখানে হস্তক্ষেপ করা বা অাল্লাহ প্রদত্ত বিধান প্রতিষ্ঠা করা কোন অন্যায় কাজ নয়।
স্পেশালী শুভকামনা অাপনার জন্য যে অাপনি হিস্টুরী-টিস্টুরী ভালোই ঝাড়েন।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:২১

আশাবাদী অধম বলেছেন: সেলিম৮৩ ভাই। লেখা পড়ার পূর্বেই এ মন্তব্যটি করলাম। শিরোনামে ব্লগারের নামটা ঠিক করে দিন।
" সত্য ও বিবেক"= "বিবেক ও সত্য"

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

সেলিম৮৩ বলেছেন: ঠিক করে নিয়েছি ভাই। ধন্যবাদ, অাপনাকে@ আশাবাদী অধম

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৩১

আশাবাদী অধম বলেছেন: "এসব কাজ করে তিনি তো অঢেল সম্পত্তির মালিক হননি বা প্রাসাদ বানিয়ে বসবাস করেন নি। না খেয়ে, না দেয়ে ইসলাম প্রচার করে তার লাভটা কি ছিলো?"

খুব ভালো বলেছেন। আয়েশা (রা) এর একটি বর্ণনায় এসেছে, মাসের পর মাস যেত অথচ নবী পরিবারে চুলা জ্বলত না। তারা দু'টুকরা খেজুর আর একটু পানি খেয়ে জীবন চালিয়ে নিতেন।
রাসূল (সা) তাঁর সারা জীবনেও কখনো পেট পুরে আহার করেন নি।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: এসব ইতিহাস উনারা পড়েন না। উনাদের সমস্যা হচ্ছে, এই দ্বীন ইসলাম । সুদ, ঘুস, যেনা, ব্যভিচার, মদ, জুয়া, পার্টি, নাইটক্লাব, হোটেলে নারী নিয়ে ফূর্তি, গার্লফ্রেন্ড নিয়ে অাড্ডা, নাচানাচি, নারী স্বাধীনতা নামে উলঙ্গকরণ ইত্যাদি যতদিন ইসলাম সমর্থন করবেনা ততদিন উনারা শাস্তিতে ঘুমাবেন না। এটা উনাদের অঙ্গীকার।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৩

কুহুক বলেছেন: কোরআন হচ্ছে সব ধর্ম গ্রহন্ত থেকে চুরি করে লেখা । আর কাজী নজরুল ইসলাম ও শিক্ষিত ছিলেন না কিন্তু অনেক কিছুই লিখেছেন । কোরআন নবী লিখতে পারে বা কাউকে দিয়ে লেখাতে ও পারে । আর আজ সারাদেসের মানুষের কাছে ইসলাম ভীতির ণাম জাড় জন্য উন্নত দেশ গুলো মুসলমানদের ভিসা দিতে চায় না । এতো সমালোচনা আর কোন ধর্মে নেই হিন্দু ধর্মে কুসংস্কার থাকতে পারে কিন্তু ইস্লামে আছে জঙ্গি আই এস যা সমস্ত মানব সভ্যতাকে বিপন্ন করছে । আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয় লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয়

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: কুহুক বলেছেন@ কোরআন হচ্ছে সব ধর্ম গ্রহন্ত থেকে চুরি করে লেখা ।
ভাই কুহুক, অাপনার এই গবেষণা প্রতিবেদন সিএনএনএ জমা দিন কাজে লাগতে পারে অথবা উইকিলিকসে যোগাযোগ করতে পারেন।
অাপনার এই তথ্যটি অাপনার গুরুরা পর্যন্ত বলতে পারেনি বা কোন গবেষণায় বের হয়ে অাসেনি। তথ্যটা কোথায় পেলেন? লিংক থাকলে দিন। কোরঅান অারবী ভায়ায় লেখা হয়েছে। এখন অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থ থেকে যদি চুরি করা হয় তবে সেটা নিশ্চই অারবী ভাষায় হওয়ার পক্ষের দাবিটা বেশি রাখে। না-কি? যদি অারবী ছাড়া অন্য কোন ভাষার ধর্মগ্রন্থ থেকে নেয়া হয় তবে নবী করিম(সাঃ) কে সেই ভাষায় দক্ষতা থাকার প্রয়োজন হবে। তিনি তো অারবী ভাষাই পড়তে জানতেন না ( শুধু মুখস্ত করতেন) যেখানে অন্য গ্রন্থ থেকে চুরি করা অবাস্তব নয় কি?

কাজী নজরুল ছাত্রজীবনে তার প্রথম স্কুল ছিল রানীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ স্কুল, এরপর ভর্তি হন মাথরুন উচ্চ ইংরেজি স্কুলে যা পরবর্তীতে নবীনচন্দ্র ইনস্টিটিউশন নামে পরিচিতি লাভ করে। মাথরুন স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন কুমুদরঞ্জন মল্লিক যিনি সেকালের বিখ্যাত কবি হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি আবার রানীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ স্কুলে ফিরে যান এবং সেখানে অষ্টম শ্রেণী থেকে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯১৭ সাল পর্যন্ত এখানেই পড়াশোনা করেন। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের শেষদিকে মাধ্যমিকের প্রিটেস্ট পরীক্ষার না দিয়ে তিনি সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে যোগ দেন। তিনি সাংবাদিকতা, থেকে কয়েকটি প্রত্রিকা সম্পাদনা করেছেন।
এটুকু সুযোগ কি নবী করিম (সাঃ) পেয়েছিলেন?
অাইএস কোন ইসলামের দলভুক্ত নয়। কোন দেশের মুসলিমরা এদের সমর্থন করেনা। বদরুলের দায় যদি অাওয়ামীলীগ না নেয় তবে অাইএসের দায় ইসলাম কেন নিতে যাবে? বদরুল যেমন দল থেকে বহিস্কৃত ঠিক তেমনি অাইএস ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে। সুতরাং উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারে চাপানোর প্রয়োজন নেই। উন্নত দেশগুলো মুসলমানদের ভিসা দিতে চায়না; এটা নাম্বার এক. সন্দেহ থেকে, দুই. ধর্মীও বিচারে। অাপনারা তিন ভাই। এখন, এক ভাই কোননা কোন কারণে বখাটে হয়ে গেল। অার এক ভাই খুব শাস্তশিষ্ট, ভদ্র, নিয়মিত স্কুলে যায়, পিতামাতর কথা শোনে। অার বাকী এক ভাই ব্লগে ইসলাম ধর্মের দৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করা শুরু করলো।
মানে তিনটা তিন অবতার। এখন বলেন, একই পিতামাতার তিনটি সন্তান তিনদিকে গেলে কেন? দোষটা কার?

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:১৬

বাবাজান বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট..!!

যেসব প্রশ্ন করেছেন, ভাই আপনি এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পাদ বেড়িয়ে যাবে অতপর বদরুল মদরুল প্যাচাইয়া এড়িয়ে যাবে, কারন এই সব উপযুক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে সঠিক ইতিহাস ঘেটে এসে ঘাষ খেয়ে যাবে ।
আপনি যে প্রশ্ন গোলো করেছেন, যদি সে সত্যিই "বিবেক ও সত্য" হয়ে থাকে তবে সঠিক তথ্য সমৃদ্ধ উত্তর দিয়ে দিক...

যদিও ভবিষ্যতবানী আগেই বলেছি...

তো কথা হচ্ছে এসব আবালেরা যা বলে তার সঠিকতা নেই, সব কল্পনা ও মিথ্যে,
যেমন উপরের মন্ত্যব্যে কাহুক যা বলেছে আর নজরুল ইসলামের যে যুক্তি দিছে, তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক.. ; কারন নজরুল মাতৃভাষা শিখেছিলো যে পর্যন্তই হোক, কিন্তূ
({♥প্রিয় নবি হজরত মোহাম্মাদ ছাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম♥}) ছিলেন "নিরক্ষর" যে আলিফ বা তা জানতো না, আর জিবনে কোনোদিনই কবিতা বানাননি, কারন তিনি কবিও ছিলেননা, আর নজরুল ইসলাম ছোট বেলায় ক্লাসের ছেলেদেরকে কবিতা বানিয়ে দিতেন, তো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তিনি নিজে ({♥প্রিয় নবি হজরত মোহাম্মাদ ছাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম♥}) এর জ্ঞান ও বিজ্ঞতার সামনে লোম কনার মতো হওয়ার যোগ্য মনে করতেননা, তার প্রমান পাওয়া যায়, নজরুলগীতি, তাওহীদেরি মুর্শিদ আমার মোহাম্মাদের নাম, আমি যদি আরব হতাম, আরবের মাটি হতে পারলেও ধন্য হতাম এতে আমার উপর দিয়ে ({♥প্রিয় নবি হজরত মোহাম্মাদ ছাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম♥}) হেটে যেতেন, এটাই তিনি এই সব সংগীতে গেয়েছেন,
সুতরাং এ্যালার্জি কমানোর ঔষুধ দিতে হবে এইসব মফিজ মার্কা নাস্তিকদের চামরা তুলে... হুদাই খেওজায়,,, হাছা কিছু জানেনা নিজেরা, ও অশিক্ষিত, এটাই প্রমান করে, আর ({♥প্রিয় নবি হজরত মোহাম্মাদ ছাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম♥}) এর সাথে তুলনা করে বদরুল মদরুলের, এসব ছাঁরপোকার খাওয়া আছে এই মহামানবের সামনে..যত্ত্বসব,, আসল কথা ও এদের উদাহারন হলো
এই প্রবাদের মতো
"বাদড় বলে সূর্যে কোনো আলো নেইরে ভাই
দিনে নিজেই চোখে দেখেনা বলবে কি আর তাই..?"

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

সেলিম৮৩ বলেছেন: ভাই, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। চামড়া তুলার দরকার নাই। ওরা অন্ধ, বধির, ওদেরকে অাল্লাহ তায়ালা ভুলের উপর ছেড়ে দিয়েছেন ওদের গোড়ামীর কারণে। এজন্য ওরা উদভ্রান্তের মত, অাশান্ত মন নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
প্রবাদটা খুব চমৎকার। শুভকামনা রইলো।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:২৮

বাবাজান বলেছেন: আর আই এস সম্পর্কে যে ধারনা করা হয়, তা মিথ্যে প্রমানিত হয়েছে, আই এন জঙ্গি ইসলামি কোনো দল নয়, ইসলামের নাম দিয়ে এরা বোমা মারে জঙ্গীগিরী করে, এর প্রধান যে তার আসল নাম, "আকাইলিয়ট সিমন" আর ছদ্মনাম আবু বকর আল বাগদাদী, যে ইহুদী ধর্মের, আর তাকে দিয়ে ইহুদীরা ইসলামি শরীয়ার ট্রেনিং দিয়ে একটি মসজিদে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, কিন্তূ সে আসলে ইহুদী, অতঃপর ইহুদীদের এই ষড়যন্ত্র মুছলমানদের জঙ্গি হিসাবে প্রমান করতে এই ইহুদী কাজে লেগে যায়, আর বিশ্বের কাছে ইসলামকে কলুষিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আই এস, তথ্য সুত্রঃ মাসিক কারেন্ট ওয়ার্ল্ড ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: সত্য তথ্যটা তুলে ধরেছেন। অাইএস কোন ইসলামী সংগঠন নয়। ইসলামের নাম ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র।

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩

আশাবাদী অধম বলেছেন: @কুহক
আপনার নিকট কী প্রমাণ আছে যে কুরআন চুরি করে লেখা? মিথ্যা বলা কি মুক্তমনের জন্য অপরিহার্য?

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: উনার নিকট সঠিক প্রমাণ নেই । কেননা, ১৪০০ বছর অাগের হিসাব উনি গবেষণা করে বের করতে পারেন নি। এরকম কথাই উনি বলেছেন। যে তালগাছ মার্কা দু'একটি সন্দেহমূলক প্রমাণ উনি দিয়েছেন তা পড়লে সবথেকে নিরিহ প্রাণী বলদও বোধ হয় মেজাজ খারাপ হয়ে যাবে।

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য অসাধারণ ভালোলেগেছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

সেলিম৮৩ বলেছেন: অসাধারণ লাগার জন্য অসাধারণ একটা ধন্যবাদ রইলো।

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ”ইসলাম মানব রচিত ধর্ম । বেশ, যুক্তি, তর্ক পেশ করুন। অাপনাকে স্বাগত জানাবো।
টিকতে পারলে টিকবেন, না হলে চিপাচাপা দিয়ে পালাবেন।”


আমার নীতি সম্পর্কে আপনার ভূল ধারনা প্রথমে অপনোদন করছি। আমি কখনও তর্কে জেতার জন্য তর্ক করি না। আমি বিতর্ক করি সত্যে বের করে আনার জন্য। ।শ্রেষ্ঠতর যুক্তির কাছে মাথা নত করাকে আমি পরাজয় মনে করি না, সেটাকে আমি আমার বিজয় মনে করি, কারন আমি সত্যের গোলাম, মিথ্য ও কুহকের গোলাম নয়। যুক্তিতে যেনতেনভাবে জেতার প্রতিযোগিতা বা কাউকে যুক্তিকে হারানোর জন্য যেন তেন পন্থা অবলম্বন করা হীন মানসিকতার পরিচয়- যা দেখা যায় বহু আস্তিক ও বহু নাস্তিক অবলম্বন করে থাকে।
আপনি আমাকে নিয়ে কিছু পোষ্ট পূর্বেও করেছে যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। আপনার এ পোষ্টটি "ইসলাম মানব রচিত ধর্ম"-" সত্য ও বিবেক" ব্লগারের জ্ঞাতার্থে। দৃষ্টিগোচর হওয়াই আপনার ব্লগে একটু চোখ বুলাতে গিয়ে দেখলাম যে আপনি আমাকে নিয়ে আরো পোষ্ট করেছিলেন। আপনি যদি আপনার প্রশ্ন ও যুক্তিগুলো আমার ব্লগে করতেন তাহলে বুঝতাম যে আপনি সত্যিকার অর্থে আমার জবাব জানতে চান। আপনি আমার দেয়া যুক্তি খন্ডন না করে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন।যেহেতু আপনার অভিযোগ এখন আমার দৃষ্টিগোচর হল, আমি আপনার অভিযোগের জবাব দিচ্ছি।
(১) অন্য ধর্মের কোটি কোটি লোক রয়েছে। তাদের ধর্ম কার রচিত? তাদের সংশোধণ করেন না কেন? শুধূ ইসলামের প্রতি এলার্জি কেন?
দেখুন:আমি মুক্তমনা,কেন শুধু ইসলামের সমালোচনা করি।
কিন্তু কোরঅানের ক্ষেত্রে কি বলবেন? ইহার লেখক কে? যদি কোন গ্রন্থ থেকে নকল করা হয় তবে তার যথাযথ রেফারেন্স দিন।
আমার জবাব: আজকের এ আধুনিক যুগে আমি একটি পুস্তক রচনা করে কিছু সুকৌশলি পন্থার আশ্রয় নিয়ে দাবি করি যে এটা স্রষ্টা অবতীর্ণ করেছেন, আমার উপাস্থাপিত কিতাব আমার নিজ হাতে লেখা নাকি অন্য কাহারও সাহায্য নিয়ে লেখা তা তদন্ত করে সত্য বের করা বড়ই কঠিন।অথচ আধুনিক যুগে তদন্ত করা অনেক সহজ।সেখানে আপনি ১৪০০ বছর পূর্বে রচিত একটি পুস্তকের প্রকৃত রচয়িতা কে তা আপনি আমাকে বের করতে বলছেন।
আপনি অন্যান্য কয়েকটি ধর্মের রচনার উৎস সম্পর্কে বলেছেন। উক্ত ধর্মের রচনার উৎস সম্পর্কে আপনি যা বলেছেন তা হয়ত আংশিক সত্য/পুরোটাই সত্য/পুরোটাই মিথ্যা।এমনিভাবে কুরআন রচনার ইতিহাস অনুসন্ধান আমি করেছি। অনুসন্ধানীতে যা বেরিয়ে এসেছে তা হতে পারে আংশিক সত্য/পুরোটাই সত্য/পুরোটাই ভূল। এতবছর পর পুরো সত্যে নিশ্চিত করে বের করা সম্ভব নয়।যার সত্যেতা নিশ্চিত করা সম্ভব না, শুধুমাত্র ইতিহাসের তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে বিতর্ক করা বোকামির কাজ এবং সে বিতর্ক শেষ হবার নয়। তাছাড়া কোন পুস্তক স্রষ্টার দাবী করা হলে তার লেখক তদন্ত করা যাদের কাছে দাবী করা হয়েছে তাদের নয়। সুতরাং কোন অকাট্য বিষয় থাকলে সেটি বলুন।
আপনার দেয়া ৩ থেকে ৬ নং পয়েন্ট এর সবগুলো বক্তব্যই ইতিহাস সংক্রান্ত যার ১০০% সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।তাছাড়া কেউ কোন বিষয়ে ত্যগ তিতিক্ষা করলেই তা স্রষ্টার হয়ে যায় না। হিন্দু নাগা বাবারা ধর্মের জন্য যে ত্যগ তিতিক্ষা করে তার নজির আর কিছু দিয়ে সম্ভব নয়।জে,এম,বির লোকেরাও জীবন দিয়ে দেয় ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য, তার মানে এ নয় যে জে,এম,বির ইসলাম সঠিক আর তাবলীগ জামাতের ইসলাম বেঠিক। সুতরং ত্যগ-তিতিক্ষা কোন সত্যের মাপকাঠি নয়।
(৭) একমাত্র কোরঅান ছাড়া অন্য কোন ধর্মগ্রন্থ মুখস্ত করা সম্ভব হয়নি। কেন? সেটা এক দুইজন নয়, কোটির উপরে । এর লজিকটা কি?
কুরআন স্রষ্টার বাণী হওয়ার পক্ষে কুরআনের কি প্রমান আছে তা কুরআন নিজেও উপাস্থাপন করেছে। কুরআন স্রষ্টার বানী হওয়ার পক্ষে মাত্র দু’টি প্রমান উপাস্থাপন করেছে। কুরআনের নিজ উপাস্থাপিত প্রমানই কুরআন স্রষ্টার হওয়ার পক্ষে সবচেয়ে বড় প্রমান হওয়ার দাবি রাখে।তা এড়িয়ে আপনি ভিন্ন প্রমান উপাস্থাপন করছেন।কোন পুস্তক মুখস্থ করতে পারা তা স্রষ্টার হওয়ার প্রমান বহন করে না।
ঠিক আছে তারপরও আপনি লজিকটা চেয়েছেন, আমি লজিকটা দিচ্ছি:
১. কুরআন মুখস্ত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে ধর্মীয় আবেগ। ধর্মীয় আবেগ দ্বার কোন মানুষকে যতবড় ত্যগ ও কষ্ট স্বীকার করাতে রাজি করানো সম্ভব তা অর্থ দ্বারা সম্ভব নয়।সাথে সাথে হাফেজ নামক ডিগ্রি পাওয়ার আকাঙ্খা তো থাকেই।
২. যারা কুরআন মুখস্ত করে তাদের একমাত্র পাঠ্য শুধু মুখস্ত করা। সারাদিন একজন শিক্ষকের কড়া তত্ত্বাবধানে থেকে দিনভর ছাত্ররা কুরআন মুখস্তে সময় ব্যয় করে। এভাবে ৩ থেকে ৭/৮ বছর এ একটি পুস্তক মুখস্তে টানা সময় করে।
৩. কোন কিছু মুখস্তের ক্ষেত্রে ছন্দ বা সুরারোপ বেশ ভাল ভূমিকা পালন করে। কুরআনের এক দশমাংশ ছন্দ।আর পুরো কুরআন তেলাওয়াত বা মুখস্তে বিশেষ রীতির সুরারোপ করা হয় যা মুখস্তকে সহজতর করে।
৪. এত কঠোর পন্থা অবলম্বন করে মুখস্ত করার পরও হাফেজরা বাস্তবার্থে পুরোটাকে ধরে রাখতে পারে না যদি না তারা নিয়মিত রিভিশন দেয়া। রমজান মাস আসলে খতম তারাবি পড়ানোর জন্য রিভিশনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।খতম তারাবিতে যে দিন যে অংশ তেলাওয়াত করা হবে সে অংশ সে দিন বেশিরভাগ সময় রিভিশন তেলাওয়াত করে সময় কাটাতে হয়। তারপরও তারা নামাজে তেলাওয়াতে ভূল করে।
আবার সে ভূল যিনি নামাজে ধরিয়ে দেন তার সে হাফেজের সাথে মনোমালিন্য ও ঝগড়া হয়।আবার পরস্পর খাতির থাকলে কখনও কখনও পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে যতটুকু কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব ততটুকু এড়িয়ে যায়।
যে সব হাফিজরা রিভিশন দেয় না তাদেরকে কুরআনের বিভিন্ন অংশ থেকে জিজ্ঞাসা করলে ঠিকমত মুখস্ত তেলাওয়াত করতে পারে না।
উপরোক্ত পন্থা অবলম্বন করলে পৃথিবীর যে কোন পুস্তকই উপরোক্ত পদ্ধতিতে মুখস্ত করা সম্ভব।
(৮) কোরঅান ছাড়া এমন কোন ধর্মগ্রন্থ নেই যা সংশোধন বা পরিমার্জন হয়নি। কিন্তু কোরঅানের শুরু থেকে একটি অক্ষর পর্যন্ত পরিবর্তন হলো না কেন?
আমার জবাব:
কুরআন কতটুকু পরিমার্জন হযেছে কিনা তার সত্যতাও ১০০% তদন্ত করে বের করা সম্ভব নয়।তবে আমার অনুসন্ধানীতে কুরআন সংগ্রহের সময় (মুহাম্মদ স: এর তিরোধানের পর, হযরত ওসমানের সময়) কিছুটা যোজন-বিয়োজন হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়েছে।যেহেতু আমার পাওয়া তথ্য ও তত্ত্ব আর আপনার সাম্ভাব্য উপাস্থাপিত তথ্য ও যুক্তির কোনটার সত্যতা ১০০% যাচাই করা সম্ভব নয়, তাই এ নিয়ে আমি বিতর্ক করতে চাই না বা প্রয়োজনও নেই। কারন কোন পুস্তক অপরিবর্তিত থাকা সে পুস্তক স্রষ্টার হওয়ার অকাট্য প্রমান বহন করে না।
কুরআন স্রষ্টার হওয়ার পক্ষে অকাট্য ও বর্তমানে প্রমানযোগ্য এমন কোন প্রমান যদি আপনার কাছে থাকে তা উপাস্থাপন করুন।
আপনার দ্বিতীয় ভাগে উপাস্থাপিত প্রশ্নের জবাব:
একটু গল্প দ্বারা জবাবটি দেই।কোন এক যুগে একজন লোক চিৎকার করে বলতে শুরু করলো যে বেগুন বাকা কেন? কেউ এর উত্তর দিতে পারছিল না। এ নিয়ে গ্রাম জুড়ে হৈ চৈ শুরু হয়ে গেল। হঠাৎ একজন লোক দৌড়ে এসে বললো আমি এর জবাব জানি। সকল উৎসুক লোক তার কাছে জবাব জানতে চাইল।
তিনি বললেন ’নদী বাকানং তো বেগুন বাকানং’ অর্থ্যাৎ নদী যেহেতু বাকা তাই বেগুন বাকা হয়েছে।
এবার লোকেরা বললো আচ্ছা তা তো বুঝলাম, তাহলে নদী বাকা কেন?
জবাবে তিনি বললেন যে ‘চাদ বাকানং তো নদী বাকানং’ অর্যাকেৎ চাদ বাকা হয়েছে তাই নদী বাক হয়েছে।
এবার গ্রামের লোকেরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেল।কিছু লোক উক্ত লোকের জবাব পেয়ে উক্ত লোকেরা অনুসারী হয়ে গেল।যেহেতু উক্ত লোকের জবাবটা বোগাচ ও আন্দাজহেতু বানোয়াট, আর বানোয়াট উত্তর হাজার রকমেরই হয়ে থাকে (1+1=2 একটি সঠিক উত্তর, আর ভূল উত্তর কতটা হবে তার ইয়ত্তা নেই)।এ কারনেরা উক্ত লোকেরা অনুসারীরা বেগুন বাকা হওয়ার কারনকে বিভিন্ন ভাবে ব্যখ্যা করে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হল।
আর কিছু লোক বেগুন বাকা হওয়ার পক্ষে উপাস্থাপিত ঐ সকল ফালতু, হাস্যকর জবাব প্রত্যখ্যান করল।যারা প্রত্যখ্যান করলো তাদের বিশ্বাস যে এ বিশ্বজগতের তুলনায় আমরা অনুর সমানও নয়, এ মহাজগতের রহস্য সম্পর্কে হাজারও প্রশ্ন রয়েছে যার সবগুলোর জবাব জানা হয়ত কোনদিন সম্ভব হবে না।কোন প্রশ্নের জবাব না জানলে ফালতু একটি জবাব তৈরি করে সন্তুষ্ট হওয়া বেকুফ লোকদের কাজ হতে পারে, বুদ্ধিমানেরা কখনও এরুপ করতে পারে না।
বেগুনের অনুসারী বলতে আমি ধর্মানুসারীদের তুলনা করেছি।পৃথিবীর সকল ধর্মই নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। সকল ধর্মের ক্ষেত্রে সে প্রশ্নগুলো এক ও অভিন্ন।উত্তর গুলো ভিন্ন ভিন্ন হওয়াই ধর্মগুলোও ভিন্ন ভিন্ন।
আপনার উথ্থাপিত প্রশ্নের উত্তরগুলো যদি ধরেও নেই যে আপনার ধর্ম, তারপরও আরো অনেকগুলো প্রশ্ন রয়ে যায় যার কোন উত্তরই আপনি দিতে পারবেন না।লেখা বড় হওয়াই এবং সে প্রশ্নগুলো প্রাসঙ্গিক কিন্তু মৌলিক না হওয়াই সে আলোচনায় আপাতত যাচ্ছি না।
প্রথম ও প্রধান বিষয় হল আপনি যদি দাবি করেন যে স্রষ্টা বিধান দিয়েছে তা হলে তার পক্ষে অকাট্য ও বর্তমানে প্রমানযোগ্য প্রমান উপাস্থাপন করুন।এ বিষয়টি সমাধা হলে বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা রইল।
যিনি কোন পুস্তককে স্রষ্টার দাবি করেন তারই প্রথম দায়িত্ব হয়ে থাকে তার দাবির পক্ষে প্রমান উপাস্থাপন করা।যার কাছে দাবি উপাস্থাপন করা হল এটা তার দায়িত্ব নয় যে তা প্রমান করা যে পুস্তকটি স্রষ্টার নয়। তারপরও আমার কাছে বহু প্রমান রয়েছে যে কুরআন মানবরচিত স্রষ্টার নয়। সে প্রমানগুলো থেকে মাত্র কয়েকটি প্রমান আমার ব্লগে দিয়েছি। আরো প্রমান দেয়া হবে।
ভাল থাকবে। ধন্যবাদ।




২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

সেলিম৮৩ বলেছেন: জবাবগুলো অাপনার ব্লগেই দিলাম।

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: সমস্ত ধর্ম এবং ধর্ম গ্রন্থ মানব রচিত।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: অাপনার স্পেশাল একটা প্রশ্ন অাছে-কয়েকদিন অাগে করেছেন । সুতরাং স্পেশাল করেই এর উত্তরটা দিবো ইনশাঅাল্লাহ।

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: লালন ফকির বলেছেন, নবী না মানে যারা, মুহায়েত কাফের তারা। :)

"মুহায়েত" শব্দের অর্থ হচ্ছে "কাফের সনাক্তকারী"। :-B

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: নবী না মানে যারা, মুহায়েত কাফের তারা। ধন্যবাদ ভাই @ হাতুড়ে লেখক ।

১২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



নাস্তিক এবং ধর্মদ্রোহী দ্বিপদীগন চতুষ্পদ মাখলূক হতেও নিকৃষ্ট। জগতের জঞ্জাল আবর্জনা মাত্র।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

সেলিম৮৩ বলেছেন: ঠিক তাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.