নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

সেলিম৮৩

সেলিম৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি যুক্তি আপনাকে চরম সংশয়ে ফেলে দিতে পারে!!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬



"যুক্তি"- বুদ্ধিমান লোকেরা কথাটা খুব বেশি পছন্দ করেন। অাবার বুদ্ধিমান লোকেরা এটাও জানেন যুক্তি দিয়ে সব কিছুকে যাচাই করা যায়না।
একটি যুক্তি(যুক্তিটি একজন ব্লগারের) যদি আপামর জনসাধারনের নিকট পেশ করা হয়; তবে আমজনতা থেকে শুরু করে শিক্ষিত ব্যক্তিও টাসকী খেতে পারেন।
পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষ, অন্যান্য প্রাণী, অামাদের সৌরজগত, এবং এই জগতের বিধি নিয়ম- চিন্তাশীল মানুষদের ভাবায়।
আগে দেখি যুক্তিটি কেমন।
" মানুষ অনেক জটিল সৃষ্টি, তার অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ, দেহের স্ট্রাকচার, মানবদেহের ক্রিয়া-প্রক্রিয়া সত্যিই জটিল। একটি নিখুঁত মাপকাঠিতে আবদ্ধ। পৃথিবী থেকে শুরু করে পুরো মহাবিশ্বে বিশৃংখলার কোন সুযোগ নেই। অর্থাৎ নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
এই জটিল জটিল বিষয় যিনি সৃষ্টি করেছেন-নিশ্চই তিনি আরো জটিল থেকে জটিলতর!!!
তাহলে, মানুষ, পৃথিবী থেকে পুরো মহাবিশ্ব; এই জটিল বিষয় সৃষ্টিতে যদি স্রষ্টার প্রয়োজন হয় তবে স্রষ্টাকে( যিনি অরো জটিল) সৃষ্টিতে কারো প্রয়োজন হবেনা কেন???"
তাহলে, এভাবে যদি এগোতে থাকি........তাহলে স্রষ্টা বলে কিছু থাকেনা। কেননা, যিনি সৃষ্টি, তিনি স্রষ্টা নন।
গ্রীসের দার্শনিক:-
ধরুণ, সক্রেটিসকে কোনভাবে জীবিত করে ( যদিও সেটা সম্ভব নয়) আপনার সামনে বসানো হলো।
সক্রেটিসঃ ভাই, আমি এখানে কেন? আমার দেশ গ্রীস কোথায়?
আপনিঃ ভাই, আপনার দেশ হাজার হাজার মাইল দূরে। আপনি এখন বাংলাদেশ নামক একটি দেশে।
সক্রেটিসঃ আপনার হাতে ওটা কি?
আপনিঃ স্মার্ট ফোন।
সক্রেটিসঃ সেটা আবার কি!!
আপনিঃ আপনার দেশের কোন ব্যাক্তির সাথে এখানে বসে এই স্মার্ট ফোন দিয়ে কথা বলতে পারবেন। দেখতেও পারবেন।
সক্রেটিসঃ ভাই, আমার সাথে মশকরা করেন।
আপনিঃ সত্যিই ভাই, আমি কোন মশকরা করছিনা।
সক্রেটিসঃ আমি দার্শনিক মানুষ; আপনার এই যুক্তিহীন কথা আমি মেনে নিতে পারছিনা। এটা কখনো সম্ভব না।
৩০৫০ সালঃ
বাংলাদেশ সময় সকাল ৯:৩০ মিনিট। নিউইয়র্ক সময়ঃ রাত: ১১:৩০ মিনিট। গুলশানের একটি অফিস।
মি. সিলভারঃ আরে ডায়মন্ড,সকালে অফিসে ঢুকেই কেমন তাড়াহুড়া করছেন, কোন প্রোগ্রাম আছে নাকি?
মি. ডায়মন্ডঃ আর বলবেন না, ১ ঘন্টার ভীতর নিউইয়র্ক পৌছাতে হবে। ওখানে একটা জুরুরী একটা দরকার আছে।
মূলত আপনার ভাবিকে নিয়ে একটু মঙ্গলে ( মঙ্গল গ্রহ) বেড়াতে যাবো। এজন্য ছুটি নিয়েছি তিন দিন। মঙ্গলে আমার এক বন্ধু আছে । খুব মজা হবে।
...........
এই কথাটি আমার বধুকে রাত্রে খেতে খেতে বলায় উনি চোখ কাপালে তুলে বললেন......... নাই -বললাম।

এটাতো গেল মানুষে মানুষে সময়ের প্রেক্ষাপটে চিন্তার, ভাবনার এবং বাস্তবতার ব্যতিক্রম। অতীত এবং ভবিষৎতের ব্যবধান। ৪০০০ সালে ২০১৮ সালের মানুষকে যদি আদিম মানুষ বলা হয়। আপনি কি মেনে নিবেন? না বিশ্বাস করবেন?

আধুনিক বিজ্ঞানঃ

একটি বস্তায় কয়েক হাজার গম আছে। একটা পোকা একটি গমের ভীতর বসে আছে। এমন কয়েক হাজার বস্তা একটি কন্টেইনার জাহাজে বোঝাই করে আটলান্টিক মহাসাগরে ভীতর দিয়ে যাচ্ছে। পোকাটি এখন খুব প্রচেষ্টা চালাচ্ছে আটলান্টিক মহাসাগরের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, গভীরতা এবং তন্মধ্যে যা আছে তার বিস্তারতি জানার। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, পোকাটির পক্ষে ( বিশাল কন্টেইনারে হাজার হাজার বস্তার ভীতর একটি গমের ভীতর যে পোকাটি রয়েছে) ঐ মহাসাগর সম্পর্কে যতটুকু জানা সম্ভব; মহাবিশ্ব সম্পর্কে ততটুকু আমাদের জানা সম্ভব হয়নি।

"আমি মানুষকে অতি সামান্যই জ্ঞান দান করেছি"-আল-কোরআন।

সৃষ্টি কখনো স্রষ্টার অস্ত্বিত্ব নিয়ে গবেষণা করার ক্ষমতা রাখেনা। এটা নিতান্তই একটা কিউরিসিটি হিসাবে গন্য হতে পারে। বিশ্বাস জিনিসটা জ্ঞানের গভীরতা থেকে আসে। অবিশ্বাস আসে অহংকার /অজ্ঞতা থেকে। যেদিন সব উন্মোচিত হয়ে যাবে; সেদিন আজ অসত্য কথাটা( যেটা নাস্তিকদের মনে হয়) সত্য হিসাবে আবির্ভুত হবে।




মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো পোস্ট।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

সেলিম৮৩ বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ভাই, বাস্তবতাটা তুলে ধরেছ।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: ভালো লাগলো। দীর্ঘদিন পরে এলেন!

বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টা, নিউ ইয়র্ক সময় রাত সাড়ে এগারোটা, তাই না?

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সেলিম৮৩ বলেছেন: জি, আপনাকে ধন্যবাদ।সময় সুযোগের অভাবে ব্লগে ফিরতে পারিনি। কিন্তু মনটা পড়ে থাকে এখানে।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

ফেনা বলেছেন: প্রিয়তে রাখতে বাধ্য হলাম।
এবার বুঝেন কতটা ভাল লেগেছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: "প্রিয়তে রাখতে বাধ্য হলাম" সত্য বলার স্বাধীনতা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর এবং শোভন জিনিস।
অনেক দিন পর একটি ভালোলাগা।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বিশ্বাস শব্দটা আসে জ্ঞানের গভীরতা থেকে। ঠিক বলেছেন।

পোস্ট ভালো লেগেছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

সেলিম৮৩ বলেছেন: দুনিয়ার রঙ্গমঞ্চে মানুষ তার নিজের অস্তিত্বকে ভুলে যায়। সে জানতে চায়না আমি কে? কি-বা আমার পরিচয়। পার্থক্যটা এখানেই।

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: এক পোকা আমের ভেতর থেকে বের হয়ে বলছে- ''ভাই ভাই আম খেতে কেমন?''

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২২

সেলিম৮৩ বলেছেন: এখনো বের হতে পারেনি। আমের ভীতরেই আছে। চেষ্টা করছে.....

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: এক পোকা আমের ভেতর থেকে বের হয়ে বলছে- ''ভাই ভাই আম খেতে কেমন?''

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

সেলিম৮৩ বলেছেন: এখনো বের হতে পারেনি। আমের ভীতরেই আছে। চেষ্টা করছে.....

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১০

নতুন বলেছেন: সৃস্টিকতার কন্সেপ্টাই এমন ভাবে বানানো হয়েছে যে আর সম্পকে খোজ নেয়া মানুষের পক্ষে সম্ভব না।

তাই সৃস্টিকতা যে নাই বা আছে সেটা প্রমান করা কস্টকর।

এই সুবিধাটাই বিভিন্ন ধম` নিয়ে থাকে.... আগে মানুষ মৃত্যুকে বেশি ভয় পেত তাই মৃত্যুর পরে সৃস্টিকতার কাছে জবাব দিতে হবে তাই ধমে` বিশ্বাস তখন বেশি ছিলো।

এখন মৃত্যু ভয় কমে যাচ্ছে....তাই সাথে সৃস্টিকতার ভয়ও কমে যাচ্ছে। সামনে আরো কমে যাবে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

সেলিম৮৩ বলেছেন: অনকে কিছুই না দেখে বিশ্বাস করতে হয় এবং আপনি সেটা করছেন। সৃষ্টিকর্তা আছে এটা প্রমাণ করা খুবই সোজা কিন্তু নেই এটা আপনি কখনই প্রমাণ করতে পারবনে না। আর সৃষ্টিকর্তা কখনই আপনাকে স্বয়ং উপস্থিত হয়ে নিজেকে প্রমাণ দিবেন না। ব্যবধানটা বোঝার চেষ্টা করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.