![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অভ্র নিয়ে মোস্তফা জব্বার কথা বলেছে জন্যে আল্টিমেটলি অনেক ভাল হয়েছে। এখন মানুষজন বিজয় নামক ভয়াবহ সফটওয়ারটি’র সম্পর্কে জানতে পারবে ও সেটি থেকে দূরে থাকবে।এবং একইসাথে জানতে পারবে ইন্টারনেটে বাংলা প্রসারের পিছনে কোন সফটওয়ারটির অবদান সবচেয়ে বেশী।
আমি টেকি/নন-টেকি সবাইকে বিষয়টি সম্পর্কে জানানোর জন্যে এটি নিয়ে লিখছি। প্রথমে লিখেছি সচলায়তনে কারণ অভ্রের মেহেদী ভাইয়া ওখানকার একজন লেখক+পাঠক। আপনারাও পড়তে পারেন লিখাটা:
অভ্রকে পাইরেটেড বলার কারণ বিশ্লেষণ ও একটি দাবী
এখন এখানে আমি ওখানকারই আমার করা একটা কমেন্ট ব্যাখ্যা করব। মোস্তফা জব্বার প্রশ্ন তুলেছেন “যেহেতু অভ্রতে বিজয় লেআউট ইনক্লুড করা হয়েছে” সুতরাং এটি কপিরাইট অ্যাক্ট ভেঙ্গেছে।
তাহলে আমাদের প্রশ্ন হল:
■ কিবোর্ড লেআউট পেটেন্ট করা যেতে পারে ????
■ কতগুলি পেটেন্ট হতে পারে ??
■ কিসের বেসিসে পেটেন্ট হতে পারে ???
■ ব্যাকগ্রাউন্ড সাপোর্ট কতটুকুন প্রয়োজন একটি পেটেন্ট পেতে গেলে ??
■ এখন পর্যন্ত কতগুলি পেটেন্ট করা হয়েছে ???
উত্তরগুলি হল:
■ হ্যা, করা যেতে পারে
■ যতগুলি কম্বিনেশন সম্ভব প্রতিটার পেটেন্ট সম্ভব যদি না সেই লেআউটটি পাবলিক ডোমেইনের জিনিস হয়ে থাকে। পাবলিক ডোমেইন অর্থ যেটি এত বেশী বহুল প্রচলিত যে সরকার কর্তৃক সেটিকে সবার জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে, কেউই সেটার মালিক নয়। উদাহরণ: ইংরেজী কিবোর্ডের লেআউট (QWERTY লেআউট যাকে বলে)
■ পেটেন্টের কোন বেসিস নাই, যেইভাবে খুশী করা যেতে পারে যদি পেটেন্ট অথরিটিকে “সন্তুষ্ট” করা যেতে পারে
■ ব্যাকগ্রাউন্ড সাপোর্টে ম্যাথমেটিক্যালি ও স্ট্যাটিসটিক্যালি প্রুফ দেখালে ভাল তবে সেটি ম্যান্ডেটরী নয়
■ অনেক। এবং চলছেই।
তাহলে কি অভ্রতে ব্যবহৃত ইউনিজয় লেআউটটি কি বিজয় লেআউটের পেটেন্ট ভেঙ্গেছে ?? দেখা যাক:
■ ইউনিজয় ও বিজয়ে সাদৃশ্য থাকলেও এখানে অন্ততঃপক্ষে একটি কি পজিশনে ভ্যারিয়েশন রয়েছে। ফলে এরা সম্পূর্ণ আলাদা কিবোর্ড।
সহজ করে বলি, ১২১ এবং ১O১ কি একি লাগছে আপনার কাছে ??? সংখ্যা দু’টি অলমোস্ট একই যদি আমরা শুণ্যটাকে বাদ দেই। কিন্তু আপনারাই বলুন, এই দুটি সংখ্যা কি এক ??? লেআউটও সংখ্যার মতই একটা ব্যাপার তাই একটা জিনিস আলাদা তো পুরাই আলাদা।
■ বিজয়ের পেটেন্ট শুধুমাত্র একটি ফিক্সড লেআউটের জন্যে।এবং পেটেন্টটি আলাদা আলাদা করে অক্ষরের অবস্থান সম্পর্কে বলবে না। সম্মিলিতভাবে কি সেটাই হল ফ্যাক্টর এখানে।
আমি ওদের পেটেন্টের ডিটেইলস না দেখে আর কিছু বলতে পারবো না তবে এটুকুন বলতে পারি ওখানে g বাটনে হসন্ত ছাড়া আর কোন লেআউটে ব্যবহৃত হতে পারবে না এই ব্যাপারটি নেই। যদি থাকে তাহলে ওই পেটেন্টকে ইনভ্যালিড ধরতে হবে কারণ ম্যাথমেটিক্যাল ও স্ট্যাটিসটিক্যালি প্রুভড যে বাংলায় যুক্তাক্ষরের সংখ্যা যেহেতু খুব বেশী এবং যুক্তাক্ষর টাইপ করতে হয় হসন্ত চেপে (অভ্র ব্যবহারকারীরা এটা টের পান না কারণ অভ্র ব্যাকগ্রাউন্ডে এটা করে দেয়, ফোনেটিক অথবা রোকেয়া ইউজাররা এটা টের জানেন) সুতরাং হসন্তকে f এর জায়গায় দেয়াই সবচেয়ে যুক্তিসংগত যাতে টাইপিং স্পিড+কি স্ট্রোক উভয়ই কম লাগে।
ফলে আমরা দেখতে পারছি অভ্র ইউনিজয় নামের নতুন একটি লেআউট ওদের সফটওয়ারে ব্যবহার করেছে, মোটেও বিজয় লেআউট ব্যবহার করেনি।
এছাড়া কোন বর্ণে কি হবে এটার কোন পেটেন্ট হতে পারেনা সুতরাং জব্বার কাগু’র কোন দাবীই টিকে না।
জব্বার কাগু’র মিথ্যাচার বন্ধ হোক, ****-টা নির্বাচন কমিশনকে নিজের সফট বেঁচতে পারেনাই দেখে পাগল হয়ে গেছে। জুতাপেটা করা দরকার ওটাকে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩০
সিউল রায়হান বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২৯
টেকি মামুন বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।ভালো
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩১
সিউল রায়হান বলেছেন: এইমাত্র আপনার ব্লগটা পড়ে কমেন্ট করে আসলাম আপনিও দারুন লিখেছেন
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩৩
রাজসোহান বলেছেন: +++
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩৭
সিউল রায়হান বলেছেন: আপনারেও পিলাচ
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৪৬
শ্রীমান বলেছেন:
দুই ঘন্টা আগে একটা পোস্ট দিয়েছি....
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে...
Click This Link
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:০৫
সিউল রায়হান বলেছেন: পড়লাম। আপনার লিখাটাও চমৎকার হয়েছে।
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৪৭
তীরান্দাজ বলেছেন:
যতটুকু জেনেছি- মোস্তফা জব্বর এর শুরুটাই হয়েছে মিথ্যাচার আর প্রতারণা থেকে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:০৮
সিউল রায়হান বলেছেন: পুরোপুরি না তবে আপনার কথা মোটামুটি ঠিকই বলা যায়। সচলায়তনের যেই লিংকটি দিয়েছি ওটায় গেলে ভালমতই সব জানতে পারবেন, ওখানে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে
৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৪৯
রনি রাজশাহী বলেছেন:
এই ছবিটাতেই স্পষ্ট যে অভ্রের UniBjoy Layout এবং বিজয় বাংলার Bijoy Layout আলাদা। তাছাড়া ইউনিজয় ওপেন সোর্স এবং আগের থেকেই স্বীকৃত। কপিরাইট আইন বলতে সরাসরি হুবুহু কপি করাই বুঝায়, কিন্তু UniBijoy হুবুহ নয়, কয়েকটা অক্ষর আলাদা এবং কপিরাইট আইনে এ সম্পর্কে কিছু বলাও নেই যে একটা অক্ষর আলাদা হলেও আইন ভঙ্গ করা হবে। তাই মোস্তফা জব্বার অভ্রের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবেননা।
আর সবচেয়ে বড় কথা হল তিান কেন এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন?! যেই অভ্রের সাহায্যে আজ পুরো বিশ্ব ইন্টারনেটে বাংলা দেখছে, লিখছে এবং শিখছে। বাংলা ভাষার প্রসার ঘটছে। দেশের কোম্পানিগুলো এবং সরকারের লাভ হচ্ছে! তার বিজয় তো ইন্টারনেটে লেখাই যায়না, উল্টো সকলের ক্ষতিই হচ্ছে! মোস্তফা জব্বার নিজেই তো স্বীকার করেছেন যে নির্বাচন কমিশনে অভ্রের ব্যবহারের ফলে তার ৫০ মিলিয়ন টাকার ক্ষতি হযেছে! তার মানে সেখানে বিজয় ব্যবহার করা হলে তার ৫০ মিলিয়ন টাকা লাভ হত, অপরদিকে সরকারর ও দেশের ৫০ মিলিয়ন টাকার ক্ষতি হত! এটা কী কেউ ভেবেছে??
জব্বার সাহেব ২০০৮ সালে আমদানীকৃত কী-বোর্ডে বিজয় লে-আউট প্রিন্ট করার জন্য প্যাটেন্ট করেন। কিছু কম্পিউটার প্রযুক্তি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান আইনটি না জেনে প্রায় ২০০০ বিজয় লে-আউট সম্বলিত কী-বোর্ড আমদানী করে। পরদিনই জব্বার সাহেব প্রতি কী-বোর্ড়ে ২০ টাকা করে জরিমানা ধার্য করে চিঠি পাঠান, প্যাটেন্ট এর কাগজপত্রসহ। আমরা যে কী-বোর্ড় ২০০ টাকায় কিনতে পারতাম, তার দাম (যদি বিজয় লে-আউট থাকে) পড়বে ৩৫০-৫০০ টাকা পর্যন্ত। অনেক নামকরা ব্র্যান্ড মূল্য স্থিতি রাখতে এখন বিজয় লে-আউট ছাড়াই কীবোর্ড় বাজারজাত করছে। তিনি জনগণের সেবা করছেন নাকি আমাদের টাকা তার পকেটে ভরছেন?! প্রযুক্তি সহজলভ্য করছেন নাকি দুর্লভ্য?! এই যদি হয় প্রযুক্তি সকলের কাছে পৌছে দেয়ার নমুনা তাহলে তার কাছ থেকে আমরা কীভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ আশা করতে পারি?!! এটা সত্যিই দুঃখজনক জব্বার স্যার!
সর্বশেষ খবরে শুনেছি তিনি অভ্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে যে লড়াই করছি সেটাও কোন অংশে ভাষা আন্দোলনের থেকে কম নয়, আমরা সবাই ভাষা সৈনিক, বাংলা ভাষার প্রসারের জন্য আমরা অভ্রের সাথে থেকেই লড়াই করে যাব। বিশ্ব এখন ভাষা আন্দোলনের সাইবার রূপ দেখবে......
আমার এক ফ্রেন্ড রাহাতের ফেইসবুক এ আপলোড করা ছবিটা তুলে দিলাম।
পোস্টটার জন্য ধন্যবাদ সিউল ভাই। সচলায়তনে আগেই দেখেছি।
++++++++++++++++++++++++++++++++++
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:১০
সিউল রায়হান বলেছেন: ঠিক বলছেন রনি ভাই, আমরাও ভাষা সৈনিক....... তবে ৫২ এর ভাষা সৈনিকদের নখের যোগ্য নই আমরা, কিন্তু তাদের ত্যাগ ও এই ভাষার সম্মান ঠিক রাখতে সক্ষম আমরা...... কোন বর্ণ বেঁচা ব্যবসায়ীর কাছে ভাষাকে জিম্মি হতে দিবো না আমরা কোনদিনই
৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৫৫
নাজির বলেছেন: ++++++
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:১২
সিউল রায়হান বলেছেন: :-) ধন্যবাদ
৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:০০
রানা বলেছেন: জুতাপেটা করা দরকার ওটাকে। আমার একজোড়া ছেড়া স্যান্ডেল তাহার জন্য বরাদ্দ করিলাম।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:১২
সিউল রায়হান বলেছেন: দ্যাটস দ্য স্পিরিট
৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২৭
তীরান্দাজ বলেছেন:
আমরা তার বিরুদ্ধে যে লড়াই করছি সেটাও কোন অংশে ভাষা আন্দোলনের থেকে কম নয়, আমরা সবাই ভাষা সৈনিক, বাংলা ভাষার প্রসারের জন্য আমরা অভ্রের সাথে থেকেই লড়াই করে যাব। বিশ্ব এখন ভাষা আন্দোলনের সাইবার রূপ দেখবে......
সহমত@ রিন রাজশাহী
১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২৯
বালক বন্ধু বলেছেন: জব্বার সাহেব যা করেছেন তা অবশ্যই খারাপ কাজ।
তবে কিছু ব্লগার অন্ধের মত তাকে গালি দিয়ে যাচেছন দেখে মনে হচেছ জব্বার সাহেব বাংলাভাষা কম্পিউটারে লিখার জন্য কিছুই করেন নাই।
আমি অভ্র ব্যবহার করেছি। একটি ভাল উদ্ভাবন যার ফলে বাংলাভাষা নেটে তার স্থান দখন করতে পেরেছে।
কিন্তু বিজয় আমাদের যে শুরু এনে দিয়েছে তা বিজয়ের চাইতে কম নয়। তাই তাকে দোষ দিয়েন কিন্তু তার সম্পূর্ণ অবদানকে অস্বীকার কইরেননা।
আমি বিজয়ের একজন ব্যাপক ব্যবহারকারী। নানা ভাবে বিজয় ব্যবহার করি। তাই বুঝি এটা এখনো কত দরকারী।
আগে খুব কম অভ্রের নাম শুনতাম। এখন বেপক ভাবে শুনি। তাই বুঝতে পারি অভ্র কতটা ভাল। ভাল না হলে এত তারা তারি ছাড়ায় না। ফ্রি হয়ে এটা আরো ভাল কাজ করেছে।
উভয়কেই আমি সন্মান জানাই।
২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সিউল রায়হান বলেছেন: "তবে কিছু ব্লগার অন্ধের মত তাকে গালি দিয়ে যাচেছন দেখে মনে হচেছ জব্বার সাহেব বাংলাভাষা কম্পিউটারে লিখার জন্য কিছুই করেন নাই।"
- উনি একজন ব্যবসায়ী মাত্র, উনি বিজয় সফটওয়ার লিখতে যে কোডিং করতে হয়েছে তার বিন্দু বিসর্গের কিছুই জানেন না...... আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম........আমি উনাকে অবশ্যই সম্মান জানাতাম যদি উনি মিথ্যাচারগুলি না করতেন
১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪৩
লুথা বলেছেন:
+++++++++++
'অভ্র' এর জন্য অথবা মোস্তফা জব্বার নামক "চোর"এর বিরুদ্ধে জনমত গডে তুলুন...
Click This Link
২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫১
সিউল রায়হান বলেছেন: + দিয়ে আসলাম
১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৩
সায়েম মুন বলেছেন:
সতমত++++++++++
২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫১
সিউল রায়হান বলেছেন: থেংকু
১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:১৫
ফিউশন ফাইভ বলেছেন:
গুছিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না এই ইস্যুতে। তবে বিচ্ছিন্ন ভাবনাগুলো এরকম-
১. আমার শুরু বিজয় দিয়ে। এখনও বিজয়ই ব্যবহার করি। ফোনেটিক এবং ইউনিজয় আমার কাছে অবৈজ্ঞানিক অবৈজ্ঞানিক মনে হয়।
২. বিশেষ সংস্করণগুলো বাদ দিলে বিজয়ের দাম বেশি না। ১০০ টাকা মাত্র। প্রায় ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা সেটা বিনামূল্যেই পায় বলা যায়।
৩. বিজয়ের মূল প্রণেতা যে-ই হোক না কেন, শেষপর্যন্ত সেটা একটা মেধাসম্পদ। এইখানে এসে আমার মাথায় যে ভাবনাটি বারবার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে, সেটা হল বিজয়ের মতো একটি মেধাসম্পদকে যদি আমরা ন্যূনতম মূল্য দিতেও রাজি না হই, উল্টো তার ধ্বংস কামনা করি, তাহলে আমরা কিভাবে আমাদের ঘরে সমৃদ্ধ সফটওয়্যার শিল্পের স্বপ্ন দেখতে পারি? আমি জানি, এখানে অনেক তরুণ ব্লগার আছেন, যারা সফটওয়্যার তৈরির সঙ্গে যুক্ত অথবা আগামীতে যুক্ত হবেন। কিন্তু বিজয়েরই যেখানে এই করুণ অবস্থা, সামান্য মূল্য দিতে যেখানে পুরো অনিচ্ছুক আমরা, সেখানে কিভাবে আশা করতে পারি যে, আমাদের তরুণ সফটওয়্যার নির্মাতারা তাদের মেধাসম্পদের যথার্থ মূল্য পাবেন আগামীতে?
তবে এটা ঠিক যে, মোস্তফা জব্বার বড়ো অসিহষ্ণু একটা লোক। আর বিপরীতে অভ্র দ্বিধাহীনভাবেই অসামান্য একটি কাজ। দুটোই চলুক না সমানভাবে। যার যেটা ইচ্ছা ব্যবহার করবেন, যেটা ইচ্ছা বর্জন করবেন।
১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:২৮
রাগিব বলেছেন: @ফিফা
আমার মতে বিজয় নিয়ে যে ব্যবসা মোস্তফা জব্বার গড়ে তুলেছেন, তাতে সমস্যার কিছু নেই। বরং সফল বাংলাদেশী সফটওয়ার প্রতিষ্ঠান হিসাবে সেটা বেশ ভালো কাজ করেছে। বিজয় এর প্রোগ্রামিং অন্যরা করলেও তার অর্থায়ন ও বাজারজাতকরণ মোস্তফা জব্বার করেছেন, ব্যবসায়ী হিসাবে তিনি সফল।
কিন্তু সমস্যাটা হলো মোস্তফা জব্বার যখন তার মনোপলি ধরে রাখার জন্য অন্য সব ডেভেলপারদের হুমকি দিতে থাকেন। বিজয়ের দাম ১০০ না ৫০০ টাকা সেটা এখানে বিষয় না। বিষয় হলো মোস্তফা জব্বার মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে অভ্রকে পাইরেটেড বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, কপিরাইট/প্যাটেন্টের জুজুবুড়ি দেখিয়ে ইউনিজয় লেআউটের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। এটা নতুন না। এর আগেও তিনি মাঞ্চুমাহারা ও বিপ্রর আমাদেরপ্রযুক্তি ফোরামকে সম্ভবত হুমকি দিয়েছেন। বাংলা কম্পিউটিং এর উপরে রিপোর্টে অভ্রর কথা লেখায় সাংবাদিক বিপ্লব রহমান ভাইকে ঝাড়ি দিয়েছেন।
এই আচরণগুলো মোস্তফা জব্বারের অন্য সব অবদানকে ছাড়িয়ে গেছে। আর সেই সাথে তিনি নিজেকে বাংলা কম্পিউটিং এর প্রবক্তা বলে দাবি করেন, অথচ বাংলা কীবোর্ডের দিক থেকে বিজয় ৪ নম্বর মাত্র (তাও বাংলাদেশেরটা হিসাব করলে)। ব্যবসায়িক স্বার্থে মোস্তফা জব্বার এর আগে ইউনিকোডের বিরোধিতাও করেছিলেন (সম্ভবত কম্পিউটার জগতে তার সেই "ভারতীয় বাংলা" ঢুকে যাবার ভয় দেখানো লেখা পড়েছিলাম)।
যে যার ইচ্ছা সেটা ব্যবহার করবেন, এটা আমারও মত। বিজয় আর অভ্র -- দুটোই সফটওয়ার, একটা ফ্রি আরেকটা পয়সা লাগে বলে কোনোটা কারো চেয়ে মহৎ, এমন না। কিন্তু মিথ্যা অপবাদ দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার গ্রাম্য রাজনীতি কৌশল -- জব্বার সাহেবের সাম্প্রতিক লেখা ও অনলাইনের আচরণে সেটাই প্রকাশ পাচ্ছে।
২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সিউল রায়হান বলেছেন: চমৎকার অ্যান্সার দিয়েছেন ভাইয়া
১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:৫১
ফিউশন ফাইভ বলেছেন:
রাগিব@
লক্ষ্য করবেন, আমি আগেই বলেছি মোস্তফা জব্বার খুবই অসহিষ্ণু একটা লোক। সহিষ্ণুতা বোধহয় তার অভিধানে নেই। ইউনিকোডের হাস্যকর বিরোধিতা করে লেখা জব্বারের সেই 'মাস্টারপিস' বোধহয় এখনো কিছু কিছু স্মরণ করতে পারবো। এমনকি আমার আর্কাইভেও সেই লেখাটি থাকতে পারে। এখন মনে পড়ল, আমাদের প্রযুক্তি ফোরামকেও তিনি হুমকি দিয়েছিলেন মেইলে।
তবে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল থেকে শুরু করে আগের সব উদ্যোক্তার কথা মনে রেখেও এটা কিন্তু স্বীকার করতেই হবে যে, বাংলা কম্পিউটিংয়ে সত্যিকারের বিপ্লব এনেছে বিজয়ই। উদ্যোক্তা হিসেবে মোস্তফা জব্বারও তার কৃতিত্ব পাবেন নিঃসন্দেহে।
আর জনকণ্ঠে প্রকাশিত তার লেখায় হ্যাকিংয়ের উদাহরণ টানতে গিয়ে অভ্র প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে আসাটা আমার কাছেও হাস্যকর লেগেছে। অভ্র পাইরেটেড কিনা বা মিল-অমিল কী সেটা আপনারাই সবচেয়ে ভালো বলতে পারেন। আমি সেদিকে যাইনি। আমার শুধু একটু অস্বস্তি লাগছিল এই ভেবে, অভ্রের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে আরেকটি মেধাসম্পদকে নিজেদের অজান্তে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছি কিনা। একটু দ্বিধায় ফেলে দিচ্ছিল, যুদ্ধটা জব্বারের অসংলগ্ন কথার বিরুদ্ধে না হয়ে বিজয়ের বিরুদ্ধে হয়ে যাচ্ছে কিনা- সেটাই।
২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
সিউল রায়হান বলেছেন: "তবে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল থেকে শুরু করে আগের সব উদ্যোক্তার কথা মনে রেখেও এটা কিন্তু স্বীকার করতেই হবে যে, বাংলা কম্পিউটিংয়ে সত্যিকারের বিপ্লব এনেছে বিজয়ই। উদ্যোক্তা হিসেবে মোস্তফা জব্বারও তার কৃতিত্ব পাবেন নিঃসন্দেহে।"
- সফল উদ্যোক্তা হিসেবে ওকে ক্রেডিট দিতে আপত্তি ছিল না, কিন্তু ওকে ক্রেডিট দিলে ও নিজের মিথ্যাচারগুলি চাপিয়ে দিতে আসবে এবং এতে দেশের সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা আছে (কল্পনা করুন একটা সিনারিও: সবাইকে টাকা দিয়ে সফটওয়ার কিনে বাংলা লিখতে হচ্ছে........ পারবেন এই দৃশ্য মেনে নিতে ?? জব্বার মিয়ার প্ল্যান সেরকমই)
১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:২১
নষ্ট ছেলে বলেছেন: অভ্রের জনপ্রিয়তা দেখে কাগুর মাথা ঠিক নাই।
২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
সিউল রায়হান বলেছেন: ঠিক
১৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:০৪
মনিহার বলেছেন: আমরা ৫০ টাকা দিয়ে বিল গেটসের সিডি কিনি নীলখেত, এলিফেন্ট রোড থেকে। বাংলাদেশের আইটি বোদ্ধা মোস্তফা কাগু তো এটা নিয়েতো কখনো কিছু বলে নাই। নিজের ব্যবসা কমে যাচ্ছে, তাই কাগুর মাথা গরম।
সালাম অভ্রকে। না হলে হয়ত কমপিউটারে আমার কখনো লিখা হত না। বাংলা ব্লগ লিখা হত না।
২২ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সিউল রায়হান বলেছেন: কাগু এইবার গন কেস ওর বিজয় মনে হয়না আর কেউ কিনবে, অন্তঃতপক্ষে যে অভ্রের নাম জানে তার কিনার কথা না।
১৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:১০
অপ্রয়োজন বলেছেন: এই লোক সদ্য "নিউটারড" সারমেয় এর মতন করতেসে কেন?
যথেষ্ঠ ব্যবসা কি করে নেয়নাই ইতিমধ্যেই? মাথায় চিমটি পরিমান বুদ্ধি থাকলেও তো বুঝার কথা যে আসকি এর দিন শেষ ... অভ্র আইসা এই লোকরে 'ফিক্স' দিয়ে দিসে, তার তাতেই 'হাজম' এর কাছ থেকে সদ্য ফিরে আসা বাচ্চার মত ফাল পারলে ব্যথা আরো বাড়বে। অফ থাকাই ভালো।
২২ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সিউল রায়হান বলেছেন: ভাইয়া আর তো কোন উপায় নাই ওর "বিজয় বেঁচা" ছাড়া...... তাই মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল অবস্থা আরকি
১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:১৯
অজানা এক পথিক বলেছেন: কাগু বুঝছে হের দিন শেষ হয়ে যাইতেছে...তাই উনি পাগল হই গেছেন......কি কইতেছে নিজেও বুঝে না
@ফিফাঃ এমনিতেই বিজয়ের ব্যাবসা কইরা কাগু নিজেরে আইটি বিশেষজ্ঞ(!) দাবী করে......উনারে কয়টা টেকি কুশ্চেন জিগাইলে তো কাইন্দা দিব......হের মত পাবলিকরে উৎসাহ দিলে লাভ কিছুই হবে না বরং দেশের আরও ক্ষতি হবে
২২ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৬
সিউল রায়হান বলেছেন: ঠিক...... কাগু বুঝছে ওর দিন শেষের দিকে
২০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৭
পলাশমিঞা বলেছেন: বিজয় ২০১০ এতেতো সব যুক্ত অক্ষর নেই। চাচারে মেইল করেছিলাম কইলে তেখবেন।
চাচার দিন শেষ হয়ে এসেছে।
সাধারণট পাঠকরা বিজয় কিনবেনা কারণ অনলাইন বাংলা পড়া যায়। কয়দিন পর অভ্রই আকাশ ছুবে।
মেহেদী ভাইকে বলছি, আরো সামান্য কষ্ট করে ফটশপে লেখার ব্যবস্থা করে দেন, সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। ফটশপে অব্র দিয়ে লেখা যায়না, যুক্তঅক্ষর হয়না।
২২ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৬
সিউল রায়হান বলেছেন: সচলায়তনের হোমপেজে যান....... একটা পোস্টে দেখলাম লিখা যায়
২১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৪
নাজমুল হক রাসেল বলেছেন: সামু চেঞ্জ করুক না করুক, আমরা আমাদের প্রোফাইল পিকচার হিসাবে অভ্র এর ব্যানারকে ব্যাবহার করি
Click This Link
২২ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৭
সিউল রায়হান বলেছেন: আমি অভ্র ব্যবহারকারী না তাই পাল্টাচ্ছি না..... শুভকামনা আপনাদের জন্যে
২২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪১
অজানা আমি বলেছেন: অভ্র ছাড়া আর কিছু বুঝি না
২২ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৮
সিউল রায়হান বলেছেন: কাগু'র ভন্ডামী ধরতে হবে, বুঝতে হবে
২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৩৯
লালসালু বলেছেন: অভ্র না থাকলে
২২ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৯
সিউল রায়হান বলেছেন: + দিয়ে আসলাম (যদিও এভাবে লেখার প্রয়োজন ছিল না)
২৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪৯
পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: @ ফিফা
ব্লগ এর আস্ত লেখা গুলা পড়ে দেখেন গত ২ দিনের। বিজয় এর কাজ কে কেউ খারাপ বলে নাই , বিজয় একদা এই ছিলো ওই ছিলো ....মানলাম ভাই
কিন্তু অভ্র যা করতে পেরেছে ঐটা বিচার করতে গেলে বিজয় এর স্থান অচিরেই মিউজিয়াম এ হবে। তাতেও সমস্যা ছিলো না। সমস্যা করসে ঐ জব্বার কাগু। তার উপরেই আমি সহ সব ব্লগারদের মেজাজ খারাপ এবং আমাদের সবকিছু জব্বার কাগুর কান্ডকারখানার বিরুদ্ধে এবং অভ্র এর পক্ষে । এখানে আমরা "আরেকটি মেধাসম্পদকে নিজেদের অজান্তে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছি না "
জব্বার কাগু যেরকম শুরু করসে আর পাবলিক যেমনে খেপসে তাতে ওর যায়গা আর মিউজিয়াম এ হবে না , সোজা ডাস্টবিন
২৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫৫
জাহিদ.হাসান০৮ বলেছেন: +++++++++++
২২ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৩০
সিউল রায়হান বলেছেন: টেংকুস
২৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৫৩
নাজমুল হক রাসেল বলেছেন: Click This Link
আরেকটি আলোচনা চলছে
২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩০
সিউল রায়হান বলেছেন: বেশ কিছুদিন পরে ব্লগে আসলাম। আপনার দেয়া লিংকের পোস্টটা ভাল থাকলেও আলোচনা এখন পুরোপুরি নোংরা হয়ে গিয়েছে
২৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৪১
আইরিন সুলতানা বলেছেন:
আজকে প্রথম আলোতে মোস্তফা জব্বার ভার্সেস মেহেদী হাসান এর বক্তব্য পড়লাম।
মোস্তফা জব্বারের বক্তব্যের পর আমাদের এখন অভ্র বাদ দিয়ে ইউনিজয়ের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ। এমনকি অভ্র-টিমেরও তাই করা উচিৎ। মোস্তফা জব্বারের ৮ই এপ্রিলের মিথ্যাচারের পর ইউএনডিপি সহ নির্বাচন কমিশন এগুলোর আসে-পাশে-সাথেও দাঁড়ানো উচিৎ ছিল, কিন্তু ওই অংশটুকু আমরা এড়ায় গেছি।
প্রথমত, অভ্র টিমের ব্যাখ্যাগুলো আরো বেশী টেকি ফোকাসড হওয়া দরকার। এতে মোস্তফা জব্বার কর্তৃক পরে কোন লিগ্যাল স্টেপ এর আশংকা থাকলে অভ্র টিম আইনি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবে। আর ফেসবুক-ব্লগ বিপ্লব দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই অংশটা হয়ত দ্বিতীয় ধাপে আসতে পারে।
অভ্র টিমকে মনে রাখতে হবে, অভ্রের জনপ্রিয়তা এখনো মূলত ভার্চ্যুয়্যাল দুনিয়া কেন্দ্রীক। এমনকি এটা আমরা যারা ফেসবুকে-ব্লগে অভ্র বিপ্লব ঘটাচ্ছি তাদেরও বোঝা দরকার। বিজয় ওয়াজ ওয়ান অফ দ্য বিগিনার্স এন্ড অভ্র ইজ নট দ্য এন্ড।
ওমনিক্রনল্যাব তাদের সাইটে অভ্র'র ফিচার নিয়ে বলতে গিয়ে এটা জানিয়েছে --
"Keyboard layouts those are added with the current release are - UniBjoy (99% match with popular Bijoy keyboard layout) ..."
যেহেতু অভ্র বলেই দিচ্ছে, অভ্র ইউনিজয় বেজড ইউনিজয় ৯৯% বিজয় এর আদল ফলে অভ্র-টিম এখন যে যুক্তিটি দিচ্ছে, যে একটি কী এর পার্থক্যই একটি নতুন লেআউটের জন্ম দেয়, এ ব্যাপারে তাদের আরো উদাহরণ এবং আরেকটু বিস্তারিত বর্ণনা করলে তবেই হয়ত তা মোস্তফা জব্বারকে থামাতে পারে ।
তাহলে দেখা যাচ্ছে আসলে টেকি-লড়াইটা অভ্র-কেন্দ্রীক কোনভাবেই নয়, বরং বরং ভেতরে গিয়ে ইউনিজয় কেন্দ্রীক। ইউনিজয় অবশ্য তাদের সাইটে অনেক আগেই লিখে রেখেছে - "We have no affiliation with Mr. Jabbar or with Ananda Computers."
নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে মোস্তফা জব্বারের উষ্মা অনেক পুরনো, ২০০৮ সালেও তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল নির্বাচন কমিশন তাদের ১০ হাজার ল্যাপটপে তাঁর অনুমতি ছাড়া বিজয় ব্যবহার করছে। এ প্রসংগে তখন তিনি বলেন,
"I don't seek any royalty from the election commission. I just want to get official acknowledgment from the government,"
এখন অভ্র-কেন্দ্রীক যে উন্মাদনা হচ্ছে তা না হয়ে খুব ভাল একটা বিতর্ক হতে পারতো, যেখানে মুক্ত সফটওয়্যার, বাংলা কী-বোর্ড লেআউটের পেটেন্ট প্রয়োজনীয়তা/অপ্রয়োজনীয়তা/, পেটেন্টের উপকার/অপকার, ফ্রি-ওয়্যার হলে আইটি ইউজারের লাভ এবং বিপরীতে আইটি ব্যবসায় অ-লাভ এবং অতঃপর পাইরেটেড নিয়ে আমাদের আইন নিয়ে জমজমাট আলোচনা হতে পারতো....কিন্তু আফসোস !!!! বিষয়টা ঠিক ওরকম হচ্ছে না !
২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩৫
সিউল রায়হান বলেছেন: আপু আসলে ব্যাপারটা কি জানেন মুক্ত কোন সফটওয়ার না আসা পর্যন্ত (আসা মানে একদম রাজকীয়ভাবে আসা, যেমন: ফায়ারফক্স কিংবা গুগল ক্রোম) কেউই মুক্ত সফটওয়ারের মূল্য বুঝবে না। তবে একবার বুঝলেই আর টেনশন নাই। বাংলাদেশের নেট ইউজাররা এখন পাল্টাচ্ছে, তারা এখন ফেসবুক স্ট্যাটাস বাংলায় দেয় অথবা বাংলায় স্ট্যাটাস দিতে চায়। আরো অনেককিছুই চাই আমরা বাংলায় কিন্তু নেই, তবে এক এক করে এগিয়ে আসছে সবাই। এবং এগিয়ে আসছে মুক্ত সফটওয়ার নিয়েই, টাকা দিয়ে জিনিস কেনানোর দিন শেষ এখন ওপেন সোর্স + টপ কোয়ালিটি দিয়ে এসব জব্বার কাগুদের মোকাবেলার দিন এসেছে
২৮| ০৩ রা মে, ২০১০ সকাল ৭:৪৫
মাসুদ মারুফ বলেছেন: ধরা যাক জব্বার আং্কেল একটা মেধা আর আমরা অভ্ররে নিয়া বেশী চিল্লাইেতছি, তো প্রশ্ন হলো "এতকাল ধইরা কি বানাইছেন আমাদের মেধাবী সাহেব যে এখনও লিখতে গেলে আগে টাইপ প্রব্লেমের কথা আগে ভাববে হয়, আবার তাতে বলা হয় টাইপ প্রব্লেমের কারন বিজয় না আমাদের মেশীনের সমস্যা।" কত বছর ধরে আছে এই মেধাবী সাহেবের "টাইপ প্রব্লেম সফট"? আমি এক সময় প্রবরতন ও ব্যবহার করুছ।উপায় নাই বলেই বিজয় ব্যবহার করছি। বিজয় কখনই আমার স্যাটিসফায়েড সফটওয়্যার হয় নাই।
আর অল্প কয়দিনেই অভ্র ল্যাব যা করছে তাতে জব্বারের এই উঠতি মেধাবিদের সেলিব্রেট করা উচিত, পারলে মিডিয়ায় প্রসঙসা করা উচিত। দাড়িমোচ পাকিয়েও তিিন নির্ভুল কাজ আমাদের দিতে পারেননি, পারেননি ইউনিবিজয়ের প্রসারে কাজ করতে।
০৫ ই মে, ২০১০ রাত ৮:০২
সিউল রায়হান বলেছেন: সেটাই ভাই, অভ্রের অবদান অস্বীকার করার চুল পরিমাণ কোন সুযোগ নাই......... আশা করি আইনি লড়াইয়েও অভ্র জিতে আসবে
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২৭
মদন বলেছেন: একমত