নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিভে যাওয়া আলোর পূজারী.....

সিউল রায়হান

সিউল রায়হান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারের মৌলবাদতোষণ ও ব্লগার গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকআউটে নৈতিক সমর্থন

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

বুয়েটিয়ান.কম এ লিখেছিলাম লেখাটা। কপি-পেস্ট করলাম এখানে কারণ নিজের জায়গা থেকে প্রতিবাদ করতেই হবে এখন।



অরিজিনাল লিংকঃ http://www.buetian.com



==============

আপনারা জানেন হয়তোবা দেশের শীর্ষ ব্লগসাইটগুলির অনেকগুলোই ব্ল্যাকআউট করেছে আওয়ামী লীগের মৌলবাদতোষণ করে ৩ জন ব্লগার গ্রেফতার হত্যার প্রতিবাদে। এই ব্লগারদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছে হেফাজতে ইসলাম যাদের মূল উদ্দেশ্য জামাতে’র বি-টিম হিসেবে কাজ করা। এদের যখন বলা হয়েছে তারা ব্লগারদের ব্লগ পড়েছেন কিনা তারা বলেছেন পড়েননি কিন্তু তারা এদের ফাঁসি চান, ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে এদের নেতাদের সাথে জামাতের নেতাদের ফোনালাপ।



বিএনপি’র মত দলের সম্ভাবনা ছিলো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে আন্দোলন করার, কিন্তু তারা আটকে আছেন ও থাকবেন এই কয়টা শব্দেইঃ স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ-আন্তর্জাতিক মান। জামাতে বিলীন এই দলটির প্রতি কোন সমবেদনা নাই। রাজনীতির মাঠের চরম অভিজ্ঞ আওয়ামী লীগের কাছে ভোটের চেয়ে মূল্যবান আর কিছ নেই। এই কারণে কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ হয়নি ৩৪৫ জন হত্যার সাথে জড়িত থাকার পরেও এবং ঠিক এখনও ঠিক এই মাদ্রাসা জনতার ভোটের লোভে এরা হেফাজতে ইসলামের মত দলের কথায় নাঁচছে। বিএনপি’র মত দল যেই দেশে জনসমাবেশের অনুমতি পায়না সেখানে হেফাজতে ইসলাম অনুমতি পায়। ব্লগারদের গ্রেফতার করা বাংলাদেশকে বাংলাস্তান অথবা চাঁনতারা-গিস্তান বানানোর প্রথম স্টেপ, দেশের মুক্তবুদ্ধি চর্চাকে গলাটিপে হত্যার সূচনা। আজকে নাস্তিকতার নাম করে আরম্ভ করেছে, কাল এরা ফেরত আসবে হিন্দুয়ানী পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে, এরপরে আসবে মুসলমান দেশের এক হবার দাবিতে পাকিস্তানের সাথে একীভূত হবার আহ্বান নিয়ে। আপনাকে আমাকে সবাইকেই এখন একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবেঃ এই দেশ কার? মৌলবাদীদের নাকি তাদের মুখোশ খুলে দেয়া এই ব্লগারদের?



৫ই ফেব্রুয়ারী কোন মিডিয়া এগিয়ে আসেনি আন্দোলন করার জন্যে। গত ৪২ বছর ধরে কিভাবে জামাত-শিবির ক্যান্সার ঘটিয়ে চলেছে বাংলাদেশে তা নিয়ে মিডিয়ার মাথাব্যথা নেই কারণ তাদের পেপারে অ্যাড দেয় “ইসলামী ব্যাংক”, “রেটিনা”। ব্লগাররা কোনরকম প্রলোভন ছাড়াই এবং কোন রকম রাজনৈতিক এজেন্ডা ছাড়াই দেশকে ভালোবেসে লিখে গিয়েছেন তাই আজ আঘাত আসছে এবং এখুনি রুখে না দাঁড়ালে আঘাত আসবে এই জেনারেশনের উপরে যারা কোন প্রতিদান ছাড়াই দেশের জন্যে কথা বলে।



বাংলাদেশকে বাংলাস্তান করার জামাত-শিবিরের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যে যেভাবে পারুন রুখে দাঁড়ান।





জয় বাংলা, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ…

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন:
বাংলাদেশকে বাংলাস্তান করার জামাত-শিবিরের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যে যেভাবে পারুন রুখে দাঁড়ান।


+++++++++++++++

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২০

নায়করাজ বলেছেন: যারা এখন হাততালি দিচ্ছেন, তারা এদের রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়ে দেন। দেখেন কিভাবে আপনাকে জবাই করবে। বিএনপি প্রকাশ্যেই মতিঝিলের ২২টি পয়েন্টে লংমার্চকারীদের খাবার ও পানীয় দিচ্ছে। জাতীয় পার্টিও পানি খাওয়াচ্ছে। তারা ভেবেছে এরা তাদের পোষা কুকুর হয়ে যাবে। বাস্তবে হবে না। এদের মূল টার্গেট রাষ্ট্রক্ষমতা, ইসলাম নয়। এদের সঙ্গে আছে জামাত শিবির। Click This Link

তাদের প্রথম টার্গেট হবে সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ - আওয়ামী লীগ বিএনপি কেউ রেহাই পাবে না। পরের টার্গেট হবে সাংবাদিকরা, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীসহ সকল সাধারণ মানুষ। তারা ব্লাসফেমি আইন পাস করে যাকে খুশি তাকে ফাসিতে ঝোলাবে। নাসারাদের স্টাইলের এই আইনের বলে অসংখ্য নিরপরাধ মানুষের জীবন যাবে। তারা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করবে। নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করবে। নারীদের চাকুরি থেকে বহিষ্কার করবে। বন্ধ হয়ে যাবে গার্মেন্টস সেক্টর। বন্ধ হয়ে যাবে সকল নারীবাদী প্রতিষ্ঠান। আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে তারা এটাই করেছে।

সব উগ্রপন্থী তাদের বিরুদ্ধ মত সহ্য করেন না। আল্লামা শফি এখন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশের সুরে কথা বলছেন। বুশ বলেছিল, হয় তুমি আমার পক্ষে থাকে, নয় তুমি সন্ত্রাসী। আল্লামা শফি বলছেন, তাদের বাধা দিলে সরকার নাস্তিক। বাধা না দিলে আস্তিক। অর্থাৎ তাদের পক্ষে না থাকলেই তারা যাকে তাকে নাস্তিক বানিয়ে দেবে। তারা নাস্তিক আস্তিকের সার্টিফিকেট নিয়ে বসে গেছে ।

মোল্লাতন্ত্র পৃথিবীর সব দেশকেই পিছিয়ে দিয়েছে। এ দেশকেও দেবে। এদের প্রতিরোধ না করে যারা ভোটের লোভে এদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, এক সময় এরাই এদের হাতে মারা পড়বেন।

আমরা সাধারণ মানুষরা খুব সহজেই এদের প্রতিরোধ করতে পারি। সকল লিল্লাহ বোর্ডিং এবং মাদ্রাসায় দান করা বন্ধ করে দিন। আপনার দান নিয়ে আপনার গলায় ছুরি চালানোর জন্য এরা তৈরি হচ্ছে। আপনি কি চান আপনার দান খেয়ে এরা আপনার সন্তানকে ইসলাম রক্ষার নাম নিয়ে জবাই করুক ?

আমার ঈমান আমার কাছে। কারও সার্টিফিকেট দরকার নাই আমি ঈমানদার নাকি নাস্তিক। আমি কারও কাছে দায়বদ্ধ নই, দায়বদ্ধ স্বয়ং আল্লাহর কাছে। আমি কতটুকু ঈমানদার একমাত্র আল্লাহই জানেন। পরকালে আমার ঈমানের উপর নির্ভর করেই মহান আল্লাহতায়ালা আমাকে পুরস্কার অথবা শাস্তি দিবেন। কোন মোল্লার সার্টিফিকেটের দরকার হবে না। স্বয়ং আল্লাহর কাছে কোন মোল্লার সার্টিফিকেটের কোন মূল্যও নাই।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

অরন্যযাত্রী বলেছেন: সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে.।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

নীলআকাশ1987 বলেছেন: আবাল কনহান কার.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.