নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি সেভেরাস স্নেইপীয় পরিবেশনা

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ব্লগিং হজমের জন্য ক্ষতিকর।

সেভেরাস স্নেইপ

নিজেকে একজন কর্মঠ ছেলে হিসেবে পরিচয় দিতেই আমি গৌরববোধ করি। যদিও কি কর্ম করি তা নিয়েই এখনো আমি পাজলড। অবশ্য তাতে কিছু যায় আসে না, কারণ আমি মনে করি চিন্তাই সাফল্যের প্রথম সোপান। তাই আপাতত চিন্তার মাঝেই আছি।

সেভেরাস স্নেইপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘রবার্ট ওপেনহেইমার’ - বিস্ময়কর এক প্রতিভার অপমৃত্যু! (শেষ পর্ব)

২০ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৯

প্রথম পর্বের পর থেকে -







শুরু হয় ইউরেনিয়াম আকরিক সংগ্রহ ব্যাপক পরিমাণে। ইউরেনিয়াম আকরিক থেকে U-235 সংগ্রহ করা হয়, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সেপারেশান প্ল্যান্টের মাধ্যমে। এ প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন হয় ৬০০ টন রুপা। বিজ্ঞানীদের নিরন্তর গবেষণার ফলস্বরূপ ‘চেইন রি-অ্যাকশন’ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসে। ১৯৪৫ সালে মার্চ মাসে জার্মানি আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞানীদের উদ্যমে ভাটা পড়ে। তারা অনেকেই এই প্রজেক্ট বন্ধ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয় অবগত করে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে চিঠি লেখেন। কিন্তু চিঠি প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের হাতে পড়ার কয়েক ঘন্টা আগেই মারা যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এরপর ট্রুম্যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং বিজ্ঞানীদের অনুরোধ উপেক্ষা করে শিগগিরই কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার এ সুযোগ তিনি ছাড়তে চাননি। কথা প্রসঙ্গে তিনি একবার বলেছিলেন, “এইবার ব্যাটাদের শায়েস্তা করার মুগুর হাতে পেয়েছি”







১৯৪৫ সালের ১২ জুলাই, রাত ৪.৩০ মিনিট, লস অ্যালামস ল্যাবরেটরির কন্ট্রোল রুমে বিজ্ঞানীরা ভাবী উত্তেজনায় উন্মুখ। সব রঙের বাটনটির ওপর ওপেনহেইমারের তর্জনী। কাউন্ট ডাউন শুরু হলো, টেন-নাইন... ওয়ান-জিরো। হাজার হাজার সূর্য যেন একসাথে জ্বলে উঠলো। রাতের অন্ধকারের বুক চিরে তীব্র কমলা লাল আলোয় ছেয়ে গেল গোটা আকাশ। কিছুক্ষণ পরেই ভয়ঙ্কর শব্দে শকওয়েবের তীব্র ধাক্কায় নড়ে উঠলো মাটি, দুলে উঠলো ল্যাবরেটরি, তারপর নিঃসীম নীরবতা, নির্বাক বিজ্ঞানীরা, কয়েক মুহূর্তের পর চমক ভাঙলো বিজ্ঞানীদের। উল্লাসে ফেটে পড়লেন তারা। ওপেনহেইমারকে তরুণ কয়েকজন বিজ্ঞানী কাঁধে তুলে নাচতে লাগলেন। হ্যান্ডশেক আর কোলাকুলি করতে করতে ওপেনহেইমারকে তারা ব্যস্ত করে তুললেন। পারমাণবিক বোমার জনক তখন একইসাথে আনন্দিত এবং ভবিষ্যৎ ভাবনায় ব্যথিত।





ছবি - ট্রিনিটি এক্সপ্লোশান



এ প্রসঙ্গে পরে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি জবাব দেন, দুর্নিবার আবিষ্কারের নেশা যখন বিশ্বকে পেয়ে বসে অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা করার সময় তখন থাকে না। একজন বিজ্ঞানীর সাধ্য কী যে সে তা রুখে!

এই ট্রিনিটি টেস্টের দুইদিন পূর্বে ওপেনহেইমার তাঁর আশা ও ভয়কে প্রকাশ করেছিলেন ভাগবদ গীতার একটি উদ্ধৃতি দিয়ে -



In battle, in the forest, at the precipice in the mountains,

On the dark great sea, in the midst of javelins and arrows,

In sleep, in confusion, in the depths of shame,

The good deeds a man has done before defend him.



বিজ্ঞানীদের এই আনন্দ-উল্লাস গভীর বিষাদে ঢাকা পড়ে, যখন মুখরিত দুই জনপদ নাগাসাকি এবং হিরোশিমা মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়। মানবসভ্যতার ইতিহাসে অমোচনীয় কলঙ্কের কালিমা হয়ে পারমাণবিক বোমা লেপ্টে যায় ইতিহাসের পাতায়।







মারণাস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে ছিল না আরেক পরাশক্তি অর্থাৎ সোভিয়েত ইউনিয়ন। এদিকে এডওয়ার্ড টেলর হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য পায় প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যানের কাছ থেকে। অপরদিকে হাইড্রোজেন বোমা আবিষ্কারের বিরোধিতা করেন ওপেনহেইমার। ফলে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। একে একে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁকে বিপর্যস্ত করা হতে থাকে এবং এতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইসেন হাওয়ারের প্রচ্ছন্ন পৃষ্টপোষকতা থাকে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয় ওপেনহেইমারকে। ঘোর কমিউনিস্ট বিরোধী সিনেটর জোসেফ ম্যাকার্থি এবং ওপেনহেইমারের প্রধান শত্রু লুই ট্রাউস ওপেনহেইমারের সব ধরনের সুবিধা কেড়ে নেয়ার জন্য উঠে-পড়ে লেগে যায়। প্রিন্সটন ইনস্টিটিউট থেকে তাঁকে সরানোর চেষ্টা চালানো হয়; কিন্তু একদল বিজ্ঞানীর তুমুল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়ে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।







সিআইএ এবং এফবিআই চব্বিশ ঘন্টা ওপেনহেইমারের ওপর নজর রাখে। ফোনে আঁড়িপাতাযন্ত্র বসানো হয়। বিচারের নামে আদালতের কাঠগড়ায় তাঁকে পুনঃপুন দাঁড় করানো হয়- চরমভাবে অপমানিত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ‘কালো প্রাচীর’ নির্মাণ করা হয়। সব ধরনের গবেষণা থেকে তাঁকে দূরে রাখা হয়। সময়টি ছিল ওপেনহেইমারের জন্য মৃত্যুর চেয়ে বেশি বেদনাদায়ক। এই সময় তিনি শারীরিক এবং মানসিক উভয় প্রকারেই ভেঙে পড়েন। তাঁর পরিবারের উপর নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। স্ত্রী কিটি বেদনা ভুলে থাকতে সারাক্ষণ মদে ডুবে থাকতেন। পুত্র পিটার বঞ্চিত হয় সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ থেকে। কন্যা ক্যাথেরিন অপমানের হাত থেকে বাঁচতে আত্মহত্যা করে।







অবশেষে ১৯৬৬ সালের দিকে মার্কিন সরকার নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং ওপেনহেইমারকে যথাযোগ্যভাবে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় প্রেসিডেন্ট ছিলেন এফ কেনেডি এবং লিন্ডন বি জনসন। এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্টানে বন্ধু-বান্ধব এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে বেষ্টিত অবস্থায় তাঁকে সর্বোচ্চ খেতাব ‘ফার্মিতে’ ভূষিত করা হয়।







ওপেনহেইমার এই সময় খুবই দুর্বল হয়ে পড়েন। লাঠিতে ভর দিয়ে চলাফেরা করতে হতো। দেশের প্রতি একান্ত অনুগত হয়েও ‘দেশদ্রোহী’ অপবাদ তাঁকে আজীবন পীড়িত করে। ১৯৬৭ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারী, ৬২ বছর বয়সে অসামান্য প্রতিভাধর নির্মম দুর্ভাগ্যের শিকার এই বিজ্ঞানী মৃত্যুবরণ করেন। অন্ত্যষ্টিক্রিয়া শেষে তাঁর দেহভস্ম ভার্জিন আইল্যান্ডে সমুদ্রের ছড়িয়ে দেয়া হয়।



তথ্যসূত্রঃ

১) “প্রজেক্ট ম্যানহার্টন এবং ওপেনহেইমার” – আব্দুল্লাহ-আল-মামুন

২) “The inventor of Atomic bomb Robert Oppenheimer & his punishment”

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

অপ্রিয় বলেছেন: ওপেনহেইমার প্রতিভা ছিল না ছিল অপ-প্রতিভা।

২০ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সেভেরাস স্নেইপ বলেছেন: বোমা আবিষ্কারকদের ক্ষেত্রে 'অপ-প্রতিভা' বিশেষণটি যথাযথ হতেও পারে। তবে আপনার মন্তব্যের পক্ষে অতিরিক্ত কিছু হিন্টস/যুক্তি দেখালে বুঝতে আরেকটু সুবিধা হত। ধন্যবাদ।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৪৪

দূর্যোধন বলেছেন: কেউ ভালো কাজে জ্ঞানকে লাগায়,কেউ মন্দ কাজে।ওপেনহাইমারের দোষ কি?পরমানু শক্তি দিয়ে তো রিয়াক্টরও চালানো হয়!

২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:০১

সেভেরাস স্নেইপ বলেছেন: সহমত।

মূলতঃ পারমাণবিক বোমার ভয়াবহতা দেখে ওপেনহেইমার 'হাইড্রোজেন বোমা' তৈরির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেন এবং এর ফলেই তাঁর জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠে।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৪৭

অপ্রিয় বলেছেন: না, বোমা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে 'অপ-প্রতিভা' নয়, সে সময় পদার্থবীদ ও প্রযুক্তিবিদদের বোমা তৈরীর দায়িত্ব ছিল তারা তা করেছে - এটা নিশ্চয় একটি সাফল্য।

কিন্তু বোমাটি যখন তৈরী হলো তখন জাপানীরা প্রায় পরাজিত। খোদ মার্কিন ওয়ার ডিপার্মেন্ট দ্বিধা দ্বন্দে ছিল বোমাটা মানুষের উপর ফেলা হবে কি না। আইনস্টাইন-লিও জিলার্ড সবাই বোমা প্রয়োগের বিপক্ষে ছিলেন। এমনকি স্বয়ং মার্কিন সামরিক বাহিনীও জোর কোন সিদ্ধান্ত দেয় নি। একটি জোর প্রস্তাব ছিল বোমাটি একটি মানুষ বাস করে না এমন দ্বিপে ফেলা হোক যাতে কেউ মারা না যায় এবং বোমার ধ্বংশযজ্ঞ দেখে জাপান আত্মসমর্পন করে। এই অবস্থায় নতুন প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না, তিনি সিদ্ধান্তটি টেকনিক্যাল কমিটির ওপর ছেড়ে দেন যার প্রধান ছিলেন ওপেনহাইমার।

ওপেনহাইমার বোমা ব্যাবহারের স্বপক্ষে অটল ছিলেন শুধু তাই না, নিজে হিসাব কষে এমন উচ্চতায় সেটা ফাটাতে বলেন যাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ মারা যায়। মানুষ বাস করে না এমন দ্বিপে ফেলার আইডিয়া ওপেনহাইমার সরাসরী নাকচ করে দেন। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল সর্বোচ্চো সংখ্যায় মানুষ মারা যাতে সবাই তাকে এমন জিনিষ তৈরীর জন্য বাহবা দেয়।

পরবর্তীতে তিনি বুঝেছিলেন যে কেমন অসুর তিনি বনে গিয়েছিলেন।

২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৩৭

সেভেরাস স্নেইপ বলেছেন: আপনার তথ্যের উৎস উল্লেখ করে দিলে সত্যতা যাচাইয়ে সুবিধা হত।
কারণ উইকিপিডিয়া ঘেটে আপনার মন্তব্যের কাছাকাছি অর্থযুক্ত কোন প্যারা খুঁজে পেলাম না। বিশেষ করে উচ্চতা ও বোমা ব্যবহারের স্বপক্ষে অটলতার অংশটুকু। তবে যেহেতু পারমাণবিক বোমার ডিজাইন তিনিই অ্যাপ্রুভ করেছিলেন গ্রুপ লিডার হিসেবে, সেক্ষেত্রে ঐ বোমা কত দূর হতে নিক্ষিপ্ত হবে, তার গতিপথ কেমন হবে, তা কতটুকু ধ্বংস সাধনে সক্ষম হবে, এসব আনুসাঙ্গিক বিষয়াধী পরিমাপ করে বের করা একজন ডিজাইনারের মৌলিক দায়িত্বগুলোর মধ্যেই পড়ে।

আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হল, পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের জন্য নব্য প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যানের আগ্রহই ছিল সর্বাধিক, আর এজন্য তিনি একটি কমিটি নিয়োগ করেছিলেন ১৯৪৫ সালের মে মাসে। যার নাম ছিল Interim Committee
সেই কমিটির ফাইনাল ডিসিশানই ছিল -

...that the weapon be used against Japan at the earliest opportunity, that it be used without warning, and that it be used on a dual target, namely, a military installation or war plant surrounded by or adjacent to homes or other buildings most susceptible to damage.

পরবর্তীতে ঐ কমিটির সিদ্ধান্ত বিজ্ঞানী প্যানেলে আসলে, ঐ সিদ্ধান্ত যাচাই বাছাই করেন বিজ্ঞানী Compton, Fermi, Lawrence এবং Oppenheimer । আর তাঁরা মূলত ঐ অস্ত্রের তাত্ত্বিক, মিলিটারি ও রাজনৈতিক দিকগুলো সম্বন্ধে একটি মতামত তুলে ধরেন মাত্র।
এইদিক থেকে ওপেনহেইমারকে এককভাবে দায়ী করা কখনোই যুক্তিযুক্ত নয়, বরং তিনি তাঁর দায়িত্বটুকু পালন করেছিলেন মাত্র।


তবে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, ওই সময়কালে তিনিই প্রথম তাঁর সমসাময়িক বিজ্ঞানীদের বুঝতে শিখিয়েছেন যে, কিভাবে তাঁদের স্বীয় আবিষ্কার অন্যরা (রাষ্ট্রপক্ষ) ব্যবহারের মাধ্যমে ফায়দা লুটতে পারে এবং এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের মর‍্যাল উন্নতকরণে ওপেনহেইমারকে আদর্শ হিসেবে দেখা হত। আর General Advisory Committee (GAC) এর চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে তিনিই international arms control and funding for basic science নীতিমালা প্রণয়নের জন্য অনেক কষ্ট করেছিলেন এবং সরকার পরবর্তী আণবিক অস্ত্র হিসেবে হাইড্রোজেন বোমা নির্মাণের জন্য তাঁর মতামত চাইলে তিনি সরাসরি এর বিরোধিতা করেন।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:১০

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: বিপরীত ধর্মী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। কোনটা কে সত্য মানব?

২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৩৯

সেভেরাস স্নেইপ বলেছেন: মাফ করবেন... তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে এটুকু বিবেচনার দায়িত্ব আপনার নিজেরই... :)

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:১৮

কালীদাস বলেছেন: সে ইনভেন্ট করেছে, ব্যবহারের জন্য দায়ি তো ইউজাররা। সেইম পাওয়ার আজকে সারা দুনিয়ায় ইলেকট্রিসিটির বড় অংশ সাপ্লাই দিচ্ছে :|

ভাল ইনফরমেটিভ পোস্ট :)

২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৪২

সেভেরাস স্নেইপ বলেছেন: সে ইনভেন্ট করেছে, পরবর্তীতে সে তাঁর ভুলও বুঝতে পেরেছে, আর এজন্য নেক্সট বোমাটি তৈরিতে বাধাদান করেছে এবং এর ফলে তাঁর লাইফের ১২টা বেজেছে। সিম্পল রুল :|

ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৬

অপ্রিয় বলেছেন: @সেভেরাস স্নেইপ: আপনি যদি ওপেনহাইমারের প্রেমে পড়ে গিয়ে থাকেন বা তার ভক্ত হয়ে গিয়ে থাকেন তবে আমার কোন সূত্রেই কোন কাজ হবে না।

বিষয়টা এত সোজা সাপটা নয় যে উইকিপিডিয়াতে কালো অক্ষরে এটা লেখা থাকবে। খেয়াল করেন ওটা ছিল যুদ্ধে বিজিত দলের একটি বিতর্কিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং ছিল চরম গোপনীয় একটি যুদ্ধকালীন সামরীক বিষয় - যার সোজা সাপ্টা কোন প্রমাণ নাই। কিন্তু লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যাকারী এই গুরুত্বপূর্ণ এবং অমানবিক সিদ্ধান্ত কে বা কারা নিল তা পরবর্তিতে অসংখ্য মানুষকে ভাবতে বাধ্য করেছে যদের মধ্যে আমিও একজন। প্রথম যখন "সহস্র সূর্য্যের আলো, Brighter Than The Thousand Sun" বইটি পড়ি তখন থেকেই এটি জানতে উৎসাহী ছিলাম। এটি নিয়ে লেখা হয়েছে অনেক বই, উভয় দেশে ও অন্য দেশৈ তৈরী হয়েছে ডজন খানেক তথ্যচিত্র, তৈরী হয়েছে অনেক চলচিত্র। ঐ সব কিছু যাচাই করলেই কেবল সত্যিই কি হয়েছিল তা আপনার কাছে ধরা দেবে।

অনেক পরে ওপেনহাইমার বুঝেছিলেন বা হয়ত বুঝেন নি কোনদিন কিংবা হয়তো অপরাধবোধ থেকে তিনি হাইড্রোজেন বোম্বের বিরোধিতা করেন, কিন্তু ততদিনে তার প্রিয় বন্ধু আমেরিকা তাকে কম্যিউনিস্ট এজেন্ট বলে সাবস্ত করে ফেলেছে।

এখানে দেখতে পারেন:

The Decision to Drop the Atomic Bomb

বিবিসি, জাপান + কানাডা নির্মিত ডকুমেন্টারী দুটো দেখতে পারেন। অরও অনেক বই আছে লিংক কাজ করছে না গুগলে সমস্যার জন্য। পরে গুগল করে দেখতে পারেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:২২

সেভেরাস স্নেইপ বলেছেন: আপনার বক্তব্য সঠিক হতেও পারে, আর সে বিষয়ে আমার জানা কম ছিল বিধায় তথ্যসূত্র জানতে চেয়েছিলাম, ভুল বুঝবেন না। :)

তবে এর আগের মন্তব্যে আপনি ওপেনহেইমারকে একতরফা দোষারোপ করেছিলেন বিধায় আমি শুধু যুক্তিখন্ডন করেছিলাম, এর বেশি কিছু না।

আর আমি ওপেনহেইমারের ডাই হার্ড ভক্ত না হলেও বিজ্ঞানী হিসেবে ওপেনহেইমারকে যথেষ্ট ভালোই লাগে, বিশেষ করে উনার জেনেরাল রিলিটিভিটি সম্পর্কিত থিওরির জন্য।

পরিশেষে আপনার লিংকের জন্য ধন্যবাদ। যদিও এখনো পর্যন্ত ওখানে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপণের ক্ষেত্রে ওপেনহেইমারকে এককভাবে দায়ী করার জন্য যথেষ্ট এভিডেন্স পাইনি।

শুভকামনা।

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৫৭

নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: আমি "ওপেনহেইমার" কে কোন "ফেরেশতা" কিংবা "অসুর" কোনটা হিসেবে চিন্তা না করে শুধু একজন "প্রতিভাবান মানুষ" হিসেবে ধরলাম। কারণ ওপেনহেইমার কি ছিলো তার উত্তর একমাত্র "ইতিহাস"এর হাতে। পোস্টে ভালো লাগা +++

২১ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:২৩

সেভেরাস স্নেইপ বলেছেন: ভালো বলেছেন। পারমাণবিক বোমার ক্ষেত্র বাদ দিলেও উল্লেখ করার মত আরো অনেক কাজ আছে উনার।
ধন্যবাদ

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৫:০২

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাল লাগল পোস্ট

২১ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:২৪

সেভেরাস স্নেইপ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:০৯

যাযাবর নাবিক বলেছেন: আসলে ওপেনহেইমার ছিলেন একজন প্রতিভাধর বিজ্ঞানী কিন্তু মানুষ হিসেবে খুব বোকা। আর তার বোকামীর মাশুল দিতে হচ্ছে এই বিশ্বকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম , দিতে হবে যুগের পর যুগ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৮

সেভেরাস স্নেইপ বলেছেন: দুর্নিবার আবিষ্কারের নেশা যখন বিশ্বকে পেয়ে বসে অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা করার সময় তখন থাকে না। একজন বিজ্ঞানীর সাধ্য কী যে সে তা রুখে!

মনে হয় বিজ্ঞানীরা একটু বোকাই হয়...

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:২৫

হাছুইন্যা বলেছেন: সে যে একটা প্রতিভা ছিল এতে কোন সন্দেহ নেই..

২১ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৯

সেভেরাস স্নেইপ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন... কিছুটা অ্যালফ্রেড নোবেল টাইপের ধ্বংসাত্মক প্রতিভাও বলা যায়

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৫১

অ্যানোনিমাস বলেছেন: পোস্টে ভালোলাগা জানালাম :)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:২৭

সেভেরাস স্নেইপ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.