লতা, শুনছো?

২৮ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:১৪

লতা, এই লতা, শুনছো?

বলো না। নতুন কবিতা লিখেছ?

হু। তোমায় নিয়ে লেখা। শুনবে?

তোমার সবই শুনবো। আমার শোনাশুনির মানুষ যে কেবল তুমিই।

আচ্ছা, সারাজীবন আমায় এভাবেই ভালোবাসবে তো?

আমার শুরু থেকে শেষ- সবই তো তোমার জন্য রাতুল।

সত্যি লতা, তোমার মতো লক্ষ্মী ক'জন পুরুষের ভাগ্যে জোটে?

তুমি না সবসময় বাড়িয়েই বলো-



হ্যালো, লতা, শুনতে পাচ্ছ?

রাতুল আমি ব্যস্ত, অফিসে কাজের খুব চাপ।

তোমায় নিয়ে একটা কবিতা লিখেছি, শোনাতে ইচ্ছে হচ্ছে।

এখন না, আজ ফিরতে রাত হবে, কাল শুনবো।



লতা, সময়গুলো কেমন যেন বদলে যাচ্ছে।

না বদলালে সেটা অস্বাভাবিক হতো।

কিন্তু আমি তো বদলাতে পারছি না লতা।

ছেলেমানুষি কথা বলো না রাতুল।

কী হবে এই অর্থ দিয়ে, একজনের আয়েই তো আমরা সুখী ছিলাম।

স্বচ্ছ্বলতা কে না চায়, যা করছি, তা তো ভালোর জন্যই।



হ্যালো লতা, অফিস থেকে ফিরে অলস বসে আছি।

আমার ফিরতে আজও দেরি হবে। অফিসে জরুরি মিটিং।

লতা, কতোদিন আমরা একসঙ্গে সন্ধ্যা দেখি না।

রাতুল, আর তো মাত্র ক'টা দিন।

কতোদিন তুমি আমার কবিতা শোনো না।

এখন রাখি, অফিসে ঝামেলায় আছি।





লতা, ভেবে সত্যিই অবাক হই,

আমার কবিতা তোমায় এখন স্পর্শ করে না।

ইট-কাঠের অফিসে দিনে তোমার ব্যস্ত সময় কাটে।

রাতে তোমার ক্লান্ত শরীর আমার উৎসাহ কমিয়ে দেয়,

বলতে পারি না- লতা, কবিতা শুনবে?

তুমি বুঝতে চাও না, অর্থ-বিত্ত-এ তো সব নয়,

আরো কিছু খেলা করে আমাদের জীবনে।

ভালোবাসা, সুখ, আকর্ষণ- এ শব্দগুলোকে পাশ কেটে

বেঁচে কি থাকা যায় লতা?

৩ টি +২/-০