নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুইজারল্যান্ডের এক কালের শিশু শ্রমিকরা

২৩ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:১৯


বিবিসির একটা প্রবন্ধ থেকে জানতে পারলাম যে সুইজারল্যান্ডে নাকি উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ ভাগ থেকে শুরু করে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দরিদ্র ও বিভিন্ন কারণে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে (অনেক ক্ষেত্রেই বলপূর্বক) নিলামের মাধ্যমে (বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ পর্যন্ত) দেশের কৃষকদের পরিবারের কাছে দিয়ে দেয়া হত। সেখানে এই শিশুদেরকে দিয়ে খামারে বা গৃহস্থালির কাজ করান হত। প্রায়শই তাদেরকে মারধোর করা হত, কম খাবার দেয়া হত, নোংরা জায়গায় থাকতে দেয়া হত এমনকি যৌন হয়রানি করা হত। সুইস ভাষায় এ ধরনের শিশুদের বলা হত Verdingkinder যার বাংলা অর্থ ‘চুক্তিবদ্ধ শিশু’।
পরে এই বিষয়ে আরও জানার চেষ্টা করলাম। Verdingkinder নামে একটি ফিচার ফিল্ম ২০১২ সালে তৈরি হয় যেটি সুইস বক্স অফিসে ১ নম্বরে ছিল। একই বছর এই বিষয়ের উপর একটি দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী হয় যা মানুষের মন কাড়ে। সাধারণত চরম দরিদ্র ঘরের শিশু, অবৈধ সন্তান, এতিম, নেশাগ্রস্ত পিতামাতার সন্তান, পরিবারহারা সন্তান এদেরকে পুনর্বাসনের নামে রাষ্ট্রের নীতিমালা/ আইন অনুসারে এভাবে কৃষকদের কাছে (যারা সস্তা শ্রম চায়) চুক্তির মাধ্যমে দেয়া হত নিলামের মাধ্যমে। রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভরণপোষণের জন্য নিলামে নির্ধারিত অর্থ এই কৃষকদের দিত (অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চাদের পরিবার থেকেও কিছু অর্থ দেয়া হত)। তবে কৃষক ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারখানার মালিকরাও এই সব শিশুদের তাদের কারখানার কাজের জন্য নিত। ১৯২০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ১ লাখেরও অধিক শিশুকে এভাবে শিশু শ্রমে বাধ্য করা হয়েছিল। এর আগের হিসাব সঠিকভাবে জানা যায় না। সাধারণত শহরের গরীব ঘরগুলি থেকে এই শিশুদের নেয়া হত। এক সমীক্ষায় দেখা যায় ১৯৩০ এর দশকে সুইজারল্যান্ডের বার্নে মোট কৃষি শ্রমিকের ২০% ছিল এরকম শিশুরা যাদের বয়েস ছিল অনূর্ধ্ব ১৫ বছর। ২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ড সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। পরবর্তীতে জীবিতদের ক্ষতিপূরণ দিতেও সম্মত হয়। রোলানড বেগারত নামে একজন লেখক, যিনি নিজেও একজন অনুরুপ শিশু শ্রমিক ছিলেন, ২০০৮ সালে একটা আত্মজীবনী মূলক বই লেখেন। বইটি সুইজারল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশের মানুষের মনে নাড়া দেয়। ১৯৫০ এর দশক পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের কিছু এলাকায় দারিদ্র্য ছিল। মূলত দরিদ্র এলাকা থেকে শিশুদের নেয়া হত। পূর্বোল্লিখিত ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীতে কয়েকজন ভুক্তভুগি শিশুর উদ্ধৃতি ছিল এমন;
১। শীতকালে ওরা আমার প্যান্টের পকেট সেলাই করে দিত (যেন আমি পকেটে হাত দিতে না পারি)। তারা বলত, যদি তুমি কাজ কর, তুমি উষ্ণ থাকবে।
২। আমাকে কথা বলতে দেয়া হত না। তারা আমাকে নিয়ে কথা বলত, কিন্তু আমার সাথে কখনও কথা বলত না।
৩। আমাকে আস্তাবলের পাশে একটা ছোট জানালা ছাড়া শেডে বসে খেতে হত। আমাকে কখনও রান্না ঘরে টেবিলে বসে খেতে দেয়া হত না।
৪। আমি যখন স্কুলে যেতাম তখন খুব খুশি লাগত কারণ সেখানে কেউ আমাকে মারত না।

এই প্রদর্শনীর আরেকটা রুমে রাখা হয়েছিল কিছু খামারের যন্ত্রপাতি যেমন মই, কাঠের জুতা, লোহার প্যান, চামড়ার স্ট্র্যাপ্ ইত্যাদি যা দিয়ে এই শিশুদের আঘাত করা হত। শিশুদের পরিবার থেকে চিঠি বা উপহার পাঠানো হলে তা অনেক সময় এই সব শিশুদের দেয়া হত না। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই শিশুদের জন্য পৃথকভাবে প্রত্যেক শিশুর জন্য খতিয়ান ও নথি রাখত। চার বছরের বাচ্চাকেও অনেক সময় এভাবে শ্রমিক বানানো হত। এরকম একজন শিশু পরবর্তীতে তার ৮ বছর বয়সের সৃতি কথা এভাবে বলেছেন;
“ আমি তাদের উচ্চস্বরে কথা শুনছিলাম আর বুঝেছিলাম যে কোনও একটা সমস্যা হয়েছে। আমি দেখলাম আমার মা পুলিসগুলিকে সিঁড়ির কাছে সরিয়ে দিচ্ছে। তারপর সে ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিল। পরের দিন ৩ জন পুলিশ আসল। একজন আমার মাকে ধরে রাখল আর আরেক জন আমাকে তার সাথে নিল।"
এভাবে তাকে ৮ বছর বয়সে জোরপূর্বক বাসা থেকে নিয়ে কোনও একটা খামারে পাঠানো হল। এর আগে তার এক ভাই ও এক বোনকেও এভাবে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। যে খামারে তাকে নেয়া হয় সেখানে সে সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত কাজে নিয়োজিত থাকত (স্কুলের সময় ছাড়া)। বাড়ির মালিক প্রায়শই তাকে মারধর করত। তার মা একবার তাকে ও তার ভাইবোনকে ঘরে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ৩ দিন পরে পুলিশ তাদের আবার আগের জায়গায় যেতে বাধ্য করে। আরও দুঃখজনক হলও তার মার মৃত্যুর পরে সে কিছু কাগজ পায় যাতে দেখা যায় যে তার মা সেই খামারের মালিকদেরকে তার সন্তানদের ভরণপোষণের জন্য টাকা পাঠাতেন।
একটা মেয়ে শিশুর বর্ণনায় দেখা যায় যে ১৯৭২ সালে ৯ বছর বয়সে তাকে দেয়া হয় একটা বাড়িতে। সেখানে সে ঘর বাড়ি ঝাড়ামোছার কাজ করত (স্কুলের সময়ের আগে ও পরে)। গৃহকর্ত্রী প্রতিদিন তাকে মারত আর যখন তার বয়স ১১ বছর হয় তখন ঐ বাড়ির ছেলেদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের স্বীকার হন। এক রাতে ঐ বাড়ির এক মেয়ে ঘটনা দেখে তার মাকে বলে। উত্তরে গৃহকর্ত্রী বলে যে এটা কোনও ব্যাপার না এবং মেয়েটার চরিত্র খারাপ। এলাকার একজন শিক্ষক ও স্কুলের ডাক্তার এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের বরাবর লেখে কিন্তু কোনও প্রতিকার পাওয়া যায় নি। ( আমাদের দেশ ও আরব দেশের সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে)
এই প্রথা আনুষ্ঠানিকভাবে কিন্তু কখনও সমাপ্তি ঘটানো হয় নাই। পরবর্তীতে আইনের মারপ্যাঁচের মাধ্যমে চালু রাখা হয়। তবে অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে পরে এই প্রথার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়। দরিদ্রতা আর সিঙ্গেল মাদারের ব্যাপারে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়। এই ব্যাপারে কিছুটা প্রাসঙ্গিক একটা মজার তথ্য হল সুইজারল্যান্ডের মেয়েরা ১৯৭১ সালের আগে ভোট দেয়ার অনুমতি পায়নি। ১৯৭৯ সালের একটা ঘটনা বিবিসি বর্ণনা করেছে। দুইটা শিশু নিয়ে একজন ডিভরসি মহিলা সমস্যায় ছিলেন। রাষ্ট্র এসে হস্তক্ষেপ করে এবং বাচ্চা দুটোকে একটা খামারে পাঠিয়ে দেয় কাজ করার জন্য। একটা বাচ্চা কাজ করতে গেলে তার পায়ের ভিতরে ফরকের ধারাল অংশ ঢুকে যায়। ঘটনাটা তার মাকে জানান হয়নি। তাদের কাজে সন্তুষ্ট না হলে খাবার কমিয়ে দেয়া হত।

সমাজ কর্মীরা মাঝে মাঝে এই খামারগুলি পরিদর্শন করতে যেত। এই খবর তারা আগে থেকে জেনে যেত এবং পরিদর্শনের দিন এই বাচ্চাগুলোকে টেবিলে বসে বাড়ির অন্যদের সাথে খেতে দেয়া হত। সেদিন তাদের দিয়ে কোনও কাজ করান হতোনা। পরিদর্শক তাদের সাথে খেতে বসে কিছু জিজ্ঞেস করলে এই বাচ্চারা ভয়ে চুপ করে থাকত কারণ আগেই তাদের নিষেধ করা থাকত কথা না বলার জন্য।
সরকারের কর্তৃপক্ষের কাছে বাচ্চাদের জন্য রক্ষিত নথিতে নির্যাতনের বিরুদ্ধে পরিবার থেকে করা অভিযোগ গুলি গায়েব করে দেয়া হত ( যা পরবর্তীতে অনুসন্ধানে জানা যায়)। এই শিশুরা ও তাদের পরিবার সমাজে হীনমন্যতায় ভুগত। পরবর্তী জীবনেও অনেকে তাদের অতীতকে লুকাতে চাইত। ২০১৭ সালে সুইস সরকার এই সমস্ত বাচ্চা যারা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে তাদের প্রত্যেককে ২৫,০০০ ফ্রাঙ্ক দিতে সম্মত হয়। এরকম শিশু যারা এখনও জীবিত আছে তার সংখ্যা ১৫,০০০ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ৪,৩১০ জন ২০১৭ সাল পর্যন্ত দাবী করেছে বলে জানা যায়।

তবে সব ক্ষেত্রেই যে নির্যাতন হত তা নয়। অনেকে বাচ্চাদের সাথে ভালো ব্যবহারও করত। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ পর্যন্ত সুইজারল্যান্ড একটি কৃষি নির্ভর দরিদ্র দেশ ছিল। দরিদ্র পরিবারকে সাহায্যের উদ্দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ও নীতিমালা অনুযায়ী এভাবে এই ধরণের শিশুদের ও তাদের পরিবারের প্রতি অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। আসলে যেসব দেশ এখন অনেক ধনী তাদের মধ্যেও এই ধরণের বিভিন্ন সমস্যা ছিল। তাই আমাদের একদম আশা হত হওয়ার দরকার নাই। শুধরানোর সুযোগ আছে। বর্তমানে সুইস সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছে। আমাদের দেশের ভিতর রাষ্ট্রীয়ভাবে এধরনের ঘটনার কোনও নজির নেই তবে সামাজিকভাবে আমরা গৃহ কর্মীদের নির্যাতন করে থাকি। আমাদের এই অন্যায় আচরণ পরিবর্তন করতে হবে যদি আমরা নিজেদের একটি সভ্য জাতি হিসাবে পরিচয় দিতে চাই। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মধ্যপ্রাচ্যে নারী গৃহ কর্মী পাঠানো একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমরা না জানার ও না বোঝার ভাণ করে এদেরকে পাঠিয়েছে। আরব দেশ কি জিনিস তা আমরা ১৯৮০ সালেরও আগে থেকে জানি। আশা করি আমরা সকল ধরণের সামাজিক অসাম্য ও বিভাজন থেকে দেশকে রক্ষা করব ও ধীরে ধীরে একটি আদর্শ জাতিতে রুপান্তরিত হবো। আল্লাহ্ আমাদের সেই সামর্থ্য দান করুন। কয়েকটা লিঙ্ক দিলাম যারা আরও জানতে আগ্রহী তাদের জন্য;
BBC News 1
dw 2
swisinfo

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আজকের উন্নত দেশগুলোর অতীত সুখকর নয়।

সুন্দর পোস্টে +++++

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: 'আজকের উন্নত দেশগুলোর অতীত সুখকর নয়।'

আপনি ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।

২| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

বিজন রয় বলেছেন: দারুন লেখা।

+++++

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখায় অনুপ্রাণিত করার জন্য।

৩| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: উফফফ কি ভয়ংকর !!
এত উন্নতির আড়ালে কি কদর্য রূপ । যাইহোক সভ্য দেশের পরিচয় তারা দিয়েছে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা করে।
তথ্যবহুল লেখা।

০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বিশ্বপজুড়ে শিশু শ্রম ও শিশু নির্যাতন বন্ধ হোক। পোস্টে ভালো লাগা।

০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। শিশু নির্যাতন বন্ধ হওয়া উচিত সর্বত্র। ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,




জানা ছিলোনা। জানানোর জন্যে ধন্যবাদ।
তবে বিশ্বজুড়ে শিশু শ্রম ও শিশু নির্যাতন এখনও চলছে। এ থেকে বেরুনোর কোনও উপায় নেই।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই, মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনি ঠিক বলেছেন। তবে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৪

বিজন রয় বলেছেন: আপনি এত কম পোস্ট করেন কেন?

০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে আমি মুলত একজন পাঠক। লিখতে হলে কিছু যোগ্যতা থাকা লাগে। আর তাছাড়া আগে সময় পাইনি তেমন। আপনারা উৎসাহ দিলে লেখার চেষ্টা করব। এই ব্লগে নিবন্ধনের আগেও ৫ বছর আমি লেখা গুলি পড়তাম। এখানে আপনার দেখছি অনেক জনপ্রিয়তা। সবাই আপনাকে ভালবাসে। আপনি ভাগ্যবান। ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট... জানলাম এ বিষয়ে

২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২০

এ কাদের বলেছেন: ভাল লাগল, নতুন বেশ কিছু জানা হল।

০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: হাঃ, এ এক করুণ ইতিহাস! যুগে যুগে বিশ্বের ঘাটে ঘাটে মানবতা পদদলিত হয়েছে। আমি শুনেছি, কানাডায়ও এক সময় আদিবাসী শিশুদের প্রতি এরকম মর্মন্তুদ ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু কানাডা সরকার পরে এর জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা করেছে কিনা, তা আমার জানা নেই।

অনেক অজানা তথ্য এ ব্লগের পাঠকের গোচরে নিয়ে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পোস্টে সপ্তম ভাললাগা। + +

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই, আপনি আমার পুরনো একটা পোস্ট পড়ার পর সুন্দর মন্তব্য করেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সুইজারল্যান্ডের এই কলঙ্কজনক বিষয়টা বিবিসি থেকে আমার নজরে আসে। তার আগে আমি এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না। বিষয়টা আমাকে কৌতূহলী করে তোলে এবং বিষয়টা সম্পর্কে আরও ভালো করে জেনে আমি পোস্টটা দেই। পোস্ট ভালো লাগা এবং প্লাসগুলি দেয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৪

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: দাসপ্রথা, শিশুশ্রম, সতীদাহ এসব ভাবলে অবাক হতে হয়। মানুষ এমনই জংলী ছিলো। যদিও শিশুশ্রম এখনও নির্মূল হয়নি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। আমি এক গামলা ভাত খেয়ে আসি। তারপর কথা হবে। দেয়ালিকাও ফিডার খেতে গেছে মনে হয়। আর মিরোরডডলের নাক ডাকার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।

১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৫

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: দেয়ালিকা ভুল বুঝেছে আমি তাকে মীরজাফর বা ঘসেটি বেগম কিছুই বলিনি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেয়ালিকা তো দুধভাত। সে তো অবুঝ শিশু তাই ভুল বুঝতেই পারে। ওনারে দলে নেয়া আর না নেয়া সমান। পানি গরম করেন ওনার ফিডার বানানোর জন্য। আমার খাওয়া শেষ।

১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৮

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আচ্ছা ভাবী কোথায়? তাকে ডেকে এনে দেখান আপনার কমেন্টগুলি। হাসতে হাসতে কাশতে কাশতে পিঠের উপর তাল ফেলতে পারে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাকে মন্তব্যগুলি দেখালে তাল তো পড়বে নিশ্চিত। সেও আপনার মতো হাসের মাংস খেতে পছন্দ করে। তাকে দিয়ে টুথপেসটের বিজ্ঞাপন করানো যাবে। তবে সে অ্যানালগ টাইপের মেয়ে, ফেইসবুক ছাড়া আর কিছু বোঝে না।

আপনার দেয়ালিকা পলাইসে আর মিরোরডডল নাক ডাকে। আপনি তো একা হইয়া গেলেন। দেয়ালিকা ভীষণ টেনশনে আছে। সে ভাবছে কোন দলে যে যাই। আপনার গাধা গাধীর গল্প আর কয় পর্ব দিবেন?

১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৫

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: বুঝা যাচ্ছে মহা শান্তিতে আছেন বলেই এত লেকচার আর লেকচার যে সেও পড়ে হাসতে হাসতে মরতেসে সেো আর বলে দিতে হয় না।


তবে আজ আপনাদের জ্বালায় কিছু লিখতেই পারলাম না। :(

ইনশাল্লাহ কাল দেবো।

কত পর্ব জানিনা। যতদিন ইচ্ছা হবে।

আকাশে সূর্য্য আছে যতদিন। সেই লেখাও ততদিন থেকে যাবে।
লিখি বা না লিখি

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার ভাবি আমার পাশে শুয়ে ফেইসবুক চালাচ্ছে। সে আমার স্ক্রিনের দিকে তাকায় কম। ভাবে আমি কবিতা লিখছি। অনেক আগে আমি 'ছাতা আবিষ্কার' নামে একটা কবিতা লিখেছিলাম। সেটা দেখে তার খুব ভালো লেগেছিল। আরও দুই একটা লেখা দেখিয়েছিলাম প্রিন্ট করে। তাই সে ভাবে আমি মনে হয় ব্লগে শুধু সাহিত্য চর্চা করি।

আপনার স্কুল সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ নিশ্চয়ই। স্কুল তো খুলে যাচ্ছে। আপনাদের মনে হয় ভালোই হবে। অনলাইন ক্লাসে তো মনে হয় কাজ বেশী থাকে আপনাদের জন্য।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আপনার লেখা চালিয়ে যান আপনার সময় অনুযায়ী। আপনার কিছু বান্ধা গাধা তো আসেই। আমারেও গাধাদের দলেই মনে করেন। যদিও আসলে গাধা না। :)

আপনি কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের জন্য একটা প্রেম করার সচিত্র মেইড-ইজি বই বের করতে পারেন। নাম দিতে পারেন 'সহজ রূপে তারুণ্যের প্রেম (বিফলে মূল্য ফেরত)'। আগামী বই মেলাকে টার্গেট করে লিখে ফেললে অনেক প্রেমিক-প্রেমিকা উপকৃত হত। প্রেমের অনেক অভিনব বুদ্ধি, কৌশল ওরা আপনার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারতো। আমরাও পারতাম। কারণ প্রেমের আবার কোন বয়স আছে না কি।

১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৪

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: কি বলেন ভাই আমাকে আপনার স্কুলে পড়া মানুষ মনে হলো!
তাজ্জব তো!
তবে কথা সত্য শিবরাম চক্রবতী ফেইল মারবে আপনার মন্তব্যের কাছে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার গল্পের গাধা আর গাধী তো স্কুলেই/ কলেজেই পড়ে মনে হয়। তাই ভাবলাম আপনিও মনে হয় স্কুল/ কলেজে পড়েন। শিবরাম চক্রবর্তীর বইগুলি কালকেই পড়তে হবে। উনি মনে হয় আমাকে ফলো করতেন। নইলে আমার সাথে মেলে কিভাবে। আসলে ছেলেরা মেয়েদের সাথে যখন কথা বলে তখন গাধাও স্মার্ট হয়ে যায়। স্মার্ট না হলেও স্মার্ট হওয়ার ভান করে। এইটার বৈজ্ঞানিক কারণও আছে। তবে আপনাকে বললে বিব্রত বোধ করতে পারেন, তাই বললাম।

আর প্রেমের মেইড ইজির ব্যাপারটা মাথায় রাইখেন। কেউ না পড়লেও আমি কিনে পড়ব।

১৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৩

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: শুনেন আগেই বলেছি আমি যখন কোনো কিছু মন দিয়ে লিখি তখন আমাকে চেনা যাবেনা। তাইলে লিখতে পারিনা না। আমার লেখা ব্যহত হয়। আমি আটকাই যাই। লজ্জা পাই। কারণ আমি লেখালিখিতে অকপট থাকতে চাই।


কিন্তু তার কি উপায় আছে। ভালোাবসার মানুষদের জ্বালায় ধরা খাই বার বার !

যদিও লেখার রেলগাড়ি শুরু হয়ে গেলে আর থামাথামি নাই।

তাই আমি কেউ না!

আমার কোনো জব নেই আমার কোনো চেনাচিনি নেই।


আমি ইন্দ্রনীলা!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ও আপনিও লজ্জাশীলা। এটা তো আমার জানা ছিল না। আপনি বোরকা পড়ে লিখতে পারেন। তাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।

আপনি ইন্দ্রনীলা একজন গল্পকার, কবি এটা তো আমি জানি।

১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৭

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: না কারো জন্য লিখবো না।

আমাদের এই অমট প্রেমগাঁথা আমি লিখছি বলে আমার রোমিও অনেক রাগ করেছে।

সে এক হিংসুটে রোমিও।

তবুও আমার সাথে পারেনা আর কি।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গল্পটা লেখা শুরু করার আগে আপনার উচিত ছিল ওনার বরাবর একটা দরখাস্ত লেখা। তাহলে উনি দরখাস্ত অনুমোদন করতেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতেন আপনাকে। কিন্তু আপনি আপনার ডাইরি কোন রকম এডিট না করে পোস্টে দিয়ে দিয়েছেন এই জন্য হয়তো উনি একটু মাইন্ড করেছেন। অথবা আমার মনে হয় আপনি গল্পের কোথাও অতিরঞ্জিত কিছু বলেছেন যেটা উনি পছন্দ করেন নি।

১৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৪৩

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: না হি ইজ ইন্ট্রোভার্ট। টু মাচ ইন্ট্রোভার্ট।

আর আমিও অবশ্য ইন্ট্রোভার্ট। কিন্তু সেই কথা কেউ বিশ্বাস করে না কেনো যেন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাহলে ওনার সাথে আমার খুব মিল হবে। আমি ১০০% অন্তর্মুখী মানুষ। আপনার একটা রুপ অন্তর্মুখী আর আরেকটা রুপ বহির্মুখী। যদি ধরে নেই আপনার মধ্যে দুইটা মুড বিদ্যমান। একটা সীমানা আপনি বজায় রাখেন যার ভিতরে কেউ প্রবেশ করুক এটা আপনি চান না। এটাই হওয়া উচিত।

১৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২২

ইসিয়াক বলেছেন: পোস্টটি পড়ছি.......।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একবারে না পারলে কয়েক ধাপে পড়েন। প্রথম দিকের পোস্ট তাই বড় পোস্টের সমস্যা বুঝতাম না।

১৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৩

ইসিয়াক বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নিলাম। পোস্টটা পড়ে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল । জানা ছিল না এই ব্যপারটা। ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে মানুষ কিভাবে পারে এমন করতে, ভাবতে অবাক লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটির জন্য।

শুভকামনা রইলো।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নেয়ার জন্য অনেক ভালো লাগছে আমার। এই পোস্টকে এতো গুরুত্ব কেউ আগে দেয়নি। সুইজারল্যান্ডের মত দেশে এই ধরণের ঘটনা ঘটত বিশ্বাস করা যায় না। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.