নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাকওয়ালা ছেলেদের ব্যাপারে বাংলাদেশের মেয়েদের আরও উদার হওয়া উচিত

১৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৫


টাকের ব্যাপারে নিজের একটা দুঃখের কাহিনী দিয়ে শুরু করছি। আমার বয়স যখন মাত্র ১৮ বছর তখন থেকেই আমার চুল পরা শুরু করে। যদিও টাক বোঝা যাওয়া শুরু হয় যখন আমার বয়স ২৬ বছর। ১৮ বছর বয়সে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্নভাবে এক ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। আমার আশা ছিল উনি আমাকে কিছু ওষুধ হয়ত দিবেন যেটা খেলে আমার চুল পরা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু দেখলাম ওনার নিজের মাথাতেই টাক আর উনি আমার সমস্যার কোনও গুরুত্বই দিলেন না। আর আমাকে ওনার মেডিকাল ছাত্র জীবনের কিছু টাক সংক্রান্ত রসালো গল্প বলে আসলে কাউন্সেলিং করলেন এবং ব্যাপারটাকে হেসে উড়িয়ে দিলেন। শেষে এক পাতা সি ভিট লিখলেন প্রেসক্রিপশনে। আমি ভগ্ন মনোরথে চলে আসলাম। ২২ বছর বয়স পর্যন্ত আমি এই টাকের কারণে মানসিকভাবে খুবই কষ্টে ছিলাম। এর পরে কিভাবে যেন ব্যাপারটা আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হতে থাকে।

মেরিব্রাউ নামে অস্ট্রেলিয়ার একজন গবেষক একটি গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে, মাথার সামনের মাঝের অংশে চুল ঝরে পড়ার হার বয়সের ওপর নির্ভরশীল। ৮০ বছরের উপর বয়সী ৫৭% নারী ও ৭৩.৫% পুরুষ এর দ্বারা আক্রান্ত। মডার্ন মেডিক্যাল লাইব্রেরি'র ওয়েবসাইটের ভাষ্যমতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪ কোটি পুরুষ আংশিক টাকের শিকার। প্রায় ২৫% পুরুষের ৩০ বছর বয়সের পরেই মাথা টাক হওয়া শুরু হয়। দুই-তৃতীয়াংশের শুরু হয় ৬০ বছর বয়সে।৫০ বছর বয়সে পৌছলে ৫০% এর বেশি পুরুষের চুল পড়ার উল্লেখযোগ্য লক্ষণ দেখা যায় এবং ৭০ বছর বয়সে প্রতি ৫ জনে ৪ জন পুরুষের টাক থাকে। তাছাড়া এই যুগে তরুণ প্রজন্ম আগের যুগের চেয়ে কম বয়সে টাক সমস্যার শিকার হচ্ছে। একটা গবেষণায় দেখা গেছে এখন ২৫% পুরুষের ২০ থেকে ২১ বছর বয়সে চুল পড়া শুরু করে।

এখন আসল কথায় আসি। আমাদের দেশের সিংহভাগ মেয়ে বিয়ের ব্যাপারে টাকওয়ালা ছেলেদের পছন্দ করে না। প্রথমেই বাদ করে দেয়।আমার এক কলিগ বলেছে যে সে টাক মাথা নিয়ে অনেক বার মেয়ে দেখতে গেছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত টাকের কারণে তার বিয়ে পাকা হয় নাই। শেষে সে নিরুপায় হয়ে মাথায় পরচুলা পরে মেয়ে দেখতে যায় এবং শেষ পর্যন্ত এভাবেই সে বিয়ে পাকা করে ফেলে এবং বিয়ের পরে মেয়ে জানতে পারে যে তার জামাইয়ের মাথায় টাক (হয়তো কাজটা তার ঠিক হয় নাই)। কিন্তু পশ্চিমের দেশগুলিতে দেখা যায় যে মেয়েরা ছেলেদের টাকের ব্যাপারে আমাদের দেশের চেয়ে অপেক্ষাকৃত উদার। বিভিন্ন জরীপে দেখা গেছে মাত্র ১২.৫০% মেয়ে প্রেমের ক্ষেত্রে টাককে নেতিবাচক বলেছেন। আর ৮৭.৫০% টাককে কোনও সমস্যা মনে করেনি।পশ্চিমের বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে টাক সমস্যার সমাধান হিসাবে মেয়েরা সাধারণত ছেলেদের পরামর্শ দেয় ছেলেদের আরও আত্মবিশ্বাসী হওয়ার জন্য, দাড়ি রাখার জন্য, ব্যায়াম করে শরীরকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য, শরীরে উল্কি করার জন্য যেন টাকের প্রতি মেয়েদের চোখ না যায়, চেহারাকে ফ্যাশনের মাধ্যমে আকর্ষণীয় করার জন্য, আবার অনেক মেয়ে বলেছে টাকই ভালো। অনেক মেয়ে বলেছে যে পুরুষের ব্যক্তিত্বই আসল। অনেকে এমনও বলছে যে টাক হোল এক ধরনের নগ্নতা যার কারণে টাক মাথার ছেলেরা অন্যদের চেয়ে সৎ ও তাদের উপর বেশী আস্থা রাখা যায়। অনেক মেয়ে বলেছে যে ভালবাসার ক্ষেত্রে চুল না থাকা একটা গৌণ বিষয়। তাছাড়া, তারা ছেলেদের রসবোধ এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য যেমন বুদ্ধি, সামাজিকতা, আত্মবিশাস ইত্যাদিকে টাকের চেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। তারা বলতে চেয়েছে যে একটা মেয়ে শুধু একটা ছেলের চেহারা আর মাথার চুল দেখে তাকে ভালবাসে না। আর যারা এরকম করে সেরকম মেয়ের ভালোবাসা না পেলেও সমস্যা নাই। অনেকে বলেছেন যে অনেক ক্ষেত্রেই ছেলেদের টাক মাথা তার চেহারার সাথে মানিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তারা ব্রুস উইলিস, প্যাট্রিক স্টুয়ার্ট, জেসন স্ট্যাথাম, ডোয়াইন জনসনের মতো সেলিব্রেটিদের কথা উল্লেখ করেন। তাদের যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে চুল ছাড়া মাথা কি আকর্ষণহীন? এর উত্তরে তারা বলেছে যে মোটেই না। অনেক বলেছে যে যেসব ছেলে টাক ঢাকার চেষ্টা করে তাদের চেয়ে যারা পুরো মাথা কামাই করে ফেলে তাদের দেখতে ভালো লাগে। এর দ্বারা একটি ছেলের আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠে ফলে সে মেয়েদের দ্বারা আকৃষ্ট হয়। তাদের মতে চুলের চেয়ে আত্মবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ তাই চুল না থাকাটা কোনও ব্যাপার না। মেয়েরা পরিপাটি ছেলে পছন্দ করে ফলে একটা স্নিগ্ধ ও সুশোভিত চেহারা মেয়েদের আকৃষ্ট করে যদিও হয়ত ছেলেটার মাথায় চুল কম। মেয়েরা কি টাক মাথার ছেলেদের পছন্দ করে? জরীপে অংশ নেয়া অধিকাংশ মেয়ে বলেছে যে আসলে টাকটা ব্যাপার না বরং ছেলেদের ব্যক্তিত্ব মেয়েদের আকৃষ্ট করে। ছেলেরা নিজেদের অবয়ব নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলে মেয়েরা তখন ছেলেদের টাক নিয়ে ভাবে না। ছেলেদের ব্যক্তিত্ব, সৌজন্যবোধ এবং সার্বিক আচরণের কারিশমা মেয়েদের আকৃষ্ট করে। মেয়েদের বিবেচনার মোট পরিমাণকে শতকরা হিসাবে দেখলে তারা সাধারণত শারীরিক গড়ন ও চেহারাকে ২০% গুরুত্ব দেয়, টাকা পয়সা, ক্ষমতা, রুচিবোধকে ৪০% গুরুত্ব দেয় এবং আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব গুন ইত্যাদিকে ৪০% গুরুত্ব দেয়।

পরিশেষে বলা যায় যে কোনও মেয়ে কেবল একজন পুরুষের মুখের চেহারাতে প্রেমে পড়ে না। যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় তা হ'ল একজন মানুষের চরিত্র এবং সে কে। আপনার কেবল আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন এবং আপনাকে টাক সংক্রান্ত হীনমন্যতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। যদি আপনি সত্যিই টাককে আপনার জন্য আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হিসাবে বিশ্বাস করেন তবে অন্যরাও তা দেখতে পাবে। টাক মাথার ছেলেরাও অন্যদের মত আকর্ষণীয় ও সুন্দর হতে পারে। বাংলাদেশের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারনেও মেয়েরা বিয়ের ক্ষেত্রে টাক মাথার ছেলেদের পছন্দ করে না। তাই আমি এদেশের অবিবাহিত মেয়েদের প্রতি আহবান জানাব তারা যেন এ ব্যাপারে আরও উদার হওয়ার চেষ্টা করে। ছেলেদের যেমন কালো মেয়ে বিয়েতে আপত্তি থাকা উচিত না তেমনি মেয়েদেরও টাক মাথার ছেলেদের বিয়ে করতে আপত্তি করা উচিত না। ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই দাম্পত্য জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে তাদের ব্যক্তিত্ব, ভালোবাসা ও অন্যান্য গুণাবলী মুখ্য হওয়া উচিত। কালো মেয়েরা যেমন তাদের কষ্ট কাউকে বলতে পারে না, তেমনি টাক মাথার ছেলেরাও টাকের কারণে হীনমন্যতায় ভোগে। যদিও আজকাল টাকে চুল গজানোর কিছু টেকনিক আবিষ্কৃত হয়েছে কিন্তু এগুলি সবার সামর্থ্যের মধ্যে না। আমাদের উন্নত দৃষ্টিভঙ্গিই সবার জন্য দিতে পারে এই সমস্যার ভালো সমাধান।
সূত্রঃ
লিঙ্ক ১
লিঙ্ক ২

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

সাইন বোর্ড বলেছেন: বাংলাদেশের মেয়েরাও ব্যাপারটাকে এখন সহজ ভাবেই মেনে নিতে শিখেছে । কারণ হলিউডের মুভি তো তারাও দ্যাখে । কী সুন্দর সব টাকলা নায়ক !

১৮ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যদি পরিবর্তন সত্যিই হয়ে থাকে তাহলে ভালো। তবে মেয়েরা নিজেদের বিয়ের বেলায় মানবে কি না এটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: সাইন বোর্ড বলেছেন: বাংলাদেশের মেয়েরাও ব্যাপারটাকে এখন সহজ ভাবেই মেনে নিতে শিখেছে ।

কথাটা বুঝি নাই, বুঝাইয়া বলেন।
বাংলাদেশের মেয়েরা ব্যাপারটা মানতে পারে না, যদি না ছেলে বিসিএস ক্যাডার বা বড় সরকারী চাকুরী না করে। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, এটা এই উপমহাদেশের প্রবলেম।

=

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
চাক হওয়া শুরু হলে যুবক বা তরুনদের েএক ধরনের আতংক কাজ করে। পরে বিভিন্ন সমস্যা ফেস করে এক সময় স্বাভাবিকভাবে নেয় ব্যাপারটা।

মেয়েরা উদার হলেই ভাল, টাকলা স্বামী নো প্রবলেম।

১৮ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জী ঠিক বলেছেন। টাক মাথার ছেলেরা অনেক দিন বা বছর মানসিক কষ্টে থাকে এতে তাদের লেখাপড়া ও অন্যান্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে বিয়ের সময় সমস্যা হয়। কিন্তু সঠিক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



কম বয়সে চুল পড়ে যাওয়াটা বেশ কষ্টকর বিষয়।

১৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরনের তরুণদের মানসিক বিকাশ প্রভাবিত হয়। ফলে লেখাপড়া, চাকরী ও সামাজিক ক্ষেত্রেও খারাপ প্রভাব পরে। সবার মানসিক শক্তি সমান থাকে না। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এর জন্য দায়ী। কারণ টাক মাথা মানুষের বাকি সব দিকই আর দশ জনের মত তা সত্যেও এরা হাসির পাত্র হয়। বিয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়।

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি ই কি বাংলাদেশের মেয়েরা এ ব্যাপারে উদার না ?

আমি তো দেখি টাক বা চুল কমে যাওয়া ঠিকঠাক চেহারার সাথে মানিয়ে যায়। স্বাভাবিকতা বাদ দিয়ে , সাইড থেকে চুল নিয়ে সিঁথি বা পরচুলা ব্যাপারটা একদম ভালো লাগে না।
আমি তো আরও শুনি টাকে টাকা আনে :)

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সুন্দর মন্তব্য করেছেন। বাংলাদেশের মেয়েরা উদার কি না এটার আসলে কোনও জরিপ আমি পাই নাই। তবে আমার অভিজ্ঞতা বলছে যে পশ্চিমের তুলনায় এখানে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে টাকওয়ালাদের বিয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা বেশী। অনেক উদার মেয়ে নিশ্চয়ই এদেশে আছে তবে মনে হয় সেটা ব্যতিক্রম। আপনি বুঝতে পেরেছেন যে টাক চেহারার সাথে মানিয়ে যায় কিন্তু বেশীর ভাগই এত উদারভাবে দেখে না। একটা মেয়ে একটা টাকওয়ালা মেয়ের সাথে হয়ত বন্ধুত্ব করবে নির্দ্বিধায়, বা কলিগ হিসাবে সহযোগিতা করবে কিন্তু বিয়ের প্রশ্নে মেয়েরা অত সহজে ব্যাপারটা মনে হয় মেনে নেয় না (ব্যতিক্রম আছে)। অ্যারেঞ্জ বিয়ের ক্ষেত্রে আসলে সমস্যা হয়। আর টাককে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতেও ছেলেদের সময় লাগে। কালো মেয়েদের যেমন তার গায়ের রঙ মেনে নিতে সময় লাগে অনেকটা সেরকম। কালো মেয়েরা যেমন রঙ পরিবর্তনের জন্য হাজার রকমের জিনিস ব্যবহার করে একইভাবে চুল কম ছেলেরা তার টাক ঢাকার জন্য অনেক কসরত করে। উভয় ব্যাপারের সাথে মানসিক কষ্ট জড়িত। আর টাক থাকলে হয়ত টাকা আসে (মানুষে বলে) কিন্তু টাকা যখন আসে তখন তো বয়স অনেক বেশী হয়ে যায়। তবে আগের চেয়ে মনে হয় ইতিবাচক পরিবর্তন কিছুটা ঘটেছে। আর অনেক ছেলেও তার টাকওয়ালা বন্ধুকে নিয়ে ঠাট্টা করে যা অনেক সময় হজম করা যায় না। তাই সমস্যাটা শুধু মেয়েদের নিয়ে না বরং সমস্যা আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে টাকওয়ালা ছেলের বিয়ে হয় না।
আমি অনেককেই দেখেছি খুব চুপ পড়ে যাচ্ছে তাই দ্রুত বিয়ে করে ফেলছে। কারন টাক হয়ে গেলে মেয়ে পাওয়া যাবে না।

টাক সমস্যা নিয়ে বেশ কিছু মুভি আছে ইন্ডিয়ান।

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: টাকের বিড়ম্বনা কি যার টাক নাই সে বুঝবে না। টাক কারও জন্য ঠাট্টার জিনিস আর কারও জন্য তা অস্বস্তি। টাক নিয়ে ভারতীয় সিনেমা আছে জানতাম না। তব আপনার মাথায় তো মাশাল্লাহ অনেক চুল।

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: পকেটে পর্যাপ্ত টাকা থাকলে পুরুষের মাথা টাক মেয়েরা কোন কালেই আমলে নেয়নি মনে হয়। বরং সমাজে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে টাক মাথা লোকের টাকা বেশি।

১৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে প্রেমের বিয়েতে বেশী সমস্যা হয় না। কিন্তু যখন দেখেশুনে বিয়ে ঠিক করা হয় তখন টাক, শারীরিক গঠন, টাকা, স্বভাব-চরিত্র অনেক কিছুই আসে। তখন একটার ঘাটতি থাকলে আরেকটা দিয়ে মেকআপ করতে হয়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

পারভীন শীলা বলেছেন: ভালোই বলেছেন।হাসিও পাচ্ছে।আপনার পরামর্শ সব মেয়েই যেন গ্রহন করে।

২৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি কিন্তু মেয়েরা যেন টাক মাথার ছেলেদের দেখে না হাসে এই জন্য পোস্ট দিয়েছিলাম। আপনার হাসিতে আমি বিব্রত (হা: হা: হা:) । যাই হোক মেয়েরা আরও উদার হোক এই কামনা করছি। ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

মিরোরডডল বলেছেন:



সাচু, হোয়াট আ টপিক । হা হা হা ......
আহারে আমারতো হাসিও আসছে, আবার মায়াও লাগছে :)

ওকে লেটস গেট সিরিয়াস । যে কথা আগেও বলেছি আবারও বলবো , লুক দিয়ে কখনোই মানুষকে জাজ করতে হয়না । একজন মানুষের পরিচয় এজ আ সোল সে কেমন । তার ব্যক্তিত্ব, চিন্তা চেতনা । নারী পুরুষ , দেশে বিদেশে সবার জন্যই এটা প্রযোজ্য ।

সাচু লেখায় পশ্চিমা দেশের সাথে আমাদের সাব-কন্টিনেন্টাল তাও আবার ব্লক- মাইন্ডেড মানুষের তুলনা করে তাহলে কি হবে কিছু ?
বহির্বিশ্বে যেটা হয় সেটাই নরমাল মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করা । সবচেয়ে বড় কথা রিলেশনশিপের ক্ষেত্রে ওরা নিজেদের লাইকিংস প্রায়োরিটি দেয় যেটা হওয়া উচিত । ধরে বেঁধে বিয়ে দেয়া হয়না ।

আমাদের দেশেও মানসিকতা বদলাচ্ছে, সামনে আরো বদলাবে আশা রাখি । যেসব পরিবারে এরেঞ্জড মেরেজ হচ্ছে , তাদের বেশীরভাগ একেবারেই একটা বিজনেস ডিলের মতো নারী পুরুষ দুজনকেই ট্রিট করছে লাইক মার্কেট সেলিং প্রোডাক্ট । তখন তারা মানুষ কেমন বা পারসোনালিটি না দেখে মেয়ে কালো না ফর্সা অথবা ছেলের টাক আছে কি নেই এগুলো নিয়ে বদার করে, হুইচ ইজ এবসোলিউটলি রং ।

আমি আশাবাদী দিন আসবে সামনে যখন মানুষ পুরোপুরিই এগুলো থেকে বের হয়ে আসবে ।

২৯ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আমার প্রথম জীবনে এটা নিয়ে খুব ভুগেছি। আপনি যা বলেছেন সেই কথা গুলিই আমি বলতে চেয়েছি এই পোস্টে। তবে কম বয়সে মাথায় টাক হওয়া অনেক সময় মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এটা মেনে নিতে সময় লাগে। এ ব্যাপারে পরিবার, বন্ধু আর সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আরও উদার হওয়া দরকার। আমার স্ত্রীর উদারতার জন্য আমি বেচে গেছি। তবে আগের চেয়ে মনে হয় পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। কালো মেয়েদেরও অনেক চাপা কষ্ট থাকে। বাইরের বিশ্বে বিভিন্ন সমাজের অনেক ভালো দিক আছে। আমাদের উচিত সেগুলি অনুসরণ করা। বিয়েশাদির ক্ষেত্রেও আমাদের পরিবারগুলি অনেক সময় চাপিয়ে দিতে চায় ( ছেলে, মেয়ে উভয় ক্ষেত্রেই)। বিয়েটা একটা বিশাল অর্থনৈতিক লেনদেনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে ছেলে মেয়ে উভয়েই এখন বেশী বয়সে বিয়ে করতে বাধ্য হচ্ছে। এগুলির পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের (উপরে আরেকজন আছে) হাসাতে পেরে আমি নিজেকে সার্থক মনে করছি ( হাঃ হাঃ হাঃ)।

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:



আরেকটা বিষয় নিয়ে আমি সাচুর সাথে বলতে চাই । যদি সাচু পারমিশন দেয় । যদি কনস্ট্রাকটিভ ক্রিটিসিজম ভেবে নেয় তাহলে বলবো আদারয়াইজ নট ।

আমি যেহেতু লিখতে পারিনা গুছিয়ে জানিনা কন্সেপ্ট ঠিকমতো বোঝাতে পারবো কিনা । লেখায় অনেকসময় ভুলবোঝাবুঝি হয় ।

২৯ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ভালো ভাবে নেব। আপনি বলতে পারেন। সমস্যা নাই।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:



সাচু, আই ডু কেয়ার এন্ড দেটস হোয়াই আই’ম রাইটিং ইউ । মনে আছে কিছুদিন আগে বলেছিলাম রিলিজন এটা বিশ্বাস আর কানেকশন বিটুইন ইউ এন্ড ইউর ক্রিয়েটর । এই জায়গায় ঠিক থাকতে হবে । বাকি অনেককিছুই গৌণ । আমি এখানে কোনও রিলিজন নিয়ে পোষ্টে কখনোই কমেন্ট করিনা । আমার মনে হয় এটা যার যার বিলিফ । আই ডু রেস্পেক্ট আদার, বাট আই ডু রেস্পেক্ট মাইসেলফ টু । সাচু যদি কাউকে হাজারবার বোঝায় তারপরও হয়তো একজন বুঝবে না কারণ সে তার বিশ্বাসের বাইরে যাবেনা । সেইম টু ইউ । কেউ যদি সাচুর বিলিফের অপোজিট কথা বলে , যতোই লজিক দিক, সাচু কিন্তু তার বিলিফে ঠিক থাকবে । দেন হোয়াটস দা পয়েন্ট, তাই না ?

আমি যেটা বলতে চাই, সবকিছুর মধ্যেই রিলিজনের রেফারেন্স আনা যাবেনা । মাঝে মাঝে ইটস ওকে নট অলওয়েজ । ইউ বিলিফ, ইউ প্র্যাকটিস, ইউ লার্ন, দেন এপ্লাই ইন ইউর লাইফ এন্ড ডু সামথিং হোয়াট আদার উইল সি । বাট নো নিড টু টেল আদার হোয়াট টু ডু রেফার টু রিলিজন । এতে কি হয় , সবসময় এটা করলে এটা হাল্কা হয়ে যায় । রিলিজন বলেছে অন্যকেও জানাও, বল । তাই সাচু বলবে একবার দুবার তিনবার কিন্তু বার বার না । যে নেবার সে এর মধ্যেই নেবে আর যে না নেবার সে কখনোই নেবেনা মাঝখান থেকে উলটাপাল্টা বলে বা বলবে । মানুষকে এরকম বলার একটা সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে , এটাও ঠিক না । যে বা যেখানে লেট ডাউন করে, সেটা রাইট প্লেস না প্রচারের জন্য । তখন প্রচার করতে হয় ডিফারেন্ট ওয়েতে । একটু আগেই যেটা বললাম । রেফার না করে কোট না করে কাজের মধ্যে দিয়ে । যে কাজটা এপ্রিশিয়েট করবে, সে ঠিকই জেনে নিবে হাউ ডিড ইউ ডু সো । আই নো ইউ আর এ বিলিভার আর এও জানি অনেক স্টাডি করা হয় । কাজেই এটাও নিশ্চয় সাচু পড়েছে কোরআনে বলা আছে, এমন কোনকিছু যেন তাদের সাথে না বলা হয় যারা উপহাস করে, যদি করে তাহলে এই যে রিলিজনকে ছোট করছে, এর জন্য সেই ব্যাক্তিই রেস্পন্সিবল হবে টু এলাউ আদার টু টক লাইক দিজ ।
সাচু, কিছু কি বোঝাতে পারলাম :|

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত। এই প্লাটফর্মটা আসলে ধার্মিকদের জন্য না। এখানে ধর্মের কথা বললে বিপরীত প্রতিক্রিয়া ঘটে। তাই আমিও ঠিক করেছি ধর্ম নিয়ে কোনও হার্ড পোস্ট দেব না। দিলেও সেটা সফট টাইপের হবে যেটা সবাই হজম করতে পারে এবং পোস্টের সংখ্যা হবে কম। যে জিনিস সবাই মানে এরকম বিষয়ের উপর দেব। কারণ পুরোপুরি ধর্মীয় পোস্ট বর্জন মনে হয় আমার দ্বারা সম্ভব হবে না। কারণ আমার মনে প্রায় সব সময় সৃষ্টি কর্তার স্মরণ থাকে। আমি এর মধ্যে আমার শান্তি খুজে পাই। তবে আপনি মানেন কি না জানি না বেশী সমস্যা কিন্তু বিশ্বাসীরা করছে না। গুটিকয়েক চিহ্নিত লোক এটা করছে। আরেকটা সমস্যা হোল বিশ্বাসীদের মধ্যেও অনেক দল আছে তারাও সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই গত কয়েক দিন ধরে আমি চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে পোস্টের ব্যাপারে সংযত হবো। আসলে আমি আমার জীবনের সকল ক্ষেত্রেই ধর্মকে মানার চেষ্টা করি। একারনে ধর্ম প্রায় আমার সকল কথা ও কাজের মধ্যে চলে আসে। এখানে মানুষ ধর্মকে আলাদা করে চিন্তা করে। কিন্তু আসলে practicing muslim দের প্রতি পদক্ষেপে ধর্ম চলে আসে।

আর আসলে পোস্ট দেই সমমনাদের উদ্দেশে কিন্তু যাদের উদ্দেশে দেই নি তারা উত্তর করে। অনেকটা পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করার মত। আপনি ভালো পরামর্শ দিয়েছেন এবং এটা আসলে আমার নতুন সিদ্ধান্তের সাথে মিলে গেছে। তবে কিছু ধর্মীয় পোস্ট না দিলে আসলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। মনে হয় আমি আমার সময় কম প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করছি। এই gossip type ব্লগিং আমার ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন বা আল্লাহর এবাদতের সময় কমিয়ে দিচ্ছে। আসলে চাকরী করার পরে খুব কম সময় পাওয়া যায়। আমি নীতিগতভাবে আপনার সাথে একমত। আমার মধ্যম পন্থার ব্যাপারে আপনার মতামত জানাবেন। আপনি আমার শুভাকাঙ্ক্ষী এটা আমি জানি। ভালো থাকবেন।

১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:



গুড টু নো ইউর থট । ঠিক আছে , যেটা ভালো মনে হয় তাই করা হোক ।
সামটাইমস ইউ হ্যাভ টু হোল্ড লিশ ব্যাক। এটা সাচুর জন্যই ভালো ।
যাক উপযাচক হয়ে উপদেশ দেবার জন্য আমার উপর ম্যাড হয়নি সাচু :)
থ্যাংকস । ভালো থাকবেন ।

২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যা বলেছেন আমি আসলে তাই করবো। ধীরে ধীরে কমিয়ে আনব। আপনার সাজেশন আমি গ্রহণ করেছি। আমি গঠনমূলক সমালোচনা পছন্দ করি।

১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০০

পারভীন শীলা বলেছেন: আমার হাসির অন্য একটা কারন আছে।বলা যাবে না। হা হা হা।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যেভাবে রহস্য সৃষ্টি করছেন তাতে আমি আরও বিচলিত/ বিব্রত (হাঃ হাঃ হাঃ)।

১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: মানুষের ফেইসে চুলের গুরুত্ব অনেক। তবে চুপ পড়ে পড়ে শুধু তালু টাক বিষয়টা বিব্রতকর!

৩১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। যার টাক আছে সে বুঝে। তবে পরে অবশ্য এটাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়।

১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৫

ঢুকিচেপা বলেছেন: খুব ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
অল্প বয়সে চুল পড়া শুরু মানে আতঙ্কের ব্যাপার।
যেহেতু মানুষের আচার ব্যবহার আজীবন সাথে থাকে, রূপ নয় তাই আচার ব্যবহারটাকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: 'যেহেতু মানুষের আচার ব্যবহার আজীবন সাথে থাকে, রূপ নয় তাই আচার ব্যবহারটাকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত।' - সুন্দর মন্তব্য। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.