নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাণীর ছবি আঁকা বা রাখা হারাম হলে উদ্ভিদের ছবি আঁকা বা রাখা হারাম নয় কেন? ইসলাম কি বলে?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪২



ছবি আঁকা বা ছবি ঘরে রাখার ব্যাপারে ইসলামে নীচের হাদিসের মাধ্যমে একটা নির্দেশনা পাওয়া যায়।
It was narrated from Ibn ‘Abbaas that the Prophet (blessings and peace of Allaah be upon him) said: “Whoever makes an image in this world will be commanded to breathe the soul into it on the Day of Resurrection, and he will not be able to do that.” Narrated by al-Bukhaari (5618) and Muslim (2110).
বাংলায় অর্থ ;
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি কোন ছবি তৈরি করে, আল্লাহ্ তাআ’লা তাকে শাস্তি দিবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার মাঝে প্রাণ দিতে না পারে। আর তাতে সে কক্ষনো প্রাণ দিতে পারবে না।” সহীহ বুখারী, চতুর্থ খণ্ড, হাদিস নং ২০৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশান অনুবাদ।

বাংলা আর ইংরেজি অর্থ দুইটা একসাথে মিলালে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে হাদিসে প্রান দিতে পারা বলতে দেহের মধ্যে রুহ (soul) প্রবেশ করানোকে বুঝাচ্ছে।

ইসলামে জীবন বা প্রান বলতে বুঝায় যখন আল্লাহতায়ালা মানুষ বা কোন প্রাণীর মধ্যে রুহ (soul) প্রবেশ করান তখন ঐ মানুষ বা প্রাণী জীবন লাভ করে। আবার যখন রুহ (soul) দেহ থেকে বের হয়ে যায় তখন ঐ মানুষ বা প্রাণীর মৃত্যু ঘটে। কোরআন বা হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণীর রুহ (soul) আছে। রুহ বা আত্মা বিশিষ্ট সত্ত্বা ( মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী) তাদেরকে দেয়া সামর্থ্য অনুযায়ী স্বাধীন চিন্তা ও কর্ম করতে পারে। ফলে ইসলামে বলা হয়েছে যে এদেরকে বিচার দিবসে একত্র করা হবে।

সুরা আল – আনয়ামে আল্লাহতায়ালা বলেন-
“There is not a moving (living) creature on earth, nor a bird that flies with its two wings, but are communities like you. We have neglected nothing in the Book, then unto their Lord they (all) shall be gathered” [al-An‘aam 6:38] অর্থ ( আর যত প্রকার প্রাণী পৃথিবীতে বিচরণশীল রয়েছে এবং যত প্রকার পাখী দু’ ডানাযোগে উড়ে বেড়ায় তারা সবাই তোমাদের মতই একেকটি শ্রেণী। আমি কোন কিছু লিখতে ছাড়িনি। অতঃপর সবাই স্বীয় প্রতিপালকের কাছে সমবেত হবে।)

সুরা তাকউইরে আল্লাহতায়ালা বলেন-
“And when the wild beasts shall be gathered together”
[al-Takweer 81:5] অর্থ - যখন বন্য পশুরা একত্রিত হয়ে যাবে।
এই আয়াতে বিচার দিবসের কথা বলা হয়েছে।

কুতায়বা (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক হকওয়ালার হক অবশ্যই আদায় করা হবে। এমনকি শিংহীন ছাগলের পক্ষে শিংওয়ালা ছাগলের পক্ষ থেকেও বদলা নেওয়া হবে। সহীহ, সহিহাহ ১৫৮৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৪২০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘এক মহিলাকে একটি বিড়ালের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সে তাকে বেঁধে রেখেছিল এবং অবশেষে সে মারা গিয়েছিল, পরিণতিতে মহিলা তারই কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করল। সে যখন তাকে বেঁধে রেখেছিল, তখন তাকে আহার ও পানি দিত না এবং তাকে ছেড়েও দিত না যে, সে কীট-পতঙ্গ ধরে খাবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম)

উপরের আয়াত ও হাদিসগুলির কোনটিতেই উদ্ভিদের প্রসঙ্গ আসেনি। কাজেই এটা সহজেই বোঝা যায় যে হাশরের ময়দানে আল্লাহ তাদেরকেই বিচার করবেন যাদের দেহের মধ্যে রুহ (soul) প্রবেশ করানোর মাধ্যমে জীবন দেয়া হয়েছিল। এদেরকে আল্লাহতায়ালা তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী কম বা বেশী মাত্রায় কর্ম সম্পাদনের স্বাধীনতা দিয়েছেন। উদ্ভিদের দেহে রুহ (soul) প্রবেশ করে বা বের হয়ে যায় এমন কোন বর্ণনা কোরআন বা হাদিসে পাওয়া যায় না। আবার বিজ্ঞান প্রাণের যে সংজ্ঞা দেয় তা ইসলামের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিজ্ঞান যে প্রাণের কথা বলে তার মধ্যে কোন রুহ (soul) এর অস্তিত্ব নেই। ফলে ইসলামের প্রাণের সঞ্চার আর বিজ্ঞানের প্রাণের সঞ্চার এক জিনিস না।

উইকিপিডিয়া অনুযায়ী বিজ্ঞান বলে যে,
‘জীবন বা প্রাণ এমন একটি অবস্থা, যা একটি জীবকে জড় পদার্থ (প্রাণহীন) ও মৃত অবস্থা থেকে পৃথক করে। খাদ্য গ্রহণ, বিপাক, বংশবৃদ্ধি, পরিচলন ইত্যাদি কর্মকান্ড জীবনের উপস্থিতি নির্দেশ করে। জীবন বা প্রাণ বিষয়ক শিক্ষা জীববিজ্ঞানে আলোচিত হয়। প্রোটোপ্লাজমের ক্রিয়াকলাপকে জীবন বলা হয়।
জীবন হল সেই সকল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যা জৈবিক প্রক্রিয়াসম্পন্ন ভৌত সত্তাগুলোকে আলাদা করে চিহ্নিত করে, যেমন, কোষীয় সংকেত এবং স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে বেঁচে থাকার প্রক্রিয়া, যেসব বস্তুগুলোর এই গুণাবলিগুলো নেই, হয় এইসব গুণগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, নয় তো বা তাদের এই গুণগুলো কোনদিন ছিলই না, সাধারণত এগুলোকে জড় বস্তু হিসাবে শ্রেণীবিভক্ত করা হয়। জীবন বিভিন্ন রূপে বিদ্যমান, যেমন উদ্ভিদ, প্রাণী, ছত্রাক, প্রোটিস্ট, আর্কিয়া এবং ব্যাকটেরিয়া।'

বিজ্ঞান মনে করে রুহ (soul) বলে কিছু নেই। মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদের দেহের কোষগুলি যখন এমনভাবে অকেজো হয়ে যায় যে তাদের আর উপরের সংজ্ঞার আলোকে জীবিত বলা যায় না তখন ঐ মানুষ, প্রাণী বা উদ্ভিদের মৃত্যু ঘটে। ফলে বিজ্ঞানের প্রাণের সংজ্ঞা আর ইসলামের প্রাণের সংজ্ঞা এক না।

বিজ্ঞান যখন বলে যে উদ্ভিদেরও প্রাণীর মত সজীব কোষ আছে তার মানে এই না যে বিজ্ঞান উদ্ভিদ বা প্রাণীর আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করে। পক্ষান্তরে ইসলাম প্রান বলতে আত্মার অস্তিত্বকে নির্দেশ করে। আত্মা না থাকলে ইসলামে তাকে প্রাণী বলে না। তাই যাদের আত্মা (soul) আছে তাদের ছবি আঁকা যাবে না। কারণ উপরের হাদিসের সারমর্ম হোল যে যারা আত্মাবিশিষ্ট কোনও কিছুর ছবি আকবে তাদেরকে এগুলির মধ্যে প্রান (রুহ বা আত্মা) সঞ্চারের নির্দেশ দেয়া হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে। বিজ্ঞান আত্মায় বিশ্বাস করে না। তাই বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে উদ্ভিদ বা প্রাণী কারোরই আত্মা (soul) নেই। উদ্ভিদের আত্মা আছে এমন কোনও তথ্য হাদিস বা কোরআনে পাওয়া যায় না। বিজ্ঞানও এই ব্যাপারে আমাদের সাহায্য করতে পারবে না। কারণ বিজ্ঞান আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না।

এইসব কারণে প্রথমে উল্লেখিত হাদিসের নির্দেশনা উদ্ভিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়
ছবি সুত্র - nationalgeographic.org

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: গাছেরও প্রাণ আছে তখনকার যুগে মানুষ এটা জানত না। তাই এই কথাটি কোনো বইপত্রে আলোচনায় আসেনি।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞান প্রাণের যে সংজ্ঞা দেয় তাঁর সাথে ইসলামের প্রাণের সংজ্ঞার মধ্যে পার্থক্য আছে। ইসলাম বলে প্রান হোল রুহ (আত্মা)। পক্ষান্তরে বিজ্ঞান আত্মাতে বিশ্বাস করে না। তাই ইসলামের সংজ্ঞায় উদ্ভিদের কোন প্রান নাই।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৩

রানার ব্লগ বলেছেন: কারন তখনকার মানুষেরা জানতে না উদ্ভিদের ও প্রান আছে। জানলে ওটা আঁকাও হারাম হোত। কিন্তু শোনা মতে গাছ নবী মুহাম্মদ কে সালাম দিতো তাহলে ভ্যাজাল টা কোথায়?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১ নম্বর প্রতিউত্তর দেখতে অনুরোধ করবো। মুসা (আঃ) এর হাতের লাঠি সাপ হয়ে যেত। তাঁর মানে এই না যে লাঠির প্রান আছে। এগুলি মোজেজা। ইসলামে অনেক জায়গায় বলা আছে যে জড় পদার্থেরও নিজস্ব সত্ত্বা আছে। এই সত্ত্বা আর রুহ (আত্মা) বিশিষ্ট সত্ত্বা এক না। আল্লাহ বলেন, ‘বস্তুমাত্রই আল্লাহ তাআলার হামদ ও তাসবিহ পাঠ করে।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৪৪)

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: যদি উদ্ভিদের জীবন থাকে তবে অবশ্যই আত্মা আছে। মানুষের আত্মা আর গরু ছাগোলের আত্মা কি এক?? তেমনি নিশ্চয়ই উদ্ভিদের আত্মা ভিন্ন।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উদ্ভিদের জীবন আছে এটা বিজ্ঞান বলে। বিজ্ঞান কিভাবে জীবনের সংজ্ঞা দেয় তা আমি লেখায় উল্লেখ করেছি। ইসলাম জীবন বলতে রুহ (আত্মা) বিশিষ্ট প্রানিকে নির্দেশ করে। বিজ্ঞান আত্মায় বিশ্বাস করে না। উদ্ভিদের আত্মা থাকলে তাদের বিচারের ব্যাপারেও বলা হতো। কোরআন বা হাদিসে এরকম পাওয়া যায় না।

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মহাবিশ্বেেব আধি থেকে অন্ত পর্যন্ত সমস্ত কিছু আল্লাহর জানা।তার জানার কোন ব্যতিক্রম হতে পারে না।যে এটা বিশ্বাস না করে সে কাফের।তার হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না।অতয়েব যা কিছু ঘটছে,যা কিছু ঘটবে সব তার হুকুমে মানুষের কিছু করার নেই।কে ছবি আকবে কে আকবে না সবই তার ইচ্ছা।তার ইচ্ছা নাই তাই আমি ছবি আকি না।

আল্লাহ যাকে শতপথে চালান,সেই শতপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন,আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না। সুরা কা’হফ আয়াত ১৮

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি চাইলে ছবি আঁকতে পারেন। চেষ্টা করে দেখেন।

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪১

ঢুকিচেপা বলেছেন: বাহ্ খুব ভালো হয়েছে। বিষয়টা জানা হলো।

“এমনকি শিংহীন ছাগলের পক্ষে শিংওয়ালা ছাগলের পক্ষ থেকেও বদলা নেওয়া হবে।”

এই লাইনের অর্থ বুঝিনি।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্মীয় ও ফরমাইশি পোস্টে স্বাগত জানাচ্ছি। দুই ছাগল মারামারি করে একজনের শিং ভেঙ্গে গেলো। অপরাধী ছাগলেরও বিচার হবে। এটাই বোঝাতে চেয়েছে।

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪২

এভো বলেছেন: ইসলামের সংঙ্গায় গাছের প্রাণ নেই,,, তাহোলে ইসলামকে কেন বলা বিজ্ঞানময় ধর্ম?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন প্রসঙ্গে কে বলেছে উল্লেখ করলে উত্তর দিতে সুবিধা হতো।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৯

এভো বলেছেন: Islam is the complete code of life এবং ইসলাম একটা বিজ্ঞানময় ধর্ম এই দাবি সব সময়েই করা হয় যখন স্কলাররা ইসলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে গুনগান করেন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলাম একটি পুরনাঙ্গ জীবন বিধান। এই কথা বলা হয়। এটার ব্যাখ্যা দিতে হলে আরেকটা পোস্ট দেয়া প্রয়োজন। এই কথা হুবহু কোরআন বা হাদিসে আসেনি। তবে ইসলামী মনীষীরা বলেছেন কোরআন হাদিসের বিভিন্ন নির্দেশনার আলোকে। কেন বলেছেন এটা বর্ণনা করতে আলাদা পোস্ট লাগবে। কয়েকদিন আগে সম্ভবত নতুন নকিব ভাই এই ব্যাপারে পোস্ট দিয়েছিলেন। ওটা দেখতে পারেন আপাতত। ইসলাম একটা বিজ্ঞানময় ধর্ম এটা কে এবং কোন প্রসঙ্গে বলেছেন এটা আপনি বলেননি। কোরআন বা হাদিসে সরাসরি এই কথা আসে নাই মনে হয়। তাই পুরোটা না জেনে আমি কি বলতে পারি বলেন। কে, কি উদ্দেশ্যে, কিসের ভিত্তিতে বলেছে এটা জানা প্রয়োজন। মুসলমানরা বিশ্বাস করে ইসলামই আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম। বিজ্ঞান মানুষের আবিষ্কার, পক্ষান্তরে ইসলাম আল্লাহর প্রেরিত দিকনির্দেশনা। বিজ্ঞানে ভুল থাকতে পারে কিন্তু ইসলামের বিধানে ভুল নেই। মুসলমানদের মধ্যে দলাদলির কারণে একদল অনেক সময় অন্য দলের ভুল খোঁজে। কিন্তু কোরআন ও সহি হাদিসে কোন ভুল নেই।

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ছবি আকবো।
আমি ছবি তুলবো।
পাপ হলে আমার হবে। ব্যস।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মানুষ ও প্রাণীর ছবি আঁকলে সমস্যা নাই। ইসলামে সন্দেহজনক জিনিস থেকে বেচে থাকতে বলা হয়েছে। ইসলামের অনেক বিধান নির্ভর করে নিয়তের উপরে ও পরিস্থিতির উপরে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ভুল লিখেছিলাম। হবে, মানুষ ও প্রাণীর ছবি ছাড়া অন্য কিছুর ছবি আঁকলে সমস্যা নাই।

৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: পাপ পূর্ন নিয়ে এত চিন্তা ভাবনা করলে পৃথিবীতে শান্তিতে বাঁচা যাবে না। মৃত্যুর পর যা হবে দেখা যাবে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহতায়ালা আপনাকে ও আমাকে কত স্বাধীনতা দিয়েছেন। তারপরও আমরা বলি যে পাপের জন্য আমি দায়ী না। মানুষকে আল্লাহ স্বাধীন চিন্তা ও কর্ম সম্পাদনের সুযোগ দিয়েছেন।

১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৫

এভো বলেছেন: ভাই কি কথা লিখলেন, ইসলামে নাকি গাছের প্রাণ নাই বলা হয়েছে।

কিছু দিন আগে একটা টক শোতে একজন হুজুর দাবি করলেন, বিজ্ঞান মাত্র ১০০ বৎসর আগে প্রমাণ পেয়েছে গাছের প্রাণ আছে অতচ কোরান ১৪০০ বৎসর আগে বলে গেছে গাছের প্রাণ আছে।
তিনি একটা আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বল্লেন, ঐ আয়াতে বলা হয়েছে গাছ আল্লাহকে সেজদা করে, এটাই প্রমাণ গাছের প্রাণ আছে, তা না হোলে সেজদা করতো কি করে, ইসলাম যে বিজ্ঞানময় ধর্ম এবং আল্লাহর কাছে হতে প্রেরিত, এগুলোই তার প্রমাণ।
আজকে বিজ্ঞান যেটা আবিষ্কার করছে, সেটা ১৪০০ বৎসর আগে কোরান বলে গেছে।
ধন্যবাদ

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুসা আ এর লাঠি সাপ হয়ে যেত। তারমানে কি লাঠির প্রান ছিল? এগুলি মোজেজা যা আল্লাহর নির্দেশ হয়। আল্লাহ চাইলে সব কিছু করতে পারেন। হজরত ঈসা আ মৃতকে জীবিত করতে পারতেন আল্লাহর নির্দেশে। আল্লাহ বলেন, ‘বস্তুমাত্রই আল্লাহ তাআলার হামদ ও তাসবিহ পাঠ করে।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৪৪)। তবে কি জড় পদার্থেরও প্রান আছে। তা না হলে এরা কিভাবে হামদ ও তসবিহ পাঠ করে।

১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: গাছের রুহ নিয়ে টানাটানি করতে পারবো না। বেশী করে গাছ গালান পরিবেশ বাঁচান । আর পরিবেশ ভালো থাকলে মানুষ ভালো থাকবে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো পরামর্শ দিয়েছেন। ধন্যবাদ।

১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪১

এভো বলেছেন: ৩৬) গাছ কথা বলে,আছে প্রাণ ও অনুভূতি।
..
..
বিজ্ঞানময় কোরআন ও এর সত্যতা নিরূপণঃ
******************************************
গাছও কথা বলে আছে প্রাণ ও অনুভূতি!
**************************************
মানব জাতির হেদায়াত গ্রন্থ আল কোরআন!
এতে সন্নিবেশিত হয়েছে সকল তথ্য ও
নির্দেশনা যা মানুষের জন্য অপরিহার্য।
বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে সেই সব রহস্য
ক্রমেই উন্মোচিত হয়ে প্রমাণ দিচ্ছে ঐশী
বাণী কোরআনের সত্যতার।
গাছ আল্লাহ তাআলার এমনই এক নেয়ামত যা
উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত জ্বল জ্বল করছে
কোরআনের সত্যতার জলন্ত প্রমাণ হিসেবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন--
﴿ ﻗُﻞۡ ﻣَﻦۡ ﻳَّﺮۡﺯُﻗُﻜُﻢۡ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎٓﺀِ ﻭَﺍﻟۡﺎَﺭۡﺽِ ﺍَﻣَّﻦۡ ﻳَّﻤۡﻠِﻚُ ﺍﻟﺴَّﻤۡﻊَ
ﻭَﺍﻟۡﺎَﺑۡﺼَﺎﺭَ ﻭَﻣَﻦۡ ﻳُّﺨۡﺮِﺝُ ﺍﻟۡﺤَﻰَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟۡﻤَﻴِّﺖِ ﻭَﻳُﺨۡﺮِﺝُ ﺍﻟۡﻤَﻴِّﺖَ
ﻣِﻦَ ﺍﻟۡﺤَﻰِّ ﻭَﻣَﻦۡ ﻳُّﺪَﺑِّﺮُ ﺍﻟۡﺎَﻣۡﺮَؕ ﻓَﺴَﻴَﻘُﻮۡﻟُﻮۡﻥَ ﺍﻟﻠّٰﻪُۚ ﻓَﻘُﻞۡ ﺍَﻓَﻠَﺎ
ﺗَﺘَّﻘُﻮۡﻥَ﴾
তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, “কে
তোমাদের আকাশ ও পৃথিবী থেকে রিযিক
দেয়? এই শুনার ও দেখার শক্তি কার কর্তৃত্বে
আছে? কে প্রাণহীন থেকে সজীবকে এবং
সজীব থেকে প্রাণহীনকে বের করে? কে
চালাচ্ছে এই বিশ্ব ব্যবস্থাপনা?” তারা
নিশ্চয়ই বলবে, আল্লাহ। বলো, তবুও কি
তোমরা (সত্যের বিরোধী পথে চলার
ব্যাপারে। ) সতর্ক হচ্ছো না?(১০:৩১)
এই আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা জানালেন
গাছের প্রাণ আছে।১৪০০ বছর আগে ঘোষিত
হল গাছ প্রাণহীন জড় পদার্থ নয় বরং এদেরও
আছে প্রাণ!!
সুবহানাল্লাহ!!
রহস্য এখানেই শেষ নয়!!!
***********************
কোরআন শুধু গাছের প্রাণ আছে বলেই থেমে
থাকেনি।
এরপর আল্লাহ্ ঘোষণা করেনঃ
সমস্ত প্রাণহীন বস্তু ও জীব-জন্তু আল্লাহ
তাআলার দরবারে তাসবিহ ও দোয়া করে
এবং তাদের মধ্যে আল্লাহর ভয় বিদ্যমান
রয়েছে।অর্থাৎ তাদের রয়েছে অনুভূতি!!
আল্লাহ বলেন-
‘বস্তুমাত্রই আল্লাহ তাআলার হামদ ও
তাসবিহ পাঠ করে।কিন্তু তোমরা তা বুঝতে
পারনা(সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৪৪)
অন্যত্র বলেন,
প্রত্যেকেই তার ইবাদাত ও তাসবিহ সম্পর্কে
অবগত।` (সুরা নুর : আয়াত ৪১)
ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﻖُ ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺉُ ﺍﻟْﻤُﺼَﻮِّﺭُ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺄَﺳْﻤَﺎﺀ ﺍﻟْﺤُﺴْﻨَﻰ ﻳُﺴَﺒِّﺢُ
ﻟَﻪُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ
তিনিই আল্লাহ তা’আলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক,
রূপদাতা, উত্তম নাম সমূহ তাঁরই।
আকাশ ও জমিনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর
তসবিহ পড়ে। (সূরা হাশর, আয়াত-২৪)।
এ আয়াত ৪টি থেকে বুঝা যায় যে,
অপরূপ প্রকৃতিতে, বন-বনানীতে, বৃক্ষলতার
সবুজ সমারোহে, গাছের ডালে ডালে ঐশী
তুলিতে লেখা যেন আল্লাহর নাম! বন-
বনানীর গাছগাছালি দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টাই
আল্লাহকে ডাকে। আল্লাহর জিকির করে।
আল্লাহ তাআলার ভয় তাদের রয়েছে
এবংতাদের অনুভূতি প্রকাশের শক্তি
দিয়েছেন।
প্রত্যেক বস্তুই সত্যিকার অর্থে আল্লাহর
তসবিহ পাঠ করতে পারে। তবে আমরা নিজ
কানে শুনি না। এ কারণেই আল্লাহ বলেন,
‘তোমরা তাদের তসবিহ শোনো না,বোঝো
না।’
আসলেই কি তাই?
গাছেরও কি আছে অনুভূতি এবং কথাও বলতে
পারে?
বিজ্ঞানিদের গবেষণার ফলাফলঃ
*******************************
বেশিদিন আগের কথা নয়, এই তো সে দিন
পর্যন্ত মানুষ জানত না যে উদ্ভিদেরও প্রাণ
আছে। মাত্র ১০০ বছর আগে স্যার জগদীশ
চন্দ্র বসু “গাছের প্রাণ আছে” এটা
আবিষ্কার করেছিলেন।প্রমাণ করেছিলেন
প্রাণের সব লক্ষণ গাছের মধ্যে আছে।
বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর
আবিষ্কারের পূর্ব পর্যন্ত মানুষের ধারণা_
উদ্ভিদ জড়পদার্থ মাত্র। তিনিই লক্ষ্য করেন,
উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবনের মধ্যে অনেক
সাদৃশ্য রয়েছে। মানুষের মতো উদ্ভিদেরও
রয়েছে আবেগ ও সুখ-দুঃখের অনুভূতি।
স্যার জগদীশ প্রমান করেছেন যে গাছের ও
সংবেদনশীলতা রয়েছে। তিনি সেটা মাপার
জন্য একটি যন্ত্রও আবিষ্কার করেছিলেন।
এই যন্ত্রটির নাম তিনি দিয়েছিলেন
ক্রেস্কোগ্রাফ। এই যুগান্তকারী
আবিস্কারটির জন্যই তিনি জগৎ বিখ্যাত
হয়েছিলেন।
গবেষণার কল্যাণে আমরা অনেক আগেই
জেনেছি গাছেরও প্রাণ আছে, ওরা
সংবেদনশীল।তবে ভাব প্রকাশের জন্য
আমাদের মতো ভাষা নেই। কিন্তু নিজেদের
মধ্যে ওরা আলাপন করতে পারে।
কিছু গাছ লবণের ঘাটতি মেটাতে
পোকামাকড় খায়। কিছু গাছ গান শুনতে পছন্দ
করে। সাম্প্রতিক সময়ে গাছপালার
প্রাকৃতিক বৃদ্ধির ওপর নজরদারি করে অনেক
নতুন নতুন তথ্য জানা গেছে। আবার ওরা
নিজেদের সঙ্গে সাংকেতিক ভাষায়ও
যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে। এটাই ওদের
ভাষা।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে,
কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকার বনভূমিতে
পতঙ্গের আক্রমণ শুরু হলে ওই বনের গাছপালা
দূরবর্তী বনভূমিতে সতর্ক সংকেত পৌঁছে
দিতে পারে। সংকেত পাওয়ার পর ওই বনের
গাছগুলো তাদের উদ্বায়ী তেল ছড়ানো
থেকে বিরত থাকে। ফলে পাতাখেকো
পতঙ্গের দল কোনো গন্ধ না পেয়ে গাছে
আক্রমণ করতে না পেরে ফিরে যায়। ওদের
এই যোগাযোগ অভাবিত ও নানাভাবে
পরীক্ষিত।
এক গাছের সঙ্গে আরেক গাছের পারস্পরিক
যোগাযোগ রয়েছে। উদ্ভিদবিজ্ঞানীর
া গবেষণায় এর সত্যতাও পেয়েছেন।
কলম্বিয়ার মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপক জ্যাক সি. শুলৎজ বলেন, বৃক্ষরা
আসলে অনেক ধীরপ্রকৃতির প্রাণী। তিনি চার
দশক ব্যয় করেছেন বৃক্ষ ও পোকামাকড় নিয়ে
গবেষণা করেন।তিনি বলেন-
তারা অন্যসব প্রাণীর মতো জীবন্ত এবং
তাদের আচরণ তারা প্রকাশও করে।
ফ্রান্সের লায়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক
অলিভিয়ার হামান্ট বলেন, বৃক্ষের এই আচরণ
যদি দেখতে চান তবে ছোট একটি গাছকে
বৃক্ষে পরিণত হওয়ার প্রতিটি ধাপ ভিডিও
করে খুব দ্রুত চলচ্চিত্রের মতো করে দেখতে
হবে। অত্যাধুনিক ক্যামেরায় গাছের
জীবনচক্রকে বন্দি করেই বিজ্ঞানীরা
বৃক্ষের এই আজব আচরণ আবিষ্কার করেছেন।
শুলৎজ বলেন, সঠিকভাবে বৃক্ষদের তাদের
প্রতিক্রিয়া জানাতে তাদের নিজস্ব
ইন্দ্রীয় ব্যবহার করতে হয়। বৃক্ষের পাতার
ওপর দিয়ে যখন কোনো শুঁয়োপোকা হেঁটে
যায় তখন সে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ তার
পাতায় পাঠিয়ে দেয়। এমনকি সংগীতের সুর
শুনলেও গাছেরা তাদের প্রতিক্রিয়া
জানায়।
আমরা আমাদের নাক, কান ও ত্বকের
সাহায্যে বাইরের বিশ্বকে অনুভব করতে
পারি। কিন্তু গাছের ক্ষেত্রে আসলে কোন
অঙ্গ ইন্দ্রীয় হিসেবে কাজ করে তা
বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো পরিষ্কার নয়।
তবে ২০১৫ সালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে
দাবি করা হয়েছে, গাছের অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
কিছু কোষ আছে, যা বৃক্ষদের অনুভবে
সাহায্য করে। এটি একটি টিস্যু, যা আমাদের
পেশির সঙ্গে তুলনা করা যায়। ২০১৪ সালের
সুইজারল্যান্ডের লসানে বিশ্ববিদ্যালয়ের
গবেষণায় বলা হয়, বৈদ্যুতিক তরঙ্গের প্রবাহ
এর জন্য দায়ী। তবে অন্য বিজ্ঞানীরা এ
বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলেননি। গাছের এই
প্রতিক্রিয়া নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
আশা করা যাচ্ছে শিগগিরই আমরা এ বিষয়ে
জানতে পারব।
( তথ্য সূত্র: বিবিসি)
সুবহানাল্লাহ!
কোরআনুল করিমে ১৪০০বছর আগে ঘোষিত
রহস্য প্রমাণিত হল মাত্র কিছুদিন হল।
এরপরও অবিশ্বাসীরা বলবে গাছের প্রাণ
আছে এটা প্রাচীন কাল থেকেই জানত,বসু শুধু
প্রমাণ করেছে মাত্র।অনুরোধ রইল তাদের
প্রতি ভেবে দেখার কিভাবে কোরআনে
১৪০০ বছর আগে গাছের প্রাণ,অনুভূতি আর
ভাষার তথ্য এল!! এ তথ্য প্রমাণ করে,নিশ্চয়ই
এটি কোন মানব রচিত নয় বরং মহাবিশ্বের
প্রতিপালকের প্রেরিত ঐশী গ্রন্থ!!

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তথ্যসুত্র দিয়েছেন বিবিসি। এখন বিবিসির কাছ থেকে কোরআনের ব্যাপারে জানতে হবে। যে আয়াতগুলি উল্লেখ করেছেন এটা উদ্ভিদ সংক্রান্ত না। আপনি কোন ভালো লেখকের তফসির দেখে নিবেন দয়া করে। আমি যে হাদিস উল্লেখ করেছি ওখানে বলা আছে যে যে জিনিসের ছবি আঁকবে তার রুহ (জান) দিতে বলা হবে। যেটা কেউ পারবে না। তাই রুহ বিশিষ্ট কোন কিছু আঁকা নিষেধ করেছে। বিজ্ঞান তো রুহই বিশ্বাস করে না। তাই বিজ্ঞানের সংজ্ঞায় মানুষ বা গাছের জীবন বলতে প্রটোপ্লাজমের ক্রিয়া কলাপকে বুঝায়। এই সংজ্ঞা তো ধর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। ‘বস্তুমাত্রই আল্লাহ তাআলার হামদ ও তাসবিহ পাঠ করে।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৪৪)। এই আয়াত আপনার আগেই আমি অন্য একটা মন্তব্যে উল্লেখ করেছি। এই হামদ আর তসবিহ জড়ো পদার্থও করে। তার মানে এই না যে এদেরো রুহ আছে। এইখানে মূল বিবেচ্য বিষয় বস্তুটির রুহ আছে কি না। গাছের রুহ আছে বিজ্ঞান মানে না। ইসলামেও এই ব্যাপারে কিছু বলা নাই। এই কারণে গাছের ক্ষেত্রে এই হাদিস প্রযোজ্য নয়।

১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:০৩

এভো বলেছেন: our Islam » কুরআনের ফল ও বৃক্ষগুলো

www.ourislam24.com

আতাউর রহমান খসরু

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনকে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের উৎস বানিয়েছেন। বলেছেন, কোরআনে রয়েছে ‘সবকিছুর বিবরণ’। গাছপালা, তরুলতা ও উদ্ভিদের বিস্তৃত বিবরণও রয়েছে কোরআনে।

সংক্রান্ত আয়াতগুলোয় মৌলিকভাবে আলোচিত হয়েছে উদ্ভিদের প্রাণ, তার বংশ বিস্তার, ফুলের পরাগায়ণ, বীজের অঙ্কুরায়ন, ফল পরিপক্ব হওয়া ইত্যাদি বিষয়। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তিনি সেই সত্তা, যিনি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন এবং তা থেকে আমি উৎপন্ন করি সব ধরনের উদ্ভিদ। তা থেকে উদ্গত করি সবুজ পাতা এবং উৎপন্ন করি পরস্পর জড়ানো শস্যদানা এবং খেজুর গাছ, যার শীর্ষদেশ কাঁদির ভারে নুয়ে থাকে। সৃষ্টি করি আঙুর, জলপাই ও আনারের বাগানগুলো, যা পরস্পরের সাদৃশ্যপূর্ণ হয় আবার বৈসাদৃশও হয়। তোমরা লক্ষ করো! যখন গাছ ফলবান হয় এবং ফল পাকতে শুরু করে। নিশ্চয় এগুলোতে রয়েছে মোমিনদের জন্য নিদর্শন।’ (সূরা আনআম : ৯৯)।

এছাড়াও আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বিভিন্ন উদ্ভিদের নাম ও শ্রেণী উল্লেখ করেছেন। উদ্ভিদ দিয়ে রেখেছেন কয়েকটি সূরার নামও। তিনি উদ্ভিদের উল্লেখ করেছেন উপমা দিতে, কোনো কিছুর প্রমাণস্বরূপ অথবা নিছক বিবরণ হিসেবেও এসেছে উদ্ভিদের নাম। কোরআনে উল্লিখিত উদ্ভিদগুলো হলো,

১. আল ইনাবু : আঙুর ফল। ‘এবং আঙুর ও শাকসবজি।’ (সূরা আবাসা : ২৮)।

২. আর রুম্মান : আনার। ‘সেখানে রয়েছে ফলমূল; খেজুর ও আনার।’ (সূরা রহমান : ৬৮)।

৩. আত তিন : ডুমুর (ফল বা গাছ)। ‘ডুমুর ও জলপাই (বা তার গাছের) এর শপথ।’ (সূরা তিন : ১)।

৪. আন নাখিল : খেজুর গাছ। ‘এবং শস্যক্ষেত ও দুর্বল এবং ঘন গোছাবিশিষ্ট খেজুর বাগানে।’ (সূরা শুয়ারা : ১৪৮)।

৫. আজ-জারউ : বীজ, চারা, শস্য বা শস্যক্ষেত। ‘মহান আল্লাহ, যিনি সৃষ্টি করেছেন নানা ধরনের বাগান। যার কিছু মাচার ওপর বিছানো থাকে (কা-হীন) এবং কিছু মাচার ওপর বিছানো থাকে না (কা-বিশিষ্ট) এবং যিনি সৃষ্টি করেছের খেজুর গাছ ও বিভিন্ন স্বাদের খাদ্যশস্য।’ (সূরা আনআম : ১৪১)।

৬. আর রাতাবু : তাজা ও পাকা খেজুর। ‘তুমি খেজুর গাছের কা- ধরে নাড়া দাও। তোমার ওপর তা ফেলবে পাকা তাজা খেজুর।’ (সূরা মরিয়াম : ২৫)।

৭. আল ফাকিহাতু : যে কোনো ফল। ‘তাতে রয়েছে ফলমূল ও খোসায় ঢাকা খেজুর।’ (সূরা রহমান : ১১)।

৮. আজ জায়তুন : জলপাই। ‘ডুমুর ও জলপাই (বা তার গাছের) এর শপথ।’ (সূরা তিন : ১)।

৯. আস সামারু : যে কোনো ফল। ‘খেজুর ও আঙুর ফলগুলো। তা থেকে তোমরা গ্রহণ করো নেশাদ্রব্য ও উত্তম রিজিক।’ (সূরা নাহল : ৬৭)।

১০. আল ইয়াকতিন : লাউ বা কদু। ‘আমি তার ওপর একটি লাউ গাছ উদ্গত করলাম।’ (সূরা সাফফাত : ৪৬)।

১১. আস সিদরু : কুল বা বরই গাছ। ‘কাঁটাবিহীন বরই গাছ তলায়।’ (সূরা ওয়াকিয়া : ২৮)।

১২. আল আসলু : ঝাউ গাছ। ‘আমি তাদের বাগান দুইটিকে এমন দুই বাগানে পরিবর্তন করলাম, যেখানে রইল কিছু বিস্বাদ ফল, ঝাউ গাছ ও কুল গাছ।’ (সূরা সাবা : ১৬)।

১৩. আল খামতু : তেঁতো ও বিস্বাদ খাবার বা আরবি ভাষায় ‘আরাক’ নামক বিশেষ লতা গাছ। ‘আমি তাদের বাগান দুইটিকে এমন দুই বাগানে পরিবর্তন করলাম, যেখানে রইল কিছু বিস্বাদ ফল, ঝাউ গাছ ও কুল গাছ।’ (সূরা সাবা : ১৬)।

১৪. আল আব্বু : পশুখাদ্য। গৃহপালিত ও বন্যপশু যে ফল খায়। ‘তাতে উৎপন্ন করেছি ফলমূল ও ঘাস।’ (সূরা আবাসা : ৩১)।

১৫. আল কিসসাউ : শসা। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্য; তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা : ৬১)।

১৬. আল ফুমু : মটরকলাই বা গম। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্য; তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা : ৬১)।

১৭. আল বাকলু : সবজি বা যে কোনো উদ্ভিদ। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্য; তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা : ৬১)।

১৮. আল আদাসু : ডাল। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্যÑ তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা : ৬১)।

১৯. আল বাসালু : পেঁয়াজ। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্য; তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা : ৬১)।

২০. আল হাব্বু : শস্যদানা বা বীজ। ‘নিশ্চয় আল্লাহ বীজ ও আঁটিকে অঙ্কুরিত করেন।’ (সূরা আনআম : ৯৫)।

২১. আস সানাবিলু : শিষ বা মুকুল। ‘যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের দৃষ্টান্ত হলো বীজের মতো, যা থেকে সাতটি শিষ বের হয় এবং প্রত্যেক শিষে থাকে ১০০ বীজ।’ (সূরা বাকারা : ২৬১)।

২২. আন নাবাতু : উদ্ভিদ। ‘যেন আমি তা (পানি) দিয়ে উৎপন্ন করি শস্যদানা ও উদ্ভিদ।’ (সূরা নাবা : ১৫)।

২৩. আর রায়হানু : পুদিনা জাতীয় এক ধরনের গুল্ম বা যে কোনো সুগন্ধ গুল্ম। ‘আরও রয়েছে ভূষিযুক্ত শস্যদানা ও সুগন্ধি ফল।’ (সূরা রহমান : ১২)।

২৪. আজ জানজাবিলু : আদা বা এক ধরনের মূল্যবান সুগন্ধি। ‘তারা সেখানে এমন শূরা পান করবে, যাতে মেশানো থাকবে জানজাবিল’। (সূরা দাহর : ১৭)।

২৫. আল কাদবু : পুষ্টিকর শাকসবজি। ‘আঙুরের থোকা এবং রকমারি শাকসবজি।’

২৬. আল কাফুরু : কর্পূর। ‘নিশ্চয় সৎ মানুষ জান্নাতে এমন পাত্রে পান করবে, যাতে মেশানো থাকবে কর্পূর।’ (সূরা দাহর : ৫)।

২৭. আজ জাক্কুমু : কাঁটাযুক্ত গাছ বা ক্যাকটাস। ‘আপ্যায়নের জন্য এটাই উত্তম না কাঁটাযুক্ত গাছ?’ (সূরা সাফফাত : ৬২)।

২৮. আন নাজমু : ঘাস বা এমন গাছ, যার ডাল হয় না। ‘লতাপাতা ও বৃক্ষরাজি তাঁকে সিজদা করে।’ (সূরা রহমান : ৬)।

২৯. আস সাজারু : ডালবিশিষ্ট গাছ। ‘লতাপাতা ও বৃক্ষরাজি তাঁকে সিজদা করে।’ (সূরা রহমান : ৬)।

৩০. আল কিনওয়ানু : খেঁজুরের কাঁদি। ‘এবং খেজুর গাছ, যার শীর্ষদেশ কাঁদির ভারে নুয়ে থাকে।’ (সূরা আনআম : ৯৯)।

৩১. আত তালউ : খেঁজুর গাছের শিষ। ‘এবং খেজুর গাছ, যার শীর্ষদেশ কাঁদির ভারে নুয়ে থাকে।’ (সূরা আনআম : ৯৯)।

আরআর
L I N K

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেশের একটা অনলাইন পত্রিকার লেখা তুলে ধরেছেন। লেখায় যে আয়াত উল্লেখ করেছেন সেখানে উদ্ভিদের প্রানের (রুহ) ব্যাপারে কোন কিছু বলা নাই। লেখক নিজে শুরুতে বলেছে প্রান, তার বংশ বিস্তার..... ইত্যাদি। দলিল ছাড়া কোন কথা মানা যায় না। কোরআনে অনেক ফল ও উদ্ভিদের নাম আছে। আপনি তা উল্লেখ করেছে। এর দ্বারাও উদ্ভিদের প্রান (রুহ) আছে বোঝা যায় না।

১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:০৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: কোরানের হেঁয়ালি বোঝা বড়ই দুর্বোধ্য তাই যে যেভাবে পারছে কোরানের ব্যখ্যা দিচ্ছে। আবার বলা হচ্ছে কোরানকে বোঝার জন্য সহজ করে দেওয়া হয়েছে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুসলমানদের উচিত না কোরআনের কথাকে হেয়ালি বলা। আল্লাহর প্রেরিত গ্রন্থ সম্পর্কে এই ধরণের কথা বলা ঠিক না।

১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৩৩

সোহানী বলেছেন: ধর্ম নিয়ে কোন তর্কে যাই না কারন এ নিয়ে আমার জ্ঞান একেবারেই শূণ্যের কোটায়। কিন্তু একটা কথা বুঝি আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বিজ্ঞান চর্চার বিকল্প নেই। ছবি আঁকলাম বা তুললাম সেটা দিয়ে কি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে???যদি এসব করে দেশ এগিয়ে যায় তাহলে আমিও ছবি তোলা আঁকা সব বন্ধ করে দিবো!

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কাল্পনিক ভালবাসা ভাই এই ব্যাপারে লিখতে বলেছেন তাই লিখার সাহস করলাম। নতুন নকিব ভাই আর নীল আকাশ ভাই সাহায্য করবেন বলেছেন। ছবি তোলার ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান অন্য রকম। এই পোস্টে সেটা আলোচনা হয়নি। ইসলাম কি বিজ্ঞান চর্চা করতে কোথাও নিষেধ করেছে? বরং বলা হয়েছে প্রত্যেক মুসলমান নর নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরজ। এই কথাটা জানতেও আমাকে কোরআন হাদিস পড়তে হবে। আমি ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনা করি আবার আমার পরিবারের ভরণপোষণও করি। তাই ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা বা আলোচনা করলে আমি পিছিয়ে যাবো এরকম মনে করি না। অনেক ধর্মভীরু মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞান ও দুনিয়ার কাজে সফল ও তারা এগিয়ে আছে। আমাদের বুঝতে হবে যে একজন মুসলমানের মৃত্যুর পরের জীবন নিয়েও ভাবতে হবে ও কাজ করতে হবে। ইসলাম যদি কোন জিনিস নিষেধ করে থাকে সেটা আমাকে জানতে হবে ও তা থেকে দূরে থাকতে হবে। তা না হলে দুনিয়াতে অনেক সফল হলেও মৃত্যুর পরে সমস্যা হবে। আমাদের ইহলোক ও পরলোকের জীবনের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করতে হবে। ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতার জন্য অনেকে ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে। ইসলামে (কোরান ও হাদিসে) জ্ঞান, বিজ্ঞান ও অর্থনীতি সংক্রান্ত অনেক দিকনির্দেশনা আছে। সেগুলি আমাদের জানতে হবে। কোরআনে মানুষের জীবনের প্রতিটি বিষয়ের ( ইহকাল ও পরকাল) উপর আলোকপাত করা হয়েছে। এগুলি আমাদের জানার চেষ্টা করা উচিত। শুধু ইহকালকে অগ্রাধিকার দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ না।

১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন। জাজাকুমুল্লাহ।

আসলে ইসলামের বিধি-বিধান বা মাসআলা মাসায়েল, এই জাতীয় বিষয়াদি নিয়ে কোনো কিছু লিখতে যাওয়া খুবই বিরক্তির কারণ হয়ে উঠছে ক্রমশঃ। আমাদের কিছু বন্ধু আছেন, যারা বুঝে অথবা না বুঝে তাদের নিজেদের এলোমেলো বক্তব্য পেশ করে থাকেন। যুক্তি এবং ইসলাম ধর্মের মূলনীতির সাথে তারা থাকতে চান না। মরিয়া হয়েও তারা লেগে থাকতে চান ইসলাম ধর্মের ভুল আবিষ্কারের চেষ্টা-প্রচেষ্টায়।

এসব কারণে এখন কোনো কিছু লিখতে গেলেই চিন্তা জাগে।

যাক, তাদের জন্য কল্যান কামনা করছি। +

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যুক্তিপূর্ণ আলোচনা করলে সমস্যা হয় না। সমস্যা হয় যখন অযৌক্তিক কথা বলে। ধন্যবাদ। সাথে থাকবেন আশা করি।

১৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২২

এভো বলেছেন:
একটা পোস্টে জনাব কাল্পনিক ভালোবাসা মন্তব্য করেছিলেন --

যাদের জীবন আছে তাদেরকে জীব বলে, জীবের শারীরিক বৃদ্ধি ও পরিবর্তন ঘটে। তাছাড়া, জীব নিজেদের মতো নতুন জীবন জন্ম দিয়ে বংশ বিস্তার করতে পারে। জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন খাদ্য, পানি, ও বায়ু ইত্যাদি।


জীবের এই ধরনের বৈশিষ্ট্যর কথা গাছ সম্পর্কে বলা হয়েছে কিনা , সেটা সুরা আনামের ৯৯ নং আয়াতে একটু দেখি


তিনিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন অতঃপর আমি এর দ্বারা সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি, অতঃপর আমি এ থেকে সবুজ ফসল নির্গত করেছি, যা থেকে যুগ্ম বীজ উৎপন্ন করি। খেজুরের কাঁদি থেকে গুচ্ছ বের করি, যা নুয়ে থাকে এবং আঙ্গুরের বাগান, যয়তুন, আনার পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত এবং সাদৃশ্যহীন। বিভিন্ন গাছের ফলের প্রতি লক্ষ্য কর যখন সেুগুলো ফলন্ত হয় এবং তার পরিপক্কতার প্রতি লক্ষ্য কর। নিশ্চয় এ গুলোতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদারদের জন্যে

গাছের যে জীবন আছে এই আয়াতে কি তার প্রমাণ নেই ? গাছ থেকে পাতা বের হচ্ছে , ফল হচ্ছে ইত্যাদি প্রক্রিয়ার কথা বলা হচ্ছে , সেটা কি প্রাণের অস্তিত্বের দিক নির্দেষনা নহে ? মাত্র ১০০ বৎসর আগে প্রমাণীত যেটা প্রমাণীত হয়েছে কিন্তু কোরানে বলা হয়েছে ১৪০০ বৎসর আগে ।
ধন্যবাদ



২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলাম বলে সব কিছুই আল্লাহর তসবিহ পাঠ করে। তার মানে কি সব কিছুরই জীবন আছে? আমি তো রুহ (আত্মা) নিয়ে আলাপ করছি। বিজ্ঞান কি আত্মা বিশ্বাস করে? তাহলে বিজ্ঞানের সংজ্ঞা ইসলামের ক্ষেত্রে কিভাবে প্রযোজ্য হয়। হাদিসে বলা হয়েছে যে রুহ প্রবেশের কথা। উদ্ভিদের কি রুহ আছে? মানুষের রুহ আছে এটা কি বিজ্ঞান মানে? প্রানের সংজ্ঞা ইসলামে আর বিজ্ঞানে এক রকম নয়। বিজ্ঞান প্রান বলতে বুঝায় জীবিত কোষের প্রটোপ্লাজমের ক্রিয়া কর্ম। ইসলাম প্রান বলতে বুঝায় যার রুহ (আত্মা )আছে। বিজ্ঞানে উদ্ভিদ আর মানুষ একই শ্রেণীভুক্ত যদি আমরা ধরে নেই যে প্রান হোল জীবিত কোষের প্রটোপ্লাজমের ক্রিয়া কর্ম। কিন্তু বিজ্ঞানের মতে মানুষ বা উদ্ভিদ উভয়ের কারোরই আত্মা বলে কিছু নেই। প্রানের এই সংজ্ঞা আমাদের হাদিসে খাটানো যাচ্ছে না। কারণ হাদিসে রুহ (আত্মার) কথা বলা হয়েছে। ইসলাম জীন ও ফেরেশতায় বিশ্বাস করে। জীন আগুনের তৈরি আর ফেরেশতা আলোর তৈরি। জিনের বংশ বিস্তার হয়। বিজ্ঞান কি পানি ছাড়া আগুনের তৈরি এই জীবে বিশ্বাস করে? তাই ইসলামের প্রানের সংজ্ঞা আর বিজ্ঞানের প্রানের সংজ্ঞা এক না। তাই বিজ্ঞান যখন বলে যে গাছের প্রান আছে তার মানে এই না এটার রুহ আছে। ফলে এই সংজ্ঞা ইসলামী বিধানে কোনও কাজে আসে না। হাদিসটা রুহ বিশিষ্ট প্রাণীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিজ্ঞান যদি কোনও দিন প্রমাণ পায় যে উদ্ভিদের রুহ আছে তখন আমাদের জন্য গাছের ছবি আঁকাও হারাম হয়ে যাবে। ইসলামে কোথাও বলা নাই যে উদ্ভিদের রুহ আছে।

১৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৬

এভো বলেছেন: বিজ্ঞান যদি কোনও দিন প্রমাণ পায় যে উদ্ভিদের রুহ আছে তখন আমাদের জন্য গাছের ছবি আঁকাও হারাম হয়ে যাবে।

তাহোলে বিজ্ঞান তো প্রমাণ পায় নি প্রাণীর রুহ আছে , তাহোলে প্রাণীর ছবি মুর্তি কি হালাল হয়ে যাবে ।

বিজ্ঞানে উদ্ভিদ আর মানুষ একই শ্রেণীভুক্ত যদি আমরা ধরে নেই যে প্রান হোল জীবিত কোষের প্রটোপ্লাজমের ক্রিয়া কর্ম।

যার ভিতরে এই ধরনের ক্রীয়া কর্ম বিদ্যামান তার ভিতরে প্রাণ আছে এবং এই ক্রীয়া কলাপ যখন বন্ধ হয়ে যাবে তখন তার মৃর্তু হবে ।
হাদিস অনুযায়ি যাহার প্রাণ আছে তাহার রুহু আছে ।
গাছের যেহেতু প্রাণ আছে সুতরাং গাছের রুহ আছে ।
প্রাণ এবং রুহ পরিপুরক --- প্রাণ থাকলে রুহ থাকবে বা রুহ থাকলে প্রাণ থাকবে ।
ইসলামে কোথাও বলা নাই যে উদ্ভিদের রুহ আছে।

দুনিয়াতে কোটি কোটি প্রাণী আছে , ইসলামে কি সব প্রাণীর নাম থাকবে নাকি ? যাদের নামের উল্লেখ নেই তাহোলে তারা কি প্রাণী নহে ?
ইসলামে বলা হয়েছে যার প্রাণ আছে তার অবশ্যই রুহ আছে ।
সুরা আনামের ৯৯ আয়াত দ্বারা প্রমাণ করে গাছের প্রাণ আছে , তাই তার অবশ্যই রুহ আছে ।
সুতরাং গাছের ছবি হারাম ।
ধন্যবাদ

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুরা আনআমের ৯৯ আয়াতের তফসিরে কোথাও পাওয়া যায় না যে এই আয়াত দ্বারা উদ্ভিদের প্রাণ (রুহ) আছে বুঝাচ্ছে। আপনি এরকম কোনও নির্ভরযোগ্য তফসির দেখান। ইসলাম বিজ্ঞানের প্রানের সংজ্ঞা অনুযায়ী বিধান দেয় নাই। ইসলাম প্রাণ বলতে বুঝিয়েছে রুহ বিশিষ্ট প্রাণী/ জীব। বিজ্ঞান বলছে গাছের প্রাণ আছে। কিন্তু এই প্রাণ বলতে তো রুহ বুঝাচ্ছে না।

১৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সঠিক বলেছেন। ধর্ম বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম সবসময়ই সঠিক পথ নির্দেশ করে।

তাইতো মানুষ ও প্রাণীর ছবি আর আকিনা। ++++++

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এতগুলি প্লাস দেয়ার জন্য। বিজ্ঞানে ভুল থাকলে থাকতে পারে। কিন্তু কোরান বা সহি হাদিসে কোন ভুল নাই। আমাদের বোঝার ভুল থাকতে পারে।

২০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর পোস্ট।

যাদের হয় না সাতে এদের সত্তরেও বুঝাইয়া পারবেন না। ঘাওড়া লোক আছে এরা ঘাড়ত্যাড়াও।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সহমত পোষণের জন্য অনেক ধন্যবাদ। এই পোস্টটা কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইয়ের অনুরোধে দিয়েছি। ভালো থাকবেন। আপনার কথার সাথেও আমি একমত।

২১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

এভো বলেছেন: ইসলাম প্রাণ বলতে বুঝিয়েছে রুহ বিশিষ্ট প্রাণী/ জীব। বিজ্ঞান বলছে গাছের প্রাণ আছে। কিন্তু এই প্রাণ বলতে তো রুহ বুঝাচ্ছে না

বিজ্ঞান বলছে মানুষের প্রাণ আছে। কিন্তু এই প্রাণ বলতে তো রুহ বুঝাচ্ছে না ।
ইসলাম অনুযায়ি রুহুর সন্চারন করলে প্রাণের সন্চারন ঘটে ।
তাহা হলে গাছের দেহে রুহুর সন্চারনের পরে তার প্রাণের সন্চারন হয়েছে ।

ইসলাম প্রাণ বলতে বুঝিয়েছে রুহ বিশিষ্ট প্রাণী/ জীব

একজাক্টল্লি --- গাছের যেহেতু প্রাণ আছে তাই উহা রুহ বিশিষ্ট প্রাণী/ জীব ।

যেহেতু গাছ রুহ বিশিষ্ঠ প্রাণী তাই ওটার ছবি হারাম ।
ধন্যবাদ

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গাছের রুহ আছে কি না এটা বিজ্ঞান দিয়ে প্রমাণ করা যাবে না। ইসলামে রুহ মানেই প্রাণ। দুইটা আলাদা জিনিস না। ইসলাম গাছের রুহ (প্রাণ) আছে এমন কথা বলে না। তাই রুহ সঞ্চারের পরে প্রানের সঞ্চার হয়েছে এটা বলা যাবে না। কারণ রুহ আর প্রাণ ইসলামের নিয়মে একই জিনিস। ঐ যুগেও গাছ নিজে থেকে বড় হতো ফল দিত। কিন্তু সেই কারণে গাছ রুহ বিশিষ্ট এরকম কোনও কথা ইসলামের কোথাও পাওয়া যায় না।

২২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: ১ নম্বর প্রতিউত্তর দেখতে অনুরোধ করবো। মুসা (আঃ) এর হাতের লাঠি সাপ হয়ে যেত। তাঁর মানে এই না যে লাঠির প্রান আছে। এগুলি মোজেজা।

জ্বি কিন্তু মুসা (আঃ) এর হাতে লাঠি ছিলো কোন জীবন্ত উদ্ভিদ ছিলো না, লাঠি কি করে সাপ হোল এটার কারন আমরা জানি। ঠিক এই সব জায়গায় কোরানের সাথে বিজ্ঞ্যানের দুরত্ব। বিজ্ঞান যাকে প্রানী বলছে কোরান তাকে প্রানী বলেই মানে না। বিজ্ঞ্যানে বলেছে শুধু জ্বীন ও ইনসানের বিচার হবে কিতু জীব বলতেই কি শুধু মাত্র জ্বীন ইনসান এই মহাবিশ্বে অন্য গ্রহে কি প্রানী নেই কোরআন কিন্তু কখনোই অস্বীকার করে নাই অন্য গ্রহে প্রান নাই। ব্যাকটেরিয়ার প্রান আছে ভাইরাসেরও প্রান আছে তাদের রুহু আছে কি নাই এটা নিয়ে ভাবছি না।

ছবি আপা সব একা আপনি বুঝে ফেললে হবে আমাদের ও তো বুঝতে হবে তাই বলে আমাদের ঘাওড়া লোক আছে এরা ঘাড়ত্যাড়াও বললেন, কাল থেকে আপনার কবিতা দুই লাইন করে পড়বো, এর বেশি না।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আমার লেখায় হাদিসে উল্লেখ করেছি যেখানে বলা হয়েছে যে প্রাণীদেরও অন্যায় করার জন্য বদলা দিতে হবে। তাই শুধু জীন আর মানুষের বিচার হবে এমন না। মানুষ ও জীন ছাড়াও আরও অজানা জীব থাকতে পারে। কোরআন এদের ব্যাপারে না বলে নাই।
বিজ্ঞান বলে ভাইরাস হোল জীব আর জড়োর মাঝামাঝি একটি জিনিস। আমি তো মনে করি বিজ্ঞানের আরও বহুদুর যাওয়া বাকি। সামান্য করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করতে বিজ্ঞান হিমশিম খাচ্ছে।

২৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬

এভো বলেছেন: কারণ রুহ আর প্রাণ ইসলামের নিয়মে একই জিনিস

এখন এ কথা কেন বলছেন , এতক্ষণ বললেন এক জিনিস না । কোরানের সুরা আনামের ৯৯ তম আয়াতে গাছের প্রাণের অস্তিত্বের দিক নির্দেশনা আছে ।
বৃষ্ঠির পানি হতে খাদ্য গ্রহন করে গাছ বৃদ্ধি পায় , তাতে পাতা গজায় , ফুল ফল হয় এবং বীজ থেকে বংশ বৃদ্ধি হয় । এটাই প্রাণের অস্তিত্বের দিক নির্দেশনা ।
আপনি বলেছেন জড় বস্তু আল্লাহর তফসি গুনে -- তাই জড় বস্তু কি প্রাণী
---- জড় বস্তু যদি ছোট থেকে বড় হোত , খাদ্য গ্রহন করতো এবং বংশ বিস্তার করতো , তাহোল তাকে প্রাণী বলা যেত কিন্তু গাছ এই সব করে, তাই গাছ একটা প্রাণী ।
ইসলামে কি বলেনি আল্লাহ কোন বস্তুর উপর ফু দিয়ে রুহ আরোপ করেছেন তারপর প্রাণে সন্চারন হয়েছে ।
যেহেতু গাছের প্রাণ আছে , তাই অবশ্যই প্রথমে ফু দিয়ে রুহ আরোপ করা হয়েছিল ।
ধন্যবাদ

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গাছ ঐ যুগেও ছিল। কিন্তু গাছকে কখনও প্রাণ (রুহ) বিশিষ্ট কোনও জীব মনে করা হয় নাই। ইসলামের সংজ্ঞায় গাছ রুহ বিশিষ্ট না। গাছ ঐ সময়ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পেত, ফল দিত। কিন্তু সেই কারণে গাছের রুহ আছে এমন কোন কথা কোরআন হাদিসে পাওয়া যায় না। ইসলামের বিধান মানতে হলে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতেই সব কিছু দেখতে হবে। কোরআনে আছে জীনেরা রসূল সা এর সাথে দেখা করেছেন। কিন্তু বিজ্ঞান তো জীনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। এখন আপনি বিজ্ঞান মানবেন না ইসলাম মানবেন। রসূল সা মেরাজে গিয়েছিলেন। বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এটা অসম্ভব। আপনি এখন কোনটা মানবেন? বিজ্ঞান না কি ইসলাম। বিজ্ঞান আল্লাহ্‌র অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। আপনি কোনটা মানবেন?

২৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাইয়া, আপনি কিছুটা মনে হয় তাড়াহুড়া করেছেন। ফলে পোস্টটা প্রত্যাশামাফিক যৌক্তিক হয় নি। অনেক গ্যাপ রয়ে গেছে।
কারন একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত গাছকে প্রাণহীন মনে করা হত। মাত্র ১০০ বছর হলো গাছের যে প্রাণ আছে তা আবিষ্কার হয়েছে। ফলে এই সংক্রান্ত হাদীসে গাছের ব্যাপারে কোন আপত্তি থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক।

আমি মনে করি, এই পোস্টটি আরো একটু পড়াশোনা করে বা সময় নিয়ে লিখলে আরো বেটার হতো। নইলে অনেক সময় যৌক্তিক প্রশ্নের পাওয়া না গেলে যারা সংশয়বাদী আছেন, তাঁরা আরো বিভ্রান্ত হবেন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি যা বলতে চেয়েছি যে ইসলামে প্রানের সংজ্ঞা আর বিজ্ঞানের প্রানের সংজ্ঞা এক না। যে হাদিসের আলোকে লিখেছি ওখানে রুহের উপর জোর দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞানে গাছের ব্যাপারে নতুন আবিষ্কারের কারণে রুহ নিয়ে ধারণার কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ বিজ্ঞান রুহে বিশ্বাস করে না। আমি আরও পড়াশোনা করছি। তারপর আবার লিখবো ইনশাল্লাহ। আরেকটা সহি হাদিস আছে গাছ নিয়ে।

It was narrated from Abu Hurayrah (may Allaah be pleased with him) that Jibreel (peace be upon him) said to the Prophet (blessings and peace of Allaah be upon him): “Tell someone to cut off the head of the statue so that it will be like a tree.” Narrated by al-Tirmidhi (2806), Abu Dawood (4158); classed as saheeh by Shaykh al-Albaani in Saheeh al-Targheeb (3060).

This indicates that it is permissible to make an image of a tree.

অর্থাৎ যেহেতু মূর্তির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে তাই এটার মাথা কেটে গাছের মতো বানাতে বলেছে এই হাদিসে। অর্থাৎ গাছ নিয়ে সমস্যা নাই। এটা থেকেও বোঝা যায় যে গাছের ছবি সমস্যা না। আরেকটা হাদিস আছে;
Praise be to Allah.

and blessings and peace be upon the Messenger of Allaah.
The majority of scholars say that it is permissible to make pictures of inanimate objects such as trees, buildings, etc, and they quote several texts as evidence for that, including the following:

The report narrated by al-Bukhaari (5963) and Muslim (2110) from Ibn ‘Abbaas (may Allaah be pleased with him), who said: “I heard the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) say, ‘Whoever makes an image in this world will be told to breathe life into it in the Day of Resurrection, and he will not be able to do so.’” The prohibition mentioned in this hadeeth has to do with animate objects. What confirms this interpretation is that Ibn ‘Abbaas (may Allaah be pleased with him), who was the narrator of this hadeeth, issued a fatwa permitting the drawing of trees and inanimate objects, as was narrated in Saheeh al-Bukhaari (2225) and Saheeh Muslim (2110) from Sa’eed ibn Abi’l-Hasan, who said: “I was with Ibn ‘Abbaas (may Allaah be pleased with him) when a man came to him and said, ‘O Ibn ‘Abbaas, I am a man who earns a living by the work of my hands, and I make these pictures (or images).’ Ibn ‘Abbaas said: ‘I will only tell you what I heard the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) say, and I heard him say, “Whoever makes an image in this world will be punished until he breathes life into it, and he will never be able to do so.’’ The man became very upset and his face turned pale. He – meaning Ibn ‘Abbaas – said, ‘Woe to you! If you insist on making them (images), then you can make images of these trees and everything that does not have a soul.’”

২৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

আপনি আমার মন্তব্যের উত্তর দিয়েছেন। রাগ করেন নি। এটা ভালো লেগেছে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যুক্তিযুক্ত ও স্বাধীন মতামতের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল।

২৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৭

এভো বলেছেন: গাছ ঐ যুগেও ছিল। কিন্তু গাছকে কখনও প্রাণ (রুহ) বিশিষ্ট কোনও জীব মনে করা হয় নাই।

জী গত ১০০ বৎসর আগে ও মনে করা হয়নি কারন সেটা আবিস্কৃত হয় নি ।

কিন্তু সেই কারণে গাছের রুহ আছে এমন কোন কথা কোরআন হাদিসে পাওয়া যায় না।

কোরানে শুধু মদ হারামের কথা বলা হয়েছে , গাজা -হেরইন-আফিম-চরস এর কথা বলা হয় নি তাহোলে কি গাজা -হেরইন -আফিম হালাল ?
কোরানে কি ডায়নোসারের রুহুর কথা বলা আছে ? তাহোলে কি ডায়নোসার প্রাণী নহে ?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মায়ের পেটে যে বাচ্চা বড় হয় সেটাও খাদ্য গ্রহণ করে, আকারে বৃদ্ধি পেয়ে দেহের আকৃতি নিতে থাকে। কিন্তু হাদিস অনুযায়ী ১২০ দিন না হওয়া পর্যন্ত রুহ বাচ্চার দেহে প্রবেশ করে না। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও ১২০ দিনের বা তার চেয়ে ছোট বাচ্চাকে জীবিত ধরা হয় না। বিজ্ঞানে কখন থেকে একে জীবিত ধরা হবে এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। আমার বলার উদ্দেশ্য হোল খাদ্য গ্রহণ করলে আর কোষ বিভাজন হলেই একে জীব বলছে না বিজ্ঞান বা ইসলাম। একইভাবে গাছের কোষ বিভাজন আর বৃদ্ধি হলেও ইসলাম একে জীব বলছে না। যেমন বলছে না ১০০ দিনের বাচ্চাকে। ফলে ১২০ দিনের আগে গর্ভপাত করা যায় বিশেষ ক্ষেত্রে। দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞানের সংজ্ঞা আর ইসলামের সংজ্ঞা সব ক্ষেত্রে একই রকম হয় না।

হাদিসে মাদক গ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। এই হাদিসটা দেখেন

Praise be to Allah.

There is no doubt that taking drugs is haraam, including hashish, opium, cocaine, morphine, and so on. That is for many reasons, including the following:

1 – It dulls the senses and befogs the mind, and whatever does that is haraam, because the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “Every intoxicant is khamr, and every intoxicant is haraam. Whoever drinks khamr in this world and dies persisting in that and without having repented, will not drink it in the Hereafter.” Narrated by Muslim, 2003.

চলমান প্রানিদের যে আত্মা আছে এটা ইসলামের বিভিন্ন নির্দেশনায় এসেছে। দাইনাসর এর বাইরে নয়।

২৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৪

এভো বলেছেন: মায়ের পেটের ভিতর বাচ্চা খাদ্য গ্রহন করতে পারে এবং বৃদ্ধি পেতে পারে কিন্তু বংশ বিস্তার করতে পারে না, এটাকে বলা হয় ইমমেচিউর লাইফ, গাছের বীজ ও খাদ্য গ্রহন করে এবং অংকুরোধগম হয়, এটাও ইমমেচিউর পিরিয়ড অব লাইফ।

কোরানে সরাসরি বলেনি গাছের জীবন আছে কিন্তু ঈংগিত আছে, গাছের জীবন আছে সুরা আনাম আয়াত ৯৯।
যেহেতু আজকে প্রমাণিত যে গাছের জীবন আছে, তাই গাছের ছবি হারাম।
ধন্যবাদ

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

এভো বলেছেন: গাছের প্রাণ নাই এই দাবি করে নাস্তিকদের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছেন ভাই, তারা সব সময়ে বলে তোমাদের নবিত যত টুকু জ্ঞান, তোমাদের আল্লাহর ও ততটুকু জ্ঞান, নবি যেহেতু জানেনা গাছের প্রাণ আছে তাই তোমাদের আল্লাহ জানে না যে গাছের প্রাণ আছ৷ ( NB)
তখন কিন্তু আপনারাই সুরা আনামের ৯৯ তম আয়াত এনে দেখাবেন যে, এই আয়াতে গাছের প্রাণের ঈংগিত আছে।
ধন্যবাদ

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নাস্তিকরা ইসলামের বিরোধিতা করেই যাবে। আল্লাহ্‌ কি জানে বা না জানে সেটা নাস্তিকদের কাছ থেকে জানার কোন ইচ্ছা আমার নাই। সুরা আনামের ৯৯ তম আয়াতের অনেক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। দেখে নেবেন।

২৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

এভো বলেছেন: আগের আমলের আলেম তফসিরকারিরা জানতেন না যে গাছের প্রাণ আছে, তাই তারা এই সুরা আনামের ৯৯ তম আয়াতে যে গাছের প্রাণের ঈংগিত আছে সেটা বুঝেন নি কিন্তু আবিষ্কার হওয়ার পর এই আমলের আলেমরা গাছের প্রাণের ঈংগিত খুজে পেয়েছেন। এটা ঠিক আবিষ্কার হওয়ার আগে কোন আলেম কিছু খুজে পায় না কোরানে কিন্তু আবিষ্কার হওয়ার পর খুজে পায়।
ধন্যবাদ

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কা ভা ভাইয়ের মন্তব্যের উত্তরে আমি দুইটা হাদিস উল্লেখ করেছি। ঐগুলিও দেখেন।

৩০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যুক্তিযুক্ত ও স্বাধীন মতামতের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল।

সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ভালো থাকুন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ। আবার আসার জন্য।

৩১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫০

নতুন বলেছেন: ভাই মানুষকে সৃস্টি করা হয়েছে সৃস্টিকতার এবাদতের জন্য। তাই মানুষ বেচে থাকার জন্য যতটুকু কাজ করা দরকার ততটুকু করবে এবং সৃস্টকতার এবাদত করবে। এটাই ইসলামের মুল উদ্দেশ্য।

তাই বিনেদনমুলক কাজ অবশ্যই ইসলাম বিরোধিতা করবে এটাই সাভাবিক।

সময় পাল্টাচ্ছে। সময়ের সাথে এই প্রশ্ন মানুষ করবে কেন বিনেদন মুলক কাজ ইসলামে এতো বাধা।

আর এখন মানুষ ১৪০০ বছর আগের মানুষের থেকে অনেক বেশি জানে তাই শুধুই হাদিসে আছে বলে সবাইকে বিশ্বাস করানো যাবেনা।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৪০০ বছর আগে আমাদের রসুল সা ছিলেন। যাকে আল্লাহ বিভিন্ন জ্ঞান দিয়েছিলেন ফেরেশতার মাধ্যমে, যদিও তিনি নিরক্ষর ছিলেন। উনি ইসলাম সম্পর্কে যা বলতেন তা আল্লাহর তরফ থেকে বলতেন। সহি হাদিসগুলির ব্যাপারে কারও দ্বিমত নাই। বর্তমান জমানার লোক ওনার চেয়ে বেশী জানে এই ধরণের কথা বলা ঠিক না। কারণ ওনার জ্ঞানের উৎস ছিলেন স্বয়ং আল্লাহ। অকাট্য ভাবে প্রমাণিত হাদিস অবিশ্বাস করা কুফরি। ইসলামের বিধান সব যুগের জন্য প্রযোজ্য। নতুন কোন বিষয় আসলে সেটাকেও কোরআন, হাদিসের সাহায্যে ইসলামী মনিষীদের দ্বারা সমাধান করে নিতে হবে। ইসলামে বিনোদন বা যে কোন কাজেরই একটা সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এই সীমার মধ্যে থেকে সব কিছুই করা যাবে।

৩২| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৫

সোহানাজোহা বলেছেন: আপনার পোস্ট খুব ভালো হয়েছে। যথার্থ বর্ণনা দিয়েছেন। এর চেয়ে বেশী আলোচনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় ভাইয়া। এমনিতে আমি ব্যক্তি আক্রমণে বিরক্ত। আপনাকে ধন্যবাদ।।

২৪ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ইতিবাচক মন্তব্যের জন্য। ব্যক্তি আক্রমনের ব্যাপারে সহজ রাস্তা হোল যারা মাত্রা ছাড়া ব্যক্তি আক্রমন করে তাদেরকে ব্লক করা। সমাজে আপনি চাইলেও সবার সাথে মিশতে পারবেন না। ব্লগ সমাজেরই ক্ষুদ্র সংস্করণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.