নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাত্মা গান্ধীর যৌন জীবন অস্বাভাবিক ধরণের ছিল। যৌনতা সম্পর্কে উনি অনেক অস্বাভাবিক পরামর্শ তার অনুসারীদের দিতেন। ভারতের প্রথম প্রধান মন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, গান্ধী সম্পর্কে বলেন যে, গান্ধীজি নতুন বিবাহিত দম্পতিদেরকে যৌনতা থেকে দূরে থাকতে বলতেন তাদের আত্মার পবিত্রতা রক্ষার জন্য। এই ধরণের উপদেশকে নেহেরুজি অস্বাভাবিক এবং প্রকৃতি বিরুদ্ধ বলেছেন। তার আরও কিছু অস্বাভাবিক আচরণ ছিল। যেমন সোমত্ত নগ্ন মেয়ের পাশে নগ্ন হয়ে ঘুমানো। যার উদ্দেশ্য ছিল ওনার যৌন সংযম শক্তির পরীক্ষা করা।
ওনার এই ধরণের অস্বাভাবিক আচরণের কথা ওনার জীবদ্দশাতেই মানুষ জানত। কিন্তু যখন ১৯৪৭ সালের পরে ওনাকে জাতির পিতা ঘোষণা করা হয় তখন থেকে এই ব্যাপারগুলিকে লুকানোর চেষ্টা শুরু হয়। ১৮৮৩ সালে গান্ধীর যখন বিয়ে করেন তখন তার বয়স ছিল ১৩ বছর। তার স্ত্রী কস্তুরবার বয়স ছিল ১৪ বছর। বিবাহের দুই বছর পরে যখন গান্ধীর পিতা মৃত্যু সজ্জায় শায়িত, তখন গান্ধী তার পিতার সজ্জার পাশ থেকে উঠে চলে যান স্ত্রীর সাথে মিলনের জন্য। এই সময় তার বাবা মারা যান। গান্ধী তার এই কাজের জন্য পরে অনুশোচনা করেন এবং ধারণা করেন যে এই ঘটনার সাথে তার পিতার মৃত্যুর সম্পর্ক আছে।
৩৮ বছর বয়সে তিনি ব্রহ্মচারী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হিন্দু ধর্ম অনুসারে ব্রহ্মচারীরা যৌনতাকে পরিহার করে। তিনি আত্মার পবিত্রতার জন্য দরিদ্রতা বরণ করেন এবং যৌনতাকে পরিহার করেন। তিনি শারিরিকভাবে যৌনতাকে পরিহার করলেও যৌনতা সংক্রান্ত আচরণ, কথা, চিঠি তিনি অব্যাহত রাখেন। কারণ তার মতে এগুলি আত্মার পবিত্রতাকে নষ্ট করে না এবং ব্রহ্মচারী জীবনে কোন বাঁধার সৃষ্টি করে না। তিনি তার পত্রিকা ‘ইন্ডিয়ান অপিনিওন’ এর পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলেন যে “ প্রত্যেক চিন্তাশীল ভারতীয়ের কর্তব্য হোল বিবাহ পরিহার করা। যদি একান্ত সে বিয়ে করতে বাধ্য হয় সেই ক্ষেত্রে তার উচিত স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন পরিহার করা।“ গান্ধী নিজেও কিছু অদ্ভত পদ্ধতিতে নিজেকে যৌন মিলন থেকে দূরে রাখতেন। তিনি নিজের আশ্রম খোলেন। এই আশ্রমে ছেলে ও মেয়েরা একত্রে গোসল করত এবং ঘুমাত। কিন্তু শর্ত হোল তারা যৌন মিলন বা যৌনতা সংক্রান্ত কোন আলাপ করতে পারবে না। কেউ নিয়ম ভাংলে তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা ছিল। পুরুষদের প্রতি গান্ধীর পরামর্শ ছিল যে তারা যেন স্ত্রীদের সাথে একা না থাকে। কারো যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে তার উচিত ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করা।
তবে গান্ধীর নিজের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য ছিল না। গান্ধীর সেক্রেটারির সুন্দরি বোন সুশীলা নায়ার কিশোরকাল থেকে গান্ধীর সংস্পর্শে ছিলেন। সুশীলা গান্ধীর সাথে একসাথে ঘুমাতো এবং গোসল করত। কেউ এই ব্যাপারে গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি বলতেন যে আমি শ্লীলতা ভঙ্গ হওয়া থেকে দূরে থাকি। তিনি বলেন যে সুশীলা যখন গোসল করে তখন আমি আমার চোখ বন্ধ করে রাখি। সুশীলা নগ্ন হয়ে গোসল করে নাকি প্যানটি পড়ে গোসল করে এটা আমি জানি না। আমি শুধু আওয়াজ শুনে বুঝতে পারি যে সে গায়ে সাবান দিচ্ছে। আশ্রমের মেয়েরা গান্ধীকে এই ধরণের সেবা দেয়ার জন্য উদগ্রীব থাকতো। তাদের মধ্যে এটা নিয়ে ঈর্ষা ও প্রতিযোগিতা কাজ করতো।
গান্ধী যখন বৃদ্ধ হলেন এবং যখন তার স্ত্রীর মৃত্যু হোল তখন তার চারপাশে মেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল। তারা গান্ধীর সাথে ঘুমাত। এই মেয়েগুলির জন্য তাদের স্বামীর কাছে যাওয়া নিষেধ ছিল। গান্ধী নগ্ন মেয়েদের সাথে মিলন করতেন না, শুধু এর মাধ্যমে নিজের সংযম পরীক্ষা করতেন। প্রায়ই গান্ধীর বীর্য স্খলন হয়ে যেত নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। এটা উনি পছন্দ করতেন না। কারণ তার বিশ্বাস ছিল যে বীর্য ধরে রাখতে পারলে আত্মা প্রচণ্ড শক্তি অর্জন করে।
১৯৪৭ সালে গান্ধী আরও সুন্দরী মেয়ের দ্বারা তার সংযম পরীক্ষা করতে চাইলেন। তখন সুশিলার বয়স ৩৩ বছর হয়ে গেছে। সুশীলার বদলে তখন ১৮ বছর বয়সের মানুকে গান্ধীর সাথে ঘুমানোর জন্য বরাদ্দ করা হোল। মানু ছিল গান্ধীর ভাগ্নি/ভাতিজির দিক থেকে নাত্নি। তখন বেঙ্গল প্রদেশে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা চলছে। গান্ধী মানুকে বলেন যে মুসলমানরা আমাদের হত্যা করতে পারে। তারপরও আমরা এখন থেকে নগ্ন হয়ে ঘুমাবো এবং আমাদের সংযমের পরীক্ষা দেব।
এই ধরণের আচরণ ব্রহ্মচারী চর্চার পরিপন্থি ছিল। গান্ধী ব্রহ্মচারীতার নতুন ধারণার জন্ম দেয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, যে পুরুষ লালসার মানসিকতা ত্যাগ করবে সে ভগবানের ইচ্ছায় এমন শক্তি অর্জন করবে যে একজন নগ্ন মেয়ের পাশে নগ্ন হয়ে শুয়ে থাকলেও কোন যৌন উত্তেজনা বোধ করবে না। মেয়েটি যত সুন্দরই হোক না কেন। এটা সম্ভব হবে যদি সে ভগবানের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে থাকে এবং যদি তার সকল কাজ ভগবানের নামে হয়ে থাকে।
গান্ধীর বক্তব্য হোল এই ধরণের সব কিছুই করা যাবে যদি তাতে লালসা না থাকে। তিনি এইভাবে পবিত্রতার সংজ্ঞাকে নিজের মত করে পরিবর্তন করে নিয়েছিলেন। তিনি মনে করতেন দেশের সেবার জন্য তার এই আচরণের প্রয়োজন আছে। তিনি বলেছেন “I hold that true service of the country demands this observance”। তার এই উদ্ভট ও বিকৃত কাজগুলিকে তিনি দেশের সেবার সাথে এক করে দেখতেন।
গান্ধী যখন তার এই সব বিকৃতির ব্যাপারে বেপরোয়া ও আরও আত্মবিশ্বাসী হন তখন তার পরিবারের সদস্যরা এবং দেশের নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা তার এই বিকৃতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ করতেন। তার অধিনস্ত কয়েকজন চাকরি ছেড়ে দেয়। তার নিয়ন্ত্রণাধীন দুটি পত্রিকার সম্পাদক চাকরি ছেড়ে দেন। কারণ তারা গান্ধীর এই সব বিকৃতি পত্রিকায় ছাপাতে রাজি ছিলেন না।
এই সব সমালোচনা শুনে গান্ধী দমে না গিয়ে বরং উনি একই ধারায় চালিয়ে যেতে থাকেন। তিনি বলেন যে আমি যদি মানুকে আমার সাথে শুতে না নেই সেটা কি আমার দুর্বলতা হিসাবে গণ্য হবে না? যদিও আমি মনে করি মানুর আমার সাথে শোয়া উচিত। গান্ধীর ভাইয়ের/ বোনের ছেলের দিকের নাতি কানু গান্ধীর স্ত্রী আভাও গান্ধীর ঘুমানোর সাথী হয় যখন সে গান্ধীর সাথে দেশ স্বাধীনের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করতো। ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাস নাগাদ মানু এবং আভা উভয়েই গান্ধীর সাথে শোয়া শুরু করে।
১৯৪৮ সালে যখন তাকে হত্যা করা হয় তখন তার পাশে ছিল এই মানু আর আভা। গান্ধীর জীবনের শেষের কয়েকটি বছরে তার পরিবার মানুকে চাপে রাখত যেন সে এই বিষয়গুলি কোথাও প্রকাশ না করে। যদিও সেই বছরগুলিতে মানু ছিল তার সব সময়ের সঙ্গী। গান্ধী তার ছেলে দেভদাসকে লেখেন যে আমি মানুকে বলেছি সে যেন আমার সাথে ঘুমানোর কথা নিয়ে লেখালেখি করে। গান্ধী নিজে এই সব বিষয় গোপন করতে চাইতেন না। তিনি এই কাজগুলিকে তার জন্য একটা সংযমের পরীক্ষা মনে করতেন। তাই কোন রাখঢাক তিনি করতে চাইতেন না। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা ওনার সম্মানের কথা চিন্তা করে এই ব্যাপারগুলিকে লুকানোর চেষ্টা করতো। গান্ধীর ছেলে মানুকে এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা না বলতে নির্দেশনা দেয়।
১৯৭০ সালে সুশীলাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হোলে সে বলে যে মানুষ যখন এই বিকৃতি নিয়ে কানাঘুষা শুরু করে তখন সমালোচনা এড়ানোর জন্য এই কর্মকাণ্ডকে ব্রহ্মচারী চর্চার অংশ হিসাবে দেখানো হতে থাকে। সুশীলা বলে যে “পরবর্তীতে যখন গান্ধী কর্তৃক মানু, আভা এবং আমার শরীর স্পর্শের ব্যাপারে মানুষ প্রশ্ন করতে শুরু করে তখনই এই ব্রহ্মচারী চর্চার গল্প শুরু হয়। আগে এগুলিকে ব্রহ্মচারী চর্চা বলার প্রয়োজন হতো না।“ এই সব কাহিনী থেকে বোঝা যায় যে গান্ধী তার খুশি মত চলতেন। যখন প্রশ্নের সম্মুখীন হতেন তখন এই সব আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করতেন।
গান্ধীর জীবিত কালে মানুষ মনে করতো যে এই অস্বাভাবিক কাজের কারণে তার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু তার মৃত্যুর পর বহুদিন পর্যন্ত এই আচরণগুলিকে অগ্রাহ্য করা হতো। তার সম্পর্কে আলোচনার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলিকে এড়িয়ে চলা হতো। এই যুগে বিভিন্ন সুত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এখন জানা যাচ্ছে যে গান্ধী তার নিজের যৌন ক্ষমতা সম্পর্কে অনেক উঁচু ধারণা করতেন। যৌন আকাঙ্খাকে দমন করে রাখাকে উনি খুব দরকারি একটা পরীক্ষা হিসাবে গণ্য করতেন।
তরুণ বয়সে গান্ধী অনেক বছর দক্ষিন আফ্রিকাতে কাটিয়েছেন। এই সময়ে একজন পুরুষের সাথে তার অস্বাভাবিক একধরণের সম্পর্ক ছিল বলে অনেকে সন্দেহ করেন। যদিও ব্যাপারটা অপ্রমানিত। গান্ধীর এই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি ছিলেন একজন ইহুদি এবং তারা এক বাসায় থাকতেন। তার নাম ছিল হারমান কালেনবাচ, যিনি একজন বডি বিলডার ছিলেন। অবশ্য এই সম্পর্কের ব্যাপারে কোন জোরাল প্রমাণ পাওয়া যায় না। পরবর্তীতে ঐ সঙ্গির সাথে তার কিছু চিঠি পাওয়া যায়। যেখানে কিছু কথা/ শব্দ আছে যেগুলি সন্দেহের উদ্রেক করে। ভারত সরকার এই চিঠিগুলি ৭ লক্ষ পাউনডের বিনিময়ে কিনে ফেলে। পুলিতজার পুরস্কার পাওয়া লেখক জোসেফ লেলিভেলড গান্ধীর আফ্রিকার জীবন নিয়ে ২০১১ সালে একটি বই লিখেছেন, যার নাম "Great Soul: Mahatma Gandhi and his Struggle With India,"। এই বইয়ে লেখক গান্ধী ও তার ঐ বন্ধুর মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপারে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর কথা বলেছেন। যার কারণে বইটা ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
সুত্র -
www.independent.co.uk
Gandhi: Naked Ambition, by Jad Adam
www.abcnews.go.com
ছবি - bbc.com
২৬ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার এই ব্যাপারগুলি তখন ওপেন সিক্রেট ছিল। ওনার মৃত্যুর পর এগুলিকে ইচ্ছা করে এড়িয়ে যাওয়া হয়। তবে ঘটনা সত্যি এবং কোনভাবেই স্বাভাবিক হিসাবে মনে করার সুযোগ নাই।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৩
কামাল১৮ বলেছেন: তার হাজারটা ভালো কাজ আছে সেগুলো নিয়ে কয়দিন লিখেছেন।৫২বছর বয়সে ছয় বছরের বালিকাকে বিয়ে করাও আপনাদের কাছে ভালো কাজ,তাদের মুখে এসব মানায় না।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এইগুলি এখন ঐতিহাসিক তথ্য। তাই সবাই জানে। ওনার জীবনাচরণ আপনার খুব ভালো লেগেছে মনে হচ্ছে। ওনাকে অনুসরণ করতে পারেন অথবা করেন কি না জানি না। ওনার সম্পর্কে আপনি অনেক কিছু জানেন যখন তখন লেখেন না কেন। আপনি তো মন্তব্য করা ছাড়া আর কোন কাজ করতে পারেন না। দুই একটা পোস্ট দেন তারপর সমালোচনা করতে আসেন।
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৮
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ওনার এই ব্যাপারগুলি তখন ওপেন সিক্রেট ছিল। ওনার মৃত্যুর পর এগুলিকে ইচ্ছা করে এড়িয়ে যাওয়া হয়। তবে ঘটনা সত্যি এবং কোনভাবেই স্বাভাবিক হিসাবে মনে করার সুযোগ নাই।
১০০% সহী মানুষ কোথাও পাবেন না। তাই তার ত্রুটির পাশা পাশি তার অবদানের পাল্লাই ভারী।
বৃটিশ বিরোধী আন্দলনে তার ভুমিকার কারনেই তিনি স্বরনীয় থাকবেন।
আর তিনি অবশ্যই এই জিনিস নিয়ে সারাক্ষন পড়ে থাকতেন না। হয়তো করেছেন কিছু দিন তার মতন করে একটা এক্সপেরিমেন্ট।
আরেকটা কৌতুক বলি।
এক সাধুর কাছে এক কাপল গেছে কিছু জিঙ্গাসা করতে।
ছেলে:- বাবা একটা ছেলে আর মেয়ে কি একা রাতে বিছানায় ঘুমাতে পারে?
বাবা:- অবশ্যই পারে।
ছেলে:- তার বালিকা বন্ধুকে << দেখ বাবা বলেছেন আমরা একত্রে ঘুমাতে পারি।
বাবা:- কিন্তু তোরা তো বিছানিয় ঘুমাস না।
এখন যদি গান্ধী সত্যি ঘুমিয়ে থাকে তবে তো তেমন সমস্যার কারন নাই ।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা একটা তথ্যমূলক পোস্ট। সে ভালো না খারাপ এটা আমি বিচার করতে বসি নাই। এই পোস্টে আমার কোন মতামতও নাই। যে সূত্র দিয়েছি সেখানে যা বলা আছে সেটাই আমি নিজের মত করে লিখেছি। আপনার যদি ওনার এই সব কাজ ভালো লাগে তাতে আমার কোন সমস্যা নাই।
উনি কিছু দিনের জন্য এই এক্সপেরিমেন্ট করেন নাই। অনেক বছর তিনি এই কাজ করেছেন।
আমি কোথাও তো বলি নাই যে কারো সমস্যা হচ্ছে। আপনি সমস্যা কোথায় পেলেন। আমি একটা তথ্য শেয়ার করলাম এই পর্যন্তই। আপনার ভালো লাগলে আপনিও করতে পারেন। কেউ বাঁধা দিতে পারবে না। কারণ আপনার ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে।
৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে কবে আইনস্টাইনরে কাইত করবেন, সেই অপেক্ষায় আছি। আপেক্ষায় অপেক্ষায় তো টায়ার্ড হয়ে গেলাম। এর মধ্যে আপনে একবার ভুপেন-লতা আনলেন, এখন আবার গান্ধীভাইরে আনলেন.......আপনের আসলে মতলবটা কি?
বিজ্ঞান চর্চা স্থগিত কি কারনে?
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কয় দিন আগে আইনস্টাইন আঙ্কেল স্বপ্নে দেখা দিল। কইল ভাতিজা তুমি আমার প্রেস্টিজ পাংচার কইর না প্লিজ। তোমারে তার বদলে আমি ভায়োলিন বাজানো শিখামু। ভায়োলিন শেখার অনেক দিনের শখ। এখন কি করমু চিন্তা করতাসি। হে হে হে
এই ধরণের পোস্ট দেয়ার আরেকটা কারণ আছে। আমি টাইপড হইয়া গেসি। আমি ধর্ম নিয়া লিখলে পাবলিকে কয় আপনি একটা কাঠমোল্লা, মৌলবাদী। আবার বিজ্ঞান নিয়া লিখলে কয় আপনি বেশী বুঝেন আপনি বিজ্ঞানরে ছোট করতেসেন। কবিতা নিয়া লিখলে কয় কবিদের উচিত এই সব নিয়া লেখা, আপনি কেন লেখেন। আমি তো মাইনকা চিপায় পইরা গেসি মনে হয়। তাই কিছু ব্ল্যাংক ফাইয়ার করতাসি। যেটা লাগে লাগুক। না লাগলেও সমস্যা নাই। হে হে হে
৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪৭
শাহ আজিজ বলেছেন: গান্ধীর এইসব আচরন আমরা ৮০র দশকেই জানি তবে আপনি বিস্তারিত বয়ান করেছেন । এই যে মোদীজি তাকে নিয়েও কাহিনী কম নেই । গুজরাটের সেলিব্রিটিরা কোন না কোন ভাবে বিচিত্র অভ্যাসে আসক্ত । সোজা বললে হয় খাড়া হয়না তাই তোমরাও মাতিও না , তবে জল খসে যাবার ব্যাপারটা বেশ মজার ।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিবিসি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট নিউজ, এবিসি নিউজ পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে লিখছে এখন। অনেকে বই লেখে বেস্ট সেলার লিস্টে নাম তুলছেন। গান্ধীজি এই সব উদ্ভট কাজ-কাম না করে ডাক্তার দেখালে দেশ ও দশের উপকার হতো। মোদির সমস্যা সম্পর্কে অবশ্য জানি না। শুধু জানি তার বউ থাইকাও নাই। উনিও মনে হয় বউ ছাইরা দিয়া ব্রহ্মচারী হইতে গেসিলেন। সব সমস্যা গুজরাটে দেখা যাচ্ছে।
৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গান্ধীজির যৌনতা বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া গেল। যৌনতা প্রতিটি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। তবে বিকৃৃতি বিষয়টি সমর্থন যোগ্য নয় সে যেই করুক। বিকৃুতি আপেক্ষিক বিষয়। এই বিকৃতিই মহাত্মা গান্ধীর কাছে স্বাভাবিক্ । মানুষের মনের বৈচিত্রতাও কত বিশাল অবাক হতে হয়। সুন্দর শেয়ার ।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার এই সব কাজের কারণে সেই মেয়েগুলি পরবর্তী জীবনে সমাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। দুই জন ওনার ভাই বা বোনের দিকের নাতনী ছিলেন। ওনার পরিবার বিব্রতকর অবস্থায় ছিল। কিন্তু ওনার কোন ভ্রুক্ষেপ ছিল না। উনি এটাকে স্বাভাবিক মনে করতেন।
৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০১
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: +
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পড়ার জন্য এবং প্লাস দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি টাইপড হইয়া গেসি। ইন দ্যাট কেইস......আপনেরে একটা টিপস দেই। আমার এই লেখাটা দেখেন view this link, এইখানে আমার প্রথম ১০০টা পোষ্ট ক্যাটাগরীক্যালি (১২টা ক্যাটাগরী) দেওয়া আছে। আপনে আপনের সুবিধামতো এর সাথে আরো ক্যাটাগরী যোগ করতে পারেন চাইলে। এক রকমের লেখা লিখলে পরের লেখা কখনওই সেই রকমের লিখবেন না। এই যে আপনে পর পর দুইটা সেলেব্রেটিদের বিতর্ক নিয়া পোষ্ট দিলেন, এইটাও টাইপড হওনের একটা কারন। বিষয় বস্তুতে বৈচিত্র আনলে আপনের যেমন ভালো লাগবো, পাঠকেরও তেমন ভালো লাগবো।
বাই দ্য ওয়ে, আপনে লেখেন চমৎকার। হুদাই টাইপড হওনের দরকার কি?
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ার জন্য ট্যাকা পয়সা দিতে হইবো নি আবার। এইটা তো আমার কাছে এক ধরণের কনসালটেন্সি মনে হইতাসে। হে হে হে
আমি কোন সিরিয়াস ব্লগার না। ব্লগে কেন আছি তাও জানি না। যে কোন সময় উধাও হইয়া যাইবারও পারি। পরিকল্পনা কইরা কিছু তেমন লিখি না। ব্লগ কর্তৃপক্ষ ট্যাকা পয়সা দিলে ভালো কইরা লিখতাম। এইখানে লেখার চেয়ে আল্লাহর জিকির করলেও অনেক লাভ।
তারপরও অভিজ্ঞ ব্লগার হিসাবে আপনার পোস্টটা আমি মনোযোগ দিয়ে পড়বো এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করবো। ইনশাল্লাহ। ভালো থাইকেন কিন্তু। হে হে হে
৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইটা ফ্রী সাজেশান; আমি কি কোন ট্যাকার কথা কইছি? তয় ট্যাকা দিতে চাইলে না করমু না। ট্যাকা কার না দরকার? আপনে বেশী ইনসিস্ট করলে দেশের কারো বিকাশ নাম্বার দিতে পারি, দিমু নি? জানায়েন!!!
এইখানে লেখার চেয়ে আল্লাহর জিকির করলেও অনেক লাভ। অবশ্যই লাভ, তাইলে সময় নষ্ট করেন ক্যান? ব্লগে কেন আছি তাও জানি না। ডেল কার্নেগী নিজেরে জানতে কইছে, আমাগো ধর্মেও এইরকমের কথা বলা আছে। সিরিয়াস ব্লগার তো আমিও না, তয় আমি জানি, আমি এইখানে কেন আছি!! ইন ফ্যাক্ট, সেইরকমের সিরিয়াস বলগার এই বলগে হাতে গোনা দুই চাইরজনই আছে। তাদের সাথে আম ব্লগারদের এক কইরা দেখা ফৌজদারী অপরাধ।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আমার কাঁচা বাজারও ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়া করি। আর আপনি কন বিকাশের কথা। অসুবিধা নাই আগে পইরা দেখি আপনার উপদেশ গুলা। তারপর একটা ব্যবস্থা করা জাইবই। হে হে হে
আপনার বড় ভাইয়ের ( মানে চাঁদগাজী ভাই) একটা কথার সাথে আমি একমত। উনি মানুষ দেখার জন্য, চেনার জন্য, বোঝার জন্য ব্লগে আসেন ( উনি অবশ্য ক্যাচাল লাগাইতেও আসেন)। আমিও মানুষের মনস্তত্ত্ব বোঝার জন্য ব্লগ ছাড়ি ছাড়ি কইরাও ছাড়তে পারতাসি না। বড়ই সুন্দর সার্কাস এই ব্লগে থাকলে দেখা যায়। ভালো থাইকেন কিন্তু। হে হে হে
১০| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩৯
আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: মোহনদাশ করমচাদ গান্ধী একজন পোজার এবং কিছুটা হিপোক্রেট ছিলেন।
সবাই মনে করে গান্ধীর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কারনে ব্রিটিশরা ভারত ছেড়েছে এবং স্বাধীনতা দিয়েছে। এইটা পুরোপুরি ভুল। ভারত ছাড়ো আন্দোলন মাত্র ১ মাস ১২ দিন স্থায়ী ছিলো, আর কয়েকমাস পরেই সব ঠান্ডা হয়ে যায়। ব্রিটিশদের ভারত ছাড়ার পেছনে তার অসহযোগ আন্দোলন কিছুটা ই্ম্প্যাক্ট রাখলেও, নেতাজি সুভাস চন্দ্র বোসের আইএনএ ছিলো প্রধান কারন।
ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা দেয়ার সময়কার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এ্যাটলি ১৯৫৬ সালে যখন ভারত সফরে যান, তখন পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর প্যালেসে দুদিন ছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন গভর্নর জাস্টিস পিবি চক্রবর্তী ক্লিমেন্ট এ্যাটলীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "ভারত থেকে ব্রিটিশদের বিদায় নেয়ার পেছনে কোন কোন কারন ছিলো?" জবাবে ক্লিমেন্ট এ্যাটলী বলেছিলো, "তারা নেতাজির আইএনএ-র এক্টিভিটি দেখেই বুঝতে পেরেছিলো, ভারতীয় উপমহাদেশে (ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান) তারা আর সৈন্যদের আনুগত্য ধরে রাখতে পারবে না। এবং ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের চেয়েও বড় কিছুর আশংকা ছিলো।" যখন জাস্টিস পিবি চক্রবর্তী জিজ্ঞেস করেন, "ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্তে মহাত্মা গান্ধীর কতটা ভূমিকা ছিলো?" এই প্রশ্ন শুনে ক্লিমেন্ট এ্যাটলী ঠোট বাকিয়ে হেসে দিয়ে বলেছিলো, "মিনিমাল"
গান্ধী বর্ণবাদী ছিলেন। সাউথ আফ্রিকায় কালোদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা নিয়ে তার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম আপনার মন্তব্য থেকে। গান্ধী কমিউনাল ছিলেন এটা অনেকেই বলে। সাউথ আফ্রিকাতে কালোদের ব্যাপারে তার বর্ণবাদী আচরণ সম্পর্কে কিছু জেনেছি। আপনার মন্তব্য ওনার সম্পর্কে জানতে সাহায্য করলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: গান্ধী বীর্য ধরে রেখে ব্রিটিশ খেদালো, কিন্তু মানুষ বীর্য ধরা রাখাটাই হাইলাইট করলো।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বীর্য ঠিক মত ধরেও রাখতে পারতেন না। অজান্তে বের হয়ে যেত, যার জন্য উনি আবার আফসোস করতেন। ওনার কাছে বীর্য অনেক মূল্যবান ছিল।
ব্রিটিশরা জানলে ওনাকে বীর্য ধরে রাখতে দিত না। দেশও স্বাধীন হতো না।
ওনার এই সব অদ্ভুদ ও অস্বাভাবিক কাজের কারণে ওনার পরিবার হেয় হয়েছে। যে নাতনী দুটির সাথে এই কাজ করতেন তারা পরবর্তীতে অনেক মানসিক কষ্টে ছিলেন।
১২| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১৮
কামাল১৮ বলেছেন: আমি ঘোষণা দিয়েই আসছি কখনো পোষ্ট দিব না,আমার কমেন্ট আমার পোষ্ট।আপনার সাথে আলোচনা করবো আপনার পোষ্টে।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার ধর্ম সংক্রান্ত কমেন্ট ডাস্টবিনের ময়লা। যদিও আপনি তা বোঝেন না।
১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এর কিছু কিছু আগে পড়েছি।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আরও জানার জন্য কিছু বই আছে সেগুলি পড়তে পারেন। পুলিতজার পুরস্কার পাওয়া লেখক জোসেফ লেলিভেলড গান্ধীর আফ্রিকার জীবন নিয়ে ২০১১ সালে একটি বই লিখেছেন, যার নাম "Great Soul: Mahatma Gandhi and his Struggle With India,"। এই বইয়ে লেখক গান্ধী ও তার ঐ বন্ধুর মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপারে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর কথা বলেছেন। যার কারণে বইটা ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া আরও একটা বই আছে যেটার নাম Gandhi: Naked Ambition, by Jad Adam। ভালো থাকবেন।
১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: জিনিয়াস মানুষদের কিছু পাগলামি থাকে- যেটা আমাদের সাধারনের বোধগম্য নয়।
তাঁর আগে এ ধরনের এক্সপেরিমেন্ট কেউ করেছেন বলে জানা নেই। যদি তিনি একাজে সফল হয়ে থাকেন তবে সাধুবাদ প্রাপ্য-
কেননা তিনি ওপেনলি এসব স্বীকার করতেন। এমন বুকের পাটা সকলের হয় না!
বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে কন্সপেরেসি থাকবেই- আমার ধারনা স্ট্রেইট থাকলে তিনি স্বীকার করতেন।
~আর একটা কথা নেহেরুর চরিত্র খুব ভাল ছিল বলে মনে হয় না।
আমি আপনি কি বিকৃত-মনস্ক নই? অনেক কিছু আমরা রাখঢাক করে রাখি কিংবা নিজেই জানি আর কেউ জানেনা। একবার
বিখ্যাত হয়ে দ্যাখেন কত সাপ বের হয়!!!
লেখা ভাল হয়েছে ভ্রাতা।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার কারণে ওনার সাথে যারা শুয়ে ছিল তারা পরবর্তীতে নিভৃত জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয় এবং মানসিক কষ্ট নিয়ে জীবন পার করতে হয়। ওনার পরিবার ওনার জীবন দশাতেই এই সব কারণে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। ওনার স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থাতেও উনি এগুলি করতেন। স্ত্রীকে বঞ্ছিত করা কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না। স্ত্রী কিছু অধিকার আছে। মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে যা অস্বাভাবিক হিসাবে গণ্য করা হয় সেটা সবাইকে পরিহার করতে হয়। যৌনতা একটা জৈবিক চাহিদা। কিন্তু যৌনতার জন্য আদি কাল থেকেই কিছু নিয়ম নীতি সমাজ নির্ধারণ করে দিয়েছে। ওনার মত ব্যক্তি যিনি সমাজ, রাষ্ট্র এইসব নিয়ে ভাবেন তার তো উচিত ছিল আগে সমাজ মানা। এটা এক ধরণের হিপক্রেসি। ওনার মত লোকের নিজের যৌন জীবনকে পাবলিকলি প্রদর্শন করাটা আপত্তিকর। কোন মানুষই তার যৌন জীবনকে প্রকাশ্যে আনতে চায় না। উনি সবাইকে বিয়ে করতে নিষেধ করতেন। আর বিয়ে করে থাকলে যৌন মিলন পরিহার করতে বলতেন, যা ধর্ম বা বিজ্ঞান কোন দর্শনেই গ্রহণযোগ্য না। সমাজের সবাই তো ব্রহ্মচারী হবে না। এটা ওনার বোঝা উচিত ছিল। ব্রহ্মচারীরাও নগ্ন মেয়ে পাশে রেখে নগ্ন হয়ে ঘুমায় না। গান্ধী ব্রহ্মচারীও আসলে ছিলেন না। এটা ওনার নিজের আবিষ্কৃত একটা অস্বাভাবিক পদ্ধতি যা ওনার পরিবার, সহকর্মী এবং তৎকালীন রাজনীতিবিদদেরকে বিব্রত করতো। ওনার এই সব কাজ কারবার নিয়ে পশ্চিমের মিডিয়ায় আলোচনা হয়েছে। অনেকে খ্যাতিমান লেখক বই লিখেছেন। উনি যা খুসি করতে পারন। কিন্তু ওনার কারণে অন্য মানুষ অপমানিত এবং বঞ্ছিত হবে এটা এক ধরণের জুলুম।
১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৫৩
এভো বলেছেন: আমার একজন বন্ধু আছে , তিনি অভিনভ পন্থায় রোজা রাখেন , শেহেরি খান শুধু এক গ্লাস পানি । ইচ্ছা করে রেস্টুরেন্টে বসে বে রোজদার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেন , মানুষের খাওয়া দেখনে এবং কখনো কখনো বন্ধুদের আপ্যায়ন করেন কিন্তু নিজে কিছুই খান না ।
তার মতে এটাই প্রকৃত সংযোম সাধনা । খাবারের সামনে বসে থেকে নিজেকে খাবার থেকে বিরত রাখাই মুল সিয়াম সাধনা । রোজার দিনা যারা জোড় করে রেস্ট্রুরেন্ট বন্ধ রাখার দাবি করেন ,তাতে নিজের সংযোজমের কোন উন্নতি হয় না, কারন সংযোম হোল কোন কিছুর সামনে দাড়িয়ে নিজেকে সংযত রাখা ।
এবার দেখি মহাত্মা গান্ধীর যৌন সংযোম চর্চার ধরন নিয়ে । এটা খাবারের সামনে বসে না খাওয়ার সংযোমের চেয়ে হাজার গুণ কঠিন কাজ । সম্পূর্ণ নগ্ন যুবতি নারীর সাথে একই বিছানায় ঘুমানো বা গোসল করা , কোন রকম যৌন কর্ম না করে । এটা তো আরো কঠিন বক্ষ্রচার্য সাধনা । এই কাজ যিনি করতে পারেন , তিনি তো সুপার ম্যান ।
এটাকে বিকৃত যদি মনে হয় কারো কাছে , সেটা মনে করতে পারে , তাবে এটা খুব কঠিন সাধনা , সেটা গান্ধীজি করে দেখিয়েছেন ।
বিনা কারনে গান্ধীজিকে শতাব্দীর সেরা মানুষ হিসাবে মূল্যায়িত করা হয় নি ।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি মাহাত্মা গান্ধী এবং আপনার বন্ধুকে অনুসরণ করা শুরু করেন। আপনারও সংযম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। সাথে অন্য কিছুও বৃদ্ধি পেতে পারে। এই ব্যাপারে আপনার অনেক আগ্রহ আছে বলে একটা ফ্রি পরামর্শ দিলাম।
গান্ধীজীর সংযমের কারণে ঐ মেয়েগুলির পরবর্তী জীবন অন্ধকার হয়ে গিয়েছিলো। ওনার সন্তান ও পরিবার প্রচণ্ড বিব্রত বোধ করতো। একজন মানুষ কিভাবে যৌন জীবন যাপন করবেন সেটা তার নিজের ব্যাপার। কিন্তু স্ত্রীকে বঞ্ছিত করে নগ্ন নাতনীর সাথে নগ্ন হয়ে ঘুমানো অন্য মানুষের অধিকার নষ্ট করে। ওনার কারণে ওনার স্ত্রী বঞ্ছিত হয়েছেন। ওনার নাতনিরা পরবর্তী জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। অন্যের অধিকার নষ্ট না করে আপনি অনেক কিছুই আপনি করতে পারেন যদি সেটা সমাজ মেনে নেয়। উনি পুরো ভারতের সকল পুরুষকে ব্রহ্মচারী হতে পরামর্শ দিতেন। কোন সমাজের সবাই কখনও ব্রহ্মচারী হতে পারে না। এটা সভ্যতা ধ্বংসের একটা পায়তারা মাত্র। উনি বিবাহিতদের বলতেন সঙ্গম না করার জন্য। এটা ধর্ম বলেন আর সমাজ বলেন আর আইন বলেন কোনটারই পক্ষে যায় না। বিয়ের ক্ষেত্রে যৌনতা অতি গুরুত্বপূর্ণ। যৌনতার শালীন বহিঃপ্রকাশের নামই বিয়ে। আদি কাল থেকেই পৃথিবীর সকল সমাজে এইভাবে বিবাহ প্রথা চলে আসছে। যাই হোক গান্ধীজীকে বিছানা থেকে শুরু করে সকল স্তরে আপনি মনে প্রানে মানা শুরু করেন। হয়তো ওনার মত হতে পারবেন একদিন।
১৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৩৬
গফুর ভাই বলেছেন: ব্লগে এত যৌনাচার বিষয়ক আলোচনা কেন? গল্প কবিতা বেশির ভাগ যৌন জীবন নিয়া।কিছুদিন আগে পর্ন কবিতা নিয়া একরাশ মন্ত্যব গেল।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগে একেক সময় একেক বিষয় হিট করে। এখন মনে হয় পর্ণ আর যৌনতার কাল যাচ্ছে। করোনার লক ডাউনের কারণে মানুষ এখন বেশীরভাগ সময় বিছানায় থাকে। এটাও একটা কারণ হতে পারে। আর তাছাড়া যৌনতা নিয়ে লেখা ব্লগের নিয়ম বিরুদ্ধ কিছু না। তা না হোলে ব্লগ কর্তৃপক্ষই পোস্ট মুছে দিত।
১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪৩
অজ্ঞ বালক বলেছেন: লেখাটা ভালো ছিল। তবে কমেন্টে গান্ধীর বিরূদ্ধে আপনার ঘৃণাটা একটু বের হইয়া আইছে। ব্যাপার না, চালায়া যান। ও হ্যাঁ, ভালা কথা, আপনে কইলাম ভালা অনুবাদ করেন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট পড়োনের সময় পাই না, মাঝে মাঝে ঐখানের কিছু এইরকম রসালো খবর অনুবাদ কইরা দিয়েন। সুবিধা হইতো। ধইন্যবাদ।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সমাজের পরিপন্থি কোন জিনিস আমি সমর্থন করি না। সেটা গান্ধিজি করুক বা সাধারণ মানুষ করুক। উনি যেটা করেছেন সেটা সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত ছিল না। সমাজের নিয়মের পরিপন্থি ছিল। একজন মানুষ তার যেভাবে খুশি সেভাবে যৌন জীবন যাপন করতে পারে। কিন্তু অবশ্যই অন্যের অধিকার হরন করে না। উনি ওনার স্ত্রী, পরিবার ও নাতনীদেরকে সমস্যায় ফেলেছেন। সমাজ মানারও একটা ব্যাপার আছে। ওনারা সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে ভাবেন কিন্তু নিজেই যদি সমাজ না মানেন তা হোলে সমস্যা। আমি ওনাকে ঘৃণা করি না। কিন্তু ওনার এই অস্বাভাবিক কাজ সমর্থনও করি না। নেহেরুজি পর্যন্ত ওনার এইসব কাজের সমালোচনা করেছেন। আরও অনেক মনিষীও সমালোচনা করেছেন। এগুলি সবই সমালোচনা। ঘৃণা নয়।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট বা অন্য কোন বিদেশী বই বা পত্রিকাতে ভালো কিছু পেলে অনুবাদ বা ভাবানুবাদ করে ব্লগে দেয়ার চেষ্টা করবো আপনাদের জন্য। মৌলিক লেখা তো তেমন লিখতে পারি না। অনুবাদই ভরসা। ভালো থাকবেন।
১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০৩
অজ্ঞ বালক বলেছেন: লাস্ট কমেন্ট।
এককালে কাঁচা মাংস আগুনে পুড়াইয়া খাওনও সমাজ দ্বারা স্বীকৃত ছিল না! ওনার স্ত্রী, পরিবার, নাতি-নাতনীরা কিন্তু গান্ধীর পরিচয় বেইচ্চাই চলছে, এবং এখনো চলতেসে। ওরা সমাজ নিয়া ভাবেন দেইখাই কইলাম অনেক কিছু পাল্টানোর চেষ্টা করেন, তার সব কিছু ঠিক হবে ভাবাটা বোকামি, কারণ দোষে-গুণেই মানুষ। নেহেরু গড না যে সে না মানাতে বিশাল কিছু হইয়া গেছে। সমালোচনা তাদের নিয়াই হয় যারা কর্মবীর! সমালোচনা আর ঘৃণার মাঝের দাগটা খুব চিকন, পা ফসকাইতে পারে। আর সব শেষ কথা, মৌলিক লেখার চেষ্টা করতে করতেই পারবেন, অনুবাদে সেই লাভটা নাই। বেস্ট অফ লাক।
পিস।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বোঝা গেল আপনি নেহেরুর চেয়ে গান্ধীকে বেশী পছন্দ করেন। গান্ধীর এইসব কাজ নিয়ে শুধু আমিই লিখছি এমন কিন্তু না। অনেক বিখ্যাত লেখকের বই বেসট সেলার হচ্ছে। বিবিসি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, এবিসি, নিউ ইয়র্ক টাইমস এগুলি নিয়ে লিখছে। দুর্বল কোন উৎস থেকে আমি এই লেখা লিখিনি।
আমি যা লিখেছি এটা বুঝতেই পারছেন এটা আমার কোন চিন্তাধারা না। এই বিষয়টা ইন্টারেস্টিং মনে হওয়াতে বিষয়টা শেয়ার করলাম।
সমাজ পরিবর্তন গান্ধী যদি এইভাবে করতে পারতেন তাহলে ওনার অনুসারীরাও এই ব্যাপারে ওনাকে অনুসরণ করতেন। ওনার কাছের লোকেরা অনেকে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। অস্বাভাবিক জিনিস আমদানির চেষ্টা আর সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা এক জিনিস না। উনি ওনার এইসব কাজে সমর্থন পান নাই, কারণ এগুলি সমাজের কেউ মেনে নেবে না এবং এগুলির কোন প্রভাব সমাজ উন্নয়নে নাই। ফলে এগুলির আর প্রচার বা প্রসার ঘটে নাই।
ওনার পরিবারের সদস্যরা ওনার নাম ভাঙ্গিয়েছেন কি না এটা আমার জানা নাই। তবে ওনাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছিল এটা জানি।
১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এই লেখাটা গান্ধির প্রতি অসীম ঘৃণা নিয়ে লিখেছেন-নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গীতে নয়!
স্যরি ভ্রাতা এখানে আমি অন্য গন্ধ পেলাম!
ব্যাপারটা যে ভাল লাগেনি সেটা আমি খোলা-মেলা বলে গেলাম।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সমালোচনা আর ঘৃণা এক জিনিস না। যারা ওনার এই বিষয়গুলি তাদের বইয়ে উল্লেখ করেছেন তারাও কি ঘৃণা থেকে লিখেছেন? আমি এই বইগুলি থেকেই তথ্য দিয়েছি। আমি সমাজ বিরোধী কাজ পছন্দ করি না। সেটা গান্ধী করুক আর সাধারন মানুষ করুক। উনি যদি ওনার স্ত্রীর সাথে করতেন তাহলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু উনি ওনার স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় ওনার দূর সম্পর্কের নাতনীদের সাথে এই কাজ করতেন। স্ত্রী রেখে অন্য মেয়ের সাথে ল্যাংটা হয়ে শুয়ে থাকার মধ্যে আমি কোন মহত্ত্ব দেখি না। উনি অন্যের অধিকার নষ্ট করেছেন এবং ওনার পরিবারের সদস্যদের বিব্রত করেছেন। এটাই আমার সমালোচনার মুল প্রতিপাদ্য। সমাজের নিয়মের প্রতি ওনার শ্রদ্ধা ছিল না। বরং উনি সমাজে এই অনাচার আনতে সচেষ্ট ছিলেন। পণ্ডিত নেহেরু সহ তৎকালীন অনেক বিখ্যাত লোক এইসব কাজের সমালোচনা করেছেন। আর আমি করলেই সেটা সমস্যা মনে হচ্ছে।
গান্ধীর কাজ অনুসরণ যোগ্য হোলে ওনার অনুসারীরা এইযুগে তা অব্যাহত রাখতেন। কিন্তু যেহেতু ওনার কাজ অনুসরণ যোগ্য ছিল না তাই এই চর্চা হারিয়ে যায় এবং লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। উনি যেটা করতেন সেটা ব্রহ্মচারীরাও করে না।
আমি আমার পোস্টে আমার কোন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটাই নাই। আমি যে সুত্র থেকে এই তথ্য পেয়েছি সেটাই নিজের মত করে অনুবাদের মত করেছি। তবে মন্তব্যে আমি সমালোচনা করেছি। কারণ আমি ব্যাখ্যা করেছি। তবে ঘৃণা আর সমালোচনা এক জিনিস না।
২০| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: মহাত্মা গান্ধী এরকজন গ্রেট মানুষ।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গ্রেট ঠিক আছে। কিন্তু কোন মানুষই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়।
২১| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১২
এভো বলেছেন: আপনি মাহাত্মা গান্ধী এবং আপনার বন্ধুকে অনুসরণ করা শুরু করেন।
আমি কেন প্রত্যেক মুসলমানের উচিৎ আমার বন্ধুর মত করে রোজা পালন করা । কোন কারনে বা ইচ্ছা করে কেহ রোজা রাখেনি বা রাখতে পারে নি , তাদের কে বাধ্য করা না খেয়ে থাকতে , খাবারেের দোকান বন্ধ রাখতে ,এটা কোন ভাবেই সংযোম পালন নহে । রোজার আসল উদ্দেশ্য সংযোম সাধনা । এরা এমন ই রোজদার, ভরা পেটে ইফতার তারপর রাতের ডিনার তার পর ভোররাতে আবার ভরা পেটে খেয়ে --- অন্য লোককে খেতে দেখলে আপত্তি করা সহ্য করতে না পারা -- এটা কোন সংযোম ই না । এনারা শুধু সিস্টেমটাকে উল্টিয়ে দেয় । এনারা আগে দিনের বেলা খেত রাতে ডিনারে পর থেকে সকাল পর্যন্ত উপোস থাকত , রোজার সময় রাতে বেলা দিনের মত খাওয়া দাওয়া এবং দিনের বেলও উপোস থাকে , এটা কোন রকমের সংযোম সাধনা নহে রোজা নহে । যে উদ্দেশ্য নিয়ে রোজা রাখা হয় সেটা মোটেও পালন হয় না ।
জী জী আমার বন্ধু যে ভাবে রোজা রাখে খাবারকে সামনে রেখে না ছুয়ে , মানুষকে খাইয়ে বা খেতে দেখে --- সেটাই প্রকৃত রোজা এবং এই ভাবে সবার রোজা রাখা উচিৎ । যারা রোজা রাখে নি , তারা ওপেন লি হোটেল রেস্তরা গুলোতে খাওয়া দাওয়া করতে পারবে ।
মহাত্মা গান্ধির আদর্শ কোন দিন সর্ব জনের কেয়ামত পর্যন্ত পালনিয় আদর্শ নহে । তিনি কি ভাবে খেতেন, বোসতেন , খাওয়া দাওয়া করতেন , কাপড় পোড়তেন কোন কিছু সর্ব জনের পালনিয় আদর্শ নহে ।
আপনার মত মানুষ গুলোর সামনে পরিপুর্ন আবৃত কোন নারী থাকে সাথে সাথে খবর হয়ে যায় , নগ্ন নারী থাকলে কি হতে পারে সেটা তো ভাবাই যায় না । আমার তো মনে হয় দুনিয়াতে খুব মানুষ আছে যাদের এই ধরনে যৌন নিয়ন্ত্রণ আছে । হিন্দু ধর্মে অনেক বক্ষ্রচারী আছে কিন্তু তারা নারী দর্শন থেকে অনেক দূরে থাকে । নগ্ন নারী সামনে রেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ দুনিয়াতে আর আছে কিনা জানি না ।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা যেভাবে রোজা রাখি তাতে আসলে রোজার হক আদায় হয় না। ইফতারে বাড়াবাড়ি রকমের মেনু থাকে। আবার রোজা রেখে অনেক খারাপ কাজ করি। ফলে রোজা ঠিক মত আমাদের রাখা হয় না, বেশীরভাগ লোকের ক্ষেত্রে। এই দেশে অনেকে আছে নাস্তিক অনেকে অন্য ধর্ম পালন করে। তাই খাবার দোকান খোলা রাখা উচিত। খাবার দোকান খোলা থাকলে রোজাদারদের সমস্যা হওয়ার কথা না। আমাদের দেশের মোসলমানদের একটা বড় অংশ লোক দেখানো এবাদত করে। সেটা নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, দান ইত্যাদি সব কাজেই। ধর্ম পালন দেখানোর জিনিস না। এটার আল্লাহর সাথে বান্দার আনুগত্য বৃদ্ধি করার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না, লোক দেখানো এবাদতের জন্য। এই জন্যই এই দেশে এত ধার্মিক থাকার পরও দেশে দুর্নীতি, জুলুম, ব্যভিচার, জুয়া ইত্যাদি অপরাধ বেড়েই চলেছে। ইসলামের মর্ম বাণী আমরা বুঝতে পারছি না।
সংযম সংক্রান্ত আপনার মতামতের জবাবে আমি আপনাকে অনুরোধ করবো ৫ নং মন্তব্যে শাহ আজিজ ভাইয়ের মন্তব্য দেখার জন্য। উনি অল্প কথায় অনেক কিছু বলেছেন।
আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করলেন তাতে আমার তো মনে হয় আমাকেও গান্ধীজির সংযম চর্চা শুরু করতে হবে। আপনি মনে হয় আগে থাকতেই চর্চা করেন তাই নগ্ন মেয়ে দেখলে আপনি উত্তেজিত হন না। তবে একদম উত্তেজিত না হোলে কিন্তু ডাক্তার দেখানো দরকার। কারণ গান্ধীজীরও বীর্য বের হয়ে যেত। যদিও তিনি তা পছন্দ করতেন না।
২২| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬
অগ্নিবেশ বলেছেন: মুমিনদের মুখে ছাই দিয়া গান্ধী প্রমান করিয়া দিয়াছেন যে মিঠাই খোলা অবস্থায় থাকিলেও, সব পিঁপড়া তাতে মুখ দেয় না।
তেতুল তত্ত্বে বিশ্বাসী সাড়ে ভাই এর খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক, তিনি তো আর সংযম করার মত অসুস্থ নন, তেনার শরীরে
একশজন মর্দের শক্তি। তাই ,আমাদের ওড়না সামলানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
তবে যাদের দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় তাদের যদি সম্মতি না থাকে বা ক্ষতি পূরনের ব্যবস্থা না করা হয় তা হবে অমানবিক এবং শাস্তিযোগ্য।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গান্ধীজিও পারতেন না। মাঝে মাঝে ওনারও বীর্য নির্গত হয়ে যেত নিজের অজান্তে। উনি এটা পছন্দ করতেন না। কারণ ওনার কাছে বীর্য অত্যন্ত শক্তিশালী একটা জিনিস। এটাকে এভাবে অপচয় করা উনি পছন্দ করতেন না। উনি এই জন্য উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করতেন এবং ভারতবাসিকে তাই নসিহত করতেন।
যাদের নিয়ে এসব করতেন তাদের বয়স তখন বেশী ছিল না। তারাও তালেতালে মনে হয় মজা নিয়েছেন। পুরো মজা নিতে অবশ্য পারেন নাই। কারণ গান্ধীজি শুধুই চোখ দিয়ে কাজ করতেন। হাতের ব্যবহার সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যায় না। তাতে ঐ বালিকাদের পোষাত কি না এটা জানা যায় না। কিন্তু পরে গান্ধীজীর মৃত্যুর পর সমাজে সম্মান নিয়ে বাঁচা এই বালিকাদের জন্য কঠিন হয়ে পরে।
একজন ব্যক্তি আনন্দ ফুর্তি যাই করুক সেটা সমাজ স্বীকৃত হওয়া জরুরী। এই কাজের জন্য অন্য কারো যেন ক্ষতি না হয় সেটা নিশ্চিত করা দরকার। যার সাথে ফুর্তি করছেন তার অনুমতি নেয়া প্রয়োজন।
পিপড়াদেরকে গান্ধীর ব্রহ্মচারী ব্রত শেখাতে হবে। ফলে ঘরবাড়ির চিনি, মিষ্টি ইত্যাদি খোলা রাখতে সমস্যা হবে না।
ব্রিটিশরা গান্ধীজীর এই বীর্য ধরে রাখার কথা জানতে পারলে তারা বীর্য নির্গমনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতো। কারণ গান্ধীজীর শক্তির উৎস ছিল বীর্য ধরে রাখার ক্ষমতা।
৫ নং মন্তব্যে শাহ আজিজ ভাই অল্প কথায় অনেক কিছু বলেছেন। দেখতে পারেন।
২৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচুটা কেমন যেনো বদলে যাচ্ছে ।
এতকিছু থাকতে এ কি নিয়ে পোস্ট
গান্ধীজির পার্সোনাল লাইফ নিয়ে কিছু বলার নেই ।
সমাজ সংস্কারক হিসেবে ওনার ভূমিকা অবশ্যই অনস্বীকার্য ।
আমি শুধু বলবো ওনার পোশাকটা নিয়ে , একটা রিস্কি পোশাক দিয়ে এক জীবন কাটিয়ে দিলেন
২৭ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গান্ধীজীর এই সব বিষয় নিয়ে বিখ্যাত বিখ্যাত লেখকরা ( পুলিতজার পুরস্কার পাওয়া) বই লিখছেন। সেগুলি বেসট সেলার হচ্ছে। পৃথিবীর বিখ্যাত বিখ্যাত পত্রিকা ( বিবিসি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, এবিসি ইত্যাদি) এই বিষয়ের উপর প্রতিবেদন তৈরি করছে। কাজেই টপিক হিসাবে আমি কোন খারাপ কিছু বেছে নেই নাই। আমি কোন ফালতু সোর্স থেকে যদি লিখতাম তাহলে আপনি বলতে পারতেন যে আমি ফালতু জিনিস নিয়ে লিখছি। আমার নিজের কোন জ্ঞানও এটা না। বিখ্যাত মানুষদেরকে নিয়ে লেখালেখি কেয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে। ওনাদের জীবনের কোন পার্সোনাল লাইফ নাই। মানুষের সমালোচনা ওনারা জীবিত অবস্থায় যেমন পেয়েছেন তেমনি মরার পরও চলতে থাকবে। গান্ধী সিনেমাটা ওনার মৃত্যুর অনেক পরে তৈরি হয়েছে। ওখানেও মনে হয় কিছু ইঙ্গিত আছে।
আপনি আমাকে বলেছেন রক্ষণশীল। আপনি এটা ঠিক বলেছেন। কিন্তু এখন আপনি নিজেই রক্ষণশীল আচরণ করছেন। ইতিহাসে ভালো, খারাপ সব কিছু স্থান পায়। মোগল সম্রাটদের হেরেমের কাজ কারবার এখন ইতিহাসের অংশ। কেউ বলে না যে মোগল সম্রাটদের সম্মানে এগুলি লেখা বন্ধ করা উচিত। গান্ধীজীর মত ঐতিহাসিক চরিত্র একজন আইকন। ওনার জীবনের সব কিছু জানার আগ্রহ সবার থাকাটাই স্বাভাবিক। উনি নিজেও এগুলি গোপন করতেন না। বরং প্রচার করতে চাইতেন। ওনার নিজস্ব পত্রিকার দুই জন সম্পাদক ইস্তফা দিয়েছিলেন কারণ তারা এই বিষয়গুলি পত্রিকায় লিখতে চান নি। সব চেয়ে বড় কথা গান্ধীজি সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। সমাজে এটা গ্রহণযোগ্য ছিল না। আমাদের সবাইকে অন্তত সমাজটা মানতে হবে। সেই মেয়েগুলির কথা চিন্তা করেন। তারা পরবর্তী জীবনে অনেক হীনমন্যতা নিয়ে লুকিয়ে রাখতেন নিজেদেরকে। ওনার স্ত্রী থাকা অবস্থায় গান্ধীজী এইসব করেছেন। ওনার সন্তানেরা বিব্রত বোধ করতেন। ওনার এই কাজগুলি দায়িত্বজ্ঞানহীন ছিল। অন্যের কথা তিনি ভাবেন নাই।
আমি আসলে জানি আমি কি লিখছি। আমি দায়িত্ব জ্ঞানহীন লেখা লিখি না। তবে লেখার সমালোচনা হবেই। আমার আগে বহু লোক এই বিষয়ে লিখেছেন বলেই আমরা এগুলি জানতে পেরেছি। আর আমি আসলে ধর্মীয় ট্যাগিং এর কারণে সমালোচিত হচ্ছি। অন্য কেউ লিখলে সমস্যা হতো না। আমার এই মন্তব্য হাল্কাভাবে নিবেন দয়া করে।
২৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২২
এভো বলেছেন: গান্ধীজিও পারতেন না। মাঝে মাঝে ওনারও বীর্য নির্গত হয়ে যেত নিজের অজান্তে। উনি এটা পছন্দ করতেন না।
প্রথম দিকে এমন হতে পারে , চর্চা বাড়ার সাথে কন্ট্রোল ডেভেলপ করেছে । ইনিসিয়াললি এমন হতে পারে বা মাঝে মাঝে এমন হতে পারে । এই সাধনা অতো সহজ নহে । যৌন উত্তজনা হবে এবং সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । বির্যপাত হয়ে গেলেও তিনি কোন নারীর সাথে যৌন লিলা করেন নি । তাহোলে উনি ব্যর্থ হয়েছিলেন বলা যায় না । নিজের অজান্তে হয়ে যেত , অনেকটা স্বপ্ন দোষের মত । --- এই কথার অর্থ হোল সচেতন অবস্থায় এমন হয়ে যেত না , অসচেতন অবস্থায় এমন হোত ।
আপনি যে তরিকা অনুসরন করেন , সেই তরিকাতে নারী হোল তেতুলের মত জন যে সব সময়ে আসে সেটা তো আসেই , তেতুল হুজুরের মত জিববাতেও জল আসে ।
আপনার তেতুল হুজুররা কি পারবে গান্ধী জী নহে সাধারণ মানুষের মত সংযোত থাকতে । কই সাধারণ মানুষের তো জিবে জল আসে না তেতুল হুজুরদের মত ।
চার চারটা বিবি রাখার পরে জিব দিয়ে লালা পড়ে , সেখানে গান্ধীজির সাধনার কথা শুনলে ওনাদের হার্ট এটাক করবে ।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গান্ধীজীর পক্ষে ভালোই বলেছেন। আপনি কতদূর পারেন জানতে ইচ্ছা করে। ইসলামে সন্ন্যাস ব্রত নাই। ইসলাম যৌনতাকে অনুমোদন দিয়েছে, কারণ এটা একটা স্বাভাবিক জৈবিক চাহিদা। তবে ইসলাম একটা সীমা দিয়ে দিয়েছে। এই পোস্টটা আসলে ইসলাম সংক্রান্ত না। তাই অনুরোধ করবো যে ইসলামকে আর টানবেন না। অন্য পোস্টে ইসলাম নিয়ে আলাপ করা যাবে। পোস্টের বিষয়ের বাইরে আলাপ করতে সমস্যা হয় আমার।
২৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: বর্তমান বিশ্বের প্রধান সমস্যা হলো ধর্মীয় মৌলবাদ।আর আপনার বেশির পোষ্ট যায় মৌলবাদের পক্ষে।সেই অর্থে আপনার পোষ্ট গুলোই ডাস্টবিনের ময়লা।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা আপনার ভুল ধারণা।
২৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:৫৩
জিকোব্লগ বলেছেন:
হিন্দু ধর্মে কত বিতর্কিত জীবন আছে !
মহাত্মা গান্ধীতো তার খুবই অল্প কিছু করেছে।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। তবে ওনারটা ছিল ধর্ম আর নিজস্ব চিন্তার সংমিশ্রণ। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৩:০৭
জিকোব্লগ বলেছেন:
@কামাল১৮,
থাকেনতো কানাডায়, বামদের সাথে যুক্ত বুজলাম। কিন্তু
কাজকর্ম কি করেন? অবসরে হলে আগে কি কাজ করতেন ?
২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি যদি আপনার প্রশ্ন পড়েন তাহলে হয়তো উত্তর দিবেন। আমি যতটুকু জানি উনি এখন অবসরে আছেন। আগে মনে হয় ব্যবসা বাণিজ্য করতেন। ইসলামের নাম শুনলে প্রায়ই ইসলামের রসুলকে (সা) নিয়ে কটাক্ষ করেন। আমি যাই ই লেখি উনি তার মধ্যে মৌলবাদ খুঁজে পান। জোর করে ধর্মকে টেনে আনেন। ইসলামকে উনি দুই চোখে দেখতে পারেন না। ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ থাকা ঠিক না।
২৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:০৫
এভো বলেছেন: ইসলামে সন্ন্যাস ব্রত নাই। ইসলাম যৌনতাকে অনুমোদন দিয়েছে, কারণ এটা একটা স্বাভাবিক জৈবিক চাহিদা। তবে ইসলাম একটা সীমা দিয়ে দিয়েছে।
প্রথমে ক্লিয়ার করে নি কেন , আপনার যে কোন বিষয়ের পোস্টিং এ ইসলাম চলে আসে কারন আপনি এই ব্লগে একজন পশ্চাৎ দৃষ্ঠি ভংগি সম্পন্ন অপইসলামের মুখ পাত্র ।
ইসলামে সন্ন্যাস ব্রত নেই কিন্তু আছে --- যেমন পীর দরবেশ আউলিয়ারা এক ধরনের সন্ম্যাসি বা সন্নাসির ইসলামিক ভার্ষান । পুরুষের যৌন নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ কিন্তু কোরানে মহিলাদের পর্দার আয়াতের আগের আয়াতে বলা হয়েছে । সুরা আল নূরের ৩১ নং আয়াতে মহিলাদের পর্দার ব্যপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিন্তু মহিলাদের পর্দা করার আগে পুরুষদের চোখের পর্দা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নির্দেশ আছে ঐ সুরার ৩০ নং আয়াতে --
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
এই উপদেশ পালন করার ব্যাপারে কোন মমিনের মাথা ব্যথা নাই , এই আদেশ যদি মমিনরা পালন করতো এবং চর্চার করতো তাহোলে মহিলা কি পোষাকে আছে সেটা বড় কোন বিষয় হোত না ।
মমিনরা ৩০ নং আয়াত মানেন না বা মানার কোন দৃষ্ঠান্ত অতিতে বা বর্তমানে কোন মমিনের মধ্যে দেখা যায় না কিন্তু এই সব মমিনরা ৩১ নং মহিলাদেরকে পালন করতে বাধ্য করে ।
নিজেরারা ৩০ নং পালন করবে না কিন্তু মহিলাদের জন্য ৩১ নং পালন করা বাধ্যতা মূলক ।
মহাত্মা গান্ধী দেখিয়ে দিলেন সুরা আল নূরের ৩০ নং আয়াতের নির্দেশ কি করে পালন করতে হয় ।
মহাত্মা গান্ধীর মত বক্ষ্রচরী হওয়া আবশ্যকিয় নহে , তবে ৩০ নং আয়াত পালন করলে মুসলমানদের মুখ থেকে লালা ঝড়বে না ।
জী কোরানে পরুষদের যৌন নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেওয়া আছে মহিলাদের পর্দার নির্দেশের আগে কিন্তু কোন মুসলমান সেই নির্দেশ পালন করার কোন নজির নেই ।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুখারি শরিফে আছে- “A group of three men came to the houses of the wives of the Prophet asking how the Prophet worshiped (Allah), and when they were informed about that, they considered their worship insufficient and said, ‘Where are we from the Prophet as his past and future sins have been forgiven.’ Then one of them said, ‘I will offer Prayer throughout the night forever.’ Another said, ‘I will fast throughout the year and will not break my fast.’ The third said, ‘I will keep away from women and will not marry forever.’ Allah's Messenger came to them and said, “Are you the same people who said such-and-such? By Allah, I am more submissive to Allah and more afraid of Him than you; yet I fast and break my fast, I do sleep and I also marry women. So he who does not follow my tradition in religion, is not from me (not one of my followers).”
উপরের হাদিসে বিবাহের উপর অত্যধিক জোর দেয়া হয়েছে। ইসলাম কখনো সন্ন্যাস ব্রতকে উৎসাহিত করে না। কেউ যদি বিয়ে না করে ( শর্ত হোল চোখের জেনা এবং সব ধরণের জেনা থেকে থেকে বাঁচতে হবে) সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। যদি সে শর্ত পালন না করতে পারে সেই ক্ষেত্রে সে গুনাহগার হবে। তবে এটা সুন্নাহ পরিপন্থি। ইসলাম তার সিদ্ধান্তে বাঁধা দেয় না। তবে সাধারনভাবে ইসলামে বিয়ে করা ফরজ করা হয়েছে (আরও কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া)। তাই কেউ বিয়ে না করলে বলা যাবে না এটা ইসলামের বিধান। বরং এটা হোল শর্ত সাপেক্ষে ইসলাম তাকে ছাড় দিয়েছে। সুফিদের মধ্যে অনেকে বিপথগামী। তাই তাদের কথা বলে লাভ নাই। ভালো যারা আছেন তাদের মধ্যে বিয়ে করেননি এরকম খুব বিরল। তারা উপরের ব্যতিক্রমের মধ্যে পড়েন। কিন্তু ইসলাম সব সময় বিয়ের পক্ষে বলে এবং এটা আমাদের রসুলের (সা) সুন্নত। উপরের হাদিসে রসুল (সা) যারা বিয়ে করে না তাদের কড়া ভাষায় সতর্ক করেছেন। ইসলামের অনেক বিধানেই শর্ত সাপেক্ষে ব্যতিক্রম আছে। আপনি সেই ব্যতিক্রমকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন যা আমাদের রসুল (সা) করেননি। ইসলাম বিয়ে করে আল্লাহওয়ালা হতে বলেছে।
গান্ধীজীর ঘটনার সাথে ইসলাম বা কোরআনের আয়াতের কোন সম্পর্ক নেই। কারণ ইসলাম নাতনীর সাথে নগ্ন হয়ে ঘুমানো সমর্থন করে না। বরং এটা এটা বিরাট বড় গুনাহ। তাই গান্ধীজীর কাজকে কোরআন বা হাদিস দিয়ে জায়েজ করার কোন সুযোগ নাই। উনি যা করেছেন ইসলামে তা একটা বড় অপরাধ। উনি মুসলিম ছিলেন না। তাই ওনার ব্যাপারে হাদিস, কোরআন টানা যাবে না। ওনার সাথে ইসলামকে মিশানোর কোন সুযোগ নাই।
পুরুষদের মাথা নত করে থাকতে বলেছে তার মানে এইটা না যে মেয়েদেরকে বলেছে তোমরা উলঙ্গ হয়ে থাকো কারণ ছেলেরা মাথা নত করে আছে। মেয়ে, ছেলে উভয়কেই চোখের, কানের এবং সকল রকম জেনা থেকে থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
ইসলামের বিধান পুরুষরা বা নারীরা না মানলে সেটা ইসলামের দোষ না। দোষ যে মানছে না তার। সে শাস্তি পাবে।
ছেলেদেরও পর্দা আছে। ছেলেদের টাইট পোশাক পড়া হারাম। কেউ না মানলে গুনাহগার হবে। নারীদের মত পুরুষদেরও কোরআনের অনুশাসন মানা জরুরী।
আর দয়া করে গান্ধীজীর কাজের সাথে ইসলামকে টানবেন না। এটা অপ্রাসঙ্গিক। কারণ উনি মুসলমান না এবং ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজ হারাম।
২৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৭
এভো বলেছেন: আমি কি কোথাও বলেছি বিয়ে না করতে , ২৮ নং কমেন্টে লিখেছি -- মহাত্মা গান্ধীর মত বক্ষ্রচরী হওয়া আবশ্যকিয় নহে , তবে ৩০ নং আয়াত পালন করলে মুসলমানদের মুখ থেকে লালা ঝড়বে না ।
আপনি বলতে চেয়েছেন ইসলাম বিয়ে করতে উৎসাহিত করেছে --- তারমানি হোল এই বাকি সব ধর্ম বিয়ে না করতে বলেছে !!!! অদ্ভুত কথা । আপনি কি প্রমাণ দেখাতে পারবেন হিন্দু ধর্ম বিয়ে করতে মানা করছে বা উৎসাহ দেয় নি , তবে বক্ষ্রচার্য, যার করতে ইচ্ছা করে করতে পারে । তাহোলে কেন বার বার ইসলাম ধর্ম বিয়ে করতে উৎসাহ দিয়েছে দাবি করে বিরাট হাদিস নিয়ে হাজির হয়েছেন ।
পুরুষদের মাথা নত করে থাকতে বলেছে তার মানে এইটা না যে মেয়েদেরকে বলেছে তোমরা উলঙ্গ হয়ে থাকো কারণ ছেলেরা মাথা নত করে আছে। মেয়ে, ছেলে উভয়কেই চোখের, কানের এবং সকল রকম জেনা থেকে থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
পুরুষরা চোখের গেজ নিবারন করলে মেয়েরা কি পোষাকে আছে সেটা বিবেচ্য বিষয় নহে । মেয়েরা অবশ্যই তাদের কালচারে অনুমদিত শালিন পোষাক পড়বে । পশ্চিমা পুরুষরা কি করে চোখের গেজ নিয়ন্ত্রণ কোরলো ? তাদের সামনে দিয়ে বিকিনি পরে মেয়েরা হেটে গেলেও তারা তাকায় না । আপনাদের তো খবর হয়ে যেত ? নিজের অজান্তে বির্যপাত হয়ে যেত সচেতন অবস্থায় , কিন্তু অসচেতন অবস্থায় গান্ধীজির বির্যপাত হয়ে যেত - এই নিয়ে বেশ কয়েক বার উদ্ধৃতি দিলেন ।
পুরুষ মানুষ যদি চোখের গেজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেখানে মহিলারা কি পোষাকে আছে সেটা মোটেও ফ্যাক্টর নহে । আপনার মত অন্ধ মমিনরা সুরা আল নূরে ৩০ নং আয়াত পালন করবেন না , চোখের গেজ কমাবেন না বা নিয়ন্ত্রণ করার কোন চেষ্টা করবেন , খালি শুধু নারীদের ঐ সুরা ৩১ নং আয়াত পালন করতে বাধ্য কোরবেন , সেটা তো হোতে পারেন না । আপনার হুজুরা ওয়াজ মহফিলে ঘন্টার পর ঘন্টা লেকচার মারে নারীর পর্দা নিয়ে কিন্তু নিজেদের চোখের গেজ নিয়ন্ত্রণের কোন কথাই বলে না । আমনের মত হুজুরদের গান্ধীজি দেখিয়ে দিল , দেখ বেটা কেমনে চোখের গেজ কমাতে হয় ।
গান্ধীজীর ঘটনার সাথে ইসলাম বা কোরআনের আয়াতের কোন সম্পর্ক নেই।
আছে সুরা আল নূরে ৩০ নং আয়াতে , ওখানে চোখের গেজ কমাতে বলা হয়েছে এবং তিনি গেজ নিয়ন্ত্রণের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন ।
কারণ ইসলাম নাতনীর সাথে নগ্ন হয়ে ঘুমানো সমর্থন করে না।
ঠিক কথা কিন্তু কি পদ্ধতিতে গেজ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে , সেটা কোরানে বলা হয় নি , এটা একটা নিয়ন্ত্রণ ডেভলপ করার পদ্ধতি । যেখানে মূল উদ্দেশ্য গেজ নিয়ন্ত্রণ সেখানে এই পদ্ধতি অবশ্যই কার্যকর এবং সত্য কথা বলতে কি তিনি কারো সাথে যৌন মিলন করেন নি ।
তাহোলে বোলতে পারেন অন্য বক্ষ্রচারিরা কেন এই পদ্ধতি ব্যবহার করে না । এখানে একটা বিষয় - এই ব্যাপারে ভলেনটিয়ার নারী পাওয়া সবার পক্ষে সম্ভব নহে এবং কেউ জোগার করতে পারলেও এক পর্যায় নিজেকে ধরে রাখতে পারে নি । গান্ধীজির মত সবাই এত উচু ব্যক্তিত্ব নহে এবং সেচ্ছায় কোন মেয়ে এই কাজে সহায়তা করবে না । গান্ধীজি উপর আস্থা ছিল বলে নাতনি সহায়তা করেছে ।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে কিন্তু আগেই বলেছিলাম ( ২৪ নং প্রতি মন্তব্যে) যে গান্ধীর ব্যাপারে ধর্মকে আর টানবেন না। পোস্টের বাইরে কথা বলতে ভালো লাগে না। অন্য পোস্টে ধর্ম নিয়ে আলাপ করবো। তারপরও আমি কিছু জবাব দিয়েছি। আপনার সাথে এই ব্যাপারে আর আলাপ করতে ভালো লাগছে না। কোন ধর্মীয় পোস্টে আলাপ করা যাবে। ভালো থাকবেন।
৩০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: অত্যন্ত তথ্যনির্ভর পোস্ট। নারী বিষয় গান্ধীজির মতোই নৈতিক চরিত্রের অধিকারী ছিলেন কবিগুরু রবি ঠাকুর। +
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথায় রবীন্দ্র ভক্তরা রাগ করবে আপনার উপর। তবে রবীন্দ্রনাথের এই ধরণের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আসলে আগে শুনি নাই।
৩১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মোটামুটি জানা ছিল। আরও জানলাম। আগাগোড়া ভণ্ড চরিত্র ছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬
নতুন বলেছেন: হুম বুড়ো বয়েছে তার ভিমরতি হয়েছিলো মনে হয়। তার নারীদের সাথে বিষয়টা আসলেই দৃস্টিকটু এবং হয়তো মানুষিক বিকৃতির বহিপ্রকাশ হতে পারে।