নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাচ্চার মাকে সনাক্ত করার প্রয়োজন পড়ে না কিন্তু বাচ্চার বাবাকে অনেক সময় সনাক্ত করার প্রয়োজন পড়ে। কারণ বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বিয়ে ছাড়াই সন্তানের পিতা মাতা হওয়ার পরিমান অনেক বেড়ে গেছে। ২০১৪ সালের একটা হিসাবে চিলির ৭০% বাচ্চার জন্ম হয়েছে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে। মেক্সিকোর ৬৫%, ফ্রান্সের ৫৮%, নরওয়ের ৫৫%, যুক্তরাজ্যের ৪৮%, যুক্তরাষ্ট্রের ৪০%। বলা যায় যে ইউরোপ, অ্যামেরিকায় গড়ে ৪০% বাচ্চার জন্ম হয়েছে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে। এই হিসাব ২০১৪ সালের। এখন এই হার আরও বেশী নিঃসন্দেহে। ধারণা করা যায় যে অর্ধেক শিশুর জন্ম হয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে। আমাদের এই অঞ্চলে এই হার খুব বেশী হবে না। জাপানে ২%, ইসরাইলে ৫%, তুরস্কে ৩%, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১.৫%। ভারতীয় উপমহাদেশ সহ এশিয়ার বাকি অংশে এই হার আরও কম হবে। তবে দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে এই অঞ্চলেও।
বিয়ে ছাড়া সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় যে পিতার পরিচয় জানা যায় না অথবা কয়েকজন পুরুষের মধ্যে কে পিতা সেটা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয় (যদিও বিয়ের ক্ষেত্রেও অনেক সময় সন্দেহ সৃষ্টি হয়)। বীর্য ঢেলে দেয়ার পরে অনেক সুবিধাবাদী পুরুষ ভেগে যেতে চায় আবার অনেক পুরুষ পিতৃত্বের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কিন্তু প্রমাণের অভাবে পারে না। তবে বিবাহিত দম্পতিদের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে যদি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘটে থাকে। পিতার পরিচয় না জানার কারণে কিংবা পরিচয় নিয়ে সংশয়ের কারণে কিছু সামাজিক, আবেগজনিত এবং আর্থিক সমস্যা হয়। যেমন সন্তান মানসিক কষ্টে ভোগে, সমাজ বাঁকা চোখে দেখে, সন্তানের খরচ মাকে একা চালাতে হয়, স্বামী, স্ত্রী বা দাম্পত্য পার্টনারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে, দাম্পত্য কলহ এবং নির্যাতনের কারণে পরিবারে অশান্তি নেমে আসে।
কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে এখন ডিএনএ পরীক্ষার দ্বারা বাবাকে সনাক্ত করা যায়। অ্যামেরিকান একটা টিভি শো আছে যেটার নাম ‘প্যাটার্নিটি কোর্ট’।
এটা অনেকটা রেয়ালিটি শোয়ের মত। এই শোতে সন্তানের পিতৃ পরিচয় নির্ণয়ের জন্য সম্ভাব্য পিতা এবং প্রকৃত মাতাদের বক্তব্য শোনা হয়। পুরো কার্যক্রম আদালতের মত করে উপস্থাপন করা হয়। এই শোতে বিচারক হিসাবে থাকেন লরেন লেক নামের একজন অ্যামেরিকার প্রখ্যাত মহিলা আইনজীবী এবং আইন বিশ্লেষক। আদালতের মত উভয় পক্ষকে জেরা করা হয়, সাক্ষী হাজির করা হয়। সব শেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিটা কেসের মিটমাট করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে বাদী বা বিবাদির আবেদনক্রমে লাই ডিটেকটর (মিথ্যা সনাক্তকারী যন্ত্র) ব্যবহার করা হয়। এই শো আসলে এক ধরণের আরবিট্রেশন (মদ্ধস্ততার মাধ্যমে মীমাংসা) প্রক্রিয়া। উভয় পক্ষ এখানে আসার আগেই এই শোয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় যে তারা এই সালিশি মেনে নেবেন। সাধারণত পরবর্তীতে প্রকৃত আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না এবং এই শোতেই মীমাংসা হয়ে যায়। ঘটনাগুলি সাজানো নয় বরং মানুষের জীবনের প্রকৃত ঘটনা।
উদাহরণ হিসাবে এই শোতে দেখানো একটা ঘটনা বলি। প্রেমিক প্রেমিকা অনেক দিন ধরে প্রেম ( লিভ ইন) করছে। তাদের পরবর্তীতে বিয়ের পরিকল্পনা আছে। কিন্তু প্রেম চলাকালীন সময়ে মেয়ের সাথে ছেলের সামান্য বিষয় নিয়ে মান অভিমান হয়। ফলে রাগ করে একে অন্যের সাথে কয়েক দিন কথা বলা থেকে বিরত থাকে বা কথা বললেও শুধু ঝগড়া ঝাটি করে। এই অবস্থায় মেয়েটি একদিন রাতে রাগ করে একা একটা মদের বারে যায়। মদ খাওয়ার পর তার আর কোন হুশ নেই। পরের দিন ভোরে সে স্বল্প বসনে সম্পূর্ণ অপরিচিত এক পুরুষের বিছানায় নিজেকে আবিষ্কার করে। এই ঘটনা সে তার প্রেমিকের কাছে গোপন রাখে। পরে ওদের মিল হয়ে যায় এবং একসাথে শোয়ার কারণে ওরা সন্তানের পিতা মাতা হয়। সন্তান জন্ম গ্রহণের ২ মাস পরে মেয়েটার মধ্যে অনুশোচনা হয় ঐ রাত নিয়ে। সে অকপটে ছেলের কাছে স্বীকার করে যে এই বাচ্চা তোমার নাও হতে পারে কারণ আমি রাগ করে একটা বারে গিয়ে একটা আকাজ করে ফেলেছি। তখন থেকে ছেলের মনে সন্দেহ ঢুকে যায়। অবশেষে তারা (সন্তানকে অন্য জায়গা থেকে টিভি পর্দার মাধ্যমে দেখানো হয় আদালতে) এই শোতে উপস্থিত হয় নিজেদের এই সমস্যার সমাধানের জন্য। অনেক জেরার পরে এবং শেষে ডিএনএ টেস্ট এবং লাই ডিটেকটর ব্যবহার করে জানা যায় যে প্রেমিক পুরুষটাই সন্তানের পিতা। অবশেষে প্রেমিক পুরুষ আদালতে সবার সামনে হাটু গেড়ে বসে মেয়েটির কাছে বিয়ের প্রস্তাব করে। উভয়ে কান্নাকাটি করে একে অন্যকে ক্ষমা করে দিয়ে সুন্দর জীবন যাপনের অঙ্গিকার করে।
পরিবার ব্যবস্থা সভ্য সমাজের জন্য অপরিহার্য একটি বিষয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে বর্তমানের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পরিবার ব্যবস্থা হুমকির মুখে। উন্নত বিশ্বে প্রায় অর্ধেক লোক বিয়ে ব্যতীত যৌন জীবন যাপন করে এবং কখনই বিয়ে করে না। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বিয়ের ৪৫% বিচ্ছেদে সমাপ্তি হয়। সুইডেনে এই হার ৫৫% চেয়েও বেশী। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে এই হার আরও বেশী। গড়ে উন্নত বিশ্বে একটা নারী বা পুরুষের জীবনে ৭ থেকে ৮ জন পার্টনার পরিবর্তন হয়। অনেক দেশে সমকামি বিয়ে আইনত সিদ্ধ এবং এই হার বাড়ছে দিনে দিনে। আমাদের এই অঞ্চলেও বিবাহ বিচ্ছেদের হার আশংকাজনক হারে বাড়ছে। ছেলেরা ৩৫ বছরেও বিয়ে করছে না। অনেক মেয়ের বয়স ৩৫ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিয়ে করছে না বা হচ্ছে না। এই বিবাহ বিমুখতা আর বিবাহ বিচ্ছেদ সমাজের জন্য, শিশুদের জন্য সর্বোপরি মানব সভ্যতার জন্য একটা বিরাট হুমকি স্বরূপ। মানব সমাজের কল্যাণের জন্য বিবাহ প্রথাকে উৎসাহিত করতে হবে এবং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। পশ্চিমের ভালোটা নিতে হবে খারাপটা বর্জন করতে হবে।
সুত্র - archive-yaleglobal.yale.edu/content/out-wedlock-births-rise-worldwide
ছবিঃ legalnaija.com
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি তো পড়ুয়া মানুষ। চেষ্টা করলেই এই রকম পোস্ট দিতে পারবেন। অতীতে এই ধরণের অনেক পোস্ট দিয়েছেন আপনি।
তবে এই পোস্টটা ইউটিউবের আলোকে তৈরি করেছি। কিছু তথ্য অন্তরজাল থেকে নিয়েছি।
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আচ্ছা গর্ভধারণ না করলেই তো হলো তাই না ? বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রোধ করা যাবে হয়তো কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদ ? সেটা রোধ করবেন কী করে ? আর এটাকে রোধ করা যাবেই বা কীভাবে কারণ বিবাহ বিচ্ছেদ তো সব সময় খারাপ না । বলতে গেলে অধিকাংশ দিক থেকেই খারাপ নয় । অনেক ক্ষেত্রে তো এমন পরিস্থিতি দাঁড়ায় যে বিয়ে টিকাবার চেয়ে বিয়ে বিচ্ছেদ হলেই বরং ভালো হয় । তখন সেই ভালো পরিণতির পরও শিশুর ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে । তাই শিশু না থাকলেই হল ! মানুষ আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পিতা মাতা হবার জন্য যৌনতায় জড়ায় না তাই আমার মতে গর্ভ ধারণ ব্যাপারটাই বিলুপ্ত হলে ভালো হয় , ল্যাটা চুকে যায় ।
মানব সভ্যতার কী দরকার ? মানুষ তো নিজের জৈবিকতা মেটায় মানব সভ্যতা আর সমাজ নিয়ে ভাবে কই ? তাহলে তো অত্যাচারিত ও অত্যাচারি থাকত না !!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি এই শো দেখে বুঝলাম যে একই সময়ে দুইজনের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে না। আর যদি ভুল করে একই সাথে দুইজনের সাথে সম্পর্ক করে ফেলে তাহলে বাচ্চার বাপের পরিচয় নিয়ে যেন প্যাচ না লাগে। সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে সরি বললে প্রায়ই বিবাদমান পক্ষেগুলির মধ্যে মিটমাট হয়ে যায়। এরা সহজে কাঁদে, সরি বলে, ভুলে যায় এবং হয়তো পুনরায় একই ভুল বারবার করে। যার ফলে কোন সম্পর্কই বেশীদিন টিকতে চায় না।
গবেষণায় দেখা গেছে যে অনেক কারণের মধ্যে বিবাহ করা হোল বিবাহ বিচ্ছেদের মূল কারণ। বিবাহ বিচ্ছেদ সব সময় খারাপ না ঠিক। কিন্তু জীবনে গড়ে যদি ৭ থেকে ৮ বার জীবনসঙ্গী বদলানো হয় সেই ক্ষেত্রে এটা একটা সামাজিক সমস্যায় রূপ নেয়।
শিশু না থাকা ভালো এই কথা যদি সমাজের সবাই ভাবে তাহলে কয়েক দশকের মধ্যে জনসংখ্যা কমতে থাকবে। যেটা ঘটছে জাপান, রাশিয়া, ইতালি, বুলগেরিয়া, ইউক্রেন, রোমানিয়া, গ্রিস, হাঙ্গেরি, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, স্পেন, কিউবার মত দেশগুলিতে। জনসংখ্যা কমে যাওয়া এখন অনেক দেশের জন্য একটা বড় সমস্যা। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে এই কারণে। জনসংখ্যা কমতে থাকা কোন জাতির জন্য কল্যাণকর নয়। অনেক দেশের জন্য অধিক জনসংখ্যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। যদিও এখন হয়তো পরিস্থিতি খারাপ। জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তর করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
সারাংশটা আপনি বলে দিয়েছেন। সেটা হোল এই ধরণের অনৈতিক জীবন যাপন মুলত মানব সভ্যতার জন্য হুমকি স্বরূপ। মানুষ স্বার্থপরের মত জৈবিক চাহিদা মিটাতে থাকলে সমাজে অরাজকতা সৃষ্টি হবে যেটার সমাধান টাকা পয়সা দিয়েও করা যাবে না।
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২১
নাহল তরকারি বলেছেন: বিবাহ আমি পছন্দ করি না। বিয়ে সমাজ কে দূষিত করে ফেলেছে। কারন বিয়ে করার পরেও, মানুষ পরকীয়া করে। তাই বিয়ে করে কি লাভ?
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি দেখেশুনে ভালো একটা মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেন। আগের বিয়ের কথা ভুলে যান। জীবন থেকে থাকে না। সবাই তো আর পরকীয়া করে না।
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শিরনামটা জব্বর। তার চেয়েও জব্বর তরকারির মন্তব্য।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই নামে একটা টিভি শো আছে। অ্যামেরিকাতে এই শব্দটা ব্যবহৃত হয়। কারণ বাবার পরিচয় নিয়ে অনেক সময় সমস্যা হয়। আমি যে লিঙ্ক দিয়েছি সেই লিঙ্কের শোগুলি দেখলে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
নাহল তরকারি একবার বিয়ে করে প্রতারিত হয়েছেন। তাই দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে সাহস পাচ্ছেন না। ওনার উচিত হবে অতীত ভুলে গিয়ে আবার বিয়ে করা।
৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫০
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: নাহল তরকারি বলেছেন: বিবাহ আমি পছন্দ করি না। বিয়ে সমাজ কে দূষিত করে ফেলেছে। কারন বিয়ে করার পরেও, মানুষ পরকীয়া করে। তাই বিয়ে করে কি লাভ?
@]নাহল তরকারি, আপনি কি বিয়ে করছেন? যদি করে থাকেন তবে কি বিবাহিত জীবনের ইতি টেনে দিতে চান অথবা দিবেন? অথবা বিবাহ করবেনই না?
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মন্তব্য দুইবার এসেছে। তাই একটা মুছে দিচ্ছি।
নাহল তরকারি একবার বিয়ে করে প্রতারিত হয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি ওনার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। এই ব্যাপারে কয়েকটা পোস্ট উনি দিয়েছেন কয়েক মাস আগে। প্রতারিত হওয়ার কারণে উনি (ওনার ভাষ্য) আবার বিয়ে করতে সাহস পাচ্ছেন না। সম্ভবত মেয়েদের উপর ওনার বিশ্বাস উঠে গেছে।
৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
বাংলাদেশে বিবাহবহির্ভূত বাচ্চা জন্ম দেয়া বাড়ছে নাকি কমছে? ইন্দোনেশিয়ায় কিছুদিন আগে বিবাহ ব্যতীত যৌন সম্পর্ক নিয়ে আইন পাস করেছে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বাড়ছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন, জরীপ এবং সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ থেকে এটা আমরা জানতে পাড়ছি। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিবাহবহির্ভূত বাচ্চাও আগের চেয়ে বেশী জন্ম নিচ্ছে বলে ধারণা করা যায়। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বেশী মুসলমান জনবহুল দেশ। এই কারণে ওদের আইনে ইসলামি শরিয়ার প্রভাব আছে। ওদের প্রদেশগুলির মধ্যে আইনের কিছু তারতম্য আছে। অনেক অঞ্চলে কঠোর শরিয়া আইন প্রয়োগ করা হয়। আমাদের দেশে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সংক্রান্ত আইনের মধ্যে অনেক সমস্যা আছে। এই ব্যাপারে ব্লগার সোনাবীজ ভাই নীচের এই পোস্ট দিয়েছিলেন। পড়ে দেখতে পারেন Click This Link
৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭
এমজেডএফ বলেছেন: আপনি এখানে 'Out-of-Wedlock Births' ভুল বা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন। শিশু জন্মের ব্যাপারটিকে আইনের দৃষ্টিতে তিনভাগে ভাগ করা যায়। বৈধভাবে বিবাহিত দম্পতির সন্তান, বৈধভাবে লিভ টুগেদার দম্পতির সন্তান এবং সাময়িক যৌন উত্তেজনা উপভোগ করতে গিয়ে অবাঞ্চিত সন্তান।
আপনার দেওয়া পরিসংখ্যানটিতে 'Out-of-Wedlock Births' অর্থাৎ বৈধভাবে লিভ টুগেদার দম্পতির সন্তান এবং সাময়িক যৌন উত্তেজনা উপভোগ করতে গিয়ে অবাঞ্চিত সন্তান উভয়কে ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য, পশ্চিমা বিশ্বে আইনের দৃষ্টিতে লিভ টুগেদার ও বিবাহিত দম্পতির মধ্যে তেমন একটা পার্থক্য নেই। উভয়ক্ষেত্রে সন্তানের ব্যাপারে মাতা-পিতার দায়িত্ব ও কর্তব্য একই।
আপনি লিখেছেন, "বিয়ে ছাড়া সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় যে পিতার পরিচয় জানা যায় না অথবা কয়েকজন পুরুষের মধ্যে কে পিতা সেটা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়।" এখানে আপনি পরিসংখ্যানটি জেনারেলাইজ করে নেগেটিভ ও ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার কথাটি 'Out-of-Wedlock Births'-র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এটি শুধুমাত্র 'সাময়িক যৌন কামনা উপভোগ করতে গিয়ে বোকামী বা অবহেলার কারণে যাদের সন্তান জন্ম হয় তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে করা প্রতি-মন্তব্যটা একটু সংশোধন করতে গিয়ে প্রথম মন্তব্যটা ভুলে মুছে গিয়েছিল। তাই পুনরায় প্রতি-মন্তব্য করার চেষ্টা করছি।
বিবাহ বহির্ভূত সন্তান মানেই Out of wedlock child। আমি যে পরিসংখ্যান দিয়েছি সেখানে লিভ টুগেদারকে বিবাহ হিসাবে ধরা হয় নাই। কখনও ধরা হয়ও না। এই আইন বিষয়ক সাইটে Click This Link গেলে Out of wedlock child এর সংজ্ঞা পাবেন। এখানেও বলা আছে যে বিবাহ না হলেই আইনগত ভাবে সেটা Out of wed lock child। আমি যে পরিসংখ্যান দিয়েছি সেটা লিভ ইন এবং সাময়িক সম্পর্ক উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বিয়ে না হলেই ধরে নেয়া হয় যে Out of wedlock child। এই সাইটে গেলেই বুঝবেন যে Out of wedlock বলতে লিভ টু গেদারের বাচ্চাকেও বুঝায় childhttps://news.gallup.com/poll/183428/approval-wedlock-births-growing.aspx । এই সাইটের পরিসংখ্যান অনুযায়ীও অ্যামেরিকাতে লিভ ইনের বাচ্চাকে বিবাহের বাচ্চার মত ধরা হয় না। বিবাহ ব্যতীত বাচ্চাকেই Out of wedlock child বলে।
পৃথিবীর কোন দেশেই আইনের দৃষ্টিতে বিয়ে এবং Cohabitation বা লিভ টুগেদার এক জিনিস না। বিয়ের ক্ষেত্রে অধিকার এবং দায় দায়িত্ব বেশী থাকে। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে কে বাড়িতে থাকার অধিকার রাখবে এই ব্যাপারে বিশেষ নিয়ম আছে যেটা লিভ টুগেদারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। লিভ টু গেদারের ক্ষেত্রে এটা মুলত নির্ভর করে কে বাড়ির মালিক বা কে ভাড়া দেয়। একইভাবে আরও কিছু আইনগত পার্থক্য আছে। আশা করি আপনি আমার চেয়ে এই ব্যাপারে আরও ভালো জানেন। তাই লিভ টু গেদার আর বিয়ের সামাজিক এবং আইনগত অবস্থান সমান না। দুইটার মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। বিয়ে করলে টিকবে কি না এই দ্বিধার কারণে এবং অনেক ক্ষেত্রে বিবাহের মত পূর্ণ দায়িত্ব নিতে না চাইলে লিভ টুগেদার করে থাকে। গড়ে কোহেবিটেশনের স্থায়িত্ব হয়
মাত্র ২ থেকে ৩ বছর। বিয়ের ক্ষেত্রে আরও বেশী। তবে বিয়ে টেকানোও একটা সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। ৪৫% বিবাহ টেকে না। ফলে বাচ্চাদের জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে।
তাই আমার পরিসংখ্যান ঠিক আছে। Out of wedlock child এর পরিসংখ্যান আমি দিয়েছি। লিভ ইন এবং সাময়িক সম্পর্ক উভয় পদ্ধতির বাচ্চাই Out of wedlock child। আশা করি ব্যাপারটা আপনার কাছে পরিষ্কার। লিভ টুগেদার এবং অস্থায়ী সম্পর্কের কারণেই পিতৃত্ব নিয়ে বেশী সমস্যা হয়। বিয়ের ক্ষেত্রে পিতৃত্বের সমস্যা কম হয়। সিঙ্গেল মাদার বাচ্চার সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে ২৫%। অর্থাৎ ৪ টি বাচ্চার মধ্যে ১ টি বাচ্চা সিঙ্গেল মাদারের কাছে আছে। সিঙ্গেল মাদার বাচ্চাদের ড্রাগ সহ বিভিন্ন অপরাধে ঝুকে পড়ে বেশী। লিভ টুগেদার আর অস্থায়ী সম্পর্কের কারণেই সিঙ্গেল মাদার বেশী হয়ে থাকে। এই সিঙ্গেল মাদারদের অনেকের বয়স ১৪ বছরও আছে। অবাধ যৌনতার কারণেই এই সব পরিস্থিতি হচ্ছে।
৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আসলে সামাজিক শান্তি বিষয়টা কী সেটা আজকালকার বিবাহিত মানুষেরাও বোঝে বলে মনে করি না । মনে আছে একবার একটা কথা বলেছিলাম যে বিয়েটাতে ভালোবাসা বলে কিছু থাকে না সবটাই প্রয়োজন ! এই এবার দেখুন , প্রয়োজন ব্যাপারটা নিহিত বলেই তো প্রয়োজন নেই বিয়েটাও নেই । পুরনো কথাটা টানলাম বলে কিছু মনে করবেন না ।
আসলে বিয়ে নিয়ে বস্তুগত ভাবনা আমাদের মধ্যে নেই বললেই চলে । আমাদের ভাবগত ও জৈবিক ভাবনা সবসময় বিয়েকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে সেখানে এতসব জটিলতা দেখা দেয়া সত্যিই অস্বাভাবিক নয় । তাই আগে আমাদের মানুষ হত হবে , মানুষ না হলে আমাদের অশুভ দিকটা সত্যিই আরও ভয়ানক হবে । এখনই সময় নব্য উদারতাবাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করার , নাহয় নিবর্হণ দুর্জয় হয়ে উঠবে ক্রমেই ।
নাহল ভাইয়ের ব্যাপারটা জেনে আমি স্তব্ধ ! আমার মতে এমন স্তব্ধ হবার হার আরও বাড়বে দ্রুত !!!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পৃথিবীতে কোন কিছুই ফ্রি না। এই কথা বিয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জীবন মানেই গিভ এন্ড টেইক। স্বামী বা স্ত্রী প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন না করলে ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালায়। অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্ক আর টেকে না। এটাই বাস্তবতা। ফ্রি তে ভালোবাসাও পাবেন না। পিতা মাতাও সন্তান জন্ম দেয়ার আগেই অনেক আশা করে এবং স্বপ্ন দেখে যে তার সন্তান তাদের ভালবাসবে। এটা পিতা মাতার চাহিদা সন্তানের কাছে। ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা। এক পক্ষে ঘাটতি হলেই আরেক পক্ষও ভালোবাসা দেয়া বন্ধ করে দেবে।
মানুষ হওয়ার পরে বিয়ে করতে গেলে বুড়ো বয়সে বিয়ে করতে হবে। কারণ অনেকে কখনই মানুষ হয় না আর অনেকে সারা জীবন অমানুষ থেকে বুড়ো বয়সে মানুষ হয়। আর যারা তরুণ বয়সে মানুষ হয় তারা সাধু, সন্ন্যাসী আর দরবেশ হয়ে যায়। তাই বুড়ো বয়সে বিয়ে করলে স্বামী স্ত্রী ভালো মানুষের মত বা ভাইবোনের মত পাশাপাশি শুয়ে থাকবে। ফলাফল শূন্য। আর তরুণ বয়সে সাধু পুরুষকে বিয়ে দিলে বৌ পালাবে।
নাহল তরকারি ভাই চুন খেয়ে মুখ পুড়িয়েছেন তাই দই দেখলেও উনি ভয় পাচ্ছেন।
৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এইবার আপনার কথার ফাঁদে আপনি পড়ছেন চুয়াত্তর ভাই । যে মনোভাব নিয়ে নিজে ব্লকটা লিখলেন সেটাই কিন্তু এখন সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে । মানে যে নৈতিকতার ওপর ভিত্তি করে পোস্টটা দিলেন সেটাকেই আবার আপনি আপনার মন্তব্য দিয়ে রদ করলেন । বিয়ের আরেকটি কুফলতা হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা ...................................।
নাহল ভাইয়ের সামনে চুনটা পড়ত না যদি না সত্যিই নৈতিকতার চর্চা করে মানুষ মানুষ হত । তবে হ্যাঁ বিয়ের প্রতি অনীহা দেখছি আমার আরও দৃঢ় করতে হচ্ছে । যাইহোক নন্দিতাকে আজই বলে দিতে হবে ক্যাঁচাল রুখতে আমি কৃচ্ছ্রতা অবলম্বন করছি আজ থেকে আর এর পেছনে দায়ী সাড়ে চুয়াত্তর ভাই !!!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পার্টনারের এক জন আরেক জনের কাছে কিছু আশা করা তো অনৈতিক কিছু না। পৃথিবীতে কোন কিছু ফ্রি না। কিভাবে আমি ফাঁদে পড়লাম ব্যাখ্যা করেন।
আপনার বয়সে অনেকেই বিয়ের প্রতি উদাসীন থাকে। পরে দিল্লিকা লাড্ডু খেয়ে ফেলে। কারণ খেয়ে পস্তানোই ভালো।
কেউ যদি বলে বিয়ের দরকার নাই তাহলে বুঝতে হবে হয় সে সন্ন্যাসী অথবা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে তার আপত্তি নাই অথবা শারীরিক সমস্যা।
১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মানুষ হবার ব্যাপারটা কী ? নৈতিকতার লালনই তো তাই না ? আপনি নিজেই তো নৈতিকতার ভিত্তি নিয়ে এই পোস্ট করেছেন তাই না ! মানে মানুষ হবার যে ব্যাপার বা মূল বিষয়টা সেটাকে ভিত্তি করে লিখেছেন । এবার আমি মানুষ হবার ব্যাপারটা বলার পর আপনি আপনার মন্তব্যটা করলেন যেখানে বললেন তরুণ বয়সে যে সাধু হবে তার স্ত্রী পালাবে , আচ্ছা মানুষ হবার মানে কী কেবল কৌমার্য ব্রত পালন ?? এখানে আপনি নৈতিকতাকে এড়ালেন যদিও ভুল করে অথবা আমার মন্তব্য ভুল বুঝে । এখানেই সাংঘর্ষিক বলে মনে করি । হে হে হে
যৌন সম্পর্কে এখনও জড়াইনি বলে বলতে পারছি না আমার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ইচ্ছে আছে নাকি আমার শারীরিক সমস্যা আছে । তবে সন্ন্যাস হবার ইচ্ছে আছে , কারণ ফাঁদে পড়বার ইচ্ছে নেই তবে আল্লাহর হাতে সব ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে। বিয়ে করা মানে তো নৈতিকতার বিসর্জন দেয়া না। এটা আমি মজা করে বলেছি। বরং বিয়ে করলে নৈতিকতা বজায় রাখা সহজ হয়। এই কারণে আদিকাল থেকেই ধর্ম, বর্ণ, সমাজ নির্বিশেষে বিয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ঘন ঘন পার্টনার পরিবর্তন কোন ভালো কথা না। এটা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। কারণ এতে বাচ্চারা নিপীড়িত হয়, হিংসা বিদ্বেষ বৃদ্ধি পায়, অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এই কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ অনুমোদিত হলেও একান্ত বাধ্য না হলে এই রাস্তায় যাওয়া উচিত না।
সন্ন্যাসী হতে চাইলে আগে উচিত বিয়ে করা। কারণ বিয়ে করার পর অনেকেরই মনে সন্ন্যাসী হওয়ার সাধ জাগে। যেমন গৌতম বুদ্ধ। সুন্দরী স্ত্রী ফেলে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন।
১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সন্ন্যাসী হতে চাইলে আগে উচিত বিয়ে করা। কারণ বিয়ে করার পর অনেকেরই মনে সন্ন্যাসী হওয়ার সাধ জাগে। যেমন গৌতম বুদ্ধ। সুন্দরী স্ত্রী ফেলে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন।
অ্যাঁঅ্যাঅ্যাহ , পরে বউ আমার নামে মামলা করুক আরকি । সন্ন্যাস হতে চাই জেলের ভাত খেতে চাই না ভাই মাফ করেন
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিয়েতে গড়িমসি করার জন্য বরং প্রেয়সী মামলা করতে পারে। তাই আর দেরী নয়। শুভ কাজে দেরী করতে হয় না।
১২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
বাংলাদেশের সমাজ এবং আমার ধর্ম বিবাহ ছাড়া বাচ্চা নেওয়া সমর্থন করে না। অতএব এটা নিয়ে কী আর বলবো। ইন্দোনেশিয়ায় বিবাহ ছাড়া যৌন সম্পর্ক করলে একবছর জেল আইন করছে কারণ কী।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্মহীনতা পৃথিবীকে গ্রাস করতে যাচ্ছে। আমাদের দেশে তাও ধর্ম মানা লোক আছে। অনেক দেশে ধর্ম মানা লোকরা ধীরে ধীরে সংখ্যালঘুতে পরিনত হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ায় যে আইন করেছে এটার পিছনে ধর্মীয় কারণ থাকতে পারে। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বেশী মুসলমান জনসংখ্যার দেশ হল ইন্দোনেশিয়া। এরা সম্ভবত সেকুলার এবং শরিয়া আইনের মাঝামাঝি একটা আইন করেছে এই ব্যাপারে।
১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫৭
অনল চৌধুরী বলেছেন: বিয়ে করে বাংলাদেশেও অগণিত লোক পর-নারী-পুরুষের সাথে সম্পর্ক করে।
এরা বিয়ের পবিত্রতা নষ্ট করছে।
শিরোনাম ইংরেজীতে কেনো?
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিয়ে করে পরকীয়া করা অবশ্যই খারাপ কাজ। এরা বিয়ের পবিত্রতা নষ্ট করছে নিঃসন্দেহে। আমাদের দেশেও এটা দৃষ্টির আড়ালে বৃদ্ধি পাচ্ছে যেটা সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ। পশ্চিমের মত হওয়ার আগেই আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে। মুসলিম প্রধান দেশ না হলে এই দেশের কিছু লোক লিভ টুগেদারের পক্ষে আইন চাইত।
সমস্যা হল পশ্চিমে বিয়ের বিকল্প হিসাবে লিভ টুগেদারকে সামাজিক এবং আইনগত স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে পাশ্চাত্যে বিবাহ প্রথা হুমকির সম্মুখীন। যদিও আইনত লিভ টুগেদারে অনেক দায়িত্ব নিতে হয় তারপরও আইনগত এবং সামাজিক দৃষ্টিতেও বিয়ে আর লিভ টুগেদারের মধ্যে অধিকার এবং দায়িত্বের ক্ষেত্রে পার্থক্য আছে। বিভিন্ন গবেষণা এবং জরীপ থেকে দেখা যায় যে লিভ টুগেদারের ফলে জন্মগ্রহণ করা শিশুদের অপরাধে ঝুকে পড়ার হার বেশী। লিভ টু গেদারের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেয়া মায়েরা অধিক হারে রাষ্ট্রীয় সাহায্যের মুখাপেক্ষী হয়। কোহেবিটেশনের (লিভ টুগেদার) চেয়ে বিয়েতে পরস্পরের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস বেশী থাকে। অধিকাংশ কোহেবিটেশন পার্টনার অর্থনৈতিক সুবিধাকে কোহেবিটেশনের একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ মনে করে কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে খুব মানুষই এইভাবে চিন্তা করে। গড়ে কোহেবিটেশনের স্থায়িত্ব বিয়ের চেয়ে কম হয়ে থাকে।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোস্টের নাম ইংরেজিতে দিয়েছি কারণ এই ছন্দময় শব্দগুলি মজার লাগলো। বাংলায় অনুবাদ করলে মজাটা থাকবে না।
১৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৯
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: খুব জরুরি ছিলো এর সমাধান কী হতে পারে তার একটা ব্যাখ্যা দেওয়া। আপনার লেখা এটাই প্রমাণ করে দ্বীন ইসলামই একমাত্র ধর্ম মানব জাতির কল্যাণের জন্য।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের সমস্যার সমস্যার সমাধান হল পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে নৈতিক স্খলনকে প্রতিহত করা এবং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক পরিহার করা। আর ইসলাম ধর্ম হল আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম যা কি না শুধু পিতৃ পরিচয়হীন সন্তানের সমস্যা না বরং ইহকাল এবং পরকালের সকল প্রকার সমস্যার সমাধান দিতে পারে। অন্য কোন ধর্ম বা জীবন ব্যবস্থা কেউ অনুসরণ করলে তার পরিণতি হবে জাহান্নাম। কারণ একমাত্র ইসলাম ধর্ম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। অন্য ধর্মগুলি ভুল বা বিকৃত। এটাই আমাদের মহানবীর (সা) শিক্ষা।
১৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৩
অনল চৌধুরী বলেছেন: মুসলিম প্রধান দেশ না হলে এই দেশের কিছু লোক লিভ টুগেদারের পক্ষে আইন চাইত। -যা দেশের প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১-২৫ বয়সী শিক্ষার্থীরা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্টান, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক জগত, অভিজাত নামধারীরা অবাধে করছে, সেটার জন্য আইনের দরকার হয়না্
দেশের প্রায় সবাই চুরি-দুর্নীতি করছে ।
এটাও কিন্ত আইন বিরুদ্ধে।
মানুষ কোনো কিছু না মানলে আর আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকেনা।
যে যা ইচ্ছা করুক, জয়ার মতো সন্তান না নিলেই আর কোনো ঝামেলা থাকে না।
কারণ এখন বিয়ে টেকে না।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অপরাধী তার অপরাধ ঢাকার জন্য অনেক যুক্তি দেখায়। বাংলাদেশের একজন বড় মন্ত্রী ঘুষকে স্পিড মানি বলে হাল্কা করার চেষ্টা করেছিলেন কয়েক বছর আগে। ভবিষ্যতে ঘুষকে পরামর্শক ফি হিসাবে আইন পাস হলেও আশ্চর্য হব না। এক উচ্চশিক্ষিত, অতি মেধাবী, উঁচু পদের ঘুষখোর ঘুষ নেয়ার সময় বলে যে এটা তো পরামর্শক ফি। এক উঁচু পদের, প্রথম শ্রেণীর রাষ্ট্রীয় মহিলা ঘুষখোর কর্মকর্তা বলে যে তার সিনিয়ররা প্রশিক্ষণের সময় বলেছে যে কেউ স্বেচ্ছায় ঘুষ দিলে নিবেন, ফেরত দেয়ার দরকার নাই। গর্ভপাতের ক্ষেত্রে এক সময় আইনের বাধা থাকার কারণে বিশ্বব্যাপী ডাক্তারদের দিয়ে বলানো হতো যে এটা গর্ভপাত না এটা হল Menstruation regulation (MR)। অর্থাৎ মাসিক সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করার একটা প্রক্রিয়া। আসলে যেই লাউ সেই কদু। বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা প্রোগ্রামেও ধর্মীয় এবং আইনগত বাধার কারণে গর্ভপাত শব্দটা এড়ানোর জন্য এখনও এমআর শব্দটা ব্যবহার করা হয়। একজন বড় ব্যাংকার যিনি এক সময় ব্যাংকের এম ডি ছিলেন বলেন যে ব্যাংকের সুদ হারাম না। বাংলাদেশের মুসলমানরা কেবল মাত্র তখনই মদ খাওয়ার লাইসেন্স পেতে পারে যদি কোন ডাক্তার বলে যে স্বাস্থ্যগত কারণে রোগীর মদ খাওয়ার দরকার আছে। পতিতাবৃত্তি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ আবার পতিতাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা সম্ভবত আছে বা ছিল। তাই আইনগুলির মধ্যেই অনেক অসঙ্গতি বিদ্যমান। আইনই অনেক ক্ষেত্রে অন্যায়কে বৈধতা দিচ্ছে বিভিন্ন অপকৌশলের মাধ্যমে।
তাই অনেক ক্ষেত্রে অন্যায় করার লাইসেন্স এবং আইনগত স্বীকৃতি পাওয়া যায় এই দেশে।
তরুণ প্রজন্ম উসস্রিঙ্খল যৌনতা, মদ আর নেশায় বুদ হয়ে থাকলে এই দেশের শাসকদের সুবিধা। এই কারণে আইন থাকলেও সেটা প্রয়োগ করার কোন আগ্রহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নেই। ঘুষ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন থাকলেও সেটার প্রয়োগ হয় না কারণ শাসক গোষ্ঠীর অনেকে এই ঘুষ, দুর্নীতির সাথে জড়িত। যে আইন প্রয়োগ করতে অনীহা সেই আইন তৈরি করে কোন লাভ হয় না।
যৌনতা সংক্রান্ত নৈতিক স্খলন এমন জিনিস যে এটা এক সময় না এক সময় প্রকাশ পেয়ে যায় এবং ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়। তবে আপনি জয়ার উদাহরণ দিয়ে যেটা বুঝাতে চেয়েছেন সেটা পালন করার চেষ্টা করে উন্নত বিশ্বের মানুষেরা। রাষ্ট্রীয়ভাবে জন্মবিরতিকরন সরঞ্জাম কিশোর কিশোরীদের দেয়া হচ্ছে বিনা মূল্যে। অর্থাৎ যা কিছু কর বাচ্চা না হলে কোন সমস্যা নাই। বাচ্চা হলে জিং জিং ধরা পড়ে যায়। বাচ্চা না হলে কে কি করলো কে দেখে। বিয়ে বেশীদিন টিকতে চায় না। তাই বাচ্চা নেয়াও একটা বিপদ।
আমাদের দেশে এখনও বিয়ে প্রথার মূল্য আছে। কিন্তু এই লিভ টুগেদারের চর্চা দেশে বিস্তার লাভ করলে সেটাও হুমকির মুখে পড়বে। আবার বিয়ে করেও পরকীয়া সম্পর্কে জড়াচ্ছে অনেকে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে পরকীয়া করা আগের চেয়ে সহজ হয়ে গেছে। এগুলি কোন সমাজের জন্যই কল্যাণকর না।
১৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৩৪
অনল চৌধুরী বলেছেন: বিয়ে, লাম্পট্য ও বহুগামিতা
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আপনার লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ে আজকে কালকের মধ্যে মন্তব্য করবো। এই লেখাটায় আগেই আমার মন্তব্য করা উচিত ছিল।
১৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৯
নতুন বলেছেন: বিয়ে দরকার হয়েছিলো সম্পত্তির উত্তারিধাকারের প্রশ্ন থেকে।
এখন উন্নত বিশ্বের সমাজে ব্যক্তি সম্পত্তির বিষয়টা অত বড় বিষয় না। তাই বিয়ের বাধনে জড়াতে চাইছেনা মানুষ।
নারীরা অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বি হচ্ছে তাই মুখবুজে স্বামীর সব কথা মানে নিতে তারা বাধ্য নয়।
বিয়ের প্রয়োজনিয়তা টা আরো হালকা হয়ে যাবে সামনের দিনগুলিতে।
অবশ্য ভালোবাসার সংসারের সুখ অনেক বেশি যেটা আমার মনে হয় লিভটুগেদার বা অন্য কোন রকমের সংসারের মানুষ পাবেনা।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিয়ে প্রথা চালু হয়েছে যৌনতাকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য। মানুষ কুকুর বেড়ালের মত আজকে একজনের সাথে আবার কয়েকদিন পরে আরেকজনের সাথে যৌন সম্পর্ক তৈরি করলে সমাজে অনেক ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয়। যেমন পার্টনারদের মধ্যে হিংসা, সহিংসতা, শিশুর মানসিক, আবেগজনিত এবং অধিকারজনিত সমস্যা, সিঙ্গেল মাদার সমস্যা ইত্যাদি। পশ্চিমে সিঙ্গেল মাদার সমস্যা একটা বড় সমস্যা। ব্রোকেন পরিবারের বাচ্চাদের মানসিক ও আবেগজনিত সমস্যাও একটা বড় সমস্যা। সিঙ্গেল মাদার বাচ্চাদের মধ্যে ড্রাগ এবং অন্যান্য অপরাধ প্রবণতা বেশী থাকে। এগুলি পশ্চিমের বড় সামাজিক সমস্যা। এটার কারণ হল বিয়ে বা লিভ ইন সম্পর্ক ঘন ঘন পরিবর্তন করা।
পশ্চিমের পিতৃত্ব সংক্রান্ত বেশীর ভাগ মামলার কারণ মুলত অর্থনৈতিক। কারণ পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলে পিতা সন্তানের খরচ দিতে বাধ্য। টাকা দিতে না পারলে জেল খাটতে হয়। আবেগ এবং পারিবারিক কলহের কারণেও কিছু মামলা হয়। পুরুষ আর নারীর মধ্যে আস্থা আর ভরসার জায়গা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কেউ কাউকে বিশ্বাস করছে না এবং কোন বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে চাচ্ছে না।
পশ্চিমে পুরুষদের ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে সম্পত্তি হারানোর সম্ভবনা বেশী তাই পুরুষরা বিয়ে করতে চায় না। নারীরা পুরুষদের কর্তৃত্ব চায় না। তাই নারীরাও বিয়ে বিমুখ।
সবচেয়ে বড় কথা ওদের দৃষ্টিভঙ্গি হল সেক্স সুলভ হয়ে গেলে কে এইসব ঝামেলার মধ্যে যেতে চায়। কিন্তু এটা ভুলে যায় যে সেক্স থেকে বাচ্চা হয়। আবার যদি ধরে নেই যে কেউই বাচ্চা নিতে আগ্রহী না তাহলে এই সিদ্ধান্ত সমাজের জন্য কখনও ভালো হতে পারে না। কারণ মানবজাতির বিকাশের জন্য বাচ্চা জন্মদানের প্রয়োজন আছে। এরা বাচ্চা জন্ম দিয়ে পার্টনার দ্রুত বদলে ফেলে। ফলে বাচ্চার সমস্যা হয়।
পশ্চিমে বিবাহপ্রথা উঠে যাচ্ছে বলেই একজন মানুষ জীবনে ঘন ঘন পার্টনার পরিবর্তন করছে। লিভ টু গেদারের গড় স্থায়িত্ব হল প্রায় দুই বছরের মত। বিয়ের ক্ষেত্রে হয়তো সেটা ৮-১০ বছর। এই প্রবনতার পরিণতি সম্পর্কে প্রথম প্যারাগ্রাফে বলেছি। বিয়ের উদ্দেশ্য হল পার্টনার পরিবর্তনকে কমিয়ে আনা। বড় কোন কারণ না থাকলে বিয়েকে আজীবন টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা।
পশ্চিমে পার্টনার পরিবর্তনের বড় কারণ একে অন্যের সাথে প্রতারনা করা। ফলে আর্থিকভাবে সৎ হলেও এই সমাজে এই ধরণের প্রতারনার মাত্রা খুব বেশী। বিয়ের ক্ষেত্রে প্রায় ২৫% পুরুষ এবং ১৫% নারী সম্পর্কের ক্ষেত্রে পার্টনারের সাথে প্রতারনা করে। লিভ টু গেদারের ক্ষেত্রে এই হার আরও বেশী। ফলে অবাধ যৌনতা সমাজে এই ধরণের প্রতারকের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি করছে। জাতির প্রায় ৫০% প্রতারনায় যুক্ত থাকলে সেটা কোন জাতির জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। বিয়ের প্রথা উঠে গেলেও কোন নারী বা পুরুষ চায় না প্রতারিত হতে। কিন্তু বিয়ের চেয়ে লিভ টু গেদার বা অস্থায়ী সম্পর্কে প্রতারনার হার আরও বেশী। বিয়ের প্রথা উঠে গেলেও এই প্রতারনার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। যেটা কোনভাবেই সমাজের জন্য ভালো না।
১৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৯
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিয়ে প্রথা চালু হয়েছে যৌনতাকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য। মানুষ কুকুর বেড়ালের মত আজকে একজনের সাথে আবার কয়েকদিন পরে আরেকজনের সাথে যৌন সম্পর্ক তৈরি করলে সমাজে অনেক ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
বিয়ের প্রথা চালু হয়েছিলো, সম্পত্তির উত্তারাধিকার, রাজা বা জমিদারেরে উত্তরাধিকারের কারনে ,পারিবারিক বা গোস্ঠির সাথে সম্পর্কের।
আগের দিনে ক্ষমতাবানদের রক্ষিতা, উপপন্তীর, দাসীর প্রচলন ছিলো। তাই যৌনতা নিয়ন্ত্রনের কারনে বিয়ে অবশ্যই প্রধান কারন ছিলো না।
প্রতারনা খুবই খারাপ জিনিস, মানুষের মন ভেঙ্গে দেয়।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যাদের কথা বলছেন এরা সমাজের একটা অভিজাত শ্রেণী যারা জনসংখ্যার ১% বড় জোর হতে পারে। রক্ষিতা , উপপত্নি এগুলি কোন কালেই সমাজে ভালো চোখে দেখা হত না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: শেরজা এবং আপনি ভারী ভারী পোষ্ট লিখছেন।
এরকম পোষ্ট ব্লগের জন্য খুব গুরুত্ব্বপূর্ন। আমি এরকম পোষ্ট লিখতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। অনেক পড়তে হয়।