নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে দেশে বিয়ে করা যায় কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদ করা যায় না

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪৬

পৃথিবীতে দুইটা দেশ আছে যেখানে মানুষ বিয়ে করতে পারে কিন্তু কখনই বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারে না। একটা দেশ হল ফিলিপিন্স এবং আরেকটা দেশ হল ভ্যাটিকান সিটি। ভ্যাটিকান সিটি হল ক্যাথোলিক খৃস্টান ধর্মগুরুদের প্রধান কার্যালয়ের মত। খুবই ছোট একটা দেশ (১ বর্গ কিলোমিটারের চেয়েও ছোট) যেখানে মাত্র ৮০০/ ৯০০ লোক বাস করে। ঐ দেশের নাগরিক ছাড়াও বহু লোক ভ্যাটিকান ভ্রমনে যায়। এই দেশে কোন বিবাহ বিচ্ছেদের বিধান নাই।

ফিলিপাইনে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া স্বামী বা স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে না। ফিলিপাইন মুলত একটা ক্যাথোলিক খৃস্টান অধ্যুষিত দেশ। বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে খৃস্টান ক্যাথোলিকদের নিয়মের চেয়েও ফিলিপাইনের আইন কড়া। এমনই কড়া যে এই দেশে আইনত কোন বিবাহ বিচ্ছেদ নাই। এই ধরণের কোন আইনই নেই যার দ্বারা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো যেতে পারে।

ফিলিপাইনে একটা আইন আছে যার দ্বারা বিবাহের চুক্তিকে বাতিল করা যায়। এই বাতিলের অর্থ দাড়ায় যে, শুরু থেকেই বিয়েটা বেআইনি বা অবৈধ ছিল। অর্থাৎ বিয়ের শুরু থেকে বাতিল হওয়া পর্যন্ত সময়ের বাচ্চা, কাচ্চা থেকে শুরু করে স্বামী স্ত্রীর সকল রকমের সম্পর্ক এবং লেনদেনই অবৈধ ছিল। এই প্রক্রিয়াও খুব সহজ না। ৩/৪ বছর লেগে যায় আদালতের রায় পেতে। আইনি খরচ হয় প্রায় একজন ফিলিপাইনের নাগরিকের ১ বছরের আয়ের সমান। এই দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বামী বা স্ত্রী কোন সম্পদ ক্রয় করলে সেটা ঐ দম্পতির যৌথ সম্পদ হিসাবে গণ্য হতে থাকে। এই সময়ে স্বামী বা স্ত্রী অন্য কারও সাথে সম্পর্কে জড়ালে আইনত সেটা একটা অবৈধ সম্পর্ক। যার শাস্তি জেল পর্যন্ত হতে পারে।

ফিলিপাইনে প্রায় ৫% লোক হল মুসলিম। এদের জন্য আছে পৃথক মুসলিম আইন যে আইনের সাহায্যে মুসলমানরা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে।

আবার আইনি প্রক্রিয়ায় বিবাহ চুক্তি বাতিল করার পরও চার্চের মাধ্যমে আলাদাভাবে বিবাহ চুক্তি বাতিল করতে হয়। এটা না করলে চার্চ কর্তৃপক্ষ অন্যত্র বিয়ে করার অনুমতি দেয় না। চার্চের এই প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক সময় ১০ বছরও লাগে।

বিয়ে চুক্তি বাতিলের ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীকে আদালতে প্রমাণ করতে হয় যে বিয়ের চুক্তি বাতিলযোগ্য। যেমন হয়তো বিয়ের সময় স্বামী বা স্ত্রীর বয়স ১৮ বছরের কম ছিল অথবা ঐ স্বামী বা স্ত্রীর অনিরাময় যোগ্য সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড কোন রোগ আছে অথবা একাধিক বিয়ে আছে ইত্যাদি। এইভাবে বিয়ের চুক্তি বাতিল করলে আইনত ধরে নেয়া হয় যে এই দম্পতি কোন কালেই বিবাহিত ছিল না। একারণে অনেক আইনি এবং সামাজিক জটিলতা সৃষ্টি হয়।

ফিলিপাইন উনবিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত যখন স্পেনের উপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিল তখন স্প্যানিশরা ক্যাথোলিক নিয়মে বিবাহ বিচ্ছেদের বিধান রেখেছিল। যদিও ক্যাথোলিকদের বিবাহ বিচ্ছেদের নিয়মও বেশ জটিল এবং কঠিন শর্তযুক্ত। ক্যাথোলিক নিয়মে কেবল মাত্র কোন স্পাউস ব্যভিচার করলে কিংবা অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হলে বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি আছে।

ফিলিপাইনের সংবিধান অনুযায়ী বিবাহ হল একটা অলঙ্ঘনীয় সামাজিক ইন্সটিটিউশন এবং পরিবারের ভিত্তি যে কারণে বিবাহকে রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব হিসাবে গণ্য করা হয়। ফিলিপাইনের বর্তমান আইনে ব্যভিচার বা ধর্ম পরিবর্তন করলেও বিবাহ বিচ্ছেদ করা যায় না। যদিও দেশের সিংহভাগ লোক ক্যাথোলিক খৃস্টান।
স্পেনের পরে যুক্তরাষ্ট্র ১৮৯৮ সাল থেকে প্রায় ৫০ বছর ফিলিপাইনকে শাসন করে। অ্যামেরিকানরা ঐ সময়ের আইনের দ্বারা শুধু ব্যভিচার বা উপপত্নীর ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দিত। জাপান যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফিলিপাইনের দখল নেয় তখন তারা বিবাহ বিচ্ছেদের আইন সহজ করেছিল। কিন্তু ফিলিপাইন যখন স্বাধীন হয় তারপর থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের আইনই উঠে যায়। ফলে আইনত ফিলিপাইনে কোন বিবাহ বিচ্ছেদের নিয়ম নাই।

ফিলিপাইনের আইনে স্পাউস কর্তৃক প্রতারনা কিংবা শারীরিক নির্যাতন ঘটলেও বিবাহ বিচ্ছেদ করা যায় না। যদি স্বামী বা স্ত্রী প্রমাণ করতে পারে যে স্পাউস মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন অথবা সে অস্বাভাবিক মানসিক আচরন করে সেই ক্ষেত্রে বিবাহ চুক্তি বাতিলের রায় দেয়া হয়। ফলে বিচ্ছেদের কারণ ভিন্ন হলেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাই এই মানসিক সমস্যাকে বা ভারসাম্যহীনতাকে প্রমাণ করার চেষ্টা করে বিভিন্ন মিথ্যা কথা এবং মিথ্যা সাক্ষ্যের মাধ্যমে। এই আইনি প্রক্রিয়ায় প্রায় ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা লাগে এবং অনেক ক্ষেত্রে আদালতে অনেকভাবে অপমানিত হতে হয়।

বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের সমর্থনে একটা বিল ২০১০ সালে উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু আইন প্রণেতাদের অনেকে বলেছেন যে তারা চায় না যে ফিলিপাইন লাস ভেগাস হয়ে যাক যেখানে সকালে বিয়ে করে বিকেলে বিচ্ছেদ ঘটানো হয়ে থাকে। ২০১৪ সালে ৬০% লোক বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের পক্ষে ছিল। কিন্তু ঐ সময় আইন প্রণেতাদের একজন বলেছেন যে এই আইন পাস হলে আমার স্ত্রী এটা আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে।

ফিলিপাইনে আরেকটা আইন আছে যার দ্বারা স্বামী বা স্ত্রী আইনগতভাবে পৃথক থাকার অধিকার অর্জন করতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় তাদের সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় পৃথক হয়ে যায় এবং তারা আলাদা থাকতে পারে। কিন্তু এই পদ্ধতির দ্বারা স্বামী এবং স্ত্রীর বিয়ের আইনি অবসান ঘটে না এবং অন্য কাউকে বিয়ে করার আইনগত অধিকার তৈরি হয় না।

বিয়ে করাও সহজ না আবার বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটানোও সহজ না। তারপরেও মানুষ বিয়ে করে। তবে এখন উন্নত অনেক দেশে বিয়ে করা কমে গেছে। হয়তো ভবিষ্যতে বিয়ে প্রথা আর থাকবে না ঐ সব দেশে। বিয়ে একটা সামাজিক চুক্তি। যে কোন চুক্তিতেই অবসান করার একটা ধারা থাকে। ফিলিপাইনে এই চুক্তির অবসানের কোন সুযোগ নাই। আরও কিছু দেশ আছে যেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া বেশ জটিল। একমাত্র ইসলাম ধর্মে বিয়ে করা এবং বিবাহ বিচ্ছেদ করা অপেক্ষাকৃত সহজ (মেয়েদের ক্ষেত্রে অবশ্য বিচ্ছেদের কিছু ঝামেলা আছে)। যারা ব্লগে বিয়ে করেছেন বা করেছিলেন তাদেরকে অভিনন্দন। যারা সামনে করবেন বলে পরিকল্পনা করেছেন তাদেরকেও আগাম অভিনন্দন। যারা বিয়ে করেন নাই বা করতে চান না তাদেরকেও অভিনন্দন কারণ সেই ক্ষেত্রে বিচ্ছেদের কোন ঝামেলা নাই। (বিবাহ এবং বিচ্ছেদ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে বিবাহ হল বিচ্ছেদের অন্যতম প্রধান কারণ)। ফিলিপাইন আর জাপানে গিয়ে বিয়ে করার সময় ঐ দেশ দুটির ভালো কোন আইনজীবীর পরামর্শ নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। নইলে ইমরান শরিফের মত রাস্তায় নেমে হাউ মাউ করে কাঁদতে হতে পারে।

সূত্র -
theatlantic.com/international/archive
goldbergjones-or.com/divorce/10-odd-divorce-laws-from-around-the-world

ছবি - todaysfamilylawyer.co.uk

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৩৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: ফিলিপাইনের আইনে স্পাউস কর্তৃক প্রতারনা কিংবা শারীরিক নির্যাতন ঘটলেও বিবাহ বিচ্ছেদ করা যায় না। এটা কোনো সভ্য দেশের আইন হতে পারেনা।
লম্পট, নষ্ট, মাতাল, দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ নেশাখোর নারী-পুরুষের প্রতারণা ও মিথ্যাচারের কারণে অনেকেই বিয়ে করে।
কিন্ত একসাথে থাকা অসম্ভব হলে এজন্য বিচ্ছেদ করা যাবে না কেনো ?

এ্যামেরিকায় বিচ্ছেদের সংখ্যা গত ১০০ বছর ধরে ৫০% এর বেশী। কিন্ত সেখানেও বিচ্ছেদ এতো সোজা না।
আদালতে গিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করতে হয়।
যথেষ্ট কারণ না থাকলে আদালত অনেক সময়ে্ আবেদন বাতিল করে একসাথে থাকার নির্দেশ দেয়।
কে্উ একসাথে থাকতে পারলে বিয়ে করুক, না পারলে দরকার নাই।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওদের সংবিধানে নাকি আছে যে বিবাহ হল একটা অলঙ্ঘনীয় সামাজিক ইন্সটিটিউশন এবং পরিবারের ভিত্তি যে কারণে বিবাহকে রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব হিসাবে গণ্য করা হয়।

অ্যামেরিকায় বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন খারিজ করে একসাথে থাকতে দিলে তো মারামারি লাগার কথা।

আপনি বলেছেন 'কেউ এক সাথে থাকতে পারলে বিয়ে করুক, না পারলে দরকার নাই।' এই কারণেই মনে হয় ফিলিপাইনের সরকারও ধরে নেয় যে বিয়ে করার যখন এত শখ এখন তাহলে বোঝ মজা। নো বিবাহ বিচ্ছেদ। বুঝে শুনে বিয়ে করতে পারনি!!!

ফিলিপাইন আবার অ্যামেরিকার কালচার খুব ফলো করতে চায় সব ক্ষেত্রে। ওদের উপনিবেশ ছিল প্রায় ৫০ বছর।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: ভ্যাটিকানে কি বিয়ে করার অনুমতি আছে?
ওখানে মাত্র একজন নারী নান আছে আর ৩৬ জন বিভিন্ন কাজের জন্য বহিরাগত মহিলা। ওখানকের শেষ পোপ বিয়ে করেছিলেন ১০০০ বছর আগে। এরপরে বিয়ের আইন নিষিদ্ধ হয়ে যায় সম্ভবত।

ফিলিপাইনের বিষয়টা জানতাম না। ভাল লিখেছেন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভ্যাটিকানের চার্চে গিয়ে কেউ চাইলে বিশেষ অনুমতি নিয়ে বিয়ে করতে পারে। এই কারণে সেখানে বিয়ের নিয়ম আছে। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের নিয়ম নেই। ওখানে ধর্মীয় গুরু ছাড়াও কিছু চাকর বাকর, প্রহরী, কর্মচারী, কূটনীতিবিদ নিশ্চয়ই আছে। পাদ্রীরা বিয়ের মজা না বুঝলেও এরা তো বিয়ের মজা বোঝে তাই বিয়ে করে। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদ করতে হলে এদেরকে কষ্ট করে অন্য কোথাও যেতে হবে।

শেষ বিবাহিত পোপ ১০০০ বছর আগে হলেও পোপেরা কিন্তু অনেকে বিয়ে ছাড়াই বাচ্চার বাবা হয়েছেন আদিকালে। এদের মধ্যে কেউ কেউ পোপ হবার আগে বিয়ে ছাড়া বাচ্চার বাবা হয়েছেন। আবার অনেক পোপ হওয়ার পরেও বিয়ে ছাড়া বাবা হয়েছেন।

পোপ হওয়ার আগে পাদ্রী অবস্থায় অবৈধভাবে যারা বাবা হয়েছেন বলে অভিযোগ আছে বা সন্দেহ করা হয় তাদের উদাহরণ;
পোপ ক্লিমেন্ট (৭) - ওনার একটা বাচ্চা ছিল যার মা ছিল দাসী।
পল (৩) - ওনার ঔরসে চারটা বাচ্চার জন্ম হয় একজন রক্ষিতার মাধ্যমে।
গ্রেগরি ১৩ - একজন নারীর সাথে সম্পর্ক ছিল এবং বাচ্চার বাবা হয়েছিলেন।
লিও ১২ - ৩ বাচ্চার বাবা ছিলেন। একটা অবৈধ সম্পর্ক ছিল।
জুলিয়াস ২ - অবৈধ সম্পর্ক থেকে ওনার ৩টা বাচ্চা হয়েছিল। ওনার বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগও ছিল।

পোপ হওয়ার পরে যাদের বিরুদ্ধে অবৈধ পিতা হওয়ার বা যৌনতার অভিযোগ ছিল বা সন্দেহ করা হয়;
সেরজিয়াস ২ - কমপক্ষে ১ টা বাচ্চা ছিল
জন ১০ -
জন ১২ -
আলেকজান্দার ৬ - সন্তানের পিতা ছিলেন।

সমকামিতার অভিযোগ ছিল যে পোপদের বিরুদ্ধে -
পল ২
সিক্সটাস ৪
লিও ১০
জুলিয়াস ৩

নারী এবং পুরুষ উভয়ের সাথে যৌন সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ আছে যে পোপের বিরুদ্ধে; - বেনেডিকট ৯ ।

সুত্র - Click This Link

তথ্য সঠিক কি না আমি জানি না। আমি উইকিপিডিয়া থেকে এই তথ্য পেলাম।

আসলে সন্ন্যাসব্রত পালন করা মানুষের পক্ষে ( ব্যতিক্রম ছাড়া) সম্ভব না বলেই বিবাহের ব্যাপারে ইসলামে জোর দেয়া হয়েছে।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক এইজন্য ইসলামে বিবাহ বিচ্ছেদ প্রকৃয়া সহজ করা হয়েছে। আল্লাহ সবচেয়ে ভাল জানেন সবকিছু।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জোরালো কারণ না থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর রসূল (সা) একজন মহিলা সাহাবীকে বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছিলেন। ইসলামে কোন চরম পন্থা নাই। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মানুষের মনের খবর জানেন এই কারণে বিবাহ এবং বিচ্ছেদকে বাস্তবসম্মত করেছেন।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার জানামতে ভ্যাটিক্যান সিটিতে পোপদের বাস- যেখানে কেউ বিয়ে করেনা। তবে নারীরা আছেন-যারা 'নান' নামে পোপদের আধুনিক সেবাদাসী আছে! ফিলিপিন্সের অজানা বিষয়টা জেনে ভালো লাগলো।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোপদের যৌনতার বিষয়ে উপরে ২ নং প্রতি মন্তব্যে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি। আসলে সন্ন্যাস ব্রত অস্বাভাবিক একটা বিষয় (ব্যতিক্রম ছাড়া)। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে কোন নিয়ম চালু করা ঠিক না।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভার্টিকান্সিটি নিয়ে ইতিমধ্যে শেজদা তপন ভাই বা জুলভার্ন ভাই বলেছেন আমিও সেরকমই জানি। ওটা খ্রিস্টান ধর্মের প্রশাসকের জন্য জায়গাটা সংরক্ষিত। ওখানে কোনো সাংসারিক মানুষ আছে বলে আমারাও জানা নেই। ফিলিপাইন্সের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নতুন লাগলো। এ প্রসঙ্গে একটা প্রশ্ন জেগেই যায়। ওখানে কি তাহলে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বলে কোন বিষয় নেই? থাকলে সেসব কীভাবে নিষ্পত্তি হয়?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ২ নং মন্তব্যের প্রতি উত্তরে ভ্যাটিকানের পোপদের কাজ কারবার নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেছি। এগুলি কতটা সত্য আমি নিশ্চিত না। উইকিপিডিয়া থেকে পেয়ে এখানে দিলাম। বিয়ে বন্ধ হলেও সম্ভবত পাদ্রী এবং নানদের জিং জিং খেলা বন্ধ হয়নি। মাঝে মাঝে খেলতে গিয়ে বাচ্চাও হয়ে যায় শোনা যায়। কোন ধর্মকেই ছোট করতে চাচ্ছি না। তবে এগুলি আসলে ঘটছে। তত্ত্ব উপাত্ত তাই বলে। চার্চ এগুলিকে আর গোপন রাখতে পাড়ছে না।

এই অদ্ভুত আইনের কারণেই হয়তো ফিলিপাইনে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স বেশী। বিবাহিত ৪ জনের নারীর মধ্যে ১ জন গৃহ নির্যাতনের শিকার হয়। নীচের এই লেখাটা পড়তে পারেন আরও ভালো করে জানার জন্য।

https://www.mironline.ca/inaccessibility-domestic-violence-and-lack-of-protection-should-the-philippines-legalize-divorce/

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন:




আমি ভাবতাম ভ্যাটিক্যান সিটিতে শুধুই নান আর ধর্ম যাজকদের বসবাস।
বিয়ে যে হয় তাই জানতাম না :)
আমি ওখানে একবার গিয়েছিলাম।


১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভ্যাটিকানের নান এবং জাজকরা বিয়ে করে না। তবে অনেক কিছুই করে বলে শোনা যায়। যাহা রটে কিছু তো বটে। কিছু তথ্য প্রমাণও পাওয়া যায়। খৃস্টানদের কিছু শাখায় জাজকরা বিয়ে করতে পারে। তবে ক্যাথোলিকরা সম্ভবত পারে না। সাধারণ ক্যাথোলিকরা বিয়ে করলে ধর্মের নিয়মে বিচ্ছেদ হওয়া বেশ কঠিন একটা কাজ।

ভ্যাটিকানে নান আর জাজক ছাড়াও চাকর বাকর, প্রহরী, কূটনীতিক আছেন। ওনারা বিয়ের মর্ম বোঝেন। তাই বিয়ে করেন। তবে বিয়ে করার পরে বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটাতে চাইলে কষ্ট করে ভ্যাটিকানের বাইরে যেতে হবে ওনাদের।

ভ্যাটিকান সিটি তো খুবই ছোট দেশ। আমার মনে হয় হেঁটেই পুরো দেশ দেখা যায়। কোন গাড়ি নাই মনে হয়। ঘোড়া থাকতে পারে।

৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: জোর করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ রাখার কী বর্বর আইন !

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এমনিতেই বিয়ে করতে চায় না। তার উপর বিবাহ বিচ্ছেদের এই ধরণের কড়া আইন। বিয়ে করেও আসলে শান্তি নাই। আপনি ভালো আছেন। শুনেছি একটা আইন আসছে বাংলাদেশে যে ছেলে বা মেয়ে নিজের ইচ্ছায় ৪০ বছরের মধ্যে বিয়ে না করলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিয়ে দিয়ে দেয়া হবে লটারির মাধ্যমে। সব খরচ সরকার দেবে।

৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
খুব কঠিন অবস্থা। যখন বিচ্ছেদ অনিবার্য তখন একসাথে থাকা মানে আনন্দহীন বেঁচে থাকা।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুবই অস্বস্তিকর একটা অবস্থা এই ক্ষেত্রে হওয়ার কথা। আমাদের দেশে সমাজ কি বলবে এই কথা মনে রেখে অনেক সম্পর্ক জোর করে টিকিয়ে রাখা হয়। এর প্রভাব পড়ে বাচ্চাদের উপর।

৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০২

মিরোরডডল বলেছেন:




ফিলিপাইনবাসীদের জন্য সমবেদনা। করুণ পরাধীন জীবন। :(

ফিলিপাইনে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া স্বামী বা স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে না।

সেখানে নিশ্চয়ই স্পাউজ মার্ডার কেইস সবচেয়ে বেশি :)

ফিলিপাইনে একটা আইন আছে যার দ্বারা বিবাহের চুক্তিকে বাতিল করা যায়। এই বাতিলের অর্থ দাড়ায় যে, শুরু থেকেই বিয়েটা বেআইনি বা অবৈধ ছিল। অর্থাৎ বিয়ের শুরু থেকে বাতিল হওয়া পর্যন্ত সময়ের বাচ্চা, কাচ্চা থেকে শুরু করে স্বামী স্ত্রীর সকল রকমের সম্পর্ক এবং লেনদেনই অবৈধ ছিল। এই প্রক্রিয়াও খুব সহজ না। ৩/৪ বছর লেগে যায় আদালতের রায় পেতে। আইনি খরচ হয় প্রায় একজন ফিলিপাইনের নাগরিকের ১ বছরের আয়ের সমান। এই দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বামী বা স্ত্রী কোন সম্পদ ক্রয় করলে সেটা ঐ দম্পতির যৌথ সম্পদ হিসাবে গণ্য হতে থাকে। এই সময়ে স্বামী বা স্ত্রী অন্য কারও সাথে সম্পর্কে জড়ালে আইনত সেটা একটা অবৈধ সম্পর্ক। যার শাস্তি জেল পর্যন্ত হতে পারে।

এই প্যারা পড়ে মনে হলো ওখানে অনেকেই তাহলে ফোর্সড ক্রিমিনাল, সিচুয়েশনের শিকার :(

যা বুঝলাম, শত্রুকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ফিলিপাইনের স্থায়ী বাসিন্দা করে পাঠাতে হবে :)

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওখানকার ক্যাথোলিক ফাদাররা বলে “We teach that marriage, once valid, can never be broken,” said Jerome Secillano, an official from the Catholic Bishops’ Conference of the Philippines, which represents the country’s Catholic leaders.

ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে এই সব উদ্ভট নিয়ম। এই কারণে ফিলিপাইনে গৃহ নির্যাতন বেশী সম্ভবত এই কারণে হত্যাও বেশী। ৪ জন বিবাহিত নারীর মধ্যে ১ জন নির্যাতিত হয়। স্পাউসের একজন যদি বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে সহযোগিতা না করে তাহলেই বিপদ।

তারপরও ফিলিপাইনের নারী পুরুষ বিয়ে করতে ভয় পায় না। :) আগে বিয়ে তো করি ।

১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিবাহ বিচ্ছেদে সন্তানদের সমস্যা হয়। সেজন্য বিবাহ বিচ্ছেদ না করাই ভালো। তবে একান্ত প্রয়োজন হলে যেন বিবাহ বিচ্ছেদ করা যায় তার বিধান থাকা উচিৎ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের ধর্মে এই কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের রাস্তা খোলা রাখা আছে। তবে অনেক ভেবে চিনতে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার ভাগ্য ভালো আপনি এ দুটি দেশের নাগরিক না।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বহু আগে আমি ফিলিপাইনে পড়তে গিয়েছিলাম। কিন্তু না পড়ে চলে আসি। ফিলিপাইনের মেয়েরা খুব সুন্দর এবং মিশুক। আমার ধারণা আমি ওখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিলে নিশ্চিত ফিলিপাইনের একটা মেয়ে বিয়ে করে নিয়ে আসতাম। ওখানে কিছু মুসলমানও আছে।

১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: বিবাহ ও বিচ্ছেদ বিষয়টা কঠিন বলে ফিলিপাইনে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক অনেক। আমার সাথে কাজ করতো বুতিস্তা নামের এক ভদ্রলোক তার মেয়ের ঘরের নাতীদের ছবি দেখাচ্ছিল আমাকে। জিজ্ঞেস করলাম তোমার মেয়ের জামাই কি করে? ও বলল আমার মেয়ের বিয়ে হয়নাই, তবে বয়ফ্রেন্ড আছে। আরো জেনে বুঝলাম, সামাজিক ভাবে বিয়ে ছাড়া বয়ফ্রেন্ড কর্তৃত বাচ্চা হওয়াটাকেও ওদের সমাজ স্বাভাবিক আচার মেনে নিয়েছে। আর এক কলিগ একসাথে দুইটা গার্লফ্রেন্ড নিয়ে সংসার করছে যা ওদের সমাজে স্বাভাবিক।

নতুন অনেক কিছু জানলাম আপনার লেখনীর মাধ্যমে-এমন লেখার জন্যই ব্লগ ছাড়তে পারিনা, ধন্যবাদ তথ্যনির্ভর সুন্দর লেখনীর জন্য।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিডল ইস্টে ফিলিপিনো নার্স অনেক বেশী। আর সারা বিশ্বে ফিলিপিনো নাবিক অনেক বেশী। এই পেশায় ওদের অবস্থান ভালো। তবে মিডল ইস্টে টাউট আর বাটপারির জন্য ওদের দুর্নাম আছে।

বিয়ের এত ঝামেলা আছে বলেই হয়তো তরুণ প্রজন্মের কাছে বয় ফ্রেন্ড গার্ল ফ্রেন্ডই ওদের জন্য সুবিধাজনক। ওরা অ্যামেরিকাকে খুব ফলো করে। অ্যামেরিকার উপনিবেশ ছিল প্রায় ৫০ বছর।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:



ভ্যাটিকান সিটি তো খুবই ছোট দেশ

রোম সেন্ট্রাল পয়েন্ট থেকে মাত্র ৫ কি.মি. ডিস্টেন্সেই ভ্যাটিকান সিটি।
হ্যাঁ স্যাচু খুবই ছোট।
পায়ে হেটে অল্প সময়ে পুরোটা ঘুরে দেখা যায়।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইতালি ভ্যাটিকান সিটিকে ঘিরে রেখেছে। ভ্যাটিকান সিটিতে বিবাহ বিচ্ছেদের আইন নাই। এক সময় ইতালিতেও ছিল না। ১৯৭৪ সালে ইতালি বিবাহ বিচ্ছেদের আইন চালু করে। ইটালির মত আরও কয়েকটা দেশে এক সময় বিবাহ বিচ্ছেদ নিষিদ্ধ ছিল।

১৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চরম পন্থা সবকিছুতে বিপদ ডেকে আনে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। কোন বিষয়েই চরম মনোভাব ভালো না। :)

১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫০

রানার ব্লগ বলেছেন: ভুলেও ফিলিপাইন মেয়ের দিকে তাকাবো না। বলা যায় না কি হতে কি হয়ে যায় তার পর বোঝ ঠ্যালা। ধর্ম যাজকদের লুকিয়ে চুরিয়ে গুল ফোটানো বহুত প্রাচীন কালীন অভ্যাস। সব ধর্মেই এমন হয়।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফিলিপাইনের আইনে হয়তো পরিবর্তন আসবে। কারণ এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা কাম্য না।

মানুষের স্বভাব বিরুদ্ধ কোন কিছু চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হলে সেটা কাজ করে না। মানুষ তখন অবৈধ রাস্তা খোঁজে।

১৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিয়ে করা যায় না এমন দেশ আছে নাকি দুই একটা?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সকল দেশের সরকার এটা ভালো করে জানে যে বিয়ে বন্ধ করলেও যৌন চাহিদা বন্ধ করা যাবে না। এই কারণে পৃথিবীর কোন দেশে বিয়ে নিষিদ্ধ না।

ফিলিপাইনে বিবাহ বিচ্ছেদের পক্ষে আইন করার চেষ্টা চলছে। এক সময় পৃথিবীর অনেক দেশেই বিবাহ বিচ্ছেদ নিষিদ্ধ ছিল। যেমন কানাডার অনেক প্রদেশে এক সময় বিবাহ বিচ্ছেদ নিষিদ্ধ ছিল। এছাড়া আরও কিছু দেশে এক কালে বিবাহ বিচ্ছেদ নিষিদ্ধ ছিল। যেমন আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি, মাল্টা, পানামা, প্যারাগুয়ে। মুলত ক্যাথোলিক খৃস্টান চার্চের প্রভাবে এই অবস্থা অতীতে ছিল। এখন চার্চগুলি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

১৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৫১

অনল চৌধুরী বলেছেন: মারধর বা বিশ্বাসভঙ্গের মতো বড় কারণ না ঘটলে শুধু এ্যামেরিকা না বৃটেনের আদালতও বিচ্ছেদ আাবেদন বাতিল করে একসাথে থাকতে বলে।
এই খবরটা পড়ে দেখেন।
https://www.theguardian.com/lifeandstyle/2017/mar/24/tini-owens-trapped-loveless-marriage-judges-refuse-divorce

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার দেয়া লিঙ্কের লেখাটা পড়লাম। এখন এই আইন থেকে যুক্তরাজ্য সরে এসেছে ২০২২ সালে। এই ধরণের ঘটনার কারণে এখন বেশীর ভাগ পশ্চিমা দেশে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই এক পাক্ষিকভাবে বিচ্ছেদের আইন আছে। ইসরাইলের শুধু পুরুষেরা একতরফা ভাবে কোন কারণ প্রদর্শন ছাড়াই স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে। সম্ভবত ইহুদি ধর্মের প্রভাব এটাতে আছে। মুসলমানদের ক্ষেত্রে যে সব দেশে ইসলামিক পারিবারিক আইন আছে সেখানে বিচ্ছেদের নিয়ম শরিয়া আইনের আলোকে।

১৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৫৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক এইজন্য বিবাহ বিচ্ছেদ প্রকৃয়া সহজ করা হয়েছে। -এই অধিকার শুুধু পুরুষের জন্য প্রয়োজ্য।
নারীর এই অধিকার নাই।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামিক শরিয়াতে নারীরা পুরুষদের মত তালাক ঘোষণা করার মাধ্যমে নিজে থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে না। ইসলামি আইনে নারীরা যে প্রক্রিয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে তাকে 'খুলা' বলে। দেশের আইনের সাহায্য নিয়ে নারীরা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে। এটা অনেকটাই নির্ভর করে আদালতের ইচ্ছার উপরে।

১৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমার কাছে বিয়েকে মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা !

বিয়ের পর তালাক হলে সন্তান থাকলে তাঁদের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে আবার দুজনের মধ্যে সমঝোতা না থাকলে উভয়ের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে । এছাড়াও আরও কত ঝামেলা যে আছে রে ভাই । তার চাইতে এই বিয়ে প্রথাই না থাকা উত্তম , তাই আমি বিয়ে বিরোধী আবার এন্টি নাটালিজমেও আমার অনুরাগ আছে !!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিয়ের বিকল্প হিসাবে জিং জিংকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে আইনি স্বীকৃতি দেয়া যায় কি না বলেন তো? বিয়ের বিকল্প হিসাবে একটা বৈধ পথ তো থাকতে হবে। আপনি বিয়ের একটা বাস্তবসম্মত বিকল্প প্রস্তাব বলেন দেখি।

পৃথিবীতে অনেক দেশে এখন বিয়ে ছাড়া বাচ্চার সংখ্যা বেশী। বেশীর ভাগ পশ্চিমা দেশে বিয়ে ছাড়া বাচ্চার সংখ্যা অর্ধেকের কাছাকাছি। তাই বিয়ে বন্ধ করলেও এটার দ্বারা এনটি ন্যাটালিজম সমর্থক বাড়ানোর কোন সম্ভবনা নাই। এনটি ন্যাটালিজম মানে সন্তান উৎপাদন না করা বা যারা পৃথিবীতে আসাটাই একটা ঝামেলা মনে করে। এই ধরণের চিন্তা তো সভ্যতা ধ্বংসের কারণ হতে পারে।

বাচ্চার বাবা না হওয়া পর্যন্ত পরিবারে বাচ্চার গুরুত্ব বুঝতে পারবেন না। কত দম্পতি নিঃসন্তান থাকার কারণে প্রচণ্ড মানসিক কষ্টে আছে তার হিসাব নাই। ইদানিং বাচ্চা না হওয়ার হার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

বাস্তবতা হল বিয়ে হবে, প্রয়োজনে বিচ্ছেদ হবে। বাচ্চাদেরও বাস্তবতা এক সময় মেনে নিতে হবে। তবে বিচ্ছেদ নেয়া স্বামী বা স্ত্রীর উচিত সন্তানের বিষয়টা নির্বিবাদে সমাধান করা। বিয়ে না করে ঝামেলা মুক্ত থাকতে পারবেন এমন নিশ্চয়তাও কেউ আপনাকে দিতে পারবে না। পৃথিবীর হাজার ঝামেলা যেমন মেনে নিয়েছেন একইভাবে বিয়ে আর বাচ্চার ঝামেলাটাও মেনে নেয়া উচিত।

আপনার সাথে যেন কোন নারীবাদী মেয়ের বিয়ে হলে খুব জমবে। :) আমার হাতে এই ধরনের মেয়ে আছে। :)

২০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১

মিরোরডডল বলেছেন:



আপনার সাথে যেন কোন নারীবাদী মেয়ের বিয়ে হলে খুব জমবে। :) আমার হাতে এই ধরনের মেয়ে আছে। :)

সাচু যে ঘটক পাখি ভাই জানতাম নাহতো #:-S B:-) 8-|


১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার হাতে সব রকমের বিবাহ যোগ্য/ যোগ্যা ছেলে এবং মেয়ে আছে।

কিন্তু আমি বিয়ের পরে কোন ওয়ারেন্টি বা আফটার ম্যারেজ পরামর্শ সেবা দেই না। কারণ এটা ঝুঁকিপূর্ণ। নিজ দায়িত্বে বিয়ে করতে হবে। আমার এক সিনিয়র ভাইও এই রকম শখের বিয়ের ঘটকালি করে থাকেন। উনি বলেছেন যে উনি জীবনে এত বিয়ের ঘটকালি করলেন কিন্তু কোন দম্পতি জীবনে কোন দিন তাকে একবেলা দাওয়াত করে খাওয়ায়নি। আসলে শখের ঘটকালি হল একটা ঝুকিপূর্ণ হবি যার জন্য কোন ধন্যবাদ আশা করা ভুল। তবে নিবর্হণের জন্য বিয়ের ২ বছরের ওয়ারেন্টি দিতেও আমি রাজি আছি। তারপরও সে বিয়ে করে বুঝুক আসলে বিয়ে মজা না ঝামেলা। প্রথম বিয়েতে এরকম হয়। পরেরগুলিতে সমস্যা কমে যায়।

২১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বিয়ের বিকল্প হিসাবে জিং জিংকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে আইনি স্বীকৃতি দেয়া যায় কি না বলেন তো? বিয়ের বিকল্প হিসাবে একটা বৈধ পথ তো থাকতে হবে। আপনি বিয়ের একটা বাস্তবসম্মত বিকল্প প্রস্তাব বলেন দেখি।

আমার কোন প্রস্তাবনা নেই । কারণ আমি ব্যক্তিগত পরিধি থেকে এসব বলছি । সবাইকে মানতে হবে বা মানলে ভালো তাও বলছি না । তাছাড়া এখন বিয়ে ছাড়াও অনেক বিকল্প আছে তবে তবুও বিয়ের কদর বেশিই , যদিও এর মধ্যে মোটেও ধর্মীয় কোন প্রভাব নেই ( অন্তত সর্বাংশে নেই ) ।

পৃথিবীতে অনেক দেশে এখন বিয়ে ছাড়া বাচ্চার সংখ্যা বেশী। বেশীর ভাগ পশ্চিমা দেশে বিয়ে ছাড়া বাচ্চার সংখ্যা অর্ধেকের কাছাকাছি। তাই বিয়ে বন্ধ করলেও এটার দ্বারা এনটি ন্যাটালিজম সমর্থক বাড়ানোর কোন সম্ভবনা নাই। এনটি ন্যাটালিজম মানে সন্তান উৎপাদন না করা বা যারা পৃথিবীতে আসাটাই একটা ঝামেলা মনে করে। এই ধরণের চিন্তা তো সভ্যতা ধ্বংসের কারণ হতে পারে।

আমি কিন্তু বিয়ের বিরুদ্ধে এজন্য নই যে আমি এন্টি নাটালিজমে কিছুটা অনুরাগী বা এর প্রচাররের জন্য বিয়ে প্রথার বিরোধী ! আমি এন্টি নাটালিজমে অনুরাগী কারণ এখন প্রতিটি মানব সন্তান দুনিয়াতে নরক যন্ত্রণা ভোগ করছে আরও কয়েক দশক পর সেটা হবে অভাবনীয় । সভ্যতার উন্নতিতে মানব জাতির একটি অংশের কেবল উন্নতি হচ্ছে অধিকাংশ কেবল মানবেতরই থাকছে থাই সভ্যতার উন্নতি বা ধ্বংস নিয়ে কথা বলাটা এখন ন্যাকামি , আসলে মানব জাতির বৃদ্ধিতে বেশি লাভ হলো আমাদের পুঁজিপতিদের তাতে তাঁদের সম্পদের চক্রাবর্তন হবে আবার স্বল্পমূল্যেও শ্রমও পাওয়া যাবে । আমরা শিশুদের জন্ম দিচ্ছি পুঁজিপতিদের চাকর হবার জন্য ............... সভ্যতার উন্নতিতে নয় !!


বাচ্চার বাবা না হওয়া পর্যন্ত পরিবারে বাচ্চার গুরুত্ব বুঝতে পারবেন না। কত দম্পতি নিঃসন্তান থাকার কারণে প্রচণ্ড মানসিক কষ্টে আছে তার হিসাব নাই। ইদানিং বাচ্চা না হওয়ার হার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।


আমি বাচ্চার বাবা হবার কোন বাসনা রাখি না । অন্তত একজন বাবার সন্তান হয়ে আমার অভিজ্ঞতা যা হয়েছে তাতে আমার নিজের বাবা হবার কোন বাসনা নেই , কারণ আমি আরেকজন শিশুকে এই জগতে এনে তাকে এই নরকবাসে আনবার পাপ করতে চাই না । বাকীটা আল্লাহর হাতে !!!

বাস্তবতা হল বিয়ে হবে, প্রয়োজনে বিচ্ছেদ হবে। বাচ্চাদেরও বাস্তবতা এক সময় মেনে নিতে হবে। তবে বিচ্ছেদ নেয়া স্বামী বা স্ত্রীর উচিত সন্তানের বিষয়টা নির্বিবাদে সমাধান করা। বিয়ে না করে ঝামেলা মুক্ত থাকতে পারবেন এমন নিশ্চয়তাও কেউ আপনাকে দিতে পারবে না। পৃথিবীর হাজার ঝামেলা যেমন মেনে নিয়েছেন একইভাবে বিয়ে আর বাচ্চার ঝামেলাটাও মেনে নেয়া উচিত।

আপনি ব্যাপারটা যত সহজে বললেন তত সহজে সব হয় না আপনি সন্তানহীন দম্পতিদের কষ্ট বুঝছেন কিন্তু বিচ্ছেদ হওয়া পরিবারের সন্তানদের কতটা মানসিক কষ্ট হয় সেটা আপনি বুঝতে পারছেন না । বিচ্ছেদ হওয়া স্বামী স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নির্বিবাদে ভাবে না , এটা এখন অহরহ দেখা যাচ্ছে । আমি যদি বিয়ে না করি আমি তো বিয়ে কেন্দ্রিক ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে পারব , আমি তো বলছি না যে আমি বিয়ে থেকে দূরে থাকলে জগতের সমস্ত সমস্যা থেকে দূরে থাকব । আপনার শেষ কথাটা মেনে নিলে বলতে হয় দুনিয়ায় অনেকেই হাত পা হীন হয়ে বেঁচে আছে আসুন আমরাও হাত পা কেটে থাকি , কারণ অন্যসব কষ্ট ও ঝামেলা যখন মেনে নিয়েছি তবে যারা অঙ্গহীন তাঁদের মতও অঙ্গহীন হয়ে বাঁচি !

কী ? মেনে নেবেন ? হাহাহাহাহাহাহা


আপনার সাথে যেন কোন নারীবাদী মেয়ের বিয়ে হলে খুব জমবে। :) আমার হাতে এই ধরনের মেয়ে আছে। :)

কী দরকার ! তার চেয়ে বরং আমাদের গুলি করে মারেন চ্যালচ্যালাইয়া জাহান্নামে যাই !! B-)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি তো গান ভালোবাসেন, গান গেয়ে থাকেন, আপনি একটা সঙ্গীতপ্রেমি মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেন। গান প্রিয় মেয়েরা রোমান্টিক হয়।

আপনার কাছে পৃথিবীটা কেন নরক যন্ত্রণা জানি না। তবে অনেকে এই পৃথিবীতে ভালো আছে। ১০০% ভালো কেউ এই পৃথিবীতে থাকতে পারবে না। পৃথিবীর অনেক দেশে লোক সংখ্যা কমছে। ঐ দেশের সরকারগুলি এটা নিয়ে চিন্তিত। কারণ জনসংখ্যা বেশী কমে গেলে অর্থনৈতিকভাবে ঐ দেশ চাপে পড়ে যাবে। বুড়ো মানুষ বেড়ে যাবে এবং এরা রাষ্ট্রের উপর বোঝা হবে।

এখন যে দেশগুলির জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ছে এই দেশগুলি এখন থেকে ৫০ বা ১০০ বছর পরে বিশ্বের অর্থনীতি চালাবে। বিশ্বের অর্থনীতি সামনে এশিয়ার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। কারণ এই অঞ্চলে মানুষ বাড়ছে।

আপনার জন্য একটা একটু বেশী বয়সের মেয়ে আছে। দেখতে সুন্দর। গায়ের রঙ শ্যামলা। উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। বয়স ৩৫/৩৬ হবে। কিন্তু খুব ভালো আয় করে। চাকরি এবং ব্যবসা দুইটাই করে। আপনার কিছু করতে হবে না। বসে বসে খাবেন শুধু আর স্ত্রীর সেবা করবেন। তবে একটু রাগ বেশী। রাগারাগি করলে মুখ বুজে থাকতে হবে। :) আশা করি আপনি পারবেন।

২২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: প্রথম বিয়েতে এরকম হয়। পরেরগুলিতে সমস্যা কমে যায়।

বড় ভাইয়ের তো অনেক অভিজ্ঞতা হেহেহেহেহেহহে

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এগুলি ঘটকদের কাছে শোনা। বাংলাদেশে দ্বিতীয় বিয়েগুলি বেশী টেকসই হয়। কিন্তু সমস্যা হল প্রথম বিয়ে না করে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায় না। করা গেলে ভালো হত। :)

২৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি তো গান ভালোবাসেন, গান গেয়ে থাকেন, আপনি একটা সঙ্গীতপ্রেমি মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেন। গান প্রিয় মেয়েরা রোমান্টিক হয়।


হিছা মাইরতাম বিয়ার কোয়ালে !

আপনার কাছে পৃথিবীটা কেন নরক যন্ত্রণা জানি না। তবে অনেকে এই পৃথিবীতে ভালো আছে। ১০০% ভালো কেউ এই পৃথিবীতে থাকতে পারবে না। পৃথিবীর অনেক দেশে লোক সংখ্যা কমছে। ঐ দেশের সরকারগুলি এটা নিয়ে চিন্তিত। কারণ জনসংখ্যা বেশী কমে গেলে অর্থনৈতিকভাবে ঐ দেশ চাপে পড়ে যাবে। বুড়ো মানুষ বেড়ে যাবে এবং এরা রাষ্ট্রের উপর বোঝা হবে।

তো তার মানে কী দাঁড়াল ? মানুষ দরকার কেবল ঐ অর্থনীতি এবং পুঁজির জন্য এই বাদে আর কোন কারণ নাই , আমি তো আগেই বলেছি মানুষ জন্মের বড় প্রয়োজনীয়তা হলো পুঁজিপতির পুঁজি বাড়ানো !!। আর বেশি জনসংখ্যার দেশ আগামীতে পৃথিবী শাসন করবে এটা একটা ভুয়া কথা । যার হাতে অস্ত্র ও বিজ্ঞান এবং সম্পদ আছে সেই পৃথিবী শাসন করবে আর কেউ না ।

আপনার জন্য একটা একটু বেশী বয়সের মেয়ে আছে। দেখতে সুন্দর। গায়ের রঙ শ্যামলা। উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। বয়স ৩৫/৩৬ হবে। কিন্তু খুব ভালো আয় করে। চাকরি এবং ব্যবসা দুইটাই করে। আপনার কিছু করতে হবে না। বসে বসে খাবেন শুধু আর স্ত্রীর সেবা করবেন। তবে একটু রাগ বেশী। রাগারাগি করলে মুখ বুজে থাকতে হবে। :) আশা করি আপনি পারবেন।

তার আগে কন , এই বিয়াতে আপনার কত টাকা প্রাপ্তিব্য হবে ? তার থেকে ৯৫ শতাংশ আমাক দেন আর এই ব্লগে একজনই আছৈ বিয়ে নিয়ে বেশি হা-হুতাশ করে সেই নাহল তরকারি ভাইয়ের সাথে ঐ পাত্রির বিয়ে দিয়ে দেন , তাতে আপনারও আশা মিটবে তিনিও দুঃসহ বিয়ে কেন্দ্রিক পোস্ট দেয়াও বন্ধ করবেন !!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হিছা মারার আগে আরেকবার ভেবে দেখেন। :)

আপনার পছন্দ মত পাত্রীকে কাস্টমাইজ করে দেয়া যাবে। আপনার চাহিদাটা বলেন। মনে হচ্ছে আপনার বেটে এবং ফর্সা পাত্রি পছন্দ। সেই রকমও করে দেয়া যাবে। :) ছয় মাস সময় দেন আগেরটাকেই সেই রকম করে দেব।

এক সময় ভারত এবং চীন জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক ভালো করবে। এখনও পশ্চিমের দেশে জ্ঞানের জগতে ওদের একটা শেয়ার আছে। ধীরে ধীরে নিজের দেশেও ভালো করবে।

আমার কমিশনের ১০০% আপনাকে দিয়ে দেব। তারপরও এই লাড্ডু একবার খেয়ে দেখেন।

নাহল তরকারির বউ ভালো লাগে না। সে চায় শর্ট টার্ম ফিজিকাল সার্ভিস। আর তাছাড়া একদিন ছবিতে তার যে দেহের আকৃতি দেখলাম ওনার সাথে মানানসই কনে আনতে হবে অ্যামেরিকার ফিমেল রেস্লিং কুস্তীগিরের দল থেকে। এই প্রস্তাবটা দেব কি না ভাবছি। :)

২৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হিছা মারার আগে আরেকবার ভেবে দেখেন। :)

আপনার পছন্দ মত পাত্রীকে কাস্টমাইজ করে দেয়া যাবে। আপনার চাহিদাটা বলেন। মনে হচ্ছে আপনার বেটে এবং ফর্সা পাত্রি পছন্দ। সেই রকমও করে দেয়া যাবে। :) ছয় মাস সময় দেন আগেরটাকেই সেই রকম করে দেব।


ভেবেই তো বলছি রে ভাই । আর আপনি যেভাবে কাস্টমাইজের কথা বললেন এখন তো সন্দেহ হচ্ছে আপনি আবার ইলুমিনাতি কি না :-P !

এক সময় ভারত এবং চীন জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক ভালো করবে। এখনও পশ্চিমের দেশে জ্ঞানের জগতে ওদের একটা শেয়ার আছে। ধীরে ধীরে নিজের দেশেও ভালো করবে।

সে তো আছেই আর তাঁদের উন্নতিও তাই হচ্ছে !!

আমার কমিশনের ১০০% আপনাকে দিয়ে দেব। তারপরও এই লাড্ডু একবার খেয়ে দেখেন।

শর্তহীন দিলে দেন নাইলে নাই !

নাহল তরকারির বউ ভালো লাগে না। সে চায় শর্ট টার্ম ফিজিকাল সার্ভিস। আর তাছাড়া একদিন ছবিতে তার যে দেহের আকৃতি দেখলাম ওনার সাথে মানানসই কনে আনতে হবে অ্যামেরিকার ফিমেল রেস্লিং কুস্তীগিরের দল থেকে। এই প্রস্তাবটা দেব কি না ভাবছি। :)

তাইলে আমার আশাও বাদ দেন আমি তারচাইতেও মোটা !!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে বিয়েতে আগ্রহী করার জন্য ইলুমিনাতির সদস্য হতেও আমার সমস্যা নাই। তাও বলবো দেরী না করে বিয়ে করে ফেলেন। :)

চীন আর ভারতের জনসংখ্যা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৪০%। এই কারণেই বলেছি এক সময় এই অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে।

শর্তহীন অফার রইল আপনার জন্য। :)

আপনার জন্য মোটা পাত্রীও আছে আমার কাছে। :)

২৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২০

মিরোরডডল বলেছেন:



প্রথম বিয়েতে এরকম হয়। পরেরগুলিতে সমস্যা কমে যায়।

সাচু কি অফলাইনেও এরকম মজার মানুষ :)

কী দরকার ! তার চেয়ে বরং আমাদের গুলি করে মারেন চ্যালচ্যালাইয়া জাহান্নামে যাই !!

মজার মন্তব্য, কতটা অপছন্দ হলে এভাবে বলে।

আপনার জন্য মোটা পাত্রীও আছে আমার কাছে।

সাচুর যন্ত্রনায় বেচারা ব্লগে আসা বন্ধ করে দিবে।



১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি অফিসে কলিগদের সাথে অনেক মজা করি। একটা পরিবারের মত পরিবেশ। তবে আমার একজন বস আছে তার সাথে পারি না। এই ভদ্রলোক আমার চেয়েও এক কাঠি উপরে। :) উল্টা আমারে পচায়। আমি পচাইতে পারি কিন্তু আফটার অল বস তো চাকরী নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যেতে পারে। :)

নিবর্হণ নির্ঘোষ আসলে একটু লাজুক প্রকৃতির তাই বিয়ে করতে লজ্জা পাচ্ছে। বিয়ের পরে কয়েকদিন পর্যন্ত লজ্জা থাকে তারপরে আর লজ্জা থাকে না। এই কথা নিবর্হণকে কি করে যে বুঝাই। বেচারার আক্কেল দাঁতও ওঠে নাই অবশ্য। আক্কেল দাঁত উঠলে সব বুঝতে পারবে। :)

বিয়ার পরে নিবর্হণ যদি বউকে দেইবাদ, মাজদাক, ইখওয়ান আল সাফা, মার্ক্সবাদ, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র ইত্যাদি শেখাতে যায় বউ বলবে 'হিছা মাইরতাম বিয়ার কোয়ালে!' তাই এই ছেলের জন্য ঘটকালি করাও বিপদ। :) আমার ধারণা একটা দজ্জাল বউ জোগাড় করে দিতে পারলে এইসব দেইবাদের ভুত মাথা থেকে নামবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.