নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহর আদেশ এবং রসূলের (সা) আদেশ পালন করা বাধ্যতামূলক। কখনও এটা বলা যাবে না যে আমি কেন এই আদেশ পালন করবো এই আদেশের অন্য বিকল্প আছে বা এই আদেশের কোন ফায়দা নাই। ইবলিশ শয়তান শুধু মাত্র আল্লাহর আদেশ অমান্য করার জন্য চির জাহান্নামী হবে। আল্লাহ যখন আদমকে সেজদা করতে বলেছিলেন তখন ইবলিশ অহংকার করে বলেছিল আদম মাটির তৈরি আর আমি আগুনের তৈরি। আমি সেজদা করবো না। ইবলিশ আরও অনেক যুক্তি দেখাতে পারতো। কিন্তু যত যুক্তিই দেখাক না কেন আল্লাহর আদেশের বিরোধিতা করার কারণে সে চির জাহান্নামী হবে। অথচ ইবলিশ অবাধ্য হওয়ার পরেও আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা হিসাবে মানে এবং শিরক করে না। তাই আল্লাহর আদেশ নিয়ে প্রশ্ন করার কোন সুযোগ নেই।
ইসলামের প্রতিটা বিধান আল্লাহ এবং আল্লাহর রসূল (সা) যেভাবে বলেছেন সেভাবেই পালন করতে হবে। সফরকালীন (সফরের কিছু শর্ত সাপেক্ষে) সময়ে জোহর, আসর এবং এশার ফরজ নামাজ চার রাকাত পড়লে হবে না দুই রাকাত পড়তে হবে। তবে জামাতের ক্ষেত্রে যদি ইমাম সফরকারি না হন সেই ক্ষেত্রে চার রাকাত পড়তে হবে। কেউ হয়তো ভাবতে পারে আমি আল্লাহকে খুশি করার জন্য চার রাকাতই পড়ব। কিন্তু এটা করলে তার নামাজ হবে না এবং আল্লাহর হুকুম অমান্য করা হবে। এছাড়া যোহরে ফরজের আগে ৪ রাকাত এবং পরে দুই রাকাত, মাগরিবে ফরজের পরের দুই রাকাত এবং এশার ফরজের পরে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ সফরকালিন সময়ে পড়ার দরকার নাই। এটাই সুন্নাহ। তবে ফজরের ক্ষেত্রে ফরজের আগের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ সফরেও পড়তে হবে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে কোন দিকে ফিরে নামাজ পড়া যায়।
সূরা বাকারার ১১৫ নং আয়াতে আছে;
আর পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও, সে দিকেই আল্লাহর চেহারা। নিশ্চয় আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
যে ক্ষেত্রে যে কোন দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা যায়;
১। যদি কিবলা কোন দিকে জানার কোন উপায় না থাকে এবং অনুমানের ভিত্তিতে কিবলা নির্ণয় করতে হয় বা ভুলে অন্য কোন দিককে কিবলা ভাবা হয়। এই ক্ষেত্রে যে কোন দিকই গ্রহণযোগ্য।
এই নিয়মের সমর্থনে বুখারির ৩০৪ এবং মুসলিমের ৫২৬ নং হাদিস রয়েছে। হাদিসটা অনেকটা এই রকম, যখন কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে কাবার দিকে পরিবর্তন করা হয় তখন অনেক সাহাবী ব্যাপারটা পরে জানতে পারে। ফলে কুবার মসজিদে ফজর নামাজ তারা আগের কিবলার দিকে পড়ছিলেন। নামাজের মাঝখানে এক সাহাবী আসেন এবং জামাতকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে কাবামুখী হওয়ার আদেশ নিয়ে কোরআনের আয়াত নাজিল হয়েছে। তাই কাবার দিকে মুখ ফিরাও। তখন মুসুল্লিরা নামাজের মধ্যেই তাদের দিক পরিবর্তন করে নেয়। রসূল (সা) পরে ব্যাপারটা জানলেও তাদের কিবলা ভুল ছিল বলে নামাজ হয়নি এমন কথা বলেননি।
২। যানবাহনে চড়ে যাওয়ার সময়ে যে কোন নফল নামাজ এবং বিতর, তাহাজ্জুদ এবং দুহা বা এই জাতীয় নফল নামাজের ক্ষেত্রে যে কোন দিকে ফিরে নামাজ পড়া যায়।
সূরা বাকারার ১১৫ নং আয়াতে আছে ( আগেও উল্লেখ করেছি) ;
আর পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও, সে দিকেই আল্লাহর চেহারা। নিশ্চয় আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে যানবাহনে থাকা অবস্থায় যে কোন দিকে ফিরে নামাজ পড়া যায় যদি এমন হয় যে যানবাহন পৌঁছানোর আগেই ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাবে এবং যানবাহন থেকে নামার কোন সুযোগ নাই এবং কিবলামুখী হওয়ারও সুযোগ নেই। অনেক স্কলার বলেছেন এই নামাজ পরে আবার পড়ে নিতে হবে। তবে অনেকে বলেছেন যে আবার না পড়লেও চলবে। সফরের সময় দুই ওয়াক্ত এক সাথে পড়ে নেয়ার সুবিধা আছে। যেমন জোহরের সময় এক সাথে জোহর এবং আসর পড়ে যাত্রা করা যেতে পারে যদি মনে হয় যে আসরের নামাজের সুযোগ পাওয়া যাবে না।
৩। রোগী যদি অসুস্থতার কারণে কিবলার দিকে ফিরতে না পারে সেই ক্ষেত্রে যে কোন দিকে ফিরে নামাজ পড়া যায়।
এই নিয়মের সমর্থনে আছে সূরা আল তাগাবুনের ১৬ নং আয়ত;
“অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর, শ্রবণ কর, আনুগত্য কর এবং তোমাদের নিজদের কল্যাণে ব্যয় কর, আর যাদেরকে অন্তরের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়, তারাই মূলত সফলকাম।“
এছাড়া সূরা বাকারার ২৮৬ নং আয়াতে আছে; ‘আল্লাহ কোন ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না।‘
৪। যখন শত্রু, বন্য প্রাণী, বন্যার কারণে বা যে কোন ভয়ের কারণে মানুষ ভীত হয়ে পালাচ্ছে সেই ক্ষেত্রে দিক কোন সমস্যা না।
এই নিয়মের সমর্থনে রয়েছে সূরা বাকারার ২৩৯ নং আয়াত;
‘তবে তোমরা যদি আশংকা কর সেই অবস্থায় পদব্রজে বা যানবাহনের উপর সালাত সমাপন করে নিবে, পরে যখন নিরাপদ হও তখন তোমাদেরকে যেভাবে
শিখিয়ে দেয়া হয়েছে সেইভাবে আল্লাহর প্রশংসা কর যা তোমরা ইতোপূর্বে জানতে না।‘
নামাজের সময় নড়াচড়ার নিয়মঃ
১। যখন নড়াচড়ার অনুমতি আছে – কোন প্রয়োজনের কারণে যদি নড়াচড়া করতে হয়। যেমন –
(ক) মা নামাজ পড়ছে তখন বাচ্চাকে বিপদ বা ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য অল্প নড়াচড়া করতে পারেন।
(খ) এছাড়া শরীরের কাপড় ঠিক করা জরুরী হলে সেটা করা যাবে।
(গ) রসূল (সা) তার নাতনী উমামাকে কোলে নিয়ে জামাতে নামাজ পড়েছেন। সিজদায় যাওয়ার আগে উমামাকে নীচে রেখেছেন এবং সিজদা শেষ হলে তাকে পুনরায় কোলে নিয়েছেন। (বুখারি হাদিস – ৫৯৯৬ এবং মুসলিম হাদিস – ৫৪৩)
(ঘ) এছাড়া হাদিসে এসেছে যে রসূল (সা) নামাজে থাকা অবস্থায় হজরত আয়েশার (রা) জন্য দরজা খুলে দিয়েছেন। ( আবু দাউদ হাদিস – ৯২২, তিরমিজি – ৬০১)
(উম) নামাজ পড়ার সময় সাপ বা বিচ্ছু কাছে আসলে হত্যার অনুমতি আছে।
(চ) নামাজির সিজদার জায়গা দিয়ে কেউ যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে হাত দিয়ে বাঁধা দেয়া যাবে।
(ছ) এক জায়গায় পড়েছিলাম যে মরুভুমিতে উটের দড়ি হাতে ধরে নামাজ পড়ার সময় উট হাঁটলে নামাজি ব্যক্তিও হাটতে পারে। তবে এখন সূত্র খুঁজে পাচ্ছি না।
(জ) হজরত আয়েশা নামাজ পড়ার সময় তার দাসীকে হাতের ইশারায় রান্নার আয়োজন সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছেন এই মর্মে বর্ণনা এসেছে। রসূলের (সা) সহধর্মিণী ছিলেন তিনি। উনি নিশ্চয়ই রসূলের (সা) কাছ থেকে এই নিয়ম শিখেছিলেন।
২। যখন নড়াচড়া বাধ্যতামূলক – যেমন
(ক) মাথার টুপিতে বা জুতাতে নামাজ পড়ার সময় যদি অপবিত্র কিছু অনুভুত হয়। একবার রসূল (সা) যখন নামাজ পড়ছিলেন তখন জিবরাইল ফেরেশতা এসে রসূলকে বলেন যে আপনার জুতায় নাপাক আছে। তখন রসূল (সা) নামাজরত অবস্থায় জুতা খেলে ফেলেন কিন্তু নামাজ চালিয়ে যান।
(খ) নামাজ পড়ার সময় কেউ যদি বলে যে আপনি ভুল দিকে ফিরে নামাজ পড়ছেন তখন ঘুরে কিবলা ঠিক করে নিতে হবে।
৩। যখন নড়াচড়া করা নিষেধ – অকারণে নামাজের মধ্যে বারবার নড়াচড়া করা নিষেধ।
৪। পছন্দনীয় নড়াচড়া – যেমন
(ক) নামাজ পড়ার সময় কাতার সোজা করার জন্য নড়াচড়া করা।
(খ) সামনের সারিতে ফাঁকা দেখা গেলে সেই সারিতে চলে যাওয়া।
(গ) নিজের কাতারের মধ্যে ফাঁকা জায়গা ঠিক করার জন্য নড়াচড়া করা পছন্দনীয়। হাদিসে এসেছে যে ইবনে আব্বাস (রা) রসূলের (সা) বাম পাশে দাড়িয়ে নামাজ পড়ছিলেন। রসূল (সা) তার মাথার পিছনে ধরে তাকে ডান পাশে নিয়ে আসেন।
উপরের ব্যতিক্রম সমুহ ছাড়া নামাজের নিয়ম হোল কিবলা মুখী হয়ে নামাজ পড়া এবং নামাজে পূর্ণ মনোযোগ রাখা। আল্লাহ আমাদের সালাত কায়েম করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
ছবি - আমাদের সময় ডট কম
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পোস্ট থেকেও আমরা অনেক কিছু জানতে পাড়ছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: জানার আছে অনেক কিছু। বুঝার আছে অনেক কিছু।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি চাইলে আপনার দুই মেয়েকে কোলে নিয়ে নামাজ পড়তে পারেন। সেজদায় যাওয়ার আগে নীচে নামিয়ে রাখবেন।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২০
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া নামাজে নড়াচড়া করা যায় এটা আমি জানতামই না ভাবতাম নড়লেই নামাজ ভেঙ্গে যায়।
আর জুতা পরে নামাজ পড়া যায় এটাও জানতাম না।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি উপরে যে উদাহরণগুলো দিয়েছি এই সব ক্ষেত্রে নড়াচড়া করা যায়।
জুতায় নাপাক কিছু না থাকলে জুতা পড়ে নামাজ পড়ার বিধান আছে।
নফল নামাজ (যেমন তাহাজ্জুদ, চাশত, আওয়াবিন, বা যে কোন বাড়তি ঐচ্ছিক নামাজ) বসেও পড়া যায়। তবে অর্ধেক সওয়াব পাওয়া যায়।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
টাইটেলটা ''যখন যে কোন দিকে ফিরে নামাজ পড়া যায় এবং যখন নামাজে নড়াচড়া এবং হাঁটা যায়" না হয়ে "প্রয়োজনে/শর্তসাপেক্ষে যে কোন দিকে ফিরে নামাজ পড়া যায়, নামাজে নড়াচড়া বা হাঁটা যায়" হলে মনে হয় ভালো হতো। "যখন যে কোনো দিকে" বক্যটা অনেকটা "ইচ্ছামাফিক"-এর মতো রিপ্রেজেন্ট করছে বলে আমার ধারণা। অনেকেই আছে পুরো পোস্ট না পড়ে টাইটেলে ভিত্তি করে সু/কু আমল/প্রচার করতে পারে। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য জাযাকাল্লাহ্।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রিয় ভাই,
আপনার কথাটা যৌক্তিক মনে হোল তাই শিরোনামে একটু সংশোধন করে দিলাম।
জাযাকাল্লাহ খাইরান ভাই।
৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার একটা পোষ্ট। পোষ্টের অনেক কিছুই জানি, আবার অনেক কিছুই জানি না। এই পোষ্টে অনেকের অনেক রকমের কনফিউশানও দূর হবে আশা করছি। ইসলাম নিয়ে এমন পোষ্ট খুবই দরকার।
তাই বলে আবার ভাববেন না যেন আপনাকে শুধু এমন পোষ্টই দিতে বলছি। বিষয়টা তা না। বিজ্ঞানকে ভুলে যাওয়া আপনার ঠিক হবে না।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। কয়েকদিন আগে বিজ্ঞান নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। আপনি মনে হয় ব্যস্ত ছিলেন। বিভিন্ন বিষয় নেই লেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সময় পেলে পড়ে দেখবেন আশা করি।
টিভি, কম্পিউটার ইত্যাদির মত মানব দেহ বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত হয়
৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাচু ভাই গুড পোস্ট++
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক ভাই।
৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাচু ভাই আপনি বলছেন গাড়িতে থাকা অবস্থায় যে কোন দিকে ফিরে ফরজ আদায় করা যায়। আচ্ছা ভ্রমণরত অবস্থা মানে এখানে মুসাফির বোঝাবে কি? আর সেক্ষেত্রে মোসাফিরের নামাজ দু রাকাত হবে বলে যেটা জেনেছি সেটা কি ঠিক?
এবার অন্য একটি বিষয়ে- পশ্চিমবঙ্গের একদল তীর্থযাত্রী আজমের যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় উপর নামাজ আদায় করছিলো। ঠিক তখনই এসে পড়ে স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের লোকজন।রোগী আদিত্যনাথের পুলিশ থাকায় অল্প শাস্তি নিয়ে তারা রেহায় পায়।প্রত্যেককে গুনে গুনে পঞ্চাশবার উঠবোস ও কানমলার মতো লঘু শাস্তি মিটিয়ে তবেই নিষ্কৃতি পায়। কাজেই ভারতে এলে অবশ্যই দেখবেন ভাজপা শাসিত রাজ্য কিনা।
ধ
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভ্রমণে নামাজ সংক্ষেপের শর্ত হোল কম পক্ষে ৮০ কিলোমিটার দূরে যদি কোথাও যাওয়া হয় সেই ক্ষেত্রে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে ৪ রাকাত ফরজ নামাজগুলি ২ রাকাত পড়তে হবে। গন্তব্যে পৌঁছানোর পরেও এই নিয়ম চালিয়ে যাওয়া যাবে তবে তার জন্য কিছু শর্ত আছে। শর্তগুলি বলতে গেলে অনেক সময় লাগবে। আশা করি পরে কোথাও বলবো। আর গাড়িতে বা অন্য কোন যানবাহনে নিরুপায় হয়ে যে কোন দিকে ফিরে ফরজ নামাজ পড়া যায়। সেই ক্ষেত্রে দূরত্ব কোন ব্যাপার না। কাছে দূরে যে কোন দূরত্বের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য। তবে শর্ত হোল ওয়াক্ত শেষ হওয়ার ঝুকি থাকতে হবে। যানবাহন থেকে নামার কোন সুযোগ না থাকলে এবং কিবলা বরাবর নামাজ পড়ার সুযোগ না থাকলে এভাবে নামাজ পড়া যাবে।
ভারতের মুসলমানদের সম্পর্কে অনেক ভয়ংকর খবর আমরা পাই। এটা সত্যিই দুঃখজনক। ভালো থাকবেন ভাই।
৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
নামায পড়ার ধরণ দেখে ব্যাক্তিত্ববোধ কিছুটা বুঝা যায়।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:২৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সহজ ইসলামকে মোল্লারা নিজেদের ফায়দার জন্য কঠিক করে উপস্থাপন করে।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সূরা মায়েদার ৬ নং আয়াতে আছে;
আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি চান তোমাদের পবিত্র করতে এবং তার নিআমত তোমাদের উপর পূর্ণ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।
আল্লাহতায়ালা মানুষের সাধ্যের অতিরিক্ত কোন বোঝা মানুষের উপর দেন না। একান্ত নিরুপায় হলে যে কোন ব্যতিক্রম আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য।
১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমার একটা জিজ্ঞাসা ছিল:
অনেক সময় ওযু করার সুযোগ থাকে না। পানি ও পবিত্র মাটিও পাওয়া যায়না। কোন হোটেল/ রেস্টুরেন্টে পানির টেপ পাওয়া গেলেও পা জুতা মোজা খুলে পা ধোয়া সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে শুধু হাত পা মুখ মাথা ধুয়ে ও কুলি করে পা না ধোয়ে নামাজ পড়া যাবে কিনা?
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহতায়ালা সাধ্যের অতিরিক্ত কোন বোঝা কারও উপর দেন না। তবে জুতা খুলতে সমস্যা হওয়ার কথা না। জুতা খুলে ভিজা হাত দিয়ে পা বা মোজা মসেহ করতে পারেন। একান্ত যদি সুযোগ না থাকে সেই ক্ষেত্রে এটা আপনার সাধ্যের বাইরে। আশা করা যায় আল্লাহ মাফ করবেন। এছাড়া তায়াম্মুম করতে পারেন হোটেলের মেঝেতে। মেঝে পাথর, মোজাইক, সিরামিক বা কনক্রিটের হলেও চলবে।
১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:০৬
বিটপি বলেছেন: @ গোফরান, ওযু করার সুযোগ না থাকলে তায়াম্মুম করে নিতে হবে। তায়াম্মুম করার জন্য কেবল পবিত্র মাটিই লাগবে - এমন কোন শর্ত নেই - ধুলাবালি এমনকি দেয়ালে হাত ঘষেও তায়াম্মুম করা যায়। বেসিনে পা ধোয়া না গেলে হাতে পানি নিয়ে মোজার উপর দিয়ে মাসাহ করতে হবে। তাতেও ওযু আদায় হয়ে যাবে।
@লেখক, আমার একটা প্রশ্ন আছে। প্রশান্ত মহাসাগরের একটা দ্বীপ দেশ আছে, নাম টেমাতাঙ্গি। সেই দ্বীপ থেকে কাবাঘর পূর্বে যত, পশ্চিমেও তত কিলোমিটার। সেক্ষত্রে এই দ্বীপের বাসিন্দারা কোন দিকে ফিরে নামাজ পড়বে? পূর্ব নাকি পশ্চিম?
প্রসঙ্গত, হারাম শরীফে কাবাকে পশ্চিমে রেখে ইমাম দাঁড়ায়। আর কাবার ভেতরে পূর্বদিকে ফিরে নামাজ আদায় করা হয়।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের প্রশ্নের উত্তর কোন ফকিহ দিয়েছেন কি না জানি না। তবে আমার মনে হয় যে কোন দিকে ফিরেই নামাজ পড়া যাবে। কারণ কিবলামুখী হওয়ার শর্ত পূরণ হয় উভয় ক্ষেত্রেই। জামাতে নামাজ পড়লে ইমাম যে দিকে ফিরবেন পিছনের সবাইকেও সেই দিকেও ফিরতে হবে। কারণ ইমামকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম আসলেই সহজ। কিছু লোক একে জটিল করেছে।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছু মুসলমান ইসলামের বিরুদ্ধেও বলে।
১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন। আপনার শেষ পোস্টের কবিতাটা খুব ভালো লেগেছে।
১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪০
এম ডি মুসা বলেছেন: না আগে জানতাম ,,অসমীয় ভাষায় বললাম তারা না শব্দ আগে ব্যবহার করে
০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের কোন এক অঞ্চলেও শুরুতে না বলে। কোন অঞ্চলে ভুলে গেছি।
১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ৩ নম্বরে উল্লেখিত প্রসঙ্গটির সাথে সুরা তাগাবুনের ১৬ নম্বর আয়াতের উদ্ধৃতাংশটিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হলো না।
নড়াচড়া করা বিষয়ক জ উপ অনুচ্ছেদে আপনি যা বলেছেন নিশ্চয়ই তা সঠিক জেনেই বলেছেন। তবুও, ব্যাপারটা একটু কেমন যেন মনে হল। এ ব্যাপারে আরেকটু নিশ্চিত হওয়া যায় কি?
মাসলা মাসায়েল বিষয়ক এ পোস্টটি ভালো হয়েছে এবং তা অনেকের জন্য উপকারী হবে বলে মনে করি।
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার একটা পোষ্ট। পোষ্টের অনেক কিছুই জানি, আবার অনেক কিছুই জানি না। এই পোষ্টে অনেকের অনেক রকমের কনফিউশানও দূর হবে আশা করছি। ইসলাম নিয়ে এমন পোষ্ট খুবই দরকার। - আমিও তাই মনে করি। আমিও অনেক কিছুই জানতাম, আবার অনেক কিছুই জতাতাম না।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সূরা তাগাবুনের ১৬ নং আয়াতে 'যথাসাধ্য' কথাটার উপর জোর দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে;
'অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর, শ্রবণ কর, আনুগত্য কর এবং তোমাদের নিজদের কল্যাণে ব্যয় কর, আর যাদেরকে অন্তরের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়, তারাই মূলত সফলকাম। '
রোগীর পক্ষে অনেক কিছুই সঠিকভাবে আমল করা সম্ভব হয় না। তাই তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। এই আয়াতে সকল মানুষের উদ্দেশ্যেই বলা হয়েছে যে তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর, শ্রবণ কর, আনুগত্য কর। রোগীদেরও উচিত হবে তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করা। সাধ্যের বাইরে বলে আল্লাহ সেটা মাফ করবেন। অসুস্থতার কারণে অনেক রোগী কিবলামুখী হতে পারে না। এটা তাদের সাধ্যের বাইরে তাই আল্লাহ এটা গ্রহণ করে নিবেন।
আমি নীচের ওয়েব সাইট অবলম্বনে লিখেছি। আপনি পড়ে দেখতে পারেন।
https://islamqa.info/en/answers/65853/situations-in-which-the-obligation-to-face-the-qiblah-is-waived
(জ) উপ অনুচ্ছেদঃ
আমি এই সাইট থেকে উল্লেখ করেছি
https://islamqa.info/en/answers/190016/ruling-on-the-imam-walking-in-the-direction-of-the-qiblah-to-reach-the-microphone-so-that-the-people-can-hear-him
উল্লেখযোগ্য অংশ নীচে দিলাম;
Ibn Hazm also narrated in al-Muhalla (2/126) from Mu‘aadhah al-‘Adawiyyah that ‘Aa’ishah the Mother of the Believers used to instruct her servant to share out the broth, and she would pass in front of her whilst she was praying, and she would gesture her to add more; and she would instruct that something be given to a poor person, gesturing to that effect whilst she was praying.
It was also narrated from Mu‘aadhah from ‘Aa’ishah the Mother of the Believers that she stood up to pray wearing a chemise and headcover, and she pointed to the wrapper and I handed it to her; there were other women with her and she gestured to them with her hand to have some food – i.e., whilst she was praying.
এছাড়াও নামাজে নড়াচড়া সম্পর্কে আরও কিছু হাদিস আছে। যেমন;
বুখারি হাদিস নং ১২১১ - পশুর দড়ি হাঁতে নিয়ে নামাজ পড়া অবস্থায় পশুর সাথে অগ্রসর হওয়া;
We were at Al-Ahwaz fighting the Al-Haruriya (tribe). While I was at the bank of a river a man was praying and the reins of his animal were in his hands and the animal was struggling and he was following the animal. (Shu`ba, a sub-narrator, said that man was Abu Barza Al-Aslami). A man from the Khawarij said, "O Allah! Be harsh to this sheik." And when the sheik (Abu Barza) finished his prayer, he said, "I heard your remark. No doubt, I participated with Allah's Messenger (ﷺ) in six or seven or eight holy battles and saw his leniency, and no doubt, I would rather retain my animal than let it return to its stable, as it would cause me much trouble. "
বুখারি হাদিস নং ১২০৫ - হজরত আবু বকর ইমামতি করার সময়ে পিছনে চলে আসার চেষ্টা করেন রসূলকে (সা) ইমাম করার জন্য;
Narrated Anas bin Malik: While Abu Bakr was leading the people in the morning prayer on a Monday, the Prophet came towards them suddenly having lifted the curtain of 'Aisha's house, and looked at them as they were standing in rows and smiled. Abu Bakr tried to come back thinking that Allah's Apostle wanted to come out for the prayer. The attention of the Muslims was diverted from the prayer because they were delighted to see the Prophet. The Prophet waved his hand to them to complete their prayer, then he went back into the room and let down the curtain. The Prophet expired on that very day.
নামাজরত অবস্থায় রসূল (সা) সামালের জবাব ইশারার মাধ্যমে দিতেন;
'Abdullah ibn 'Umar says: "I asked Suhaib: 'How did the Messenger of Allah respond to the people when they greeted him while he was praying?' He said: 'He would signal to them with his hand.'" This is related by Ahmad, at-Tirmizhi, Abu Dawud, an-Nasa'i, and Ibn Majah.
এছাড়া নামাজে এই কাজগুলি করা যায়;
১। হাঁচির জবাবে দোয়া পড়া যায়
২। মা আয়েশা رضي الله عنها মহানবী (ﷺ) এর নামায পড়া কালে তাঁর সামনে কিবলার দিকে পা মেলে শুয়ে থাকতেন। তিনি (অন্ধকারে) যখন সিজদাহ করতেন, তখনহাতের খোঁচা দিয়ে তাঁকে (স্ত্রীকে) পা সরিয়ে নিতে ইঙ্গিত করতেন। (বুখারী ৩৮২, ১২০৯ নং)
৩। নামাযী নামাযে রত আছে এ কথা জানাতে অথবা ইমাম নামাযে কিছু ভুল করলে তার উপর তাঁকে সতর্ক করতে পুরুষদের জন্য ‘সুবহা-নাল্লাহ্’ বলা এবং মহিলাদের জন্য হাততালি দেওয়া বিধেয়।
৪। নামাযে কুরআন পাঠ করতে করতে যদি ইমাম সাহেব কোন আয়াত ভুলে যান, থেমে যান অথবা ভুল পড়েন, তাহলে ‘লুকমাহ্’ দিয়ে তা মনে পড়ানো, ধরিয়ে দেওয়া বা সংশোধন করা বিধেয়।
৫। প্রয়োজনে কাপড় বা পাগড়ীর উপর সিজদাহ করা যায়
৬। জুতা পড়ে নামাজ পড়া যায়। তবে জুতা যেন নাপাক না হয়।
৭। অনিচ্ছা সত্ত্বেও নামাজে অন্য চিন্তা এসে গেলে নামাজ ভাঙ্গে না। একদা আসরের নামাযে মহানবী (ﷺ) এর মনে পড়ল যে, তাঁর ঘরে কিছু সোনা বা চাঁদির টুকরা থেকে গেছে। তাই সালাম ফিরেই সত্বর তিনি কোন পত্নীর গৃহে প্রবেশ করে রাত্রি আসার পূর্বেই দান করতে আদেশ করে এলেন! (বুখারী ৮৫১, ১২২১ নং)
৮। সিজদার জায়গা সাফ করা যায়
৯। কুরআন হাতে রেখে দেখে দেখে কেরাত পাঠ করা যায়
নামাজে যে কাজগুলি মাকরুহ;
১। আকাশের দিকে তাকানো।
২। চোখ বুজে থাকা
৩। খাবার সামনে রেখে নামাজ পড়া
৪। টয়লেটের চাপ নিয়ে নামাজ পড়া
১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ফিরে এসে বিষয়টি সূত্রসহ পুরোপুরি ব্যাখ্যা করার জন্য ধন্যবাদ। তবে মা আয়েশার নামাযের মধ্যে এত কিছু করার ব্যাপারে আমার মনে এখনও খটকা রয়ে গেল। জানিনা এতে আমার কোন গুনাহ হচ্ছে কিনা। উনি তো ওসব কাজের অন্ততঃ কয়েকটা সালাম ফিরিয়েও বলতে পারতেন।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হজরত আয়েশার (রা) এই বর্ণনাগুলি আসলে হাদিস না। কারণ এখানে রসুলের(সা) কোন সূত্র ব্যবহার করা হয়নি। কোন সাহাবী কোন আমল করলেই সেটা যে রসূলের নির্দেশিত এটা বোঝায় না যদি না রসূলের (সা) কোন সূত্র ব্যবহার করা হয়। তাই এটার উপর আমল করা ঠিক কি না আমি জানি। তবে আমি যে ওয়েব সাইটের সুত্রে লিখেছি তারা এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন।
১৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৯
জুন বলেছেন: নামাজ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো সাড়ে চুয়াত্তর যা জানা ছিল না। তবে নবীজীর জুতা পরে নামাজ আদায় করা হয়তো কোন কারন থাকতে পারে যা আমরা জানি না ।
মরুভুমি
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার লিঙ্কের লেখাটা পড়লাম। দ্বিতীয় পর্বও পড়েছি এবং দ্বিতীয় পর্বে মন্তব্যও করেছি। পুরানো পোস্টে মন্তব্য করলে পোস্ট দাতার কাছে মনে হয় অনেক সময় বার্তা যায় না।
আসলে রসূলের যুগে জুতা পড়েই অনেক সাহাবী জামাতে নামাজ পড়তেন। এটাই চর্চা ছিল। রসূল (সা) জুতা পড়ে নামাজ পড়ার কারণ হিসাবে বলেছেন যে ইহুদীদের বিপরীত আচরণ কর। ওরা জুতা বা চামড়ার স্লিপার পড়ে নামাজ পড়ে না। ( আবু দাউদ হাদিস নং ৬৫২)
ঐ যুগের শহর এতো নোংরা ছিল না। প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে জুতার নীচে মাটি বা ধুলাবালি ছাড়া নাপাক লাগতো কম। তাই তাদের জুতায় নাপাক লাগার সম্ভবনা কম ছিল। তবে জুতায় নাপাক জিনিস থাকলে জুতা পড়ে নামাজ পড়া যায় না। বর্তমানের মসজিদে জুতার অনুমতি দিলে মসজিদ পরিষ্কার রাখা কষ্টকর হবে। আবার অনেক মসজিদে কার্পেট থাকে। এই কারণে অতীতের সেই চর্চা আমাদের পক্ষে করা সম্ভব হয় না। তবে ঐ যুগে অনেকেই জুতা পড়েই নামাজ পড়তেন মসজিদে। সেটাই অনেকটা স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। আমরা বর্তমানে চাইলে ঘরের বাইরে, মাঠে বা খোলা জায়গায় জুতা পড়ে নামাজ পড়তে পারি রসূলের (সা) সুন্নাহ হিসাবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুমিনদের জন্য চমৎকার পোষ্ট। এ পোষ্ট অবশ্যই মুমিনদের জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করবে। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন।