নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষার ভেলায় ভাসমান ভাসা ভাসা ভাবনার ভার

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪


কোন লেখা ভাষান্তর করা অনেক সময় বেশ কঠিন কাজ। এক ভাষার ভাবকে অনেক সময় অন্য ভাষায় পুরোপুরি প্রকাশ করা যায় না। সেই ক্ষেত্রে ভাবানুবাদের আশ্রয় নিতে হয়। ভাষা নিয়ে ভাবতে ভাবতে কিছু ভাবনা আমার মাথায় এলো। সেগুলিই প্রকাশের চেষ্টা করলাম নীচে;

অনেক বাংলা শব্দের উপযুক্ত ইংরেজি শব্দ খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। যেমন, যদি বলি নীচের বাক্যগুলিকে বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করুন সেই ক্ষেত্রে অনেকেই আমার মত বিপদে পড়তে পারেন;

১। অভিমানি তুমি কোথায় হারিয়ে গেছ।
২। শায়লা জীবনসঙ্গী হিসাবে একজন সুদর্শন ঘর জামাই চায়।
৩। আমার গায়ে হলুদে খুব মজা হয়েছিল।
৪। নুরের সাথে চাপাবাজিতে কেউ পারে না।
৫। শালী দুলাভাইয়ের সম্পর্ক বেশ মজার হয়।
৬। মরিচ খেয়ে আমার খুব ঝাল লেগেছে।
৭। তার কৃতঘ্নতা আমাকে বিস্মিত করেছে।
৮। বাঙ্গালীরা ফাঁকিবাজ না।
৯। তার একটা মুদ্রাদোষ আছে।
১০। ব্লগে কেউ কারও গুরু বা শিষ্য না।

অধিক বর্ণযুক্ত কিছু বাংলা শব্দ বলতে পারবেন? অর্থাৎ অনেক লম্বা কোন শব্দ যেটাতে বর্ণ বেশী আছে। যেমন বঙ্কিমচন্দ্র তার কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসে ‘প্রফুল্লনীলোৎপলদলতুল্য’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। যার অর্থ হোল নীল জলপদ্মের তরুণ পাপড়ির ন্যায়। এই শব্দ অভিধানে না থাকলেও বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসে এই ধরনের আরও কিছু শব্দ আছে যেগুলি ওনার নিজের বানানো শব্দ। এগুলির অর্থ আমি জানি না। কেউ জানলে দয়া করে জানাবেন। যেমন হুক্কার সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছেন;

“হে, হুঁক্কে! হে আলবলে! হে কুণ্ডলাকৃতধূমরাশিসমুদ্গারিণি! হে ফণিনীনিন্দিতদীর্ঘনলসংসর্পিণি! হে রজতকিরীটমণ্ডিতশিরোদেশসুশোভিনি! কিবা তোমার কিরীটবিস্রস্ত ঝালর ঝলমলায়মান! কিবা শৃঙ্খলাঙ্গুরীয় সম্ভুষিতবঙ্কাগ্রভাগ মুখনলের শোভা। কিবা তোমার গর্ভস্থ শীতলাম্বুরাশির গভীর নিনাদ! হে বিশ্বরমে! তুমি বিশ্বজনশ্রমহারিণী, অলসজনপ্রতিপালিনী, ভার্যাভর্ৎসিতজনচিত্তবিকারবিনাশিনী, প্রভুভীতজনসাহসপ্রদায়িনী! মূঢ়ে তোমার মহিমা কি জানিবে? তুমি শোকপ্রাপ্ত জনকে প্রবোধ দাও, ভয়প্রাপ্ত জনকে ভরসা দাও, বুদ্ধিভ্রষ্ট জনকে বুদ্ধি দাও, কোপযুক্ত জনকে শান্তি প্রদান কর। হে বরদে! হে সর্বসুখপ্রদায়িনি! তুমি যেন আমার ঘরে অক্ষয় হইয়া বিরাজ কর। তোমার সুগন্ধ দিনে দিনে বাড়ুক! তোমার গর্ভস্থ জলকল্লোল মেঘগর্জনবৎ ধ্বনিত হইতে থাকুক! তোমার মুখনলের সহিত আমার অধরৌষ্ঠের যেন তিলেক বিচ্ছেদ না হয়।”

-বিষবৃক্ষ, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

এছাড়া আরও কিছু কঠিন শব্দ বঙ্কিমচন্দ্র নিজে তৈরি করেছেন। যেমন;

১। বিষমোজ্জলাবিভাসিতলোচনপ্রান্তে (কপালকুণ্ডলা)
২। ধন্বন্তরিভাণ্ডনিঃসৃত (কৃষ্ণকান্তের উইল)
৩। মদনমদোন্মদহলাহলকলসীতুল্য (কৃষ্ণকান্তের উইল)
৪। মন্দারঘর্ষণপীড়িতবাসুকিনিশ্বাসনির্গত (কৃষ্ণকান্তের উইল)
৫। ভার্যাভর্ৎসিতজনচিত্তবিকারবিনাশিনী
৬। সরস্বতীচরণকমলদলবিহারিণীগুঞ্জনমত্তমধুব্রত। অর্থ – সরস্বতীর চরণ –পদ্ম –পাতায় বিচরণকারী গুঞ্জনরত মৌমাছি।

এছাড়াও আরও কিছু বড় শব্দ বাংলা ভাষায় আছে। যেমন;
১। কিংকর্তব্যবিমূঢ় । অর্থ- র্কতব্য স্থির রিতে অক্ষম এমন।
২। অঘটনঘটনপটীয়সী । অর্থ- অসাধ্য সাধনে পটু (স্ত্রীবাচক শব্দ)।
৩। নিশীথবনভ্রমণবিলাসিনী অথবা নিশীথবনবিলাসিনী । অর্থ – নিশিথে বন ভ্রমণে যেতে চায় যে নারী
৪। অদ্যভক্ষ্যধনুর্গুণ
৫। অবাঙমনসগোচর । অর্থ - বাক ও বোধশক্তির অতীত, ভাষায় প্রকাশ করা যায় না এমন, অচিন্তনীয়।
৬। ভীণষউজ্জলোচনপ্রাণ। অর্থ - চোখগুলো জ্বলজ্বল করছে।
৭। অখণ্ডমন্ডলাকার । অর্থ - সম্পূর্ণ গোলাকার
৮। কদম্বগোলকন্যায় । অর্থ - কদম ফুলের মত গোল
৯। উষ্ট্রকণ্টকভোজনন্যায় । অর্থ - উট যেমন মুখ কেটে ছড়ে গেলেও বাবলাকাঁটা চেবাতে থাকে, থামতে চায়না,তেমন।
১০। গড্ডালিকাপ্রবাহ – অর্থ - হুজুগে মেতে যাওয়া।
১১। নাতিশীতোষ্ণমন্ডলানুরূপ । অর্থ – নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের অনুরুপ
১২। দক্ষিণায়নান্তবৃত্তসম্বন্ধীয়
১৩। ষট্চত্বারিংশত্তম
১৪। প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব - অর্থ- উপস্থিত বুদ্ধির প্রয়োগ।

নীচের ইংরেজি শব্দেগুলিকে এক শব্দে বাংলায় অনুবাদ করুন;

1। Network
2। Dustbin
3. Flirt
3। Toothpaste
5. Sunglass
6. Cleavage
8. Icecream
9. Pencil
10. Crush (প্রেম/ ভালোবাসা সংক্রান্ত)
11. Stereotype
12. Typical

একটা মাত্র বর্ণ দিয়ে বাংলা শব্দ আছে কয়েকটা। যেমন;

১। ধী । অর্থ – বুদ্ধি, জ্ঞান, মেধা
২। খ । অর্থ – আকাশ
৩। ন । অর্থ – নয় অথবা নতুন ( ন-বউ) অথবা সেজোর পরে (ন-মামা)
৪। ভ । অর্থ – গ্রহ

এই ব্লগে অনেকের নিক উচ্চারণ করতে গিয়ে দাঁত ভাঙ্গার মত অবস্থা হয়। যেমন একজন গায়ক, তরুণ, প্রেমিক ব্লগার আছেন যার নিক নাম হোল ‘নিবর্হণ নির্ঘোষ’। পরীক্ষার আগের দিন পড়ার চাপ ভোলার জন্য প্রেমিকাকে নিয়ে গান লিখে ফেলেন। আর কোন সহজ নাম খুঁজে না পেয়ে সম্ভবত এই ধরণের ‘দাঁত ভাঙ্গা’ নাম রেখেছেন তিনি। উচ্চারণ করতে গিয়ে কারও দাঁত ভেঙ্গে গেলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।

সুত্র – বাংলা অভিধান এবং বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস সমুহ
ছবি – Bangla Quotes

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ভাষার ভেলায় ভেসে কোথায় থেকে কোথায় গিয়ে ঠেকালেন মন পবনের নাও! তবে একদম ব্যাতিক্রমী একটা পোস্ট।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রোজা রাখলে মন পাবনের নাও আরও দূরে ভেসে যেতে চায়। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫

জুন বলেছেন: আপনার লেখাটিতে চোখ বুলালাম সাড়ে চুয়াত্তর । মনে পরলো আমার হাজবেন্ডের খুব প্রিয় বস ছিলেন এক জার্মান মহিলা, সে কিছু কিছু বাংলা বলতে পারতো। বাংলাদেশের প্রতি তার ছিল অগাধ ভালোবাসা যা হলি আর্টিজেনের ঘটনায় ধাক্কা খেয়েছিল। তিনি বাংলাদেশের অফিস থেকে বিদায় নেয়ার সময় আমার হাজবেন্ডের কাছে একটি উপহার দাবী করেছিল তাহলো বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রবাদ প্রবচন অনুবাদ করে যেন দেয়। অনেক মাথা খাটিয়ে তাকে ৫০টি প্রবাদ প্রবচন ভাবানুবাদ করে দিয়েছিল তার মাঝে চোরের মায়ের বড় গলা ছিল ওনার প্রিয় ।
অনেক মুল্যবান একটি লেখা । অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে ।কিন্ত ইফতারের সময় হয়ে আসছে যে

সাড়ে চুয়াত্তর আপনি আমার লেখাটি পড়েছেন আমি দেখেছি কিন্ত কাজের ঝামেলায় উত্তর দিতে পারিনি বলে দুঃখিত । তাছাড়া ভেবেছি আপনার বাকি দুই পর্ব পড়ার পর দেবো। এখন দেখলাম আপনি দেখেনই ই নি ওটা যে চার পর্বে লেখা :( আমার পর্ব কিন্ত অনেক ছোট ছোট হয় আর ওদুটোই ইন্টারেস্টিং ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই দেশ সম্পর্কে পশ্চিমাদের অনেক সময় আগ্রহ সৃষ্টি হয়। অনেকে এই দেশে আসার পরে এই দেশ সম্পর্কে ভালো ধারণা লাভ করে।

যে কোন দেশের প্রবাদ প্রবচন অনুবাদ করা খুব কঠিন কাজ। এক্ষেত্রে ভাবানুবাদের সাহায্য নিতে হয়।

আমি আপনার ভ্রমন কাহিনীর প্রথম দুই পর্ব পড়েছি। আমি বুঝেছি দুই পর্বে ভ্রমণ কাহিনী শেষ হয়নি। :) তবে কালকে বাকি দুই পর্ব পড়ার সময় পাইনি। আশা করি আজ বা কাল পড়ব এবং আপনার ভ্রমণের মজার অংশগুলির উপর মন্তব্য করবো।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: বঙ্কিমচন্দ্র যখন বাংলা গদ্য লেখেন তখন বালা ভাষার হাঁটি হাঁটি পা পা অবস্থা।এখন অনেক পরিপক্ক।
আমাদের অনুবাদ সাহিত্য বড় দুর্বল।সেজন্য ভাষা শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারে নাই।যেটা করছে ইংরেজরা।তারা প্রায় পৃথিবীর সকল ভাষায় রচিত ভালো ভালো বইগুলো অনুবাদ করেছে তাদের নিজের ভাষায়।
আমাদের সাহিত্যিকরা যত মৌলিক বই লিখেছেন সে অনুপাতে অন্য ভাষায় রচিত বইগুলি অনুবাদ করে নাই।এই কারনে আমাদের চিন্তার বিকাশে আমরা পিছিয়ে পড়েছি।বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছি না।চিন্তার বিকাশের জন্য নতুন নতুন শব্দ প্রয়োজন হতো।তখন ভাষা সমৃদ্ধ হতো।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে।

বাংলায় গদ্য সাহিত্য বেশী পুরানো হতে পারেনি। বঙ্কিমের আরও অন্তত ৫০০ বছর আগে যদি গদ্য সাহিত্য সর্বজনে চর্চিত হত তাহলে বাংলা ভাষা আরও উন্নত হতে পারতো। সাহিত্য চর্চার মাধ্যমেই ভাব প্রকাশের জন্য নতুন নতুন এবং সহজে প্রয়োগ যোগ্য শব্দ ভাষাতে স্থান পায়। বাংলা ভাষায় আরও অনেক সহজ এবং অর্থবোধক শব্দ প্রয়োজন আছে। চর্চা কম হওয়ার কারণে ভাষার কাঙ্ক্ষিত সমৃদ্ধি ঘটেনি। বঙ্কিমচন্দ্রের ভাষা সহজ না, ফলে মানুষ সেগুলি ব্যবহার করে নাই পরবর্তীতে।

ইংরেজিতে শব্দ সংখ্যা বাংলার চেয়ে অনেক বেশী। আমাদেরও উচিত ছিল বিশ্বের ভালো ভালো বইগুলি বাংলায় অনুবাদ করে নেয়া। এতে এই জাতি উপকৃত হত। অনুবাদ সাহিত্যে আমরা সত্যিই দুর্বল। যার কারণে বিশ্ব সাহিত্য সম্পর্কে সাধারণভাবে আমাদের জ্ঞান কম। কুয়োর ব্যাঙ না হয়ে আমাদের উচিত হবে কুয়োর বাইরের বিশ্ব সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা। নিজের ভাষায় এই জ্ঞান সুলভ হলে আমজনতা লাভবান হয় ফলশ্রুতিতে জাতি উন্নত হয়।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ডাস্টবিন = আস্তাকুর
সানগ্লাস - রোদচশমা

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই শব্দগুলি বাংলায় বেশী বেশী প্রয়োগ করার মাধ্যমে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে হবে। অনেক ইংরেজি শব্দের বাংলা শব্দ আছে কিন্তু এগুলি শুনতে আমরা অভ্যস্ত না যে কারণে আমরা ব্যবহার করতে চাই না। যেমন;

চেয়ার - কেদারা
ফোন - দূরালাপনি

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন পোস্ট।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, উৎসাহিত হলাম আপনার মন্তব্যে। :)

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১৭

শায়মা বলেছেন: তুমি আবার লেখাপড়া করাচ্ছো কেনো ভাইয়া???

এমনিতেই স্কুল ছুটি দেয় না। :(

শপিং এ যেতে টাইম পাই না এর মাঝে আবার পড়ালেখা!!! :(

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মনের মত পোস্ট বা মন্তব্য কোনটাই এখন আর বয়সের কারণে করতে পাড়ছি না। তবে আপনার শরবত বানানোর পোস্টটা কিন্তু আমার খুব ভালো লেগেছে। :)

৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- পোস্টে প্রথম একটা প্লাস দিয়ে নিলাম।
- মিরাক্কেলের একটি পারফরমেন্সের কথা মনে পরে গেলো।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লাইক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। মিরাক্কেলের ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম না। বিস্তারিত বললে ভালো হয়। :)

৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি ৪ নাম্বারেরটা অর্থ বলেন নাই !

অদ্যভক্ষ্যধনুর্গুণ - ( মানে ধনুর ছিলা এখনই খাইয়া ল ) এটা মনে হয় ধর তক্তা মার পেরেক জাতীয় কিছু অথবা । জমিদারদের খাজনা না দেবার জন্য সরাসরি কোন শাস্তি !


যাকগে বঙ্কিমকে নাকি একবার এক ইংরেজ লাট চাকরির মৌখিক পরীক্ষায় প্রশ্ন করেছিল , " হোয়াট ইজ আপড (আপদ) এন্ড বিপড (বিপদ) ?

উনি উত্তর দিলেন , " আমি পদ্মায় বজরায় চড়ে যাচ্ছি মাঝনদীতে ঝড় উঠল এটাকে বলে বিপদ আর এক ইংরেজের কাছে বাংলার পরীক্ষা দিচ্ছি এটাকে বলে আপদ । "

যা বুঝতেছি বঙ্কিম নিজেই ছিলেন আপদ !


তো এবার বলি আমি কিন্তু প্রেমিক পুরুষ নই । প্রেমিকাকে নিয়ে সত্যিই আমি পরীক্ষার আগেরদিন রাতে গান লিখেছিলাম । তবে সেটা আমি কাউকে শুনাইনি , কেবল আমার মা'কে বাদে । আর যেটা দিয়েছি সেটা তো মোটেও আমার প্রেমিকাকে নিয়ে না । আর আমার এই নামটা কী বেশি খটমট ? এক সময় আমি এই নামে পরিচিত ছিলাম , " নস্ত্রাদ্ভস্কিস্ত্রম্ট্রা " ! হেহেহেহেহ !!

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: 'অদ্যভক্ষ্যধনূর্গুণ' মানে হোল 'আজকে ধনুকের গুণগান করে খাব' :)

বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন একজন সাম্প্রদায়িক লেখক। তবে অনেক বিদ্বান ছিলেন। ওনার বন্দে মাতরম নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে।

আপনার আগের নামটাই তো অনেক সহজ ছিল। ঐ নামে আবার ফিরে আসা দরকার আপনার। :)

৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখক বলেছেন: মিরাক্কেলের ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম না। বিস্তারিত বললে ভালো হয়। :)




০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই বার ভিডিও দেখিয়া বুঝিলাম। :) ধন্যবাদ।

১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই নামটাকে খুব মিস করি !! আহা আমার নাম !!

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুঝলাম দাঁত ভাঙ্গা জিনিসের উপর আপনার আকর্ষণ বেশী। :)

১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:১৫

জটিল ভাই বলেছেন:
" ৎৎৎঘূৎৎ " নিকের উচ্চারণ, অর্থ,আর ইংরেজি অনুবাদটি দয়া করে বলে দেবেন? =p~

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এমন বিদঘুটে নিক উনি কীভাবে আবিষ্কার করলেন !!!! :) চিন্তায় পড়ে গেলাম।

১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি বোল্ড করে যে অংশটুকু দিয়েছেন তাহা তো সংস্কৃত ! বাংলা নয় ! সংস্কৃতের ইংরেজি করতে চাওয়া বেকুবি !

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো করে পড়লে বুঝবেন যে এটা সংস্কৃত নয়। ইহা বঙ্কিমের বিষবৃক্ষ উপন্যাসের একটা ক্ষুদ্র অংশ। বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্যের ভাষা এরকমই ছিল।

১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব আমার জ্ঞান বুদ্ধি কম। আপনারা এই পোস্ট পড়িয়ে কিছুই বুঝিতে পারিলাম না। আসলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন? যদি এক দুই লাইনে আমার মতো জ্ঞানহীন কে বুঝিয়া বলিতেন, তয় ভালো বোধ করিতাম।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাষান্তর একটা কঠিন জিনিস এটাই বুঝাতে চেয়েছি। উপযুক্ত শব্দ অনেক সময় পাওয়া যায় না। আপনি নীচের বাংলা শব্দগুলির ইংরেজি প্রতিশব্দ কি হবে বলার চেষ্টা করেন।

১। অভিমান বা অভিমানি
২। ঘর জামাই
৩। চাপাবাজি
৪। ঝাল লাগা
৫। কৃতঘ্নতা
৬। ফাঁকিবাজ
৭। মুদ্রাদোষ
৮। গুরু
৯। শিষ্য

আবার নীচের ইংরেজি শব্দগুলির বাংলা প্রতিশব্দ কি হবে বলার চেষ্টা করেন;
1। Network
2। Dustbin
3. Flirt
3। Toothpaste
5. Sunglass
6. Cleavage
8. Icecream
9. Pencil
10. Crush (প্রেম/ ভালোবাসা সংক্রান্ত)
11. Stereotype
12. Typical

১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

জটিল ভাই বলেছেন:
লেখক বলেছেন: এমন বিদঘুটে নিক উনি কীভাবে আবিষ্কার করলেন !!!! :) চিন্তায় পড়ে গেলাম।

একজন ব্লগারের নিককে এভাবে বিদঘুটে বলার কারণে কি আপনার নামে ব্যক্তিআক্রমণের মামলা করা যাবে? =p~

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যাবে না। :) কারণ আমি যাহা বলিয়াছি উহা ওনার প্রশংসা মাত্র। এই কারণে বিস্ময় সূচক চিহ্ন ব্যবহার করা হইয়াছে। :) ইহা ছাড়া দাঁত কেলানোর ছবিও সংযুক্ত করা হইয়াছে।

১৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: বঙ্কিমচন্দ্রের সেই কঠিন শব্দগুলো, কিংবা তারপরে যেসব বড় শব্দ উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর কোন অডিও পাওয়া যাবে কি? পড়তে গিয়ে দাঁত নড়বড়ে হয়ে গেছে, তাই মনে হচ্ছে কানে শুনতে পারলে জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারতাম।

"আমার গায়ে হলুদে খুব মজা হয়েছিল", এই বাক্যটির অনুবাদ ইংরেজি অনুবাদ করতে পেরেছি। My body yellow was very tasty.

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপু আপনি এত মজার মানুষ আগে জানা ছিল না। :)

ব্লগার নিবর্হণ নির্ঘোষ বঙ্কিমের এই দাঁত ভাঙ্গা শব্দগুলি উচ্চারণ করে শুনাতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ উপরে ৮ নং মন্তব্যের শেষে ওনার একটা নিক উনি উল্লেখ করেছেন যেটা বঙ্কিমকেও হার মানায়। বর্তমান নিকটাও কম যায় না।

গায়ে হলুদ নিয়ে আপনার ইংরেজি অনুবাদ শুনে অনেক হাসলাম। :)

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে কোন ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি উক্ত জাতির কৃষ্টি, কালচার, রাজনীতি, ইতিহাস এবং ইমোশনের জায়গটা বুঝা সমান ভাবে জরুরী, তা না হলে ভাবান্তর করাটা কষ্টসাধ্য। কংক্রিট ট্রান্সলেট করলে উহা আসলে অখাদ্য হয় তাই ভাবান্তরটাই জরুরী।

পোাস্ট ভালো লেগেছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত। একটা জাতিকে বুঝতে হলে ভাষা শিক্ষার পাসাপাশি কৃষ্টি, কালচার, রাজনীতি, ইতিহাস এবং আবেগও বোঝার প্রয়োজন আছে।

ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




যেমন একজন গায়ক, তরুণ, প্রেমিক ব্লগার আছেন যার নিক নাম হোল ‘নিবর্হণ নির্ঘোষ’।

আমি তাকে একটা শর্টকাট নিক দিয়েছিতো, নির্বংশ যেটা তার মনে ধরেছে :)

কেনো নির্বংশ, সে আরেক ইতিহাস।
সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কখনও বিয়ে করবে না, সো এই নিকটা পারফেক্ট :)

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হা হা হা হা হা ......... মিরোরডডলের দেয়া নামটা একদম মানানসই হয়েছে। :) পরীক্ষার আগের দিন যে প্রেমিক পড়াশুনা বাদ দিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে গান কম্পোজ করে সেই প্রেমিকের পক্ষে বেশী দিন ব্যাচেলর থাকা অসম্ভব। আমার ধারণা সে মেয়েদের কাছে নিজের দাম বাড়ানোর জন্য নিজেকে চিরকুমার দাবি করে। আমাদের সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক সারা জীবন কুমার থাকার পরে ৬৭ বছর বয়সে বিয়ে করেন ৪২ বছরের পাত্রীকে। এখন এই দম্পতির ঘর আলোকিত করছে ৩ টি বাচ্চা। আরও আগে বিয়ে করলে অন্তত ১০ টা বাচ্চা হতো নিশ্চিত। আমাদের তরুণ, প্রেমিক, গায়ক ব্লগার নির্বংশও :) এই রকম কোন ধান্ধায় আছে মনে হয়। :) দেখা যাবে বুড়ো বয়সে কোন এক নারীবাদী দজ্জাল মেয়েকে বিয়ে করে তার কথা মত ওঠ বস করছে। তারপরও বিয়ে না করার এই ভুত মাথা থেকে নামুক।

১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

মিরোরডডল বলেছেন:

হা হা হা... আশা করি নির্বংশ সাচুর কমেন্টটা পড়ে রিপ্লাই করবে :)

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে সাহসের অভাব। নির্বংশের মধ্যে নারী ভীতি কাজ করছে। :)

বউয়ের ভয়ে বিয়ের মত এতো মজাদার জিনিস থেকে দূরে থাকা নির্বংশের ঠিক হচ্ছে না।

১৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি পদাতিক'দার একটা পোস্টে বলেছিলাম আমি প্লেটোনিক প্রেমে বিশ্বাসী । তো আমার প্রেমিকা যে অশরীরি হতে পারে না তা কে বলল ?

পরীক্ষার আগের দিন যে প্রেমিক পড়াশুনা বাদ দিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে গান কম্পোজ করে সেই প্রেমিকের পক্ষে বেশী দিন ব্যাচেলর থাকা অসম্ভব।

য়্যে মানে আমার গুরু ওমর খৈয়াম , ইবনে সীনা এরা কিন্তু বিরাট কিসিমের প্রেমিক ছিল কিন্তু ছিল চিরকুমার ! আমিও তো সেই পথের পথিক হতে পারি নাকি !!

আমাদের সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক সারা জীবন কুমার থাকার পরে ৬৭ বছর বয়সে বিয়ে করেন ৪২ বছরের পাত্রীকে। এখন এই দম্পতির ঘর আলোকিত করছে ৩ টি বাচ্চা। আরও আগে বিয়ে করলে অন্তত ১০ টা বাচ্চা হতো নিশ্চিত। আমাদের তরুণ, প্রেমিক, গায়ক ব্লগার নির্বংশও :) এই রকম কোন ধান্ধায় আছে মনে হয়। :)

ভাই লক্ষ্য করবেন তিনি কিন্তু রেলমন্ত্রী হবার পর বিয়ে করেছে । আমার তো সেই সম্ভবানা নাই সুতরাং আপনার এই তুলনা খাটলো না । এত আশা করে অতদিন কেউ অপেক্ষা করে ? আর আপনিই তো বলেছেন আমার মত পরীক্ষার আগের রাতে যে গান তৈরী করে তার দ্বারা বেশিদিন অপেক্ষা করা কী সম্ভব ? ( আয়না আপা , কন কথা ঠিক কী না ) !!

দেখা যাবে বুড়ো বয়সে কোন এক নারীবাদী দজ্জাল মেয়েকে বিয়ে করে তার কথা মত ওঠ বস করছে। তারপরও বিয়ে না করার এই ভুত মাথা থেকে নামুক।

কেন কেন ? কেবল নারীবাদী কেন ? অন্য কেউ কেন নয় ? আপনি কী আমাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসাবার জন্য কোন নারীবাদীকে আজীবন নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন নাকি ? আর বিয়ে না করবার ভুত ? সে আমার কাঁধ থেকে ইনশাআল্লাহ নামবে না !!

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বউয়ের সাথে প্ল্যাটনিক প্রেম করা যায় না? বিদেশে নাকি এই প্রথা চালু হয়েছে। জীন আর পরীর সাথেও অনেকে প্ল্যাটনিক প্রেম করে। আপনার জন্য মানুষের চেয়ে পরীর (মেয়ে জীন হোল পরী) সাথে প্ল্যাটনিক প্রেম করলে ভালো হবে। আমার পরিচিত একটা ছেলেকে পরীরা উঠিয়ে ওদের দেশে নিয়ে গিয়েছিল কয়েক বছরের জন্য। পরে আবার ফিরিয়ে দিয়েছে। একদম সত্যি ঘটনা।

আমার ধারণা ওমর খৈয়ম আর ইবনে সিনা প্রেম করে ছ্যাকা খেয়েছিলেন তাই ভয়ে আর বিয়ের নাম নেন নি ।

যারা গানপ্রেমী তাদের তো প্রেমিকা বেশী থাকে। এরা গান লেখে একজনের জন্য গান শুনায় আরেকজনকে বই কিনতে যায় আরেক জনের সাথে রাস্তায় হাটে আরেকজনের সাথে আর প্ল্যাটনিক প্রেম করে আরেকজনের সাথে । :) পরে বলে আমার আম্মু যে মেয়েকে পছন্দ করবে তাকে বিয়ে করব।

নারীবাদী মেয়ে হলে আপনার সাথে জমতো ভালো। আপনাকে লাইনে রাখতে পারতো। ওরা আপনাকে আপন ভাবে এবং নিজেদের দলের মনে করে। শুধু আপনিই বুঝতে পারলেন না। যে মেয়েকে নিয়ে বই কিনতে গিয়েছিলেন সে তো আপনার প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আপনি বুঝতে পারেন নি। :)

২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @মিরোরডডল , আপা আপনার কাছে নালিশ দিলাম ।


এই ব্লগে আরও বিবাহ উপযুক্ত যুবক আছে । একটি যুবতিও আছে যে কী না আবার সাচু ভাইকে বুজুর্গ বলে মানে । কৈ তার বেলায় তো বিয়ের তোরজোর সাচু ভাইয়ের দেখি না । এদিকে সাচু ভাই যদি কোন যুবকের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে সে যুবতির কাছে যায় তো এক পায়ে খাড়া বিয়ে করবার জন্য । কিন্তু সেই পথে না গিয়ে আমাকেই কেন বেছে নিলেন ? আমাকেই কেন বিয়ের শেকল পরাতে হবে ? এর বিচার আপনাকে করতেই হবে আপা !!


১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্লগে আপনাকেই আমার সবচেয়ে বেশী বিবাহ যোগ্য ব্যাচেলর মনে হয়। বয়সের তুলনায় আপনার পড়াশুনা এবং জ্ঞানের পরিধি বেশ বিস্তৃত। আবার ভালো সুর স্রষ্টা এবং গায়ক। আমার মনে হয় আপনিই ব্লগের ঐ মেয়েটার জন্য উপযুক্ত পাত্র। আপনি এক পায়ে খাড়া থাকলে কবুল বলেন। বাকিটা আমি দেখবো। :)

২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১৫

জটিল ভাই বলেছেন:
অফটপিক- মুরব্বীদের বলতে শুনি, কারো ক্ষতি করতে চাইলে ৩টা রাস্তা। ১ তাকে ইলেকসনে দাঁড় করিয়ে দাও। ২ তাকে কিছু টাকা দাও। ৩ তাকে বিয়ে করিয়ে দাও। এরমাঝে ৩ নম্বর অপসনটা নাকি বেশি কার্যকর। লাইফ টাইম গ্যারান্টিযুক্ত পথ :P :P :P

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১ আর ২ ঠিক আছে। ৩ নাম্বারটা আপেক্ষিক ব্যাপার। কারও জন্য ভালো আবার কারও জন্য বিপদ। :)

২২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:০৩

মিরোরডডল বলেছেন:



এত আশা করে অতদিন কেউ অপেক্ষা করে ? আর আপনিই তো বলেছেন আমার মত পরীক্ষার আগের রাতে যে গান তৈরী করে তার দ্বারা বেশিদিন অপেক্ষা করা কী সম্ভব ? ( আয়না আপা , কন কথা ঠিক কী না ) !!

এ কথাটার আরেক অর্থ হচ্ছে, নির্বংশ ৬৭ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না, তার অনেক আগেই সে বিয়ে করবে :)

কেন কেন ? কেবল নারীবাদী কেন ? অন্য কেউ কেন নয় ?

সি! বোঝা গেলো অন্য কেউ হলে তার আগ্রহ আছে :)
তারমানে বিয়ে না করার কথাটা মনের কথা না :)

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @মিরোরডডল , আপা আপনার কাছে নালিশ দিলাম ।

আর মানুষ পেলোনা, আমাকে করেছে নালিশ! তার আগে জানতে হবে আমার অবস্থান কোথায়। আমি যে কোন দলের সেটা কি কারও জানা আছে :)
হা হা হা ……

তবে হ্যাঁ সাচু শুধু নির্বংশের জন্যই না, তানভীর জন্যও মেয়ে দেখে।
সাচু মনে হয় ঘটক পাখি ভাই :)

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগার নির্বংশ আসলে বিয়ের বাজারে নিজের দাম বাড়াচ্ছে।

তানভীর অপুর জন্য মেয়ে দেখার দরকার নাই। কারণ সে হোল চির লাভার বয়। মেয়েরাই তাকে খুঁজে নেয়। :)

২৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৪৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বউয়ের সাথে প্ল্যাটনিক প্রেম করা যায় না? বিদেশে নাকি এই প্রথা চালু হয়েছে। জীন আর পরীর সাথেও অনেকে প্ল্যাটনিক প্রেম করে। আপনার জন্য মানুষের চেয়ে পরীর (মেয়ে জীন হোল পরী) সাথে প্ল্যাটনিক প্রেম করলে ভালো হবে। আমার পরিচিত একটা ছেলেকে পরীরা উঠিয়ে ওদের দেশে নিয়ে গিয়েছিল কয়েক বছরের জন্য। পরে আবার ফিরিয়ে দিয়েছে। একদম সত্যি ঘটনা।

বিয়ে করলে আর প্ল্যাটনিক প্রেমের কী দরকার । মানে যেখানে হাত বাড়ালেই রোমান্টিকতা ! আর আমি অশরীরি বলতে কী বুঝাইলাম রে ভাই , হে হে হে হে হে ....................................................! আর অমন পরীর ঘটনা আমিও জানি !

আমার ধারণা ওমর খৈয়ম আর ইবনে সিনা প্রেম করে ছ্যাকা খেয়েছিলেন তাই ভয়ে আর বিয়ের নাম নেন নি ।

আরে না তেমন কিছূ তো জানা যায় না , তাছাড়া ওমর মিয়া নিজেই তো ছ্যাঁকা দিছে বলে জানা যায় !

যারা গানপ্রেমী তাদের তো প্রেমিকা বেশী থাকে। এরা গান লেখে একজনের জন্য গান শুনায় আরেকজনকে বই কিনতে যায় আরেক জনের সাথে রাস্তায় হাটে আরেকজনের সাথে আর প্ল্যাটনিক প্রেম করে আরেকজনের সাথে । :) পরে বলে আমার আম্মু যে মেয়েকে পছন্দ করবে তাকে বিয়ে করব।


ভাইরে ভাই আমি যাই নাই ঐ ছেরিই গেসিল রে ভাই । আমার কী দোষ এতে !


নারীবাদী মেয়ে হলে আপনার সাথে জমতো ভালো। আপনাকে লাইনে রাখতে পারতো। ওরা আপনাকে আপন ভাবে এবং নিজেদের দলের মনে করে। শুধু আপনিই বুঝতে পারলেন না। যে মেয়েকে নিয়ে বই কিনতে গিয়েছিলেন সে তো আপনার প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আপনি বুঝতে পারেন নি। :)

আমাকে আ্পন ভাবে ? পুরো দুনিয়া জানে আমি পুরুষবাদী আর ওরা আমাকে আপন ভাবে ? । আর ঐ মেয়ে আমার প্রেমে পড়েছে এটা আপনি বুঝে গেছেন ? আহা নারী মন বোঝা অত সোজা ?

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে ভালো না লাগলে সাথে নিয়ে যেত না। আপনার কোন দোষ নাই। আপনি হলেন ধোয়া তুলসি পাতা। :)

২৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৫১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই ব্লগে আপনাকেই আমার সবচেয়ে বেশী বিবাহ যোগ্য ব্যাচেলর মনে হয়। বয়সের তুলনায় আপনার পড়াশুনা এবং জ্ঞানের পরিধি বেশ বিস্তৃত। আবার ভালো সুর স্রষ্টা এবং গায়ক। আমার মনে হয় আপনিই ব্লগের ঐ মেয়েটার জন্য উপযুক্ত পাত্র। আপনি এক পায়ে খাড়া থাকলে কবুল বলেন। বাকিটা আমি দেখবো। :)

কী বলেন ভাই এসব , ঐ মেয়ে দেখলে কী মনে করবে বলুন তো । আমরা তো সহব্লগার তাই না ! এভাবে বললে তার মনোঃক্ষুন্নও তো হতে পারে ! নাহ এভাবে বলবেন না !! শুনলাম তানভির ভাইয়ের বিয়ের জন্যও আপনি চেষ্টা করছেন কোন লাভ হল ??

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিয়ের প্রস্তাব দেয়া দোষের কিছু না। সে খুশিও হতে পারে। :)

তানভীর ভাই চির লাভার বয়। তার মেয়ে বন্দুর অভাব নাই। ওখানে আমি পাত্তা পাব না। :)

২৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:০১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এ কথাটার আরেক অর্থ হচ্ছে, নির্বংশ ৬৭ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না, তার অনেক আগেই সে বিয়ে করবে :)

কী বলেন এসব আপা , আমি তো সাচু ভাইকে শান্ত করতে এসব বলা , তুলনাটা ঠিক হয়নি তাই বললাম !!

সি! বোঝা গেলো অন্য কেউ হলে তার আগ্রহ আছে :)
তারমানে বিয়ে না করার কথাটা মনের কথা না :)


কী কয় না কয় , হাছাই আমার দিলের আওয়াজ । চিক্কুর মাইরা কৈবার পারুম , আফা আমি বিয়া করুম না ।

আর মানুষ পেলোনা, আমাকে করেছে নালিশ! তার আগে জানতে হবে আমার অবস্থান কোথায়। আমি যে কোন দলের সেটা কি কারও জানা আছে :)
হা হা হা ……


এখন মাথায় এই গান বাজতেছে , " ভুল সবই ভুল ......"


তবে হ্যাঁ সাচু শুধু নির্বংশের জন্যই না, তানভীর জন্যও মেয়ে দেখে।
সাচু মনে হয় ঘটক পাখি ভাই :)


আরে নাহ , ওনার দর্শন হলো বিয়েহীন যুবকেরা যে শান্তিতে আছে তা সহ্য হয় না তার , তাই বাদ যাবে না কোন যুবক সবাইকে এই চায়নিজ লাড্ডু খাওয়াতেই হবে !!


শেষকথা , কারে নালিশ দিলাম ! :(

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডল ১০৭ বছর বয়সের এক অবিবাহিত বুড়ির ভিডিও দিয়েছিলেন আমাকে। বিয়ে না করলে নাকি ১০৭ বছর বাঁচা যায়। :)

২৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:০২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @জটিল ভাই ,

এই তো বুঝছেন পরের ভালো কেউ চায় না ! :-B

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুধু আপনি না। অনেক বুদ্ধিজীবী তরুণ বয়সে চিরকুমার হওয়ার সংকল্প নিয়ে পরে সেই সংকল্প রাখতে পারেন নি। আহমদ ছফা, আনিস সাবেত এবং হুমায়ূন আহমেদ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তারা কখনও বিয়ে করবেন না এবং চিরকুমার থাকবেন। পরবর্তীতে একমাত্র আহমদ ছফা ছাড়া বাকি দুইজন প্রতিজ্ঞা রাখতে পারেন নি। :) তবে আপনি পারবেন মনে হয়। :)

২৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ওরে বাবা যেনম কঠিন শিরোনাম পোস্ট তার চেয়ে কঠিনতর বঙ্কিমের শব্দগুলো তার চেয়ে কঠিনজটিলতর।++++

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কঠিন শব্দ পড়তে পড়তে এক সময় সহজ হয়ে যাবে। :) ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনাকে ভালো না লাগলে সাথে নিয়ে যেত না। আপনার কোন দোষ নাই। আপনি হলেন ধোয়া তুলসি পাতা। :)

যাক আপনি অন্তত স্বীকার করলেন যে আমি ধোঁয়া তুলসি পাতা ! ধন্যবাদ ভাই !!

বিয়ের প্রস্তাব দেয়া দোষের কিছু না। সে খুশিও হতে পারে। :)

তানভীর ভাই চির লাভার বয়। তার মেয়ে বন্দুর অভাব নাই। ওখানে আমি পাত্তা পাব না। :)


আমি আর কিছু জানি না এই নিয়ে ক্যাচাল বাধলে তার দায় আপনার । আমি তো ধোয়া তুলসি পাতা !! আপনিই বলেছেন !! আর তানভির ভাইও আমার দলে । তবে তিনি টানে সবাইকে বাঁধনে জড়ায় না !!

মিরোরডডল ১০৭ বছর বয়সের এক অবিবাহিত বুড়ির ভিডিও দিয়েছিলেন আমাকে। বিয়ে না করলে নাকি ১০৭ বছর বাঁচা যায়। :)

তাই নাকি ? যাক আল্লাহ দিলে একটা তো উপকারিতা পেলাম !!

শুধু আপনি না। অনেক বুদ্ধিজীবী তরুণ বয়সে চিরকুমার হওয়ার সংকল্প নিয়ে পরে সেই সংকল্প রাখতে পারেন নি। আহমদ ছফা, আনিস সাবেত এবং হুমায়ূন আহমেদ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তারা কখনও বিয়ে করবেন না এবং চিরকুমার থাকবেন। পরবর্তীতে একমাত্র আহমদ ছফা ছাড়া বাকি দুইজন প্রতিজ্ঞা রাখতে পারেন নি। :) তবে আপনি পারবেন মনে হয়। :)

যাক শেষ কথাটাতে হৃদয় ভরে উঠল !! আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক !!

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি একটা ভালো ছেলে। আপনার জন্য শুভ কামনা। সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যান। বিয়ে শাদী ভাগ্যে যেভাবে লেখা আছে সেভাবেই হবে। চিন্তার কোন কারণ নাই। :)

২৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রীতিমতো জ্ঞানগর্ভ আলোচনা। খুবই ওজনদারী পোস্ট।
আসলে বঙ্কিমচন্দ্রের সময়ে বাংলা সাহিত্য বলতে তো কিছুই ছিল না।চর্যাপদের পর সেই অর্থে সাহিত্যের যাত্রা শুরু হয়েছে বঙ্কিমচন্দ্রের হাত দিয়ে।আর এই কারণে ওনার সাহিত্যের মধ্যে প্রত্যক্ষ সংস্কৃতি সাহিত্যের প্রভাব বা উচ্চারণ রয়ে গেছে। আমরা মাইকেলের ব্যবহৃত শব্দের মধ্যেও এমন প্রভাব দেখতে পাই। আপনার পরিশ্রমী পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা সাচু ভাই আপনাকে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলা ভাষার অনেক শব্দই তো সংস্কৃত থেকে এসেছে। সরাসরি আসলে তখন বলা হয় তৎসম শব্দ। আর একটু পরিবর্তন হয়ে আসলে বলা হয় অর্থ-তৎসম শব্দ বা তদ্ভব শব্দ।

আমার ধারণা বঙ্কিম নিজের বিদ্যার বড়াই করার জন্য অপ্রয়োজনে এই সব কঠিন শব্দ ব্যবহার করতেন। অনেক শব্দ উনি নিজে বানাতেন। এগুলি অভিধানেও পাওয়া যায় না। মাইকেলের কাব্য এবং মহাকাব্যও অনেক কঠিন কঠিন শব্দে ভরা। হাইস্কুলে মাইকেলের 'মেঘনাদ বধ' মহাকাব্যের সামান্য একটা অংশ ছিল। যেটা শিক্ষকের সাহায্য ছাড়া আমাদের পক্ষে বোঝা কঠিন ছিল। আমরা পড়তাম আর হাসতাম।

ধন্যবাদ পদাতিক ভাই। আপনার গল্পের ৫ম পর্ব পড়ার পরে মন্তব্য করেছি। বাকিগুলিও ধীরে ধীরে পর্ব ইনশাআল্লাহ।

৩০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামসহ লেখাটি বেশ কৌতুহলোদ্দীপক হয়েছে।
উচ্চারণে ভাষা যতই সরল হবে ততই সচল হবে।

০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য।

মানুষ যখন কথা বলে তখন সহজ সরল শব্দ ব্যবহার করতে চায় সাধারণত। কথ্য ভাষা সরল হওয়াটাই উচিত। বইয়ের ভাষাও বেশী কঠিন হলে অনেক পাঠকের জন্য সেটা কষ্টকর ব্যাপার। ভাষাকে সহজ এবং সচল হতে হবে এটাই মূল বিষয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.