নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদ্যানন্দ ফাউনডেশন কঠিন সমালোচনার মধ্যে পড়েছে। গতকাল এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাস এই সমালোচনা সমুহের জবাব দিয়েছেন। তবে অন্তত একটা সমালোচনার জবাব মনে হয় বাকি আছে। সেটা হল সেইন্টমারটিন দ্বীপের ময়লা আবর্জনা সংক্রান্ত। অনেকে অভিযোগ করেছে যে বিদ্যানন্দের নিজের লোকেরা বা সেচ্ছাসেবীরা নিজেরা ময়লা আবর্জনা এক জায়গায় আগে ফেলেছে তারপর নিজেরাই পরিষ্কার করেছে। এটার উপযুক্ত ব্যাখ্যা আশা করি বিদ্যানন্দের পক্ষ থেকে দেয়া হবে। আমার ধারণা ঐ প্রতিষ্ঠানের সেচ্ছাসেবিদের অতি উৎসাহের কারণে এটা ঘটে থাকতে পারে। গতকাল কিশোর কুমার দাস অন্যান্য অভিযোগের নিম্নলিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
১. পাহাড়ের জমির মালিকানা প্রজেক্ট শেষে মূল মালিকের কাছে ফিরে যাবে। প্রথম ছবিতে সে চুক্তিপত্রে শর্তে দেখতে পাবেন।
২. কক্সবাজারের রামুর জমিটি নগদ অর্থে তখনকার বাজার মূল্যে কেনা। যদি জমি বিক্রেতা আজও সে জমি ফেরত চান, তবে বিক্রিত মূল্য পরিশোধ করে (ডিপ্রিশিয়েশন এডজাস্ট করে) জমিটি ফেরত নিতে পারবেন। আমরা এটা নিয়ে বিক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তিনি ফেরত নিতে রাজি হননি। এই নিয়ে তার পরিবারের একজন মিথ্যা প্রচার করে যাচ্ছে, যেটাকে পরিবারের কর্তা এড়িয়ে যেতে বলেছিলেন। দ্বিতীয় ছবিতে জমির দামের রেকর্ড পাবেন।
৩. বিদ্যানন্দের জমিগুলোর মালিকানা বিদ্যানন্দের, আমার নামে নয়। বিদ্যানন্দের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন সাইন করতে পারে। তৃতীয় ছবিতে পাবেন।
৪. আমরা সব দলের মানুষকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করেছি। বিএনপির আমির খসরু সাহেবকে আমন্ত্রণ জানানোর ছবি দেওয়া হয়েছে চতুর্থতে।
৫. বিদ্যানন্দের ব্যাংক একাউন্টের টাকা একাধিক স্বাক্ষরে উঠে এবং দেশে না থাকার জন্য আমার সাইন ব্যবহার হয় না।
৬. ফেসবুকের এক লাইভে শিখা নামে একজনকে আমার বোন দেখানো হয়েছে। শিখার পুরো নাম হচ্ছে সুলতানা জান্নাত। ধর্মপ্রাণ মুসলিম এই মেয়েটি বিদ্যানন্দের আমার প্রিয় এক স্বেচ্ছাসেবী ছিল, তবে রক্তের সম্পর্ক নেই।
৭. রূপক অর্থে নাম ব্যবহার হয় পেজের পোস্টে। মজিদ চাচা নয়, আপনি সুলতান, রহিমা কিংবা কলিম চাচা নামেও অনেক পোস্ট পাবেন। গ্রামের নামগুলো সাধারণত কমন হয় এবং বিখ্যাত মানুষের নামেই থাকে। সে নামে একবার লিখে বিপদে পড়েছিলাম (মানহানি মামলার ঝুঁকি), কারণ একই নামে একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন।
৮. একই ইভেন্টের ছবি একাধিক পোস্টে দেওয়া হয়। যেমন- গরু কেনা হয়েছে, গরু প্রসেস করা হয়েছে, রান্না হচ্ছে, আহার করছেন ইত্যাদি। বিদ্যানন্দের কাছে দাতব্য কাজটি অভিযাত্রার মতো। শুধু লক্ষ্যটা মূখ্য নয়, যাত্রাপথে আপনাদের সঙ্গী করতে চাই।
৯. সীমিত রিসোর্সে প্রতিষ্ঠান চলে। এখানে খুব পেশাদার আপডেট দেওয়া সম্ভব হয় না। অনাথালয়ের দাতাদের কিছু অনুরোধ রাখতে পারিনি বলে ক্ষমা চাচ্ছি। এটা অল্প সময়েও সমাধান আমরা দেখছি না অল্প রিসোর্সের জন্য। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের স্ট্যান্ডার্ডে আমরা হয়তো যেতে পারব। কিন্তু তাঁদের মতো বিশাল এডমিন খরচের বোঝাটা আমরা নিতে চাইনি।
১০. ৯৫% বিশেষ খাবার আয়োজন স্পেসিফিক দাতার স্পন্সরে হয়। আয়োজনের আগেই শিডিউল জানানো হয় যেন তিনি উপস্থিত থাকেন। আয়োজন শেষে খাবার ছবি প্রমাণসহ পাঠানো হয়। আর যদি তাতেও বিশ্বাসযোগ্য না হয় তবে তাঁদের সিদ্ধান্ত মেনে নেব।
১১. বিদ্যানন্দ মূলত নিজেদের ফেসবুক পেজগুলোতে অনুপ্রেরণার পোস্ট শেয়ার (৩০,০০০ এর কাছাকাছি হবে) করে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীদের শেয়ার করা হয়ে থাকে। ৯৯.৯% শুদ্ধ হলেও কিছু অনুসারী ০.১% ভুলকে বড় করে দেখতে চাচ্ছেন। আমরা সে ভুলটাকেও শুদ্ধ করতে চাই।
বিদ্যানন্দের দশ বছরের ইতিহাসে কয়েকজন কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে নৈতিক স্খলনের জন্য। তরুণ বয়সে তাঁদের ক্যারিয়ার নষ্ট না করতে আমরা লিগ্যাল একশনে যাই না। এই মানুষগুলো কিছু বছর পর উল্টা ব্লেইম দিতে থাকে নিজের চলে যাওয়াটা জাস্টিফাই করতে। এতেও বেশ ক্ষতিতে পড়ে আমাদের ইমেজ।
পরিশেষে বলি, ভুল থাকবেই বিদ্যানন্দের অনেক পদক্ষেপে। শুধু বলতে পারি, কাজটা শুদ্ধভাবেই করার চেষ্টা করি। ভবিষ্যতে শুদ্ধ করার সুযোগ না পেলেও আফসোস থাকবে না। মানুষের প্রতিষ্ঠান, মানুষই ভাঙবে, মানুষই গড়বে।
এছাড়া বিদ্যানন্দের প্রতিনিধি সালমান খান ইয়াসিন নীচের ভিডিওতে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
অনেকে বিদ্যানন্দের নিরীক্ষিত হিসাবের সুত্রে কিছু ভুল ধরার চেষ্টা করেন। যেমন পিনাকি ভট্টাচার্য বলেছেন যে বিদ্যানন্দের ২০১৮ সালের নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী মাত্র ৫০,৯১৩ টাকা বিকাশে দান এসেছে। কিন্তু এই তথ্যটা পিনাকি ভুল বলছেন। কারণ এই টাকাটা আসলে বিদ্যানন্দের বছর শেষের বিকাশ হিসাবের ব্যালেন্স। এটা সারা বছরের প্রাপ্তি না। নিরীক্ষিত হিসাবটা দেখলেই পরিষ্কার বোঝা যায়। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে যে বিকাশ নাম্বারগুলি উল্লেখ আছে সেগুলি দাতাদের বিকাশ হিসাবের নাম্বার না বরং সেগুলি বিদ্যানন্দের বিকাশ নাম্বার। এই ব্যাপারেও পিনাকি ভুল বলেছে। সে বলেছে এগুলি দাতাদের বিকাশ নাম্বার।
দেশের বাইরে থেকে টাকা আসা নিয়েও পিনাকি প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু আমরা জানি যে দেশের বাইরে থেকে তাদের টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলেই আসে। তাই কোন প্রশ্ন করার সুযোগ নাই। ব্যাংক কোন অবৈধ টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে আসতে দেবে না এটাই স্বাভাবিক। নিরীক্ষকরা ব্যাংকের মাধ্যমে আসা বড় বড় টাকাগুলির নিরীক্ষা না করে রিপোর্ট দেয়ার কথা না।
পিনাকি প্রশ্ন করেছে ৬ থেকে সাড়ে ৬ কোটি টাকা কীভাবে আসলো সেটা নিরীক্ষিত হিসাবে নাই। কোন প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষিত হিসাবেই প্রতিটি নগদ বা ব্যাংক প্রাপ্তির বিস্তারিত থাকে না। নিরীক্ষা ফার্ম প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবগুলি এবং ক্যাশবুকের নিরীক্ষা করেই রিপোর্ট দিয়ে থাকে। নিরীক্ষকরা তার মক্কেলের প্রতিটি ব্যাংক হিসাবের বিবরণী সংগ্রহ করে তাদের ফাইলে রাখে। তাই এই ব্যাপারেও পিনাকির সন্দেহ গ্রহণযোগ্য না।
পিনাকি নিরীক্ষিত হিসাবে উল্লেখিত জমির মূল্য নিয়ে প্রশ্ন করেছে। উনি বলেছে তাদের কয়েকশো বিঘা জমির কথা শোনা যায় কিন্তু নিরীক্ষিত হিসাবে মূল্য এত কম কেন। এটার জবাবে বিদ্যানন্দের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, সব জমি তাদের মালিকানায় নেই। অনেক জমি সাময়িক সময়ের জন্য তাদেরকে ইজারা দেয়া হয়েছে স্বল্প মেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে। আমার মনে হয় এই ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য। কারণ খুব কম পরিমান জমির প্রকৃত মালিকানা বিদ্যানন্দের নামে আছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।
২০১৭ সালের নিরিক্ষিত হিসাবের সুত্রে পিনাকি বলেছেন ১ টাকার খাবারের ক্ষেত্রে মাত্র ২ লাখ ৭ হাজার ৯ শ ৮ টাকা কেন ১ টাকা খাবারের জন্য প্রাপ্তি দেখানো হয়েছে। কিন্তু উনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন যে এই টাকা ১ টাকার খাবারের জন্য প্রাপ্ত। কারণ এটা ছাড়াও আরও ২,৫২,৭৪, ১০৫ টাকা প্রাপ্তি নিরীক্ষিত হিসাবে আছে। এটার মধ্যে ১ টাকার প্রাপ্তির হিসাব থাকতে পারে। আর তাছাড়া ২ লাখ ৭ হাজার টাকা প্রাপ্তির খাতের নাম দেয়া আছে বিবিধ প্রাপ্তি হিসাবে। আমার ধারণা এই ২ লাখ ৭ হাজার টাকা অন্যান্য খাতে বিবিধ প্রাপ্তি এবং ১ টাকার খাবারের বিপরীতে পাওয়া না। এটার পুরনাঙ্গ ব্যাখ্যা পিনাকির দেয়া হিসাবে দেয়া নাই। ওয়েব সাইটে শুধু মূল পাতাগুলি দেয়া আছে। আর তাছাড়া ওরা বলেছে যে অনেক ক্ষেত্রেই কোন কোন প্রোগ্রামে (যেমন ইফতার, ঈদ ইত্যাদি) খাবারের জন্য কোন টাকাই নেয়া হয়নি। তাই নিরীক্ষা হিসাবে কোন সমস্যা আছে বলে আমার মনে হয় না। একনাবিন নামের একটা বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর সি এ ফার্ম নিরীক্ষা করেছে। এরা কখনও হাবিজাবি রিপোর্ট দেয় না।
আশা করি বিদ্যানন্দ সম্পর্কে ভুল ধারণা সবার দূর হয়ে যাবে। দুই একটা বিষয় এখনও তারা ব্যাখ্যা দেয়নি। আশা করি তারা অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলির ব্যাখ্যা দেবে।
পিনাকির ভিডিও
https://www.youtube.com/watch?v=5qNCMXxLVN8
ইস্কনের সাথে এবং 'র' য়ের সাথে বিদ্যানন্দকে ট্যাগ করা হচ্ছে। আমার ধারণা কিশোর কুমার দাস হিন্দু বলেই এতো অভিযোগ এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে।
সূত্র - জুম বাংলা ডট কম
ঢাকা পোস্ট
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। প্রতিষ্ঠান বড় হচ্ছে তাই তাদের লেনদেনে সতর্ক হতে হবে। প্রতিষ্ঠান বড় হলে প্রান্তিক পর্যায়ের ছোটখাটো ভুলের কারণে অনেক মাশুল দিতে হয়।
কিশোর কুমার দাস হিন্দু বলেই তার প্রতিষ্ঠানের সাথে ইস্কনের সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া এই ধরণের কথা বলা ঠিক না। প্রমাণ থাকলে তারা আদালতে যাচ্ছে না কেন।
এই ধরণের সকল প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। শুধু বিদ্যানন্দ নয়।
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬
রানার ব্লগ বলেছেন: আবেগ দিয়ে যে প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে তাতে অসংখ্য ভুল থাকে। বিদ্যানন্দ এমনি একটা আবেগী প্রতিষ্ঠান। এর উদ্যক্তা একজন অন্যধর্মীয় বলেই যতো সমস্যা। এবং সেই লোক আবার মিসকিন মৌলবাদদের যাকাতের টাকায় ভাগ বসাতে চাচ্ছে ইহাও বড় অপরাধ। তারপরেও বলবো বিদ্যানন্দ এগিয়ে যাক। অসভ্য পিনাকি ও তাও সাংগোপাংগ মৌলবাদীদের ধ্বংস হোক।
জাপান একবার ঢাকার সব আবর্জনা রিসাইকেল করার জন্য নিতে চাইছিলো। বিনিময়ে তারা জৈবসার কম।মূল্যে কৃষকের কাছে বেঁচবে। সিটি কর্পরেশন ময়লা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা ধ্বার্য করলো। জাপানি কম্পানী চল গেলো।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আবেগ চলে না। প্রতিষ্ঠানের লেনদেন এবং কার্যক্রমে আরও পেশাদারিত্ব তৈরি করতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানের শত্রুর অভাব নাই। এরাই পিছে লেগে থাকবে।
জাকাতের টাকা কেউ দিতে বাধ্য না। কেউ স্বেচ্ছায় দিলে সেটার জন্য বিদ্যানন্দ দায়ী না। তবে তাদের জাকাত ফান্ডের থেকে দূরে থাকা উচিত। তা না হলে তারা আরও সমালোচনায় পড়বে।
পিনাকি তর্কের খাতিরে তর্ক করে, তবে অত্যন্ত মেধাবী। বিতর্কে সে ভালো। তাকে যদি নিজের বলা কথার বিপক্ষে বলতে বলা হয় সে শক্ত যুক্তি দিয়ে নিজের বক্তব্য খণ্ডন করতে পারবে। তার অনেক কথা যুক্তিযুক্ত মনে হলেও সেগুলির মধ্যে ফাঁক আছে।
জাপানী কোম্পানির প্রস্তাব আমাদের গ্রহণ করা উচিত ছিল।
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫
বিটপি বলেছেন: আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে। দেখুন তো উত্তর নিয়ে দিতে পারেন কিনা?
১। বিদ্যানন্দের শুরুটা হয়েছিল পড়াশোনার প্রতি মানুষের আগ্রহ তৈরির উদ্দেশ্য নিয়ে। সেখান থেকে তাদের ফোকাস খাবের দিকে চলে গেল কেন?
২। উপকারভোগীর সত্যিকারের নাম দিলে বিপদে পড়তে হয় বলে তিনি যে স্টেটমেন্ট দিলেন, তা কি আদৌ বাস্তবসম্মত? ধরে নেই, বিদ্যানন্দ মোহাম্মদ আলী নামে একজনকে অর্থ সহায়তা করল? মুসলিম জাতি কি এতই বোকা যে এই নাম প্রকাশ করলে এর মধ্যে ধর্মদ্রোহিতা খুঁজবে? এই যুক্তি একেবারেই মনঃপুত হলনা।
৩। জমির কি ডেপ্রিসিয়েশন হয়? কিসের মূল্য এডজাস্ট করার কথা বলছে?
৪। বিদ্যানন্দের পরিচালনা পর্ষদ কয়জনে মিলে গঠিত? তাতে কিশোর কুমারের ভূমিকা কি?
৫। কিশোর কুমার হিন্দু হওয়াতে কোন সমস্যা নয়। সমস্যা হল তার বিদেশে থাকাতে এবং দেশে তার সংগঠনের মাধ্যমে টাকা কালেকশনে। তাদের ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্টে একের পর এক অসঙ্গতি থাকাতে এবং তা ধরা পড়ে যাবার পর ব্যখ্যা না দিয়ে ডিলিট করে দেওয়াতে।
৮নং বক্তব্য কোন যুক্তিই হলনা। যখন যা ঘটবে, তখন তার ছবি দেয়াই যুক্তিযুক্ত। বিদ্যানন্দ আশা করি ভবিষ্যতে এই ব্যাপারটি মাথায় রাখবে।
একনাবিন নামের সি এ ফার্ম বাংলাদেশের শীর্ষ সি এ ফার্মগুলোর একটি। কিন্তু এই ফার্মের রিপোর্টও ১০০% বিশ্বাসযোগ্য নয়। বেশ কয়েকবারই ভুল রিপোর্ট করার জন্য সি এ ইন্সটিটিউট থেকে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১। একটা দাতব্য প্রতিষ্ঠান তার সেবার আওতা বাড়ালে সমস্যা কি। বিদ্যানন্দ বলেছে যে আমাদের দেশের মানুষ দৃশ্যমান সাহায্য বেশী পছন্দ করে। বিশেষ করে খাবার খাওয়ানো। তাদের ফান্ড দাতারা খাবার খাওয়াতে বেশী আগ্রহী। দরিদ্র বাচ্চাদের পড়াতে গিয়ে দেখেছে যে এরা পড়বে কি খেতেই তো পায় না। এই কারণেও তার এই আইডিয়া পেতে পারে।
২। বিদ্যানন্দ বলেছে যে অতীতে দেখা গেছে দান গ্রহীতার নাম কমন হওয়ার কারণে কোন এক রাজনৈতিক নেতা মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন এবং মানহানি ঘটেছে বলেছিলেন। গ্রহীতার নাম এবং নেতার নাম একই হওয়ার কারণে এই রকম ঘটেছিল।
৩। জমির অবচয় হয় না তবে জমি ভরাট জাতীয় কাজের অনেক সময় অবচয় হতে পারে। উনি অবচয় বলতে কি বুঝিয়েছেন আমি জানি না। আরও ব্যাখ্যার দরকার আছে।
৪। বিদ্যানন্দের পরিচালনা পর্ষদ সম্পর্কে আমি জানি না। তবে সে চেক সাইন করে না। চেকে যৌথ সাক্ষ্যর প্রয়োজন হয়। এই প্রতিষ্ঠান আরজেএসসি তে সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। সাধারণত একটা বোর্ড থাকে এই ধরণের প্রতিষ্ঠানে। মিটিঙয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
৫। পোস্ট ডিলিট করার ব্যাখ্যা তাদের দেয়া উচিত। নইলে মানুষ সন্দেহ করবে।
তাদের প্রচারের জন্য তারা একই ছবি ব্যবহার করে। এটা তারা বলেছে। জনগণ যদি দ্বিধায় পড়ে সেই ক্ষেত্রে তাদের উচিত প্রয়োজনীয় নোট দেয়া।
একনাবিন প্রচুর কাজ করে দুই একটা অভিযোগ যদি আসেও তারপরও প্রমাণিত হয় না যে এদের মান খারাপ। অনেক বিখ্যাত সি এ ফার্মের নামে অভিযোগ থাকে। গুরুতর হলে অর্থ দণ্ড বা লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হয়। আকনাবিনের বিরুদ্ধে বড় কোন অনিয়মের অভিযোগের কথা শুনি নাই। ছোট খাট অভিযোগ অনেক বড় ফার্মের বিরুদ্ধেই আছে। এগুলি সগিরা গুনাহ।
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬
জটিল ভাই বলেছেন:
দুঃখিত প্রিয় ভাই। একমত হতে পারলাম না। বিদ্যানন্দ যে ক্রাইসিসে আছে তা বলা যায় কেটে গেছে। অতীতেও এমন সিচুয়েসন ফেইস করেছে। বাট প্রতিষ্ঠাতা মুসলমান হলেই বরং মনে করি বেশি সমস্যা হতো। বহু আগেই মুখ থুবড়ে পড়তো। নয়তো সারাজীবন এমন দৌড়ের উপর থাকতে হতো। এখন যেটা দেখছেন এটা সাময়িক। ভবিষ্যতে এটাকে কোনো প্রি-প্ল্যান্ড ইস্যু হিসেবে পেলেও অবাক হবোনা। আর পিনাকি সাহেব যা করছেন তা আমার মনে হয় ধর্মপ্রীতির সুযোগ নিচ্ছেন। কারণ তিনিও.....
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। তাই মতের মিল না হলেও সমস্যা নাই।
প্রতিষ্ঠাতা মুসলমান হলে মৌলবাদী মুসলমানদের রোষানল থেকে বাঁচতে পারত বলে মনে হয়। জাকাত নিয়ে কত কাহিনী। জাকাত ওদেরকে না দিলেই ল্যাঠা চুকে যায়। কিন্তু এগুলির মধ্যেও দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে অনেকে এবং জাকাত নিয়ে ওদের অনেক কথা শুনতে হচ্ছে। ওরা তো কারও কাছ থেকে জোর করে টাকা নিচ্ছে না। যার খুশি হয় দিবে।
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কিশোর কুমার দাস মুসলমান হলে বিদ্যানন্দ এতো বিপদে পড়তো না - একমত হতে পারলাম না সাড়ে চুয়াত্তর ভাই।
বাংলার মুসলমানদের মধ্যে যেমন মৌলবাদী গোষ্ঠী আছে, তার চাইতে বেশি আছেন নিরপেক্ষ গোষ্ঠী, মডারেট গোষ্ঠী, তোষামোদকারী দালাল গোষ্ঠী এবং সুবিধাবাদী গোষ্ঠী। বিদ্যানন্দ ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরে পুরো সোশ্যাল মিডিয়া উত্তপ্ত। বিদ্যানন্দ'র পক্ষ অবলম্বন করে বেশির ভাগ পোস্টই এসেছে মুসলমানদের পক্ষ থেকে। বিদ্যানন্দ'র বিপক্ষে বলেছেন, এমন একজন হিন্দু লোক পেতে হলে (আমি জানি না, পিনাকী কোন পক্ষে কথা বলেছেন) আপনাকে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজতে হবে, আদৌ পাবেন কিনা জানি না। মুসলমানরা যতখানি লিবারেল তাদের হিন্দু বন্ধুদের প্রতি, হিন্দুরা কখনো এতখানি লিবারেল হতে পারেন নি। আমি অন্য একটা পোস্টেই উল্লেখ করেছি, রিজেন্টের শাহেদ, পাপিয়া, সম্রাট - এরা তো হিন্দু নন, মুসলমান, এদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মিডিয়া যতখানি সোচ্চার ছিল, বিদ্যানন্দ'র বিপক্ষে তো সেরকম হয় নি। এক হিন্দু ব্যক্তি উল্লেখ করেছেন, ক্রিকেটার লিটনকে নিয়া ট্রল হয়, কারণ সে হিন্দু। আপনি দেখুন, শাকিবকে নিয়ে যত বিষোদগার হয়, লিটনকে নিয়ে (আমি লিটনকে নিয়ে কিছু দেখি নি) কি কোনোকালে অত কিছু হয়েছে? জাফর ইকবালকে নিয়ে এ বঙ্গে যত ট্রল হয়েছে, আর কাকে নিতে এত ট্রল হয়? জাফর ইকবাল কি হিন্দু, নাকি মুসলমান?
মুসলমানদের একটা ইডিয়টিক রোগ আছে। আপনি উচিত কথা বলতে গেলে, তা যদি বাই চান্স মুসলমানদের পক্ষে চলে আসে, একটা ইডিয়ট গ্রুপ চোখ বন্ধ করে আপনাকে মৌলবাদী ও রাজাকার বলে ফেলবে। অথচ, একজন হিন্দু তার ধর্মের সপক্ষে যতকিছুই বলেন না কেন, তার লেখায় উগ্র ও জঙ্গী মনোভাব প্রকট থাকলেও আমরা এ ব্যাপারে কিছুই বলবো না।
মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে পার্থক্য হলো, মুসলমানরা সব সময় ন্যায়ের পক্ষেই কথা বলবেন। হিন্দুরা নিজ ধর্মীয় গোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলবেন, তা যদি অন্যায় হয় তবু। এর বড়ো প্রমাণ হলো, বিদ্যানন্দ সংক্রান্ত যে-কটা পোস্ট আছে, সেগুলোতে দেখুন, যারা বিদ্যানন্দ'র পক্ষে কথা বলছেন, তারা সবাই মুসলমান। আপনার এ পোস্টেও দেখবেন, বিদ্যানন্দ'র পক্ষে যারা কথা বলছেন, তারা মুসলমানই।
আপনার এ পোস্টের কন্টেন্ট যাই হোক না কেন, শিরোনামটা আদৌ পছন্দ হয় নি। আপনি আমার প্রিয় ব্লগারদের একজন, তবু কথাটা না বলে পারছি না, আপনার এ শিরোনাম দেখে আপনাকে নিরপেক্ষ মতবাদের কোনো ব্যক্তি মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে আপনি তোষামোদী পছন্দ করেন, এবং দালালি করতে ভালোবাসেন। আপনাকে আহত ও ক্ষিপ্ত করার জন্য দুঃখিত। কমেন্ট ভালো না লাগলে মুছে দিতে পারেন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও মুসলমান। অন্য অনেক মুসলমানের মত আমিও বিদ্যানন্দকে সমর্থন করছি। কারণ হোল, আমার কাছে মনে হচ্ছে ছোট খাট ভুল ত্রুটির কারণে এদেরকে দোষারোপ করা হচ্ছে। অনেক মুসলমান যেমন এদেরকে সমর্থন করছে তেমনি অনেক মুসলমান এদের বিরোধিতা করছে। এদেরকে ইস্কনের সাথে জড়াচ্ছে। ইস্কনের সাথে এদের যদি কোন সম্পর্ক থাকে সেটার কি কোন প্রমাণ আছে? নাকি অনুমান নির্ভর। ইস্কন একটি ধর্মীয় সংগঠন। তাই যখন এদেরকে প্রমাণ ছাড়া ইস্কনের সাথে জড়ানো হয় তখন মনে হয় ব্যাপারটা ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে। কিশোর কুমার দাস মুসলমান হলে কেউ তাকে ইস্কনের সাথে জড়াত না।
কথা হবে যুক্তি দিয়ে। কমেন্ট ভালো লাগার কিছু নাই। এই প্রতিষ্ঠান যদি এত অপরাধ করে থাকে এদেরকে আদালতে কেন নেয়া হচ্ছে না। প্রতারনার প্রমাণসহ আদালতে না নিয়ে আমরা অন্তরজালে ঝড় তুলছি কেন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিদ্যানন্দের সাথে পাপিয়া, সম্রাট, শাহেদের তুলনা করাটা কি ঠিক। এদের অভিযোগ তো প্রমাণিত এবং আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তির ব্যবস্থা চলছে। বিদ্যানন্দ সেই পর্যায়ের অপরাধী হলে সেটার প্রমাণ কি আমাদের কাছে। ধারণার বশবর্তী হয়ে কথা বলা ঠিক না।
হিন্দুরা কেমন এটা আমার লেখার বিষয় না। তাই সেই ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আপনি বলতে চাচ্ছেন হিন্দুরা তাদের হিন্দু ভাইয়ের বিপক্ষে কিছু বলে না। এটা আমার লেখার বিষয় না এই পোস্টে। তাই এই ব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। এই প্রসঙ্গটা আমার পোস্টের সাথে যায় না। আমার অভিযোগ কিছু গোরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যারা কোন জোড়াল প্রমাণ ছাড়াই বিদ্যানন্দকে অপরাধীর কাঠ গড়ায় দাড়া করাচ্ছে এবং ইস্কনের সহযোগী বলছে। কিশোর কুমার দাস মুসলমান হলে তাকে ইস্কনের সাথে জড়ানো হত না। এটাই আমার বক্তব্য।
এই পোস্টে আমার বিরুদ্ধেই বেশী মন্তব্য আসছে। তোষামোদি চাইলে বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে লিখতাম।
কার দালালি করলাম এইটা দয়া করে ব্যাখ্যা করবেন। যেহেতু অভিযোগ করেছেন, আপনার উচিত এটার ব্যাখ্যা করা। আপনি আবেগ সর্বস্ব কথা বলেছেন। আমি নিরপেক্ষভাবে বলার চেষ্টা করছি। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোন ব্যক্তিকেই অপরাধী বলা যায় না।
আপনি কোন যুক্তি তুলে ধরেননি আমার পোস্টের ব্যাপারে। আপনি হিন্দুরা কেমন সেটা বলতে চেয়েছেন। এটা আমার পোস্টের বিষয় না। হিন্দুরা খারাপ বা ভালো হওয়ার সাথে বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের কোন সম্পর্ক নেই।
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: দুনিয়াদারী সম্পর্কে আপনার কোন ধারণাই নাই। যদি ঐ লোক মুসলিম হইতো, আর তার কম্পিউটারের ব্রাউজিং হিস্ট্রিতে খালি জাকির নায়েকের একটা ভিডিওর হিস্ট্রি পাওয়া যাইতো, সব কেল্লা ফতে হয়ে যেতো!
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা বার্তার স্টাইল ভালো না। দুনিয়াদারি সম্পর্কে শুধু আপনারই ধারণা আছে তাই না? আপনার কথা অহংকারপূর্ণ। তাই বেশী কথা আপনার সাথে বলতে চাই না। আপনি কোন যুক্তি দেখাতে পারেন নাই আমার পোস্টের ব্যাপারে। আর কি লিখেছেন সেটাও পরিষ্কার না। জাকির নায়েকের সাথে এটার কি সম্পর্ক আমি বুঝতে পাড়ছি না। এদের সাথে ইস্কনের সম্পর্ক আছে এরকম কোন প্রমান কি আছে? প্রমাণ কেন হাজির করছেন না।
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৪
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
আপনার সরলতা সত্যি মুগ্ধ করে। ভেবেছিলাম আমিই হয়তো ভুল করছি। বাট এখন অন্যদের মন্তব্য দেখে প্রিয় ভাই হিসেবে পরামর্শ দিচ্ছি, আসলেই শিরোনামটা আপনি বরং পোস্টের শেষের নিজস্ব মতামতটি কেটে দিন। আর শিরোনামে পাঠকের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিন, কিশোর কুমার দাস মুসলমান হলে বিদ্যানন্দ এতো বিপদে পড়তো বলে মনে করেন?। তখন দেখেন পাঠক কি মতামত প্রদান করে। এতে মন্তব্যের ভিত্তিতে আপনি নিজেকে বিতর্কিত না করে আপনার ধারণার সঠিকতা আরো সুন্দরভাবে যাচাই করতে পারবেন বলে মনে করি।
আর,
"ছোট খাট অভিযোগ অনেক বড় ফার্মের বিরুদ্ধেই আছে। এগুলি সগিরা গুনাহ।" দুনিয়াবি বিষয়ে মনে হয় এভাবে আমাদের না বলা উচিৎ। নিশ্চই গুনাহ্'র মানদন্ড আল্লাহ্'র হাতে। সগিরা হলেও সেটা গুনাহ্। ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তাই এই বিষয়ে ধর্মযুক্ত না করাই আপনার জন্য উত্তম মনে করি।
অন্যতম প্রিয় মানুষের দাবীতে কথাগুলো বললাম। ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করে দেবেন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা তো আমারই মতামত। তাই মোছার কোন কারণ দেখছি না। পাঠকের মতামতের ভয়ে তো আমার মতামত পরিবর্তন করতে পারবো না। আমি বিতর্কিত যদি হই আমাকে কারণগুলি বলতে হবে। আমি কারও দ্বারা প্রভাবিত হই না সাধারণত। নিজের বুদ্ধিতে চলার চেষ্টা করি।
আরবিতে সগিরা মানে ছোট। ধর্মের বাইরেও আরবের লোকেরা এখনও এই শব্দ বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করে। তাই এটা ধর্মীয় কোন টার্ম বলে আমি মনে করি না। আপনি কোন কিছু কিনতে যাবেন দোকানে। ওরা বলবে এইটা সগির মানে ছোট আর এইতা কবির মানে বড়। আরবি ভাষা হলেই সেটা ধর্মের সাথে সম্পর্কযুক্ত এমন না। আমাদের ধর্মে সগিরা গুনাহর গুরুত্ব একটু কম। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সগিরা গুনাহ এমনিতেই মাফ হয়ে যায়। হাদিসে এভাবেই এসেছে। তাই বলে আমি সগিরা গুনাহ করার পক্ষে বলছি না। ছোট, বড় সব গুনাহ থেকেই দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। গুনাহ কোনটা ছোট কোনটা বড় এই ব্যাপারে আমাদের ধর্মে দিক নির্দেশনা আছে। তাই সগিরা গুনাহ কোনটা এটা জানা যায়।
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিছু কথা কইতে আসছিলাম। মন্তব্যগুলি পইড়া ভাবলাম থাক.......তার আর দরকার নাই। খালি এইটা বলেন যে, ইসকনের সাথে অগো কানেকশানের ব্যাপারে হ্যারা কোন কথাবার্তা কি কিছু কইছে?
অল দ্য বেস্ট!!! (এইখানে হাসির একটা ইমো দিতে চাইছিলাম, আপনে চেইতা যাইবেন ভাইবা আর দিলাম না।)
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইস্কনের সাথে ওদের কানেকশন আছে সেটার প্রমাণ কি? আর কানেকশন থাকলেই সেটা কোন খারাপ উদ্দেশ্যে সেটাই বা আমরা নিশ্চিত হচ্ছি কীভাবে। একটা প্রতিষ্ঠানের সব কিছুই কি খারাপ। ইস্কন সম্পর্কে আমি অবশ্য বেশী কিছু জানি না। আপনার কাছে কোন প্রমাণ থাকলে দিয়েন। ( এই খানে একটা হাসির ইমো দিলাম যেন আপনি চেইতা না যান।)
অল দা বেস্ট!!!
৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে , তা বিদ্যানন্দই ট্যকেল করুক। সে বিষয়ে কোন বক্তব্য রাখতে চাই না ।
বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে যারা আদা জল খেয়ে উঠে পড়ে লেগেছে তাদের কাছে কিছু প্রশ্ন রাখতে চাই।আমাদের মন্ত্রী এম্পি থেকে শুরু করে চুনোপুটি নেতারাও এখন হাজার কোটি টাকার মালিক। লুটপাঠের টাকা বিদেশে পাচার করে একের পর এক বেগম পাড়া বানিয়ে চলেছে তারা। যেভাবে বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে পেছনে লেগেছে সমগ্র জাতি তা যদি অগনতান্ত্রিক ফ্যসিবাদী সরকারের পেছনে লাগত , তাহলে একটি দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়াতে অবদান রাখতে সমর্থ হত। তাহলে আর কোন বিদ্যানন্দকে এক টাকায় কোন অনাহারীকে খাবার খাওয়ানোর প্রয়োজনই আর হবে না। জনবান্ধব সরকারই তাদের দ্বায়িত্ব নিয়ে নেবে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলির জবাব ওরাই ভালো দিতে পারবে। আমি মিডিয়া থেকে কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।
আমাদের দেশে মসজিদের জুতা চুরি করলে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। এই জোশ রাজনৈতিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেন এই বীরপুরুষরা দেখাচ্ছে না। এটা আমারও প্রশ্ন। এতো প্রতিবাদী মানুষ থাকার পরে এই দেশে গণতন্ত্রের এই অবস্থা কেন। মানুষকে খাওয়ানোর দায়িত্ব তো বিদ্যানন্দের না। এরা চুরি করলে আইনি পদক্ষেপ এই বীরপুরুষেরা কেন নিচ্ছে না। অন্তরজালে বীরত্ব দেখিয়ে কি লাভ।
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১৭
আমি সাজিদ বলেছেন: ব্যাখ্যা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য। ব্যাখ্যা না দিলে ওদের কাজ নিয়ে সন্দেহ থেকে যেতো। বাঙ্গালি / বাংলাদেশী দেশে থাকুক অথবা বাইরে থাকুক ট্যাগ/ দলাদলি এইসবে ওস্তাদ, স্বভাব তো আর বদলায় না। এখন আবার নতুন একটা বিষয় আসছে - মিডিয়া ট্রায়াল। তবে বিদ্যানন্দের নিজেদের কাজে আরও যত্নবান হওয়ার সুযোগ আছে। এখন কথা হচ্ছে, আমি বা আমরা যদি বিদ্যানন্দকে সমর্থন করি তাহলে কি আরেকজন আমাকে বা আমাদের কুলাঙ্গার বলতে পারে? এই বিষয়ে আমি জানতে চাই( ব্লগেই বলেছে, পরে কমেন্টটি মুছে দিয়েছে)। আজকের পবিত্র দিনে আমার আরেকটি জিজ্ঞাসা, কোনও বাংলাদেশীর বিদ্যানন্দে সমর্থন দেওয়া না দেওয়াকে জাজ করে তাকে মুমিন, মুসলিম, মুনাফেক, কাফের , আমাদের ওদের, আমরা,তারা এইসব ট্যাগ আর ভাগে বিভক্ত করা যায় কিনা ?
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওদের কাজ আরও পেশাদারিত্বের সাথে করতে হবে। প্রতিষ্ঠান বড় হলে নিয়ম কানুন মেনে লেনদেন এবং কর্মকাণ্ড চালাতে হয়। দক্ষ লোক নিতে হবে যেন কোন ধরণের ভুল ত্রুটি না ঘটে। এদেরকে মিডিয়া ট্রায়াল করার কি দরকার। দোষ করলে আদালতের বিচারের সম্মুখীন করুক।
এই দেশে মানুষ মত প্রকাশের স্বাধীনতা পেলে গালি দিতে কুণ্ঠা বোধ করে না। কারণ আমাদের দেশের মানুষের ম্যানারে সমস্যা আছে।
কে মুমিন আর কে মুনাফেক বা কাফের এটা আমরা এত সহজে কীভাবে বলে ফেলি। এই ধরণের আচরণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না। মতের অমিল হলেই তাকে কাফের, মুনাফেক বলাটা সমর্থন করা যায় না।
১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: বিদ্যানন্দ খারাপ কি ভাল সেই ব্যাখ্যায় আমি যাবো না । আসলে বাঙালি যুক্ত যে কোন প্রতিষ্ঠানই শতভাগ সৎ এটা বিশ্বাস যোগ্য নয় ।
তবে আপনার শেষ কথার সাথে একমত । সত্যি যদি সে হিন্দু না হয়ে মুসলমান হত তাহলে তাকে নিয়ে এখন যে আলোচনা হচ্ছে তা হত কিনা সন্দেহ আছে ! বিদ্যানন্দের মত আরো অনেক অর্গানাইজেশন কিন্তু আছে । যাকাত তোলার কাজেও কিন্তু প্রচুর প্রতিষ্ঠান আছে । তাদের নিয়ে কারো কিন্তু কোন মাথা ব্যাধা নেই। আমাদের পুরো মাদ্রাসা সিস্টেম টিকে আছে এই অনুদানের উপরে । কতটাকা অনুদান এল কত খরচ হল এটা নিয়েও কিন্তু কারো কোন কথা নেই ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর কারণেও অনেক সময় মালিকের দুর্নাম হয়। প্রতিষ্ঠান বড় হলে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। বিদ্যানন্দকে আরও দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা প্রদর্শন করতে হবে। পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। শুধু আবেগ দিয়ে কাজ করলে চলবে না।
ইস্কনের সাথে যদি এদের সম্পর্ক থাকে সেটা প্রমাণ করা উচিত। বিদ্যানন্দেরও উচিত হবে তার জবাব দেয়া। আমাদের মাদ্রাসায় কি পরিমান চুরি যে হয় আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এই ব্যাপারে আমি কিছু কিছু জানি। যত দোষ নন্দ ঘোষ।
১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এটা ভারত না যে মুসলিম হওয়ার কারণে ৭ বারের এমপিকে পুলিশের সামনে গুলি করে হত্যা করা হবে । এটা মুসলিম দেশ বলেই , কিশোরেরা , প্রদিপেরা সম্পদের পাড়ার বানিয়ে সেই টাকা ভারতে পাচার করতে পারছে । অতএব এতোটা ভালো হতে যাবেন না । একটু বাস্তববাদী হউন । চোরকে চোর বলুন । মুসলিমদের সন্মান করতে শিখুন ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিদ্যানন্দ টাকা পাচার করেছে এটার প্রমাণ কি আপনার কাছে আছে। প্রমাণ ছাড়া কিছু বলা ঠিক না। বিদ্যানন্দ চোর তার কী প্রমাণ আপনার কাছে আছে।
১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯
আমি সাজিদ বলেছেন: বাবন ভাই, কিশোর যে টাকা পাচার করেছে আপনার কাছে প্রমাণ আছে? দেশের কিছু ( আসলে অনেক হবে) এমপি আমলা মন্ত্রী সরকারি কর্মচারীরা বুঝি ধোয়া তুলসীপাতা? চোরের তো কোন ধর্ম নেই। আমাদের মুসলমানদের মধ্যে চোর নেই? যে লেখকের পোস্টে আপনি মন্তব্য করেছেন তিনি যে মুসলমানদের সম্মান করেন না সে বিষয়ে আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন? উনার আগের পোস্টগুলো আপনি বোধহয় পড়েন নাই।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আমার পক্ষ হয়ে প্রশ্ন করার জন্য। কিশোর কুমার দাস টাকা পাচার করলে সেটার প্রমাণ কেন ফেইসবুক বা ব্লগে প্রকাশ করা হচ্ছে না?
ঠিক বলেছেন। চোরের তো ধর্ম নেই। আরও বড় চোরদের ব্যাপারে সামাজিক মিডিয়া কেন সমানভাবে সোচ্চার না। বেগম পাড়ার ব্যাপারে, সরকারী অফিসে দুর্নীতির ব্যাপারে মিডিয়াতে তো এতো জোরালো প্রতিবাদ শোনা যায় না।
মুসলিমকে আমি সম্মান করি এটা আমার অনেক পোস্ট পড়লেই বোঝার কথা। আমার পোস্টে মুসলমানদের অসম্মানের কিছু নাই। জোর করে বিদ্যানন্দকে ইস্কনের সঙ্গী সাথী বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিশোর কুমার দাস মুসলমান হলে এই অভিযোগ আসত বলে মনে হয় না। এই ব্যাপারটাকে আমার কাছে সাম্প্রদায়িক মনে হচ্ছে। যেমন আমাদের দেশে অনেক সময় দাড়ি, টুপি দেখলেই মৌলবাদী, জামাত, রাজাকার বা জঙ্গি বলে সন্দেহ করা হয়। একইভাবে একজন হিন্দুর দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন জাগার সাথে সাথেই ধরে নেয়া হচ্ছে যে এই প্রতিষ্ঠান ইস্কনের সাথে জড়িত। সত্যি
সত্যি জড়িত থাকলে প্রমাণ দেখানো উচিত।
১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩
আমি সাজিদ বলেছেন: ভারতে যাকে মারা হয়েছে তার নামেও কয়েকটা মার্ডার কেস ছিল। গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিতে আসা ওদের এমন হয়ই। এইখানে হিন্দু - মুসলিম বিভাজন তৈরি করা দাঙ্গা লাগানোর পঁয়তারা। অন্তত এই ইস্যুতে নয়। কিছুদিন আগে মসজিদ ভেঙ্গে বিজেপির ট্রেডমার্ক স্লোগান দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেও বাংলাদেশের মিডিয়া আপনারা এমন প্রতিবাদ করেন নাই, যেমনটা এই শুটআউটের ঘটনায় করতেসেন। @ বাবন ভাই
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সন্ত্রাসীর কোন ধর্ম নাই। সংখ্যালঘু হলেও ভারতের অনেক মুসলমানও সন্ত্রাসে জড়িত। মাফিয়া লিডার দাউদ ইব্রাহীম তো মুসলমান, হিন্দু নয়। যাকে মারা হয়েছে তার ক্রিমিনাল রেকর্ড দেখতে হবে। সে হিন্দু না মুসলমান এটা বড় কথা না। এই বিভাজন করার উদ্দেশ্য দাঙ্গা লাগানোর পায়তারা। আপনি ঠিক বলেছেন। বিজেপি অনেক কর্মকাণ্ড সাম্প্রদায়িক এবং সমর্থনযোগ্য নয়।
১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪
অধীতি বলেছেন: মুসলমান হলে এতদূর আসতেও পারত না। জঙ্গি ট্যাগ খেয়ে আগেই বাদ যাইত।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সবাইকে তো জঙ্গি ট্যাগ করা হয় না। হাওয়ার উপরে তো অভিযোগ করা যায় না। কি কারণে তাকে জঙ্গি ট্যাগ করা হত বুঝলাম না। বাইরে থেকে টাকা আসলেই কি জঙ্গি বলা যাবে।
১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: প্রথমত , জমির কোন অবচয় হয় না । অবচয় হতে হলে সম্পদের আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করতে হয় জমির নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল নেই তাই অবচয় নেই । জমির উপচয় হয় (Appreciation) কারণ চাহিদার চাইতে জমির পরিমাণ কম তাই ক্রমশ এর উপচয় হয় । মাটি ভরাট করলেও জমির অবচয় হবে না তবে সম্পদের পূনর্মূল্যায়ন হয় । আমার মন হয় সেটাই বলা হয়েছে যদিও এই ক্ষেত্রে এর সম্ভাবনা কম !
নিরীক্ষকরা মোটেও চুলচেরা বিশ্লেষণ করে না বা পরীক্ষা করে না । বাংলাদেশে প্রায় সব ফার্মগুলোর মধ্যে এমন হেঁয়ালি আছেই । আবার পূর্ণ নিরীক্ষা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না । এবং নিরীক্ষক কিন্তু নিরপেক্ষভাবে নিরীক্ষা করে না । আইনানুযায়ী তিনি নিরপেক্ষ নন মোটেও । তাই অডিট রিপোর্ট মানেই সব ফকফকা এমন মনে করার কারণ নেই
এবার আসি , আচ্ছা ভাই অডিট রিপোর্টে তো ক্যাশ ফ্লো স্টেটম্যান্ট বা নগদ প্রবাহ বিবরণী থাকেই । একনাবিন কিন্তু সেটা দেখায়নি একদম সরাসরি আদান প্রদান হিসাবেই দেখিয়ে দিয়েছে । একনাবিন সম্পদের পরিমাণ দেখালেও অবচয়যোগ্য সম্পদের অবচয় দেখায়নি । এটা তো মেনে নেয়া যায় না । কেমন না !! এটা কী সম্ভব ? যদি ২০২২টা দেখেন যেটা মসিহ মুহিত করেছে সেখানে কিন্তু স্পষ্ট সব আছে । এমনকি নগদ প্রবাহ বিবরণীও আছে ! এটা আসলে স্পষ্ট না । অডিট রিপোর্টে ভাই সব স্পষ্ট থাকবেই না হলে হিসাবনীতির পূর্ণপ্রকাশ নীতি বাস্তবায়ন হবে না। আসলে প্রশ্ন থেকেই যায় সব দিক থেকে !
বিকাশের ব্যালেন্সের স্টেটমেন্টটা এখন আর অডিট রিপোর্টে দেখতে পেলাম না । বুঝলাম না ব্যাপারটা কী ! যদি বিকাশের ব্যালেন্স স্পষ্ট করে দেখানো হয় তবে তো ব্যাংকেরটা দিতেও কোন আপত্তি থাকবার কথা নয় এবং নিরাপত্তারও প্রশ্ন থাকে না ।
আর লিজকৃত সম্পত্তি প্রদর্শিত হয় না এটা এই প্রথম শুনলাম । মানে ভজকট অবস্থা
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জমির অবচয় হয় না। কিন্তু জমির উন্নয়নের অনেক সময় অবচয় হয়। এই ব্যাপারে বিদ্যানন্দকে আরও পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে। তবে এখানে অবচয়টা গৌণ বিষয়। ওনারা বলতে চেয়েছেন যে জমি চাইলে তারা ফেরত দিবেন যদি মূল মালিক চায়। কিন্তু মূল মালিক আগ্রহ দেখান নি।
নিরীক্ষকেরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এটা আমি বলি নাই। নিরীক্ষার কিছু ষ্ট্যাণ্ডার্ড কৌশল আছে। নিরীক্ষা কোন গ্যারান্টি দেয় না। তবে হিসাবে বড় কোন ভুল বা প্রতারণার হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।
আপনার জানা উচিত যে নিরীক্ষক হিসাব বিবরণী তৈরি করে না। তারা শুধু হিসাবরক্ষকদের তৈরি করা হিসাবের উপর একটা মতামত দেয়। এই হিসাব একনাবিন বানায়নি। অডিট রিপোর্টে ক্যাশ ফ্লো থাকে না। ক্যাশ ফ্লো থাকে নিরীক্ষিত হিসাবে। আপনি নিরীক্ষিত হিসাবকে অডিট রিপোর্ট বলছেন। সাধারণত প্রথম ২/৩ পাতা অডিট রিপোর্ট। বাকি পাতাগুলো নিরীক্ষিত হিসাব, যেখানে অডিটর এবং প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের স্বাক্ষর থাকে।
অডিট রিপোর্ট দেখলেই বুঝবেন যে বিদ্যানন্দ প্রথম কয়েক বছর শুধু তাদের জমা খরচের হিসাব নিরীক্ষা করিয়েছে। এই কারণে সম্পদের পূর্ণ বর্ণনা সেখানে নেই। তখন তারা নতুন অবস্থায় ছিল তাই হয়তো বড় হিসাব তারা নিরীক্ষা করায় নাই। হয়তো ব্যালেন্স শিটও তারা তৈরি করে নাই ঐ সময়। ২০২২ সালে পুরনাঙ্গ হিসাব নিরীক্ষা করা আছে। ওয়েব সাইটে নিরীক্ষিত হিসাবের সব পৃষ্ঠা দেয়া হয় নাই। ফলে সব ব্যাখ্যা ওয়েব সাইট থেকে বোঝা যাবে না। তবে নিরীক্ষিত হিসাবের সাইন করা কপি নিশ্চয়ই আছে। নতুন প্রতিষ্ঠান হিসাবে এই ত্রুটি মার্জনীয় বলেই মনে হয়। অবচয়ের টাকা তো আসলে টাকা না। এটা তো মেরে দেয়ার মত কোন জিনিস না। প্রথম কয়েক বছরে অডিটররা শুধু জমা খরচের অডিট করেছে। আসলে পুরনাঙ্গ হিসাব ছাড়া পুরো চিত্র পাওয়া যাবে না।
পিনাকী যে রিপোর্ট দেখিয়েছে সেটা বিদ্যানন্দের সাইটে নেই। হয়তো সে অন্য কোনভাবে সেটা সংগ্রহ করেছে। কারণ সাইটে পুরনাঙ্গ হিসাব নাই।
জমা খরচ হিসাব আসলে ক্যাশ ফ্লোরই আরেকটা রূপ বলা যেতে পারে। ২০২১ পর্যন্ত তারা শুধু অর্থ প্রাপ্তি এবং খরচের হিসাব রেখেছে। আয় ব্যয় হিসাব বা ব্যালেন্স শিট সম্ভবত তৈরি করেনি। পুরো হিসাব সাইটে নেই তাই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব না। ২০২২ মসি মুহিত কোঃ ব্যালেন্স শিট, আয় ব্যয় এবং ক্যাশ ফ্লো করেছে। আগের বছরগুলির ক্যাশ ফ্লো বলতে আসলে জমা খরচ হিসাব।
১৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২০
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আর ভাই একনাবিনের কুখ্যাতি কিন্তু আছে তালাশ করলেই পাবেন
এবং আরেকটা কথা বলি আপনি যে শিরোনামটি দিয়েছেন এটা সাম্প্রদায়িক হয়ে গেছে । এখানে তার ধর্ম নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়নি অভিযোগ করা হয়েছে নির্দুষ্ট কিছু বিষয়ে । তাই এমন সেন্সিটিভ বিষয়কে টানার কোন মানেই হয় না ভাই । আরও বিতর্ক বাড়ানো হবে । হ্যাঁ দেশে আরও অনেক দূর্নীতি হচ্ছে তবে তাই বলে অন্য দূর্নীতি তো মাফ করে দেয়া যায় না !!
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন নিরীক্ষক হিসাবের গ্যারান্টি দেয় না। আপনি যেভাবে খুজছেন সেই হিসাবে যে কোন বড় ফার্মের বিরুদ্ধেই ছোট খাট অভিযোগ থাকতে পারে। বিদ্যানন্দের অডিট তো শুধু একনাবিন করেনি। পরে হাওলাদার ইউনুস, মসি মহিত এবং আরও কারা কারা করেছে। সবাই রেপুটেড ফার্ম। বিদ্যানন্দের সৎ সাহস আছে বলেই ওয়েব সাইটে নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী দিয়েছে।
কিছু মুসলমান বাড়াবাড়ি করে বলছে তার সাথে ইস্কনের সম্পর্ক আছে। কিশোর কুমার দাস হিন্দু বলেই এটা বলা হচ্ছে। প্রমাণ হাজির করার দরকার আছে এই ব্যাপারে। প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে বলা ঠিক না।
১৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইস্কনের সাথে ওদের কানেকশন আছে সেটার প্রমাণ কি? আর কানেকশন থাকলেই সেটা কোন খারাপ উদ্দেশ্যে সেটাই বা আমরা নিশ্চিত হচ্ছি কীভাবে। আপনের এই মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে ইসকনের সাথে সম্পর্ক থাকলেও সমস্যা যে হবেই, তেমন কোন কথা নাই। কাজেই এখন আমি যদি কোন লিঙ্ক দেখাইও, কোন লাভ নাই। আপনে বরং ইসকনের এজেন্ডাগুলো দেখতে পারেন। তাইলে হয়তো কিছুটা বুঝতে পারবেন।
আচ্ছা, শিপ্রা দাশ কে বলেন তো? বিদ্যানন্দের সাথে তার সম্পর্ক কি?
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইন্টারনেটে কত কিছু ছড়ায়। ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্য কতটা সত্য সেটা দেখতে হবে। যেমন এই ব্লগে বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে লেখা হচ্ছে। তার দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় না যে বিদ্যানন্দ অপরাধ করেছে। ইন্টারনেট কোন কিছু প্রমাণ করে না। পিনাকী কত কথা ইন্টারনেটে বলছে তারমানে যা বলছে তাই সত্য এমন না।
ইস্কনের সাথে সম্পর্ক কি আছে সেটা পরিষ্কার করে প্রমাণ সহ বলেন এবং তার সাথে বিদ্যানন্দের আর্থিক লেনদেনের কি সম্পর্ক আছে সেটাও বলেন। দুর্নীতির শক্ত প্রমাণ থাকতে হবে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শিপ্রা দাস কে জানি না। তার সাথে বিদ্যানন্দের কোন সম্পর্ক থাকলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটার সাথে কি বিদ্যানন্দের আর্থিক লেনদেনের কি সম্পর্ক আছে?
২০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় সাড়ে চুয়াত্তর ভাই,
আপনি প্লিজ আমার উপরের কমেন্ট আর এ কমেন্টটি মুছে দিন। আপনি আরেকবার আমার কমেন্টের রিপ্লাই দেয়ায় আবার এলাম। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত আপনাকে মনোকষ্ট দেয়ার জন্য।
এ কমেন্টটি মুছে দিন। আর জেনে রাখুন, আমি নিজে আপনার মতো ধর্ম ভীরু মানুষ নই, ধর্মকর্ম করতে পারি না, তবে আমি আগাগোড়া আস্তিক এবং সবসময় নিরপেক্ষ দৃষ্টি দিয়েই সবকিছু বিচার করে থাকি। ধর্মকে কোনোকিছুতে জড়াইও না, যেহেতু ধর্ম আমি খুবই কম বুঝি।
কিন্তু আপনার শিরোনামটা খুবই আপত্তিকর ঠেকেছে আমার কাছে। এবং ওটা যে ঠিক না, আমি আমার কমেন্টে সেটাই উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছি। ই ভ্যালি, ডেস্টিনি কি কোনো হিন্দুদের প্রতিষ্ঠান? তাদেরকে ছুঁলে ফেলেছে জনগণ। আস-সুম্মাহকে জনগণ ধরতে যাচ্ছে। বাংলার মানুষ কিছু একটা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসে, হোক সেটা হিন্দু কিংবা মুসলমানের প্রতিষ্ঠান।
আমি নিজেও কোনো একটা পোস্টে বিদ্যানন্দকে যাকাত দেয়া যায় মর্মে আমার ইনোসেন্ট মতামত দিয়েছি। আমিও তো ভালো'র পক্ষেই বলেছি।
আপনি দেখুন, বিদ্যানন্দ নিয়ে দুজন হিন্দু পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলছেন এমন কোথাও পান কিনা। আর এ পোস্টেই দেখুন, বিদ্যানন্দ'র কুমার দাস হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানরা কেউ তার পক্ষে বলছেন, কেউ বা বিপক্ষে।
যাই হোক, এ কমেন্ট পড়ার পর দয়া করে আমার দুটো কমেন্টটি ডিলিট করে দিন।
ভালো থাকবেন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অন্য হিন্দুরা বিদ্যানন্দের পক্ষে নিলে সেটার দায় বিদ্যানন্দ কেন নেবে। এই দায় ঐ হিন্দুদের। যদি তারা ভুলভাবে সমর্থন দিয়ে থাকে। বিদ্যানন্দের আর্থিক কর্মকাণ্ডের সাথে দেশের হিন্দুদের সমর্থনের কি সম্পর্ক আছে। আমি তো কোন হিন্দু কি বলল সেটা বলতে চাচ্ছি না। আমার ফোকাস বিদ্যানন্দ দুর্নীতি করেছে কি না। অন্য হিন্দুরা তাকে সমর্থন দিলে সেটার জন্য তারা দায়ী। বিদ্যানন্দ কি তাদেরকে সমর্থন দিতে বলেছে। হিন্দুদের মন মানসিকতা তো আমার এই পোস্টের বিষয় না।
বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে কি কোন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। প্রমানের আগেই তাকে ই ভেলি, ডেস্টিনির সাথে কেন তুলনা করতে চাইছেন।
এখানে আমি হিন্দু বা মুসলমান কি বলছে সেটা নিয়ে বলছি না। আমার কথা হল বিদ্যানন্দ দোষ করেছে সেটা আগে আদালতে প্রমাণ করুন। প্রমাণ ছাড়া শুধু সন্দেহের কারণে কেন তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। আর এতই যদি গুরুতর অপরাধ বিদ্যানন্দ করে থাকে কেউ সাহস করে মামলা কেন করছে না।
২১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনার শিরোনামের ব্যাপারে অন্য একটা প্রশ্নও করা যায়। কিশোর কুমার হিন্দু বলে বিদ্যানন্দ এতদূর পর্যন্ত আসতে পেরেছে। নাহলে অনেক আগেই এটার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠতো।
এক টাকায় আহার প্রজেক্ট এটা অনেক মানুষকে অলসে পরিণত করেছে বলে আমার মনে হয়। কেউ যখন এক টাকায় খাবার পাবে সে তো আর পরিশ্রম করতে পারবে না।
"র" এর এজেন্ট হিসেবে পিনাকী ভট্টাচার্য আমার কাছে পছন্দীয় না হতে পারে, তার অনেক ভুল-ভ্রান্তি আছে। বিদ্যানন্দকে সে এক্সপোজড করে নি, করেছে "র"। এখানে অনেক হিসেব নিকেশ আছে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাদের প্রোজেক্টের সমালোচনা করতেই পারেন। বিদ্যানন্দ কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে যে তারা খাবার থেকে সরে অন্য স্থায়ী কিছুতে যেতে আগ্রহী। তবে আমাদের দেশের দাতারা খাওয়াতে পছন্দ করে। এটা তাদের বক্তব্য।
আপনি 'র' সংক্রান্ত যা বলেছেন সেটার কী প্রমাণ আপনার কাছে আছে?
কে সিআইএর কে 'র' এর আর কে আইএসআইয়ের এজেন্ট কীভাবে প্রমাণ করবেন। এই দেশে কত বিখ্যাত জনের নামের সাথে এই ধরণের এজেন্ট শব্দটা জড়িত।
২২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইন্টারনেটে কত কিছু ছড়ায়। ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্য কতটা সত্য সেটা দেখতে হবে।
আপনে আমাকে চিনতে ভুল করছেন। আমি ফেসবুক প্রজন্ম না যে যাচাই বাছাই না করেই নেটে যা দেখি তাই বিশ্বাস করি।
যাকগে, এই বিষয় নিয়ে আমার মুল্যবান সময় নষ্ট আর না করি।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। তবে বিতর্ক চালালে আপনার কাছ থেকে আরও কিছু জানা যেত।
২৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় সাড়ে চুয়াত্তর ভাই,
আপনাকে অনুরোধ করেছিলাম, আমার আগের এবং পরের পোস্টটাও ডিলিট করে দিতে। সেই সাথে জাস্ট আপনার জ্ঞাতার্থে আমার লাস্ট কথাটা বলেছিলাম। সে অনুরোধ আপনি রাখেন নি। অধিকন্তু, একটা প্রচলিত প্রবাদের মতো, আপনি সেই ভাঙা রেকর্ডটাই বাজিয়েছেন। কথাগুলো এসেছে আপনার শিরোনাম থেকে। আপনি শিরোনামে কী লিখেছেন, সেটা দেখেছেন এবং বুঝেছেন? আপনি বার বার শুধু একই কথা বলে যাচ্ছেন, এটা আমার দেখার বিষয় না, ওটা আমার দেখার বিষয় না। আপনি যে বিষয়টা টেনে এনে ছেড়ে দিলেন, ঐ বিষয়ের উপর কথা বলার পরও যখন আপনার বোধোদয় হচ্ছে না, তখন আর আলোচনা এগোতে পারে না, বরং আপনি আরো কঠিন কিছু কথা ডিজার্ভ করেন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ওপেন প্লাটফর্মে আপনার যুক্তি তুলে ধরেছেন। আমিও বিরূপ কোন প্রতিক্রিয়া দেখাই নি, যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করেছি। আপনার মন্তব্য আমার জন্য কোন সমস্যা। তারপরও কেন আপনি আপনার মন্তব্য মুছতে বলছেন সেটা আমার কাছে পরিষ্কার না। আপনি আপনার পূর্বের মন্তব্য যদি সংশোধন করতে চান সেটা আপনি করতে পারেন। কিন্তু মুছে দিতে বলা মানে আপনি স্বীকারই করতে চাচ্ছেন না যে এই ধরণের মন্তব্য আপনি করেছেন। বিতর্কে অংশগ্রহণ করে এই ধরণের অনুরোধ করাটা আমার কাছে ছেলেমানুষি মনে হচ্ছে। এই মন্তব্য তো শুধু আমার জন্য না। এটা বহু লোক দেখছে। আপনি আপনার মন্তব্যে আমার বিরুদ্ধে তোষামোদি, দালালির কথা বলেছেন। পাবলিক প্লাটফর্মে বলেছেন। তাই আমি চাচ্ছি সবাই দেখুক আপনি কি বলেছেন।
আপনি আবেগ প্রবণ না হয়ে আরও কঠিন কিছু বলতে পারেন। আমার দিক থেকে সমস্যা নাই যদি ব্যক্তি আক্রমন না থাকে। তবে আপনার সাথে আমি সম্পর্ক নষ্ট করতে চাই না। আমার মনে হচ্ছে আপনি আবেগ প্রবণ অবস্থায় আছেন। মাথা ঠাণ্ডা হওয়ার পরে মন্তব্য করলে ভালো হবে।
২৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: মন্তব্য পড়ে আলোচনা ভালোই লাগল।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি। অনেক জ্ঞানগর্ভ আলোচনা হয়েছে।
২৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ভাই,
আপনার সাথে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। আছে এবং থাকবে। আমার কমেন্টে আপনার ২য় রিপ্লাই পেয়ে আমার মনে হয়েছিল আপনি মানসিক ভাবে অস্থির হয়ে পড়েছেন। সেজন্য ঐ কমেন্ট এবং তার পরের কমেন্টটা মুছে দিতে বলেছিলাম। আমার ধারণা যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে কমেন্ট মোছার দরকার নেই।
আমার মাথা ঠান্ডাই আছে। আবেগ প্রবণ হয়ে লিখি নি। এ পোস্টেও আপনার অন্যান্য পোস্টের মতোই কমেন্ট অনেক বেশি হচ্ছে, তবে এ পোস্টে আপনি প্রতি কমেন্টের মেরিট অনুযায়ী রিপ্লাই দিতে পারছেন না বলে আমার মনে হচ্ছে। প্রতিটা রিপ্লাই গঁৎবাঁধা হয়ে যাচ্ছে। যখন সময় পাবেন, তখন পড়ে দেখবেন, রিপ্লাইগুলো ঠিক ভাবে দিয়েছেন কিনা।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা আপনার জন্য।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি মানসিকভাবে অস্থির না। বরং আজকে আরও বেশী সুস্থির আছি। এই পোস্ট তৈরি করার সময়ই আমি জানতাম এই পোস্ট নিয়ে অনেক বিতর্ক হবে। তাই মানসিক প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু সমস্যা হল কেউ যুক্তি দিয়ে বিতর্ক করে না। তারা প্রমাণহীন অভিযোগ করে।
আমার কাছে মনে হয়েছে মন্তব্যের জবাব মেরিট অনুযায়ীই দিয়েছি।
আমি ইতিমধ্যেই কয়েকবার আমার প্রতি মন্তব্যগুলি কয়েকবার পড়েছি। আমি আমার পোস্টে এবং মন্তব্যে বলেছি দুই একটা ব্যাপারে বিদ্যানন্দকে আরও ব্যাখ্যা দিতে হবে। আমি ইস্কনের ব্যাপারটা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুলত। এই কারণে আমার পোস্টের শিরোনাম এই রকম।
২৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
নীল আকাশ বলেছেন: এই পোস্টে হেডিঙ পড়ার পর আমার আর মন্তব্য করার রুচি হচ্ছিল না। নিজেকে ডিফেন্ড করা সবচেয়ে নোংরা পদ্ধতি হচ্ছে ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে আসা। আমি চুরি করবো কিন্তু কেউ আমাকে চোর গালি দিলে আমি আমার ধর্মীয় পরিচয় সামনে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করব এটা অত্যন্ত বড় ধরনের একটা নোংরামি। গুজরাটের কসাই মোদি ও কিন্তু একের পর এক মানুষ হত্যা করে ধর্মীয় পরিচয় নিজের সামনে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছিল।
কুমিরের বাচ্চা দেখানোর মত করে এক ছবি বারবার লোকজনকে দেখিয়ে টাকা পয়সা তুলে লোপাট করার পর যদি এখন সাংবাদিক সম্মেলনে ভদ্র মানুষ সাজার চেষ্টা করে, তাতে অন্তত সাধারণ মানুষজন তাদের বিন্দুমাত্র বুদ্ধিশুদ্ধি আছে তারা কখনোই ভুল বুঝবে না। একবার ভেবে দেখুন, যদি এভাবে টাকা পয়সা লুটপাট করার তথ্য ফাঁস না হতো, কত হাজার হাজার মুসলিমের যাকাতের টাকা আর আদায় করা হত না। আর নন মুসলিম একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষজনের কাছে যাকাতের টাকা চায় তারা কোন হিসাবে কোন যুক্তিতে?
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিশোর কুমার দাস কখনই নিজের ধর্মীয় পরিচয় দিয়ে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন নি। আমি পোস্টে ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখ করেছি কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে মুলত তার ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে মানুষ তাকে ইস্কনের সাথে ট্যাগ করছে। এছাড়া তাকে 'র' য়ের এজেন্ট বলছে। এই 'র' য়ের এজেন্ট শব্দটাও আমাদের দেশে মুলত হিন্দুদের প্রতি ছুড়ে দেয়া হয়। কোন প্রভাবশালী হিন্দুর কর্মকাণ্ড আমাদের ভালো না লাগলে আমরা বলি ও নিশ্চয়ই 'র' য়ের এজেন্ট। এই সব কারণে আমি পোস্ট ধর্মীয় পরিচয় এনেছি। বিদ্যানন্দ নামটা নাকি হিন্দু হিন্দু লাগে। এই কথা অনেকে বলে। হিন্দু প্রতিষ্ঠান হিসাবেও আমরা অনেকে এটার দিকে বাঁকা দৃষ্টিতে তাকাই। অবশ্যই সবাই এমন করে না। একটা সেবা মুলক প্রতিষ্ঠানের কোন হিন্দু বা মুসলমান বলে কিছু নাই।
আপনার মন্তব্যে মনে হচ্ছে আপনি নিশ্চিত যে বিদ্যানন্দ চুরি করেছে। আপনার কাছে কি প্রমাণ আছে যে বিদ্যানন্দ চুরি করেছে।
এক ছবি কেন তারা বারবার দেখায় এটার ব্যাখ্যার মধ্যে কোন জটিলতা নেই। তারা সরলভাবে বলেছে যে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে তারা পোস্ট দেয়। সেই পোস্টে তারা প্রতীকী ছবি দিয়ে থাকে। তার মানে এই না যে গরুর ছবি দেখানো হয়েছে সেটাকেই জবাই দেয়া হয়েছে। যেহেতু অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছে তাই বিদ্যানন্দের উচিত হবে এই পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা অথবা পোস্টের নীচে এই বিষয়ে ছোট নোট দেয়া।
আপনি কোন প্রমাণ ছাড়াই এদেরকে লুটেরা বলছে। এরা মানব সেবামূলক কাজ করে বলে হয়তো কোন দিন আইনের দ্বারস্থ হবে না। কিন্তু অন্য কেউ হলে প্রমাণ ছাড়া অপবাদ দেয়ার জন্য আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিত।
এই প্রতিষ্ঠানটাকে আপনি নন মুসলিম কোন হিসাবে বলছেন। ব্যক্তি কিশোর কুমার দাস হিন্দু বলে কি এই প্রতিষ্ঠানটাই নন মুসলিম হয়ে গেছে। কোন প্রতিষ্ঠানের আবার কোন ধর্ম থাকে নাকি। এটা কি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যে এটার গায়ে হিন্দু বা মুসলামান শব্দটা জুড়ে দিতে চাচ্ছেন। আমি খুব বিস্মিত যে আপনি কীভাবে এই সমাজ কল্যাণ মুলক প্রতিষ্ঠানকে হিন্দু প্রতিষ্ঠান বলছেন। এই প্রতিষ্ঠানে বেশীর ভাগ সদস্য মুসলমান এটা নিশ্চয়ই আপনি জানেন। আর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া প্রতিষ্ঠানের কোন হিন্দু বা মুসলমান হয় না। এদের জাকাত দেয়ার ব্যাপারে আহমাদুল্লাহ সাহেব বলেছেন যে যেহেতু এরা জাকাত কাকে দিচ্ছে বোঝা যাবে না তাই এদেরকে জাকাত দেয়া যাবে না। এই কথাটার আরেকটা অর্থ তাহলে কি দাঁড়ালো যদি এরা আলাদা জাকাত বোর্ড তৈরি করে শুধু দরিদ্র মুসলমানদের জাকাতের নিয়ম মেনে দেয় সেই ক্ষেত্রে এদেরকে জাকাত দেয়া যেতে পারে। জাকাত নিতে বিদ্যানন্দ তেমন আগ্রহী ছিল না। কেউ দিতে না চাইলে দিবে না।
২৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: জমির অবচয় হয় না। কিন্তু জমির উন্নয়নের অনেক সময় অবচয় হয়। এই ব্যাপারে বিদ্যানন্দকে আরও পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে। তবে এখানে অবচয়টা গৌণ বিষয়। ওনারা বলতে চেয়েছেন যে জমি চাইলে তারা ফেরত দিবেন যদি মূল মালিক চায়। কিন্তু মূল মালিক আগ্রহ দেখান নি।
জমির উন্নয়ন বলতে আপনি কী দালানকে বোঝাচ্ছেন ? তবে তো আলাদাভাবে দালানের ওপর অবচয় ধার্য হবে জমির ওপর হবে না । জমিকে তো কোনভাবেই অবচয়ের আওতায় আনা যায় না । উনি যেভাবে অবচয়কে টানলেন তবে তো মনে হয় না এটাকে সমালোচনার বাইরে রাখা যায় !
নিরীক্ষকেরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এটা আমি বলি নাই। নিরীক্ষার কিছু ষ্ট্যাণ্ডার্ড কৌশল আছে। নিরীক্ষা কোন গ্যারান্টি দেয় না। তবে হিসাবে বড় কোন ভুল বা প্রতারণার হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।
ভাই আপনি বলেছেন সেটা তো আমি বলিনি । নিরীক্ষকের যেসব কৌশল সেগুলো হল হিসাব হিসাব মান অনুযায়ী রাখা হয়েছে কী না তা যাচাই করা । হ্যাঁ নিরীক্ষা কোন গ্যারান্টি দেয় না এটা ঠিক । আর বড় বড় হিসাবের ভুল বা প্রতারণার সম্ভাবনা কমে যায় এটাও ভুল কথা ভাই । নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে অনেক ভুল উদঘাটন করা একেবারেই অসম্ভব এজন্য বর্তমানে ফরেন্সিক একাউন্টিংয়ের প্রচলন বাড়ছে !
আপনার জানা উচিত যে নিরীক্ষক হিসাব বিবরণী তৈরি করে না। তারা শুধু হিসাবরক্ষকদের তৈরি করা হিসাবের উপর একটা মতামত দেয়। এই হিসাব একনাবিন বানায়নি। অডিট রিপোর্টে ক্যাশ ফ্লো থাকে না। ক্যাশ ফ্লো থাকে নিরীক্ষিত হিসাবে। আপনি নিরীক্ষিত হিসাবকে অডিট রিপোর্ট বলছেন। সাধারণত প্রথম ২/৩ পাতা অডিট রিপোর্ট। বাকি পাতাগুলো নিরীক্ষিত হিসাব, যেখানে অডিটর এবং প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের স্বাক্ষর থাকে।
আমি তো বলিনি যে সে হিসাব বিবরনী তৈরী করে দেবে । তবে অডিট রিপোর্টে অবশ্যই যেসব স্টেটমেন্ট থাকে তা ফার্মই তৈরী করে । অডিট রিপোর্টে কেশ ফ্লো থাকে না এটা আপনাকে কে বলল ভাই ? আপনি নিজেই তো বিদ্যানন্দনের ওয়েবসাইটে গেলে অডিট রিপোর্টে ক্যাশ ফ্লো দেখতে পাবেন । আপনি নিজেই ভাই নিরীক্ষার প্রত্যয়ন পত্রকে অডিট রিপোর্ট বলছেন । একটা অডিট রিপোর্ট মোটেও ২/৩ পাতার হয় না । স্টেটমেন্টের নিচেই যখন ফার্মের প্রধানের স্বাক্ষর থাকে তখন সেই হিসাবের জন্য ফার্মকে দায়ী করা যাবে না বা বলা যাবে না এবং একনাবিন করেনি বলা যাবে না বলাটা মোটেও আইনি কথা হল না ! অডিট করার পর সেখানে যদি কোন ভুল থাকে তার জন্য অডিট ফার্ম দায়ী থাকে আইনত !!
অডিট রিপোর্ট দেখলেই বুঝবেন যে বিদ্যানন্দ প্রথম কয়েক বছর শুধু তাদের জমা খরচের হিসাব নিরীক্ষা করিয়েছে। এই কারণে সম্পদের পূর্ণ বর্ণনা সেখানে নেই। তখন তারা নতুন অবস্থায় ছিল তাই হয়তো বড় হিসাব তারা নিরীক্ষা করায় নাই। হয়তো ব্যালেন্স শিটও তারা তৈরি করে নাই ঐ সময়। ২০২২ সালে পুরনাঙ্গ হিসাব নিরীক্ষা করা আছে। ওয়েব সাইটে নিরীক্ষিত হিসাবের সব পৃষ্ঠা দেয়া হয় নাই। ফলে সব ব্যাখ্যা ওয়েব সাইট থেকে বোঝা যাবে না। তবে নিরীক্ষিত হিসাবের সাইন করা কপি নিশ্চয়ই আছে। নতুন প্রতিষ্ঠান হিসাবে এই ত্রুটি মার্জনীয় বলেই মনে হয়। অবচয়ের টাকা তো আসলে টাকা না। এটা তো মেরে দেয়ার মত কোন জিনিস না। প্রথম কয়েক বছরে অডিটররা শুধু জমা খরচের অডিট করেছে। আসলে পুরনাঙ্গ হিসাব ছাড়া পুরো চিত্র পাওয়া যাবে না।
আচ্ছা ভাই ব্যালেন্স শিট না থাকলে একনাবিনের অডিট রিপোর্টে ওগুলো কী ? সম্পদের যে বিবরণ দেয়া আছে ওটা কী ? নিরীক্ষিত হিসাবের সব পৃষ্ঠা কেন দেয়া হল না ? বিদ্যানন্দন তো স্পষ্টবাদী সব দিক থেকে । তো এখানে কেন দিল না ! এখানেই তো বিতর্কের জন্ম দেয় । যেই বিতর্ক নিয়ে পিনাকি ক্যাচাল বাধাল । অবচয় তো ভাই হেলাফেলার বিষয় না । আমি টাকা মেরেছে কি না এই নিয়ে কোন মন্তব্য রাখতে চাই না । ওটা আমার বলার বিষয়ও না। এত এত অবচয়যোগ্য সম্পদের কোন অবচয় রাখা হল না এবং তা কারও নজরেও আসল না এটা মেনে নেয়া যায় না ।
পিনাকী যে রিপোর্ট দেখিয়েছে সেটা বিদ্যানন্দের সাইটে নেই। হয়তো সে অন্য কোনভাবে সেটা সংগ্রহ করেছে। কারণ সাইটে পুরনাঙ্গ হিসাব নাই।
সেটাই তো বললাম । যে বিকাশের ঐ স্টেটমেন্ট আমি পাচ্ছি না ।
জমা খরচ হিসাব আসলে ক্যাশ ফ্লোরই আরেকটা রূপ বলা যেতে পারে। ২০২১ পর্যন্ত তারা শুধু অর্থ প্রাপ্তি এবং খরচের হিসাব রেখেছে। আয় ব্যয় হিসাব বা ব্যালেন্স শিট সম্ভবত তৈরি করেনি। পুরো হিসাব সাইটে নেই তাই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব না। ২০২২ মসি মুহিত কোঃ ব্যালেন্স শিট, আয় ব্যয় এবং ক্যাশ ফ্লো করেছে। আগের বছরগুলির ক্যাশ ফ্লো বলতে আসলে জমা খরচ হিসাব।
জমা খরচের হিসাবকে ক্যাশ ফ্লোর রূপ বলা যেতে পারে না । আপনি বলছেন কারণ একনাবিন রেভিনিউকে ক্যাশ ইক্যুইভেলেন্ট বলে দেখিয়েছে । সেটা ধরাই যায় কিন্তু তবুও পূর্নাঙ্গ প্রকাশ পায় না । পিনাকি কিন্তু ওদের হিসাবের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং সেটা নিয়ে কোন জবাব বিদ্যানন্দন থেকে কবে আসবে সেই আশায় আছি !!
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা তো হিসাব বিজ্ঞানের ক্লাস না। তাই না। আপনি একটু পড়লেই দেখবেন যে অনেক ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে জমি বা জমির উন্নয়নের উপর অবচয় ধরা হয়। সেই জমি বা জমির উন্নয়ন হয়তো আজীবন টিকবে না। নির্দিষ্ট কয়েক বছরের জন্য। অথবা হয়তো নদীতে ভেঙ্গে যাবে জমিটা ( উদাহরণ হিসাবে বললাম)। সেই ক্ষেত্রে যতদিন পর্যন্ত উন্নয়ন অবস্থা বিরাজ করে ততদিন পর্যন্ত ধীরে ধীরে অবচয় করা হয়। তবে এটা একান্তই ব্যতিক্রমী ঘটনা। এই পোস্টে অবচয় বড় কোন বিষয় না। আর কিশোর কুমার অবচয় বলতে কি বুঝিয়েছেন সেটা পরিষ্কার না। ওনাকে আরও ব্যাখ্যা করতে হবে।
ফরেনসিক আকাউন্তিং ভুল নির্ণয় করতে না বরং ফ্রড নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। আমি তো বলেছিই যে অডিট করলে ভুল বা জালিয়াতির সম্ভবনা কম থাকে। একদম হয় না এটা কেউ বলে না। ফরেনসিক একাউন্তিংয়ের মাধ্যমেও ১০০% সম্ভব না। কোয়ালিটি অডিট করালে ভুল এবং জালিয়াতির সম্ভবনা কমে যায় এই কারণেই অডিট করানো হয়।
আপনি কোনটা অডিট রিপোর্ট (অডিটরস রিপোর্ট) আর কোনটা অডিটেড হিসাব বিবরণী সেটার পার্থক্যই বুঝতে পাড়ছেন না। পুরো রিপোর্টের প্রথম ২/৩ পাতাকে অডিটরস রিপোর্ট বলে। যেটাতে শুধু অডিটর সাইন করে। আর পরের পাতাগুলিতে যে হিসাব বিবরণী থাকে সেটাতে মক্কেল এবং অডিটর উভয়েই সাইন করে। এই হিসাব বিবরণী অডিটররা বানায় না। এটা মক্কেল ( যার হিসাব নিরীক্ষা করা হচ্ছে) বানায়। অডিটর শুধু যৌথভাবে স্বাক্ষর করে। এই কারণেই বলেছি যে ক্যাশ ফ্লো অডিট রিপোর্টের অংশ না বরং পরবর্তী পাতা সমুহে যে হিসাব বিবরণী থাকে সেটার অংশ। অডিটরস রিপোর্ট আর অডিটেড হিসাব একই জিনিস না। তবে এক সাথে বাইন্ড করা থাকে।
নিরীক্ষার প্রত্যয়নপত্র বলে কিছু নাই। একটা হল অডিটরস রিপোর্ট আর আরেকটা হল অডিটেড হিসাব। আমি যদি কোথাও ভুল বলে থাকি সেটা ভুলেই বলেছি। তবে বলেছি কি না জানি না। আমি বলি নাই যে অডিট ফার্মের দায় নাই। অকারণেই আপনি বলছেন। আমি বলেছি হিসাব তৈরির দায়িত্ব মক্কেলের আর নিরীক্ষার দায়িত্ব সি এ ফার্মের। অবশ্যই অডিট ফার্ম হিসাবের ব্যাপারে দায়বদ্ধ। কিন্তু এই হিসাব তারা তৈরি করে না।
আপনি অডিটরস রিপোর্টের প্রথম পাতা পড়লেই দেখবেন যে একনাবিন বলেছে যে তারা জমা খরচের হিসাব অডিট করেছে। ব্যালেন্স শিট অডিট করলে সেটা অবশ্যই লেখা থাকতো। Explanatory information হিসাবে একটা বাড়তি এনেক্স দিয়ে তারা শুধু স্থায়ী সম্পদের একটা বিবরণী দিয়েছে। অডিটরের রিপোর্টে পরিষ্কারভাবে লেখা থাকে তারা কি কি জিনিস অডিট করেছে। আর্থিক বিবরণীর মধ্যে কি কি আছে সেটা অডিটরস রিপোর্টে থাকে। অডিট রিপোর্ট ওয়েব সাইটে কয়টা প্রতিষ্ঠান দেয়। তারা মূল পাতাগুলো দিয়েছে। তবে পুরো দেয়া উচিত ছিল। তবে অডিটেড হিসাব তো তারা বদলাতে পারবে না। তাই এটা কোন সমস্যা না।
প্রথম দিকে তাদের হিসাব উন্নত মানের ছিল না এটা আমি মানি। কিন্তু তারমানে তারা চুরি করেছে এটা আমি মানি না। সি এ ফার্মগুলি দরকার হলে ব্যাখ্যা দেবে। যেহেতু তারা অডিট করেছে। কিছু অনিয়ম হলে তারাও বিপদে পড়বে। একটা প্রতিষ্ঠানের প্রথম দিকের হিসাব ভালো মানের না হতে পারে।
আমি পিনাকের ভিডিও দেখে বলেছি। পুরনাঙ্গ হিসাব দেখা প্রয়োজন। কিন্তু ওয়েব সাইটে নাই।
একনাবিন জমা খরচ হিসাব (Receipt payments statement) বলতে আয় ব্যয় হিসাব বুঝায় নাই। জমা খরচ মানে নগদ বা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা এবং খরচ বুঝিয়েছে। শুরুর ক্যাশ থাকে, জমা, খরচ থাকে এবং শেষের ক্যাশ থাকে। আক্রুয়াল বেসিস হিসাব এটা না। এটা দিয়ে আয় ব্যয়ের উদ্বৃত্ত নির্ণয় করা যায় না। নন প্রফিট ছোট প্রতিষ্ঠানের এই ধরনের হিসাব রাখার প্রচলন আছে। এছাড়া আয় ব্যয়ের জন্য আলাদা আয় ব্যয় হিসাব করে একটা। যদিও অলাভজনক ছোট প্রতিষ্ঠানের এই ধরণের হিসাব রাখার চল আছে। হিসাব রাখার স্টাইলের আপনি সমালোচনা করতে পারেন আপনি। কারণ তারা তখন নতুন ছিল। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া চোর বলা যাবে না। ২০২২ সাল থেকে তারা ব্যালেন্স শিট এবং অন্যান্য হিসাব রাখা শুরু করে।
আপনি কোন রিপোর্টের কথা বলছেন জানি না। তবে একনাবিন রেভিনিউকে ক্যাশ ইকুইভালেনট বলেনি। ওটা ক্যাশ এবং ব্যাংকের টাকার ওপেনিং ব্যাল্যান্স। তারপরে প্রাপ্তি। তারপরে খরচ এবং শেষে ক্যাশ এবং ব্যাংকের ক্লোসিং জের।
২৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কোন নিরীক্ষক হিসাবের গ্যারান্টি দেয় না। আপনি যেভাবে খুজছেন সেই হিসাবে যে কোন বড় ফার্মের বিরুদ্ধেই ছোট খাট অভিযোগ থাকতে পারে। বিদ্যানন্দের অডিট তো শুধু একনাবিন করেনি। পরে হাওলাদার ইউনুস, মসি মহিত এবং আরও কারা কারা করেছে। সবাই রেপুটেড ফার্ম। বিদ্যানন্দের সৎ সাহস আছে বলেই ওয়েব সাইটে নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী দিয়েছে।
কিছু মুসলমান বাড়াবাড়ি করে বলছে তার সাথে ইস্কনের সম্পর্ক আছে। কিশোর কুমার দাস হিন্দু বলেই এটা বলা হচ্ছে। প্রমাণ হাজির করার দরকার আছে এই ব্যাপারে। প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে বলা ঠিক না।
হ্যাঁ আমি দেখেছি । আর অডট রিপোর্ট দেখালেই সৎ সাহস আছে এটা মেনে নেয়া যায় না । অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করলেই সৎ সাহস প্রকাশ পায় না । অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা একটি সাধারণ ব্যাপার !
আর ভাই ইস্কনের সাথে সম্পরক আছে কিনা এবং তাদের মিথ্যাচার নিয়ে আপনি বলতে পারেন । এবং বলা উচিত । কিন্তু এভাবে সাম্প্রদায়িক বিষয়কে টেনে আনাটা আসলেই উচিত নয় ভাই । তারা প্রমাণ করতে পারছেন না বলে আপনি এই শিরোনাম দেবেন এটাও তো ঠিক নয় । নাহ্ ভাই মানা গেল না !!
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই যুক্তিগুলি হল যারে দেখতে নাড়ি তার চলন বাঁকা টাইপের। লিস্টেড কোম্পানি ছাড়া কয়টা প্রতিষ্ঠান তাদের অডিট রিপোর্ট ওয়েব সাইটে দেয়। সংখ্যা খুব কম। শতকরা হারেও কম। তারা বেশী স্বচ্ছতা দেখাতে গিয়ে বিপদে পড়েছে।
ইস্কনের সাথে বিদ্যানন্দকে জড়ানোটাই সাম্প্রদায়িক ব্যাপার। এই কারণেই আমি পোস্টের শিরোনাম দিয়েছি এই রকম। সে হিন্দু হলে এই অভিযোগ তার বিরুদ্ধে করা হত না।
২৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: যারাই পোস্টের সাথে একমত নন, তাদের অনেকের কমেন্ট ব্লগার চাঁদ্গাজীর কমেন্টের ন্যায় ব্যক্তি আক্রমন পর্যায়ে চলে গেছে যা এই ব্লগে কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। পোস্টের শিরোনাম বা পোস্টের কন্টেন্ট এর সাথে যে কেউ দ্বিমত পোষন করততেই পারে কিন্ত সেটা সুস্থ বিতর্কের মাধ্যমেই প্রকাশ করাটা সব সময়েই কাম্য। ব্লগার সড়ে চুয়াত্তরকে আজতক কখনো কাউকে ব্য্ক্তি আক্রমন করতে আমরা কেউই দেখিনি।যাই হোক সুন্দর ও সুস্থ বিতর্কে অংশ নেয়া ব্লগার নির্বহন নির্ঘোষের দুটো কমেন্টই খুব ভাল লেগেছে।
যাই হোক অডিট সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে উত্তর বিদ্যানন্দই দিবে আশা করি। তবে বিদ্যানন্দকে নিয়ে ট্রল করতে গিয়ে বাঙ্গালী যে পরিমান নীচুতার পরিচয় দিচ্ছে তা অকল্পনীয়। কিশোর কুমার দাস একটা সময়ে এত খারাপ অবস্থায় ছিলেন যে , ভাল কিছু খেতে পারতেন না বলে এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন। অবাক হয়ে দেখলাম এটাও একটা ভাইরাল পোস্টের স্ট্যটাস!!! কমেন্টগুলো পড়ে বাক্যহারা হয়ে গিয়েছি। সেই সাথে আরো দেখছি বিদ্যনন্দের সমাজ সেবামুলক কার্যক্রম এক টাকায় আহার, বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীদের পাশে দাড়ানোর মত মহৎ কাজগুলো নিয়েও জঘন্য ট্রল করা হচ্ছে। এগুলো পড়ে মনে হচ্ছে বিদাানন্দ নয়, এক টাকায় খেতে পাওয়া দরিদ্র, ছিন্নমুল পথশিশুদের নিয়ে নোংরা রসিকতা করা হচ্ছে। এগুলো কোন সুস্থ , সভ্য মানুষের পরিচয় নয়।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেকেই এতো আক্রমণাত্মক মন্তব্য কেন করলো এটা নিয়ে আমি কিছুটা বিস্মিত। মতের অমিল হলেই কেন আক্রমণ করতে হবে। সুন্দরভাবে যুক্তি উপস্থান করা যেত। অবশ্য অনেকে তা করেছেন।
ব্লগার নিবর্হণ নির্ঘোষকে একজন তরুণ মেধাবী ব্লগার বলে আমার মনে হয়।
বিদ্যানন্দের এক সময়ের করুন অবস্থা নিয়ে অনেকে ঠাট্টা, মশকরার করেছে ট্রল করেছে। ব্যাপারটা সত্যিই দুঃখজনক।
বিদ্যানন্দকে নিয়ে আসলে মিডিয়া ট্রায়াল এবং ট্রল হয়েছে বিভিন্ন মিডিয়া এবং ব্লগে। অনেক ক্ষেত্রে দরিদ্র, ছিন্নমূল মানুষগুলিই যেন হাসির পাত্রে পরিনত হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
৩০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১৪
এমজেডএফ বলেছেন: 'বিদ্যানন্দ' বিষয় নিয়ে আমার কোনো উৎসাহ নাই। তারপরেও এই বিষয়টি নিয়ে এত আলোচনা কেন জানতে কয়েকটি পোস্ট পড়েছিলাম। সেখানে দেখলাম 'ভন্ড মুসলমানেরা' ধান্ধাবাজ ও প্রতারক পিনাক্ষীর মনগড়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে লাফাচ্ছে। তাই সেসব পাগল-ছাগলকে এড়িয়ে গেলাম।
আপনি এই পোস্টে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর উত্তর (ফাউন্ডেশনের দেওয়া ব্যখ্যাসহ) দিয়েছেন। অভিযোগ এবং অভিযোগের উত্তরগুলোর সারমর্মের ওপর ভিত্তি করে আপনার মতামত দিয়েছেন, "আমার ধারণা কিশোর কুমার দাস হিন্দু বলেই এত অভিযোগ এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে।"
আমিও আপনার সাথে একমত।
উপরের মন্তব্যগুলোতে দেখলাম তথাকথিত খট্টর মুসলমেনেরা পোস্টে উল্লেখিত যুক্তিতর্কের আশেপাশেও নাই। পোস্টের শিরোনাম "কিশোর কুমার দাস মুসলমান হলে বিদ্যানন্দ এতো বিপদে পড়তো না" পড়েই জ্বিহাদে নেমে গেছে। সবাই হিন্দুদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বাকযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে।
'সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই' ব্লগারকে এতোদিন একজন ম্যাচিউড ব্লগার হিসাবে ভাবতাম। কিন্তু তিনি এখানে পোস্টের মূল বিষয়বস্তুকে এড়িয়ে সরাসরি আপনাকে আক্রমণ করে যে জ্বিহাদি মন্তব্য দিয়েছেনা তাতে ঠাশকি খেলাম । উনি লিখেছেন,
"মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে পার্থক্য হলো, মুসলমানরা সব সময় ন্যায়ের পক্ষেই কথা বলবেন।"
এরকম নির্বোধ মন্তব্য পড়ে কুত্তাও হাসবে।
এই লোক ব্লগে ব্যক্তি আক্রমণের বিরুদ্ধে অনেকসময় সুশীল বক্তব্য দেন। আর এখানে আপনাকে আক্রমণ করে লিখলেন :
"আপনার এ শিরোনাম দেখে আপনাকে নিরপেক্ষ মতবাদের কোনো ব্যক্তি মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে আপনি তোষামোদী পছন্দ করেন, এবং দালালি করতে ভালোবাসেন।"
ফাজলামীরও একটা সীমা থাকা উচিত।
উনার ৩য় মন্তব্যে লিখেছেন,
"আপনি যে বিষয়টা টেনে এনে ছেড়ে দিলেন, ঐ বিষয়ের উপর কথা বলার পরও যখন আপনার বোধোদয় হচ্ছে না, তখন আর আলোচনা এগোতে পারে না, বরং আপনি আরো কঠিন কিছু কথা ডিজার্ভ করেন।"
পোস্টের লেখককে সরাসরি হুমকি! এ ব্যাপারে ব্লগের মডারেটরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শাড়ি পড়া ললনার ছবি দিলে এবং গান ও কবিতা লিখলেই সংস্কৃতিবান হওয়া যায় না। প্রকৃত সংস্কৃতিবান হতে হলে মন-মানসিকতা আরো উদার হতে হবে, ধর্মান্ধতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং অন্যের মতামতকে সম্মান করা শিখতে হবে।
ধর্মান্ধ ও সংকীর্ণ মন-মনসিকতার লোকেরা যতই 'সংস্কৃতিবান ও সুশীল'-এর মুখোশ পড়ুক না কেন এক সময় আসল চরিত্র প্রকাশ পাবেই। ব্লগে এখন এসব ভন্ডবাজদের সংখ্যা এতই বেড়ে গেছে যে এখানে পোস্ট লিখতে ও মন্তব্য করতে ভয় পায়।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পিনাকীর উদ্দেশ্য নিয়ে অনেক সন্দেহ আছে। তার সব যুক্তিও গ্রহণযোগ্য না। তাই তার কথা অন্ধের মত যারা বিশ্বাস করছেন তারা প্রতারিত হতে পারেন।
আমারও মনে হচ্ছে এই পোস্ট, যুক্তি তর্কে না গিয়ে অনেকেই সাম্প্রদায়িক বাকযুদ্ধে চলে গেছে।
সোনাবীজ ভাইয়ের কাছ থেকে এই ধরণের মন্তব্য আশা করি নাই। আমি বিস্মিত হয়েছি। আমাকে নিয়েও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন যেটার কোন কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছি না।
আপনি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন;
ধর্মান্ধ ও সংকীর্ণ মন-মনসিকতার লোকেরা যতই 'সংস্কৃতিবান ও সুশীল'-এর মুখোশ পড়ুক না কেন এক সময় আসল চরিত্র প্রকাশ পাবেই।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর এবং যৌক্তিক এই মন্তব্যের জন্য।
৩১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৮
কিরকুট বলেছেন: একটু ভালো করে দেখবেন এরা বিদ্যানন্দের চুরি করেছে তার অপরাধের শাস্তির কথা বলছে না বলছে বিদ্যানন্দের বিলুপ্তির কথা বিদ্যানন্দ কে র এর এজেন্ড ঘোষনা করছে। আর একজন কে দেখলাম তার রুচিতে বিরাট সমস্যা দেখা দিয়েছে। আসল সমস্যায় আপনি হাত দিয়ে ফেলেছেন। তো কুক্কুট শাবকেরা কাউ কাউ করবেই।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদের মূল উদ্দেশ্য এই ব্যাপারটাতে রাজনৈতিক রঙ চড়ানো এবং কিশোর কুমার দাসকে 'র' এবং ইস্কনের এজেন্ট প্রমাণ করা। তাদের জন্য এটা সহজ হয়েছে কারণ কিশোর কুমার দাস একজন হিন্দু। বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে কথিত চুরির অভিযোগ প্রমাণের চেয়ে তারা বেশী উদগ্রীব এই প্রতিষ্ঠানের সাথে ভারতের সম্পর্ক খুঁজে বের করা এবং ব্যাপারটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা। সবচেয়ে বড় কথা কোন প্রমাণ ছাড়াই তারা এগুলি করছে এবং মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের সর্বনাশ ঘটাতে চাচ্ছে।
আমি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটা দেখার চেষ্টা করেছি। অনেকের রুচিতে সমস্যা আমারও চোখে পড়েছে বটে।
৩২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৬
কিরকুট বলেছেন: বিদ্যানন্দ অন্যায় করেছে ধরে নিলাম তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। ইহাতে তাদের রুচি নাই রুচি আছে টাকা পয়সার হিসাবে। যদি গলাবাজি করে কিছু ফাও খাওয়া যায় তাইলে বিচার সালিশ করে কি লাভ। আমি ঢাবিয়ান ভাই ও আমি সাজিদ ভাইয়ের সাথে একমত। এরা মৌলবাদীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের কুমতলোবের ইচ্ছায় ব্লগে হাউ কাউ করছে। বাবন জুমার আর নীল আকাশ এই দলের প্রথমিক সদস্য।
কিছুদিন আগে দেখেছিলা বাবন সাহেব যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছে ভাষা আন্দলন অযৌক্তিক। তাতে গোলাপ নামের এক ব্যাক্তি আরো উতসাহী হয়ে মুক্তুযুদ্ধ নিয়ে আজেবাজে পোস্ট প্রকাশ করে। ব্লগ কর্তৃপক্ষ যথাযোজ্ঞ ব্যাবস্থা নেন।সেই পোষ্ট মুছে দিয়ে। বাবন দের মতো জানোওয়ার ব্লগে মুক্ত অবস্থায় ঘোরা ঘুরি করলে! মন আরো রাস্ট্রবিরোধি কর্মকান্ড মূলক পোস্ট পাবেন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিদ্যানন্দকে বিচারের আওতায় আনার চেয়েও আরও বড় এজেনডা তাদের আছে। ব্যাপারটার দ্বারা তারা ধর্মীয় উগ্রবাদীদের উসকে দিচ্ছে খারাপ উদ্দেশ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য। যেটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর প্রবল আঘাত হানতে পারে। এটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানোর চেষ্টাও অনেকে করছে।
আমাদের দেশে অনেক মুসলমান উগ্রবাদী ওয়াজের নামে বা আরও বিভিন্ন ভাবে মিডিয়াতে, ব্লগে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এগুলি ভালো লক্ষণ না। মুসলমান হওয়া মানে উগ্রবাদী হওয়া না। অনেকের চিন্তা ভাবনা দেখলে মনে হয় যত বেশী হিন্দুকে ঘৃণা করা যাবে সে তত সাচ্চা মুসলমান। কিন্তু এটা আমাদের ধর্মের শিক্ষা না। নবীর জমানা থেকেই ইসলাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে অত্যধিক গুরুত্ব দেয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করা একটা বড় মাপের অপরাধ।
এতো বছর পরে কেউ যদি বলে ভাষা আন্দোলন অযৌক্তিক সেই ক্ষেত্রে বুঝতে হবে তার অন্য কোন এজেনডা আছে।
একটা পোস্টে বাবন সাহেবের একটা মন্তব্য দেখলাম যেটা অত্যন্ত অশ্লীল এবং কুৎসিত। যার পোস্টে করেছেন সেই পোস্ট দাতাও এতে বিরক্ত হয়েছেন।
উনি ইসলাম নিয়ে অনেক কিছু বলেন। কিন্তু অশ্লীল ভাষা ইসলামের সাথে যায় না।
৩৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: বিদ্যানন্দ-চমৎকার একটা বাংলা নাম কিন্তু সমস্যা হল 'জলে' যেমন হিন্দু হিন্দু গন্ধ আছে 'পানি'তে নয়- তেমনি এই নামটাতেও হিন্দু হিন্দু গন্ধ আছে।
এই নামটার জন্যই যারা এর উদ্যোক্তাকেও জানত না তারা বহু আগে থেকেই নাক সিঁটকাত। আমার বাসার খুবই সন্নিকটে ওদের একটা উইংস আছে- যেখান থেকে 'এক টাকায় আহার' দেয়া হয়। এত সল্প মুল্যে খাবার দেয়া সত্ত্বেও অনেক পাড় ফকিরকে দেখেছি সেখান থেকে খাবার নিচ্ছে না- হারাম খাবার হতে পারে সন্দেহে!! বাঙ্গালী মুসলমান অনেকে অমুসলিম দেশে শুধু 'ফল বিস্কুট পানি' খেয়ে থাকে ( ভ্রমন বা চিকিৎসায়) হারাম-হালালের দ্বন্দে। ধর্মের নামে হারাম হালালের সবচেয়ে বাড়াবাড়ি পরিলক্ষিত হয় আমাদের এই জাতির মধ্যে ( হিন্দুরাও কম নয়)।
ধর্মের ট্যাগ দিয়ে একটা বিখ্যাত মানুষ বা প্রতিষ্ঠানকে আস্তাকুড়ে ছুড়ে দেয়া অতি সহজ -এক্ষেত্রে ধর্ম বিরোধীরা যেমন সক্রিয় তেমন ধর্মান্ধরাও।। যেকোন দেশে সংখ্যালঘুরা সাধারণত নিজেদের সেফ সাইডে রাখে- এদেশেও তেমন ব্যাতিক্রম নয়।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মানুষের নামের ক্ষেত্রে আমাদের ধর্মে কোথাও বলা নাই যে নাম আরবিতে রাখতে হবে। নামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে অর্থপূর্ণ সুন্দর নাম রাখতে। সেই নাম বাংলাতে হলে কোন সমস্যা নেই। বরং আমরা অনেক আরবি নাম রাখি যেগুলি আসলে আপত্তিকর এবং বিকৃত অর্থের। যেমন কেউ যদি নাম রাখে কুরবান আলী তার অর্থ দাড়ায় আলীর জন্য কুরবান। এটা একটা শিরকি নাম। আরবি নাম রাখার ক্ষেত্রে আমাদের অর্থ সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত। বাংলা নাম রাখতে কোন বাঁধা নেই যদি সেটা অন্য কোন ধর্ম সংক্রান্ত নাম না হয়। কত সুন্দর সুন্দর বাংলা নাম ইদানিং দেখা যায়।
আপনার দেয়া পানি বা জলের উদাহরণটা চমৎকার হয়েছে। বিদ্যানন্দ নামটা হিন্দু হিন্দু লাগে এটা অনেকে মনে করে। কিন্তু একটা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের আবার ধর্ম থাকে নাকি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কথা আলাদা। আপনার দেয়া ফকিরের উদাহরণ থেকেও আমাদের মন মানসিকতা ফুটে উঠেছে।
আপনার মন্তব্যের শেষ দুটি লাইন খুব তাৎপর্যপূর্ণ;
ধর্মের ট্যাগ দিয়ে একটা বিখ্যাত মানুষ বা প্রতিষ্ঠানকে আস্তাকুড়ে ছুড়ে দেয়া অতি সহজ -এক্ষেত্রে ধর্ম বিরোধীরা যেমন সক্রিয় তেমন ধর্মান্ধরাও।। যেকোন দেশে সংখ্যালঘুরা সাধারণত নিজেদের সেফ সাইডে রাখে- এদেশেও তেমন ব্যাতিক্রম নয়।
৩৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০৮
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তবে একনাবিন রেভিনিউকে ক্যাশ ইকুইভালেনট বলেনি। ওটা ক্যাশ এবং ব্যাংকের টাকার ওপেনিং ব্যাল্যান্স। তারপরে প্রাপ্তি। তারপরে খরচ এবং শেষে ক্যাশ এবং ব্যাংকের ক্লোসিং জের।
হ্যাঁ এইদিক থেকে আমার ভুল হয়েছে আমি স্বীকার করছি । এবং এর জন্য আমি দুঃখিত !!
আপনার এই যুক্তিগুলি হল যারে দেখতে নাড়ি তার চলন বাঁকা টাইপের। লিস্টেড কোম্পানি ছাড়া কয়টা প্রতিষ্ঠান তাদের অডিট রিপোর্ট ওয়েব সাইটে দেয়। সংখ্যা খুব কম। শতকরা হারেও কম। তারা বেশী স্বচ্ছতা দেখাতে গিয়ে বিপদে পড়েছে।
ভাই আমি অনেকবার বলেছি বিদ্যানন্দন নিয়ে আমার াক্ষেপ নাই আনন্দও নাই তাই তাদের দেখবার বা না দেখবার কোন মানে হয় না । অডিট রিপোর্ট কিন্তু সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান প্রকাশ করে তো তাদের কী দূর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ বলা যায় ? বরঞ্চ আপনি নিজেই এটাই বোঝাতে চাইছেন যে আমি বিদ্যানন্দের বিপক্ষে । আমি কোন দলেই না । আমার বক্তব্য আমি রেখেছি যতটুকুতে আমার সন্দেহ আছে ততটুকুতে । ব্যস এর বাদে তো আর কিছু না ।
আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বলতে যেয়ে আবর সাম্প্রদায়িকতাকে টেনে আনাটা চরম নিন্দনীয় !
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি এতো দিন জানতাম আপনি একজন তরুণ সঙ্গীত স্রষ্টা, সু গায়ক, বাদক, ভালো মানের একজন কবি এবং লেখক। আমি আজ বিস্মিত হলাম যে আপনি হিসাব বিজ্ঞানেও ভালো দখল রাখেন। আমরা আপনাকে নিয়ে সত্যিই গর্বিত। আপনার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। তবে আপনার রাগ মনে হয় একটু বেশী।
আপনি এই পোস্টে কিছু বুদ্ধিদীপ্ত এবং যৌক্তিক মন্তব্য করেছেন। যার মাধ্যমে আপনার হিসাব বিজ্ঞানের মেধা প্রকাশ পেয়েছে। আমি বুঝতে পেড়েছি আপনি বিদ্যানন্দের কর্মকাণ্ড নিয়ে পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলতে চান নি। মুলত ওদের দেয়া হিসাবের ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন।
অনেকে সাম্প্রদায়িকতার কারণে কিশোর কুমার দাসকে ইস্কন এবং 'র' য়ের এজেনট বলার চেষ্টা করছে। তার কথিত দুর্নীতির চেয়ে এগুলি বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ইস্যু আগেও এসেছিল। নীচের ৪৪ নাম্বার মন্তব্যে কাল্পনিক ভালোবাসা ব্যাপারটা আরও পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করেছেন। আশা করি বুঝতে পারবেন কেন আমি আমার পোস্টের শিরোনাম এই রকম দিলাম।
৩৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৬
রানার ব্লগ বলেছেন: সাড়েচুয়াত্তর ভাই কি কারো লেজে পারা দিলেন?!
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে একজন না অনেকের লেজে পারা দিয়েছি।
৩৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: শিরোনামটিতে যথার্থ কথাই বলেছেন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা পোস্টের শিরোনাম গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এবং অনেকে সমর্থন দিলেও অনেকের কাছে এই শিরোনামটাই একটা বিস্ফোরক শব্দ বলে মনে হয়েছে। অনেকের মন্তব্য পড়ে বুঝলাম যে তাদের মূল আপত্তি পোস্টের শিরোনাম।
আমি আমার মনের প্রকৃত ভাব শিরোনামে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি যেটা অনেকেরই ভালো লাগে নি। অনেকে সীমা অতিক্রম করে আক্রমণাত্মক কথা পর্যন্ত বলেছেন।
৩৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০২
নিমো বলেছেন: @নিবর্হণ নির্ঘোষ, ধর্ম মানেই সাম্প্রদায়িকতা, এখানে অসাম্প্রদায়িক হওয়ার সুযোগ কোথায় ?
৩৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২০
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চিন্তা করে দেখেন, সে পেরুতে গিয়ে হোটেল ব্যবসা খুলেছে এবং এখনো সে সেখানেই থাকে, সামান্য এই ব্যাপার তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে। আমার মনে হচ্ছে, সে এই দেশ থেকে টাকা সেখানেও নিয়ে গেছে। যদি সে সত্যি সমাজকর্মী হত তবে পেরুতে গেল কেন। ধান্ধা বা বেশী লোভ করতে গিয়েই ধরা খেয়েছে। পক্ষে বিপক্ষে মানুষ বলবেই, তবে সরকারের উচিত তদন্ত করে জনগনকে জানিয়ে দেয়া।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নীচে ৪৬ নাম্বার মন্তব্য থেকে জানতে পারবেন যে কিশোর কুমার দাস ২০১২ তে পেরু গিয়েছে এবং বিদ্যানন্দ চালু হয়েছে তার পরের বছর। কাজেই আপনার কথার সাথে এটা মেলে না। বিদ্যানন্দের টাকা আসার আগেই সে পেরু গিয়েছে। কথার মধ্যে কিছু যুক্তি থাকা উচিত।
আপনার মনে হচ্ছে সে এই দেশ থেকে টাকা বিদেশে নিয়েছে। আপনার মনে যা হচ্ছে/ হয় তার সবই কি বাস্তবে সত্যি হয়। কোন প্রমাণ ছাড়া কেন একটা মানুষকে সন্দেহ করছেন।
আপনি অদ্ভুত কথা বললেন। সমাজকর্মী হলে সে বিদেশে থাকতে পারবে না। প্রবাসীরা এই দেশে ভালো কাজ করতে পারবে না। তার প্রবাসী হওয়াটাই মনে হয়ে একটা অপরাধ হয়ে গেছে।
৩৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৪
তানভির জুমার বলেছেন: বিদ্যানন্দের কিশোর বারবার যে সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলে ভিক্টিম সাজার চেষ্টা করছে, সেটাও ইনভ্যালিড। কারণ, প্রথমত এই সংগঠনের চারজন হেডের মধ্যে একজন হিন্দু, বাকি তিনজন মুসলিম। এইটা হিন্দুদের কোন সংগঠন না। এক কিশোর কুমারের ভংচং এর দায় হিন্দুদের উপর কেন যাবে?
সংগঠনের শুরু থেকেই নাম ছিলো বিদ্যানন্দ, শুরু থেকেই কিশোর কুমার ই ছিলেন এর চেয়ারম্যান। তো বাংলাদেশের মানুষ কি এদের টাকা দেয় নাই? সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্ন থাকলে কি বিদ্যানন্দ অল্প কয়েকদিনে এতো টাকা পাইতো? আমি নিজে দিসি, আমার আশেপাশের বহু মানুষ টাকা দিসে, কই, তখন তো সাম্প্রদায়িকতার আলাপ শুনি নাই? তাইলে এখন হিসাব চাওয়ার সময় কেন সাম্প্রদায়িকতার আলাপ আসবে?
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিশোর কুমার দাস কখনই তার ধর্মীয় পরিচয়কে হাই লাইট করেনি। বরং কিছু মুসলমান এটা করেছে এবং করছে। সে হিন্দু বলেই তাকে ইস্কনের সাথে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং ভারতের 'র' য়ের এজেন্ট বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সে মুসলমান হলে এই কথা বলা হত না।
এই ধরণের সেবামুলক প্রতিষ্ঠানের কোন ধর্ম নাই। কিন্তু আমরা বিদ্যানন্দের মূল কর্ণধারকে টার্গেট করেছি। তার ভুল ত্রুটির চেয়ে বড় প্রশ্ন সে যেহেতু হিন্দু তাই তার সাথে ইস্কনের সম্পর্ক আছে বা 'র' য়ের সম্পর্ক আছে। এখানেই সমস্যা। 'র' য়ের দালালি করা তো মহা অপরাধ। কিশোর কুমার দাস এই কাজ করলে প্রমাণ সহ ওনাকে ধরিয়ে দিচ্ছেন না কেন। অনেকে এই অভিযোগ করছেন। এটার কারণে উনি বিপদে পড়তে পারেন। যদি পরে প্রমাণিত হয় যে আপনাদের অভিযোগ মিথ্যে সেই ক্ষেত্রে তাকে অযথা হয়রানি করা হল এটা কি বুঝতে পাড়ছেন। এই ধরণের গুরুতর অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে সেটার দায় কি অভিযোগকারীরা নেবে?
কিশোর কুমার কি ভং চং করেছে সেটার প্রমাণ দেন। প্রমাণ হাতে থাকলে মামলা করে দেন। ফেইসবুক, ব্লগ কাপিয়ে লাভ কি। এটা তো মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে।
হিসাব নিয়ে প্রশ্ন যখন উঠেছে তখন তাকে হিসাব বাদ দিয়ে কেন ইস্কনের বা 'র' য়ের এজেন্ট বলা হচ্ছে। এই পোস্টেই অনেকে ইস্কন এবং 'র' য়ের প্রসঙ্গ এনেছে। হিসাবের ব্যাখ্যা তারা দিয়েছে। দরকার হলে আরও দেবে। তাদের ছোট খাটো ভুল ত্রুটিকে আমরা বিশাল বানিয়ে ফেলছি। একই ছবি কেন বারবার দিল এটা একটা বিরাট বড় প্রতারনা হয়ে গেল। তারা সরল মনে এগুলি করেছে। আমাদের মানুষের মনে এতো প্যাচ এটা তারা জানলে এই কাজ কখনও করতো না। তাদের প্রচারের জন্য বা অন্যকে অনুপ্রাণিত করার জন্য তারা অনেক পোস্ট দেয়। সেখানে উদাহরণ হিসাবে রুপক ছবি ব্যবহার করা হয়। এটাই বিরাট বড় একটা অপরাধ হয়ে গেল। একটা কথা আছে না 'যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা'। আপনারা ওনাকে দেখতে পারেন না। যার কারণে তাদের কিছুই আপনাদের ভালো লাগে না। ফলে ছোট জিনিসকে বিশাল করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। আপনি আগে বিদ্যানন্দ দিয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু এখন কোন উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই শুধু সন্দেহের কারণে অভিযোগ করছেন।
৪০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৭
তানভির জুমার বলেছেন: বিদ্যানন্দের বাটপারির ব্যাপারটা সবাই মোটামুটি ধরে ফেলছে। যারা এখনো তাদের পক্ষে আছে তারা মূলত সব জেনেই বিদ্যানন্দকে ডিফেন্ড করতেছে। এখানে শুধু আর্থিক জালিয়াতির ব্যাপার থাকলে বিদ্যানন্দ এভাবে সরকার, মিডিয়া কিংবা তথাকথিত সুশীলদের থেকে এভাবে সাপোর্ট পেত না।
সবচে ভয়ানক বিষয় তো তার লাইভের শেষে যা বলেছে। বিদ্যানন্দ যে কোন সময় একটি রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িক সংগঠনে রূপ নিতে পারবে। তার কথায় এটা স্পষ্ট।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনারা মিডিয়া ট্রায়াল করে তাকে অপরাধী প্রমাণ করে ফেলেছেন। আপনারা ধরেই যদি ফেলেছেন তাহলে আশা করি এটাকে আইনি প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাবেন। যদি না যান তাহলে বুঝতে হবে এগুলি আপনারা করেছেন বিদ্যানন্দকে ছোট করার জন্য এবং বন্ধ করার জন্য।
আপনি বলতে চাচ্ছেন বিদ্যানন্দকে সরকার, মিডিয়া এবং সুশীলরা অন্য কোন কারণে সমর্থন করছে। কারণটা একটু পরিষ্কার করে বলা যায় না। আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন যে বিদ্যানন্দের পিছনে ভারতের সমর্থন আছে যে কারণে সরকার ঘাটাচ্ছে না। আপনি ব্যাপারটা পরিষ্কার বলেন নাই তাই বিস্তারিত আলাপ করা সম্ভব না।
সে লাইভে ঠিক কি বলেছে এটা আমি জানি না। আপনিও বিস্তারিত বলেন নি তাই আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পাড়ছি না।
৪১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫২
নিমো বলেছেন: @সাহাদাত উদরাজী কাকু, আপনার যুক্তির কাকীর কাকু। ব্লগ কর্তৃপক্ষ বৈদেশে বৈসা কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত একটু বলেন দেখি।
৪২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫৮
নিমো বলেছেন: @তানভির জুমার, ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে হিসাব চেয়ে অনলের পটল নিয়ে আপনার মন্তব্য কী ? আমাদের তথ্য নিয়ে যারা ব্যবসা করছে তাদের হিসাব দেয়াটা উচিত বলে মনে করেন কি ?
৪৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:০১
জাদিদ বলেছেন: আমি এই সংক্রান্ত বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা মত প্রকাশ করেছিলাম। সেখানে বলেছিলাম, আমাদের দেশের মিডিয়া ট্রায়াল খুব ভয়াবহ এবং এক পাক্ষিক। কোন ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া যাকে দোষী মনে করেন, তার আর নিস্তার নেই। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, মিডিয়া ট্রায়ালে যিনি অভিযুক্ত তার পক্ষে যদি খোদ সৃষ্টিকর্তাও দাঁড়ায়, তাহলেও জনগনের মানসিকতা পরিবর্তন হবে না। ফলে বিদ্যানন্দের যিনি প্রধান আছেন, তার লাইভ বা জবাবদিহিতা দেয়ার যে চেষ্টা সেটার কোন ভ্যালু আছে বলে মনে হয় না। মানুষ নানা ধরনের ব্যক্তিগত প্যারামিটার যেমন, আদর্শ, রাজনীতি, দর্শন, ধর্ম ইত্যাদির ভিত্তিতে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে পুর্বাভাস প্রদান করে বা বিশ্বাস করে। এটা সহজে বদলানো যায় না। তাই বিদ্যানন্দকে নিয়ে বিভিন্ন মানুষের নানা ধরনের সিদ্ধান্ত বা তত্বকে কেউ চাইলেই উড়িয়ে দিতে পারবে না। এটা সমাজের একটি বৃহৎ অংশের প্রতিচ্ছবি। তাই বিদ্যানন্দের এই বক্তব্যের প্রভাবে কোন কিছু পরিবর্তন হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না।
এর পাশাপাশি, আরো একটি জনপ্রিয় বিতর্ক দেখেছি, তা হলো এক পক্ষ বলছেন- বিদ্যানন্দ যে ধরনের কাজ করছে - কোন ইসলামিক সেবামুলক প্রতিষ্ঠান কি এমন কিছু করছে কি না?
এর সাধারন উত্তর এক কথায় না। জানা মতে বাংলাদেশে এমন কোন ইসলামিক সেবামুলক প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে ধর্মমত নির্বিশেষে শুধুমাত্র মানুষকে সেবা প্রদান করে। এটা ধর্মের সীমাবদ্ধতা নয় বরং ধর্মের যারা অনুসারী তাদের সীমাবদ্ধতা।
বাংলাদেশে বা পুরো বিশ্বে ইসলামিক সেবা মুলক যে কোন প্রতিষ্ঠান চালানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ধর্মীয় সেবার নামে জঙ্গী তৎপরতা। এটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্য এবং এই জুজুর ভয় দেখিয়ে অনেক মুসলিম প্রতিষ্ঠানকে হয়রানী করার রেকর্ড আছে। ফলে ইসলামিক যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য ডোনেশনের ভিত্তিতে কোন সেবামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করা বেশ কঠিন।
পাশাপাশি, বাংলাদেশের সমাজে একটা বড় অংশ ধর্ম প্রানের নামে ধর্মান্ধ আচরনে অভ্যস্ত। কিছু নির্দিষ্ট স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তারা মুল আদর্শ থেকে ছিটকে পড়ছে। এই স্বপ্নগুলো হলো ইসলামিক রাষ্ট বা শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা, এর জন্য জিহাদ করা। এই জিহাদ করার স্বপ্নকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার কাজ তৃণমুল পর্যায় থেকে শুরু হয়ে এর ডালপালা বিস্তৃত হয় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত। ফলে সংগত কারনেই এখানে নজরদারী কার্যক্রম চলে।
যাইহোক, মুসলিমদের জন্য এখন সময় এসেছে নিজেদেরকে উন্নত করার। মানব সেবার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ধর্ম বাদ দিয়ে যদি সার্বজনীন সেবা প্রণয়ন করতে পারে তাহলে এই সব বিদ্যানন্দের মত প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন নেই। কিন্তু যতদিন না পারছেন ততদিন যদি শুধু 'বিদ্যানন্দ' নাম শুনে ঘৃণার বাক্য বইয়ে দেন, তাহলে মনে হবে কেউ বুঝি হিংসে করছে। যারা সত্যিকার মানবসেবার জন্য কাজ করছেন, তাদের সকলের জন্য আমার শ্রদ্ধা।
আপনার শিরোনামটি কেন অনেকেই পছন্দ করছেন না, আমি ঠিক কারনটি বুঝতে পারছি না। কেননা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত আমি প্রচুর হেট স্পিচ দেখেছি। আমাদের সম্মানিত ব্লগাররা সম্ভবত সেই সকল পোস্ট দেখেন নি। এমন নি অনেক দায়িত্বশীল মানুষ বলেছেন - বিদ্যানন্দ নাকি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র এর একটি প্রজেক্ট।
ঠিক আছে আমি মেনে নিলাম, বিদ্যানন্দ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র এর একটি প্রজেক্ট। এটার প্রমান আধ্যাত্মিকভাবে আমি পেতে চাই না, আমি সঠিক কাগজে কলমে পেতে চাই। আমার মনে হয়, সেটাই সংগত।
পিনাকী বর্তমান সময়ে এক ধরনের প্রপাগান্ডা গেইমে ব্যস্ত আছেন। তিনি পৃথিবীর সকল বিষয়ে জানেন। তিনি পন্ডিত মানুষ। সমস্যা হচ্ছে বর্তমান ফ্যাসিবাদী সময় অনেক পন্ডিতকেও দুর্জনে পরিনত করেছে। পিনাকি এটার একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। সত্যের সাথে মিথ্যে মিশিয়ে প্রকাশ করলে সেটার মুল্য নষ্ট হয়। এই ধরনের আচরনে মুলত লাভবান হচ্ছে তিনি যাদের বিপক্ষে কথা বলছেন তারা।
আপনার পোস্টের একটা কমেন্ট দেখে প্রচন্ড হাসি পেলো। যাক।অসুস্থ মানসিকতা নিয়ে কথা না বলাই শ্রেয়। কথায় বলে, পাগলের সুখ মনে মনে। বাই দ্য ওয়ে, আপনি কত টাকা দিয়ে ব্লগে নিবন্ধন করেছেন?
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশে মিডিয়া ট্রায়াল ভয়াবহ। আপনার কথার সাথে একমত। কারণ এই ট্রায়াল হয় আবেগ নির্ভর, এক পাক্ষিক এবং আক্রশের বশবর্তী হয়ে। ফলে নিরপরাধ লোক শাস্তি পায়।
আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন
আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, মিডিয়া ট্রায়ালে যিনি অভিযুক্ত তার পক্ষে যদি খোদ সৃষ্টিকর্তাও দাঁড়ায়, তাহলেও জনগনের মানসিকতা পরিবর্তন হবে না।
মানুষ নানা ধরনের ব্যক্তিগত প্যারামিটার যেমন, আদর্শ, রাজনীতি, দর্শন, ধর্ম ইত্যাদির ভিত্তিতে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে পুর্বাভাস প্রদান করে বা বিশ্বাস করে। এটা সহজে বদলানো যায় না।
আমাদের দেশের ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলির সমাজ কল্যাণ মুলক কাজ করার সুযোগ বেশী থাকা সত্ত্বেও আশানুরূপ কাজ তেমন দেখা যায় না। যে সব ইসলামি প্রতিষ্ঠান এই কাজগুলি করে তারাও মুলত মুসলমানদের জন্য করে। এরা মুলত মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা করে। কিন্তু অনেক জনসেবা মুলক কাজ করার সুযোগ আছে যে ক্ষেত্রে ধর্মের দেয়াল টানা ঠিক না। ইসলামি প্রতিষ্ঠানের বাইরে ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অনেকে করেন অবশ্য। কিন্তু ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে সকলের জন্য সেবা মুলক কাজ খুব কম প্রতিষ্ঠানই করে। অথচ দুস্থ, অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোন হিন্দু মুসলমান ভেদাভেদ করার কথা না। বিদ্যানন্দ যে স্কেলে করছে সেই ধরণের কাজ কোন ইসলামি প্রতিষ্ঠান সকল ধর্মের মানুষের জন্য করে না। কিন্তু এটা করা উচিত ছিল। এই কাজ করলে অমুসলিমরা ইসলামের ভালো দিক সম্পর্কে জানতে পারতো। কিন্তু আমাদের দেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি মুলত মুসলমানদের জন্য মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিম খানা, জাকাত এই পর্যন্তই করে। এগুলির মধ্যে আছে আবার প্রচুর পরিমানে দুর্নীতি। বেশীর ভাগ মাদ্রাসার হিসাবে গড়মিল আছে। প্রচুর দুর্নীতি হয় মাদ্রাসা এবং এতিমখানাগুলিতে। এক শ্রেণীর অসৎ মুসলমান এগুলির সাথে জড়িত। তাদের অনেককে আমরা সমাজে হুজুর বলে থাকি। অবশ্যই সবাই এমন না। অনেক ভালো মুসলমান আছে। কিন্তু ভিতরে ঢুকলে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় অনেক দুর্নীতি এবং অনাচার পাবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু কাহিনী জানি। আপনি এই ব্যাপারে আরেকটা ভালো কথা বলেছেন;
এটা ধর্মের সীমাবদ্ধতা নয় বরং ধর্মের যারা অনুসারী তাদের সীমাবদ্ধতা।
বর্তমান যুগে ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি নেট ওয়ার্কগুলি। ইসলামের ইমেজকে এরা ভূলুণ্ঠিত করছে। সারা বিশ্বের অমুসলিমরা সুযোগ পাচ্ছে ইসলামকে একটা জঙ্গিদের ধর্ম বলার। মিডল ইস্ট সহ অন্যান্য অনেক দেশ থেকে কোটি কোটি টাকার ফান্ড সব চেয়ে বেশী আসে এই জঙ্গি তৎপরতার জন্য। বাইরে মাদ্রাসা, মসজিদ, এতিমখানা কিন্তু পিছনে এই জঙ্গি তৎপরতা। লোভে পরে অনেক ইসলাম নামধারী ব্যক্তি এই সব বিদেশী ফান্ড সংগ্রহ করছে এবং জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে। এটা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসলামের জন্য একটা বিরাট ক্ষতি। তবে অনেক ক্ষেত্রে ভালো প্রতিষ্ঠানের গায়েও মিথ্যা জঙ্গি ট্যাগ অনেক সময় লাগানো হচ্ছে। এই কারণে ইসলামি প্রতিষ্ঠানের জন্য দান ভিত্তিক সেবামুলক কাজ চালানো কঠিন। যে কথাটা আপনি বলেছেন।
আমাদের দেশের অনেক মুসলমানকে দেখে মনে হয় যত বেশী হিন্দু বিদ্বেষ করা যাবে তত বেশী খাঁটি মুসলমান হওয়া যাবে। ইসলাম অন্য কোন ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোকে অনুমোদন দেয় না। নিম্ন মানের ওয়াজের নামে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ধরণের বিদ্বেষ প্রতিদিন ছড়ানো হচ্ছে। এই দেশের মাদ্রাসার সিস্টেমেও আমুল পরিবর্তন প্রয়োজন। অনেক অনাচার, অপরাধ এবং দুর্নীতি হয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে। সিস্টেম এবং পরিবেশের কারণে এখান থেকে আশানুরূপ ইসলামি স্কলার আসছে না। বেশীর ভাগের লক্ষ্য থাকে মসজিদের ইমামতি করার আর ওয়াজ করার। সমাজের সকল ক্ষেত্রে অবদান রাখার মত এদের গড়ে তোলা হয় না। এটা এই দেশে ইসলামের জন্য ক্ষতিকর। এই কারণে এই দেশে মাথা উঁচু করা ইমাম বেশী তৈরি হয় না। মসজিদের অসৎ কমিটির কথা মত এদের চলতে হয়।
ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা রুশ বিপ্লবের মত করা যাবে না। এই দেশের প্রায় ৯০% মুসলমান। ইসলামি শাসন এদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া যাবে না। জনগণের ম্যানডেট নিয়ে তাদেরকে অনুপ্রাণিত করে এই শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে এবং ইসলামিক বিশ্বেও ইসলামিক শাসনের নামে রোমান্টিক জিহাদ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার কারণে আইসিসের মত প্রতিষ্ঠান বিশ্বে গড়ে উঠছে। এদের প্রলোভনে পড়ে ইউরোপ, অ্যামেরিকার শিক্ষিত মেয়েরা আইসিসের যোদ্ধাদের সেবার জন্য যাচ্ছে। এগুলিই সারা বিশ্বে ইসলামকে ছোট করছে। আমাদের নিজেদের কর্মকাণ্ডের দ্বারাই আমরা ইসলামকে ভুলভাবে উপস্থান করছি বিধর্মীদের কাছে। ইসলামি শাসন সঠিক রাজনীতির মাধ্যমে এবং জনগণের ম্যানডেট নিয়ে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করলে সেটা সমর্থন করা যেতে পারে। কিন্তু এই সব জঙ্গি কর্মকাণ্ড কোন দিনও বিশ্বের কোন দেশে ইসলামি শাসন আনবে না।
বিদ্যানন্দ নিয়ে অনেক ধর্মীয় গ্রুপ একটু জেলাস মনে হচ্ছে। জেলাস না হয়ে বিদ্যানন্দের মত সেবা দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আমি বুঝে শুনেই পোস্টের শিরোনাম দিয়েছি। এই পোস্টেই অনেকে বিদ্যানন্দের কিশোর কুমারের সাথে 'র' এবং ইস্কনকে ট্যাগ করেছেন। ঘটনা সত্যি হলে মিডিয়াতে ঝড় না তুলে প্রকৃত প্রমাণ উপস্থাপন করা উচিত।
পিনাকী মেধাবী এটা আমি মানি। কিন্তু সে তার জ্ঞান সামাজিক অসন্তোষ তৈরিতে ব্যবহার করছে। এক কথায় বললে জ্ঞানপাপী। মানুষকে উসকে দেয়া হল তার মূল উদ্দেশ্য। তার মেধার কারণে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু বুদ্ধিমান লোকের উচিত অন্ধের মত বিশ্বাস করার আগে লজিক প্রয়োগ করা। পিনাকীর বক্তব্যে প্রকাশ্যে বা আড়ালে রাজনৈতিক মিশন কাজ করে। ফলে সরকার বিরোধীরা অন্ধের মত তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়। তবে অবশ্যই সে যা বলে সব মিথ্যা এই কথা আমি বলছি না। আমার কথা হল বিশ্বাস করার আগে যাচাই করে নিতে হবে।
আমি এই ব্লগ ব্যবহার করি কোন টাকা পয়সা না দিয়ে। শুধু আমি কেন সব ব্লগারই এই ব্লগ ফ্রি ব্যবহার করছে। এই কারণে ব্লগের প্রতি আমাদের অনেক দায়িত্ব আছে। সব কাজ কর্তৃপক্ষের পক্ষে করা সম্ভব না। ব্লগার হিসাবে আমাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। কিন্তু ফ্রি ব্লগ ব্যবহার করছি বলে আমাদের দায়িত্বের ব্যাপারে আমরা সচেতন না।
৪৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:৩৬
স্মৃতিভুক বলেছেন: চমৎকার এক পোস্ট, ধন্যবাদ @ সাড়ে চুয়াত্তর। উত্তর প্রদানে আপনার অপরিসীম ধৈর্য্য এবং যুক্তির প্রশংসা করতেই হবে।
এই পোস্টে তথাকথিত সুশীল নামধারী অনেকেরই লুক্কায়িত লেঞ্জা " শঠাৎ" করেই বের হয়ে গেছে। স্বাভাবিক। শিয়াল যতই বাঘের চামড়া পড়ে ঘুরে বেড়াক - "শিয়ালত্ব" কোনোদিন যাবে না। একদিন না একদিন দু'পায়ের ফাঁকে সযত্নে লুকানো লেঞ্জা বের করে তারস্বরে হুক্কা-হুয়া ডেকে উঠবেই।
শিয়ালের সংখ্যাধিক্য আজ এই পোস্টে প্রমাণিত। মুরগি চুরি জায়েজ করার জন্য হাজারো খোঁড়া যুক্তি শিয়াল-কুল বের করবেই।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পোস্টের মন্তব্য পড়ে আমি অনেক ব্লগার সম্পর্কে নতুন করে জানলাম। যৌক্তিক চিন্তা অনেকেই মনে হয় করেন না। এদের মধ্যে একটা আক্রোশ কাজ করছে বিদ্যানন্দকে নিয়ে।
অনেকে শিয়ালের মত চেষ্টা করে যাচ্ছে মুরগীকে চোর বানানোর জন্য। কারণ এতে শিয়ালের লক্ষ্য সাধন হবে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৪৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:৩৮
স্মৃতিভুক বলেছেন: @শাহাদাত উদরাজী - কিশোর পেরুতে গেছে চাকরি নিয়ে, ২০১২ সালে। আর বিদ্যানন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০১৩ সালের শেষের দিকে (খুব সম্ভবত নভেম্বর/ডিসেম্বরের দিকে)। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, সমাজকর্মী হওয়ার (আপনার ভাষায়) আগেই সে পেরু গেছে। এমন কোনো নিয়ম আছে কি, দেশের বাইরে যাবার পর দেশের জন্য কিছু করা যাবে না? আক্ষেপ হয় মাঝে মাঝে ভেবে - কেন আপনারা এতটাই অর্বাচীন!
স্মৃতি যদি বিশ্বাসঘাতকতা না করে, @ সোনাবীজের এক মন্তব্য পড়েছিলাম অনেক আগে - তার অনেক ছাত্র নাকি এখানে আসে। খুব জানতে ইচ্ছা হয়, তার এই মন্তব্য (মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে পার্থক্য হলো, মুসলমানরা সব সময় ন্যায়ের পক্ষেই কথা বলবেন) পড়ে পোলাপাইনগুলো কি মেসেজ পেলো তাদের (সম্মানিত!) শিক্ষক সম্পর্কে। অবশেষে মুখোশ খুলে ফেলে নিজের প্রকৃত চেহারা উন্মোচিত করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, সোনাবীজ। আরে মিয়া, একবার যখন খুলেই গেছে, দরকার কি আর তথাকথিত সুশীলতার মুখোশ পড়ে থাকার! বি ইউরসেল্ফ, ম্যান!
অন্যদের কারো কারো সম্পর্কে কোনো মন্তব্য নেই। এ্যাট লিস্ট ওনারা ভণ্ডামি করেন না, লেজ বের করে বহুদিন থেকেই সদর্পে বিচরণ ওনাদের এখানে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য থেকে তথ্য নিয়ে আমি সাহাদত উদরাজীর মন্তব্যের জবাব দিয়েছি। ওনার কথায় মনে হয়েছে প্রবাসীরা দেশের জন্য কোন কাজ করতে পারবে না। আর করলেও সেটার মধ্যে ধান্ধা থাকতে পারে। আপনার মন্তব্য পড়ার পরে আশা করি ওনার ভুল ভাঙবে। ওনার কথায় যে কোন যুক্তি নেই সেটা পরিষ্কার।
সোনাবীজ ভাই হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে এই ধরণের মন্তব্য কেন করলেন এটা আমার কাছে একটা বিস্ময়।
৪৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেকদিন পর একটা অসাধারণ পোস্ট দেখলাম।
পোস্ট এবং কমেন্টের জবাব খুব পারফেক্ট হয়েছে। তর্কে আর গেলাম না।
আপনাকে ধন্যবাদ।
এবং ঢাবিয়ানকেও ধন্যবাদ। এ বিষয়ে একটি পোষ্টের জন্য। ব্যস্ত ছিলাম কিছু বলতে পারিনি।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাসান ভাই ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
৪৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫০
কলাবাগান১ বলেছেন: পোস্টের শিরোনামের সাথে প্রচন্ড ভাবে একমত.......
আজও দেখলাম সাম্প্রদায়িক ব্লগার এর লুকানো তীক্ষ নখর তাক করেছেন...।
ওয়াশিংটন ডিসি/নিউইর্য়ক/লস এন্জেলেস এ প্রতিদিন ফুড ব্যাংকে ৩০-৪০ হাজার হোমলেস মানুষ কে বিনামূুল্যে খাওয়ানো হয়....বিদ্যানন্দ তো তাও একটাকা নিচ্ছে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ঠাণ্ডা মাথায়, বুঝে শুনেই এই রকম শিরোনাম দিয়েছি। প্রচণ্ড প্রতিবাদ আসবে অনেকের পক্ষ থেকে এটা আগেই অনুমান করেছিলাম।
উন্নত বিশ্বেও দরিদ্র মানুষকে সরকারের পক্ষ থেকে বা বিভিন্ন দাতার পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের অনেক মানুষের কাছে মনে হচ্ছে এগুলির কোন মানে হয় না। অন্য কিছু কেন করা হচ্ছে না। যার পেটে ক্ষুধা আছে সে বোঝে ক্ষুধার কষ্ট কি জিনিস। আমাদের দেশের মত দরিদ্র দেশে বিদ্যানন্দের এই উদ্যোগ একটা মাইল ফলক। হাজার সমালোচনার পরেও আরও মানুষ এটা থেকে অনুপ্রাণিত হবে বলে আশা করি।
৪৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৮
শার্দূল ২২ বলেছেন: এক শবে বরাতে আম্মু জানতে চাইলো, শবে বরাত রাতে হালুয়া রুটি তথা নামাজ রোজা এসব নিয়ে কিছু বল।
আমি বল্লাম একদম সহজ, গত বছর খুব সাধারণ একটা বিষয় নিয়ে পাশের বাসার আন্টির সাথে আর কথা বলোনা, যাও কিছু হালুয়া রুটি বানিয়ে ওনার বাসায় চলে যাও। মিটমাট করে সম্পর্ক পুনঃদ্ধার করো। এমন সারা দুনিয়ার. যত মুসলিম আড়ি দিয়ে আত্মীয়র বাড়ি যাওয়া বন্ধ করেছে তাদের কম খরচের হালুয়া রুটি দিয়ে সমাধান করার এই বড় সুবিধা। অন্য সময় কিন্তু আম্মু তোমাকে আপেল কমলা মিষ্টি সহ অনেক দামি কিছু লাগবে। আর আল্লাহকে তোমরা হাতে তাজবিহ দিয়ে গুনে গুনে ডাক কেন? উনি কি তোমাদের গুনে গুনে খাবার দেন নাকি গুনে গুনে অক্সিজেন দেন? সুজোগ পেলেই ওনাকে একটা সেজদা মেরে দিলে সমস্যা কি? আম্মু বললো বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ।
সমাজে একটা শ্রেনী আছে তারা এমন ধর্মের ফতোয়া দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরী করে। নিজে হালুয়া রুটি বানিয়ে মানুষ খাওয়াবেনা অন্যরা করতে গেলে বলে বেদাত। নিজে ছদাকা দেওয়ার সময় মুফতির কাছে গিয়ে কত কমে আল্লাহকে তথা মানুষকে ঠকানো যায় সেটায় ব্যস্ত । ওনার নাম মাওলানা আব্দুল করিম হলেও একি অবস্থা হতো, যারা নিজে অন্যের উপকারে এগিয়ে আসেনা তারা অন্যের এগিয়ে আসাটা সহ্য করতে পারেনা। এটাই আমাদের বাস্তবতা। যখনি সমাজে একটা আশর্বাদ শরূপ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান জন্ম নেয় ঠিক তখনি এমন হীনমন্যতরা মানুষ গুলো নর্দমা থেকে বড়িয়ে আসে।
ভালো লেখা বরাবরের মতই।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের ধর্মটা সঙ্কীর্ণ না। আমাদের রসূল (সা) সঙ্কীর্ণ মনের ছিলেন না বরং অনেক উদার ছিলেন। কিন্তু আমরা ধর্মকে সঙ্কীর্ণ করে ফেলেছি। ইসলামের অনেক আচারের প্রকৃত উদ্দেশ্য আমরা আসলে সঠিকভাবে বুঝতে পারি না। যার কারণে আমাদের মনের সঙ্কীর্ণতা দূর হয় না। আমরা ফালতু জিনিসের মাসালা জিজ্ঞেস করি।
বিদ্যানন্দ আমাদের মত দরিদ্র দেশের জন্য একটা মাইল ফলক। ওদের কাজে অনুপ্রাণিত না হয়ে আমরা ওদের পা ধরে টেনে নামাতে চেষ্টা করছি। ছোটখাটো ভুল আমাদের কাছে বিশাল কিছু হয়ে গেছে। কারণ আমাদের মধ্যে সঙ্কীর্ণতা বেশী আর উদারতা কম।
৪৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।কাঠমোল্লাদের শ্রেণির সাথে তর্ক করে নিজের সময় ও শক্তি অপচয় না করাই বেটার।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রতিষ্ঠান আর ব্যক্তি এক জিনিস না। প্রফেসর ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংক তৈরি করেছিলেন। এখন সেখানে নেই। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক আছে এবং থাকবে।
বিদ্যানন্দের ভুল ত্রুটি সংশোধন করতে হবে। কিশোর কুমার দাস হয়তো এক সময় এই প্রতিষ্ঠানে থাকবে না। সে অন্যায় করলে তাকেও সরে যেতে হবে। অথবা তার মৃত্যুর পরেও অন্যরা বিদ্যানন্দকে চালিয়ে নিয়ে যাবে। ভালো উদ্যোগকে বন্ধ করা ঠিক হবে না। এই ধরণের একটা প্রতিষ্ঠানের কোন হিন্দু মুসলমান নাই। ইসলাম ধর্মের অনেক প্রতিষ্ঠানের সুযোগ ছিল এই ধরণের কাজ করার। প্রত্যেকটা মসজিদে যদি দরিদ্র অসহায় মানুষের খাবার ব্যবস্থা থাকতো এবং বিপদে তাদের পাশে দাড়াতো কতই না ভালো হত। এই খাতে টাকার কোন অভাব পড়তো না। সব কাজ সরকার করতে পারবে না। অনেক কাজ স্থানীয়ভাবে করলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। প্রতিটা গ্রামের মানুষ সবাই সঠিকভাবে জাকাত দিলে কোন গ্রামে অভাব থাকার কথা না। একই কথা শহরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। শহরের মানুষের সামর্থ্য আরও বেশী।
৫০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচু, আমি অস্ট্রেলিয়া আমেরিকা এবং বাংলাদেশ তিন দেশে বিভিন্ন চ্যারিটি অর্গানাইজেশনের সাথে সম্পৃক্ত।
খুব ক্লোজলি তাদের কাজের সাথে থাকায় এটুকু বুঝি যে অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা কোন ধর্মের, তাদের ওখানে কর্মরত মানুষেরা কোন ধর্মের অথবা যাদের জন্য তারা কাজ করছে তারা কোন ধর্মের বা আদৌ কোন ধর্মের অনুসারী কিনা তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। ধর্মটা এখানে কোন সাবজেক্টই না। সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানবতার সেবায় মানব অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষেই এরা একসাথে হয়ে কাজ করে।
বাংলাদেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি ওপেন সিক্রেট, সবাই জানে। পাশাপাশি অনেক প্রাইভেট বা কর্পোরেট সেক্টরেও অনেকসময় হচ্ছে। দুর্নীতি কখনোই কাম্য নয়, সেটা যেখানেই হোক। সেরকম যদি কোন চ্যারিটি অর্গানাইজেশনে নয়ছয় হয়ে থাকে সেটাকেও ইনভেস্টিগেশনের মধ্যে দিয়ে আইনের আওতায় আনা যেতেই পারে। পেনাল্টি হতে পারে, জবাবদিহিতা সবার জন্য প্রযোজ্য।
কিন্তু এদের মাধ্যমে যে লাখো লাখো আনপ্রিভিলেইজড মানুষ উপকৃত হয় বা হচ্ছে এটা অস্বীকার করা যাবে না। তাই এসব চ্যারিটি অর্গানাইজেশনের কাজকে উৎসাহিত করা এবং এদের পাশে থেকে সাপোর্ট করা অবশ্যই প্রয়োজন আছে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডলের মন্তব্যের সাথে ১০০% একমত।
এই ধরণের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কোন ধর্ম হয় না। প্রতিষ্ঠানের সদস্য বা কর্ণধার যে ধর্মেরই হোক না কেন প্রতিষ্ঠানের গায়ে ধর্মের ট্যাগইং করা যাবে না।
যে কোন বড় প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হতে পারে। দুর্নীতি হলে সেটার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু কোন ভাবেই এই ধরণের প্রতিষ্ঠানের পিছে লেগে সেটাকে বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টাকে মেনে নেয়া যায় না।
৫১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
এতো মন্তব্য, সবতো পড়া হয়নি, যতটুকু পড়লাম সেখানে সাচুর ধৈর্যের প্রশংসা করতে হয়।
সাচু আসলে অনেক ভদ্র, নো ম্যাটার হোয়াট সুন্দর করে প্রতিমন্তব্য করেছে। আই এপ্রিশিয়েট।
আসলে মনের দরজা যত বেশি খোলা হবে, দৃষ্টিটা ততদুর প্রসারিত হবে।
আদারওয়াইজ দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতা থাকবেই।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে ভার্চুয়াল জগতের গালি আমার গায়ে এখন আর লাগে না। তাই সেগুলি নিয়ে খুব একটা ভাবি না।
মিরোরডডলের সুন্দর এবং উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে মনে হয় সবচেয়ে আলোচিত বিষয় কিশোর দাস ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। লেখা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত যাই থাকুক লেখাটা আমার ভালো লেগেছে। তবে পিনাকী ভট্টাচার্যের লিংকটিও দেখেছি। যুক্তিটাও অকাট্য নয়।
০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পিনাকী ভট্টাচার্য যা বলে নিরপেক্ষভাবে বলে না। তার প্রতিটা ভিডিও পোস্টের পিছনে উদ্দেশ্য থাকে। মুলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।
পিনাকী বিদ্যানন্দের হিসাবের যে সমালোচনা করেছে সেটার মধ্যে ফাঁকি আছে। আমি সেটা বলার চেষ্টা করেছি।
সময় বলে দিবে বিদ্যানন্দে দুর্নীতি হয়েছে কি না। ভালো থাকবেন ভাই।
৫৩| ০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৯
মেহবুবা বলেছেন: কে কি হলে কি হোত কিছুই বলা যায় না।
আমাদের দেশের মানুষের অনেক গুন আছে যা সর্বজনবিদিত, তবে অন্যের বিষয়ে আগ বাড়ানো, নাক গলানো, সমালোচনা করবার ব্যাপারে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
বিদ্যানন্দের ভুল ধরা এবং অপবাদ দেবার আগে তাদের মত বা তার থেকেও বড় কাজ করে মানুষের উপকার করে দেখালে ভাল হত।
০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত।
ভুল ত্রুটি ধরা সহজ কিন্তু কাজ করা কঠিন।
সমস্যা হোল বিদ্যানন্দ ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছে। তাই এই মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রতিষ্ঠানটা বেশ বড় অবস্থানে চলে গেছিল। আরও সতর্কভাবে পরিচালনা দরকার ছিল। কিছু কিছু ভুলের কারণে খেসারত দিতে হচ্ছে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা আরও জরুরি ছিল।
কিশোর হিন্দু বলেই এত অভিযোগ কথাটার সত্যতা আছে। চলতি অভিযোগগুলো আসার আগে থেকেই কিন্তু অনেকে এর পিছে লেগেছিল। এখন ঝোঁপ বুঝে কোপ মারছে। এহসান গ্রুপ যে আল্লাহর নাম ব্যবহার করে এত এত টাকা মারল, এত আলোচনা হয়েছে? আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের অডিট রিপোর্ট কিন্তু প্রকাশ করা হয় না। এ নিয়ে কারও প্রশ্ন নেই। ইসলামি প্রতিষ্ঠান বলে কথা। এহসান গ্রুপের মতো কিছু করলে তখন সবাই চুপ থাকবে।
সব প্রতিষ্ঠানকেই জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। ধর্মীয় বা ধর্মনিরপেক্ষ যেটাই হোক।