নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড় বড় অপরাধ এবং অনৈতিক কাজ মুসলমান জনবহুল দেশে নয় বরং অমুসলিম জনবহুল দেশে বেশী হয়

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২


আমি এই লেখায় দেখানোর চেষ্টা করবো যে পৃথিবীতে যত ধরণের বড় অপরাধ এবং অনৈতিক কাজ হয় সেই অপরাধগুলির শীর্ষে থাকে মুলত অমুসলিম জন অধ্যুষিত দেশগুলি। মুসলমান প্রধান দেশগুলি এই বড় মাত্রার অপরাধে প্রথম সারীতে নেই।

বিশ্ব জুড়ে সর্বজন স্বীকৃত বড় অপরাধের কিছু উদাহরণ হোল;
১। হত্যা বা হত্যার চেষ্টা
২। ধর্ষণ
৩। অগ্নিসংযোগ
৪। চুরি
৫। অপহরন
৬। গ্যাং বা মাফিয়া কর্মকাণ্ড
৭। যৌন হয়রানি
৮। ইনসেসট
৯। ডমেস্টিক ভায়োলেন্স
১০। ডাকাতি
১১। মাদকাসক্তি
১২। নারী এবং শিশু পাচার

উপরের অপরাধ ছাড়াও আরও কিছু অনৈতিক কাজ আছে যে কাজগুলি পৃথিবীর বৃহৎ ধর্ম সমুহের বিধান অনুযায়ী অনৈতিক।
১। সমকামিতা
২। জুয়া
৩। পতিতাবৃত্তি
৪। মদ
৫। ব্যভিচার

এখন দেখা যাক এই অপরাধগুলির ক্ষেত্রে কোন দেশগুলি শীর্ষে আছে। তবে উপরের সব অপরাধের উপরে উপযুক্ত জরীপ খুঁজে না পাওয়ার কারণে সামান্য কয়েকটা ক্ষেত্রে উপাত্ত দেয়া সম্ভব হোল না।

হত্যা বা হত্যার চেষ্টায় শীর্ষ ১০ টি দেশঃ
ওয়াইজ ভোটার ডট কমের জরীপ অনুযায়ী নীচের ১০ টা দেশে হত্যা বেশী হয়।

দেশের নাম প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যায় খুনের সংখ্যা

১। জ্যামাইকা - ৪৫ জন
২। হন্ডুরাস - ৩৬ জন
৩। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩ জন
৪। মেক্সিকো ২৮ জন
৫। সেইন্ট লুসিয়া ২৮ জন
৬। বেলিজ ২৬ জন
৭। কলম্বিয়া ২৩ জন
৮। ব্রাজিল ২২ জন
৯। ডমিনিকা ২১ জন
১০। গিয়ানা ২০ জন

উপরের একটা দেশও মুসলিম প্রধান দেশ না।

ধর্ষণে শীর্ষ ১০ টি দেশ ( উইকিপিডিয়া অনুযায়ী);

দেশের নাম প্রতি লাখে ধর্ষণের সংখ্যা
১। দক্ষিণ আফ্রিকা ৯৬ জন
২। বতসোয়ানা ৯৩ জন
৩। সুইডেন ৬৪ জন
৪। নিকারাগুয়া ৩২ জন
৫। গ্রেনাডা ৩১ জন
৬। সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস ২৯ জন
৭। অস্ট্রেলিয়া ২৯ জন
৮। পানামা ২৮ জন
৯। বেলজিয়াম ২৮ জন
১০। যুক্তরাষ্ট্র ২৭ জন

উপরের একটা দেশও মুসলিম প্রধান দেশ না।

অগ্নিসংযোগ করার অপরাধে এগিয়ে থাকে দেশঃ
১। যুক্তরাষ্ট্র
এই ব্যাপারে আর কোন উপাত্ত খুঁজে পেলাম না। তবে যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধমূলক অগ্নিসংযোগ সব চেয়ে বেশী হয়ে থাকে।
সুত্র - library.cqpress.com

চুরির অপরাধে শীর্ষে আছে যে ১০ টি দেশ
দা গ্লোবাল ইকনমি ডট কমের তথ্য অনুযায়ী;

দেশের নাম প্রতি লাখ জনসংখ্যায় চুরির ঘটনা
১। কোস্টারিকা ১৫৮৭ টি
২। আর্জেন্টিনা ৯২০ টি
৩। চিলি ৬৩৩ টি
৪। উরুগুয়ে ৫২২ টি
৫। ইকুয়েডর ৪৫৭ টি
৬। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩২ টি
৭। কলম্বিয়া ২৪৪ টি
৮। পানামা ২৪৩ টি
৯। পেরু ২২৩ টি
১০। মেক্সিকো ১৭৯ টি

উপরের সবগুলি দেশ অমুসলিম জন অধ্যুষিত দেশ।

অপহরনে শীর্ষ ১০ টি দেশ
জাতিসংঘের ২০১৮ সালের উপাত্ত অনুযায়ী;
১। পাকিস্তান
২। যুক্তরাজ্য
৩। জার্মানি
৪। মেক্সিকো
৫। মরক্কো
৬। ইকুয়েডর
৭। ব্রাজিল
৮। নিউজিল্যান্ড
৯। অস্ট্রেলিয়া
১০। নেদারল্যান্ড

উপরে শুধু পাকিস্তান এবং মরক্কো মুসলমান প্রধান দেশ।

হত্যায় শীর্ষে যে ৫০ টি শহর আছে তার মধ্যে এই দেশগুলির নাম আছেঃ

১। মেক্সিকো
২। যুক্তরাষ্ট্র
৩। ব্রাজিল
৪। দক্ষিণ আফ্রিকা
৫। জ্যামাইকা
৬। হাইতি
৭। ইকুয়েডর
৮। কলম্বিয়া
৯। পুয়েরটোরিকো
১০। হন্ডুরাস

সুত্র - Click This Link

উপরের একটা দেশ মুসলমান প্রধান দেশ না

ডমেসটীক ভায়োলেন্স – শীর্ষ ১০ টি দেশ
১। কিরিবাতি (অমুসলিম)
২। ফিজি (অমুসলিম)
৩। পাপুয়া নিউ গিনি ( অমুসলিম)
৪। বাংলাদেশ (মুসলিম)
৫। সলোমন আইল্যান্ড (অমুসলিম)
৬। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (অমুসলিম)
৭। ভানুয়াতু ( অমুসলিম)
৮। আফগানিস্তান (মুসলিম)
৯। ইকুইটারিয়াল গিনি (অমুসলিম)
১০। উগান্ডা ( অমুসলিম)
সুত্র - thelancet.com/article/S0140-6736(21)02664-7/fulltext#seccestitle120

উপরের ২ টা দেশ মাত্র মুসলিম রাষ্ট্র।

ইনসেসট (মুলত ভাই-বোন, বাবা-মেয়ে, মা-ছেলের মধ্যে দৈহিক সম্পর্কে বোঝানো হয়েছে এখানে) -

এই ধরণের যৌন সম্পর্ক যে কতটা নিকৃষ্ট কাজ সেটা আর ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু পৃথিবীতে বহু অমুসলিম দেশ আছে যেখানে এই ধরণের সম্পর্ক বৈধ। সঙ্গত কারণেই বোঝা যায় যে এই সব দেশে এই ধরনের অপরাধ অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশী হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় এই অমুসলিম দেশগুলিতে ইনসেসট কোন অপরাধ না, দেশগুলি হোল; আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, চীন, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, কিউবা, ফ্রান্স, ইতালি, ইসরাইল, জাপান, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ড, উত্তর কোরিয়া, পেরু, ফিলিপাইন, পর্তুগাল, রাশিয়া, স্পেন, থাইল্যান্ড, ভেনিজুয়েলা। এছাড়া আরও কয়েকটি অমুসলিম দেশ আছে যেখানে ইনসেসট কোন অপরাধ না। পৃথিবীর কোন মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রে ইনসেসট বৈধ না। অমুসলিম রাষ্ট্রগুলিই এই অনৈতিক কাজকে আইনের দ্বারা বৈধ করেছে।
সূত্র - Click This Link

ডাকাতিতে শীর্ষ ১০ টি দেশঃ
১। কোস্টারিকা
২। আর্জেন্টিনা
৩। চিলি
৪। উরুগুয়ে
৫। ইকুয়েডর
৬। দক্ষিণ আফ্রিকা
৭। কলম্বিয়া
৮। পানামা
৯। পেরু
১০। মেক্সিকো

সুত্রঃ Click This Link.

উপরের সবগুলি দেশ অমুলিম জন অধ্যুষিত দেশ।

নারীদের মদ এবং মাদকাসক্তি সমস্যায় শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ
১। যুক্তরাষ্ট্র
২। স্কটল্যান্ড
৩। নিউজিল্যান্ড
৪। কানাডা
৫। ওয়েলস
৬। অস্ট্রেলিয়া
৭। আয়ারল্যান্ড
৮। চেচিয়া
৯। পোল্যান্ড
১০। যুক্তরাজ্য

সুত্র - https://ourworldindata.org/drug-use
উপরের কোন দেশই মুসলিম প্রধান নয়। পুরুষদের ক্ষেত্রেও ঘুরে ফিরে এই দেশগুলির নামই হয়তো আসবে।

নারী এবং শিশু পাচারে শীর্ষ দেশ সমুহঃ
সুত্র - Click This Link

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং গ্রিনল্যান্ড এলাকায় পৃথিবীর ৫২.৩৬% সেক্স ট্রাফিকিং ভুক্তভুগি অবস্থান করে। রাশিয়া, পোল্যান্ড, ইউক্রেন, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, বেলারুস, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক এবং স্লোভাকিয়া এই অঞ্চলে ১৪.০৭% সেক্স ট্রাফিকিং ঘটে থাকে। মদ্ধপ্রাচ্চের দেশগুলিতে বিশ্বের মোট সেক্স ট্রাফিকিংয়ের ৫.৯৮% ঘটে থাকে।

বাকি সেক্স ট্রাফিকিং ঘটে থাকে বিক্ষিপ্তভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে। উপরের উপাত্ত থেকে বোঝা যায় যে সেক্স ট্রাফিকিংয়ের সাথে মুলত অমুসলিম দেশগুলি জড়িত। মুসলমান দেশ সমুহে সেক্স ট্রাফিকিং ঘটে কিন্তু সেটা বিশ্বের মোট সেক্স ট্রাফিকিংয়ের তুলনায় তেমন বেশী না।

সমকামিতায় শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ

১। নেদারল্যান্ড
২। স্পেন
৩। কানাডা
৪। বেলজিয়াম
৫। লুক্সেমবার্গ
৬। উরুগুয়ে
৭। সুইডেন
৮। আয়ারল্যান্ড
৯। যুক্তরাজ্য
১০। ডেনমার্ক

সুত্র - Click This Link
কোন মুসলিম রাষ্ট্র সমকামিতাকে সমর্থন করে না।

জুয়ায় শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ
১। অস্ট্রেলিয়া
২। সিঙ্গাপুর
৩। আয়ারল্যান্ড
৪। ফিনল্যান্ড
৫। যুক্তরাষ্ট্র
৬। নিউজিল্যান্ড
৭। কানাডা
৮। নরওয়ে
৯। ইতালি
১০। যুক্তরাজ্য
সূত্র - Click This Link

কোন মুসলমান প্রধান দেশের নাম এই তালিকাতে নেই।

পতিতার সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ
১। চীন - সাড়ে ৩৬ লাখ
২। রাশিয়া - ৩০ লাখ
৩। যুক্তরাষ্ট্র - ১৫ লাখ
৪। ব্রাজিল – ১৪ লাখ
৫। ভারত - ৬,৫৭,৮০০
৬। ভেনিজুয়েলা - ৪,৭৩,০০০
৭। নাইজেরিয়া - ৪,১০,০০০
৮। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গ ৩,৫০,৩০০
৯। জার্মানি ৩ লাখ
১০। কলম্বিয়া ২,৪৪,৪০০

সূত্র - Click This Link

উপরের একটা দেশও মুসলমান প্রধান না।

মাথা পিছু হিসাবে মদ খাওয়ার শীর্ষে যে দেশগুলি আছে;
১। মলদোভা
২। লিথুনিয়া
৩। চেক রিপাবলিক
৪। সেইচেলিস
৫। জার্মানি
৬। নাইজেরিয়া
৭। আয়ারল্যান্ড
৮। লুক্সেমবার্গ
৯। লাতভিয়া
১০। বুলগেরিয়া
সূত্র - Click This Link

উপরের একটা দেশ মুসলিম প্রধান না।

ব্যভিচারে শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ
১। থাইল্যান্ড
২। ডেনমার্ক
৩। জার্মানি
৪। ইতালি
৫। ফ্রান্স
৬। বেলজিয়াম
৭। নরওয়ে
৮। স্পেন
৯। ফিনল্যান্ড
১০। যুক্তরাজ্য

সুত্র - Click This Link

উপরের তালিকায় একটা মুসলিম প্রধান দেশের নাম নেই।

দুর্নীতিতে শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ
১। সোমালিয়া
২। সিরিয়া
৩। দক্ষিণ সুদান
৪। ভেনিজুয়েলা
৫। ইয়েমেন
৬। লিবিয়া
৭। হাইতি
৮। উত্তর কোরিয়া
৯। ইকুয়েটরিয়াল গিনি
১০। বুরুন্ডি

সূত্র - Click This Link

উপরে বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের নাম আছে। যেমন সোমালিয়া (সিভিল ওয়ার বিধ্বস্ত একটা দেশ), সিরিয়া (এখনও যুদ্ধ চলছে), ইয়েমেন (এখনও যুদ্ধ চলছে), লিবিয়া (সিভিল ওয়ার বিধ্বস্ত একটা দেশ)।

গ্যাং বা মাফিয়া কর্মকাণ্ডে শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ

উইকিপিডিয়া অনুযায়ী যে সব দেশে সব চেয়ে বেশী গ্যাং অপরাধ সংঘটিত হয় তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাম সবার আগে আছে। ২০০৭ সালের তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে কম পক্ষে ৩০ হাজার গ্যাং আছে। ল্যাটিন অ্যামেরিকা এল সাল্ভেদরে প্রায় ৫০,০০০ গ্যাং সদস্য আছে। প্রায় ১ লক্ষ মেক্সিকান গ্যাং সদস্য আছে যারা ড্রাগ চোরাচালান করে থাকে। হাইতির পোর্ট অ প্রিন্সের ৪০% নিয়ন্ত্রণ করে গ্যাং সদস্যরা। জাপানের ইয়াকুজা গ্যাং পৃথিবীর অন্যতম বড় একটা গ্যাং। এদের প্রায় ৮৬,৩০০ সদস্য আছে। চিন এবং হংকং য়ের ত্রিয়াদ গ্যাং পৃথিবীর আরেকটা বড় গ্যাং। এদের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১,৬০,০০০। ইউরোপের ইতালিতে প্রায় ২৫,০০০ গ্যাং সদস্য আছে। এদের সাথে সারা বিশ্বে যুক্ত আছে আরও ২,৫০,০০০ সদস্য। অস্ট্রেলিয়াতে মটর সাইকেল গ্যাং সদস্য তালিকা ভুক্ত আছে ৪৪৮৩ জন। নিউজিল্যান্ডে ২৫ টি গ্যাং আছে। মোট সদস্য সংখ্যা ৮০৬১ জন।

ক্রিমিনালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী শীর্ষ অপরাধ প্রবণ দেশগুলিঃ
১। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গ
২। কলম্বিয়া
৩। মিয়ানমার
৪। মেক্সিকো
৫। নাইজেরিয়া
৬। ইরান
৭। আফগানিস্তান
৮। ইরাক
৯। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক
১০। হন্ডুরাস

উপরে ইরান, আফগানিস্তান এবং ইরাকের নাম আছে। এই তিন দেশের মধ্যে আফগানিস্তান একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ। বলতে গেলে এখনও গৃহ যুদ্ধ চলমান। ইরাকের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

উপরে যে অপরাধ বা অনৈতিক কাজগুলি উল্লেখ করা হয়েছে এটার সাথে অপরাধ প্রবণতা, সততা এবং নৈতিকতার প্রশ্ন জড়িত। পৃথিবীর সব বড় ধর্মে এই অপরাধ এবং অনৈতিক কাজগুলি নিষিদ্ধ। উপরের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই অপরাধ এবং অনৈতিক কাজের শীর্ষে আছে অমুসলিম দেশগুলি। অমুসলিমরা যদি মুসলমানদের চেয়ে বেশী নিজ নিজ ধর্ম মেনে থাকে তাহলে কেন এই অমুসলিম দেশগুলি তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। এটার উত্তর হোল অমুসলিমরা সার্বিকভাবে তাদের ধর্মীয় অনুসরনের ক্ষেত্রে মুসলমানদের চেয়ে পিছিয়ে আছে। মুসলমানরা অনেক অসততা ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকলেও বিভিন্ন ধরণের অপরাধ এবং অনৈতিক কাজকে একত্রে হিসাবে নিলে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় অনুশাসন মানার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের চেয়ে এগিয়ে আছে। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধ, পতিতাবৃত্তি, দুর্নীতি, মানব পাচার, মাদকাসক্তি, মাদক পাচার, জুয়া, মদ, নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানি, শিশু নির্যাতনের মত ভয়ংকর অপরাধের বৈশ্বিক উপাত্ত পর্যালোচনা করলে মুসলমানদের অবস্থান অমুসলিম দেশগুলির চেয়ে ভালো।

বিশ্বে অস্ত্র এবং যুদ্ধ ব্যবসা কোন মুসলিম দেশ করে না। এগুলি করে থাকে বিশ্বের সুপার পাওয়ার বিশিষ্ট উন্নত এবং ধনী দেশগুলি। পৃথিবীতে বর্তমানে যতগুলি যুদ্ধ চলছে তার বেশীর ভাগে ইন্ধন জোগাচ্ছে এই ধনী এবং উন্নত দেশগুলি। এগুলি বড় মাপের অপরাধ এবং অনৈতিক কাজ।

ছবি - গুগল প্লে

মন্তব্য ৭৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৭৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মুসলিমরা পিছিয়ে পড়া সবকিছুতেই;ভালোতেও এবং খারাপেও।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুসলমানদেরকে জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি আর কূটনীতিতে আগাতে হবে। কিছু ধনী মুসলিম দেশ আছে। কিন্তু এরা ভোগ বিলাসে মত্ত। মুসলমানদের মধ্যে একতার খুব অভাব। মুসলমানদের একতাবদ্ধ হতে হবে।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩১

তানভির জুমার বলেছেন: আপনার সাথে একমত। শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে অনেক অপরাধ বাধাপ্রাপ্ত হয়। পৃথীবিতে আইনের উৎপত্তি কিন্তু ধর্ম থেকেই। প্রকৃত ধর্মীয় ব্যক্তিরা অধার্মিক থেকে ফার বেটার জীবন যাপন করে। প্রকৃত আইনের শাসনও অপরাধ কমাতে সাহায্য করে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পৃথিবীর অনেক ধনী দেশ অনেক অনৈতিক কাজকে আইন দ্বারা বৈধ করে নিয়েছে। এই কারণে তারা যে খারাপ কাজ করছে সেটা তারা বুঝতে পাড়ছে না। নৈতিকতা এবং অপরাধের সংজ্ঞা তারা নতুন করে নির্ধারণ করছে। এই কারণে বহু উন্নত দেশে জুয়া, সমকামিতা, ব্যভিচার, মদ, বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক। অথচ তাদের ধর্মেও এগুলি নিষেধ আছে। কিন্তু তারা নিজেদের ধর্ম মানে না। সেকুলার জীবনের নাম এই সব অনৈতিক কাজকে বৈধতা দিয়েছে।

আইনের শাসন অনেক অপরাধ কমায়। কিন্তু কোন অপরাধকে যখন আইনগত বৈধতা দেয়া হয় তখন সাধারণ মানুষ অপরাধ করেও বোঝে না যে তারা অপরাধ করছে বা অনৈতিক কাজ করছে।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সাচু ভাই ,

আপনি যা যা তুলে ধরেছেন তা সত্য । আসলে অমুসলিম প্রধান দেশেও অপরাধ আছে এবং সেসব শীর্ষেও অধিস্থান আছে । তবে একটা গলদও আছে । আপনি যে ব্যভিচার প্রথা ও অজাচারকে তুলে ধরলেন এটাকে ওরা অপরাধ হিসেবে ধরে না । মার্কসবাদী চেতনা কিংবা নব্য উদারতাবাদ ওদের এটা ভাবতে দেয় না । তাই এটাকে অপরাধ ধরে লাভ নেই ! অপরাধ আর পাপের মধ্যে একটা ফারাক আছে । অপরাধ মানে যা আইন দ্বারা অসৎ কর্ম ও দণ্ডনীয় বলে স্বীকৃত , পাপ হচ্ছে যা ধর্ম দ্বারা স্বীকৃত । ব্যভিচার ও অজাচার আসলেই একটা গর্হিত কাজ কিন্তু ঐ যে আইনে নেই তাই বলা যাবে না । এই নিয়ে আসলে অনেক বাক বিতণ্ডা আছে তবে এসব নিয়ে কথা বলতেও রুচিতে বাধে । আবার দেখুন মদ খাওয়া আর সমকামিতা এবং জুয়াকেও আপনি অপরাধ বলতে পারবেন না কারণ সেই দেশের আইন অনুযায়ী স্বীকৃত সেসব !

আজকাল দেখি অপরাধের প্রবণতার ক্ষেত্রে ইসলামের অবদানকে তুলে ধরা হয় । যেন তেন ভাবেই হোক , মুসলিমদের মধ্যেই অপরাধ বেশি এটা বোঝাতেই চায় । আর এর কারণে এই তুলে ধরে যে ধর্মের সাথে অপরাধের একটা সম্পর্ক আছে । আসলে তা নয় খেয়াল করলে দেখবেন পুঁজিবাদ এবং নব্য উদারতাবাদ এবং অধিক শিল্পায়নের কারণে অপরাধগুলো বাড়ছে । আমরা সেদিকে নজর দিচ্ছি কই !!


ধন্যবাদ একটি সুন্দর পোস্টের জন্য !

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি উপরে ২ নাম্বার মন্তব্যে বলেছি যে উন্নত দেশগুলি অনেক অনৈতিক এবং অপরাধ মুলক কাজকে আইনের বৈধতা দিয়েছে। কিন্তু এগুলি সমাজের ক্ষতি করছে। উন্নত দেশে জুয়া, মদ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, পতিতা বৃত্তি, সমকামিতা ইত্যাদি কাজগুলি অনেক ধরণের সামাজিক সমস্যা তৈরি করছে। এটা ওদের সমাজ বিজ্ঞানীরাও স্বীকার করে। ঐ সব দেশে অনেক অপরাধের মূল কারণ হোল মদ, জুয়া, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। এগুলি পরিবার এবং সমাজকে কলুষিত করছে। এগুলি আইনত স্বীকৃত হলেও সমাজকে এটার মূল্য দিতে হয়। নারী এবং শিশুরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই কাজগুলি অবশ্যই সমাজের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এগুলির দ্বারা গুটিকয়েক মানুষ উপকৃত হয় আর পুরো সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওদের দেশে যারা ধার্মিক তারা এগুলি থেকে দূরে থাকে।

ওরা খারাপ কাজকে বৈধতা দিয়েছে। এটা আরেকটা খারাপ কাজ। ১০০ বছর আগেও ওদের দেশে এগুলি নিষিদ্ধ ছিল। এগুলি সমাজের জন্য খারাপ ছিল বলেই নিষিদ্ধ ছিল। ওদের সমাজ এবং অপরাধ বিজ্ঞানীরা জানে যে এই বৈধ কাজগুলি সমাজের ক্ষতি করছে। ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে তারা সমাজ বিধ্বংসী কাজকে বৈধতা দিয়েছে। উন্নত দেশগুলিতে পরিবার প্রথা হুমকির মুখে। পরিবার হোল সমাজের বুনিয়াদ। পরিবারের গুরুত্ব কমে গেলে সেই
সমাজ ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে যায়।

অনেক আইন আছে যা অনৈতিক কাজকে সাহায্য করে বা উৎসাহিত করে।

অনেকে বলতে চায় যে ইসলামের অনুসারীরা ধর্ম মানার ক্ষেত্রে নিকৃষ্ট। আমি এই পোস্টের মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছি যে ধর্মের বাণী অমুসলিমরা আরও
বেশী অমান্য করে থাকে। কারণ আমার পোস্টে উল্লেখিত অনৈতিক বা অপরাধমূলক কাজগুলি কোন ধর্মেই অনুমোদিত না। অপরাধ এবং অনৈতিক কাজে শীর্ষে থাকা দেশগুলির বেশীর ভাগই অমুসলিম জন অধ্যুষিত দেশ। এরা ধর্মীয় অনুশাসন মানলে এই অপরাধগুলি করতো না। তবে আমি মুসলমানদের সাধু বলতে চাচ্ছি না।

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইসলাম ধর্মকে যদি প্রতিটা মুসলিম তাদের কর্মে ধারন করত , তাহলে মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে কোন অপরাধই আর থাকতো না।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত। তবে পৃথিবীর প্রধান ধর্মগুলিতে আমার পোস্টে উল্লেখিত অনৈতিক বা অপরাধমূলক কাজগুলি নিষিদ্ধ। বাকি বিশ্ব যদি তাদের ধর্মও সঠিকভাবে পালন করতো সেই ক্ষেত্রে অপরাধ বা অনৈতিক কাজ কমে যেত। কিন্তু বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ জুয়া, মদ, পতিতাবৃত্তি, সমকামিতা, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ইত্যাদিকে আইনগত স্বীকৃতি দিয়ে সমাজের দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি করছে। ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে এগুলিকে আপাত দৃষ্টিতে ক্ষতিকর মনে না হলেও অনেক সমাজ বিজ্ঞানী এবং অপরাধ বিজ্ঞানীরা এগুলিকে সমাজের জন্য ক্ষতিকর মনে করে। আরও অনেক অপরাধ কর্মের সাথে এগুলির সম্পর্ক আছে।

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:



সাচু পোষ্টের জরিপ বা সোর্স লিংকগুলো কতটা অথেনটিক?

একজন বাংলাদেশি হওয়া সত্ত্বেও আমার অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমাদের দেশের সর্বত্র দুর্নীতি।
তারপরও দুর্নীতির লিস্টে আমাদের দেশের নাম ওপরে থাকেনা, থাকে কিন্তু শেষের দিকে। ২৫ স্কোর নিয়ে ১৪৭ নম্বরে অবস্থান। আমরা কিন্তু জানি এটা সত্যি না এবং বিষয়টা আমাদের জন্য খুব দুঃখজনক, দুর্নীতি গ্রাস করে আছে সব জায়গায়।

এই যে লিস্টে নাম থাকে না, কেনো থাকে না? কারণ ট্রান্সপেরেন্সি নেই।
অন্যান্য মুসলিম দেশও যে এভাবে করেই লিস্টে নাম নেই, তার গ্যারান্টি কোথায়!
অর্থ দিয়ে দুর্নীতি ধামাচাপা এটাও কিন্তু একধরনের দুর্নীতি।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যথেষ্ট অথেনটিক। মিরোরডডলের কোনটা নিয়ে সন্দেহ আছে জানালে সেটা নিয়ে পুনরায় গবেষণা করতাম।

এই পোস্ট বাংলাদেশ, ভারত বা পাকিস্তান কেন্দ্রিক না। সারা বিশ্বের সকল দেশের তথ্য উপাত্ত দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

আমাদের দেশের চেয়েও দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ পৃথিবীতে আছে। বাংলাদেশের সরকার বা সরকার দলীয় দল চাইলেই লিস্টে তাদের অবস্থান উন্নত করতে পারবে না। তাই যদি পারতো তাহলে তারা চেষ্টা করতো প্রথম দশে থাকার। কারণ এই তথ্য উপাত্ত বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে নেয়া না। এগুলি আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান। এই পরিসংখ্যান, উপাত্ত কোন দেশের সরকার দেয় না। এগুলি নির্ণয় করার আরও অনেক নিরপেক্ষ পদ্ধতি আছে। অনেক আন্তর্জাতিক জরীপ সংস্থা আছে যারা নিজস্ব কৌশল প্রয়োগ করে এগুলি নির্ণয় করে। যেমন বাংলাদেশের রিজার্ভ বাংলাদেশ সরকার যাই বলুক না কেন আইএমএফ সেটা বিশ্বাস করে নি। কারণ এটা নির্ণয় করার মত কৌশল তাদের জানা আছে।

এই উপাত্তগুলি স্বাধীনভাবে বিভিন্ন জরীপ প্রতিষ্ঠান সংগ্রহ করে থাকে। এই ব্যাপারে তারা দক্ষ। আর জরীপ তো ১০০% সঠিক হবে না এটা সবাই জানে। তবে এগুলি সত্যির কাছাকাছি। বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশী অপরাধ ঘটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। আফ্রিকার অনেক দেশ দুর্নীতিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে।

Transparency international এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭ তম ১৮০ টি দেশের মধ্যে। বাংলাদেশের কোন সরকারী অফিস থেকে কিন্তু এই উপাত্ত নেয়া হয়নি। এরা স্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মটো হোল;

We hold the powerful and corrupt to account, by exposing the systems and networks that enable corruption. We advocate for policies and build coalitions to change the status quo.

Our vision of a corruption-free world is not an end in itself. It is the fight for social and economic justice, human rights, peace and security.

এরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। তাই বাংলাদেশ সরকার যা দেবে তাই মেনে নেবে এমন না। ওদের জরীপ করার মত যোগ্যতা আছে।

কিছু মুসলিম দেশের ল এন্ড অর্ডার অনেক উন্নত। মাঝ রাতে একজন তরুণী হেটে যেতে পারবে রাস্তা দিয়ে নির্ভয়ে। যেটা অনেক উন্নত দেশে সব জায়গায় সম্ভব না। দোকানের দরজা খোলা রেখে অনেক মুসলিম দেশে চলে যাওয়া যায়। যেটা অনেক উন্নত দেশে সম্ভব না। চুরি বা ডাকাতির ঘটনা অনেক মুসলিম দেশে শূন্যের কাছাকাছি। যেটার হার অনেক উন্নত দেশে বেশী। এই পোস্ট বিভিন্ন ধরণের অপরাধকে একত্রে বিবেচনা করা হয়েছে। সার্বিকভাবে বিশ্বের সকল দেশের তথ্য, উপাত্ত নিলে মুসলমানদের এতো দোষ দেয়ার আমি কিছু পাচ্ছি না।

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন:



আমাকে ভুল বুঝবে না প্লীজ, আমি আমার দেশ দিয়েই উদাহরন দিচ্ছি।

* বাংলাদেশ রেইপ হয় কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে মানুষ পুলিশ রিপোর্ট করে না।
*পুলিশ রিপোর্ট করতে গেলেও সবসময় নেয় না, ক্ষমতা বা টাকা না থাকলে অনেকক্ষেত্রে পুলিশ কেইস হয় না।
* কেইস করলেও ভিকটিম হেরে যায় কারণ উইটনেস নেই, মিথ্যা কেইস বলে প্রমানিত হয়।
* মানুষ কি উইটনেস সাথে নিয়ে রেইপ করে?
* তারপরও যেটুকু রিপোর্ট হচ্ছে, ডু ইউ থিংক ওখানে একুরেসি আছে? অফকোর্স নেই।

ঠিক একইভাবে অন্যান্য মুসলিম দেশেও যে রেইপ কেইসের সার্ভে ইনকরেক্টলি হচ্ছে না, এই গ্যারান্টি কোথায়?



২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের কথা বাদ দেন। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ সবই মুসলিম দেশ না। সেই ক্ষেত্রে ভারতের নামও চলে আসবে। বাংলাদেশ নিশ্চয়ই প্রথম দশে আসবে না ধর্ষণের ক্ষেত্রে। সেই ক্ষেত্রে ভারত বা আরও অনেক অমুসলিম দেশ এগিয়ে থাকবে। এখানে পৃথিবীর সকল দেশের তথ্য আছে। আর শুধু পুলিশ রিপোর্ট থেকে ধর্ষণের পরিসংখ্যান করা হয় না। সংবাদপত্রে প্রচুর ঘটনা আসে প্রতিদিন যেগুলি পুলিশ রিপোর্ট হয় না। বাংলাদেশের নারী নির্যাতন নিয়ে কাজ করে অনেক সংস্থা। যারা জরীপ করে তারা এই সব সূত্র থেকেও তথ্য সংগ্রহ করে। শুধু পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতে ধর্ষণের পরিসংখ্যান করা হয় না। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের অনেক কৌশল থাকে। ভালো জরীপ সংস্থা বিকল্প উপাত্ত ব্যবহার করে থাকে।

অমুসলিম রাষ্ট্রেও রেইপের ঘটনা অনেক কম রিপোর্ট হয়। আপনি একটু ইন্টারনেটে একটু ঘাঁটলেই দেখবেন যে খুব সামান্য পরিমান পুলিশ রিপোর্ট হয়। আমি আপনাকে পরে তথ্য দিতে পারবো। ভাববেন না যে উন্নত দেশে একটু কিছু হলেই মানুষ ধর্ষণের রিপোর্ট করে। আপনি এই ব্যাপারে একটু জানার চেষ্টা করেন। দেখবেন যে ওরাও শিকার করছে যে অনেক রেইপ রিপোর্ট হয় না। উন্নত দেশে পরিচিত লোকে রেইপ করে বেশী। পরিবারের সদস্য অনেক ক্ষেত্রে জড়িত থাকে। বাপ, সৎ বাপ বা নিকট কোন আত্মীয় মেয়েকে রেইপ করে। অনেক ক্ষেত্রেই এগুলি রিপোর্ট হয় না। উন্নত দেশেও রিপোর্টের হার অনেক কম। আর তাছাড়া আগেই বলেছি শুধু পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী এই উপাত্ত সংগ্রহ করা হয় না। সোশ্যাল সার্ভের অনেক টেকনিক আছে। তথ্য সংগ্রহের বিকল্প রাস্তা থাকে। অনেক নারী অধিকার সংগঠন আলাদাভাবে এগুলির উপর জরীপ করে বা তথ্য রাখে। ফলে পুলিশ কেইসই একমাত্র সূত্র না। অনেক গোপন নমুনা জরীপ হয় যেখানে ভিকটিমের নাম উল্লেখ না করে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। তখন সত্য তথ্য বেড়িয়ে আসে। বিশেষ করে নারীর উপর সেক্সুয়াল এবিউজের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রায়ই ব্যবহার করা হয়। কয়েক হাজার নারীর কাছ থেকে গোপনে উপাত্ত নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করা হয়। তখন সত্য মোটামুটি বেড়িয়ে আসে। এগুলি ভেরিফাই করারও কৌশল আছে।

মুসলমান দেশ চালাকি করে উপাত্ত কম দেখাতে পারলে একই কাজ অমুসলিম দেশও করতে পারে। তারা তো ধোয়া তুলসি পাতা না। আসলে কোন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই উপাত্ত নেয়া হয় না। এই উপাত্ত সংগ্রহের অনেক বিকল্প পদ্ধতি আছে। :)

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১২

মিরোরডডল বলেছেন:



সাচুর পোষ্টে দুটো বিষয় এসেছে, র‍্যাঙ্কিং করে কান্ট্রি অইয়াজ অপরাধের সংখ্যা, আরেকদিকে এসেছে ধর্ম মুসলিম নাকি অমুসলিম।

কোন দেশে অপরাধ বেশি, সেটা মুসলিম না অমুসলিম দেশ তাতে কি যায় আসে! অপরাধী কি মুসলিম না অমুসলিম সেটা একটা সাবজেক্ট হতে পারে। এই জরিপতো ধর্মের ওপর বেইজ করে হয়নি, হয়েছে ভৌগলিক এরিয়ার ওপর বেইজ করে।

বাংলাদেশ মুসলিম কান্ট্রি কিন্তু এখানে যে রেইপ হয়, সেগুলো কি অলওয়েজ মুসলিম করে, নিশ্চয়ই না, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টানও করতে পারে।

ভারতে কি শুধু হিন্দুরা রেইপ করে, কি পরিমান মুসলিম রেপিস্ট আছে ওখানে?

বটম লাইন হচ্ছে, এই পোষ্ট দিয়ে সাচু কি এটাই বলতে চাচ্ছে, মুসলিম কম অপরাধ করে আর অমুসলিম বেশি অপরাধ করে!
কয়টা মুলসিম সত্যিকার অর্থে ধার্মিক আর ধর্মের ভালো গুণাবলী মেইনটেইন করে আই ডাউট।

সব ধর্ম ভালো কথাই বলে আর প্রত্যেকটা ধর্মেই ভালো এবং মন্দের অনুসারী আছে।
অন্যান্য মুসলিম দেশের কথা জানিনা তবে, বাংলাদেশের মুসলিমদের কিছু মানুষ মনে করে তারাই একমাত্র ধার্মিক, তারাই বেস্ট, যতটুকু না ধর্ম কর্ম করে তারচেয়ে বেশি সময় স্পেন্ড করে অন্য ধর্মের কি কি খারাপ ওগুলো বার করা আর কম্পিটিশন করা। কিন্তু ধর্ম কোন প্রতিযোগিতার বিষয় না। ধর্ম একটা বিশ্বাস।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার পোস্টের উদ্দেশ্যই হোল কারা বেশী ধর্ম মানে সেটা নির্ণয় করা। কয়েকদিন আগে একজন বলেছে যে মুসলমানরা ধর্ম কম মানে। তারা শুধু নামাজ রোজা এগুলি বেশী মানে। আমি দেখাতে চেয়েছি যে অমুসলিমরা তাদের ধর্ম আরও কম মানে। কারণ এই অপরাধগুলি সব ধর্মেই নিষিদ্ধ। তারা তাদের ধর্ম মুসলমানদের চেয়ে বেশী মানলে তারা কখনও অপরাধের তালিকায় এগিয়ে থাকতো না।

বাংলাদেশে যে অপরাধগুলি ঘটে সেগুলির বেশীর ভাগ নিশ্চয়ই মুসলমানরা করে। একইভাবে ভারতে যে অপরাধগুলি হয় তার খুব কম পরিমানই মুসলমানরা করে। এভাবেই সাধারণত হয় যদি না বড় কোন ব্যতিক্রম না থাকে।

খৃস্টান প্রধান দেশের নাম তালিকায় থাকলে বোঝা যায় যে ঐ অপরাধে খৃস্টানদের ভুমিকা থাকার সম্ভবনা বেশী। ধর্ম ভিত্তিক ক্রাইমের আলাদা কোন উপাত্তের কথা আমার জানা নাই। এভাবে সংগ্রহও করা হয় না সম্ভবত। তাই এই পদ্ধতি আমি নিয়েছি। উদাহরণ হিসাবে বলছি যে অ্যামেরিকার নাম যখন তালিকায় থাকে বোঝা যায় যে এই অপরাধ মুসলমানরা করেনি (খুব সামান্য মুসলমান করে থাকতে পারে)। কারণ অ্যামেরিকায় ১% বা ২% মুসলমান আছে। আমি একটা আইডিয়া করার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। অস্ট্রেলিয়ার লোক রেইপ বেশী করলে সেটা তো মুসলমানদের ঘাড়ে আসার সম্ভবনা কম। কারণ অস্ট্রেলিয়ায় কত মুসলমান আছে সেটা আপনার জানা আছে। কাজেই ১০০% পারফেক্ট কোন হিসাব এটা না। তবে আমার এই পদ্ধতির মধ্যে যুক্তি আছে। পুরোপুরি সঠিক সেটা আমি দাবি করছি না।

ভারতে রেইপ যারা করে তাদের মধ্যে মুসলমানের হার কম হবে। এটাই স্বাভাবিক। আমি আমার পোস্টে বলিনি যে মুসলমানরা অপরাধ করে না। কিন্তু মেজরিটিকে আমি গুরুত্ব দিয়েছি। এটা কোন পারফেক্ট হিসাব না। পারফেক্ট হিসাব কারও কাছেই আসলে নেই। কিন্তু তারপরও অনেকে বলছে যে মুসলমানদের চেয়ে অন্য ধর্মের মানুষ ধর্ম বেশী পালন করে। এটা আমি মানি না। কারণ এখানে উল্লেখিত অপরাধগুলি সব ধর্মেই নিষিদ্ধ। তাহলে অ্যামেরিকার মত রাষ্ট্রে যেখানে মুসলমান নেই বললেই চলে সেখানে এতো রেইপ কেন হচ্ছে। এটার জন্য নিশ্চয়ই সেখানকার মুসলমানরা বেশী দায়ী না। মুসলমানদের চেয়ে খৃস্টানরাই বেশী দায়ী। কিন্তু ওদের ধর্মে রেইপ নিষিদ্ধ। তাহলে তারা কি আসলে আমাদের চেয়ে বেশী ধর্ম মানছে?

আপনি আরও কিছু যুক্তি দিতে পারেন। আমার কোন সমস্যা নাই। আমি কোন কিছু মনে করছি না। :)

আমি বলতে চাচ্ছি অমুসলিমরা বেশী অপরাধ করে। খুন, পতিতাবৃত্তি, জুয়া, মাদক, মদ, ব্যভিচার, সমকামিতা, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, চুরি, ডাকাতি, মানব পাচার, মাদক পাচার, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধ ইত্যাদি এগুলি আমার কাছে অনৈতিক কাজ। আমি জানি সবগুলি আপনি মানবেন না। এই কাজগুলি অমুসলিমরাই বেশী করে থাকে। আমি সেই পরিসংখ্যানই দেয়ার চেষ্টা করেছি। এটা শুধু বাংলাদেশ, ভারত আর পাকিস্তানের হিসাব না। পতিতাবৃত্তি কোন দেশগুলিতে বেশী হয় বলে আপনার মনে হয়? এগুলি কি মুসলমানরা বেশী করে নাকি অমুসলিমরা বেশী করে?

উপরের অপরাধগুলি তো সব ধর্মেই নিষিদ্ধ। তাহলে যে সব দেশে মুসলমান কম সেই দেশগুলিতে এগুলি বেশী কেন? তারা তাদের ধর্ম মানলে এই অপরাধে তারা এগিয়ে থাকতো না। তারা তাদের ধর্ম ঠিক মত মানে না বলেই উপরের অপরাধগুলি ঐ সব প্রায় মুসলমান বিহীন দেশে ঘটে থাকে। এটাই আমি বুঝাতে চেয়েছি। একজনের পোস্টের জবাব হিসাবে এই পোস্ট দিয়েছি। উনি বলতে চেয়েছেন মুসলমানরা শুধু নামাজ রোজা করে কিন্তু অন্য নিয়ম মানে না। আমি বলতে চেয়েছি এই ব্যাপারে অন্য ধর্মের অবস্থা আরও খারাপ। ওরা ওদের ধর্মের নিয়ম আমাদের চেয়েও কম মানে। তথ্য উপাত্ত তাই বলে। :)

আপনি আরও যুক্তি দিতে পারেন। সমস্যা নাই। :) আপনার মন্তব্য ভালো লাগছে। :)

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনি যেসব ডাটা দিচ্ছেন, এগুলো ভলনটিয়ার দেশগুলো থেকে "বিবিধ এনজিও" দিয়েছে; এগুলো সরকারী কিংবা কোন বিশ্ব সংস্হার ডাটা নয়; মুসলিম দেশগুলোর সরকারেরা এনজিওদের এসব ডাটার ব্যাপারে কন্ট্রোল করে।

কিছু বিষয় আছে জাতীয় সংস্কৃতির অংশ, উদাহরণ: মদ ও জুয়া ( ক্যাসিনো ) পশ্চিমের সংস্কৃতির অংশ; ইহাতে তাদের সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, আমাদের সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন ডেটা নিয়ে আপনার সন্দেহ আছে? আপনি বিভিন্ন বিকল্প সোর্সের ডেটা নিয়ে দেখেন ঘুরে ফিরে এরকমই পাবেন। অ্যামেরিকায় ধর্ষণ এবং খুন কম হয় এটা আপনি প্রমাণ করেন। সৌদি আরবে বা মধ্যপ্রাচ্চে চুরি, ডাকাতি বেশী হয় পারলে আপনি এটা প্রমাণ করেন। পানামাতে ডাকাতি কম হয় এটা আপনি প্রমাণ করেন।

এগুলি আন্তর্জাতিক জরীপ সংস্থার রিপোর্ট। ১০০% সঠিক এটা কেউ বলছে না।

যত দুই নম্বরি কি শুধু মুসলিম দেশগুলিই করে। ল্যাটিন অ্যামেরিকা আর আফ্রিকার অনেক দেশ দুই নম্বরি কাজে আরও এগিয়ে। এদের মধ্যে অনেক দেশই মুসলিম প্রধান দেশ না।

মদ, জুয়ায় পশ্চিমের দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না বলেছেন। এটা ভুল বলছেন। ভালো পরে গবেষণা করে দেখেন যে ওদের সমাজে মদ এবং জুয়া সামাজিক বড় সমস্যা। অনেক অপরাধের গোরা হোল এই মদ আর জুয়া। ওদের অপরাধ বিজ্ঞানীরা সেটা জানে। পতিতাবৃত্তি অনেকে দেশে বৈধ। কিন্তু ওরা জানে এটা সমাজের জন্য কতটা ক্ষতিকর।

সমাজে এবং পরিবারে জুয়ার খারাপ প্রভাব নিয়ে এই রিপোর্টটা দেখতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার সরকারী সংস্থার রিপোর্ট এটা। নীচে দেয়ার চেষ্টা করেছি।

মদের ক্ষতিকর প্রভাব পাবেন নীচের রিপোর্ট। এটাও অস্ট্রেলিয়ার সরকারী সংস্থার রিপোর্ট। নীচে দেয়ার চেষ্টা করেছি।

ধূমপান আমাদের দেশে বৈধ। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে এটা ক্ষতিকর। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে ধূমপান উপকারী। একই কথা জুয়া এবং মদের ক্ষেত্রে। অনেক দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতার কারণে এটাকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু ওদের সমাজ বিজ্ঞানীরা জানে যে এগুলি সমাজের জন্য ক্ষতিকর। ভালোর পরিমান খুব সামান্য।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: aifs.gov.au/resources/policy-and-practice-papers/impact-gambling-problems-families

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মদের উপর আরেকটা লিঙ্ক দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু টেকনিক্যাল কারণে পারলাম না। সারাংশটা দিলাম। এটা অস্ট্রেলিয়ার একটা সরকারির সংস্থার কথা। ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ এন্ড এইজড কেয়ার।

What are the effects of alcohol?
Alcohol affects everyone. How it affects you depends on how much you drink, your health, your age and other factors. Drinking too much can lead to harmful short-term and long-term effects. It can affect your physical and mental health, your job, your finances, your family and your community.

On this page
It’s different for each person
What happens in your body
Short-term effects
Long-term effects
Social and financial problems
Taking alcohol with other drugs
Reducing the effects

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সেক্স ওয়ার্কার বা পতিতা দের অপরাধী মনে করা ঠিক না।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক পতিতা নিরুপায় হয়ে এই পেশায় আসে। কিন্তু বিদেশে অনেক মেয়ে স্বেচ্ছায় এই পেশায় আসে। স্বেচ্ছায় কেউ এই পেশা নিলে সেটাকে সমর্থন করা যায় না। এটা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। রাষ্ট্রের দায়িত্ব এদের আয় রোজগারের ব্যবস্থা করা। কিন্তু রাষ্ট্র যদি এটাকে বৈধতা দেয় তার মানে রাষ্ট্র এদের দায়িত্ব নিতে চায় না।

১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আগে আপনি মুসলিম/অমুসলিম থেকে বেড়িয়ে আসুন।
মানুষকে আপনার মানুষ ভাবতে হবে। ধর্ম দিতে মানুষ ভাগ করবেন না।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ধর্মে বিশ্বাস করেন না এই কারণে এই কথা বলছেন। আপনার এই পোস্টে আসাই ঠিক হয় নাই। আপনার ধর্ম নিয়ে পোস্ট দেয়াটাও একটা ভণ্ডামি। সবাই বলার পরেও আপনি শোনেন না।

১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

মিরোরডডল বলেছেন:




Still, I can’t agree.
তুলনামূলকভাবে মুসলিম পপুলেশন সংখ্যায় কম, তাই তাদের অপরাধীর সংখ্যা কম হতে পারে। কিন্তু খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী মুসলিমদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। তাই তাদের মাঝে অপরাধী বেশি হলেও রেশিওতে সেই একই। আবার সবাই যে কোন না কোন রিলিজনে আছে তাও না, পশ্চিমা দেশের একটা বিশাল জনগোষ্ঠী যারা কোন ধর্মেই অনুসারী না। তাদের মাঝেও অপরাধী আছে যারা কোন ধর্মাবলম্বী না।

লক্ষ লক্ষ মানুষ আছে যারা জন্মগতভাবে কোন ধর্মের হলেও সেটা তারা প্র্যাকটিস করছে না। কিন্তু নামে তারা হিন্দু মুসলিম বা খ্রিষ্টান। শুধু মুসলিম না যেকোন ধর্মের প্র্যাকটিসড রিলিজিয়াস পারসন সত্যিকার অর্থেই যদি বিলিফ করে এবং মেইনটেইন করে, তাহলে তারা যে কোন অপরাধে কম জড়ায়। যেহেতু সব ধর্মে ভালো কথাই বলে।
সেটা মুসলিম হলেই হবে, not necessarily.

একজন অপরাধী, সে অপরাধী রেপিস্ট অথবা খুনি। নরমাল স্টেট অভ মাইন্ডের কেউ এসব করেনা। কাজেই সে যে ধর্মের হোক না কেন, ডেফিনিটলি প্র্যাকটিসড রিলিজিয়াস না এটাতো সিওর। ইভেন হিট অভ দ্যা মোমেন্টে ধার্মিক মানুষও অপরাধ করে ফেলতে পারে। তাই সে কোন ধর্মের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা সেটাতে কি যায় আসে!

যাইহোক, আমার দেশকে আমি ভালোবাসি, ওপরে কমেন্টে শুধু উদাহরণ দিতেই বলা।
অবশ্যই আমি চাই অপরাধ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান যেন ভালো থাকে।

মুসলিমদের বিরোধিতাও করছি না কিন্তু এটা মানতে পারলাম যে মুসলিমরা কম অপরাধী আর অমুসলিমরা বেশি অপরাধী।
অমুসলিমদের মধ্যে যারা রিলিজিয়াস, তাদের মাঝে ভণ্ডামি কম কিন্তু মুসলিম রিলিজিয়াসদের মাঝে ভণ্ড ধার্মিক বেশি।

আমি কিন্তু জ্বর নিয়েও লগিন করেছি শুধু এই পোষ্টে কমেন্ট করতে।
now I gotta go.


২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা দেশের জনসংখ্যার ৯৮% যখন অমুসলিম হয় তখন সেই দেশের অপরাধের ৯৮% দায় চলে যায় অমুসলিমদের উপরে। যেমন অ্যামেরিকা। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা। আমি যদি বলি যে অস্ট্রেলিয়াতে রেইপ বেশী। এটা দিয়ে বোঝা যায় যে এই রেইপের জন্য মুসলমানদের ভুমিকা গণনার মধ্যেই আসে না। আবার যদি বলি অ্যামেরিকায় হত্যা বেশী হয়। তখন বোঝা যায় যে এই হত্যার দায়ের ৯৮% অমুসলিমদের উপরে। কারণ ২% মুসলমান যে দেশে আছে সেই দেশে সংঘটিত অপরাধে তাদের ভুমিকা নাই বললেই চলে। আশা করি এই দুইটা উদাহরণ থেকে আমার ব্যাখ্যাটা বুঝতে পারবেন। যে সব দেশের নাম শীর্ষ তালিকায় আছে সেখানে মুসলমানের সংখ্যা অতি নগণ্য। তাই এই সব দেশের অপরাধের জন্য মুসলমানদের ভুমিকা নাই বললেই চলে।

সারা পৃথিবীতে নাস্তিকের হার মাত্র ৭%- ১৫% হবে। বাকিরা ধর্ম পালন না করলেও নিজেদের নাস্তিক বলে না।

যারা ধর্ম পালন করার চেষ্টা করে তারা অপরাধে কম জরায়। সেটাই আমি বলতে চাচ্ছি। কিন্তু এই সব দেশে অপরাধ বেশী কারণ তারা ধর্ম অনুসারী হলেও তাদের ধর্ম তারা পালন করে না। খৃস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধরা নিজেদের ধর্ম পালন করার চেষ্টা করলে এতো অপরাধ ঐ সব মুসলিমহীন (বলতে গেলে) দেশে হত না। ওরা ধর্ম ঠিক ভাবে মানে না বলেই এরকম হচ্ছে। এটাই আমি বলতে চাচ্ছি। মুসলমানরাও মানে না। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে মুসলমান দেশগুলি অপরাধে শীর্ষে নাই।

আপনি জ্বর থেকে আরোগ্য লাভ করেন এই কামনা করছি। আমি শুধু ভণ্ডামির কথা বলছি না। আমি সব অপরাধকে একত্রে সার্বিকভাবে দেখার চেষ্টা করছি।

১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: শুভংকরের ফাঁকি।আমাদের দেশের বেশির ভাগ অপরাধ নথিভুক্ত হয় না।উন্নত দেশের খুব কম অপরাধ পার পেয়ে যায়।
সৌদিতে খুব কম যৌন অপরাধ সংঘটিত হয়।বিষয়টা যে কতোবড় মিথ্যা সেটা বোঝাযায় আমাদের দেশের যেসব মেয়েরা কাজ করতে যায় তাদের কারো কারো ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর।আমাদের দেশেও তাই।বিচার চাওয়া মানে আরেকটা সমস্যায় পড়া।তাই অপরাধ এতো কম।মিরোরের সাথে সম্পূর্ণ একমত।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখানে সারা বিশ্বের সকল দেশের উপাত্ত দেয়া হয়েছে। কেন শুধু বাংলাদেশের কথা বলছেন। ভারতের অবস্থাও বাংলাদেশের মতই।

সৌদিতে যৌন অপরাধ অবশ্যই হয়। তবে সেটা অনেক দেশের চেয়ে কম। শুধু যৌন অপরাধ না চুরি, ডাকাতি, হত্যা, মাদক, মদ, জুয়া এগুলিও অপেক্ষাকৃত কম।

আপনি প্রথমেই ভুল করেছেন যে এটা বাংলাদেশের তথ্য। এই পোস্টেই নারী নির্যাতনের তালিকায় বাংলাদেশের নাম আছে। বাংলাদেশের চিন্তা আগে মাথা থেকে ফেলে দেন। সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এই পোস্ট দিয়েছি।

১৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

কামাল১৮ বলেছেন: সমকামিতা জাকিসংঘ সহ বিভিন্ন দেশে স্বীকৃত।এটা কোন অপরাধ না।আমাদের পাশের দেশ ভারতেত স্বীকৃত।জাতিসংঘের চাপ আছে স্বীকৃতির জন্য।কিন্তু ধর্মীয় ও জনমতের চাপে অনেক দেশ ২০/৩০ বছর সময় নিয়েছে।জাতিসংঘের দৃষ্টিতে স্বাধীন মতপ্রকাশের বাইরে যায় তাই স্বীকৃত।আপনি এটাকে অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করছেন তাই বলা।ব্যক্তিগতভাবে আমি সমর্থন করি না।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ভাবেই পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশ খারাপ এবং অনৈতিক কাজকে বৈধতা দিচ্ছে। সমকামিতা উন্নত দেশগুলিতেও আগে আদিকাল থেকে নিষিদ্ধ ছিল। সমকামিতা অবশ্যই একটা খারাপ কাজ। জাতিসংঘ বললেই সেটা ভালো কাজ হয়ে যাবে না। সমকামিতা পরিবার প্রথাকে নষ্ট করছে এবং এটা খুবই অশ্লীল একটা কাজ। স্বাধীনতা মানে যা খুশি করা না। জুয়া খেলা, পতিতাবৃত্তি, মদ এগুলিও অনেক দেশে কোন অপরাধ না। কিন্তু আসলে এগুলি অপরাধ। এগুলি সবই সমাজ বিধ্বংসী অপকর্ম। পারিবারিক ভায়োলেন্সের জন্য এই জুয়া, মদ, পতিতাবৃত্তি অনেকাংশে দায়ী। জুয়াড়ি পারলে তার বউকেও জুয়ার জন্য দিয়ে দেয়। মাতাল অবস্থায় মানুষের মানসিক ভারসাম্য থাকে না। অনেকেই অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। পতিতাবৃত্তির খারাপ দিক আশা করি আপনার কাছে ব্যাখ্যা করতে হবে না। যদিও অনেক পতিতাই বাধ্য হয়ে এই পেশায় আসে। মদ বৈধ হলেও এটা শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। যেমন আমাদের দেশে সিগারেট বৈধ। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে এটা ক্ষতিকর। তাই একটা জিনিস বৈধ হওয়া মানেই ভালো না। ব্যক্তি স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে সমকামিতাকে বৈধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমেও খুব কম লোকই এটাকে পছন্দ করে। তবে অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না।

১৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মিরর @ নাইস কমেন্ট। গেট ওয়েল সূন প্লিজ।

১৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কারা কি করলো তাতে কিছু যায় আসে না, মুসলিম ও তাদের দেশ সামান্য বায়ু ত্যাগের শব্দ করলেও সমস্য। তাই নয় কি?

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যত দোষ নন্দ ঘোষ। মুসলমানদের সব দোষ সবার চোখে পড়ে। আর তারা যে অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজকে আইনগত বৈধতা দিচ্ছে সেটার কোন খবর নাই। আইনগত বৈধতা মানেই নৈতিক না। যদিও তারা জোর করে সেটা করার চেষ্টা করছে। উন্নত বিশ্ব টাকার কারণে হয়তো কখনও পতিত হবে না। ওরা পতিত হবে ওদের নৈতিকতার ধ্বসের কারণে। সমকামিতা, জুয়া, মদ, ব্যভিচার, মাদক এগুলিই ওদের সমাজকে ধ্বংস করবে। পরিবার প্রথার গুরুত্ব কমে গেলেই এক সময় ঐ সমাজগুলো নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাবে। তবে আর্থিকভাবে হয়তো ঠিক থাকতেও পারে।

১৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০১

নতুন বলেছেন: বিশ্ব জুড়ে সর্বজন স্বীকৃত বড় অপরাধের কিছু উদাহরণ হোল;
১। হত্যা বা হত্যার চেষ্টা
২। ধর্ষণ
৩। অগ্নিসংযোগ
৪। চুরি
৫। অপহরন
৬। গ্যাং বা মাফিয়া কর্মকাণ্ড
৭। যৌন হয়রানি
৮। ইনসেসট
৯। ডমেস্টিক ভায়োলেন্স
১০। ডাকাতি
১১। মাদকাসক্তি
১২। নারী এবং শিশু পাচার

উপরের অপরাধ ছাড়াও আরও কিছু অনৈতিক কাজ আছে যে কাজগুলি পৃথিবীর বৃহৎ ধর্ম সমুহের বিধান অনুযায়ী অনৈতিক।
১। সমকামিতা
২। জুয়া
৩। পতিতাবৃত্তি
৪। মদ
৫। ব্যভিচার


আমি ব্যক্তিগত ভাবে ৮৫ দেশের মানুষের সাথে কাজ করছি গত ১৫ বছর ধরে। আমার নিজের টিমেরই ১৫-২০ দেশের মানুষ আছে।

কোন সমাজই অপরাধ চায় না। কোন ধর্মই অপরাধ করতে বলে না। কিন্তু মানুষ নিয়ম ভেঙ্গে অন্যায় করতে চায়।

ধর্ম বা সামাজিক ভাবে কিছু জিনিস বিভিন্ন দেশে ভিন্ন চোখে দেখে।

বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ বা অন্য অনেক মুসলিম দেশে ধর্ষনের রিপোট কম হয়।

আরব আমিরাতে গত ১৫ বছরে একবারের জন্য নিরাপত্তা নিয়ে কোন সমস্যায় পড়িনি এমনি আমার পরিচিত কেউ রাতে বা দিনে কোথাও সমষ্যায় পড়েছে শুনিনি।

কারন এখানের পুলিশ ঘুষ খায়না, অন্যায় করে পার পাওয়া যায় না।

কিন্তু আবার ধর্ষিতা পুলিশে মামলা করলে তাকে বিবাহ বহিভুত সেক্স করার জন্য মামলা খেতে হয়। তাই কোন নারী আগ বাড়িয়ে ধর্ষনের মামলা করতে চাইবেনা।

অপরাধ কম বেশি নির্ভর করে আইনের প্রয়োগের উপরে। যখন আপনি অন্যায় করেও ফোন করেই মুক্তি পেতে পারেন বা আপনার নাম শুনেই পুলিশ আপনাকে কিছু বলবেনা জানেন তখন সেই দেশে অপরাধ সরকার নিয়ন্ত্রন করে পারেনা।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ষণের রিপোর্ট উন্নত দেশেও কম হয়। এটা ওরাও স্বীকার করে এবং প্রমাণিত। আপনাকে আমি প্রমাণ দেখাতে পারবো। আর শুধু পুলিশ রিপোর্ট থেকে ধর্ষণের পরিসংখ্যান করা হয় না। এটার জন্যও আলাদা জরীপ করা হয়। বিভিন্ন নারী উন্নয়ন সংস্থা আলাদাভাবে এগুলির উপর জরীপ করে এবং হিসাব রাখে। উন্নত দেশে বেশীর ভাগ ধর্ষণ করে পরিচিত লোকে এবং পরিবারের আত্মীয়রা। ফলে রিপোর্ট কম হয়। এছাড়া ইউনিভারসিটি কাম্পাসে অনেক ঘটনা ঘটে যেগুলির সব রিপোর্টে আসে না। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা সব চেয়ে ঝুকির মধ্যে। সব চেয়ে বড় কথা শুধু পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট করা হয় না।

অ্যামেরিকায় তো আইন অনেক উন্নত। তারপরও ওদের দেশে হত্যা অনেক বেশী। আইন প্রয়োগ না হলে আরও বেশী হত। ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানোর অপরাধ অ্যামেরিকায় বেশী। এতো আইনের পরেও এই অবস্থা।

পৃথিবীর সকল ধর্মে খুন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, অপহরন ইত্যাদি উপরে উল্লেখিত অপরাধ নিষিদ্ধ। ওরা যদি ওদের ধর্ম সঠিকভাবে মানত তাহলে এতো অপরাধ ওদের দেশে হত না। এই সব দেশই শীর্ষে আছে। ওরা ধর্ম ঠিক ভাবে মানে না এটাই আমি বলতে চাচ্ছি। অনেক অনৈতিক কাজ ওদের ধর্মেও নিষিদ্ধ। কিন্তু ওরা করছে। তাই মুসলমানরা ধর্ম ভালো করে মানে না এই কথাটা ঠিক না। ওরা আরও কম মানে।

১৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৫২

নতুন বলেছেন: ওরা যদি ওদের ধর্ম সঠিকভাবে মানত তাহলে এতো অপরাধ ওদের দেশে হত না। এই সব দেশই শীর্ষে আছে। ওরা ধর্ম ঠিক ভাবে মানে না এটাই আমি বলতে চাচ্ছি। অনেক অনৈতিক কাজ ওদের ধর্মেও নিষিদ্ধ। কিন্তু ওরা করছে। তাই মুসলমানরা ধর্ম ভালো করে মানে না এই কথাটা ঠিক না। ওরা আরও কম মানে।

তাহলে যেই সব ইউরোপিয়ান দেশে ধর্ম মানেনা অথবা কম মানে কিন্তু মানুষ আইন মানে, দূনিতি অপরাধ কম সেখানে মানুষ কেন ভালো?

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পৃথিবীতে মাত্র ৭% থেকে ১৫% ধর্মহীন। তার মধ্যে অন্তত ৩০ কোটি হোল জাপান এবং চিনে বাস করে। বাকি ৪০ কোটির মত সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। ধর্মহীন মানুষও অপরাধ থেকে দূরে থাকতে পারে। ধর্মহীন হলেই সে খারাপ এটা তো আমি বলি নাই।

আমার প্রশ্ন হোল কম মানা অমুসলিমদের নিয়ে। অপরাধের ক্ষেত্রে বিশ্বের এই সংখ্যালঘু নাস্তিকদের ভুমিকা কম। ৮৫% থেকে ৯৩% বিভিন্ন ধর্ম অনুসারীই মুলত অপরাধের জন্য দায়ী। অমুসলিমরা তাদের নিজেদের ধর্ম মানলেই অনেক অপরাধ কমে যেত। কারণ খুন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার, মদ, জুয়া এগুলি ওদের ধর্মেও নিষিদ্ধ। তাই ওরা আমাদের চেয়ে বেশী ধর্ম মানে এটা আমি মানি না। ওরা ধর্ম আমাদের চেয়ে বেশী মানলে ওদের নাম তালিকার শীর্ষে আসত না। তালিকার এই দেশগুলিতে এই অপরাধগুলি কম হত।

১৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৬

নতুন বলেছেন: তাই ওরা আমাদের চেয়ে বেশী ধর্ম মানে এটা আমি মানি না। ওরা ধর্ম আমাদের চেয়ে বেশী মানলে ওদের নাম তালিকার শীর্ষে আসত না। তালিকার এই দেশগুলিতে এই অপরাধগুলি কম হত।

আগের পোস্টের মুসলমানদের থেকে বেশি ধর্ম মানে এটা অতি আবেগী কথা বার্তা মাত্র।

বর্তমানে ধর্ম মানুষকে প্রভাবিত কম করছে। যেই সব দেশে মানবিক বোধ ভিক্তিক নৈতিকতার উপরে আছে তারা অপরাধ কম করছে।

বর্তমানে ধর্মের ভয় মানুষকে অন্যায় করা বন্ধ করতে পারছে না। আমাদের ভারত, পাকিস্তান/ বাংলাদেশই তার সবচেয়ে বড় উদাহরন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। পৃথিবীতে ধর্ম কোন ঠাসা হয়ে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বে ধর্মকে সামাজিক আচার হিসাবে মানে। ওখানে ধর্মকে কেউ অনেকেই সিরিয়াস ভাবে নেয় না। বিশেষ করে খৃস্টান ধর্মের অবস্থা আরও খারাপ। অনেক চার্চ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মুসলমানদের মসজিদ বন্ধ হয়ে যায় এমন শুনবেন না।

গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুশাসন মানছে না মানুষ। যে কোন ধর্মের অনুশাসনে অন্যের অধিকারের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া পোস্টে যে অপরাধগুলির কথা বলেছি সেগুলিও সব ধর্মেই নিষিদ্ধ। অনেক ক্ষেত্রে নাস্তিকরা না জেনেই গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুশাসন মানছে। তবে আমাদের দেশের নাস্তিকরা শান্তি প্রিয় না। এরা নাস্তিকতা বলতে বোঝে ইসলাম ধর্মের পিছে লাগাকে।

ধর্মের অনুশাসন সত্যি সত্যি মানলে সারা পৃথিবীতেই শান্তি বিরাজ করতো।

১৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: নাস্তিকতার সাথে ধর্ম মানা না মানার কোন সম্পর্ক নাই।সৃষ্টিকর্তার প্রমান পাওয়ায় না পাওয়ার সাথে সম্পর্কিত।ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত বিষয়।যার ইচ্ছা পালন করবে যার উচ্চা না সে পালন করবে না।তবে সেটা যেনো অন্যের ক্ষতি না করে।অন্যের অধিকারকে লঙ্গন না করে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ম মানলে নাস্তিক হওয়া যায় না। নাস্তিক হতে হলে ধর্ম ত্যাগ করতে হয়।

২০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সাচু ভাই অফটপিক একটা কথা বলি । আপনার প্রতি একটা প্রতিশোধ নেবার কথা ছিল । সেটা নেয়া শেষ , অতি সত্বর সেটা সবার সামনে প্রকাশিত হবে ।

মুম্ম হাহাহাহাহাহা !!

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি প্রতিশোধের জন্য তৈরি। :)

আপনার হাসিটা বাংলা সিনেমার ভিলেনদের মত হয়েছে। :)

২১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:




বাংলাদেশ সরকারের ২৬ লাখ কর্মচারীর ভেতরে শতকরা কত ভাগ অসৎ? এটা কি এনজিও জরীপে আসে?

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা এনজিও জরীপে না আসলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে এত এগিয়ে থাকে কীভাবে?

এক কিলো রাস্তা করতে বাংলাদেশে লাগে ১৬১ কোটি টাকা। চীন আর ভারতে লাগে ১১ কোটি আর ১৫ কোটি টাকা। এখানে দুর্নীতি হয়েছে এটার জন্য আবার জরীপ লাগে নাকি?

যখন একটা বালিশের দাম হয় ২০,০০০ টাকা তখন কি দুর্নীতি বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞের দরকার পড়ে।

২২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি প্রতিশোধের জন্য তৈরি। :)

আপনার হাসিটা বাংলা সিনেমার ভিলেনদের মত হয়েছে। :)



আচ্ছা বেশ । আপনি তো আমার সিনিয়র তাই আপনার বুকে কাঁপন ধরাবার জন্য তেমন কিছু পেলাম না তাই এই হাসি দিলাম ।

আল্লাহ সহায় হলে কালকে পোস্ট দেব । শনিবারে নাহয় আপনার শনির দশা চলুক !!

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এতো ঘোষণা দিয়ে প্রতিশোধ নিলে তো আজকে রাতে ঘুম হবে না। :)

২৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এতো ঘোষণা দিয়ে প্রতিশোধ নিলে তো আজকে রাতে ঘুম হবে না। :)

হবে হবে তৃপ্তির ঘুম হবে । একটু কসুর করুন কেবল , আল্লাহ যদি বাঁচিয়ে রাখে আর ইনশাআল্লাহ দেখবেন কেমন মধুরময় এই প্রতিশোধ !!

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অপরাধ কি সেটাই তো বুঝতে পারলাম না। :)

কোন ছেলে বিয়ের জন্য পাগল হয়ে প্রেমের কবিতা, গান আর গল্প লিখতে থাকলে তার জন্য পাত্রী খোঁজা তো দোষের কিছু না।

প্রতিশোধের মাত্রা বেশী হলে ঐ পোস্ট কিন্তু আবার ড্রাফ্‌ট থেকে প্রকাশ করে দেব। :)

২৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: অপরাধ কি সেটাই তো বুঝতে পারলাম না। :)

কোন ছেলে বিয়ের জন্য পাগল হয়ে প্রেমের কবিতা, গান আর গল্প লিখতে থাকলে তার জন্য পাত্রী খোঁজা তো দোষের কিছু না।

প্রতিশোধের মাত্রা বেশী হলে ঐ পোস্ট কিন্তু আবার ড্রাফ্‌ট থেকে প্রকাশ করে দেব। :)



আচ্ছা আপনার ভেতরে অপরাধবোধ না থাকলে কেন পোস্ট ড্রাফট করলেন ? হেহেহেহে ,

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোস্ট ড্রাফ্‌ট করেছি অন্য কারণে। :)

২৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পোস্ট ড্রাফ্‌ট করেছি অন্য কারণে। :)

পিলিজ লাগে আবার প্রকাশ করেন না হলে জমবে না !!

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: করা ঠিক হবে কি না বুঝতে পাড়ছি না। আজকে রাত জেগে ভাবি। তারপর সকালে সিদ্ধান্ত নিব। :) আপনার কথার একটা মূল্য আছে অবশ্য। দেখা যাক কি করা যায়। :)

২৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩১

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মকে সৃষ্টি কর্তার বানানো বলাতে নাস্তিকদের আস্থা নাই।মানুষের বানানো বললে কোন্ই সমস্যা নাই।মানুষের বানানো আইন মেনে চলে না এমন কোন নাস্তিক কি কখনো দেখেছেন?বরংঞ্চ তারা একটু বেশীই মেনে চলে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একজন স্রষ্টা আছেন এটাই গুরুত্বপূর্ণ কথা। নাস্তিকরা এটাই বুঝতে পারে না। সৃষ্টিকর্তা আছে শুধু এইটুকু বিশ্বাসই যথেষ্ট না। শয়তানও মানে যে একজন সৃষ্টিকর্তা আছে। তিনি সর্বশক্তিমান। কিন্তু মূল বিষয় আল্লাহর আদেশ মানা। আল্লাহর আদেশ না মানার কারণে ইবলিস শয়তান জাহান্নামী হবে।

ধর্মের বাহ্যিক নিয়ম মানলে কোন লাভ নেই। মূল বিষয় অদৃশ্যে বিশ্বাস। মৃত্যুর পরে জীবন আছে। এটাই নাস্তিকরা মানে না। তাই তারা যতই ধর্মের নিয়ম মানুক তাতে কোন লাভ নাই। কারণ সবার আগে ঈমান। ঈমান বিহীন আমলের কোন মূল্য নাই।

২৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫০

কামাল১৮ বলেছেন: নাস্তিকরা বোজতে পারে না কারন তারা অন্ধ বিশ্বাস করে না।আস্তিকরা বোঝতে পারে কারণ তারা অন্ধ বিশ্বাস করে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অন্ধ বিশ্বাস না। আস্তিকরা স্রষ্টাকে অনুভব করে।

২৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:১২

রানার ব্লগ বলেছেন: তথ্য কিছুটা অনির্ভরশীল। কারন ডোমেস্টিক ভায়লেন্সে বাংলাদেশ এগিয়ে আফগানিস্থানের থেকে এটা সঠিক তথ্য নয়।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ইনটিমেট পার্টনার ভায়োলেন্সে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৪ নম্বরে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের সুত্রে প্রথম আলোর এই রিপোর্টটা দেখতে পারেন।
প্রথম আলোর রিপোর্ট

এছাড়া ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের এই সাইটটা থেকেWHO - Violence against women রিপোর্ট ডাউন লোড করে ৯০ পৃষ্ঠায় গেলে দেখবেন যে আফগানিস্তানের অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে ভালো। আফগানিস্তান ৪৬% আর বাংলাদেশে ৫০%।

তবে পজিশন প্রতিবছর ওঠা নামা করে। বিভিন্ন সার্ভের রিপোর্টেও কিছু তারতম্য হয়।

২৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:২১

শায়মা বলেছেন: বাপরে!!

কষ্ট করে সব তালিকা পড়লাম ভাইয়ু!

তারপর কমেন্টগুলো।

অজ্ঞান হইনি! :)

তার কারণ মুসলিম অমুসলিম জানিনা খুঁজিওনি আমি শুধু বাংলাদেশ নামটা খুঁজেছি।

তারপর হাফ ছেড়ে বাঁচলাম! :)

সত্যি হোক মিথ্যা হোক অথেনটিক আন অথেনটিক যাহাই হৌক। আমাদের দেশ বাংলাদেশ এসব তালিকায় নেই। শুধু একখানে দেখেছি। যাক দোষে গুনেই মানুষ। আর সকল দেশের এত এট দোষের তালিকার মাঝে একটায় মাত্র নাম এসেছে।

তাই আমি ভালোই খুশি হলাম! একটাতেও না থাকলে হতাম আনন্দে আত্মহরা। :)


ডমেস্টিক ভায়োলেন্সও কমে যাবে আর কটা দিন পরে।

মেয়েরা আর একটু আত্ম উন্নয়ন করুক আত্ম নির্ভরশীল হোক। :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের মেয়েরা তো ইউরোপের মেয়েদের মত হতে পারবে না। ইউরোপের ২৮ টা দেশের উপর জরীপ করে দেখা গেছে যে সেখানে

৩ জন নারীর মধ্যে ১ জন নারী সারা জীবনে অন্তত ১ বার ফিজিকাল বা সেক্সুয়াল ভায়োলেন্সের শিকার হয়েছে।
২২% মেয়ে তাদের পার্টনারের দ্বারা ফিজিকাল বা সেক্সুয়াল ভায়োলেন্সের শিকার হয়েছে।
৫% মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে।
২ জন নারীর মধ্যে ১ জন যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে।

এই জরীপটা করেছে কাউন্সিল অব ইউরোপ। ইউরোপের মেয়েদের মত স্বাবলম্বী আর স্বাধীন নারী পৃথিবীতে আর নাই। এদেরই এই অবস্থা। তাই বাংলাদেশের মেয়েরা যতই স্বাবলম্বী হউক আর স্বাধীন হউক না কেন তাদের অবস্থা এর চেয়ে ভালো হওয়ার সম্ভবনা কম। :) তবে তারপরেও আশা করি বাংলাদেশে নারীর উপর নির্যাতন ০% হউক।

এখন বেশী যৌন নির্যাতন বা হয়রানি হয় কর্মক্ষেত্রে। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫% নারী কোন না কোন ভাবে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হয়।

অস্ট্রেলিয়া সরকারের 'সেইফ ওয়ার্ক অস্ট্রেলিয়া' র রিপোর্ট অনুযায়ী (অস্ট্রেলিয়ার হিউম্যান রাইটস কমিশনের তথ্য) ;

৪০% নারী বলেছে তারা কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন গত ৫ বছরে।
তথ্য প্রযুক্তি, মিডিয়া এবং টেলি কমিউনিকেশন সেক্টরে যৌন হয়রানির পরিমান বেশী (৮১%)।

তাই মেয়েদের জন্য উন্নত দেশেও ঘরে এবং বাইরে বিপদ আছে। বাংলাদেশের মেয়েরা সেই পর্যায়েও যেতে পারবে বলে মনে হয় না। তবে নারী নির্যাতন বন্ধ হওয়ার জরুরী। সবাইকে তার জন্য চেষ্টা করতে হবে।

৩০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

শায়মা বলেছেন: তাইলেই বুঝো পুরুষেরা কত খারাপ দেশে আর বৈদেশে!!! X((

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটার সমাধান খুব সহজ। পুরুষ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবেন। :) তাহলেই আর কোন চিন্তা নাই। কিন্তু সমস্যা হোল সব মেয়ে সেটা পারে না। ছেলেরাও পারে না। আরেকটা বুদ্ধি আছে। সেটা হোল শুধু বিশেষ কোন কাজ থাকলে পুরুষের কাছে যাবে মেয়েরা। এক জায়গায় থাকার দরকার নাই। থাকলেই মারামারি, পিটা পিটি। ইদানিং নারীরাও মেয়েদের পিটায়। অনেক পুরুষ নারীদের দ্বারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়। :) আমাদের দেশের ইডেন কলেজের সন্ত্রাসী মেয়েদের যারা বিয়ে করে এরা নিশ্চয়ই বউয়ের হাতে মার খায়।

সব মেয়েদের ফেমিনিসট বানিয়ে ফেলেন। তাহলেই আর কোন সমস্যা থাকবে না। তবে অনেক পুরুষ ফেমিনিসটও আছে। আরেকটা সমস্যা হোল নারীরা পুরুষদের ধারে কাছে না আসলে বাচ্চা কাচ্চা পয়দা হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। তখন এই পৃথিবী মানুষ শূন্য হয়ে যাবে। এটারও সমাধান আছে। এখন নাকি বাচ্চা কাচ্চা টেস্টটিউবের মধ্যে হয়। :)

আমি আমার পোস্টে হরেক রকমের পরিসংখ্যান দিলাম ( চুরি, ডাকাতি, খুন, সন্ত্রাস ইত্যাদি)। এগুলি নিয়ে কেউ কথা বলে না কিন্তু বেশীর ভাগ মন্তব্য নারী আর যৌনতা নিয়ে কেন বুঝতে পাড়ছি না। :)

৩১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

শায়মা বলেছেন: আমি আমার পোস্টে হরেক রকমের পরিসংখ্যান দিলাম ( চুরি, ডাকাতি, খুন, সন্ত্রাস ইত্যাদি)। এগুলি নিয়ে কেউ কথা বলে না কিন্তু বেশীর ভাগ মন্তব্য নারী আর যৌনতা নিয়ে কেন বুঝতে পাড়ছি না। :)


কারণ একমাত্র বাংলাদেশকেই সেই অপরাধে পাওয়া গেলো।

ইডেনের মেয়েদেরকে দিয়ে সন্ত্রাস দমন পুরুষ দমন শিক্ষা দীক্ষার আয়োজন করা যেতে পারে। :)


তবে আমি কেনো ফেমিনিস্ট বানাতে যাবো?? আমার খেয়ে কত কাজ আছে...... :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরিসংখ্যান বলে যে দুর্নীতি এবং নারী নির্যাতনে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো না। এই কলঙ্ক দূর করতে হবে।

ইডেনের সন্ত্রাসী মেয়েদের সাথে কারা প্রেম করে এটা আমার জানার খুব আগ্রহ। ভিখারুন্নেসার এক নারী অধ্যক্ষ নাকি মাথার নীচে পিস্তল রেখে ঘুমায় শুনেছি। ইডেনের মেয়েদের শক্তির উৎস কি আপনি জানেন। চাঁদের যেমন নিজের আলো নেই কিন্তু সূর্যের আলোর কারণে এতো সুন্দর দেখায়। একইভাবে ইডেনের সন্ত্রাসী মেয়েরা বাংলাদেশের একটা শক্তিশালী দলের ক্যাডারদের কথা মত ওঠে বসে। আরও কি নাকি করে। কাজেই মেয়েদের শক্তি আসতে হবে নিজেদের থেকে পুরুষ সন্ত্রাসীদের উপর ভর করে নয়। :) সন্ত্রাস কখনও শান্তি আনতে পারে না। ইডেনের সন্ত্রাসী মেয়ে কখনও নারীদের জন্য কাজ করবে না। কারণে এরাই অনেক মেয়ের ইজ্জত লুটতে সাহায্য করছে। :)

আপনি তো আসলে ফেমিনিজম থেকে অনেক দূরে তাই এটা আপনি পারবেন না। সেটা আমি বুঝি। :)

৩২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মন্তব্য করলাম কি, আর আপনি উত্তর দিলেন কি?

এটাই ধার্মিকদের সমস্যা। যদি আপনি নিজেকে আগে 'মানুষ' ভাবতেন। এবং পরে মুসলিম বা ধার্মিক ভাবতেন তাহলে আপনার মন্তব্যের উত্তর এরকম হতো না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আপনার অতীতের ধর্ম নিয়ে কর্মকাণ্ডের আলোকে আমার মন্তব্য করেছি। আপনি মানুষ হতে গিয়ে ধর্মহীন হয়ে গিয়েছেন। আপনি জানেন না যে ধর্মের মধ্যে থেকেও মানুষ হওয়া যায়।

৩৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলে মুসলিম রাষ্ট্রে এসব অবৈধ কাজ হওয়ার কথা নয়। যারা করছে তারা নামে মুসলিম। কারণ এগুলো ইসলাম ধর্ম সমর্থিত নয় এবং ইসলাম ধর্ম মতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইসলাম মানুষের মনগড়া ধর্ম নয়। অন্য ধর্মগুলোতে মানুষের মনগড়া বিষয়ের সন্নিবেশ ঘটাতে সে ধর্মগ্রন্থগুলোতে বিকৃতি ঘটেছে। তাই সব ধর্ম নয় আল্লাহ তায়ালা স্বীকৃত পরহেজগারদের জন্য হেদায়েত লাভের একমাত্র ধর্ম হলো ইসলাম।

আমার মতে সবচেয়ে বড় অন্যায় দেশে দেশে যুদ্ধ লাগানো।
এখন যেমন ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধ লাগানোর ওস্তাদ রাষ্ট্র আমেরিকা ইসরাইল গং। ওরা মূলত সবচেয়ে অন্যায় কাজের মদদ দাতা। অস্ত্র বিক্রির জন্য তারা যুদ্ধ লাগায়। সারা পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যুদ্ধের কারণে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেলিম ভাই, অবশ্যই আল্লাহর মনোনীত ধর্ম একমাত্র ইসলাম। বাকিগুলি বাতিল হয়ে গেছে। কিন্তু আমার বলার উদ্দেশ্য ছিল যে কিছু কিছু অপরাধ পৃথিবীর সকল ধর্মেই নিষিদ্ধ। অনেকে বলার চেষ্টা করে যে অন্য ধর্মের মানুষের মধ্যে ভণ্ডামি মুসলমানদের চেয়ে কম আছে। আমি প্রমাণ করতে চেয়েছি যে তারা তাদের নিজেদের ধর্ম থেকে অনেক দূরে। ওদের ধর্মের অনেক ভালো নির্দেশনা ওরা অমান্য করছে। ওরা নিজের ধর্ম যদি ঠিক ভাবে পালন করত তাহলে অন্তত পার্থিব কিছু উপকার হত। সেটা হোল পৃথিবীতে অপরাধ কমতো। কারণ অনেক বড় বড় অপরাধ এবং অনৈতিক কাজে অমুসলিম দেশগুলি শীর্ষে আছে যে গুলি ওদের ধর্মেও নিষিদ্ধ। অযথাই মুসলমানদের অপবাদ দেয়া হচ্ছে যে মুসলমানদের চেয়ে ওরা বেশী ধার্মিক। এই কথাটা ভুল। ওরা ওদের নিজেদের ধর্ম থেকে অনেক দূরে আছে।

অস্ত্র এবং যুদ্ধের ব্যবসা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করছে। পৃথিবীর অনেক দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণ এই অস্ত্র এবং যুদ্ধ। এগুলি করছে অমুসলিম দেশগুলি। যুদ্ধ আর অস্ত্র ব্যবসার মত ভয়ংকর অপরাধ এবং অনৈতিক কাজ আর হয় না। কিন্তু তারপরেও কিছু লোক শুধু মুসলমানদের নৈতিকতা আর অপরাধ প্রবণতা নিয়ে সমালোচনা করছে। মুসলমানদের নৈতিকতার অভাব আছে এরা অনেক অপরাধে যুক্ত এগুলি মানলাম কিন্তু তারচেয়েও বেশী অনৈতিক কাজ এবং অপরাধ মুলক কাজ অমুসলিমরা করছে এগুলিকে আইনগত বৈধতা দিয়ে। ফলে অনেক অমুসলিম অনৈতিক কাজ করেও ভাবছে যে তারা কোন ভুল করছে না।

৩৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

শায়মা বলেছেন: চাঁদ ও সূর্য্য দুইই ছাড়া পৃথিবী অচল।

কাজেই সব কিছু নিয়েই আমি আনন্দে বাঁচতে চাই।

কোনো চন্দ্র সূর্য্যই অন্তত আমার জীবনে ঝামেলা ঘটাতে পারবে না মনে করি।

তাই আমি আনন্দে বাঁচতে চাই। আনন্দে বাঁচি। :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আত্মকেন্দ্রিক। তাই নিজের আনন্দটাই বড় আপনার কাছে। :)

৩৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৩

শায়মা বলেছেন: হা হা অনেকেই তাহা বলে। মনে হয় কথা মিথ্যা না! :P


যাইহোক এখন গিয়ে আমার ঈদসংখ্যা পড়ো শিঘঘির!!!!!!!!!!!!!!! :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লু মুন মকটেল পান করলাম। বউকে এখনও পান করাই নাই। আপনি যখন বানিয়েছেন খারাপ হওয়ার কথা না। :)

পুরো পোস্ট পরে পড়ার পরে আবার মন্তব্য করবো সেখানে। :)

৩৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: লেখা পড়ে- মন্তব্য প্রতি মন্তব্য পড়তে পড়তে আমি কি বলতে চেয়েছিলাম ভুলে গেছি :(

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সমস্যা নাই। পরে মনে পড়লে আবার আসবেন আশা করি। :)

৩৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: অন্ধ বিশ্বাস না। আস্তিকরা স্রষ্টাকে অনুভব করে।


কিভাবে অনুভব করে?

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এগুলি আলাপ করে কোন লাভ নেই। এই আলাপের কোন শেষ নেই। আপনি বিশ্বাস করলে বুঝতে পারতেন।

৩৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

নতুন বলেছেন: আপনি বিশ্বাস করলে বুঝতে পারতেন।

অনুভব করলে বুঝতে পারা যায় তাহলে বিশ্বাস করা সহজ হয়।

আসলেই এই আলাপ করে কোন লাভ নেই। এই আলাপের কোন শেষ নেই।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৯| ০৩ রা মে, ২০২৩ ভোর ৫:৪০

জটিল ভাই বলেছেন:
পোস্টের জন্যে আন্তরিক জটিলবাদ :)
"টেররিস্ট কান্ট্রি" একটি বহুল প্রচলিত শব্দ। তারপরও জানিনা কেনো এটা উচ্চারণে সবার মাঝে ভয় কাজ করে। তারচেয়ে "জংগী" শব্দটা উচ্চারণ করেই সবাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চায় :(

০৪ ঠা মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে যুদ্ধ লাগানো এবং যুদ্ধে উস্কানি দেয়ার জন্য সবার আগে দায়ী। সাথে ইউরোপের অনেক দেশ আছে। এদের আন্তর্জাতিক রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হোল অস্ত্র ব্যবসা আর যুদ্ধ। তালেবানকে এক সময় অ্যামেরিকা সাহায্য দিয়েছে। আইসিস বানানোর পিছনেও এদের ভুমিকা আছে। বিন লাদেন ওদের পক্ষের লোক ছিল এক সময়। বর্তমান ইউক্রেন যুদ্ধ অ্যামেরিকার যুদ্ধ হওয়ার কথা না। কিন্তু তারা এটা থেকে লাভবান হতে চাচ্ছে। আর ভুগছে বেশী গরীব দেশগুলি। ওয়ার এগেইন্সট টেরর আর 'জঙ্গি' হোল ওদের পলিটিকাল টার্ম যার দ্বারা ওরা ওদের যুদ্ধকে বৈধ করার চেষ্টা করে। ইরাকে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র আছে বলে দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু পরে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মিডিয়াগুলি উঠে পড়ে লেগেছে মুসলমানদের সম্পর্কে ফোবিয়া তৈরির জন্য। কারণ ওদের মিডিয়া এই সব ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.