নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি?

০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫


আমার আগের পোস্টটা ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধরণের অপরাধের পরিসংখ্যান নিয়ে। ঐ পোস্টে একাধিক ব্লগার বলতে চেয়েছেন যে উন্নত দেশে ধর্ষণের রিপোর্ট অনেক বেশী হয়। আমি এই পোস্টে সব দেশ না মুলত অ্যামেরিকার ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো যে সেখানে ধর্ষণের রিপোর্ট অনেক কম হয়। তবে আমাদের দেশের মত অনুন্নত দেশে হয়তো তার চেয়েও কম রিপোর্ট হয়। কিন্তু সেই পার্থক্যটা খুব বেশী না। এই রিপোর্ট না করা ঘটনাগুলি হিসাবে নিলে ধর্ষণের হার আমাদের দেশের চেয়ে অ্যামেরিকায় অনেক বেশী।

২০১৪ সালের অ্যামেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের রিপোর্ট অনুযায়ী ৬৫.২০% যৌন নির্যাতনের রিপোর্ট হয় না। ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের রিপোর্ট অনুযায়ী ধর্ষণ রিপোর্ট না করার কারণগুলির মধ্যে আছে;

২০% - প্রতিশোধের ভয়ে রিপোর্ট করে না।
১৫% - মনে করে পুলিশ কোন সাহায্য করবে না।
১৩% - মনে করে এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার তাই রিপোর্টের দরকার নাই।
৮% - পুলিশ ছাড়া অন্য কোন অফিসে রিপোর্ট করে যারা আইন প্রয়োগের সাথে জড়িত না।
৮% - মনে করে এটা এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার না যেটাকে রিপোর্ট করতে হবে।
৭% - ধর্ষক বিপদে পড়ুক এটা চায় না।
২৯% - অন্যান্য কারণে রিপোর্ট করে না।

কোন কোন রিপোর্টে বলছে মাত্র ২০% থেকে ২৫% ধর্ষণ রিপোর্ট হয়।

রিপোর্ট করা ধর্ষণ কেসের মধ্যে মাত্র ১.৫৬% মামলায় সাজা হয়। তার মানে রিপোর্টেড আর আন রিপোর্টেড একত্রে নিলে মাত্র আনুমানিক ০.৫০% কেসে সাজা হয়। অনেক ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক মাসের জেল হয়। রেইপ, এবিউজ এন্ড ইন্সেসট ন্যাশনাল নেটওয়ার্কের রিপোর্ট অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০৭ সেকেন্ডে একটা রেইপ হয়ে থাকে। দুই তৃতীয়াংশ ধর্ষক ভিকটিমের পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের লেডি গাগার গাওয়া এই বিখ্যাত গানটা ‘ টিল ইট হ্যাপেন্স টু ইউ’ শুনলে বোঝা যায় যে সেখানে কাম্পাসের ধর্ষণকে কীভাবে কম গুরুত্ব দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে অগ্রাহ্য করা হয়।


এটা বিখ্যাত একটা গান। ‘হানটিং গ্রাউন্ড’ নামের একটা প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের গান এটা। এই সিনেমার মূল উপজীব্য হোল কলেজ কাম্পাসের যৌন নির্যাতন। আসলে আমাদের দেশে ধর্ষণ করে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে অপরিচিত লোক। আর অ্যামেরিকায় ৭৪% ধর্ষণ করে থাকে পরিচিত লোকেরা (বয়ফ্রেনড, এক্স বয় ফ্রেন্ড, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, বন্ধু বা পরিচিত লোক) । যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসের যৌন লাঞ্ছনা সংক্রান্ত এই ছোট ভিডিওটা দেখতে পারেন।


৫৫% ধর্ষণ ঘটে ধর্ষিতার বাড়িতে বা বাড়ির কাছে। ১৫% ঘটে পাবলিক প্লেসে। ১২% ঘটে আত্মীয়ের বাড়িতে বা বাড়ির কাছে। ১০% ঘটে পারকিং এরিয়া বা গ্যারাজের মত বদ্ধ জায়গায়। বেশীর ভাগ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে এমন জায়গায় যেটাকে সাধারণভাবে নিরাপদ ভাবা হয়। যেমন বাড়িতে, গাড়িতে কিংবা অফিসে। ধর্ষণের পিছনে যৌন চাহিদা পূরণের চেয়ে বেশী দায়ী থাকে শত্রুতা, ক্ষমতা প্রদর্শনের ইচ্ছা এবং নিয়ন্ত্রণ করার ইচ্ছা।

ডেটিং এবং ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের ক্ষেত্রে ভিকটিম ভায়োলেন্সের মাত্রা কমানোর জন্য অনেক সময় চুপ থেকে সহ্য করে। অনেক ভিকটিম যৌন লাঞ্ছনা সত্ত্বেও তার পার্টনারকে ভালোবাসে। অনেকের যাবার কোন জায়গা নাই তাই মেনে নেয়। যৌন লাঞ্ছনা যারা করে তাদের মধ্যে ঈর্ষার প্রকাশ ঘটে। এটা একটা প্রাথমিক সাইন। ধর্ষণ বেশী হওয়ার কারণ সমুহ;

১। অ্যালকোহল এবং ড্রাগের কারণে
২। অপরাধ প্রবণতা
৩। অন্যের অধিকারকে গুরুত্ব না দেয়া
৪। উগ্র আচরণ
৫। অতি কম বয়সে যৌনতার স্বাদ পাওয়া
৬। ছোট বেলার পারিবারিক ভায়োলেন্স বা ঝগড়াঝাঁটি
৭। ছোটবেলার সেক্সচুয়াল অ্যাবিউজের স্মৃতি
৮। ফ্যামিলি থেকে ইমোশনাল সাপোর্ট না পাওয়া
৯। পিতার সাথে খারাপ সম্পর্ক
১০। খারাপ সঙ্গ
১১। দারিদ্র্য
১২। বেকারত্ব
১৩। পুলিশের তৎপরতার অভাব
১৪। সমাজে সেক্সচুয়াল ভায়লেন্সকে মেনে নেয়ার প্রবণতা এবং প্রতিবাদের ঘাটতি
১৫। রেইপ কালচারের প্রভাব
১৬। সামাজিকভাবে নারীদের দুর্বল ভাবার প্রবণতা
১৭। সমাজে উঁচু মাত্রার অন্যান্য অপরাধ ও ভায়লেন্সের আধিক্য
১৮। জবরদস্তীমুলক যৌন ফ্যান্টাসি।
১৯। মিডিয়াতে সেক্সের আধিক্য
২০। নারী বিদ্বেষ
২১। পুরুষতান্ত্রিক মন মানসিকতা
২২। অতি পুরুষত্ব প্রদর্শনের ইচ্ছা (হাইপার ম্যাসকুইলিনিটি)
২৩। ধর্ষকের আত্মহত্যার প্রবণতা
২৪। অতীতে ভিকটিম হওয়ার স্মৃতি বা অতীতেও ধর্ষণের রেকর্ড থাকা।

বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ১৫% থেকে ২০% নারী জীবনে অন্তত একবার ধর্ষিত হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে একটা ভয়ংকর তথ্য। এটা আমার বিশ্বাস হতে চায় না। এটা ভুল প্রমাণিত হলেই আমি খুশি হতাম। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন ১১৪৫ জন নারী প্রতিদিন ধর্ষিত হয় (রিপোর্টেড এবং আন রিপোর্টেড মিলিয়ে )। এটাও আমার বিশ্বাস হয় না। যদিও পরিসংখ্যান তাই বলে। বাংলাদেশে প্রতিদিন ১৩ জন নারী ধর্ষিত হয় (রিপোর্টেড)। আমরা যদি ধরে নেই যে ৯০% ধর্ষণ রিপোর্ট হয় না তাহলে এই সংখ্যা প্রতিদিন দাড়ায় ১৩০ জন। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের ৯ ভাগের এক ভাগ (প্রায়)। কিন্তু বাংলাদেশে ৯০% ধর্ষণের ঘটনা রিপোর্ট হয় না এটাও সম্ভবত সত্যি না। হয়তো এটা ৬০% বা ৭০% হতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশের অন্তত ৫০% নারী নির্যাতন মামলা হয় মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্রে ২% থেকে ৫% মামলা মিথ্যা।

উন্নত বিশ্বের সেকেন্ড ওয়েভ ফেমিনিসটরা ১৯৭০ সালের দিকে ‘রেইপ কালচার’ নামের একটা টার্ম ব্যবহার করা শুরু করে । এই টার্মটা সম্পর্কে তাদের ব্যাখ্যা হোল যে ধর্ষণ ব্যাপকভাবে ঘটছে এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ধর্ষণকে নরমাল ভাবা হচ্ছে। রেইপ কালচার সমাজে ঘটে যাওয়া রেইপকে গুরুত্ব দিতে চায় না। রেইপ কালচার যা করে ;

১। ধর্ষিতার উপর দোষ চাপায়।
২। ধর্ষিতার আচরণ বা পোশাককে উগ্র বলে
৩। নারীকে পণ্য হিসাবে সমাজে উপস্থাপন করে
৪। ধর্ষণকে অগ্রাহ্য করার প্রবণতা বা বড় কোন অপরাধ হিসাবে না দেখা
৫। সমাজে ব্যাপক মাত্রায় ধর্ষণ হচ্ছে সেটা অস্বীকার করার প্রবণতা।
৬। যৌন নির্যাতনজনিত ক্ষতিকে অগ্রাহ্য করার প্রবণতা

পরবর্তীতে ‘স্লাট ওয়াক’ এবং ‘মি টু’ মুভমেন্ট এই রেইপ কালচার নিয়ে কথা বলেছে। সেকেন্ড ওয়েভ ফেমিনিসটরা ৭০ এর দশকে মানুষকে বোঝাতে চেয়েছে যে রেইপ অ্যামেরিকায় ব্যাপকভাবে সংঘটিত হয়। নারীদের মধ্যে এই ব্যাপারে জাগরণ সৃষ্টি হয় তখন। তখনকার সময়ের ফেমিনিসট লেখিকারা অনেক বই লেখে যৌন নির্যাতনের উপরে। তার মধ্যে বিখ্যাত বই হোল ‘রেইপঃ দা ফার্স্ট সোরস বুক ফর উইমেন’ অথবা ‘এগেইন্সট আওয়ার উইলঃ মেন, উইমেন এন্ড রেইপ’। এই বইগুলিতে বেশ কয়েকজন ধর্ষিতার সাক্ষাৎকার আছে। এই লেখিকারা বলতে চেয়েছেন যে মানুষ যা ধারণা করে তার চেয়ে বেশী ধর্ষণ ঘটছে ব্যাপকভাবে। ব্রাউন মিলার নামের একজন লেখিকা বলেছেন যে একাডেমীক মহল এবং সাধারণ পাবলিক ধর্ষণের ঘটনাকে অগ্রাহ্য করে থাকে।

কেমব্রিজ ডকুমেন্টারি ফিল্ম ‘রেইপ কালচার’ ১৯৭৫ সালে তৈরি হয়। এই ফিল্মে দেখানো হয়েছে কীভাবে ম্যাস মিডিয়া এবং পুপুলার কালচার টিকিয়ে রেখেছে ধর্ষণের মন মানসিকতাকে। অ্যামেরিকার রেইপ কালচারের উপর এই ছোট ভিডিওটা দেখতে পারেন। দেখা যায় যে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট সহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি রেইপ করেছে। তাদের পক্ষে বলার লোকও অনেক সময় থাকে।


ফেমিনিসট এবং জেন্ডার কর্মীরা বলতে চায় যে ‘রেইপ কালচার’ হোল এমন একটা কালচার যেটা জেন্ডার ভায়োলেন্সকে উৎসাহিত করে। এই কালচার রেইপকে ‘মিথ’ বলতে চায় এবং সমাজে ঘটে যাওয়া রেইপকে ‘রাফ সেক্স’ বলে অথবা ধর্ষিতাকে ধর্ষণের জন্য দায়ী করে। এই কালচারকে উৎসাহিত করে পুলিশের উদাসীনতা, ধর্ষিতাকে দোষ দেয়ার প্রবণতা, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের না দাঁড়ানোর মনোভাব এবং ধর্ষিতার সামাজিক কালিমার ভয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা এবং সমাজের একটা অংশের নারী বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে রেইপকে সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা দেয়া হয়ে থাকে।

ফেমিনিসটরা বলতে চায় যে সমাজের অনেকের ধারণা হোল শুধু খারাপ মেয়ে বা দুর্ব্যবহার করা নারীরাই ধর্ষণের শিকার হয় এবং মনে করা হয় যে ধর্ষণের কারণ ছিল বলেই ধর্ষিত হয়েছে। ‘জাস্ট ওয়ার্ল্ড হাইপোথিসিস’ নামে একটা টার্ম আছে। এটার অর্থ অনেকটা ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’ এই প্রবাদের মত। মানে মেয়েরা তাদের চলাফেরা, আচরণ আর পোশাকের কারণে ধর্ষিত হয়।

অ্যামেরিকায় ধর্ষণের দুই তৃতীয়াংশ ঘটে পরিচিত লোকের দ্বারা। লেখক রবিন ওয়ারশ এই ব্যাপারে একটা বই লিখেছেন যেটার নাম ‘আই নেভার কলড ইট রেইপ’। রেইপ হওয়ার পরে রিপোর্ট না করার প্রবণতার সাথে ‘রেইপ কালচারের’ একটা সম্পর্ক আছে বলে মনে করে ফেমিনিসটরা। ফেমিনিসটরা মনে করে পর্ণগ্রাফির কারণে ধর্ষণ বাড়ছে এবং পর্ণগ্রাফি নারীকে পণ্যে পরিনত করছে। রেইপ কালচারের কারণে পুলিশের কাছে বা আদালতে ধর্ষণের ঘটনা হাল্কা হয়ে যায় অনেক সময়। অ্যামেরিকার আইনে ধর্ষিতার ঘাড়ে বারডেন অব প্রুফ দেয়া হয়। ফলে ধর্ষণের ঘটনায় শাস্তি কম হয়। এই কারণে অনেক ধর্ষিতা রিপোর্ট করতে আগ্রহী হয় না।

অ্যামেরিকার সেনা বাহিনীতে কোন এক বছরে ৩১৫৮ টা যৌন নির্যাতনের ঘটনার রিপোর্ট হয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট হয়নি আরও ১৯,০০০ ঘটনা। অর্থাৎ মাত্র ১৪% ঘটনা রিপোর্ট হয়। তার মধ্যে মাত্র ১০৪ জন শাস্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে নারী সদস্যদের সাথে এই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে আমার মনে হয় না। ঘটলেও খুবই বিরল ঘটনা। দুই একটা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ঘটনা আমি জানি যেটা উভয়ের সম্মতিতে হয়েছে। আমেরিকার সেনা বাহিনীর নারীদের যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধের কারণে মৃত্যুর সম্ভবনার চেয়ে সহকর্মীর দ্বারা ধর্ষিতা হওয়ার সম্ভবনা আরও বেশী। আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী আফগানিস্তানে প্রতি ৩ জন মার্কিন নারী সৈন্যের মধ্যে ১ জন ধর্ষিতা হয়েছে। অ্যামেরিকার আইন প্রনেতারা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর যৌন নিপীড়ন নিয়ে চিন্তিত।

অ্যামেরিকার ২০% বা তার অধিক নারী কাম্পাসে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। গবেষণায় দেখা গেছে অন্যান্য পশ্চিমা দেশেও অনেকটা একই অবস্থা। ১৯৯৩ সালে কানাডার একটা রিপোর্ট অনুযায়ী ৪৫% ছাত্রী কাম্পাসে কোন না কোন ভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। ১৯৯১ সালের নিউজিল্যান্ডের একটা রিপোর্ট অনুযায়ী ২৫% ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বা ধর্ষিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ৫১% বলেছে তারা কোন না কোন ধরণের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। ২০১১ সালের ইউকের একটা রিপোর্ট অনুযায়ী ২৫% ছাত্রী কোন না কোন ভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে আর ৭% ধর্ষণের শিকার হয়েছে বা ধর্ষিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

অধিকাংশ যৌন লাঞ্ছনার ঘটনা ছাত্রীরা রিপোর্ট করে না। এটার কারণ লজ্জা এবং বিব্রতকর অবস্থাকে ভয়। কাম্পাসের বাইরে রেইপের ঘটনা বেশী ঘটে। কাম্পাসের ভিতরে ধর্ষণের ক্ষেত্রে ৬০% ঘটনা ধর্ষিতার ডরমেটরি বা এপার্টমেন্টে ঘটে। ৮০% ক্ষেত্রে ধর্ষিতা ধর্ষককে আগে থাকতে চেনে।

কাম্পাসের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রায়ই আক্রমণকারী এবং ভিকটিম স্বীকার করে যে তারা মদ খাচ্ছিল। ২০০৭ সালের একটা জরীপে আছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভিকটিম নিজের ইচ্ছায় এলকোহল খাওয়ার পরে যৌন লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯৮ সালের একটা রিপোর্ট অনুযায়ী ৪৭% ক্ষেত্রে আক্রমণকারী স্বীকার করেছে যে সে মদ খাচ্ছিল। গবেষণায় দেখা গেছে মাতাল অবস্থায় ছাত্র বা ছাত্রীরা এমন অনেক আচরণ করে ফেলে যেটা স্বাভাবিক অবস্থায় তাদের করার কথা না। গবেষণায় উঠে এসেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজগুলিতে বন্ধু মহলে বেশী বেশী মদপান করা, মৌজ মাস্তি করা আর ক্যাজুয়াল সেক্স করা সামাজিক নর্মে পরিনত হয়েছে। মাতাল হয়ে গেলে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সেটার সুযোগ নেয় ছেলেরা।

বয়ফ্রেন্ড বেশী মদখোর হলে সেই মেয়ের যৌন লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার ঝুকি প্রায় ৪ গুণ। মদ খেয়ে মাতাল হওয়ার কারণে অনেক ভিকটিম রিপোর্ট করতে চায় না। কারণ তারা জানে মাতালের কথা পুলিশ বিশ্বাস করবে না। সমাজ বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে নর্থ অ্যামেরিকায় ধর্ষণ প্রবণ বেশ কিছু কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে ধর্ষণকে ম্যাসকিউলিনিটি প্রদর্শনের একটা উপায় হিসাবে দেখা হয় অথবা মেয়েদের শাস্তি দেয়া বা ভয় দেখানোর হাতিয়ার মনে করা হয়।

অ্যামেরিকার এই পরিসংখ্যানগুলি আমার বিশ্বাস হতে চায় না। আমি চাই এগুলি ভুল প্রমাণিত হউক। বাংলাদেশেও ধর্ষণ কম রিপোর্ট হয়। তারপরও সব ধর্ষণ হিসাবে নিলে বাংলাদেশের অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো বলা যায়। অন্তত তথ্য উপাত্ত তাই বলে। এই ব্লগে একমাত্র সোনাগাজী বলতে পারবে পরিসংখ্যান সত্যি কি না। কারণ অ্যামেরিকার তরুণী মেয়েদের সাথে ওনার কেমন যেন একটা মাখো মাখো সম্পর্কে আছে। তরুণী মেয়েরা তাদের সুখ দুঃখের কথা সোনাগাজি ছাড়া আর কাউকে বলে শান্তি পায় না। আর উনিও পারলে নিজের জীবনটা দিয়ে দেন এই ললনাদের জন্য।

সুত্র -
https://www.cdc.gov/violenceprevention/sexualviolence/riskprotectivefactors.html
https://en.wikipedia.org/wiki/Rape_in_the_United_States
https://en.wikipedia.org/wiki/Rape_culture
https://www.youtube.com/watch?v=ZmWBrN7QV6Y
https://en.wikipedia.org/wiki/Campus_sexual_assault
https://www.rainn.org/statistics/scope-problem
https://inside.southernct.edu/sexual-misconduct/facts

ছবি - 11thprincipleconsent.org

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার সম্ভবতঃ বিদেশী ডিগ্রী নাই। পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিতও না। আম্রিকান ডিগ্রী থাকার তো প্রশ্নই উঠে না। সেই জন্য আপনার জ্বলুনীও অত্যাধিক। এই পোষ্টের দাতভাঙ্গা জবাব দেয়ার ক্ষমতা একমাত্র কালবৈশাখী ঝড় বা টর্নেডোর। এমন জবাব দিবে যে, আম্রিকার দিকে চোখ তুলে তাকানো তো বহু দূরের কথা, নাম নিতেও দশ বার চিন্তা করবেন।

আম্রিকা সারা বিশ্বের রোল মডেল..........খালি তাদের সাবেক এক প্রেসিডেন্টকে কি এক দুই নাম্বার পর্ন তারকার সাথে লটর পটর করে ঘুষ দেয়ার জন্য গ্রেফতার করা হয়। তবে, মনে হয় এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা অথবা ডেমোক্র্যাট রাজাকারদের যড়যন্ত্র। আশা করি ইগনোর করবেন।

আপনার সু-বুদ্ধির উদ্রেক হোক!!!! X(

০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ২:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: না ভাই আমার কোন বিদেশী ডিগ্রি নাই। তবে ইউ কে ডিগ্রি দেয় এমন একটা প্রতিষ্ঠানে কিছু দিন পড়িয়েছি। :) তরুণ বয়সে একবার বিদেশ গিয়েও ফিরে এসেছি অবশ্য। বিদেশে পড়তে গেলে কত কত সুন্দরী ললনার কোমল সান্নিধ্য পেতাম সেই চিন্তা করে কেন যেন এই বুড়ো বয়সে এখন আফসোস হয়। :) জীবনে কত বড় একটা ভুল করলাম। :)

অ্যামেরিকা আসলে সব বিষয়েই রোল মডেল। ধর্ষণে রোল মডেল হবে না, তাই কি হয়। তবে এগুলি আসলে অ্যামেরিকাকে ছোট করার ষড়যন্ত্র মাত্র। :)

হাসান ভাই কিন্তু বাংলাদেশের সরকারকে এবং সরকারের ধারে কাছে যারা আছে তাদের ভীষণ ভালোবাসেন। তাই বাংলাদেশে ধর্ষণ হয় এই কথাই উনি বিশ্বাস করবে বলে আমার মনে হয় না। নিশ্চয়ই কোন শক্ত যুক্তি বাংলাদেশের পক্ষে দিবেন। আবার এমনও হতে পারে অ্যামেরিকায় ধর্ষণের উপকারিতা সম্পর্কেও কিছু জ্ঞান দিতে পারেন অবশ্য।

নীচের এই ভদ্রমহিলা একাই ৪ জন অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্টকে যৌন সেবা দিয়েছেন বলে দাবি করছেন। ৬৪ বছর বয়সে এই পেশা থেকে অবসরে গিয়েছেন। সত্যি কি না সেটা অবশ্য হাসান ভাই বলতে পারবেন। :)
With 500,000 satisfied clients including 4 American presidents US sex worker retires at 64

https://timesofindia.indiatimes.com/life-style/spotlight/with-500000-satisfied-clients-including-4-american-presidents-us-sex-worker-retires-at-64/articleshow/93876604.cms

২| ০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পোস্টটি লিখতে অনেক খাটুনি গিয়েছে। অনেক অথ্য উপাত্তনির্ভর পোস্টটিতে সিম্পলি লাইক দিলাম।

০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। বেশ কয়েক ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে এই পোস্টের জন্য। নাই কাজ তো খই ভাঁজ টাইপের পোস্ট এটা। :)

৩| ০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পরিশ্রম দেখে অবাক হচ্ছি।
শুনুন, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ভালো দেশ হচ্ছে আফগানিস্তান। এরপর পাকিস্তান। এরপর বাংলাদেশ। তারপর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলো। অর্থ্যাত মুসলিম দেশ গুলো ভালো।

অমুসলিম দেশ গুলো খারাপ। সবচেয়ে খারাপ।
অমুসলিম দেশ গুলোতে খুন, ধর্ষন, চুরী, ছিনতাই, ডাকাতি সব সময় বেশি হয়। চাঁদগাজী বর্তমানে যে দেশ অবস্থান করছেন সেটাই পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ দেশ।

কি খুশি?
থাকুন খুশি।

০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সোনাগাজী সাহেবের কাছে অ্যামেরিকার তরুণীরা তাদের সুখ দুঃখের কথা শেয়ার করে আপন ভেবে। উনিও পারলে এই তরুণীদের জন্য জীবনটা দিয়ে দেন। মাঝে মাঝে অবশ্য কান মলাও খান বাড়াবাড়ি করার জন্য। :) তাই একমাত্র সোনাগাজীই অ্যামেরিকার মেয়েদের সুখ দুঃখের কথা বলতে পারবেন। আমার এই পরিসংখ্যান উনি সার্টিফাই না করে দিলে এই পোস্টের কোন মূল্য নাই। আপনি তো ওনার সাগরেদ। আপনার সারটিফিকেশনে কাজ হবে না।

৪| ০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:



হ্যালো মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড সাচু :)
আবারও??

পৃথিবীর সব দেশেই রেইপ কেইস আছে এবং থাকবে কম বা বেশি।
সেটা যুক্তরাষ্ট্র বা অস্ট্রেলিয়া হোক, অথবা বাংলাদেশ, ইরান হোক।

কোন দেশেই ১০০% রিপোর্ট হয়না।
পোষ্টে উল্লেখিত কারণে অনেক কেইস আড়ালে থেকে যায়, সেটাও সব দেশেই হয়, কোথাও কম কোথাও বেশি।

আমি সেই পোষ্টে যেটা বলতে চেয়েছি, আবারও বলি। যেসব দেশে আইন আছে কিন্তু সেটার প্রয়োগ নেই, অর্থ দিয়ে মানুষ ক্ষমতা কেনে অথবা ক্ষমতা থাকলে সেটা দিয়ে অর্থ বানায়, অর্থ বা ক্ষমতার অপব্যবহারে আইন জিম্মি হয়ে থাকে সেখানে অপরাধ কতটা রিপোর্টেড বা একুরেট সেটা নিয়ে ডাউট থাকে। এটাই বলতে চেয়েছি।

অপরদিকে যেসব দেশে আইনের সঠিক প্রয়োগ হয়, দুর্নীতি তুলনামুলকভাবে কম, মানুষের ওপর কোন সোশ্যাল বা ধর্মীয় প্রেশার নেই, লোকলজ্জার ভয় নেই, ওখানে অবশ্যই অনেক বেশি অপরাধ রিপোর্ট হয় এবং তাদের সার্ভে বা রিপোর্টে একুরেসি থাকে, আবারও বলছি তুলুনামুলকভাবে।

আরেকটা কথা, সেই পোষ্টের মুল বক্তব্য ছিলো, মুসলিম কম অপরাধ করে, অমুসলিম বেশি অপরাধী।
এটাই সাচু বলতে চেয়েছে, তাই নাহ?
যেটা একটা বেইজলেস যুক্তি, আমার কাছে তাই মনে হয়।

বিশ্বের কতভাগ মুসলিম, তাদের সংখ্যা কম, অপরাধ কম, অমুসলিম বা নন রিলিজন সংখ্যায় বেশি তাই তাদের মাঝে অপরাধীও বেশি। মূলকথা, অপরাধী হচ্ছে অপরাধী, তার আবার ধর্ম কি?

Haron Monis ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়াতে যখন লিন্ড ক্যাফেতে মানুষ মারে তখন কি আমরা বলি ওটা একজন মুসলিম? নাহ বলিনা, বলি সে একজন সাইকোপ্যাথ, মেন্টাল। কারণ সত্যিকার ধর্মপ্রাণ মানুষ সুস্থ মস্তিষ্কে এ কাজ করতে পারে না। Holey Artisan ২০১৬ ইন্সিডেন্টে যারা হত্যাকারি ছিলো তাদেরকে কি আমরা প্র্যাকটিসড মুসলিম বলবো, অবশ্যই না, ওদের পরিচয় ওরা টেররিস্ট। ২০১৯ নিউজিল্যান্ডে মসজিদে ৫০ জন মারা গেলো সেই হত্যাকারী ব্রেনটনকে কি আমরা একজন খ্রীষ্টিয়ান বলবো? না, বলবো একজন এক্সট্রিমিস্ট।
যে অপরাধ করে তার পরিচয় ধর্ম দিয়ে না তার কর্ম দিয়ে, একটাই পরিচয় সে অপরাধী।
সে অপরাধ রেইপ হোক বা মার্ডার হোক, কোন ধর্মের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা সেটা ম্যাটার করে না।

সাচুর সেদিনের পোষ্টকে মনে হয়েছে একটা ডিসক্রিমিনেশনকে এনকারেজ করছে।
Say NO to any crime, religion doesn’t matter.


০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হ্যালো, মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড মিরোরডডল।

সাচু বুঝতে পেড়েছে কি বলতে চাচ্ছে। :)

নাই কাজ তো খই ভাঁজ টাইপের পোস্ট এটা। এটা নিয়ে এতো না ভাবলেও চলবে। :)

শায়মা আপুর কাছে হালাল মদের রেসিপি চেয়েছি। দেখি উনি দেয় কি না। উনি আমাকে ভাং মিশানো শরবত খেতে দিয়েছেন। :) আরও কি মিশিয়েছেন সেটা উনি জানেন আর আল্লাহ জানে। :)

৫| ০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫০

নতুন বলেছেন: সাচু ভাই আপনি এই জাতীয় পোস্ট দিয়ে কি বোঝাতে চাইছেন আমি ঠিক বুঝিনাই।

কারন কোন ধর্মই অপরাধ করতে উতসাহিত করেনা। বরং সকল ধর্মই ভালো কাজ করতেই বলে।

তাই আপনি যেমন কোন জঙ্গী আক্রমনকে ইসলামী শিক্ষার প্রতিফলন হিসেবে মেনে নেবেন না। তেমনি অন্য ধর্মেরের কেউ কোন অপরাধ তাদের ধর্মের শিক্ষার ফল বলে মানবেনা।

তাই আপনি যখন বলবেন যে মুসলিম কম অপরাধ করে, অমুসলিম বেশি অপরাধী। এটা কেমন যেন শোনায়।

কোন নারী যেন ধর্ষনের অভিঙ্গতা না হয় সেই কামনাই করি। কারন ধর্ষন/এসিডে ঝলসে যাওয়ার মতন ঘটনা মৃত্যুর চেয়েও ভয়াবহ বলে আমার কাছে মনে হয়। কারন এই ক্ষত আজীবন বয়ে বেড়াতে হয় মনে/শরীরে। :(

০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক অপরাধ সকল ধর্মে নিষেধ। উদাহরণগুলি আগের পোস্টে দিয়েছি। ওরা ধর্ম ঠিকভাবে মানলে অপরাধের শীর্ষে ওরা থাকতো না। একজন কয়েক দিন আগে বলেছেন যে মুসলমানরা ধর্ম ঠিকভাবে মানে না। শুধু নামাজ, রোজা করে। আমি বলতে চাচ্ছি অন্য ধর্মের লোকেদের অবস্থা আমাদের চেয়েও খারাপ। ঐ পোস্টের জবাবে আগের পোস্টটা দিয়েছিলাম। আপনি আগের পোস্টে বলেছেন যে উন্নত দেশে রেইপ বেশী রিপোর্ট হয় বাংলাদেশে হয় না। যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ২৫% থেকে ৩৫% রেইপ কেস রিপোর্ট হয়। ১০০ টা কেস রিপোর্ট হলে হলে মাত্র ১ টা কেসে সাজা হয়। অনেক ক্ষেত্রে সাজা মাত্র কয়েক মাস জেল। বলার উদ্দেশ্য হোল আমাদের দেশের চেয়ে অ্যামেরিকায় ধর্ষণের অবস্থা অন্তত ৫ গুণ খারাপ। প্রতি ১০৭ মিনিটে একটা মেয়ে ধর্ষিতা হয়। বেশীর ভাগ ধর্ষণ ঘটে ধর্ষিতার ঘরের মধ্যে। এটা কোন ধর্মীয় বিষয় না। উন্নত বিশ্ব বনাম আমাদের মত অনুন্নত দেশে ধর্ষণের প্রকৃত চিত্র। ওদের দেশে ১৫% থেকে ২০% নারী জীবনে একবার অন্তত ধর্ষণের শিকার হয়। আমাদের দেশে কখনওই এত হয় না। অ্যামেরিকায় ৭৪% ধর্ষণ করে থাকে পরিচিত লোক। অনেকে রিপোর্ট করে না কারণ পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয় না। অনেকে ধর্ষকের ভয়ে রিপোর্ট করে না। অনেকে করার মত প্রয়োজনই বোধ করে না। প্রচুর ধর্ষণ হয় মদের কারণে। ধর্ষিতা মাতাল থাকলে তার কথা পুলিশ বিশ্বাস করে না। ওখানকার নারীবাদীরা বলছে ওখানে ধর্ষণকে গুরুত্ব দেয়া হয় না। দেশের বিচার প্রক্রিয়া ধর্ষকের অনুকূলে না। ওদের দেশের প্রেসিডেন্ট ধর্ষণ করে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ায়। অনেকে তাকে সমর্থন করে। নারীবাদীরা এটাকে বলতে চাচ্ছে 'রেইপ কালচার'। অর্থাৎ ঐ সমাজে রেইপ হওয়ার মত উপাদান বেশী। এটার বিভিন্ন কারণ আছে। আমার পোস্ট ভালো করলে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন। আগের পোস্টে কিছু ধর্মীয় কারণ থাকলেও এই পোস্টের উদ্দেশ্য হোল প্রমাণ করা যে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ধর্ষণ কম হয় ( রিপোর্টেড এবং আন রিপোর্টেড সহ) সেটা বোঝানো।

৬| ০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭

জ্যাকেল বলেছেন: আমেরিকানরা অন্য দশ জাতের মতই এক জাতি সেটা আমরা তাদের উন্নতি দেখে ভুলে যাই। তাদেরও ক্ষয় আছে, তাদেরও ভুল, সমস্যা আছে; এসব অগ্রাহ্য করে কেহ যদি মনে করেন আর্থিকভাবে প্রান্তিক শ্রেণি মাত্রই সব দিক দিয়ে দুর্বল তা উহার মুর্খতা বৈ কিছু নহে।

০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একমত। বর্তমান যুগে দেশে বিদেশে নারী নির্যাতন বেশী হয় অফিসগুলিতে। এখানে যারা থাকে তারা সুট বুট পড়া থাকে। কিন্তু তারপরও এই সচ্ছল শ্রেণীর লোকেরা নারীদের যৌন হয়রানি করে, যৌন নির্যাতন করে এবং অনেক ক্ষেত্রে সু সেযোগ পেলে ধর্ষণ পর্যন্ত করে। ভালনারেবল হলেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে পারে। সেটার মধ্যে ধনী, গরীব বলে কিছু নাই। আমাদের দেশে বেশ অনেক বছর আগে ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকের মেয়েকে ধর্ষণ এবং হত্যা করা হয় তার বাড়ির মধ্যে। তাই ধনী বা গরীব বলে কথা না। ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের ঘটনা সকল স্তরেই ঘটে থাকে। অনেকে বলার চেষ্টা করে যে উন্নত দেশে আইন শৃঙ্খলা অনেক উন্নত তাই আমাদের দেশের চেয়ে ওদের দেশে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণ কম হয়। এই কথার মধ্যে ফাঁক আছে। অন্তত অ্যামেরিকার চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ধর্ষণের ক্ষেত্রে ভালো। অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আছে। কোন বিচার তো হচ্ছে না।

৭| ০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:




সেদিনের পোষ্টে আরও একটা কথা বলার ছিলো।
পাশ্চাত্যে যেমন অনেক কিছু পারমিটেড যেগুলো সব ধর্মেই হয়তো নিষেধ আছে, সেরকম এমন অনেক মুসলিম কান্ট্রি আছে যেখানে ওদের ডেইলি লাইফ বা ওদের দেশের আইনে, অনেক অপরাধকে কোন অপরাধ বলেই মনে করে না, কারণ ওটাই তাদের লাইফ। কিছু মুসলিম দেশে নারীর ভুমিকা একটা সেক্স টয় ছাড়া আর কিছু না, তারা জন্মায়, সেবা দেয়, তারপর মরে যায়। ওরা যে মানুষ, ওদেরও একটা চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে, সেটা কাউন্টেবলই না। কিছুদিন আগে ইরানে কি হয়ে গেলো আমরা সবাই দেখেছি। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা যদি মানবাধিকারের দৃষ্টি থেকে দেখি তাহলে ওইসব দেশের মাক্সিমাম পুরুষই অপরাধী তারা যেভাবে অসম্মানজনকভাবে নারীদেরকে ট্রিট করে কিন্তু এসব কি সেই অপরাধ লিস্টে আছে!!!

রেইপ বা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স লিষ্টে ছিলো কিন্তু রেন্ডম সেক্সচুয়াল এবিউজ মেন্টালি ফিজিক্যালি এনিহোয়ার বাসায় বা বাইরে এগুলো লিষ্টেই উল্লেখ নেই। যদি থাকতো আর তাদেরকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হতো, তাহলে হয়তো বোঝা যেত কোথায় অপরাধ বেশি আর কম। এনিওয়ে, এ নিয়ে আর কথা না বলি।

শায়মাপুর ভাং শরবতে ভেজাল ছিলো, কাজতো হয়নি :)

০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডলের সাথে ঝগড়া করবো না কখনও। যত ঝগড়া করবো শায়মা আপুর সাথে। কারণ উনি শরবতে ভাং মিশিয়ে দিয়েছেন। :) আরেকটা কারণ হোল ওনার সাথে ঝগড়া করে মজা আছে। :)

৮| ০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

নিমো বলেছেন: তারপরও এসব দেশে যাওয়া ও থাকার জন্য সবাই অস্থির কেন ? (এই বিযয়ে কোন গো-খোঁজা থাকলে জানান)। ব্লগের অনেক ধর্মের ঠিকাদারও দেখা যায় বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক রাজধানীতে(একই সাথে অপরাধেরও) আছেন। এটার কারণই বা কী ?

০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পেটে খাইলে পিঠে সয়। পৃথিবীতে টাকা পয়সা, আয় রোজগারটা অনেক বড় জিনিস। এই দেশে লাত্থি গুতাও মানুষ খায় কিন্তু আয় রোজগার, অধিকার এগুলি নাই। জীবিকার তাগিদ অনেক বড় জিনিস। অর্থনৈতিক মুক্তি অনেক বড় জিনিস। এই দেশের গার্মেন্টসে অনেক নারী নির্যাতন হয়। তারপরও অসহায় মেয়েরা এই আশায় যায় যে অন্তত অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়া যাবে। আর তাছাড়া নিজে ঠিক থাকলে উন্নত দেশে সমস্যা নাই। কৌশলী হতে পারলে যে কোন দেশেই থাকা যায়। এই দুর্নীতির বাংলাদেশে বহু মানুষ রাজার হালে আছে। দুঃখ, কষ্ট কি জিনিস তারা জানেই না।

এখনকার যুগে মানুষকে গ্লোবাল সিটিজেন হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। লন্ডন, অ্যামেরিকার মুসলমানরা অনেকেই আমাদের চেয়ে বেশী ধর্ম মানে। ওখানে এই সব বিষয়ে অনেক স্বাধীনতা আছে। ধর্ষণ, নারী নির্যাতন এড়ানোর অনেক কৌশল আছে। মানুশের লাইফ স্টাইলের উপরে নির্ভর করে সে কি ধরণের সমস্যায় পড়বে বা কি সুযোগ পাবে। একজন মুসলমানের স্বাধীনতা আছে অ্যামেরিকা যাওয়ার। জীবন যাত্রার সার্বিক মান অবশ্যই অ্যামেরিকাতে ভালো। শুধু নারী নির্যাতনের কথা কেউ চিন্তা করে না। যে যেখানে থাকতে ভালো মনে করে সেখানেই থাকবে। কিন্তু টাকা পয়সা, অর্থনীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। সার্বিকভাবে বিচার করতে হবে কোন দেশ কার জন্য ভালো।

৯| ০১ লা মে, ২০২৩ রাত ৮:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: অনেক ব্যাপক আলোচনা। এই বিষয়ে কথা বলার মতো মানুষিক অবস্থা আপাতত নাই। তাই চুপ থাকা শ্রেয় মনে করছি তবে মিরর এর সাথে একমত পোষন করছি। তবে পুরা পোস্টের শেষে আপনি অহেতুক গাজীসাব কে টেনে এনে পোস্টার উদ্দেশ্য কিছুটা ব্যাহত করেছেন। ধরে নিলাম উহা কৌতুকছলে করেছেন কিন্তু তাহার ফলাফল কিন্তু প্রথম কমেন্টেই পেয়ে গেছেন।

০২ রা মে, ২০২৩ রাত ১:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গাজী সাহেব এই মশকরা হজম করতে পারবেন।

১০| ০২ রা মে, ২০২৩ রাত ১২:২৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আমেরিকার ধর্ষণবিদ্যা জেনে বাঙালীদের মধ্যে, যারা ওয়াজ করে তাদের প্রিন্ট করে ধরিয়ে দেন দেখবেন,আপনাকে প্রধান অতিথি বানাবে।

০২ রা মে, ২০২৩ রাত ১:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক কথা আমার পোস্টে না বললে ভালো হয়। এখানে ওয়াজ আর ইসলাম ধর্ম কোথায় পেলেন। পোস্ট ভালো না লাগলে দূরে থাকেন।

১১| ০২ রা মে, ২০২৩ রাত ১২:৩০

কিরকুট বলেছেন: সাউদিতে ঘরয়া ধর্ষনের কোনরুপ নথীভুক্ত হবার আদৌ কোন সুজোগ আছে? আরব বিশ্ব ধর্ষনের চ্যাম্পিয়ান ইহার খবর রাখেন?

০২ রা মে, ২০২৩ রাত ১:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অ্যামেরিকার বেড রুমের খবরও কারও জানার কথা না। আরব বিশ্বের পুরুষেরা পশ্চিমা পতিতাদের কিনে এনে ভোগ করে। ধর্ষণ করার দরকার হয় বলে মনে হয় না। টাকার কারণে পশ্চিমের মেয়েরা এখানে আসে আরবদের সাথে স্বেচ্ছায় শোয়ার জন্য। তবে গৃহকর্মী নির্যাতন এদের অনেকে করে থাকে। তারপরও ধর্ষণে অ্যামেরিকার সাথে পাল্লা দিয়ে পারে না এরা। এছাড়া ওখানে ব্যভিচার আছে। কিন্তু ধর্ষণ করার সুযোগ এবং পরিস্থিতি কম। ওদের টাকা আছে ধর্ষণ করার দরকার পড়ে না। মেয়েদের কিনে ফেলে ভোগ করার জন্য।

১২| ০২ রা মে, ২০২৩ ভোর ৪:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্ষণের বিচার করার জন্য শরীয়া আইন কি বলে।চার জন প্রত্যষ সাক্ষী লাগবে।এমন সাক্ষী যে দেখেছে নারীর যৌনাক্ষে পুরুষের লিঙ্গ প্রবেশ করেছে।নয়তো ধর্ষককে বলতে হবে আমি ধর্ষণ করেছি।

০২ রা মে, ২০২৩ সকাল ৭:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্রে শরিয়া আইন নাই। এখানে অ্যামেরিকা আর বাংলাদেশের ধর্ষণ নিয়ে কথা হচ্ছে। আরব দেশ টানার দরকার নাই।

১৩| ০২ রা মে, ২০২৩ সকাল ১০:০৫

এভো বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি? নিয়ে অনেক তথ্য দিলেন । নীচের দেশ গুলোর পরিসংখ্যান দিবেন কি ?

সৌদি আরবে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি?
পাকিস্থানে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি?
আরব আমিরাতে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি?
বাংলাদেশে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি?
ইরাণে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি?
ইরাকে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি?
আফগানিস্থানে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি?
ভারতে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি?
নেপালে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি?
বার্মাতে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি?
মালোয়েশিয়াতে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি?
ইন্দোনেশিয়াতে ধর্ষণ সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় কি?
আমারা জানি এর উত্তরে শুধু ভারত, নেপাল এবং বার্মার পরিসংখ্যান আনবেন বাকি গুলো চেপে যাবেন <

০২ রা মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশে যদি মাত্র ১০% ধর্ষণ নথিভুক্ত হয় এবং বাকিগুলি যদি যোগ করা হয় তারপরও বাংলাদেশে ধর্ষণ অ্যামেরিকার চেয়ে কম হয়। অ্যামেরিকায় ৬৬% ধর্ষণ রেকর্ড হয় না। অনেক রিপোর্টের মতে তার চেয়েও বেশী। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই আন রিপোর্টেড ঘটনা অ্যামেরিকার কাছাকাছি হবে বলে আমার মনে হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ টা ধর্ষণ পুলিশে রিপোর্ট করলে মাত্র ১টার সাজা হয়। অনেক ক্ষেত্রে সাজা হয় মাত্র কয়েক মাসের জেল। যুক্তরাষ্ট্রে কত লক্ষ নারীকে ট্রাফিকিংয়ের মাধ্যমে সেক্স স্লেভ বানায় সেটা কি জানেন? যুক্তরাষ্ট্রের আফগান যুদ্ধে যাওয়া নারী সৈন্যের ৩ জনে ১ জন ধর্ষিতা হয়। দেশের ভিতরেও নারী সৈন্যদের অবস্থা খারাপ। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে এরকম ঘটনা একটাও খুঁজে পাবেন না।

আমি বাংলাদেশ আর অ্যামেরিকার ধর্ষণের তুলনা করেছি কারণ অনেকে আমার আগের পোস্টে বলেছে যে বাংলাদেশে ধর্ষণ কম রেকর্ড হয়। আমি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি সবগুলি রেকর্ডে নিলেও বাংলাদেশের অবস্থা অ্যামেরিকার চেয়ে ভালো। অন্য কোন দেশের ব্যাপারে আমার কোন মতামত নাই। তারপরেও বলা যায় যে অ্যামেরিকার চাইল্ড সেক্স, পর্ণ ইন্ডাস্ট্রির যৌন নির্যাতন এবং কয়েক লক্ষ সেক্স স্লেভকে হিসাবে নিলে (নারী ট্রাফিকিং) ওদের অবস্থা আরব দেশগুলির চেয়ে খারাপ হবে বলে আমার ধারণা।

আরেকটা ব্যাপার হোল শুধু পুলিশ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করা হয় না। অনেক স্বাধীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান এবং নারী উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরীপ করার অনেক টেকনিক আছে। সেগুলি ব্যবহার করা হয়।

১৪| ০২ রা মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

জ্যাকেল বলেছেন: @এভো

আপনার যাবতীয় প্রচেষ্টা হইতেছে ইসলামকে হেয় কৈরা দেখা। করেন, যা পারেন, তবে নলেজ থেকে যদি পারেন দেইখেন-

আকাশের গায়ে থুথু ফেলিলে উহা নিজ মুখেই আইসা পড়ে!

০২ রা মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এভো মুসলমান কি না এটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

১৫| ০২ রা মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী কমেন্ট ব্যানে আছেন। তাই ম্যাও প্যাও টাইপ লেখা লিখতে থাকুন। কেউ ভুল ধরিয়ে দেবার নাই। কেউ সঠিকটা দেখিয়ে দেবার নেই। এই তো সুযোগ। এটাই তো চেয়েছিলেন আপনারা।

আপনারা পছন্দ করেন চাটিকারিতা আর তেলবাজি। সত্যটা গ্রহন করার মানসিকতা আপনাদের নেই।

০২ রা মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সোনাগাজী কি আপনাকে শিখিয়ে দিয়েছে এগুলি লেখার জন্য। সোনাগাজী যখন ব্যান মুক্ত হবে তখন সে বলবে। সোনাগাজী আপনার মত এতো ধৈর্যহীন না।

১৬| ০২ রা মে, ২০২৩ রাত ১০:২৭

শায়মা বলেছেন: দেখতে এসেছিলাম কেনো তোমার এত রাগ হলো আজ? কি লিখেছো যে নিজেই খেপে গেলে?


আর দেখতে এসে বুঝলাম যাই হোক না কেনো মানে যাই বুঝি না কেনো এই মন্তব্য পড়ে বুঝলাম ঝগড়া করতে গিয়ে মজার বদলে আরও মেজাজ খারাপ হলো তোমার??? :P


লেখক বলেছেন: মিরোরডডলের সাথে ঝগড়া করবো না কখনও। যত ঝগড়া করবো শায়মা আপুর সাথে। কারণ উনি শরবতে ভাং মিশিয়ে দিয়েছেন। :) আরেকটা কারণ হোল ওনার সাথে ঝগড়া করে মজা আছে।


যাইহোক নো মেজাজ খারাপ!!! তোমার মতে তুমি থাকবে। তার মতে সে থাকবে মিররের মতে মিরর থাকবে। যাই থাকুক না কেনো। এই মত বিনিময়ে কেউ কেউ বদলাবে কেউ কেউ বদলাবে না শুধু রাগ করার কিছু নেই। একে অন্যের মত নিয়ে ভাবার জন্যই তো ব্লগ! :)

০২ রা মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি কি আপনার উপদেশ চেয়েছি। অযাচিত উপদেশ না দিলেও চলতো। এই পোস্টে না আসলেও চলতো। এই সব পোস্ট আপনার ভালো লাগবে না। কখনও উপদেশ লাগলে আমি আপনাকে জানাবো।

১৭| ০২ রা মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

শায়মা বলেছেন: শায়মা বলেছেন: দেখতে এসেছিলাম কেনো তোমার এত রাগ হলো আজ? কি লিখেছো যে নিজেই খেপে গেলে?


চোখে দেখো না কি বলেছি???? X((

আমি জীবনেও এই পোস্টে আসতাম না। শিরোনাম দেখেই বুঝেছিলাম ইহা আমার জন্য নহে।

আমার পোস্টে তোমার কমেন্ট দেখেই তো দেখতে আসলাম নাকি কান্না কেনো এই রাত দুপুরে।

০৩ রা মে, ২০২৩ রাত ১২:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা ঠিক না।

১৮| ০৩ রা মে, ২০২৩ ভোর ৫:৪৭

জটিল ভাই বলেছেন:
আজকাল ব্লগ লিখা বড্ড প্যারাময়। সামষ্টিক বিষয় নিয়ে লিখলেও সেটা ব্যক্তিগত হয়ে যায়! হায় সেকুলাস!!! সত্যিই বড্ড বিচিত্র এই ব্লগ!!!

০৪ ঠা মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ব্যাপারটা ধরতে পেড়েছেন। অনেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে বা মুসলমানদের সম্পর্কে Preconceived বা biased ধারণা থেকে মন্তব্য করেছেন। যার ফলে আমার উপস্থাপিত পরিসংখ্যান তাদের বিশ্বাস হচ্ছে না। আমি বলতে চেয়েছি যে দরিদ্র বাংলাদেশ তো কখনই যুক্তরাষ্ট্রের মত উন্নত না। বলতে গেলে সব সুচকেই বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ হবে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। কিন্তু তারপরও ধর্ষণ বাংলাদেশে অ্যামেরিকার চেয়ে বেশী হয় না। এই সরল সত্যটা কেউ স্বীকার করতে চাচ্ছে না। কিন্ত অনেকেই রিপোর্ট কম হয় বলে বুঝাতে চাচ্ছে যে বাংলাদেশে ধর্ষণের অবস্থা অ্যামেরিকার চেয়েও খারাপ। আমি বলছি শুধু ধর্ষণের কথা কিন্তু তারা অন্যান্য অপরাধকে যোগ করছেন। আমার ধারণ ইভ টিজিং এবং সেক্সুয়াল এসলট অ্যামেরিকাতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশী হয় ওদের স্কুল কলেজগুলিতে। ২০০০ সালের একটা পরিসংখ্যান অনুযায়ী অ্যামেরিকার ৮ম শ্রেণী থেকে ১১ শ্রেণী পর্যায়ে ৮৩% মেয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়। এই জরীপ করেছে অ্যামেরিকান আসোসিয়েশন অব ইউনিভারসিটি উইমেন। আর অকারণেই ইসলাম ধর্মকে সামনে এনে আরব দেশের তুলনা করছে। আমি আরব দেশকে নিয়ে এখানে লিখি নাই। আরব দেশেও অ্যামেরিকার মত রেইপ হয় না। বলবে যে আরবে গৃহ কর্মীদের ধর্ষণ করা হয়। তাহলে বলতে হবে আমেরিকাতেও কয়েক লক্ষ সেক্স স্লেভ আছে যাদেরকে পাচার করে আনা হয় বিভিন্ন দেশ থেকে। আর মিডল ইস্টে অনেক দেশের গৃহকর্মী জেনে বুঝেই সেই দেশে এই কাজে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।

অ্যামেরিকাতে অনেক রিপোর্ট অনুযায়ী ২০% এর কম রেইপ রিপোর্ট হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারিতে এক বছরে ২০,০০০ থেকে ২৪,০০০ সেক্সূয়াল এসলট হয়েছে যার মধ্যে বহু রেইপ আছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে এই রকম দুই একটা ঘটনা ঘটে কি না আমার সন্দেহ আছে। বাংলাদেশে এটা ০% হবে বলে আমার বিশ্বাস। এটা দিয়ে অ্যামেরিকানদের সেক্সুয়াল ভায়োলেন্সের প্রবণতা বোঝা যায়। অ্যামেরিকাতে প্রতিদিন ৭০ জন নারী ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করে। বাংলাদেশে ধর্ষণের কারণে এতো বেশী আত্মহত্যা হয় না। অনেকে বলেছে আমার পরিসংখ্যানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে পার্টনার রেইপও ধরা হয়েছে। আমি বলবো ধরা হয় নাই। পার্টনার রেইপের হিসাবে আলাদা রাখা হয়। আর যদি ধরেও নেই যে তাদের কথা ঠিক তাহলে বলতে হয় বাংলাদেশের ৮০% নারী নির্যাতন মামলা মিথ্যা হয় সেগুলিও বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে ধরা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ১% কেসে ধর্ষকের শাস্তি হয়। অনেক ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক মাস জেল হয়। আমাদের দেশে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যু দণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। যদিও প্রকৃত বিচারের অবস্থা অ্যামেরিকার মতই হবে হয়তো। ওদের দেশের আইনের দুর্বলতা বা ফাকের কারণে ধর্ষক মুক্তি পেয়ে যায়। তাই শুধু বাংলাদেশকে কেন দোষ দেয়া হচ্ছে। অ্যামেরিকার মত আইনের শাসনের দেশে মাত্র ২০% থেকে ৩৫% রেইপ রিপোর্ট হয়। অনেকেই বলেছে আইনী প্রক্রিয়ার জটিলতা এবং পুলিশের প্রতি আস্থা না থাকার কারণে তারা রিপোর্ট করে না। তবে আরও কারণ আছে। বাংলাদেশের জরীপ তো সরকার করে না। বরং করে দেশ বিদেশের নারী অধিকার সংস্থাগুলি। সেখানে দুর্নীতি নাই বলেই রিপোর্টেড কেইসের বাইরে অনেক আন রিপোর্টেড কেস প্রকাশ পায়। সরকার লুকাতে চাইলেও নারী উন্নয়ন সংস্থাগুলি ছেড়ে দেয় না। তারা সত্যি কথা বের করে ফেলে। সরকারের দুর্নীতির সাথে এই জরীপের কোন সম্পর্ক নেই এটা অনেকেই বুঝতে চাচ্ছে না। অনেকে ভাবছে এই তথ্য শুধু সরকারি সংস্থা দেয়। কথাটা ভুল। বিভিন্ন বিশ্বাস যোগ্য সূত্র থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়।

সার্বিকভাবে গড় করলে মুসলিম দেশগুলিতে ক্রাইম রেট কম। এই ক্রাইম রেট হিসাব করার সময় জনসংখ্যাকে মাথায় রাখা হয়। এই কারণেই প্রতি লাখে কত ক্রাইম হয় সেটা নির্ণয় করা হয়। ফলে মুসলমানদের জনসংখ্যা কম হলেও যখন প্রতি লাখে হিসাব করা হয় তখন প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠে। যুদ্ধ বা গৃহযুদ্ধ চলছে যে মুসলিম দেশগুলিতে সেখানকার পরিসংখ্যানের সাথে একটা সাধারণ দেশের পরিসংখ্যান মিলবে না। আর এই যুদ্ধের সাহায্য এবং উস্কানি দেয় উন্নত দেশগুলি। বিশ্বে অপরাধের সাথে ধর্মের সম্পর্ক নিয়ে অনেক গবেষণা অতীতেও হয়েছে এখনও হচ্ছে। অপরাধ বিজ্ঞানীরা অপরাধের সাথে ধর্মের সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করেন। আমি এখানে ধর্ষণের তুলনা করেছি অ্যামেরিকার সাথে। কিন্তু অনেকে এটার বাইরে অন্য যৌন হয়রানিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেটা তো আমার পোস্টের বিষয় না। বাংলাদেশে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স অনেক বেশী হয় সেটা তো আমার আগের পোস্টেই উল্লেখ করেছি। ধর্ষণের সাথে এটাকে মিশানোর দরকার কি। ধর্ষণ সব চেয়ে বড় যৌন ক্রাইম তাই ধর্ষণের কথা বলেছি। কোন দেশের অধিকাংশ পুরুষ যৌন অপরাধী হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। এই ধরণের চিন্তা মাথা থেকে ফেলে দেয়াই ভালো বলে আমি মনে করি।

১৯| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ১১:২৪

এভো বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন: @এভো
আপনার যাবতীয় প্রচেষ্টা হইতেছে ইসলামকে হেয় কৈরা দেখা। করেন, যা পারেন, তবে নলেজ থেকে যদি পারেন দেইখেন-
আকাশের গায়ে থুথু ফেলিলে উহা নিজ মুখেই আইসা পড়ে!

আপনি জ্যাকেল মানে শিয়াল পন্ডিত , অতি চালাক চতুর কিন্তু এটা কি প্রশ্ন করলেন ? এই লিখার মূল ইনটেনশনটা কি ? কেন এই লেখক ইনিয়ে বিনিয়ে আমেরিকার পরিসংখ্যান নিয়ে এসেছে । কারন খুবই স্পষ্ঠ । সে কারনে আমি মুসলিম দেশ গুলোর পরিসংখ্যান চেয়েছি ।
ওনার মতি গতি তো আমরা জানি, এই লিখার পিছনের উদ্দেশ্য হোল ওনার পেয়ারের দেশ গুলোর চিত্রকে লুকানো । এর আগের পোস্টে উনি দেখাতে চেয়েছেন , অমুসলিম দেশগুলোর একেকটা একেক অপরাধে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান । মনে করুন ১০ অপরাধে ১০টা অমুসলিম দেশ সবার উপরে । কিন্তু মুসলিম দেশগুলোর ভিতরে ১০ ধরনের অপরাধের মাত্রা যে অতি উচ্চে সেটাকে তিনি আড়াল করার চেষ্ঠা করেছেন । মনে করুন যে কোন একটা অপরাধের মা্ত্রা যে দেশে সর্বাধিক সেটা যদি ১০০% ধরি তাহোলে প্রত্যাকটা মুসলমান দেশ ঐ ১০ ধরনের অপরাধের ৬০% ধারন করে ।
আমেরিকারতে স্বামি কর্তৃক স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন মিলনকে রেপ হিসাবে কাউন্ট করা হয় সেটা তিনি বেমালুম চেপে গেলেন ।
আমেরিকাতে যদি ২৬% রিপোর্টেড হয় , ঐ সমস্ত মুসলমান দেশে ১% রিপোর্টেড হয় না ।

২০| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:০৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার লিখা কথাগুলো সত্য। ২০১৫ সালে আমার ব্যক্তিগত ব্লগে এ সংক্রান্ত একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। পশ্চিমা দেশগুলোতে মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় নতুন কিছু নয়, তারা বরাবরই এই লাইনে সবার আগে। সমস্যা হলো এ ধরনের অপরাধ অনুনন্নত দেশগুলোতেও হু হু করে বাড়ছে, যেটা তাদের প্রকৃত সামাজিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে। এ কথা সত্য যে, অনুন্নত ও মুসলিম দেশগুলোতে এ ধরনের অনেক অপরাধ ঘটলেও তা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারি নথিভুক্ত হয় না। সমাজ, পরিবারের কথা ভেবে অনেকে বিষয়গুলো চেপে যান। এগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা ও সামাজিক প্রতিরোধ/সচেতনতা আরো বেশী জরুরী। ধন্যবাদ।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশেও ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আমাদের দেশে ধর্ষণের প্রবণতা নির্ভর করে একটা মেয়ে কোন সামাজিক শ্রেণীতে আছে সেটার উপরে। মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়েরা অনেকটাই নিরাপদ। বিপদে থাকে নিম্নবিত্ত ঘরের মেয়েরা। সবাই সমানভাবে ভালনারেবল না। পেপার পত্রিকা পড়লেই দেখা যায় দরিদ্র অসহায় মেয়েরা ধর্ষণের শিকার বেশী হয়। আমাদের দেশে মেয়েদের ঘরের বাইরে ভুমিকা কম। তাই তারা বেশী ভালনারেবল না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.