নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে দাস প্রথা

০৪ ঠা মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩১

ইসলাম ধর্মে দাস প্রথাকে সীমিত করা হয়েছে কিন্তু নিষিদ্ধ করা হয়নি। ইসলামের বিধান আসার আগে স্বাধীন মানুষকে জোর পূর্বক দাস বানিয়ে বেচা কেনা করার প্রথা ছিল। ইসলাম এই পদ্ধতি নিষেধ করে দিয়েছে। ইসলাম ধর্মে শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধীকে দাস বানানো যায় আর দাসের সন্তান দাস হয়। এছাড়া দাস বানানোর কোন উপায় নেই। যুদ্ধাপরাধীদের জেলে রেখে দেয়া যেত বা হত্যা করা যেত। কিন্তু সেটা না করে তাদেরকে দাস বানালে সেটা দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো। একটা দেশের কয়েদিরা দেশের অর্থনীতিতে কোন ভুমিকা রাখে না বললেই চলে। খুব সামান্য ক্ষেত্রে এদেরকে দিয়ে কিছু কাজ করানো হয় যার পরিমান অতি নগণ্য।

ইসলামের দাস প্রথা মানবিক। দাস মুক্তির কথা এত জায়গায় আছে যে এই প্রক্রিয়ায় দাসেরা ধীরে ধীরে সমাজে মিশে যেতে পারে। ফলে সমাজে দাস এক সময় আর থাকে না অথবা একদম কমে যায়। যারা থাকে এরাও মুলত যুদ্ধাপরাধী। এটাকে একধরনের পুনর্বাসন বলা যেতে পারে। এই যুদ্ধাপরাধীদেরকে ধীরে ধীরে কাজে নিয়োজিত করে সমাজের সাথে মিশে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়। ইসলামের সবচেয়ে বড় সমালোচনা হোল অধিকার ভুক্ত দাসীর সাথে সেক্স। এটার কারণ হোল এই নারীরা যুদ্ধাপরাধী। যুদ্ধের ময়দানে পুরুষদের সাথে থেকে যুদ্ধে সাহায্য করেছে এরা। এদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পুরুষ যুদ্ধাপরাধীদের ইসলামের রাষ্ট্রপ্রধান চাইলে অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে, দাস বানাতে পারে, মুক্তিপণ ছাড়া মুক্তি দিতে পারে, মুক্তিপণ নিয়ে মুক্তি দিতে পারে। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে যে নারী থাকে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার উপর নিষেধ আছে। তাদেরকে দাসী বানানো হয় শাস্তি হিসাবে। ইসলামের রাষ্ট্রপ্রধান চাইলে এদেরকে মুক্তিপণ নিয়ে বা না নিয়ে মুক্তি দিতে পারে অথবা দাসী বানাতে পারে। চাইলে এদের মনিব এদের সাথে সেক্স করতে পারে। আবার চাইলে তাকে অন্য কোথাও বিয়ে দিয়ে দিতে পারে বা বিক্রি করে দিতে পারে।

জেলে নারী বা পুরুষের সেক্সের কোন ব্যবস্থা থাকে না। ইদানিং শুনলাম একটা উন্নত দেশে জেল কর্তৃপক্ষ মাসে কয়েকদিন স্বামী/ স্ত্রী/ পার্টনারের সাথে একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ দিচ্ছে বা দিবে। সেক্সের ব্যবস্থা না থাকার কারণে জেলে অনেক যৌন নিপীড়ন হয়। যৌনতা মানুষের স্বাভাবিক চাহিদা। এই কারণে দাসীদের সাথে সেক্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দাসদের ক্ষেত্রে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।


দাস প্রথার ক্ষেত্রে শুধু ইসলাম ধর্মকে দোষারোপ করা হয়। কিন্তু খৃস্ট এবং ইহুদি ধর্মে দাস প্রথা আছে। ইসলাম ধর্মে দাসের সাথে মানবিক আচরণের নির্দেশ আছে। মনিব যা খাবে তাকে তাই খাওয়াতে হবে। মনিব যে পোশাক পড়বে তাকেও তাইই পড়াতে হবে। কারণ আমাদের রসূল (সা) বলেছেন যে দাসরা তোমাদের ভাই। দাসের উপরে অতিরিক্ত কাজের বোঝা দেয়া যাবে না। যদি অতিরিক্ত বোঝা দেয়া হয় সেই ক্ষেত্রে মনিবকে সাহায্য করতে হবে। দাসকে পরিবারের সদস্যের মত মনে করা হয় ইসলামে। অন্যায়ভাবে দাসকে প্রহার করলে তার শাস্তি হোল দাসকে মুক্ত করে দেয়া।

যে কোন যুদ্ধকেই জিহাদ বলা যাবে না। জিহাদ করতে হলে স্বীকৃত ইসলামি রাষ্ট্র থাকতে হবে। সেই স্বীকৃত রাষ্ট্র যদি কোন কারণে কাফেরদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে যায় কেবল সেটাকেই জিহাদ বলা যাবে। এখন আইসিস, আনসার উল্লাহ টিম যা করছে এগুলি কোন জিহাদ না। পৃথিবীর কোন ইসলামিক স্কলার এদের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না। বর্তমান যুগে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। ফলে যুদ্ধের ক্ষেত্রে এই চুক্তি মানতে হবে। যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বন্দিদের ব্যাপারে চুক্তিতে কিছু লেখা থাকলে সেটা মানতে হবে। তাই বর্তমান পৃথিবীর প্রেক্ষাপটে দাস বানানোর সুযোগ নাই বললেই চলে।

ইসলামে অনেকভাবে দাস মুক্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বা উৎসাহিত করা হয়েছে। ফলে দাসেরা সহজেই এক সময় সমাজের মূল স্রোতে মিশে যেতে পারে। তাই ইসলামের দাস প্রথা নিয়ে সমালোচনার কিছু নেই। ইসলামের দেয়া সমাধান সমাজের জন্য কল্যাণকর।

মন্তব্য ৮৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৮৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: আসলে ক্ষমতার শিখরে থাকা কিছু মানুষ ছাড়া আমরা সবাইতো দাস। প্রতি মুহুর্তে খাওয়া পড়ার জন্য কিছু টাকার বিনিময়ে নিজের মহামুল্যবান জীবনের সময়কে কর্মঘন্টা নামে বিক্রি করছি।
* সবকিছুই আইনে থাকলেই সেটা নিয়ে সবার মাথাব্যাথা হয়- না থাকলে কারো বিকার নাই।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। এই দাসত্ব নিয়েও এখন কিছু লেখা লেখি হচ্ছে। দাসত্বের নতুন রূপ অনেকেই আমরা বুঝতে পারি না। শুধু আইন কানুনের দোহাই দেই। কিন্তু পৃথিবীতে আইনের দ্বারা যে কত নিপীড়ন হয় সেটা আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না। পুঁজিবাদ সম্পূর্ণই আইনসিদ্ধ একটা পদ্ধতি। কিন্তু এই পুঁজিবাদের চাপে কত মানুষ নিষ্পেষিত সেটার খবর আমরা কয়জনে রাখি। প্রাইভেট সেক্টরে দাস হিসাবে থাকাটা অনেকেই মেনে নেয় কারণ বিকল্প কোন উপায় সবার থাকে না। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে কত যে বৈষম্য হয় কিন্তু কিছুই বলতে বা করতে পারবেন না। কারণ সবই আইনসিদ্ধ।

২| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলাম দাস মুক্তির বিধান দিয়ে দাস প্রথা তুলে দিতে চেয়েছে। এখন দাস প্রথা উঠে গেছে। কোনভাবেই এ প্রথা ফিরিয়ে আনার দরকার নেই। যুদ্ধ অপরাধীদের জেল দেওয়া যেতে পারে। নতুবা মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখন দাস তৈরির মত অবস্থাই নাই। তাই দাস প্রথা নিয়ে ইসলামের সমালোচনা করারও দরকার নাই। যে জিনিসের বর্তমান কোন অস্তিত্ব নাই সেটাকে নিয়ে সমালোচনা কারও করা উচিত না। ইসলামের রাষ্ট্র প্রধান ঠিক করবে দাসের কি শাস্তি হবে।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২৬

নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: দাসীদের ক্ষেত্রে বিয়ে নেই কেন ? দাসদের ক্ষেত্রে কেবল আছে ব্যাপারটা কেমন হয়ে গেল না ?

এটা ইসলামে বলা নেই । কোরানে দাসীকে বিয়ের কথাও বলা আছে । এমনকি দাস দাসীকেও বিয়ের ব্যাপারে বলা আছে যদিও তারা গরীব হয় তো ! দাস ব্যবস্থা নিয়ে এই যে মত মানে এই যে দাসীদের সাথে বিয়ে বহির্ভূত যৌন ব্যবস্থা এটা অনেক আধুনিক মুসলিম স্কলার মানেন না কারণ কোরাণে এর প্রতিফলন দেখতে পান না বলে ।

তাছাড়া এটা অযৌক্তিকও , যেখানে দাসের ক্ষেত্রে বিয়ে বা একটা সীমাবদ্ধতা সেখানে দাসীর জন্য কেন এই মুক্তাবস্থা ? এটা তো সমন্বিত হলো না । যদি তাদের যৌন চাহিদাকে স্বীকৃতি দিতেই হয় তো দাস ও দাসীর মধ্যে বিয়ে দিলে সমস্যা কী ? কেন মুসলিমকে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়াতে হবে ?

দাস ব্যবসায়ের নতুন রূপ এখন চলছে । এই ব্যবস্থার মুক্তি নেই । তবে প্রাচীন রূপটাই এখন বেশি আলোচিত !

০৪ ঠা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দাসীদেরকেও ইচ্ছে করলে অন্য কারও সাথে বিয়ে দিতে পারে তার মুনিব। সেই ক্ষেত্রে সেই দাসীর সাথে সে সম্পর্ক করতে পারবে না।

দাসীর সাথে যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে কোরআনের আয়াত আছে। সূরা আল মা'আরিজের ৭০ নাম্বার আয়াতে আছে;
'তাদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্র ব্যতীত, এতে তারা নিন্দনীয় হবেনা'
অর্থ - Except from their wives or those their right hands possess, for indeed, they are not to be blamed


এছাড়া সূরা আল আল মুমিনুের ৬ নাম্বার আয়াতেও অনুমতি দেয়া আছে;
'তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তারা ছাড়া, নিশ্চয় এতে তারা নিন্দিত হবে না। '

অনেক সাহাবীর সন্তান ছিল দাসীর গর্ভে। তাই না মানার কিছু নেই। এটাই কোরআনের বিধান। অনেক সহি হাসিসেও উল্লেখ আছে।

কেউ দাসীকে বিয়ে করতে হলে সেই দাসীকে আগে মুসলমান হতে হবে এবং মুক্তি দিতে হবে। দাস দাসীকে চাইলে কেউ বিয়ে করিয়ে দিতে পারে।

৫| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষকে দাস বানানো একটা অমানবিক কাজ।যুদ্ধ বন্ধীর সাথে কেমন আচরন করতে হবে তা জাতিসংঘের মানবাধিকার সনধে লিখা আছে।বর্তমানে কাউকে দাস বানানো যায় না।এটা একটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সব ধর্মেই দাস প্রথা আছে।তাই সব ধর্মই খারাপ।এই অমানবিক প্রথা যে বা যারা সমর্থন করে তাঁরাও অমানবিক।আধিম অবস্থা থেকে মানুষ দিন দিন সভ্যতার দিকে যায়,এটাই প্রগতি।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ৮:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যুদ্ধবন্দীদের শাস্তি হিসাবে দাস বানানো হয়। চাইলে তাদের হত্যা করা যায় যদি অপরাধ গুরুতর হয়। চাইলে মুক্তি দেয়া যায়। মানুষের তৈরি আইন বারবার মানুষ তার নিজের স্বার্থে পরিবর্তন করে। তাদের এগুলি নির্ভরযোগ্য না। যুদ্ধ নিয়ে যে সব ইসলামি দেশ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তাদের চুক্তি মানতে হবে। অন্যায় যুদ্ধ করার কারণেই তারা যুদ্ধবন্দী হয়েছে। তাই তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ইসলামে দাস বানিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু ইসলামে দাসকে নিজের ভাইয়ের মত আচরণের নির্দেশ আছে। একই খাবার, একই পোশাক দিতে বলা হয়েছে। ফলে ধীরে ধীরে এই অপরাধীরা মূল সমাজে মিশে যেতে পারে।

৬| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ৮:০১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সুরা মা'আরিজের আয়াতের নাম্বারটা ভুল হয়েছে । সেটা হবে ৩০ নং আয়াত !

এই দুই আয়াত যখন টানলেন তো বলি দুটো আয়াতেই আজোয়াজ শব্দটা আছে যা নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহঋত হয় । আর তাই বোঝা যাচ্ছে আয়াতটা নারী পুরুষ উভয়ের জন্য বলা হচ্ছে । তো এখন কী এটা বলব যে নারীরাও চাইলে দাসের সাথে যৌন সম্পর্ক করতে পারবে ? আলেমরা মানবে না তা ! মানার মতও না কারণ এখানে দাস কিংবা দাসীর কথা বলা হয়নি ।

" মা মালাকাত আমাইনুকুম " একটা উপমা , যা কোরানে ব্যবহৃত করা হয়েছে । এর মানে কেবল দাসীই বোঝায় তা আলেমরা বুঝিয়ে দিলেও এর আরেকটা মানে বোঝায় তা হলো " যা বৈধভাবে অর্জিত হয়েছে " । এই অর্থই এখানে প্রয়োগযোগ্য হবে । এবং দাসী অর্থে যে এই উপমা ব্যবহৃত হয়েছে এটাও অনেক বর্তমান আধুনিক গবেষক মানতে নারাজ ! এছাড়া এই যে এই উপমার আগে দুটো আয়াতেই যে " আও " অব্যয়টি আছে এর মানে আলেমরা অথবা বলে থাকলেও আসলে এর অর্থ দাঁড়ায় অর্থাৎ !

তো আয়াত দুটোর মানে কী দাঁড়ায় ?

'তবে তাদের সঙ্গী অর্থাৎ যাদের তারা বৈধভাবে অর্জন করেছে ,নিশ্চয়ই তাদের ক্ষেত্রে তারা নিন্দিত হবে না। '

তো বোঝাই যাচ্ছে কোরাণের বিধান কোনটি ! এছাড়াও সুরা নিসার ২৪ নং আয়াতের দিকে নজর দিন , আমি কেবল কোন নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক করতে পারবো যাকে আমি বৈধভাবে সম্মানের সাথে বিয়ে করব এর অন্যথা না । তো আবার কোরাণ এইসব বলতে যাবে কোন দুঃখে ? খোলাখুলি চিন্তা করলেই তো বোঝা যায় ! আল্লাহ সত্য প্রকাশিত করেছেন তিনিই ভালো জানেন !!

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ৯:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আয়াত নাম্বার ৩০ হবে। ভুল হয়ে গেছে।

অনেক তথাকথিক আলেম নাস্তিকদের চাপ থেকে বাঁচার জন্য এখন আয়াতের অপব্যাখ্যা করছেন। 'আও' মানে অথবা। আও মানে অর্থাৎ না।

আপনি কি জানেন না যে আমাদের রসূলের (সা) অধিকারভুক্ত দাসী ছিল। সাহাবীদের দাসী ছিল। দাসী থেকে সন্তান ছিল। দাসী মারিয়া কিবতিয়ার গর্ভে রসূলের (সা) সন্তান ছিল। যার নাম ছিল ইব্রাহীম। এগুলি ঐতিহাসিক সত্য। আপনার কথা মত সাহাবীরা জেনা করতেন তাহলে। এরকম ঘটনা তো একটা দুইটা ছিল না। ঐ সময়ের প্রথা ছিল এটা। এই কারণেই নাস্তিক এবং বিধর্মীরা ইসলামকে খোঁচা দেয়ার চেষ্টা করে।

দাসীদের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারটা ঐতিহাসিক সত্য। নাস্তিকদের বড় একটা অভিযোগ হোল এই দাসীর সাথে সম্পর্ক। বহু সহি হাদিসে দাসীদের সাথে সম্পর্কের কথা আছে।

সূরা নুরের ২৪ নাম্বার আয়াতে আছে;
আর নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া সব সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, তোমাদের জন্য এগুলো আল্লাহর বিধান। উল্লেখিত নারীগণ ছাড়া অন্য নারীকে অর্থ ব্যয়ে বিয়ে করতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হল, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নয়।

And [also prohibited to you are all] married women except those your right hands possess. [This is] the decree of Allah upon you. And lawful to you are [all others] beyond these, [provided] that you seek them [in marriage] with [gifts from] your property, desiring chastity, not unlawful sexual intercourse.

এই আয়াত বুঝতে হলে আগের আয়াত দেখতে হবে। মুসলমান পুরুষরা কাকে বিয়ে করতে পারবে না সেটা বলা হয়েছে। আগের আয়াতে একটা তালিকা আছে যাদেরকে পুরুষেরা বিয়ে করতে পারবে না। তারপরের আয়াতে বলা হয়েছে কোন সধবাকেও বিয়ে করতে পারবে না তবে অধিকারভুক্ত কাফের দাসী হোল ব্যতিক্রম। কারণ যুদ্ধবন্দী কাফের দাসী বিবাহিতা হলেও সেই দাসী মুসলমান পুরুষদের জন্য বৈধ। দাসী বিবাহিত হলে কি করতে হবে সেটা ব্যাখ্যা এই আয়াতে পাওয়া যায়। বিবাহিত কাফের দাসী বন্দি হলে সেই বিয়ে বাতিল হয়ে যায় এবং মুসলমান মনিবের জন্য বৈধ হয়ে যায়। এটার ব্যাখ্যায় সহি হাদিসও আছে।

৭| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ইসলাম ধর্মে শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধীকে দাস বানানো যায়। এছাড়া দাস বানানোর কোন উপায় নেই।
- এটি কোথায় উল্লেখ আছে?
- আমি যদি অর্থের বিনিময়ে কোনো মা-বাবার নিকট থেকে তাদের বাচ্চাকে ক্রয় করি ,তাকি ইসলামে নিষেধ করা আছে?

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১১:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কোন মানুষকে দাস বানাতে পারবেন না। শুধু ব্যতিক্রম হোল এই যুদ্ধাপরাধী আর দাসের সন্তান। অর্থের বিনিময়ে শিশু কেনা একটা অপরাধ। আপনি গরীব বাবা মায়ের সন্তানের দায়িত্ব নিতেই পারেন। তাদেরকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। কিন্তু অর্থ দিয়ে কিনতে পারবেন না। আপনি তার পালক পিতা হতে পারবেন। তাকে আপনার কাছে রাখতে পারবেন। কিন্তু ইসলামে শরিয়ার ক্ষেত্রে বায়োলজিকাল পিতা মাতাকেই গুরুত্ব দেবে।

সঠিক সূত্র আমি আপনাকে পরে দিব।

০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলাম ধর্মে দাস প্রথা আছে বলেই দাসদের সম্পর্কে এতো নিয়ম নীতি কোরআন আর হাদিসে এসেছে। তবে ইসলাম ধর্মে কোন মানুষের উপর নির্যাতন করার বিধান নাই এটা আমরা সবাই জানি। এই কারণেই জোর করে কোন ফ্রি মানুষকে দাস বানানো যায় না। পিতা মাতাও তার সন্তানকে দাস হিসাবে কারও কাছে বিক্রি করতে পারে না। কারণ পিতা মাতার দায়িত্ব হোল সন্তানের ভরণ পোষণ করা। সেটা না করে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে তারা পারে না। কিন্তু যুদ্ধের সময় দাস বানানো যায় এটা কোরআনের আয়াত থেকেই বোঝা যাচ্ছে। এটা হোল ব্যতিক্রম। দাসকে মুক্ত করা বা হস্তান্তরের কথা বিভিন্ন হাদিসে এসেছে।

৮| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ৯:০৬

জ্যাকেল বলেছেন: @কামাল সাহেব যে ইংগিত করলেন উহাতে মনে হচ্ছে আমরা Utopia যুগে বসবাস করতেছি। অথচ সায়েন্স বাস্তবতা হিসাব করেই চলে। সায়েন্সে আদর্শ গ্যাস আছে তবে বাস্তবে উহার অস্তিত্ব নেহি।
যে ওয়েস্টার্ন প্রগতি চু*াইতেছেন উহাতে ভয়ংকর দাসপ্রথা এখনো মজবুতভাবেই আছে ইহা জানেন কি?

https://www.bbc.com/news/technology-50228549

https://www.reuters.com/article/us-britain-slavery-internet-idUSKCN1GC06Y



যেকোন বোধসম্পন্ন মানুষই স্বীকার করবেন দাসপ্রথার বাস্তব সমাধান নিয়ে এসেছে একমাত্র ইসলামই। আর যুদ্ববন্ধী মানুষকে দাস বানানো (উত্তম ব্যবহার সত্বেও) যদি খারাপ কাজ হয় তবে নিচের গুলা কি?

Throughout history, rape was a way to show dominance over defeated enemies. Women of the defeated opponents were treated as spoils of war. ....
https://medium.com/lessons-from-history/rape-of-german-women-470918f997d3

https://www.theguardian.com/books/2002/may/01/news.features11


US soldiers have been convicted of rape in the past
https://www.aljazeera.com/news/2003/6/9/iraqis-reported-dead-after-us-gang-rape

‘The US army destroyed our lives’: five Iraqis on the war that changed the Middle East
https://www.theguardian.com/world/2023/mar/19/the-us-army-destroyed-our-lives-five-iraqis-on-the-war-that-changed-the-middle-east

US involvement in enslavement and rape of Afghan children

https://www.wsws.org/en/articles/2018/01/29/afgh-j29.html

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১১:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ এই লিঙ্কগুলি দেয়ার জন্য।

৯| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১০:৪০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: অনেক তথাকথিক আলেম নাস্তিকদের চাপ থেকে বাঁচার জন্য এখন আয়াতের অপব্যাখ্যা করছেন। 'আও' মানে অথবা। আও মানে অর্থাৎ না।

হাসালেন ভাই । আপনার কাছ থেকে এমন অযৌক্তিক কথা আশা করা যায় না । আলেমদের সাথে কী নাস্তিকদের আত্মীয়তা হয় যে তারা চাপে থাকবে ? আমাদের মধ্যে একটা কথা প্রচলিত আছে । শিয়াদের থেকে , খুরমায়িতদের থেকে , বাইজেন্টাইনেইর হেরেম প্রথা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের আলেমগণ দেখলেন যে বিচিত্র যৌন পিয়াসি হবার একটাই পথ আছে " মা মালাকাত আমাইনুকুম " উপমাটিকে দাসী অর্থ করে চালিয়ে ও আও অব্যয়টিকে অথবা অর্থ দিয়ে কাজ চালিয়ে দেয়া । তো এটা কী আদৌ সুন্দর বলে গণ্য হবে ? এটা কী আলোচনার কোন বিষয় ? যুক্তি না থাকলে এমন কথা টানা টাকি খুব দরকার ভাই !!


যাকগে , মারিয়া কিবতিকে নিয়েও বিতর্ক আছে । অনেকে বলেন যে ইনি নবীর স্ত্রী ! সে নিয়ে আর আলোচনায় না যাই এটা যখন বিতর্কিত ! আর সাহাবিরা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয় না । কারণ ওনাদের ব্যাপারে কোরাণে তেমন কিছু বলা নেই ।

এবার আসি সুরা নিসার ২৪ নাম্বার আয়াতের বিষয়ে । আমি জানি এই আয়াতের বিষয়বস্তুর ধারাবাহিকতা কোথা থেকে কতটুকু এর ধারাবাহিকতা আসলে ২২ নং আয়াত থেকে । এখন এই আয়াতে কী বলা আছে "মা মালাকাত আমাইনুকুম " বাদে আর কোন সধবা বৈধ নয় । আয়াতের বাকী অংশে কী বলা আছে বাকী সব নারী ( এর মধ্যে সধবা দাসী ও বিবাহিত নয় এমন দাসীও আছে ) হালাল তবে বিয়ের মধ্য দিয়ে । যদিও এইখানে মা মালাকাত আমাইনুকুম মানে কিন্তু দাসী নয় । এর আবার কন্টেন্ট অনুযায়ী আলাদা আরেকটা অর্থ দাঁড়িয়ে যায় । সেইদিকে গেলাম না , আপনার কথাই ধরে নিলে বলতে হয় এই আয়াতেই বোঝা যাচ্ছে যে দাসী হোক বা অন্য স্বাধীন নারী সব ক্ষেত্রেই বিয়ে ব্যতীত নারী সংসর্গ চলবে না !! এটা আয়াতে মনোযোগ দিলেই বোঝা যায় !!

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১১:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগে আপনি প্রমাণ করেন যে 'আও' মানে অর্থাৎ। আমি কোথাও দেখলাম না যে 'আও' মানে অর্থাৎ।

আপনি একটা প্রচলিত ভুল ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন।

সাহাবাদের মাধ্যমে কোরআন আর হাদিস আমাদের কাছে এসেছে। সেই সাহাবারা যদি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হয় তাহলে আপনার সাথে আর কি আলাপ করবো। কোরআনকে বইয়ে রূপ দিয়েছেন সাহাবারা। সাহাবাদের গুরুত্ব না দিলে কোরআন সম্পর্কেও আপনার সন্দেহ আসতে পারে। কোরআনে বলা হয়েছে আল্লাহ তাদের উপর রাজী হয়ে গেছেন। রসূল (সা) তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে বলেছেন। রসূলের (সা) ওফাতের পরে বহু বছর পর্যন্ত সাহাবারা শাসন করেছেন।

অনেক সহি হাদিস আছে এই দাসী নিয়ে। কোরআনে পরিষ্কার বলা আছে। এখন বলছেন 'আও' মানে অর্থাৎ।

আপনি যদি হাদিস, কোরআন, সাহাবা, ইতিহাস এগুলি না মানেন। কোন ভ্রষ্ট আলেম কি বলল সেটা মানেন। তাহলে আপনার সাথে এই বিষয়ে আর কথা বলে লাভ নেই।

১০| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আগে আপনি প্রমাণ করেন যে 'আও' মানে অর্থাৎ। আমি কোথাও দেখলাম না যে 'আও' মানে অর্থাৎ।

আপনি একটা প্রচলিত ভুল ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন।


যেটা প্রমাণিত সেটার আবার প্রমাণ লাগে নাকি ? আর আপনি পাবেন কী করে আপনি আমার কাছে রেফারেন্স চাইতেই পারেন । আমি দিচ্ছি একটা , আল্লামা আসাদের মেসেজ অব কুরানের ৭১০ নং পৃষ্ঠায় গিয়ে দেখুন । আর আমি প্রচলিত ভুল ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছি না বরং একটা কুসংস্কার ও কুরাণ বিরুদ্ধ একটি কাজের বিরুদ্ধে আমি ।

সাহাবাদের মাধ্যমে কোরআন আর হাদিস আমাদের কাছে এসেছে। সেই সাহাবারা যদি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হয় তাহলে আপনার সাথে আর কি আলাপ করবো। কোরআনকে বইয়ে রূপ দিয়েছেন সাহাবারা। সাহাবাদের গুরুত্ব না দিলে কোরআন সম্পর্কেও আপনার সন্দেহ আসতে পারে। কোরআনে বলা হয়েছে আল্লাহ তাদের উপর রাজী হয়ে গেছেন। রসূল (সা) তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে বলেছেন। রসূলের (সা) ওফাতের পরে বহু বছর পর্যন্ত সাহাবারা শাসন করেছেন।

সাহাবাদের মধ্য দিয়ে কুরান আমাদের কাছে আসেনি কুরান এসেছে তার নিজের প্রবাহ দিয়ে । ওনাদের ভূমিকা বেশি করে দেখলে এটা অনেকটা এই দেশের মাজারপুজারিদের মত হয়ে যায় । যেহেতু আউলিয়াদের মধ্য দিয়ে ইসলাম এই দেশে এসেছে তাই তাদের গন্যমান্য ভাবতে হবে ! আল্লাহ তাদের ওপর রাজী হয়েছেন বলেই কী তাদের সব কাজ আমাকে মানতে হবে ? মুয়াবিয়াও তো সাহাবী তো তার অত্যাচারকে তাহলে মেনে নিই ইসলামের নামে যা যা করেছে তা মেনে নিই !!


হাদীসে কী আছে না আছে তা নিয়ে তো কথা বলছি না আমি বলছি কোরাণ নিয়ে আপনি অযথা হাদীস টানছেন কেন ? কোরাণে তো পরিষ্কার বলাই আছে কিন্তু আপনি তো সেদিকে এগোচ্ছেন না । আও মানে অর্থাৎ কিংবা মানেই বোঝায় । আপনি সুরা নিসার ২৪ নাম্বার আয়াতে সধবা শব্দটা পড়েছেন না ? কোরানে বলা আছে মুহসিনাতি । এবার পরের আয়াতে গিয়ে দেখুন একই শব্দ আছে তবে ভিন্ন অর্থে । কোরাণে এমন একই শব্দ ভিন্ন অর্থ বহন করে ।

আমি কোরাণ মানছি না কে বলল ? আপনি যদি কোরাণ ও এর আভিধানিক অর্থ না মেনে এবং ভাষাজ্ঞান না রেখে কামুক আলেমদের কথা মানেন এটাকে কী বলা যায় ? হাহাহাহাহাহা । কোরাণ আমি অন্ধের মত মানি এবং এই নিয়ে পড়িও তবে হ্যাঁ কামুক আলেমদের কথা আমি শুনি না !!

০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সহি হাদিস মানতে হবে মুসলমান হতে হলে। প্রতিষ্ঠিত সহি হাদিস না মানলে সে মুসলমান থাকে না। ইসলামের বিধান শুধু কোরআন দিয়ে হয় না। কোরআন আর হাদিস দুইটাকেই মানতে হবে। আপনি ঈদ পালন করেন, ঈদের নামাজ পড়েন, ফিতরা দেন। এগুলি কেন করেন। এগুলি তো কোরআনে নাই। তাই হাদিস মানতে হবে। যে হাদিস নিয়ে কোন সন্দেহ নাই অর্থাৎ সর্বজন স্বীকৃত হাদিস সেটাকে মানতে হবে। তা না হলে সে মুসলমান না।

আপনি আরবি অভিধান থেকে প্রমাণ করেন যে 'আও' মানে অর্থাৎ। আল্লামা আসাদ সম্পর্কে আমি কিছু কিছু জানি। উনার মাতৃভাষা আরবি ছিল না। উনি যদি 'আও' মানে অর্থাৎ বলে থাকেন সেটা অভিধানে থাকতে হবে। উনি একাই কোরআনের তফসির করেন নি।

কোরআন সাহাবাদের হাতেই বইয়ের আকার পেয়েছে। কোরআন তো মানুষ না যে নিজের প্রবাহ দিয়ে বই হয়ে যাবে। সাহাবাদের সন্দেহ করা যাবে না। এটা নিষেধ আছে কোরআনে। কারণ আল্লাহ তাদের উপর রাজী হয়ে আছেন। হাদিস আমরা পাই সাহাবাদের কাছ থেকে। হাদিস ছাড়া ধর্মের সব বিধান মানতে পারবেন না। নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত কোনটাই শুধু কোরআন দিয়ে করতে পারবেন না। হাদিস ইসলামি বিধানের একটা বড় উৎস। রসূলের কথা মানার নির্দেশ আছে কোরআনে একাধিক জায়গায়। হাদিস হোল একমাত্র উপায় রসুলের আদেশ, নিষেধ জানার।

হজরত মুয়াবিয়াকে নিয়ে শিয়ারা অনেক মিথ্যা কথা ছড়িয়েছে। 'আও' শব্দের আভিধানিক অর্থ অর্থাৎ এটা আপনি কোন অভিধান থেকে প্রমাণ করেন আগে। আলেমদেরকে আপনি কামুক কেন বলছেন। পৃথিবীর সব আলেম প্রখ্যাত আলেম দাসীর সাথে সম্পর্কের ব্যাপারটা একই ব্যাখ্যা করেন। আপনার দৃষ্টিতে তাহলে সব আলেমই কামুক। দাসীর সাথে সম্পর্কের ব্যাপারটা ঐতিহাসিক সত্য। কোরানেও তাই বলা আছে। আপনি বলছেন 'আও' মানে অর্থাৎ। এগুলি হোল অর্থ বিকৃতি।

১১| ০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:২৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সহি হাদিস মানতে হবে মুসলমান হতে হলে। প্রতিষ্ঠিত সহি হাদিস না মানলে সে মুসলমান থাকে না। ইসলামের বিধান শুধু কোরআন দিয়ে হয় না। কোরআন আর হাদিস দুইটাকেই মানতে হবে। আপনি ঈদ পালন করেন, ঈদের নামাজ পড়েন, ফিতরা দেন। এগুলি কেন করেন। এগুলি তো কোরআনে নাই। তাই হাদিস মানতে হবে। যে হাদিস নিয়ে কোন সন্দেহ নাই অর্থাৎ সর্বজন স্বীকৃত হাদিস সেটাকে মানতে হবে। তা না হলে সে মুসলমান না।


আমি তো বলেছিই যে হাদীস নিয়ে আমি কিছুই বলছি না । আমার বক্তব্য কোরাণ নিয়ে । আপনি দেখছি প্রাসঙ্গিকতা থেকে দূরে চলে যাচ্ছেন । হাদীসের এসব কেওয়াজ আছে এই নিয়ে আমি কোন আলোচনা করছি না । তাই এইসব টেনে অযথা তর্ক করার কোন মানে হয় না !!


আপনি আরবি অভিধান থেকে প্রমাণ করেন যে 'আও' মানে অর্থাৎ। আল্লামা আসাদ সম্পর্কে আমি কিছু কিছু জানি। উনার মাতৃভাষা আরবি ছিল না। উনি যদি 'আও' মানে অর্থাৎ বলে থাকেন সেটা অভিধানে থাকতে হবে। উনি একাই কোরআনের তফসির করেন নি।

অভিধান সাধারণত প্রচলিত অর্থ লিপিবদ্ধ করে মেটাফরিক কিংবা আভিধানিক অনেক অর্থ লিপিবদ্ধ করে না । আপনি দেখছি ভাষা জ্ঞান কিংবা ব্যকরণের কোন ধার না ধেরে অভিধান নিয়ে পড়ে আছেন । এটা আপনার সাথে যায় কী ? আপনি ধীরে ধীরে অযৌক্তিকতার দিকে টার্ন নিচ্ছেন । আল্লামা আসাদের ভাষা আরবি নয় তবে তিনি আরবিতে দক্ষ একজন মানুষ । আমার মাতৃভাষা ইংরেজি নয় বলে এই ভাষা নিয়ে কিছু বলতে পারবো না এমন কথা ছাগলেরা বলে বুদ্ধিমান মানুষেরা বলে না । আমি যে যুক্তি দিয়েছি সেটা কেবল যে ওনার নয় তা ওনার লিখাতেই আছে পড়ে দেখতে পারেন ! আর ওনাকে কেমন গণ্য করা হয় তা একটু খোঁজখবর নিলেই জানতে পারবেন !!


কোরআন সাহাবাদের হাতেই বইয়ের আকার পেয়েছে। কোরআন তো মানুষ না যে নিজের প্রবাহ দিয়ে বই হয়ে যাবে। সাহাবাদের সন্দেহ করা যাবে না। এটা নিষেধ আছে কোরআনে। কারণ আল্লাহ তাদের উপর রাজী হয়ে আছেন। হাদিস আমরা পাই সাহাবাদের কাছ থেকে। হাদিস ছাড়া ধর্মের সব বিধান মানতে পারবেন না। নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত কোনটাই শুধু কোরআন দিয়ে করতে পারবেন না। হাদিস ইসলামি বিধানের একটা বড় উৎস। রসূলের কথা মানার নির্দেশ আছে কোরআনে একাধিক জায়গায়। হাদিস হোল একমাত্র উপায় রসুলের আদেশ, নিষেধ জানার।


কোরান সাহাবারা বই আকারে আনেননি এটা লিখিত অনেক আগে থেকেই । কোরান নিজেই নিজেকে বলেছে এক কিতাব তাই প্রারম্ভিক কালে কিতাববদ্ধ ছিল না এটা মেনে নেয়া যায় না । যুক্তিকে নির্ভর করে ইতিহাসের কথা গৃহীত হয় এটা তো জানেন ? এটাও এক আলেম বলেছেন তিনি হলেন ইবনে খালদুন ! ওনাদের ওপর সন্দেহ করা যাবে না এই কথা কোরানের কোথায় বলা আছে একটু বলুন দয়া করে আমি যাচাই করে নিই ! আবার হাদীস , কী হলো আপনার !!

হজরত মুয়াবিয়াকে নিয়ে শিয়ারা অনেক মিথ্যা কথা ছড়িয়েছে। 'আও' শব্দের আভিধানিক অর্থ অর্থাৎ এটা আপনি কোন অভিধান থেকে প্রমাণ করেন আগে। আলেমদেরকে আপনি কামুক কেন বলছেন। পৃথিবীর সব আলেম প্রখ্যাত আলেম দাসীর সাথে সম্পর্কের ব্যাপারটা একই ব্যাখ্যা করেন। আপনার দৃষ্টিতে তাহলে সব আলেমই কামুক। দাসীর সাথে সম্পর্কের ব্যাপারটা ঐতিহাসিক সত্য। কোরানেও তাই বলা আছে। আপনি বলছেন 'আও' মানে অর্থাৎ। এগুলি হোল অর্থ বিকৃতি।

শিয়ারা মিথ্যা ছড়িয়েছে না সত্য ছড়িয়েছে সে তো ইতিহাসে দগদগে প্রমাণ আছে । আবারও অভিধান টানছেন । আপনি আগে আরবি ভাষার ভাষাতত্ত্ব নিয়ে জেনে নেন তার পর আভিধান নিয়ে টানা হেঁচড়া করিয়েন । অভিধান অনেক সময় যথার্থ হয় না কারণ ভাষার অপভ্রংশতা আছে ! পৃথিবীর এক লক্ষ্য আলেম একটা মিথ্যাকে জায়েজ বললেই সেটা জায়েজ হয় না । কোরাণ নিজের বুদ্ধিকে খাটাতে বলেছে আলেম পুজা করতে বলেনি । আমার দৃষ্টিতে যারাই দাসীর সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা বলে তাদের মধ্যে বেশিবভাগ কামুক ও বাকীদল তাদের অন্ধ অনুসারী । না হলে এমনটা তারা বলত না ! কোরানে তা বলা নেই দাসীর সাথে যৌন সম্পর্ক করা যাবে । এসব কুসংস্কার ! এর কোন ঐতিহাসিক সত্যতা নেই । কিংবদন্তি কখনও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস হয় না । আপনি যদি ইতিহাস সত্যিই মানেন ও এই নিয়ে পড়াশুনা করেন তো আপনার এটা জানবার কথা । আর আও মানে অর্থাৎ এবং এটি অর্থ বিকৃতি নয় আপনার ভাষাজ্ঞান সম্পর্কে জানা না থাকলেই আপনি অর্থ বিকৃতি বলতে পারেন না !! অর্থ বিকৃতি বলতে হলে তেমন ভাষাসম্পর্কিত প্রমাণ লাগে অভিধান দিয়ে হয় না ! কেমন ভাই !! ভালো থাকবেন !

০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দাসী সম্পর্কে বহু হাদিস আছে। তাই সেগুলি আপনাকে মানতে হবে। এই কারণে এই ব্যাপারেও হাদিস প্রাসঙ্গিক। মোটেই অপ্রাসঙ্গিক না। একটা শব্দের অর্থ অভিধানে আছে। সব প্রখ্যাত আলেম নবীর যুগ থেকে শুরু করে যুগে যুগে সেটাই নিয়েছেন। তাদের বাদ দিয়ে একজন আলেম একটা মেটাফোর ব্যবহার করে ফেলল। যার কোন ভিত্তি নেই। সেটাই আমাদের মানতে হবে। হাজার আলেমের চেয়ে উনি বেশী বোঝেন এটাই আপনি বোঝাতে চাচ্ছেন। ওনার চেয়ে অনেক উঁচু মানের আলেম যুগে যুগে এসেছেন। তাদের কারও চোখে পড়লো না।

আপনি আমাকে ছাগল বললেন। আপনার সাথে আমি কথা বলতে চাই না এই ব্যাপারে। আপনি আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। আপনি আমাকে ছাগল বলছেন। সরি। আর মন্তব্য করবেন না। আপনার এই শব্দের ব্যবহার দেখে আর কোন মন্তব্য আমি করছে চাচ্ছি না। পুরো মন্তব্যের উত্তর দেয়ার ইচ্ছা ছিল আমার।

১২| ০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ইসলাম ধর্মে দাস প্রথা আছে বলেই দাসদের সম্পর্কে এতো নিয়ম নীতি কোরআন আর হাদিসে এসেছে। তবে ইসলাম ধর্মে কোন মানুষের উপর নির্যাতন করার বিধান নাই এটা আমরা সবাই জানি। এই কারণেই জোর করে কোন ফ্রি মানুষকে দাস বানানো যায় না। পিতা মাতাও তার সন্তানকে দাস হিসাবে কারও কাছে বিক্রি করতে পারে না। কারণ পিতা মাতার দায়িত্ব হোল সন্তানের ভরণ পোষণ করা। সেটা না করে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে তারা পারে না। কিন্তু যুদ্ধের সময় দাস বানানো যায় এটা কোরআনের আয়াত থেকেই বোঝা যাচ্ছে। এটা হোল ব্যতিক্রম। দাসকে মুক্ত করা বা হস্তান্তরের কথা বিভিন্ন হাদিসে এসেছে।
আমি শুধু জানতে চেয়েছি যুদ্ধবন্দী ছাড়া দাস-দাসি বানানো যাবে না এটা কোন হাসিদ বা কোন আয়াতে আছে?
ইসলাম আমার-আপনার বা অন্যকারো বুঝে তো চলবে না!! ইসলামের হারাম-হালাল বলা আছে। যুদ্ধবন্দী ছাড়া দাস-দাসি হারাম কোথায় আছে? বাবা-মা কেনো তাদের দায়িত্বপাল নাকে তাদের সন্তানকে বিক্রি করলো সেটার জবাব সেই বাবা-মা দিবে। ক্রয়কৃত মানুষটি আমার কাছে দাস-দাসী হতে ইসলামের কোন আইনে বাঁধা আছে?

০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাবা মা সন্তান বেচতে পারে এই অধিকার কি ইসলাম কাউকে দিয়েছে? একটা মানুষ নিজের ইচ্ছায় মরতেও তো পারে না। কারণ মানুষের দেহ মনের মালিক হোল আল্লাহ। সন্তানের ভরণ পোষণ করা পিতা মাতার উপর ফরজ। পিতা মাতা এই ফরজ দায়িত্ব বাদ দিয়ে তার সন্তানকে বেচতে পারে না। এটার আবার হাদিস বা কোরআনের রেফারেন্স লাগবে। হয়তো আছে। কিন্তু আমি এখন বলতে পারবো না। কিন্তু আপনার তো এটা এমনিতেই বুঝতে পারা উচিত যে বাবা মার জন্য যখন ফরজ হোল সন্তানের ভরণ পোষণ করা তখন কীভাবে তারা সন্তান বিক্রি করে দিতে পারে। ইসলামে যেটা ফরজ করা হয়েছে সেটা বাদ দিয়ে কীভাবে আরেকজনের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে পারে। ভরণ পোষণ ফরজ করে দেয়া হয়েছে এটাই একটা বাঁধা।

১৩| ০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:৩৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কোরান সাহাবারা বই আকারে আনেননি এটা লিখিত অনেক আগে থেকেই ।

বলে রাখি আমি এর মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছি যে কোরাণ নাজিলের সাথে সাথেই তা লিপিবদ্ধ করা হত সেই নিয়ে । মানে নবী সাঃ এর সময়তেই লিখিত হয়েছে !! খলিফাদের সময়ে কেবল লিখিত হয়েছে এমন নয় !!

১৪| ০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১:৫৬

নিমো বলেছেন: @লেখক, আপনার ছাগল শব্দে আপত্তি কিন্তু শেয়াল সাহেবের ভাষায় আপত্তি নাই কেন? রাজবংশ কি ইসলামে জায়েজ ? নবী মারা যাবার পর তথাকথিত খিলাফত গুলো আসলে রাজবংশ, তাহলে সেগুলোর আচরণকে ইসলাম বলে চালাতে চান কেন ? আপনি বলে বসলেন শুধু ব্যতিক্রম হোল এই যুদ্ধাপরাধী আর দাসের সন্তান। দাসের সন্তানের দোষটা কী ?

০৫ ই মে, ২০২৩ ভোর ৫:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শেয়াল সাহেবের মন্তব্যেও আসলে আপত্তি আছে। আমি মন্তব্যটা ভালো করে পড়িনি আসলে। মন্তব্যটা অন্য কাউকে উদ্দেশ্যে করা তাই মনোযোগ দিয়ে পড়িনি। ওনার ভাষা খারাপ ছিল। তাই আমিও আপত্তি জানাচ্ছি। সরি। এটা আসলে আমি খেয়াল করিনি।

রাজতন্ত্র জায়েজ কি না এটার সঠিক উত্তর পাওয়া মুশকিল। তবে নবী সোলাইমান (আঃ) এবং দাউদ (আঃ) বাদশাহ ছিলেন। হজরত সলেমান ছিলেন হজরত দাউদের পুত্র। কোন রাজা শরিয়া মোতাবেক রাষ্ট্র চালালে সেই রাজাকে দেশের কল্যাণের স্বার্থে মেনে নেয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই বর্তমান জমানার মত ভোগ বিলাসী এবং অত্যাচারী রাজা না।

রসূলের (সা) ওফাতের পরে ৩০ বছর পর্যন্ত রাইটলি গাইডেড খলিফা থাকবেন। এটা সহি হাদিসে এসেছে। তারপরের খলিফারা রাইটলি গাইডেড ছিলেন না। প্রথম ৪ খলিফা সঠিক ছিলেন। রসূলের (সা) নির্দেশনা মত তখন দেশ চলত। তারপরে ধীরে ধীরে অধঃপতন শুরু হয়। আমি কখনওই চার খলিফার পরের কোন কাজকে সঠিক বলে চালাতে চাই নাই যদি না হাদিস কোরআনের সমর্থন থাকে। চার খলিফার সময় পর্যন্ত ইসলাম সঠিক পথেই ছিল। দাসীর ব্যাপারটা ঐতিহাসিক ভাবেই সত্য। এছাড়া দাসী নিয়ে অনেক সহি হাদিস আছে। কোরআনে পরিষ্কার আয়াত আছে। তাই খলিফাদের সমর্থন নেয়ার প্রয়োজন নেই।

ইসলাম দাস প্রথাকে ধীরে ধীরে দূর করতে চেয়েছে। এই কারণে দাসের সন্তানও দাস হয়। কিন্তু যেহেতু বিভিন্ন অসিলায় দাস মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে তাই দাস প্রথা ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে এটাই ইসলাম চেয়েছে। আর তাছাড়া দাসের সন্তান দাস না হলে তার দায়িত্ব কে নেবে। দাস নিজেই তো অন্যের উপরে নির্ভরশীল। ইসলাম দাস প্রথাকে নিরুৎসাহিত করেছে যেন সেটা ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায়। এই যুগে দাস হওয়ার কোন সুযোগ নাই। তাই ইসলামিক নিয়মে এখন কোন দাস হওয়া সম্ভব না বললেই চলে। কারণ প্রকৃত জিহাদ এখন নাই বললেই চলে।

১৫| ০৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:০৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি আমার মন্তব্যের উত্তর দেবেন কী দেবেন না তা একান্ত আপনার ইচ্ছে এই নিয়ে আমার বলবার কিছু নেই ।

আমি অনেকবার বলেছি আমি হাদীস নিয়ে কিছুই বলছি না তাই অযথা এই বিষয়টি টেনে আনবার কোন প্রয়োজন ছিল না । কোনটা মানা উচিত আর উচিত নয় সেই নিয়েও আলাপ হচ্ছে না এখানে যা যা করেছি সব আমি কেতাবি আলোচনা করেছি । আর এখানে হাদীসের কোন প্রসঙ্গই তাই নেই ! সে যাক !

আমি আপনাকে ছাগল কোথায় বললাম ? আপনাকে ছাগল বলতে চাইলে সরাসরিই বলতাম । এমনকি আপনি এই দাসী সম্পর্কের বিশ্বাসী জেনেও কী আপনাকে কিছু বলেছি ? একটা কথার কথাকে যদি এভাবে ডিফেন্সিভ রিয়েক্টের কারণে নিজের দিকে টেনে নেন তবে সত্যিই আমার করবার কিছু নেই ! ভালো থাকবেন !

১৬| ০৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮

নতুন বলেছেন: সাচু ভাই।

Is everything that’s legal morally right too?

ধর্মান্ধারা ধর্মের আইনের উপরে প্রশ্ন করবেনা এটাই সাভাবিব। কিন্তু দাস প্রথা মানবিক কিনা?

যুদ্ধবন্ধি হলে সাজা দেয়াতে সমস্যা নাই।

কিন্তু স্বামী+স্ত্রী বন্ধী হলে বিয়ে বাতিল ঘোষনা করে অথবা স্বামী ঐ যুদ্ধে নিহত হয়েছে সেই নারীকে কোন গাজীর ভাগে দিয়ে রাতে তাকে মনিবের সাথে সঙ্গম করাকে আইনগত অধীকার হিসেবে ঘোষনা করা যদি ঐশী সিদ্ধান্ধ হিসেবে বিশ্বাস করা !!! :|

এটা যদি অমানবিক না হয় তবে তাদের সাথে কথা বলা চলেনা।

০৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নতুন ভাই, ইসলামে শুধু শাস্তি হিসাবে যুদ্ধাপরাধীদেরকে দাস বানিয়েছে। এটা অনেকটা সশ্রম কারাদণ্ডের মত। জেলখানায় যেমন কয়েদিদের আবদ্ধ করে রাখে এবং তাদের দিয়ে কাজ করানো হয়। তাদেরকে সঠিক পথে আনার জন্য চেষ্টা করা হয়। ইসলামে একইভাবে যুদ্ধাপরাধীদেরকে দাসে রুপান্তর করে কাজে নিয়োজিত করা হয়। তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে (শাস্তিমুলক ব্যবস্থা ছাড়া)। মালিক যে খাবার খাবে সেই খাবার খেতে দিতে হবে মালিক যে পোশাক পড়বে সেই পোশাক পড়াতে হবে। হাদিসে এসেছে যে আমাদের রসূল (সা) তাদেরকে ভাই হিসাবে আচরণ করতে বলেছে। অতিরিক্ত বোঝা দিতে নিষেধ করেছে। পুরোটাই মানবিক। দাস মুক্তির কারণে আগের নিয়মের দাসেরা ধীরে ধীরে মুক্ত হয়ে যাবে। কারণ নতুন করে কাউকে জোর করে দাস বানানো যাবে না। এভাবে শুধু যুদ্ধাপরাধীরাই দাস হিসাবে থাকবে। এখানে অনৈতিকতার কোন প্রশ্ন নাই।

আল্লাহর তরফ থেকে এটাই শাস্তি। কারণ এরা অন্যায় ভাবে আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বহু লোকের প্রাণ নিয়েছে বা নিতে সহায়তা করেছে। এটা অনেক বড় অপরাধ।

১৭| ০৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:০২

জু েয়ল বলেছেন: একটি বিষয় আপনি এড়িয়ে গেছেন, সেটা হলো যুদ্ধ বন্দি হিসেবে পাওয়া দাস দাসীদের সাথে আপনার উল্লেখিত বিষয় ছাড়া আরেকটি বিষয় ছিলো যে ইচ্ছে করলে তাদেরকে বিক্রি করাও যেতো। দাসী দের সাথে সেক্স এর ব্যপারে মনিবগন একটা বিষয় গুরুত্ব দিতো যাতে দাসী প্রেগন্যান্ট না হয়। প্রেগন্যান্ট হলে বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়া যেতো না বা বিক্রি ই হতো না। আর আপনি আরেকটি বিষয় বলেছেন নারীরা যুদ্ধে সাহায্য করতো বলে তাদেরকে বন্দী করে দাসী বানানো হতো, কিন্তু আমার জানা মতে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করাটা মুখ্য ছিলো না শত্র পক্ষের নারী পুরুষের শিশু সকলকেই বন্দী করা হতো এবং তাদের সম্পদ লুঠ করে নেয়া হতো যা গনিমতের মাল বলে পরিচিত। দাসীদের কিছু দিন ভোগ করে বিক্রি করে দেয়ার প্রচলন ছিলো। আমার জানায় ভুল থাকলে প্রতিউত্তরে জানাবেন

০৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই দাস প্রথার সব নিয়ম এক পোস্টে লিখলে অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি লিখেছি। বাকিগুলি অনেকেই জানে তাই লিখিনি।

দাস/ দাসীকে বিক্রি করার নিয়ম ছিল। তবে মনিবের দ্বারা দাসী সন্তান সম্ভবা হলে বা সন্তান জন্ম দিলে সেই দাসীকে বিক্রি করা যেত না। মনিবের মৃত্যুর পরে দাসী মুক্ত হয়ে যায়। অনেক স্কলার বলেন যে সন্তান হওয়ার পরেই দাসী মুক্ত হয়ে যায়।

ঐ যুগে কাফের গোত্রের লোকেরা নারীদের এবং শিশুদের নিয়েই যুদ্ধ করতো। নারীরা যুদ্ধে সাহায্য করতো। এই কারণে তাদেরকে বন্দি করা হত। নিরীহ মানুষের বাড়িতে ঢুকে দাস বানানো হত না বা বাড়ির মধ্যে সম্পদ জব্দ করা হত না। ঐ যুগে যুদ্ধ হত শহরের বাইরে এবং সাথে সেবা যত্নের জন্য নারীরা থাকতো। তারা সেবা করতো এবং যুদ্ধে সাহায্য করতো।

১৮| ০৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


দাসপ্রথা ও দাসপ্রথার বিস্তারের জন্য ইসলামকে দায়ী করা ঠিক হবে না।
ইসলামমের অনেক অন্ধকার দিক অনেক অনাচারের আমার তীব্র বিরোধিতা থাকলেও যেটা সত্য সেটাই বলব।

দাস প্রথা তৎকালীন সময়ে সারা পৃথিবীতেই বিস্তৃতি ছিল।
আরব অন্চল ও পৃথিবীর সবত্র দাসপ্রথা অর্থনীতির একটি অন্যতম অংশ হিসেবে ছিল। মুদ্রা ব্যবস্থা প্রচলন পূর্ব বিনিময় বাণিজ্যে কারেন্সি হিসেবেও ছিল। অব্যাহত ছিলো ১৯ শতক পর্যন্ত। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হকুম দেয়ার পর ও তাৎক্ষণিক ভাবে কার্যকর হয়নি ৫০ বছর লেগেছে সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করতে। সৌদি আরব সর্বশেষ দেশ হিসেবে অফিসিয়ালি দাস প্রথার বিলুক্ত করে ১৯৬২ তে। দাসপ্রথা এখনও বিলুপ্ত হয়নি।
একটু ভিন্ন পন্থায় কর্পোরেট দাসপ্রথা এখনও অব্যাহত আছে।


০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার দ্বিতীয় লাইন ছাড়া বাকিটার সাথে একমত।

আমি দাস প্রথার এই অতীত ইতিহাস এবং গত শতাব্দী পর্যন্ত দাস প্রথা চালু থাকার ব্যাপারে ইচ্ছে করেই উল্লেখ করিনি। কারন ইসলাম অতীতের সকল অন্যায়কে বন্ধ করেছে। মদকে পুরোপুরি বন্ধ করেছে। যদিও কয়েক ধাপে। তাহলে দাস প্রথাকে পুরোপুরি কেন বন্ধ করলো না। তার কারণ হোল ইসলাম যুদ্ধবন্দী ছাড়া দাস তৈরির সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। দাসত্বের অন্যান্য কারণগুলি অন্যায় ছিল তাই সেগুলি বন্ধ করে দিয়েছে।

আল্লাহ যুদ্ধবন্দীদের জন্য শাস্তি হিসাবে দাসত্বকে নির্ধারণ করেছেন। তাই দাস তৈরির এই পথটাকে খোলা রাখা হয়েছে। তারপরও এরা যেন সমাজে মিশে যেতে পারে তার জন্য বিভিন্ন অসিলায় দাস মুক্তির করার তাগিদ দিয়েছেন। এমন কি অনেক ক্ষেত্রে দাস মুক্তি দেয়া বাধ্যতা মুলক। যেমন কেউ যদি অন্যায় ভাবে দাসকে আঘাত করে সেই ক্ষেত্রে দাসকে অবশ্যই মুক্ত করে দিতে হবে। আবার দাস যদি কিস্তিতে টাকা দিয়ে মুক্ত হতে চায় সেটাকেও উৎসাহিত করা হয়েছে। অনেক স্কলারের মতে এটা শুধু উৎসাহ না বরং বাধ্যতামুলক। যদিও এটা নিয়ে মতভেদ আছে। জাকাতের একটা খাত হোল দাস মুক্তির জন্য অর্থ প্রদান। ঐ যুগে সাহাবীরা দাস মুক্তির করার জন্য প্রচুর অর্থ সাহায্য দিতেন। এগুলির উদ্দেশ্য হোল দাসরা যেন শাস্তি ভোগ করে মূল সমাজে মিশে যেতে পারে।

১৯| ০৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

নতুন বলেছেন: পুরোটাই মানবিক। দাস মুক্তির কারণে আগের নিয়মের দাসেরা ধীরে ধীরে মুক্ত হয়ে যাবে। কারণ নতুন করে কাউকে জোর করে দাস বানানো যাবে না। এভাবে শুধু যুদ্ধাপরাধীরাই দাস হিসাবে থাকবে। এখানে অনৈতিকতার কোন প্রশ্ন নাই।

আল্লাহর তরফ থেকে এটাই শাস্তি। কারণ এরা অন্যায় ভাবে আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বহু লোকের প্রাণ নিয়েছে বা নিতে সহায়তা করেছে। এটা অনেক বড় অপরাধ।


ভাই ধর্মের নামে করা অন্যায় গুলি অন্ধবিশ্বাসীরা বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়।

* বানুকুরাইজার ৭/৮ শত মানুষ হত্যা। খারাপ চোখে দেখেনা। ( বলে বিচার তো তাদের পছন্দের নেতা করেছিলো) ( কিন্তু মৌনতার সম্মতির লক্ষন) তাদের নারী/শিশু/বৃদ্ধদের দাসী বানানো ।

* স্বামীকে হত্যার পরে ঐ রাতেই নতুন মনিবের বিছানায় যাওয়ার আইন যদি সৃস্টিকর্তার তরফ থেকে হয় তবে তো কিছুই বলার নাই।
* স্বামীকে বন্ধি করে স্ত্রীকে যদি পাশের তাবুতে নতুন মনিবের বিছানায় যেতে হয় সৃস্টিকর্তার তরফ থেকে সাজা পেতে তবে আমি আর কি বললো।

এই দুই সিনারিও যদি সৃস্টিকতার তরফ থেকে সাজা হয়ে থাকে, আর সেই মনিবের জন্য পুরুস্কার হয়ে থাকে তবে আমার আর কি বলার থাকতে পারে... /:)
*

০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বানু কুরাইজার ব্যাপারে আগে লিখেছি। সেটা যে মিথ্যা অপবাদ সেটা ব্যাখ্যা করেছি।

তবে দাসীদের মনিবের সাথে যৌনতায় বাধ্য করা যায় কি না এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত না। কারণ দাস/ দাসীর সাথে মানবিক আচরণের কথা বলা হয়েছে। তাই বিস্তারিত বলতে পারলাম না।

২০| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ইসলামই একমাত্র ধর্ম যেটা কিনা দাস দসীকে মানুষের মর্যাদা দিয়েছে, মুক্তির ব্যবস্থা করেছে। দাসীর সাথে যৌন সম্পর্ক কি হবে সেটা জেনেই সাহাবীরা এগিয়েছেন এখন ব্যাপারটা আমাদের কাছে যুক্তিহীন কিংবা দেকতে খারাপ দেখালেও বাস্তবা তখন এমনই ছিল। মন্দটাই মানুষ সামনে আনে ভাল দিকটা কেন দেখনা।

০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই নারীরাও অপরাধী ছিল। তাই ইসলাম বাস্তব সম্মত সমাধান দিয়েছে। ধন্যবাদ ভাই।

২১| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

জ্যাকেল বলেছেন: @নিমো সাহেব

নিক বিকৃত করে আলোচনা করাটা কোন টাইপের সভ্যতা দয়া করে বলবেন। আর উপরে আমি যাহাকে উদ্দেশ্য করিয়া কমেন্ট করেছি উনি পলায়ন করিয়াছেন, নাকি আপনেই একাধিক নিক নিয়ে ব্লগে ফিতনা করে বেড়াইতেছেন?

@নতুন

কিন্তু স্বামী+স্ত্রী বন্ধী হলে বিয়ে বাতিল ঘোষনা করে অথবা স্বামী ঐ যুদ্ধে নিহত হয়েছে সেই নারীকে কোন গাজীর ভাগে দিয়ে রাতে তাকে মনিবের সাথে সঙ্গম করাকে আইনগত অধীকার হিসেবে ঘোষনা করা যদি ঐশী সিদ্ধান্ধ হিসেবে বিশ্বাস করা !!! :|

এটা যদি অমানবিক না হয় তবে তাদের সাথে কথা বলা চলেনা।


মনে হতেছে আপনেও ইউটোপিয়া যুগে বসবাস করতেছেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানুষকে চুড়ান্ত সফলতার পথ দেখানোর ধর্ম। ইসলাম একমাত্র ধর্ম যেটা আপনার স্রষ্টা অনুমোদন করেছেন।
ইসলাম দাসপ্রথার বিলোপ সাধনে যা করেছে অন্য কোন সোসাইটি/মত তা করে নি। সর্বশেষ শতকে এসে দাসপ্রথার বিলোপ হয়েছে অথচ এই অমানবিক বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নিয়েছে ইসলাম ১৪০০+ বৎসর আগে। আজকের সময়ের কোন ডিভাইস, চিন্তাধারা যদি হাজার বছর আগের মানুষদের সাথে আলাপ করতে যান তবে ঐ যুগে আপনাকে কি সাব্যস্থ করা হবে তা কি আক্কেল গিয়ান থেকে ভেবেছেন?
তারপরও ইসলাম (দাসদের) মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার দিয়েছে। তাদেরকে নিজ ভাতৃশ্রেণিতে গিয়ান করার কথা বলেছে ডিভাইন কমান্ডমেন্ট থেকে। তাদের সাথে উত্তম আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছে, সর্বোপরি তাদের মুক্ত করে দিয়ে অন্য সকল মানুষের সারিতে নিতে উৎসাহিত করেছে।
এরপরেও যদি আপনে বিভ্রান্ত হন, বলেন অমানবিক ধর্ম ইসলাম তবে আমি আপনাকে ভন্ড শ্রেণির লোক হিসাবেই জ্ঞান করিব।

২২| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

জটিল ভাই বলেছেন:
আবার আমরাই আসল মুমিন! হায়রে মুসলমান! ফরজের খবর নাই, নফল নিয়ে টানাটানি!
প্রিয় ভাই, যারা ইসলামের দোষ খুঁজে তাদের কলিজা কেটে রান্না করে খাওয়ালেও বলবে লবণ কম :(

০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সঠিক বলেছেন ভাই। উপমাটাও ভালো লেগেছে। যারা ইসলামের দোষ খোঁজে তাদের কলিজা কেটে রান্না করে খাওয়ালেও বলবে লবণ কম।

০৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ৭:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখানে একজন সুরা আল মা'আরিজের ৩০ নাম্বার আয়াতের একটা শব্দের অপব্যাখ্যা করছে। 'আও' মানে অথবা। কিন্তু সে বলছে আও মানে অর্থাৎ। কোন অভিধানে আও মানে অর্থাৎ লেখা নাই। দাসীদের ব্যাপারে কোরআনে আরও আয়াত আছে। যেমন সুরা আল আহজাবের ৫০ নাম্বার আয়াত।

'হে নাবী! আমি তোমার জন্য বৈধ করেছি তোমার স্ত্রীদেরকে, যাদের মোহর তুমি প্রদান করেছ এবং বৈধ করেছি ‘ফায়’ হিসাবে আল্লাহ তোমাকে যা দান করেছেন তন্মধ্য হতে যারা তোমার মালিকানাধীন হয়েছে তাদেরকে এবং বিয়ের জন্য বৈধ করেছি তোমার চাচার কন্যা ও ফুফুর কন্যাকে, মামার কন্যা ও খালার কন্যাকে, যারা তোমার সাথে দেশ ত্যাগ করেছে এবং কোন মু’মিনা নারী নাবীর নিকট নিজেকে নিবেদন করলে, এবং নাবী তাকে বিয়ে করতে চাইলে সেও বৈধ। এটা বিশেষ করে তোমারই জন্য, অন্য মু’মিনদের জন্য নয়; যাতে তোমার কোন অসুবিধা না হয়। মু’মিনদের স্ত্রী এবং তাদের মালিকানাধীন দাসীদের সম্বন্ধে যা আমি নির্ধারিত করেছি তা আমি জানি। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। '

সহি হাদিসেও দাসীদের ব্যাপারে অনেক ব্যাখ্যা আছে। কিন্তু সে অকারণেই যুক্তি প্রদর্শন করছে। হাদিস কোরআনে থাকার পরেও এই ধরণের যুক্তি গ্রহণযোগ্য না।

২৩| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: জাস্ট গার্বেজ।
একদম গার্বেজ পোস্ট।

সত্যকে লুকাতে গেলে আরো বেশি সত্য প্রকাশ হয়ে যায়।

০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কেন গারবেজ সেটা বললেন না।

২৪| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

নতুন বলেছেন: মনে হতেছে আপনেও ইউটোপিয়া যুগে বসবাস করতেছেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানুষকে চুড়ান্ত সফলতার পথ দেখানোর ধর্ম। ইসলাম একমাত্র ধর্ম যেটা আপনার স্রষ্টা অনুমোদন করেছেন।
ইসলাম দাসপ্রথার বিলোপ সাধনে যা করেছে অন্য কোন সোসাইটি/মত তা করে নি। সর্বশেষ শতকে এসে দাসপ্রথার বিলোপ হয়েছে অথচ এই অমানবিক বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নিয়েছে ইসলাম ১৪০০+ বৎসর আগে। আজকের সময়ের কোন ডিভাইস, চিন্তাধারা যদি হাজার বছর আগের মানুষদের সাথে আলাপ করতে যান তবে ঐ যুগে আপনাকে কি সাব্যস্থ করা হবে তা কি আক্কেল গিয়ান থেকে ভেবেছেন?


@জ্যাকেল << অন্যরা খারাপ করতেছে বইলা ইসলামের অমানবিক কাজ অন্যদের চেয়ে বেশি মানবিক বলে মেনে নিতে হবে?

দাস প্রথা যদি খারাপ হয় তবে সেটা কেন নিষেধ করেনাই? কেন হারাম ঘোষনা করেনাই?

আজকের সময়ের কোন ডিভাইস, চিন্তাধারা যদি হাজার বছর আগের মানুষদের সাথে আলাপ করতে যান তবে ঐ যুগে আপনাকে কি সাব্যস্থ করা হবে তা কি আক্কেল গিয়ান থেকে ভেবেছেন?

তাহলে ইসলামের বিধান সবগুলিই ঐ যুগের জন্যই প্রযয্য ছিলো? বর্তমানের চিন্তাধারার জন্য না?

যদি বলেন সেই সময়ে যুদ্ধ জয়ীদের জন্য যুদ্ধবন্ধি নারীর একটা মটিভেসন তবে ঠিক আছে।

কিন্তু বর্তমানের মানুষের ভাবনার অনেক উন্নত,।

বর্তমানে যুদ্ধে স্বামী স্ত্রীকে বন্ধী করে স্বামীকে পাশের কামরায় রেখে স্ত্রীর সাথে সেক্স করে তৃপ্তির ঢেক্কুর দিয়ে কে সৃস্টিকর্তার প্রসংসা করবেন এমন মানুষ কমই পাবেন।

২৫| ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯

জটিল ভাই বলেছেন:
রাজীব নুর বলেছেন: জাস্ট গার্বেজ।
একদম গার্বেজ পোস্ট।
সত্যকে লুকাতে গেলে আরো বেশি সত্য প্রকাশ হয়ে যায়।


@প্রিয় রাজীব ভাই,
আপনার মতমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুরোধ রইলো কিজন্যে পোস্টটা গার্বেজ এবং সত্য লুকানো হচ্ছে বলে মনে হলো তা যথাযথ রেফারেন্সসহ উল্লেখ করবেন। অন্যথায় মনগড়াভাবে ধর্মানুভূতিতে, সম্প্রীতে, মানবিকতায় এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ক্রমান্বয় আঘাত করার জন্য আপনার প্রতি দৃষ্টি প্রদানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার কথার গুরুত্ব দিয়েন না ভাই। কোন মেরিট নাই তার মন্তব্যের মধ্যে।

২৬| ০৫ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমার মনের কথাটা তপন দা প্রথম মন্তব্যে মোটামোটি বলেই দিয়েছেন। আমরা যারা অর্থনীতির প্যাচে পড়ে সভ্য জগতে আধুনিক পোশাক পরে এসি রুম এ অদৃশ্য সুতোয় বাধা পরে ক্রীতদাস হয়ে রয়েছি তাদের মুক্ত করবে কে? অপরদিকে ইসলামি শাসন ব্যাবস্থায় ক্রীতদাস এর কথা উল্লেখ থাকলেও কাউকে ক্রীতদাস বানাতে উৎসাহিত করা হয়নি, ক্রীতদাসদের মুক্তি দেয়ার কথা পুনঃ পুনঃ উল্লেখ করা হয়েছে। ক্রীতদাসদের মুক্তি দিলে ব্যাপক সওয়াবের উল্লেখ করে উৎসাহিত করা হয়েছে।

০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শেরজা তপন ভাই ভালো বলেছেন। আমিও আপনার মত ওনার মন্তব্যে সহমত পোষণ করছি। ইসলামে ক্রীতদাস প্রথার বাস্তব সম্মত সমাধান দেয়া হয়েছে। যুদ্ধ বন্দিদের একটা ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন ছিল শাস্তিরও প্রয়োজন ছিল। ইসলামের দাস প্রথায় এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যেন দাসেরা সমাজে মিশে যেতে পারে এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে। জেলে রাখা কোন ভালো সমাধান না।

২৭| ০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:০৭

জ্যাকেল বলেছেন: @নতুন

দাস প্রথা যদি খারাপ হয় তবে সেটা কেন নিষেধ করেনাই? কেন হারাম ঘোষনা করেনাই?

দাস প্রথা আজও বিদ্যমান, মানুষের শ্রেণিভেদ (মানুষেরই) প্রকৃতিগত ব্যাপার। ইসলাম সম্ভবত ন্যাচারাল ব্যাপার নিয়ে অত্যধিক নাড়াচাড়া করেনি। যেমন সেক্স/আকর্ষন/হস্তমৈথুন এইসব নিয়ে প্রকৃতপক্ষে ইসলাম নিরব। তাই হারাম ঘোষণা না করতে যদি আপনে মুক্তির পথ ইসলামকেই অস্বিকার কইরা বসেন তবে উহা লজিক্যালি ডিসমিসেবল এক্ট। আপনে ইসলামের ভেতরে যদি থাকেন, যদি ইসলামের স্টান্ডার্ড ফলো করেন তবে অমনিতেই দাস দাসী মুক্তি দিয়ে দিবেন। আর যদি আপনে অস্বিকারকারী হোন তবে তো আর কোন সমস্যাই নাই, আপনে ইসলাম বহিরাগত লোক, আপনার ইসলাম নিয়ে অতো মাথা না ঘামাইলেও চোলে, ইউটোপিয়া নিয়া নিশ্চিন্তে জীবন যাপন করেন। যা ইচ্ছা মুল্যায়ণ করার অধিকার আল্লাহ আপনারে দেছে।

আজকের সময়ের কোন ডিভাইস, চিন্তাধারা যদি হাজার বছর আগের মানুষদের সাথে আলাপ করতে যান তবে ঐ যুগে আপনাকে কি সাব্যস্থ করা হবে তা কি আক্কেল গিয়ান থেকে ভেবেছেন?

তাহলে ইসলামের বিধান সবগুলিই ঐ যুগের জন্যই প্রযয্য ছিলো? বর্তমানের চিন্তাধারার জন্য না?

যদি বলেন সেই সময়ে যুদ্ধ জয়ীদের জন্য যুদ্ধবন্ধি নারীর একটা মটিভেসন তবে ঠিক আছে।

না, ইসলাম এখনো প্রতিষ্টিত থাকলে, যুদ্ববন্ধি নারি পুরুষের ব্যাপারে সেইম রুলস এপ্লাই করতে পারে। বেহুদা জেলে পুষে সরকারি কোষাগার খালি করার মত কুবুদ্ধি সম্ভবত ইসলামি নেতার থাকবে না।

কিন্তু বর্তমানের মানুষের ভাবনার অনেক উন্নত,।
হাঃহাঃহাঃ =p~ হাঃহাঃহাঃ =p~ হাঃহাঃহাঃ =p~ হাঃহাঃহাঃ =p~ হাঃহাঃহাঃ =p~
দয়া করে উপরে বর্তমানের মানুষের ভাবনা তুলে ধরা কামাল সাহেপকে করা রিপ্লাইয়ের লিংকুক দেখেন। কল্পনার সভ্য (ওয়েস্টার্ন জাতি) যে কতটা সভ্য উহা মনে হয় আপনার এন্টেনায় ধরেনাই। যুদ্ববন্ধী মানুষের সাথে কোন কালেই ভাল ব্যবহার করা হয়নি (এক্সেপশান আছে, বেশি এক্সেপশন ক্রুসেডে মুসলমানরাই করেছে)।

বর্তমানে যুদ্ধে স্বামী স্ত্রীকে বন্ধী করে স্বামীকে পাশের কামরায় রেখে স্ত্রীর সাথে সেক্স করে তৃপ্তির ঢেক্কুর দিয়ে কে সৃস্টিকর্তার প্রসংসা করবেন এমন মানুষ কমই পাবেন।
হাঃহাঃহাঃ =p~ হাঃহাঃহাঃ =p~ হাঃহাঃহাঃ =p~ হাঃহাঃহাঃ =p~ হাঃহাঃহাঃ =p~
আপনে কাল্পনিক একটা সিন মনে করে ইসলামকে কলংক দিয়েছেন যাহা আসলে ফাও। কোরান খুইলা দেখবেন, ইসলাম মানুষকে ভালবাসার কথা বলেছে, উত্তম আচরণ করতে বলেছে। উপরের সিন এট লিস্ট ইসলামের সাথে যায় না, কোনভাবেই না। যদি আইসিস মাইসিস প্রজেক্ট থেকে বলে থাকেন তবে উহা ভিন্ন কথা।
৯/১১ এর মেগা প্রজেক্ট থেকে উদ্ভুত সেমি প্রজেক্ট নিয়ে আর কথা না-ি বলি।


সবশেষ কথা-
বর্তমানে ইসলামের প্রসার আরো বেশি হচ্ছে কোরআন দ্বারা। বিশেষত নারীরা পুরুষের তুলনায় সবচেয়ে বেশি হারে ইসলামে দাখিল হচ্ছে (স কলড মিডিয়ার এবসলিুট নেগেটিভ ভিউ সত্বেও), ওয়েস্ট ধীরে ধীরে ইসলামেই দাখিল হবে, এটা সিউর। ডঃ জেফরি ল্যাং (ফেমাস ম্যাথমেটিশিয়ান) বলেছেন "আমি যদি, মুসলমান দেখে ইসলাম গ্রহণ করতাম তবে আমি পরের দিনই ইসলাম ত্যাগ করতাম, ভাগ্য ভাল যে আমি কোরআন পড়ে মুসলিম হয়েছি"

২৮| ০৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: @জ্যাকেল,আমি আসিনাই এই জন্য যে আপনার সাথে কথা বলার রুচি আমার নাই।

২৯| ০৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩

নতুন বলেছেন: কিন্তু বর্তমানের মানুষের ভাবনার অনেক উন্নত,।
হাঃহাঃহাঃ =p~ হাঃহাঃহাঃ =p~ হাঃহাঃহাঃ =p~ হাঃহাঃহাঃ =p~ হাঃহাঃহাঃ =p~
দয়া করে উপরে বর্তমানের মানুষের ভাবনা তুলে ধরা কামাল সাহেপকে করা রিপ্লাইয়ের লিংকুক দেখেন। কল্পনার সভ্য (ওয়েস্টার্ন জাতি) যে কতটা সভ্য উহা মনে হয় আপনার এন্টেনায় ধরেনাই। যুদ্ববন্ধী মানুষের সাথে কোন কালেই ভাল ব্যবহার করা হয়নি (এক্সেপশান আছে, বেশি এক্সেপশন ক্রুসেডে মুসলমানরাই করেছে)।


ভাই ব্যক্তি জীবনে ৮৫ দেশের মানুষের সাথে গত ১৬ বছর ধরে কাজ করছি তাই হয়তো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের ভাবনার উপরে আমার ভালোই ধারনা আছে... B-)


যদি বলেন সেই সময়ে যুদ্ধ জয়ীদের জন্য যুদ্ধবন্ধি নারীর একটা মটিভেসন তবে ঠিক আছে।
না, ইসলাম এখনো প্রতিষ্টিত থাকলে, যুদ্ববন্ধি নারি পুরুষের ব্যাপারে সেইম রুলস এপ্লাই করতে পারে। বেহুদা জেলে পুষে সরকারি কোষাগার খালি করার মত কুবুদ্ধি সম্ভবত ইসলামি নেতার থাকবে না।


মালে গনিমত নিয়ে যেই হারে ওয়াজ শোনাযায় বোঝা যায় একটা গোস্ঠি কি বিপুল জজবা নিয়ে তখন যুদ্ধে যাবে.... কারন মটিভেশন খুবই কড়া।


ধর্মের প্রজেক্ট বিশ্বে ফেইল করছে সেটা বুদ্ধিমানেরা বুঝতে পারবে, আর উপমহাদেশে যে পুরাই ভন্ডামী চলতেছে সেটা চারিদিকে তাকালেই বোঝা যায়। মানুষ নামে ধর্মিক কিন্তু কাজে দূনিতি/ভন্ডামী।

ধর্ম ধীরে ধীরে সামাজিক আচারে পরিনত হচ্ছে। নামাজ ফরজ৫ ওয়াক্ত কিন্তু কতজন সেটা করছে কিন্তু ঈদের জামাত সম্ভবত ১% ও মিস করেনা, ঈদে কেনাকাটা কেউই বাদ দেয় না।

বুঝতে পারি এইসব দেখে অনেকেই হতাস, বুক ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবতা হইলো মানুষ সচেতন হইতাছে তাই ধর্মের আফিমে এখন কাজ কম হচ্চে না।

আশা করি মানুষ মানবিক হবে, মানুষের জন্য খারাপ জিনিস ত্যাগ করে সকলের ভালো হয় এমনটা ভাববে....

আর দাস প্রথার মতন জঘন্য জিনিস ধর্মের দোহাই দিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে সুগার কোটিং করে মানুষকে গেলাতে চাইবেনা। ;)

০৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বর্তমান যুগের যুদ্ধের যুদ্ধের সাথে ইসলামি জিহাদের তুলনা করলে চলবে না। কারণ কাফেররা আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। এই কারণেই তাদেরকে দাস বানানো হয়। নারীদেরকে হত্যা করার বিধান নাই। কিন্তু পুরুষ বন্দিদের প্রয়োজনে হত্যাও করা যেতে তার অপরাধের ধরণ অনুসারে। যুদ্ধাপরাধী নারীদের দাসী বানানো হয়। ধীরে ধীরে এদের মুক্তিরও ব্যবস্থা আছে। অন্যায় যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য এটাই আল্লাহর তরফ থেকে শাস্তি। ইসলাম আসার আগেও আরবের যুদ্ধে এই নিয়ম ছিল। কিন্তু ইসলাম সেটাকে মানবিক করেছে। আপনার দৃষ্টিতে মানবিক না হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসলামের বিধানটাই বাস্তব সম্মত এবং মানবিক।

মালে গনিমত অবশ্যই প্রণোদনা এবং যুদ্ধের পরে পাওয়া পুরস্কার। যুদ্ধ সবার পক্ষে করা সম্ভব না। তাই যারা যুদ্ধ করে তাদের জন্য প্রণোদনার দরকার আছে।

ধার্মিকের সমালোচনা আপনি করতেই পারেন। সেটা আমিও করি। কিন্তু ইসলামের বিধানে কোন সমস্যা নাই। আপনার দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ইসলামের বিধান আপনার ভালো লাগছে না। তবে বাংলাদেশে মানুষ ধর্মের দিকে আরও ঝুকছে।

ইসলাম ধর্মে সবই মানবিক। মানুষের জন্য খারাপ এমন কিছু ইসলামে নেই। দাসীর ব্যাপারটা আপনার ভালো লাগছে না। কিন্তু দেখতে হবে যে এরা ভয়ংকর যুদ্ধাপরাধী। এদেরকে হত্যা করাও যেত সেটা না করে কাজে লাগানো হয়েছে এবং এরা যেন সমাজে মিশে যেতে সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আপনার কাছে ব্যাপারটা অস্বাভাবিক মনে হলেও আরবের কালচারে এটাই স্বাভাবিক ছিল। নারীরা সেটা জেনেই যুদ্ধে যেত।

তবে ইসলামি জিহাদ এখন নাই বললেই চলে। কেউ দাবি করলে সেটা আসলেই জিহাদ কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন আসে। তাই দাস দাসীর প্রশ্ন আসে না এখন। তাছাড়া ইসলামিক দেশগুলি যুদ্ধ সংক্রান্ত অনেক আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। সেই চুক্তিও তাদের মানতে হবে।

৩০| ০৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

জ্যাকেল বলেছেন: @নতুন মালে গনিমত নিয়ে যেই হারে ওয়াজ শোনাযায় বোঝা যায় একটা গোস্ঠি কি বিপুল জজবা নিয়ে তখন যুদ্ধে যাবে.... কারন মটিভেশন খুবই কড়া।
আপনে কি কমন সেন্স ধারণ করেন না? অথবা জবাব দেন ঐসব হুজুরকে ইসলামের অথরিটি কে দিছে? দেখান তো। :)



ধর্মের প্রজেক্ট বিশ্বে ফেইল করছে সেটা বুদ্ধিমানেরা বুঝতে পারবে, আর উপমহাদেশে যে পুরাই ভন্ডামী চলতেছে সেটা চারিদিকে তাকালেই বোঝা যায়। মানুষ নামে ধর্মিক কিন্তু কাজে দূনিতি/ভন্ডামী।

আপনার কথা সঠিক না। কারণ পশ্চিম দ্রুত হারে ইসলাম গ্রহণ করছে। কিন্তু কেন? কারণ ইসলাম মহান, ইসলাম বাস্তব, মানুষের বেস্ট রেশনাল আচরণ ইসলামই পরিস্কার করে বলে দিয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=VA6v1x0LNTA&ab_channel=AishaRosalie
আপনে যে ভাবনার বিশ্ব দেখতে চান, সেই বিশ্ব কোন কালেই ছিল না, হবেও না। উল্টা মোদি, ট্রাম্পের উত্থান হচ্ছে। আপনে মানুষের স্বাভাবিক স্বভাব স্বীকার করে নিচ্ছেন না যে যুদ্ব/ফিরকাগিরি মানুষের নেচার। এখান থেকে শিষ্ট আচরণ করতে দরকার ইসলামের মত মহান ধর্মের যেখানে জীবনের গ্যারান্টি আছে, আছে জটিল ফিলসফির সমাধান আর অবশ্যই মানুষকে মৃত্যুর পরের জীবনের সুসংবাদ দেয়।

৩১| ০৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:০০

জ্যাকেল বলেছেন: @মিঃ নতুন
এই ভিডিওতে সামান্য উত্তর পাবেন যে ধর্মহীন মানুষেরা কেন ইসলাম গ্রহণ করছে।

#কারন ধর্ম ছাড়া মানুষ দিশেহারা, তার কোন ঠাই নাই, কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য নেই, জীবনের অর্জন ৬০-৬৫ বৎসরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।
#অথচ নিদর্শনের সাহায্যে ইসলাম বুঝা মানুষেরা ঠিকই চিনে নেয় অসীম জীবনের সন্ধান, সে আনন্দিত হয় তার অস্তিত্বে। ভদ্র নম্র শিষ্টতার মধ্যে সহজেই নিজেকে খুঁজে নেয় এবং পরম নিশ্চিন্তে জীবন নির্বাহ করে।


https://youtu.be/92r4X9kYfzA?t=76

৩২| ০৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৬

নতুন বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন: @নতুন মালে গনিমত নিয়ে যেই হারে ওয়াজ শোনাযায় বোঝা যায় একটা গোস্ঠি কি বিপুল জজবা নিয়ে তখন যুদ্ধে যাবে.... কারন মটিভেশন খুবই কড়া।
আপনে কি কমন সেন্স ধারণ করেন না? অথবা জবাব দেন ঐসব হুজুরকে ইসলামের অথরিটি কে দিছে? দেখান তো। :)


আমি বলেছি একটা গোস্ঠির কথা। এখন আপনি যদি আয়ামীলীগের মতন আকাম করলেই বলেন এরা আমাদের দলের মানুষ না এদের বহিস্কার করা হইছে তাইলে কেমন হয়? B-)

ধর্মের প্রজেক্ট বিশ্বে ফেইল করছে সেটা বুদ্ধিমানেরা বুঝতে পারবে, আর উপমহাদেশে যে পুরাই ভন্ডামী চলতেছে সেটা চারিদিকে তাকালেই বোঝা যায়। মানুষ নামে ধর্মিক কিন্তু কাজে দূনিতি/ভন্ডামী।

আপনার কথা সঠিক না। কারণ পশ্চিম দ্রুত হারে ইসলাম গ্রহণ করছে। কিন্তু কেন? কারণ ইসলাম মহান, ইসলাম বাস্তব, মানুষের বেস্ট রেশনাল আচরণ ইসলামই পরিস্কার করে বলে দিয়েছে।


আপনি দেশের র্ধামিকদের ভন্ডামীর কারন খুজে দেখুন। দেশে মানুষ ধামিক মানুষের অভাব নাই তবে দূনিতি করছে কারা??????

পশ্চিমের মানুষের মরালিটি আমাদের উপমহাদেশের মানুষের থেকে খারাপ না। এরা আমাদের থেকে প্রফেসনাল।

ট্রাম্প একটা জোকার, একটা রাস্টকে দূবর্লকরতে ট্রাম্পের মতন একটা জোকারকে ক্ষমতায় বসাতে পারলে কাজ সহজ হয়।

মদির উদ্থান ধমান্ধতা আর রাজনিতিক ফয়দার কারনে হচ্ছে। ভারত কেন পেছনে হাটছে এটা বুঝতেছিনা।

৩৩| ০৬ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

জ্যাকেল বলেছেন: আমি বলেছি একটা গোস্ঠির কথা। এখন আপনি যদি আয়ামীলীগের মতন আকাম করলেই বলেন এরা আমাদের দলের মানুষ না এদের বহিস্কার করা হইছে তাইলে কেমন হয়? B-)

তাইলে কুনুভাবেই হয় না। আমি ত বলি নাই যে ইহারা হিন্দু কিংবা অমুসলিম। ৭২ ফিরকায় বিভক্ত মুসলিমদের শত মত থেকে আপনে যে কোন একটা (তর্কের সুবিধার জন্য) নিলেই তো হয় না। আপনার বক্তব্য যদি ইসলাম নিয়ে হয় তবে ইসলামের মডেল এই কোরআন এর সাথেই বিতর্কে লড়তে হইবে।

৩৪| ০৬ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

নতুন বলেছেন: তাইলে কুনুভাবেই হয় না। আমি ত বলি নাই যে ইহারা হিন্দু কিংবা অমুসলিম। ৭২ ফিরকায় বিভক্ত মুসলিমদের শত মত থেকে আপনে যে কোন একটা (তর্কের সুবিধার জন্য) নিলেই তো হয় না। আপনার বক্তব্য যদি ইসলাম নিয়ে হয় তবে ইসলামের মডেল এই কোরআন এর সাথেই বিতর্কে লড়তে হইবে।

যদি ৭২ ফিরকায় বিভক্ত ইসলাম হয়েই থাকে তবে সহী ইসলাম কত %

২১% মানুষ ইসলামী নামে আছে.... তাকে যদি ৭২ ফিরকায় ভাগ করেন তবে সহী ইসলামের অনুসারী কতজন? :||

আপনার বক্তব্য যদি ইসলাম নিয়ে হয় তবে ইসলামের মডেল এই কোরআন এর সাথেই বিতর্কে লড়তে হইবে।

সহী কোরানের অনুসারী কোন সমাজ/গোস্ঠির উদাহর দিবেন কি? দেখি তারা কেমন মানবিকতা ধারন করে?

৩৫| ০৬ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

নতুন বলেছেন: ধর্মের প্রজেক্ট বিশ্বে ফেইল করছে সেটা বুদ্ধিমানেরা বুঝতে পারবে, আর উপমহাদেশে যে পুরাই ভন্ডামী চলতেছে সেটা চারিদিকে তাকালেই বোঝা যায়। মানুষ নামে ধর্মিক কিন্তু কাজে দূনিতি/ভন্ডামী।

আপনার কথা সঠিক না। কারণ পশ্চিম দ্রুত হারে ইসলাম গ্রহণ করছে। কিন্তু কেন? কারণ ইসলাম মহান, ইসলাম বাস্তব, মানুষের বেস্ট রেশনাল আচরণ ইসলামই পরিস্কার করে বলে দিয়েছে।

যদি ৭২ ফেরকার হিসাব ধরি। তবে ৮ বিলিওন মানুষের মাঝে ২১% নামে মুসলমান অর্থ ১.৭ বিলিওন মুসলমান হিসেবে স্বিকার করে। তার ৭২ ভাগের ১ ভাগ যদি সহী পথে থাকে তবে ২.৩ কোটি মানুষ সহী ইসলামে আছে।

সেই হিসাবে দুনিয়ার মাত্র ৩% মানুষ সহী ইসলামে অনুসরন করেছে। যদিও এই হিসাবে নবজাতক থেকে বৃদ্ধ সবই আছে।

তাইলে বোঝেন দুনিয়াতে আপনার হিসেবে সহী ইসলামের অনুসারী কতজন হইতে পারে?

৩৬| ০৬ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

জ্যাকেল বলেছেন: তাইলে বোঝেন দুনিয়াতে আপনার হিসেবে সহী ইসলামের অনুসারী কতজন হইতে পারে?

@নতুন

আল্লাহ তো বলেন নাই সবাইকে/অধিকাংশ লোককে সহী মুসলমান হইতে হইবে। আল্লাহ মানুষকে চয়েসের স্বাধিনতা দিয়েছেন, সে যদি চয়েসে গোলমাল করে তবে আমি/আপনে দোষি না। যার যার আমল তার তার জওয়াব, তাই সহি হইল না কি হইলো তা দেখার দ্বায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নেওয়ার কোন এখতিয়ার নাই। বরং নিজের ইয়া নফসি, ইয়া নফসি করতে করতেই সব শেষ (ইহাই প্রকৃত বাস্তবতা।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

৩৭| ০৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৩১

নতুন বলেছেন: যার যার আমল তার তার জওয়াব, তাই সহি হইল না কি হইলো তা দেখার দ্বায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নেওয়ার কোন এখতিয়ার নাই। বরং নিজের ইয়া নফসি, ইয়া নফসি করতে করতেই সব শেষ (ইহাই প্রকৃত বাস্তবতা।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।


মুমিনরা ইয়া নফসী ইয়া নফসি করলে তো সমস্যা ছিলো না।

বরং তারা বলে
ইসলামের দাস প্রথা মানবিক। দাস মুক্তির কথা এত জায়গায় আছে যে এই প্রক্রিয়ায় দাসেরা ধীরে ধীরে সমাজে মিশে যেতে পারে। ফলে সমাজে দাস এক সময় আর থাকে না অথবা একদম কমে যায়। যারা থাকে এরাও মুলত যুদ্ধাপরাধী। এটাকে একধরনের পুনর্বাসন বলা যেতে পারে। এই যুদ্ধাপরাধীদেরকে ধীরে ধীরে কাজে নিয়োজিত করে সমাজের সাথে মিশে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়। ইসলামের সবচেয়ে বড় সমালোচনা হোল অধিকার ভুক্ত দাসীর সাথে সেক্স। এটার কারণ হোল এই নারীরা যুদ্ধাপরাধী। যুদ্ধের ময়দানে পুরুষদের সাথে থেকে যুদ্ধে সাহায্য করেছে এরা। এদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পু

এখন যখন মুমিন দাস প্রথার মানবিক ইসলামী তরিকা প্রসক্রাইব করে তখন কথা আসে।

স্বামী স্ত্রীকে যুদ্ধ বন্দি করে স্বামীকে হত্যা বা বন্ধি করে স্ত্রীকে কোন মুমিনের বিছানায় পাঠানোকে যখন মানবিক ইসলামী সৃস্টিকতার তরফ থেকে এপ্রুফড বলে প্রচার করে তখন সচেতনরা এটার প্রতিবার করতেই পারে।

৩৮| ০৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: 'হে নাবী! আমি তোমার জন্য বৈধ করেছি তোমার স্ত্রীদেরকে, যাদের মোহর তুমি প্রদান করেছ এবং বৈধ করেছি ‘ফায়’ হিসাবে আল্লাহ তোমাকে যা দান করেছেন তন্মধ্য হতে যারা তোমার মালিকানাধীন হয়েছে তাদেরকে এবং বিয়ের জন্য বৈধ করেছি তোমার চাচার কন্যা ও ফুফুর কন্যাকে, মামার কন্যা ও খালার কন্যাকে, যারা তোমার সাথে দেশ ত্যাগ করেছে এবং কোন মু’মিনা নারী নাবীর নিকট নিজেকে নিবেদন করলে, এবং নাবী তাকে বিয়ে করতে চাইলে সেও বৈধ। এটা বিশেষ করে তোমারই জন্য, অন্য মু’মিনদের জন্য নয়; যাতে তোমার কোন অসুবিধা না হয়। মু’মিনদের স্ত্রী এবং তাদের মালিকানাধীন দাসীদের সম্বন্ধে যা আমি নির্ধারিত করেছি তা আমি জানি। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। '

আবার আসলাম , কেন আসলাম ?

আচ্ছা আপনি এই যে আয়াতটা দিলেন এখানে উল্লেখ করলেন "ফায়" শব্দটা এটা তো কোরাণে নেই আপনি কোত্থেকে পেলেন । ফায় শব্দটার আরবি প্রতিশব্দ দেখাতে পারবেন যেটা এই আয়াতে দেয়া আছে ? আপনি পারবেন না , আপনাকে আমি রেফারেন্স দেবার পরও আপনি এসব নিয়ে ফালতু কথা পারলেন আর এখন যা বললেন পূর্ণাঙ্গ মিথ্যাচার করলেন । বাহ্ ভাই আপনি আবার যুক্তি খুঁজেন আপনি পূর্ণাঙ্গভাবে অযৌক্তিকতাকে আঁকড়ে ধরে আছেন আপনি আবার যুক্তি খুঁজছেন হাস্যকর !!

আপনি অন্তত এমন কোন আরবি ব্যকরণ দেখান যার কারণে ফায় শব্দটা এমনিতেই প্রকাশ পায় এই আয়াতে ! আপনি শায়মাপার পোস্টে বলেছেন যে আসাদের আরবি মাতৃভাষা নয় বলে সমস্যা হতেই পারে । কারও মাতৃভাষা আরবি না হলেই যে আরবিতে সে পারদর্শী হবে না এটা মেনে নিলে তো বলতে হয় পৃথিবীর অনেক আলেম যারা আরবি নন তারা আলেমও হতে পারবে না । আচ্ছা বাদদিন ভাষাবীদরা কী করে ভাষাবীদ হয় বলুন তো ? ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহও তাইলে ভালো ভাষা বোঝেন না বলে মেনে নিতে হবে । হাস্যকর !!

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে ছোট ভাইয়ের মত মনে করি। কিন্তু আপনার ভাষা আর শব্দ খুব আপত্তিকর এবং ব্যক্তি আক্রমণ মুলক। আগে একবার করেছেন। এই মন্তব্যে আবার আপনি বলেছেন আমি ফালতু কথা বলি। এটা কোন ভদ্র ভাষা না। দয়া করে ভদ্র ভাষা ব্যবহার করবেন। আর যদি মনে করেন আপনার ভাষাই এরকম তাহলে অনুরোধ করবো আমার পোস্টে যেন না আসেন।

এই সুরায় 'আফাআ আল্লাহু ' শব্দ দুটি আছে। এটার অর্থ আল্লাহ যা দিয়েছেন। বাংলায় যারা অনুবাদ করেছে তারা আফাআ কে ফায় বলেছে তারপরে বলেছে ‘ফায়’ হিসাবে আল্লাহ তোমাকে যা দান করেছেন তন্মধ্য হতে যারা তোমার মালিকানাধীন হয়েছে তাদেরকে...

এতে কি কোন অর্থের পরিবর্তন হয়েছে। হয় নাই। পৃথিবীতে অনেক ইংরেজি অনুবাদ আছে কোরআনের কিন্তু একই আয়াতের ক্ষেত্রে শব্দের হুবহু মিল নেই। কিন্তু অর্থ এক। একই কথা বাংলার ক্ষেত্রেও। বাংলার আরেকটা অনুবাদ হয়তো ভিন্ন শব্দ আছে কিন্তু বাক্যের অর্থ এক। একেক অনুবাদ একেক বাংলা শব্দ ব্যবহার করেছে কিন্তু মূল অর্থের পরিবর্তন হয়নি।

কোরআনের তফসির করতে হলে মাতৃভাষা আরবি হওয়া জরুরী না। বহু আলেম আছেন যাদের মাতৃভাষা আরবি না। মোহাম্মাদ আসাদের কথা বলেছি কারণ কিছু ক্ষেত্রে ওনার অনুবাদ এবং তফসির বিতর্কিত। মোহাম্মাদ আসাদ যে অর্থ আলোচ্য শব্দের জন্য ব্যবহার করেছেন সেটা কোন অভিধানে নেই। তাই উনি যতই আরবি জানুক না কেন সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। কোরআনের আরও অনেক বিখ্যাত অনুবাদ এবং তফসির আছে কোথাও এই রকম অর্থ পাবেন না। দাসীর ব্যাপারটা ইসলামে প্রতিষ্ঠিত একটা জিনিস। আপনি অকারণেই এটা নিয়ে বিতর্ক করছেন। সুরা আহজাবের ৫০ নাম্বার আয়াত এই কারণে উল্লেখ করেছি।

মোহাম্মাদ আসাদের বিতর্কিত অনুবাদ এবং তফসির নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। তখন আরও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো। একটা উদাহরণ দেই। মুহাম্মাদ আসাদ মিরাজের আয়াতের তফসিরের ক্ষেত্রে মনে করতেন যে আমাদের রসূলের (সা) মেরাজ এবং ইসরা শারীরিকভাবে হয় নাই বরং আত্মিকভাবে হয়েছে। এটা ওনার একটা ভুল ব্যাখ্যা। আরও অনেক ক্ষেত্রে তার কোরআনের অনুবাদ এবং তফসির নিয়ে বিতর্ক আছে। ফলে সৌদি সরকার ওনার এই তফসিরকে ১৯৭৪ সালে নিষিদ্ধ করেছিল। কোরআনে উল্লেখিত হজরত লোকমানকে আসাদ সাহেব পৌরাণিক বলেছেন। এটাও
ওনার অনুবাদ এবং তফসিরের একটা বিতর্কিত একটা বিষয়।

আপনি মন্তব্য করতে পারেন যদি ভাষা ঠিক রাখতে পারেন। তা না হলে করার দরকার নাই। আমি আপনার সম্পর্কে এখনও ভালো ধারণা রাখি। দয়া করে সেটা নষ্ট করবেন না।

৩৯| ০৭ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমার এই শব্দদ্বয়ের জন্য আমি দুঃখিত !

আপনাকে আমি যা বলছি আপনি হয়তো বুঝতে পারেননি । আমি বলেছি ফায় শব্দটা যে এসেছে এটা কী কোন ব্যকরণের কারণে এসেছে নাকি কোন আরবি শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে এসেছে ? আপনি সেটা বলেননি বা বলতে পারেননি । আপনি যা বলছেন সেটা কী যুক্তিযুক্ত হচ্ছে আপনার পূর্বের প্রতিমন্তব্যগুলোর ভিত্তিতে ?

"আফায়া আল্লাহু" এর অর্থ আসলে আল্লাহ দিয়েছেন । এটা ঠিক আছে , এখন ফায় শব্দটির অর্থ কী ? যতটুকু জানি তা যদি ভুল না হয় তবে এর অর্থ হবে অতিরিক্ত ! এখন পুরো নিরেট আরবি আয়াতটা খেয়াল করলে আমরা কী কোথাও এমন কোন ব্যকরণিক বিষয় অথবা এমন কোন চিহ্ন কিংবা কোন শব্দ পাচ্ছি কী যার কারণে অতিরিক্ত অর্থ প্রকাশ পায় ? আমার প্রশ্ন এখানেই ! এবং আপনি কী দেখাতে পারবেন আফায়া শব্দটি দ্বারা অতিরিক্ত দিয়েছি বোঝাচ্ছে ? এবং সেটা কোন অভিধানে দেখাতে পারবেন ? এখানে কিন্তু আপনি আর অভিধানে নির্ভর করবেন না !

আমি আও শব্দের মানে যে অর্থাৎ এর পেছনে রেফারেন্স দিয়েছি । আপনি পড়লেই জানতে পারতেন যে ওনার বক্তব্য কী ! আপনি কিন্তু তা না পড়ে অযথাই কথা বলেছেন এটা একাডেমিক আলোচনা হলো না । আবার আপনাকে যা প্রশ্ন করলাম তার কোন একাডেমিক উত্তর আপনি দিলেন না । আপনি কী সত্যিই সঠিক পথে আছেন ?

আল্লামা আসাদকে নিয়ে বিতর্ক আছে । বিতর্ক তো ইমাম শাফীকে নিয়েও আছে তাই বলে কী তাকে আলেম মনে করা হয় না । তার বক্তব্য কী গ্রহণযোগ্য মনে করা হয় না ? করা হয় ! এখন বিতর্ক আছে বলে একেবারেই ধর্তব্যে না ধরাটা এক ধরনের বোকামি । হ্যাঁ আপনি নিজেই যাচাই করে তার ভুল কী ঠিক বিচার করতে পারেন এবং তাকে ত্যাগ করতে পারেন কিন্তু বিতর্ক আছে বলে তার বক্তব্য ধর্তব্যে আসবে না এটা মনে করাটা ঠিক না ! দাসীর ব্যাপারটা আলেমদের কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এর পেছনেও একটা কালো ইতিহাস আছে । সেটাও একদিন পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ ! আর আপনি যে আয়াত দেখালেন সেখানেও সরাসরি দাসী শব্দটি প্রয়োগ হয়নি ভাই ! আপনাকে আমি এর আগে একটা মন্তব্যে বলেছি যে মা মালাকাত আমাইনুকুম অনুযায়ী যদি দাসীও ধরি তবে এই উপমার মাধ্যমে দাসও বোঝাবে তো নারী কী তার দাসের সাথে মিলন করতে পারবে ? আপনি বলবেন পারবে না কারণ কী ? কারণটা কোরাণেই আছে , সধবা নারী অন্য পুরুষের জন্য হারাম । তো যেখানে কোরাণেই বলা আছে বিয়ে ছাড়া কোন সম্পর্ক হবে না সেখানে আবার দাসীবৃত্তি কী করে গ্রহণযোগ্য হয় ? আপনি দয়া করে আমার কথার বিপক্ষে বললে এই যে যুক্তি দেখালাম এর বিপক্ষে বলুন অযথা হাদীস টানবেন না আমি এই নিয়ে কথা বলছি না !


আল্লামা আসাদের বই পড়লে আপনি বুঝতে পারতেন উনি কী কী বিষয়কে ফলো করেছেন । উনি বেশি অনুসরণ করেছেন আল রাজীকে , যিনিও তাফসির জগতে অনেক বিখ্যাত একজন ! এমনকি তার অভিমতকে দার্শনিক জগতেও অনেক মূল্য দেয়া হয় ! আপনি যে আধ্যাত্মিক মিরাজের কথা বললেন এটা নিয়ে অনেক কথা আছে । আপনি কেবল একটা দিককে আবশ্যিকভাবে অনুসরণ করছেন বলে আপনার কাছে বিতর্কিত মনে হচ্ছে । এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আপনাকে যদি বলি একাডেমিক অলোচনা করতে তখন আপনাকে নিরপেক্ষ হতেই হবে । আসাদ যে ভুলের উর্ধ্বে এটা আমি মনেই করি না । তিনি নবী নন , তার ভুল আছেই এবং ওনার ভুলের মধ্য দিয়ে আমাদের সঠিককে বেছে নিতেই হবে ! আমি ১০০ টি কথার মধ্যে ৯৯ টি সত্য বলে একটি মিথ্যা বললে আমার ৯৯ টি সত্য কথা মিথ্যা হয়ে যাবে না । তদরূপ আসাদের বেলাতেও ! আশাকরি বুঝেছেন !

০৭ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মোহাম্মাদ আসাদ কোরআন অনুবাদ করতে গিয়ে দাস প্রথার ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। ওনার অনুবাদ তফসিরের সমালোচনা নিয়ে কয়েকশো পাতার বই প্রকাশ হয়েছে। তাই এই পোস্টে এতো কিছু বলা সম্ভব না। হজরত ইব্রাহিম (আ) আগুনে নিক্ষিপ্ত হন নি বলেছেন তিনি। কিন্তু এগুলি সঠিক ব্যাখ্যা না। এরকম আরও অনেক উদাহরন দেয়া যায়। তবে এই পোস্টে সেই আলোচনা করা সম্ভব হবে না।

অন্যান্য অনুবাদকারীরা ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করলেও মুহাম্মাদ আসাদের মত অর্থ পরিবর্তন করে ফেলেন নি। বাংলা বা যে কোন ভাষায় অনুবাদে শব্দের মিল নাও থাকতে পারে কিন্তু তাতে অর্থ পরিবর্তন হয় না। কিন্তু আসাদ সাহেব অর্থ পালটিয়ে ফেলেছেন অনেক ক্ষেত্রে।

৪০| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: : মোহাম্মাদ আসাদ কোরআন অনুবাদ করতে গিয়ে দাস প্রথার ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। ওনার অনুবাদ তফসিরের সমালোচনা নিয়ে কয়েকশো পাতার বই প্রকাশ হয়েছে। তাই এই পোস্টে এতো কিছু বলা সম্ভব না। হজরত ইব্রাহিম (আ) আগুনে নিক্ষিপ্ত হন নি বলেছেন তিনি। কিন্তু এগুলি সঠিক ব্যাখ্যা না। এরকম আরও অনেক উদাহরন দেয়া যায়। তবে এই পোস্টে সেই আলোচনা করা সম্ভব হবে না।


উনি কিসের ভিত্তিতে বলেছেন তা কী পড়ে দেখেছেন ? পৃথিবীর কার প্রতি সমালোচনা নেই ? যার প্রতি সমালোচনা করা হয় তাকে তার বাদের ভেতর দিয়ে বা যুক্তির ওপর সমালোচনা করতে হয় আপনি তো অন্যের মুখে মধু কেমন তা জানতে চাইছেন নিজে চেখে নিতে চাইছেন না কেন ? আপনি কিন্তু তার কোন লিখাই পড়েননি । এদিকে আপনি অভিধান থেকে আও শব্দের অর্থ জানতে চাইছেন মানে আপনি একাডেমিক বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে চান একই সাথে আপনি একাডেমিক বৈশিষ্ট্য লংঘন করছেন এটা হাস্যকর ভাই !

অন্যান্য অনুবাদকারীরা ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করলেও মুহাম্মাদ আসাদের মত অর্থ পরিবর্তন করে ফেলেন নি। বাংলা বা যে কোন ভাষায় অনুবাদে শব্দের মিল নাও থাকতে পারে কিন্তু তাতে অর্থ পরিবর্তন হয় না। কিন্তু আসাদ সাহেব অর্থ পালটিয়ে ফেলেছেন অনেক ক্ষেত্রে।

কী সুন্দর করে পিছলে গেলেন ভাই । আপনার কাছে প্রমাণ চাইলাম আপনি এবার কোন প্রমাণটা আমাকে দেখাতে পারছেন বলুন তো ? অনুবাদ করতে গিয়ে বাড়তি শব্দ প্রয়োগ করতে হলেও এখানে ব্যকরণ থাকা লাগে আপনি সেটা দেখাতে পেরেছেন ? নিজের বেলায় আপনি হিংটিং ছট বক্তব্য রাখছেন আর পরের বেলায় আপনি একটা অব্যয়ের মানে অভিধানে খুঁজতে যাচ্ছেন । আপনি এও জানেন না অব্যয়ের মানে দাঁড়ায় ব্যকরণিকভাবে । আপনি এটা কেন করছেন ? অনুবাদে আলাদা শব্দ আনলে তো অর্থের পরিবর্তন হয় । মা মালাকাত আমাইনুকুম এই উপমার ব্যকরণিক অর্থ আপনি জানেন না তাই আপনার মনে হচ্ছে আসাদ ভুল বলছে । আপনি হলেন তাঁদের দলে যারা চিল কান নিয়ে গেছে বলে দৌঁড়াতে থাকে নিজে যাঁচাই করে না । আপনাকে ঋদ্ধ ভাবতাম আপনি আসলে তা নন !!

ভালো থাকবেন আর হ্যাঁ এমন অবিমৃষ্যতায় বাঁচুন ! আল্লাহ হাফিজ !

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি তাকে নিয়ে এই ব্লগেই পোস্ট দিয়েছি এক বছর আগে। তবে সেটা তার লেখা অন্য বই সংক্রান্ত। আমি তার সম্পর্কে আগে থেকেই জানি। তার তফসির এবং অনুবাদের সমস্যা চিহ্নিত অংশগুলির ব্যাপারে আমি কিছু পড়াশুনা করেছি। তাই না জেনে বলছি না। বুঝে শুনে এবং কিছুটা পড়েই বলেছি। সব পড়লে তার প্রতি আমার আস্থা আরও কমে যাবে। তবে উনি মানুষ ভালো ছিলেন।

পিছিয়ে যাই নি। অনুবাদের মূল অর্থের পরিবর্তন কেউ করেনি। কিন্তু আসাদ সাহেব করেছেন। বিভিন্ন অনুবাদে বিভিন্ন শব্দ থাকতে পারে। কিন্তু বাক্যের অর্থ পরিবর্তন হয় নি। আসাদ সাহেব সারা দুনিয়ার অনুবাদের বিপরীত করেছেন। ওনার লেখাগুলি পশ্চিমারা পছন্দ করে যারা অলৌকিক বিষয় মানতে চায় না। উনি নিজেও পশ্চিমের লোক তাই কোরআনে বর্ণিত অলৌকিক বিষয়গুলি উনি মানতে চান নি।

আপনি আসাদ সাহেবের দ্বারা প্রভাবিত তাই আমার কোন ব্যাখ্যাই আপনার ভালো লাগবে না। আমি আসাদ সাহেবের সমস্যাগুলি নিয়ে পড়াশুনা করেই বলছি। উনি ওনার মন গড়া অর্থ এবং ব্যাখ্যা করেছেন যার কারণে সৌদি আরব তার বইকে ব্যান করেছে।

৪১| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:১১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি যদি পড়াশোনা করেই থাকেন তবে তার ভাষাভিত্তিক তাফসির এবং দুনিয়ার আধুনিক ইসলামিক স্কলারদের অনুসরণের ব্যাপারে আপনি জানতেন । আপনি মনে হয় না তার তাফসির পড়েছেন । পড়লে দেখতে পেতেন যা যা বলেছি সে নিয়ে আরও অনেকে বলেছে তাও উনি উল্লেখ করেছেন ।

মূল অর্থ আসাদ পরিবর্তন করেনি বরং তিনি মূল অর্থের দিকেই গেছেন । সাধারণ তাফসিরে ব্যকরণিক অর্থের দিকে নজর কম দেয়া হয় উনি তা করেননি । উনার আরবি অর্থের ব্যাপারে কোন সমালোচনা আসলে তেমন একটা হয়নি । কারণ উনি ভাষার অনুধাবনের দিকে নজর দিয়েছেন । উনি অলৌকিকত্ব মানতেন না এটা আপনাকে কে বলল ? না মানলে তো উনি ইসলামেই আসতেন না ! এখন যেটা বললেন সেটা কী বুঝে বলেছেন ভাই ? পশ্চিমা ওনাকে পছন্দ করে ওনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার কারণে । এমনকি উপমহাদেশের বিখ্যত আধুনিক মুসলিম চিন্তাবিদ আল্লামা ইকবালও ওনাকে সমর্থন করতেন ! এটা এমনি এমনি হয়নি ভাই ।

আমি আসাদ দ্বারা প্রভাবিত না ওনার কিছু কথার সমালোচনা আমি নিজেও করেছি ভাষার দিক থেকে । এবং কিছু দিক থেকে আমার আপত্তিও আছে । আপনার কথা আমার ভালো লাগছে না কারণ আপনি র্যাডিক্যাল তাই । আমি ওনার ব্যাখ্যা বৈজ্ঞানিক দিক থেকে পড়েই বলছি এবং ইতিহাস জেনেই বলছি সব । আমি মূলত ভাষার অনুধাবনে বিশ্বাসী আমি কোন আলেম কী বলেছে তাতে বিশ্বাসী না আল্লাহ আমাকে জ্ঞান দিয়েছেন সৌদিয়ার দাস কিংবা আলেম পূজারি হতে নয় এমনকি আসাদের ভক্তও হতে নয় । যাচাইয়ে যা সত্য তাই আমার কাছে শ্রেয় !

আর সৌদিয়ায় ওনার লিখাকে নিষিদ্ধ আজ থেকে করা হয়নি । উনি যখন বিজ্ঞানভিত্তিক তাফসির শুরু করেছেন তখন থেকেই । সৌদিয়া নিজেদের কথা তাফসির বাদে আর কোনটাই মানে না । নিজেরা স্বার্থবাজ কি না তাই ।

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঐ টাই ওনার সমস্যা। এই কারণে সর্ব যুগের সারা বিশ্বের ইসলামিক স্কলারদের বিপরীত বলেছেন। নিজে যেভাবে বুঝেছেন সেটাই বলার চেষ্টা করেছেন।

আল্লামা ইকবালের সাথে ওনার সুসম্পর্ক ছিল।

আপনি কোন আলেম কি বলল সেটাতে বিশ্বাসী না। আপনার অবস্থা আসাদ সাহেবের মতই। নিজে যা বোঝেন তার বাইরে আর কিছু মানতে চান না।

আপনার বিশ্বাস নিয়ে আপনি থাকেন। আমার কোন সমস্যা নাই। সবার এক রকম চিন্তা করতে হবে এমন না।

৪২| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৮

জ্যাকেল বলেছেন: এখন যখন মুমিন দাস প্রথার মানবিক ইসলামী তরিকা প্রসক্রাইব করে তখন কথা আসে।

স্বামী স্ত্রীকে যুদ্ধ বন্দি করে স্বামীকে হত্যা বা বন্ধি করে স্ত্রীকে কোন মুমিনের বিছানায় পাঠানোকে যখন মানবিক ইসলামী সৃস্টিকতার তরফ থেকে এপ্রুফড বলে প্রচার করে তখন সচেতনরা এটার প্রতিবার করতেই পারে।

@নতুন

আপনার কল্পিত দৃশ্য হয়ত কোন ইসলাম বিদ্বেষী ফিল্মে দেখা এবং সেটা আপনার মনে ইসলাম সম্পর্কে একটা নেগাটিভ ভিউ তৈয়ার করিয়া রেখে দিছে। যাহোক-
আপনে এমন ভান করছেন যেন যুদ্ধে মানুষ ফুল নিয়ে লাড়াচাড়া করে এরপরে জয়ী মুসলিম ফুল রেখেই রেইপ করতে লাইগা পরে। অথচ বাস্তবতা আপনার ভাবনার বাইরে বন্দী।
২০০৩-৪ সালে ইরাকী মেয়েদের রেইপ করেছিল পশ্চিমা সোলজাররা। তখন ঐ পশ্চিমা সভ্যতা কুতায় লুকাই ছিল ভাই?

আমি সিম্পলি বাস্তব জিনিসটা প্রেজেন্ট করতেছি, যুদ্ধ হইতেছে শত্রু খেলা, একজন আরেকজনেরে অবহেলা/ডাউন করা। এই ডমিনেন্স দেখাতে গিয়ে রেইপ করা হইতেছে মানুষের নেচার/কালচার। এখানে তথাকথিত সভ্যতা শুধু কাগজে/কলমে থাকবে কিন্তু কখনোই উহা প্রাক্টিকাল হবে না।
আর সেটাই ইসলাম মানবিক উপায়ে সমাধান করতেছে।

৪৩| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ঐ টাই ওনার সমস্যা। এই কারণে সর্ব যুগের সারা বিশ্বের ইসলামিক স্কলারদের বিপরীত বলেছেন। নিজে যেভাবে বুঝেছেন সেটাই বলার চেষ্টা করেছেন।


উনি আসলে নিজের মত বলেননি আসলে আপনি নিজের মত বুঝছেন । থাকগে আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই । আপনি নিজেও আপনার এই অবিমৃষ্য গন্ডি থেকে বের হতে পারবেন না ! আপনিও ভালো থাকুন আপনার অন্ধকার নিয়ে !

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে থাকেন।

৪৪| ০৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:১৪

নতুন বলেছেন: @জ্যাকেল ভাই্।

আপনার কল্পিত দৃশ্য হয়ত কোন ইসলাম বিদ্বেষী ফিল্মে দেখা এবং সেটা আপনার মনে ইসলাম সম্পর্কে একটা নেগাটিভ ভিউ তৈয়ার করিয়া রেখে দিছে। যাহোক-
আপনে এমন ভান করছেন যেন যুদ্ধে মানুষ ফুল নিয়ে লাড়াচাড়া করে এরপরে জয়ী মুসলিম ফুল রেখেই রেইপ করতে লাইগা পরে। অথচ বাস্তবতা আপনার ভাবনার বাইরে বন্দী।
২০০৩-৪ সালে ইরাকী মেয়েদের রেইপ করেছিল পশ্চিমা সোলজাররা। তখন ঐ পশ্চিমা সভ্যতা কুতায় লুকাই ছিল ভাই?


আমি যেটা বলেছি সেটা হালাল তরিকা।

পশ্চিমা সোলজারেরা যেটা করেছে সেটা অন্যায়। প্রমান করতে পারলে তাদের সাজা হবে। ( যদিও এই অন্যায়ের সাজা হয়না, পার পেয়ে যায় সেটা অন্য সমস্যা। )

কিন্তু আমি উপরে যেটা বলেছি সেটা সৃস্টিকতার অনুমনদ আছে বলে যখন প্রচার করবেন। সেটা নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।


আপনে এমন ভান করছেন যেন যুদ্ধে মানুষ ফুল নিয়ে লাড়াচাড়া করে এরপরে জয়ী মুসলিম ফুল রেখেই রেইপ করতে লাইগা পরে। অথচ বাস্তবতা আপনার ভাবনার বাইরে বন্দী।


আপনি সম্ভবত ইসলামী ইতিহাস গুলি ঠিক মতন পড়েন নাই। মুসলমানেরা জয়ী হয়েই দাসীদের ভাগ করে নিতো।

সুফিয়া বিনত হউয়াইয়ার স্বামী ৬২৮ এর মে মাসে খাইবারের যুদ্ধে মারা জায়। এবং ইহুদী বানু নাদির গোত্রকে পরাজিত করার পরে তিনি বন্দি হয়। রাসুল সা: এর দাসী হিসেবে সুফিয়াকে নেন। তিনি ৩ দিন ঐখানে থাকেন। তারপরে বলেন যে তিনি সুফিয়া রা: কে বিবাহ করেছেন।


The Prophet (ﷺ) sent `Ali to Khalid to bring the Khumus (of the booty) and I hated `Ali, and `Ali had taken a bath (after a sexual act with a slave-girl from the Khumus). I said to Khalid, "Don't you see this (i.e. `Ali)?" When we reached the Prophet (ﷺ) I mentioned that to him. He said, "O Buraida! Do you hate `Ali?" I said, "Yes." He said, "Do you hate him, for he deserves more than that from the Khumlus." - : Sahih al-Bukhari 4350, : Book 64, Hadith 377

হযরত আলী রা: যুদ্ধের পরে দাসীর সাথে সঙ্গম করে গোসল করেছিলেন, এটা নিয়ে নালিশ করলে রাসুল সা: বলেছিলেন। "Do you hate him, for he deserves more than that from the Khumlus."

আমি উপরের সিরানিও কল্পনা করিনি। বাস্তাব সহী বোখারী হাদিসে অনুপ্রানিতো হয়েছি মাত্র।

৪৫| ১০ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

জ্যাকেল বলেছেন: পশ্চিমা সোলজারেরা যেটা করেছে সেটা অন্যায়। প্রমান করতে পারলে তাদের সাজা হবে। ( যদিও এই অন্যায়ের সাজা হয়না, পার পেয়ে যায় সেটা অন্য সমস্যা। )

কন্ডিশন হইতেছে প্রমাণ করতে পারলে সাজা হইবে। না পারলে হইবে না। পরাজিত জাতির জন্য জয়ী সেনাবাহিনী নিজেদের সৈন্যদের ক্ষেপানোর ব্যবস্থা করবে (!)
অথচ নামকাওস্তে বিচারের বন্দোবস্ত করে ঐ ব্যাপারটার সিদ্দিলাভ করা যায়+নিজেও সভ্য থাকা যায়। এই হইল ভন্ড পশ্চিমদের সাধারণ এক রেওয়াজ।

কিন্তু আমি উপরে যেটা বলেছি সেটা সৃস্টিকতার অনুমনদ আছে বলে যখন প্রচার করবেন। সেটা নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

সৃষ্টিকর্তাতেই যদি আপনে অবিশ্বাসী হন তাতে উনি কি অনুমোদন করল আর না করল তাতে আপনার কিছুই আসে যায় না। আপনে শত্রুতামি/হারামি করে আবার ফুলেল আচরণের দাবি করবেন ব্যাপারটা ইরেশনাল হয়ে গেল না?

আপনি সম্ভবত ইসলামী ইতিহাস গুলি ঠিক মতন পড়েন নাই। মুসলমানেরা জয়ী হয়েই দাসীদের ভাগ করে নিতো।
বুঝতে পারছি, জয়ী হয়েই ভাগ করে নিত। অথচ সুদান জয় করার পরে মুসলিমদের কেহই রাজাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে না। কারণ?
কারণ ঘোষনা ছিল যে রাজাকে হত্যা করতে পারবে, তার ভাগে রাজকন্যা পরবে। যে সাহাবী রাজাকে হত্যা করেছিলেন তিনি চুপ করে ছিলেন, কারন তিনি যুদ্ধে ঈমানের জজবা নিয়ে গিয়েছিলেন, গণিমতের জন্য নয়!

লং স্টরি সর্ট-
সবাই সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্টার লক্ষ্যে যেমন যায় না তেমনি সবাই গণিমতের আশায় যায় না যুদ্ধে। এই বাস্তবতা স্বীকার না করাটা হইতেছে মুর্খতা কিংবা না বোঝার ভান করে ভন্ডামি করা।

৪৬| ১০ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

নতুন বলেছেন: লং স্টরি সর্ট-
সবাই সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্টার লক্ষ্যে যেমন যায় না তেমনি সবাই গণিমতের আশায় যায় না যুদ্ধে। এই বাস্তবতা স্বীকার না করাটা হইতেছে মুর্খতা কিংবা না বোঝার ভান করে ভন্ডামি করা।


আলী রা: , রাসুল সা: দুজনই দাসীর ভাগ নিয়েছেন। ইসলামের সবচ্র্চ নেতা যদি দাসীর সাথে শারিরিক সম্পর্কে সময় না নিয়ে থাকে তবে সাধারন পাবলিক কি করবে বলে আপনার মনে হয়?

আর যেহেতু রাসুল সা: যুদ্ধের পরে দাসীর ভাগ নিয়েছেন এবং বিয়ে করেছেন তাই এটা তো এক রকমের সুন্নতের মতনই তাই না?

আপনি এখন বলছেন যে যারা সত্য ও ন্যায় প্রতিস্ঠার জন্য যুদ্ধে যাবে তারা মালে গণিমত হিসেবে দাসীদের ব্যবহার করবেনা?

আর এই নিয়ে সহী হাদিসের উদাহরন টেনে কথা বলা মূর্থতা? ভন্ডামী?

৪৭| ১০ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪

নতুন বলেছেন: লং স্টরি সর্ট-
সবাই সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্টার লক্ষ্যে যেমন যায় না তেমনি সবাই গণিমতের আশায় যায় না যুদ্ধে।


The Prophet (ﷺ) sent `Ali to Khalid to bring the Khumus (of the booty) and I hated `Ali, and `Ali had taken a bath (after a sexual act with a slave-girl from the Khumus). I said to Khalid, "Don't you see this (i.e. `Ali)?" When we reached the Prophet (ﷺ) I mentioned that to him. He said, "O Buraida! Do you hate `Ali?" I said, "Yes." He said, "Do you hate him, for he deserves more than that from the Khumlus." - : Sahih al-Bukhari 4350, : Book 64, Hadith 377

হযরত আলী রা: যুদ্ধের পরে দাসীর সাথে সঙ্গম করে গোসল করেছিলেন, এটা নিয়ে নালিশ করলে রাসুল সা: বলেছিলেন। "Do you hate him, for he deserves more than that from the Khumlus."

এখানে হযরত আলী রা কি ন্যায় ও সত্য প্রতিস্ঠার জন্য যুদ্ধে গিয়েছিলেন? বরং রাসুল সা: তো বলেছেনই যে আলী রা: মালে গনিমতের ভাগ একটু বেশিই পাবে.... ( উনি একটা দাসী ব্যবহার করেছিলেন এবং সেটা রাসুল সা: এর মতে ঠিকই ছিলো)

আপনি বলছেন সবাই মালে গনিমতের ভাগ নেবে না!!!!!

৪৮| ১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭

জ্যাকেল বলেছেন: আলী রাঃ মালে গণিমতের অংশ বেশি পাবে, এই ধরণের কথাবার্তাকেই ইসলাম গণ্য করে বসে থাকলে ইহা হবে মিসজাজমেন্ট। আপনে কোরআন থেকে দেখান, মালে গণিমত নিয়ে কি নির্দেশনা দেওয়া আছে। হাদিস হচ্ছে মানবরচিত গ্রন্থ এবং এটার ওপর নির্ভর করে ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া নেহায়েত নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ।
কোরআন হচ্ছে ইসলামের সবকিছু, যদি ইসলাম নিয়ে অভিযোগ করতে হয় তবে বরং কোরআন থেকেই রেফারেন্স দেখান। ইসলামের অথরিটি হাদিস নহে, কোরআন।

৪৯| ১৪ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

নতুন বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন: আলী রাঃ মালে গণিমতের অংশ বেশি পাবে, এই ধরণের কথাবার্তাকেই ইসলাম গণ্য করে বসে থাকলে ইহা হবে মিসজাজমেন্ট। আপনে কোরআন থেকে দেখান, মালে গণিমত নিয়ে কি নির্দেশনা দেওয়া আছে। হাদিস হচ্ছে মানবরচিত গ্রন্থ এবং এটার ওপর নির্ভর করে ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া নেহায়েত নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ।
কোরআন হচ্ছে ইসলামের সবকিছু, যদি ইসলাম নিয়ে অভিযোগ করতে হয় তবে বরং কোরআন থেকেই রেফারেন্স দেখান। ইসলামের অথরিটি হাদিস নহে, কোরআন।


তাহলে আপনার মতানুযায়ী সহী বোখারী হাদিস বাদ দিয়ে দেবো?

হাদীস বাদ দিলে বতর্মমানের মুসলিম সমাজে প্রচলিত আইন/প্রাকটিসের কতগুলি কোরান সর্মথিত?
কোরানে মুসলীম সমাজের জন্য কতগুলি নিয়ম বর্ননা আছে?

কোরানে ৬২৩৬ আয়াতে কতগুলি আইন/নির্দেশনা আপনি পাবেন? তাতে ঠিক মতন ইসলামী সমাজ চালাতে পারবেন?

৫০| ১৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

জ্যাকেল বলেছেন: তাহলে আপনার মতানুযায়ী সহী বোখারী হাদিস বাদ দিয়ে দেবো?

এইতো পেচ লাগাই প্রশ্ন করে ফেললেন। আমি তো বাদ দিতে/রাখতে বলিনি। কোরআনে বলা হয়েছে যারা জানে, আর যারা জানে না তারা সমান নহেন। অতএব যারা জ্ঞানী মানুষেরা জানেন ইসলাম কিসে আছে আর কিসে নেই।
যা অসুন্দর, অশিষ্ট তাহা হইতে ইসলাম বরাবারই পবিত্র। ইসলাম আমাদের জীবনকে পরিচ্ছন্ন করতে উৎসাহ দেয় সেই ১৪০০ বছর হইতে, আধুনিক স্যানিটেশন কয়েক শ বচ্ছর হইল চালু হইয়াছে।
এইসব বললাম এই কারণে যে ইসলাম আমাদের আধুনিক বিজ্ঞানের মত চলতে নির্দেশনা দিচ্ছে ১৪০০ বছর আগে থেকে, ১৪০০ বছর আগে থেকেই বিজ্ঞানের জটিল সু্ত্র/তথ্য দিয়ে দিয়েছে, এর কারন কি?

ফাইনেলি- আপনার প্রশ্নটা আসলে
কোরআন কিভাবে পড়লে মুসলিম সমাজের যাবতীয় নিয়ম পাওয়া যাবে?
অবশ্যই পাওয়া যাবে। তবে আগে নিজের মাথায় ইসলাম/কোরআন সম্পর্কে যা আইডিয়া আছে সেইগুলাকে পরিবর্তনীয় ধরে নিয়ে শুরু করতে হইবে।
যেমন- সুরা আহযাবে আল্লাহ বলেছেন রাসুল সাঃ এর কাছেই বেস্ট আদর্শ আছে।
আল্লাহ এখানে আদেশ না দিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন রাসুল সাঃ এর কাছে থেকে এক্সাম্পল নিয়ে নিজের মষ্তিষ্ক ব্যবহার করে সততার সহিত জীবন যাপন করতে।
আর কোরানে মুসলীম সমাজের জন্য কতগুলি নিয়ম বর্ননা আছে?
এই ধারণা ঝেড়ে ফেলেন। কোরআন এসেছে মানুষের জন্য, এই বইয়ের জন্য মানুষ এমন কিন্তু নহে। কোরআন অনুসারে চললে দেখবেন সেকুলার জীবন যেভাবে চলে একজন মুসলিম ঠিক একই উপায়ে যাপন করতে পারেন। শুধু তফাৎ বিশ্বাসী মুমিন সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ রেখে চলেন, ফলত উনি কারো ক্ষতির কারন হন না, কাহারো দুঃখের কারণ হন না, করাপশন করেন না এবং অবশ্যই সর্বদা শান্তির রাস্তায় (ইসলামী জীবন) চলেন (ফেতনা/উশৃংখলা মুক্ত) লাইফ লিড করেন।
সমাজ যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে কিন্তু ব্যক্তিজীবন হবে সৎ, শৃংখলাপুর্ণ, শান্তির। এটাই হচ্ছে কোরআনে বর্ণিত জীবন যাপন। জটিলতার কিছুই নেই। জানাজার নামাজ, ঈদের নামাজ এইগুলা সমাজের প্রাক্টিস। যেখানে যেভাবে চলে, চলুক অহেতুক ফেতনা সৃষ্টি করাই কোরআনের স্পষ্ট লংঘন। হাজার বছর ধরে চলে আসা ইসলামী প্রাক্টিস নিয়ে কুটিল/জটিল চিন্তা করে জীবন ধ্বংস করার কোনই মানে হয় না। তাই কোরআনে এই নেই সেই নেই এইগুলা প্রকৃত পক্ষে অহেতুক চিন্তা-ধারণা। কোরআনে যতটুকু আছে, এর বাইরে যাওয়া মানেই এক চামচ বেশি বুঝা (ফাসেক হই যাওয়া)

আশা করি পরিস্কার করতে পেরেছি আপনার কুয়েরি।

৫১| ১৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১০

রানার ব্লগ বলেছেন: আপ্রাসংগিক একটা জিজ্ঞাসা। এমন ঈমানি ভাই কে কি বলবো।আপ্রাসংগিক একটা জিজ্ঞাসা। এমন ঈমানি ভাই কে কি বলবো।

৫২| ১৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৪

নতুন বলেছেন: আর কোরানে মুসলীম সমাজের জন্য কতগুলি নিয়ম বর্ননা আছে?
এই ধারণা ঝেড়ে ফেলেন। কোরআন এসেছে মানুষের জন্য, এই বইয়ের জন্য মানুষ এমন কিন্তু নহে। কোরআন অনুসারে চললে দেখবেন সেকুলার জীবন যেভাবে চলে একজন মুসলিম ঠিক একই উপায়ে যাপন করতে পারেন। শুধু তফাৎ বিশ্বাসী মুমিন সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ রেখে চলেন, ফলত উনি কারো ক্ষতির কারন হন না, কাহারো দুঃখের কারণ হন না, করাপশন করেন না এবং অবশ্যই সর্বদা শান্তির রাস্তায় (ইসলামী জীবন) চলেন (ফেতনা/উশৃংখলা মুক্ত) লাইফ লিড করেন।


আমি শারমিনকে বলি যে আমার চেয়ে ভালো মানুষ দেখাও। কারন বর্তমানে মানুষের মাঝে ভন্ডামী প্রচন্ড আকারে বিস্তার করেছে। দেশে মানুষ ধর্ম কথা বলে কিন্তু আসলে ভন্ড।

আমি ব্যক্তি জীবনে জেনেশুনে কোন অন্যায় করিনা, কারুর ক্ষতি করিনা, পারলে সাহাজ্য করি। এটা আমার জীবনদর্শন যেন আমার দারা কারুর ক্ষতি না হয়।

শারমিনের আফসোস সবই ঠিক আছে তবে ধর্ম কর্ম করলেই তো ১০০% পারফেক্ট হয়ে যায়। :|

কিন্তু সমস্যা হইলো ধর্ম যেই দাবী করে যে এটা সৃস্টিকর্তার বানী কিন্তু হিসাব ঠিকমতন মিলে না। তাই মনে হয় ধর্ম মানুষের সৃস্টি তরিকা মানুষকে নিয়ন্ত্রনের জন্য।

৫৩| ১৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:২৮

জ্যাকেল বলেছেন: কিন্তু সমস্যা হইলো ধর্ম যেই দাবী করে যে এটা সৃস্টিকর্তার বানী কিন্তু হিসাব ঠিকমতন মিলে না।
ঠিক কোন জায়গায় হিসাবটা ঠিকমত মিলে না, একটু জানাইলে আলোকিত হইতাম। (অবশ্যই বাস্তবতার নিরীখে।)

কিন্তু সমস্যা হইলো ধর্ম যেই দাবী করে যে এটা সৃস্টিকর্তার বানী কিন্তু হিসাব ঠিকমতন মিলে না। তাই মনে হয় ধর্ম মানুষের সৃস্টি তরিকা মানুষকে নিয়ন্ত্রনের জন্য।

মনে হয়- এটা কিন্তু রাশনাল বিহেভিয়ার না।

বলতে পারেন, মানুষ কন্ট্রোল করার জন্য, তবে এই কন্ট্রোল অন্য মানুষের হাতে নহে। ইসলাম অনুসারে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.