নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

উজ্জ্বল সম্ভাবনা বাংলাদেশের সামনে যদিও স্বল্প মেয়াদি চ্যালেঞ্জ আছে

১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৫


ষ্ট্যাণ্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গ্রুপ চেয়ারম্যান জোসে ভিনাল ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে এসেছিলেন। ডেইলি স্টার পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে বেশ কিছু ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে এই মন্তব্যগুলি সৌজন্য মুলক ছিল না বরং তিনি তার অভিজ্ঞতার আলোকে নিরপেক্ষভাবে এই মন্তব্যগুলি করেছেন। জোসে ভিনাল ইতিপূর্বে আইএমএফ এর একজন পরিচালক ছিলেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেছেন এবং লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স থেকে অর্থনীতিতে মাস্টারস করেছেন। ওনার সাক্ষাৎকারের উল্লেখযোগ্য অংশ আমি এই লেখায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

জোসে ভিনাল

জোসে ভিনাল বলেছেন অন্যান্য দেশের মতই বাংলাদেশ বর্তমানে কিছু স্বল্প মেয়াদি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য মধ্য মেয়াদি উজ্জ্বল সম্ভবনা আছে। এই মধ্য মেয়াদি সম্ভবনাকে বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে স্বল্প মেয়াদি চ্যালেঞ্জগুলিকে সফলভাবে মোকাবেলা করতে হবে। কোভিড – ১৯ এবং বর্তমান বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবেলা ক্ষেত্রে দৃঢ় সংকল্প থাকার কারণে দেশের প্রাইভেট সেক্টরের প্রশংসা করেছেন জোসে ভিনাল। তিনি বলেছেন বাংলাদেশের প্রচুর জীবনীশক্তি আছে। তিনি অকপটে বলেন যে মধ্য মেয়াদে এশিয়ার অন্যতম তারকা হওয়ার মত সম্ভবনা বাংলাদেশের আছে।

জোসে ভিনাল বলেন তিনি খুবই আশাবাদী যে আগামী ৫ থেকে ১০ বছর সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের সম্ভাবনা রয়েছে। কোভিড – ১৯ এবং ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি কিছুটা শ্লথ হয়েছে। কিন্তু তারপরও জোসে ভিনাল আশাবাদী যে আগামী ৫ থেকে ৭ বছরে বাংলাদেশের পক্ষে ৭% থেকে ৭.৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব। এই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে ব্যবসা করার পরিবেশকে সহজ করা, অর্থনৈতিক সুশাসন, প্রতিষ্ঠানসমুহ এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করা, অর্থনীতি এবং রপ্তানিকে ক্রমাগত বহুমুখী করা। এছাড়া তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভৌত এবং ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের পরামর্শ দেন।

জোসে ভিনাল বলেছেন যে বাংলাদেশ স্বল্প মেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারলে এবং কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারলে মধ্য মেয়াদে খুব ভালো করতে পারবে। তিনি বলেন সুশাসনের সমস্যা অনেক দেশেই আছে। প্রতিষ্ঠানসমুহ এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ নিশ্ছিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত স্থিতিশীলতার প্রয়োজন আছে। ২০২৬ সালে স্বল্প উন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটলে কিছু আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সুবিধা বাংলাদেশ আর পাবে না। তিনি বলেছেন তখন বাংলাদেশকে আরও বেশী প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি হতে হবে এই উত্তরনকে স্থায়ী করার জন্য।

জোসে ভিনাল বলেছেন যে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বের কাপড় তৈরির কারখানা হয়ে গেছে। চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। জোসে ভিনাল বলেন যে বাংলাদেশ যদি তার সুযোগ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই সুপার স্টার হয়ে যেতে পারবে। তিনি বলেছেন রপ্তানিকে আরও বহুমুখী করা গেলে এই সাফল্য বাংলাদেশ অর্জন করতে পারবে। অনেক কোম্পানি এখন উত্তর এশিয়া বিশেষত চীন থেকে স্থানান্তরিত হয়ে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ায় যাচ্ছে। জোসে ভিনাল বাংলাদেশের শ্রম শক্তির প্রশংসা করেন এবং বলেন যে সস্তা হওয়ার কারণে এই শ্রম শক্তি আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতা মুলক। এই অবস্থাকে তিনি বাংলাদেশের জন্য একটা অনন্য সুযোগ বলেছেন।

জোসে ভিনাল বলেন যে কয়েকটি কারণে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন বাণিজ্যে বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে আরও অনেক সুযোগ লাভ করতে পারে। এই কারণগুলির মধ্যে রয়েছে স্বল্প উৎপাদন খরচ, ভৌগলিক অবস্থান, ইউএস- চায়না বাণিজ্যিক সংঘাত, এই অঞ্চলের ভু- রাজনৈতিক ইস্যু। তিনি বলেন এই সাফল্যকে টেকসই করার কিছু শর্ত আছে। তার মধ্যে আছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, শক্তিশালী প্রাইভেট এবং সরকারী প্রতিষ্ঠান, শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং সুশাসন। তিনি মনে করেন সঙ্কটকে ভিন্নভাবে দেখলে সেটাকে সুযোগে রুপান্তর করা যায়। অল্প সমস্যার পরিবেশে থাকলে বড় এবং গভীর সঙ্কটগুলোর সমাধান করতে দেরী হয়।

জোসে ভিনাল বলেন বাংলাদেশকে এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এবং রিজার্ভ স্থিতিশীল করতে হবে। এছাড়া মধ্য মেয়াদি উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করতে হবে। আইএমএফের সাথে ঋণ চুক্তিকে তিনি ইতিবাচকভাবে দেখেছেন (ওনার সাক্ষাৎকারের সময় ঋণ চুক্তির কথা চলছিল।)। কারণ তিনি মনে করেন বর্তমানের স্বল্প মেয়াদী ব্যালেন্স অব পেমেন্ট এবং বৈদেশিক মুদ্রার সমস্যার সমাধানে এই ঋণ সাহায্য করবে। তিনি বলেন সৌভাগ্যক্রমে বাংলাদেশের অবস্থা একটু ভিন্ন কারণ বাংলাদেশের উঁচু মাত্রার বৈদেশিক ঋণ নেই। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেলেও কয়েক মাস চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। তিনি গ্লোবালাইজেশনকে সমর্থন করেন। কারণ গ্লোবালাইজেশনের কারণে মানুষের আয় বেড়েছে এবং দরিদ্রতা কমেছে। বাংলাদেশেরও গ্লোবালাইজেশন প্রয়োজন। বিভিন্ন কারণে বিশ্বের অর্থনীতিতে বাংলাদেশের মত ‘বৈশ্বিক কারখানা’ র প্রয়োজন আছে।

তিনি বলেন বাংলাদেশের নিজের হাতের মধ্যে তার ভবিষ্যৎ সাফল্য লুকিয়ে আছে। মধ্য মেয়াদে বাংলাদেশ কি ধরণের পদক্ষেপ নিবে তার উপর এই সাফল্য নির্ভর করছে। তিনি মনে করেন ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিশ্বের এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে।

জোসে ভিনাল বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেছেন যে মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনীতির আকার বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা আগের চেয়ে ভালো এবং বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভালো। তিনি বলেছেন আপনারা আধা ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির কাছাকাছি আছেন। এটা অনেক বড় একটা অর্জন। মধ্য মেয়াদে ১ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির অধিকারী হওয়ার মত সুযোগ আপনাদের আছে। সব শেষে তিনি বলেন যে অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলার করার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে। উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়নের পথে যেতে হলে এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করতে হবে। তিনি বলেন যে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি করা হবে।

এই বার আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত জানাচ্ছি। জোসে ভিনাল বাংলাদেশকে সম্ভবনাময় একটা দেশ হিসাবে দেখেছেন। আমিও সার্বিকভাবে ওনার বক্তব্যের সাথে একমত। কিছু চ্যালেঞ্জ যদি আমরা মোকাবেলা করতে পারি তাহলে আসলেই এই দেশের অনেক সম্ভাবনা আছে। জোসে ভিনাল অনেক কিছু বললেও দেশের অপরাজনীতি এবং নিম্ন মানের গণতন্ত্র নিয়ে কিছু বলেন নি। এই দেশের ঋণ খেলাপি সংস্কৃতি, বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচার, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, বেকারত্ব ইত্যাদি নিয়ে তেমন কিছু বলেন নি। আমার মতে এই বিষয়গুলি নিয়েও আমাদের রাষ্ট্র নায়কদের ভাবতে হবে। তা না হলে উন্নয়ন ঘটলেও সেটার সুষম বণ্টন হবে না। গরীব এবং অনাহারী মানুষের অবস্থা আগের মতই থাকবে। উনি বিদেশী মানুষ হিসাবে যা বলেছেন সঠিক বলেছেন বলে মনে হয়। কিন্তু এই বাড়তি সমস্যাগুলি নিয়েও আমাদের নিজেদের ভাবতে হবে।

সূত্র- ডেইলি স্টার
ছবি - উইকিপিডিয়া এবং ব্লু মবার্গ

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি যে পরামর্শগুলি দিয়েছেন সেগুলি গত ৩০ বছর থেকেই বহু মানুষ বহুভাবেই দিয়েছে। আপনাকে একদিন সময় দিলে আপনি উনার থেকেও ভালো ভালো পরামর্শ দিতে পারবেন।

১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সবাই যখন একই পরামর্শ দিচ্ছে তারমানে কথাগুলি সত্য। আমাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে এই জাতি পিছিয়ে যাচ্ছে।
অনেক সুযোগ এই দেশের আছে কিন্ত অনেক দেশেরই নেই। আসলে দেশের চালক কেমন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

২| ১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২১

শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের রাষ্ট্র প্রধানের কিছু বক্তব্য বিব্রতকর যা তার করা বা বলা উচিত হয়নি ।

ভাল লেখা ।

১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান অনেক সময় এমন কথা বলেন যেটা কূটনৈতিকভাবে দুর্বল, দেশের জন্য ক্ষতিকর এবং বিব্রতকর। আবেগ নির্ভর কথা কূটনীতিতে বলা ঠিক না। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩| ১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বাকি সকলে আমাদের সম্ভবনা দেখতে পেলেও আমাদের দেশের নেতারা নিজেদের সম্ভবনা ছাড়া অন্য কিছু দেখতে পান না।

১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বড় বড় মেগা প্রকল্প মানে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ। এই টাকা আসছে আপনার আর আমার আয়কর থেকে। আরও ক্ষতিকর দিক হোল এই কালো টাকা দেশের বাইরে চলে যায়। দেশের ভিতরে থাকলে দেশের অর্থনীতিতে আবর্তিত হয়ে কিছু লাভ হত।

আগের সরকারগুলি বোঝে নাই যে বাজেট বিশাল আকৃতির করে সেটা থেকে কিভাবে টাকা সরিয়ে ফেলা যায়। আবার এই প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণকে বুঝে দেয়া যায় যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এই দেশের সত্যিই সম্ভবনা আছে। কিন্তু এই সব অপরাজনীতিবিদদের জন্য দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে। এদেরকে সাহায্য করছে আমলা এবং ব্যবসায়ীরা।

৪| ১৭ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


কুমিল্লার শালবন বিহারে কি উনি গাছ লাগিয়েছিলেন?

১৭ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বনে গাছ লাগানোর কি দরকার। উনি কুমিল্লা গিয়ে গাছ লাগিয়েছেন বলে মনে হয় না।

৫| ১৭ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভিনাল ভাইসাহেব যা যা বলেছেন, তা আমরা হার্ভার্ড কিংবা লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে না পড়েই জানি। লাভের গুড় যদি পিপড়ায় খায়, তাহলে এইসব তত্ত্ব কথার কোন দাম নাই। মূল বিষয় হলো দেশপ্রেম, সেইটা আমাদের নেতা-নেত্রীদের যতদিন না গজাবে, ততদিন আইজুদ্দিন কষ্টেই থাকবে; আর অপরদিকে বেগমপাড়া সমৃদ্ধ হবে। শ্রীলংকার মতো একটা সম্ভাবনাময় দেশ দূর্ণীতির কারনে কিভাবে পতিত হলো, সেই উদাহরন তো আমাদের সামনেই আছে। পাকিস্তানও সেই পথে হাটছে। আর এইদিকে এসব থেকে কোন শিক্ষা না নিয়ে আমাদের মাথারা দিনকে দিন মাথাব্যথায় রুপান্তরিত হচ্ছে।

দেশের শিক্ষা বা চিকিৎসাখাতে কোন মেগা প্রজেক্ট সরকার কেন নেয় না? কারন, সেসবের জন্য তারা এবং তাদের সন্তানেরা বিদেশে দৌড়ায়। দেশ গোল্লায় গেলে তাদের কিছুই যায় আসে না। আর দেশের কিছু বলদ কয়টা ফ্লাইওভার, মেট্রো ইত্যাদি মেগা-প্রোজেক্ট দেখে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে!!! X(

ভিনাল ভাইয়ের কথাগুলোর চাইতে আপনার শেষের প্যারার কথাগুলো বেশী গুরুত্বপূর্ণ।

১৭ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অপরাজনীতি আর দুর্নীতি আমাদের দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আপনার কথার সাথে একমত। দুঃখ লাগে এই দেশের অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এই দেশটা কিছু অযোগ্য, লোভী এবং পেশীশক্তি প্রদর্শনকারী তথাকথিত নেতার কারণে সামনে আগাতে পাড়ছে না।

গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন যে 'দেশের কিছু বলদ কয়টা ফ্লাইওভার, মেট্রো ইত্যাদি মেগা-প্রজেক্ট দেখে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে !!! X((

এই ধরণের নির্বোধ লোকের কারণে অযোগ্য লোকেরা এই দেশে রাজনীতি করতে পারে।

৬| ১৭ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

কামাল১৮ বলেছেন: সরকার এবং বিরোধীদল সকলকে বাংলাদেশ পন্থী হতে হবে।দেশের সার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে অনেক কিছুই হবে।নয়তো যেমন চলছে তেমনই চলবে।

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একমত আপনার মন্তব্যের সাথে। রাজনীতিবিদদের মধ্যে দেশপ্রেম না থাকলে দেশের উন্নতি হবে না। যেমন চলছে তেমনই চলবে।

৭| ১৭ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: জনগনকে সক্রিয় হতে হবে। দেশীয় সম্পদ লুটপাঠকারীদের রুখে না দাড়ালে , এই দেশের উন্নয়ন কেবল মুখের কথাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই দেশের জনগণ কবে সক্রিয় হবে বোঝা যাচ্ছে না। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। দেশের কথা ভাবার সময় তাদের নেই বলে মনে হয়। তবে দেশের উন্নতির জন্য জনগণকেও সক্রিয় হতে হবে।

আপনার কথা ঠিক যে 'দেশীয় সম্পদ লুটপাটকারীদের রুখে না দাঁড়ালে, এই দেশের উন্নয়ন কেবল মুখের কথাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। '

৮| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের সরকার কারো উপদেশ শুনেন না। মানেন না। তাঁরা তাদের ইচ্ছা মতো দেশ চালান।

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই জন্যই আমাদের এই অবস্থা। আপনার কথা ঠিক আছে।

৯| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


নিম্ন মানের গণতন্ত্র নিয়ে কিছু বলেন নি।
এই দেশের ঋণ খেলাপি সংস্কৃতি, বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচার, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, বেকারত্ব ইত্যাদি নিয়ে তেমন কিছু বলেন নি।


গণতন্ত্র নিয়ে কিছু বলার দরকার হয়নি।
পৃথিবীর কোথাও অবিতর্কিত গণতন্ত্র নেই। নিখুঁত গণতন্ত্র নেই। পৃথিবীর কোন মুসলিম প্রধান দেশে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো গণতন্ত্র দেখাতে পারবেন না।
পৃথিবীর কোথাও যুদ্ধে পরাজিতরা স্বাধীনতা বিরোধীরা প্রচলিত রাজনীতি করতে পারে না। রাজনৈতিক নেতৃত্ব হত্যাকারীরা হত্যাকারীদের সমর্থকরা রাজনীতি করতে পারেনা, এমনকি এদের পক্ষে কথাও বলতে পারে না।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র সে হিসেবে অনেক উদার।


খেলাপি ঋণ নিয়ে অনেক গুজব আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে।
বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি মাত্র ৫.৫% যেখানে বিশ্ব ব্যাংক আইএমএফ এর বিপদসীমা ১০।

উন্নত দেশে খেলাপি ঋণকে খুব বড় অপরাধ হিসেবে দেখা হয় না।
ঋণ খেলাপিকে কখনোই গ্রেপ্তার করা হয় না। বরং ঋণ পরিশোধে বার বার তাগাদা দেওয়া হয়, একপর্যায়ে থার্ড পার্টি লাগিয়ে দেওয়া হয় তাগাদা দেওয়ার জন্য। তখন আরো সহজ শর্তে ঋণ পরিশোদেধের জন্য বলা হয় সহজ সহজ প্রস্তাব দেওয়া হয়। সবকিছু ব্যর্থ হলে বন্দকি সম্পত্তি নিলাম করে তাকে শুধু ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়।
ব্ল্যাকলিস্ট জিনিসটা ভয়ানক কোন বড় কিছু (বাড়ি গাড়ি) কিনতে পারে না বা বেচতেও পারে না।
বড় খেলাপিরা এসব ভেজালে না যেয়ে নিজেদেরকে দেউলিয়া ঘোষণা করে রেহাই পায়।

১৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গণতান্ত্রিক দেশে নিম্ন মানের গণতন্ত্র থাকলে দেশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় তখন ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে দ্বিধা করে। আমাদের দেশে সেটা ঘটছে। ফলে কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা বাণিজ্য হচ্ছে না। কর্পোরেট সেক্টরে এবং শিল্প কারখানায় প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। মুলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি তেমন বৃদ্ধি পায় নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে কমে গেছে। ফলে বেকারত্ব বাড়ছে। রাজতন্ত্র বা এক নায়কতন্ত্রও দেশের জন্য ভালো হতে পারে। রাজনৈতিক সংঘাত কোন দেশের জন্য ভালো না। রাজনৈতিক সংঘাতপূর্ণ মুসলিম দেশগুলি বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রতিপক্ষকে জোর করে দমিয়ে রাখলে সেটার প্রভাব ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিনিয়োগেও পড়ে। বর্তমান আওয়ামীলীগ বিরোধী ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসা করা অনেক কঠিন। অনেক ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে জোর করে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা এই ধরণের অনেক উদাহরণ আছে। আমিও দুই একটা জানি। কিন্তু সেটা এখানে বলা যাবে না সঙ্গত কারণে।

যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করতে দেয়াকে উদারতা বলা যাবে না। এই ধরণের অনুমতি দেয়া অন্যায়ের পর্যায়ে পড়ে। ১৯৭১ বিরোধী কোন রাজনীতি এই দেশে অনুমতি দেয়া ঠিক হয়নি।

খেলাপি ঋণের ফলে মানুষের টাকা বড় লোকেরা লুট করে। কাজেই এটাকে সমর্থন করার কিছু নাই। তবে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলির ভিত্তি অনেক শক্ত। খেলাপি ঋণের কারণে ব্যবসায়ীরা অসম প্রতিযোগিতায় পড়ে। সৎ ব্যবসায়ী সময় মত ঋণ শোধ করে আর অসৎ ব্যবসায়ী ঋণের টাকা বিদেশে পাচার করে দেয়। বাংলাদেশে ঋণ খেলাপির বাণিজ্য হয় সরকারি ব্যাংকগুলিতে। এই ধরণের সংস্কৃতির কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যবসার চেয়ে এই সব ধান্ধাবাজীকে লাভজনক কর্মকাণ্ড মনে করে। আরেকটা ডাকাতি চলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভুমি দস্যুতা। এই সব সংস্কৃতির কারণে ভালো ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় আগ্রহ হারায় এবং অসৎ ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় নেতৃত্ব দেয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ভালো ব্যবসায়ীদের পক্ষে ব্যবসা করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। দেশের পরিবেশ আপনাকে অসৎ হতে উৎসাহিত করবে। এখন বড় ব্যবসা করতে হলে আপনাকে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা থাকতে হবে।

১০| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অমর্ত্য সেন যুগের নোবেল পুরস্কার পান তখন প্রচীটি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে একটা অভ্যন্তরীন জরিপে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুরাবস্থার চিত্র তুলে ধরেন। যদিও পরে তৎকালীন সরকার কৌশলে বিষয়টি লুকিয়ে ফেলে।পরবতীতে সাচার কমিটির রিপোর্টে সংখ্যালঘুদের ভয়ঙ্কর দুর্দশার কথা প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে আজ এতো বছরেও কেন্দ্র ও রাজ্য সুকৌশলে ভোট মেশিনারিতে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করলেও তারা এখনো সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।

জোসেফ ভিনাল জহুরির চোখে তাই যা পত্যক্ষ করেছেন তা নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখাতেই পারে। কিন্তু সমস্যা হল সরকারী দূরদর্শিতা বা তাদের আন্তরিকতা যদি না থাকে তাহলে এই মধ্য বা স্বল্প মেয়াদি চ্যালেঞ্জ গুলো ব্যপকতর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অর্থনৈতিক উন্নতিতে প্রবল বাঁধা দেবে। আশাকরবো দেশের অর্থনীতির কান্ডারিরা বৃহত্তর স্বার্থে পরিচালিত হবেন।

১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অর্থনীতিবিদ হিসাবে অমর্ত্য সেনকে আমার ভালো লাগে। উনি অনেক উঁচু মানের একজন অর্থনীতিবিদ। ভারতের সংখ্যালঘুরা পিছিয়ে থাকলে সেটার প্রভাব ভারতের অর্থনীতিতেও পড়বে। কারণ সংখ্যালঘুর মোট সংখ্যা প্রায় যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার সমান হবে। সমাজের একটা শ্রেণীকে জোর করে পিছিয়ে রাখলে সেটা জাতির জন্য ক্ষতিকর।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে কিছু বাড়তি সুযোগ আছে এটা অনেক বিশেষজ্ঞই বলে থাকেন এবং স্বীকার করে থাকেন। কিন্তু আমাদের মূল সমস্যা আমাদের স্বভাবে। আমাদের খাসলত পরিবর্তন না হলে, চুরি, দুর্নীতি বন্ধ না হলে আর রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো না হলে এই সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে পারবো না। এই দেশে একজন ভালো নেতার দরকার ছিল। কিন্তু আমরা সেটা পাই নাই। ভালো থাকবেন ভাই।

১১| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গণতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্রে কিছু হয় না।

১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো নেতৃত্ব দরকার। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর অল্প সময়ে উন্নতি করেছে ভালো নেতৃবৃন্দের কারণে। মূর্খ, অশিক্ষিত এবং অসৎ লোকের দেশে গণতন্ত্র ভালো কাজ করে না। নিম্ন মানের গণতন্ত্রের চেয়ে একনায়কতন্ত্র বা রাজতন্ত্র ভালো। আরবের অনেক দেশে গণতন্ত্র নাই কিন্তু তারা উন্নতি করছে আমাদের চেয়ে বেশী গতিতে। অনেক একনায়কতান্ত্রিক দেশ এগিয়ে গেছে।

১২| ১৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


ফেবুতে দেখি, ইদানিং ব্লগেও দেখি জিডিপি নিয়ে হাসাহাসি করে।
বলে " আমি জিডিপি দিয়ে কি করুম, জিডিপি খায় না মাথায় দেয়? কেজি কত?" ইত্যাদি। এসব কথা বাজারে খুব চলছে। মুলত আজাইড়া পাবলিক আধা শিক্ষিত যাদের কাজ কর্ম নাই বাপের হোটেলে খায়, আইফোন ফরটিন প্রো চালায়। এরাই এগুলো বলে।

জিডিপি মানে কি? জিডিপি অর্থ গ্রোস ডমেষ্টিক প্রডাক্ট।
মানে দেসজ উৎপাদন। অর্থাৎ দেশে যা যা উৎপাদন ও সেবা দানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন হলেই সেটি একটি প্রডাক্ট বা পন্য। তথা জিডিপি।
বাংলাদেশের দেসজ উৎপাদন (জিডিপি) সরকার করে না।
অন্যান্ন দেশের মত শিল্পপতিরাও প্রধান জিডিপি খুব বেশি বাড়াচ্ছে না, বেশী বাড়াচ্ছে দরিদ্র কৃষক, ধান চাষী ডিম দুধ জেলে মাছের ফার্ম মুর্গির ফার্ম টুরিষ্ট সার্ভিস হোটেল মোটেল যানবাহন সার্ভিস রেষ্টুরেন্ট হকার ইত্যাদি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এন্টারপেনররা। দেশে চাকুরি তেমন নেই তাই পেটের দায়ে নিরুপায় লোকজন কিছু একটা করছে, এখন একটু
উৎপাদন বেশী হচ্ছে যেহেতু মহিলারাও নতুন উদ্যক্তা হচ্ছে। উবার পাঠাও হোম ডেলিভারি ইত্যাদি নতুন নতুন সার্ভিসের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। আর দেশের প্রায় সর্বত্র বিদ্যুৎ ও ব্রাডব্যান্ড ওয়াইফাই পৌছে গেছে, সেতু কালভার্ট গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা পাকা হয়ে গেছে। তাই উৎপাদন ও সার্ভিস দিন দিন বাড়ছে, তথা বার্ষিক জিডিপিতে যোগ হচ্ছে।
পেটের দায়ে নিরুপায় কিছু লোকজন উৎপাদন করে জীবন নির্বাহ করছে, আর ওরা বলছে কি হবে জিডিপি দিয়ে?

আমাদের জিডিপি কোথায় একটু হিসেব করেন।
কৃষকের চাষবাস বাদ দিলাম (যদিও কৃষি খাতেই হাইয়েষ্ট জিডিপি আসে)
আমদের গ্রামের কাছে থানায় একটাই প্রাইমারি স্কুল ছিল। এখন ৫ টা বেসরকারি স্কুল, দেরহাজার টাকার নীচে বেতন নেই। ২ টা কলেজ।
আপনার বয়স আমার কম হবে। ছোটকালে আমার মনে নেই আমার বাবা কোনদিন আমাদের ডাক্তারের কাছে নিয়েছে কিনা। বাজারে কাউকে দিয়ে খবর দিলে একজন বৃদ্ধ ডাক্তার/ বা কম্পাউন্ডার বাসায় আসতো একটা ব্যাগ নিয়ে। দাগ দেয়া এক বোতল মিকচার দিত।
এখনতো কথায় কথায় ডাক্তার, ওষুধ আরে টেষ্ট। এখন ৪টা প্রাইভেট হাসপাতাল, ৩ টা ল্যাব। ঔসধের দোকান কমপক্ষে ৩৫টা হবে। এখন প্রতি সপ্তাহে ৩-৪ ট্রাক শুধু ঔসধই আসে। সামান্য একটি গ্রাম্য বাজারে কোটি কোটি টাকার জিডিপি সুধু অসুক-বিসুখ খাতেই। যেটা আগে ছিল সামান্য এক বোতল মিকচার।

১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জিডিপি কোন আদর্শ সূচক না হলেও জিডিপি দিয়ে একটা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। অর্থনীতির আকৃতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারত বা বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ হলেও এই দুই দেশের অর্থনীতির আকৃতি বেশ বড়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কোন দিকে যাবে এটা নির্ভর করে বাজার কোন দিকে। পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে যাদের লোকেরা অনেক ধনী কিন্তু জনসংখ্যা অনেক কম। ফলে বাজারের আকৃতি ছোট। ফলে ব্যবসায়ীদের কাছে সেই দেশের চেয়ে একটা দরিদ্র দেশ বেশী গুরুত্বপূর্ণ যে দেশ দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও অর্থনীতির আকার বড়। বাংলাদেশ দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশের অর্থনীতির আকার একদম অগ্রাহ্য করার মত না। বরং ভালোই বলা যায় এবং এই আকৃতি দ্রুত বাড়ছে। এই অর্থনীতির আকার বোঝার জন্য জিডিপি নির্ণয় করা প্রয়োজন।

আবার মাথাপিছু আয়ের সাথে জিডিপির সম্পর্ক আছে। যখন বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাথা পিছু জিডিপি ৮০ হাজার ডলার আর বাংলাদেশের ২৭০০ ডলার তখন সহজেই দুই দেশটার মধ্যে তুলনা করা যায়। ওরা আমাদের চেয়ে কতটা ধনী সেটা অনুমান করা যায়।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখনও কৃষি গুরুত্বপূর্ণ এবং এসএমই সেক্টর একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এস এম ই সেক্টরের প্রবৃদ্ধির উপর দেশের উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভরশীল। চাকরী সৃষ্টির ক্ষেত্রেও কর্পোরেট সেক্টরের চেয়ে এস এম ইর ভুমিকা বেশী। এটা সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেটের ব্যাপ্তি দ্রুত বাড়ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই দুটি জিনিসের অনেক বড় ভুমিকা আছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোক অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছে।

শেষের প্যারাগ্রাফে আপনি যে বাস্তব উদাহরণ দিয়েছেন সেটা থেকে পরিষ্কার যে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। তবে আমাদের গতি আরও বেশী হত যদি রাজনৈতিক পরিবেশ আরও ভালো হত। কারণ নেতারা দেশের উন্নয়নের চেয়ে গদি সামলাতে বেশী ব্যস্ত। এটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক না। আমাদের দেশে আউট সোরসিং, আই টি জ্ঞান এবং প্রবাসী আয় অনেক বড় ভুমিকা পালন করছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে। দেশের উন্নতি হচ্ছে এটা পরিষ্কার কিন্তু গতিটা আমার কাছে সন্তোষজনক মনে হচ্ছে না। দেশের মানুষের শিক্ষার মানও অনেক ক্ষেত্রে এই শ্লথ গতির জন্য দায়ী। এছাড়া দুর্নীতি আমাদেরকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। দুর্নীতির কারণে বৈষম্য বাড়ছে। বৈষম্যকে একটা সীমার মধ্যে আনতে হবে নইলে উন্নয়নের সুফল গুটিকতক মানুষ ভোগ করবে।

১৩| ১৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:০৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তিন বছর আগে রিজার্ভ নিয়ে কথা হচ্ছিল একজনের সাথে, সে আমাকে বললো "এত রিজার্ভ দিয়ে কি হবে, রিজার্ভ ধুঁঁয়ে কি আপনি পানি খাবেন?" আর এখন রিজার্ভ একটু কমে যাওয়াতে সেই সকল ছাগলগুলো ম্যাতকার করছে বেশি - হায় হায় গেলো গেলো, রিজার্ভ সব শ্যায় হই গেলো, দ্যাশটা ধ্বংস হয়ে গলো।

হ্যাঁ বাংলাদেশে রয়েছে বিপুল সম্ভবনা, কিন্তু এ দেশের জনগণ ভালো না।

১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেই ব্যক্তি ঠিকই বলেছে। এতো বেশী রিজার্ভের দরকার আমাদের নাই। আর ডলারের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করেছে ব্যাংকগুলি। এরা ডলারের দাম বাড়াচ্ছে নিজেদের লাভের জন্য। আমাদের দেশে যথেষ্ট রিজার্ভ আছে অন্য অনেক দেশের তুলনায়।

এই দেশের জনগণ ভালো না এটাই মোদ্দা কথা। মানুষ ঠিক না হলে জাতি কিভাবে উন্নতি করবে। আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশেরও উন্নতি করতে হবে। এটার প্রভাব অর্থনীতির উপরেও পড়ে।

১৪| ১৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:১০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আর যেহেতু আমি মনে করি এই দেশের জনগণ ভালো না, মানে তাদের আচার আচরণ সুস্থ স্বাভাবিক বলে আমার মনে হয় না তাই গণতন্ত্র এই দেশের জন্য না।

১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে অসৎ, মূর্খ এবং অশিক্ষিত লোকের দেশে গণতন্ত্র ঠিক মত কাজ করে না। এই অসৎ লোকেরা অসৎ নেতাকেই বেছে নেয়। এই জনগণ নিজের ভালোও ভালো করে বোঝে না।

১৫| ১৮ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪

বিষাদ সময় বলেছেন: তিনি যে সমস্যা গুলোর কথা বলেছেন তা বাংলাদেশের আদি এবং অনন্ত সমস্যা। দেশের জনেগণ দুই ধারায় বিভক্ত এবং এই বিভক্তি কোন ভাবেই মুছে যাবে না। কাজেই এ সমস্যা থেকেই যাবে এবং এই সমস্যা নিয়েই আগানোর চেষ্টা করতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন যে 'দেশের কিছু বলদ কয়টা ফ্লাইওভার, মেট্রো ইত্যাদি মেগা-প্রজেক্ট দেখে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে !!! X((


তৃপ্তির ঢেকুর যারা তোলেন তারা যেমন বোকা তেমনি এগুলো নিয়ে যারা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন তারা হলেন একচোখা।
যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়ন ছাড়া অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা কোন কিছুই আগাবে না । অতএব এ গুলোর প্রয়োজন আছে। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে এগুলো পরিকল্পিত হয়েছে কিনা এবং কতটা দুর্নীতি হয়েছে সেটা নিয়ে।

১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অবকাঠামো অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশে এগুলি নিয়ে দুর্নীতির মাত্রা অকল্পনীয়। আপনার মন্তব্যের পুরোটার সাথেই একমত।

১৬| ১৮ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশীরা আবেগি জাতি । প্রধানমন্ত্রী তার বাহিরে না নিশ্চই । তিনিও আবেগে অনেক কথা বলে ফেলেন পরে অবশ্য থুক্কু বলে সংশোধন করে নেন।

১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ আবেগি এবং হুজুগে। এটা একটা বড় জাতীয় সমস্যা। জনগণ আবেগে অনেক কথা বলতে পারলেও রাষ্ট্রনায়কদের কাছে এই ধরণের কথা আশা করা যায় না। এতে দেশের ইমেজ নষ্ট হয় বহির্বিশ্বে।

১৭| ১৮ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, আইনের সুশাসন, অর্থপাচার রোধ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, মানব সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণ আর দুর্নীতি রোধ করা গেলে বাংলাদেশ কে সিঙ্গাপুরের চেয়েও উন্নত দেশে রূপান্তর করা সম্ভব। একবার ভেবে দেখুন, ১৮ কোটি মানুষ দিয়ে আপনি কি কি করতে পারবেন বা করা সম্ভব। সম্ভাবনা অপার হলেও আমারদের সবচেয়ে বড় বাধা আমরা "বাঙালী", যার বৈশিষ্ঠ্যই হলো একটা সুন্দর জিনিসকেও নোংরা বানিয়ে ফেলা। মানবিক আর জাতিগত মূল্যবোধের উন্মেষ না হলে এই জনপদ আজীবন নোংরা আর নষ্টদের দিয়েই চলতে থাকবে।

১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পুরো মন্তব্য ভালো লেগেছে। আপনার কথার সাথে আমি একমত পোষণ করছি। অল্প কথায় আপনি আমাদের সমস্যা এবং সম্ভবনাগুলিকে তুলে ধরেছেন। আমার কাছে মনে হয় আমাদের একজন ভালো ভিশনারি নেতা প্রয়োজন। আমাদের দেশের জনসংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তর করা গেলে এই দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে। বিশ্বে এই ধরণের নজির অনেক আছে। কিন্তু আমরা সেগুলি থেকে শিখছি না। ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.