নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে তীব্র নিন্দা

০২ রা জুলাই, ২০২৩ ভোর ৫:০১


গত ২৮ জুন, ২০২৩ তারিখে ঈদুল আযহার দিনে সুইডেনের স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে ঈদের নামাজের পরে কোরআন পুড়িয়েছে সালওয়ান মমিকা নামের একজন ইরাকী বংশ উদ্ভুত সুইডিশ নাগরিক। কয়েক বছর আগে সে ইরাক থেকে সুইডেনে পালিয়ে এসেছিলেন। তার ভাষ্য সে বাক স্বাধীনতার গুরুত্ব তুলে ধরতে চায়। সুইডেনে আগেও একাধিক বার কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।

অনেক মুসলিম দেশ ছাড়াও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মুখপাত্র বলেছেন যে এই ঘটনাকে জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। কোরআন বা অন্য কোন পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো একটা অপরাধমূলক, অপমানজনক এবং পরিষ্কারভাবে একটা উস্কানিমূলক কাজ। ইউরোপে বর্ণবাদ, জেনোফোবিয়া এবং এই সংক্রান্ত বিষয়ে অসহিষ্ণুতা প্রকাশের কোন স্থান নেই। এটা আরও দুঃখজনক যে মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ ঈদুল আজহা উদযাপনের দিনে এই কাজ করা হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আরও বলেছে যে তারা দেশে এবং বিদেশে বাক স্বাধীনতা এবং ধর্ম/ বিশ্বাসের স্বাধীনতার সমর্থক। তারা ইরাকে অবস্থিত সুইডেনের দূতাবাসে হামলার নিন্দা করেছে এবং সবাইকে শান্ত হওয়ার আহবান জানিয়েছে। তারা বলেছে এখন ঐক্যের সময়। পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সম্মানের মাধ্যমে এই ঘটনা যেন আর না বাড়ে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সুইডেনের আদালত এই নিন্দনীয় ঘটনার অনুমতি দিয়েছে। অবশ্য সুইডেনের আইনে এই ধরণের কাজ আইনসিদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে যে এই কাজের অনুমতি দেয়াটা বাক স্বাধীনতাকে সমর্থন করেছে কিন্তু এই কাজকে সমর্থন করে নি। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে এই ঘটনা একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে যার ফলে মুসলমানদের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের সামর্থ্য বাধাগ্রস্ত হবে।

মুসলিম দেশগুলির সংস্থা ও আই সি এই ঘটনার কারণে ২ জুলাই, ২০২৩ তারিখে জরুরী সভা ডেকেছে।

মুসলিম দেশগুলির মধ্যে তুরস্ক সবচেয়ে বেশী কঠোরভাবে প্রতিবাদ করেছে। ন্যাটোতে সুইডেনের যোগদানের ব্যাপারে তুরস্ক আবারও ভেটো দিবে এমন ইঙ্গিত দিয়েছে প্রেসিডেন্ট এরদোগান। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে এই কাজটা আইনসিদ্ধ ছিল কিন্তু সঠিক ছিল না। মরক্কো তার রাষ্ট্রদূতকে সুইডেন থেকে চলে আসতে বলেছে এবং মরক্কোর সুইডিশ দূতকে ডেকে পাঠিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডান সুইডিশ দূতকে ডেকে পাঠিয়েছে।

এছাড়া ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, আরব লীগ, মিশর, কুয়েত ,ইয়েমেন, সিরিয়া, প্যালেস্টাইন, লেবানন এবং কাতার সহ আরও কয়েকটি দেশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বাংলাদেশও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং ঢাকাস্থ সুইডিশ চার্জ ডি এফেয়ারকে ডেকে পাঠিয়েছে।

কোন ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ান ব্যক্তি স্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা হতে পারে না। সুইডেন বারবার আইনের দোহাই দিয়ে এই ধরনের কাজের অনুমতি দিচ্ছে। বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলমানের মনে আঘাত দেয়ার মত কাজকে ব্যক্তির স্বাধীনতা না বলে এটাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা উচিত।

সূত্র – আরব নিউজ এবং নিউ ইউরক টাইমস
ছবি - আরব নিউজ

মন্তব্য ১৩০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কোরআন পোড়ার কথা না।
বঙ্গ বাজারে সব ছাই হয়ে গেলেও কোরআন পুড়েনি। এর আগেও বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড ে কোরআন অটুট ছিল।
কিন্তু সুইডেনে সৃষ্টিকর্তা হস্তক্ষেপ করল না কেন।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন পোড়ে না এমন কোন কথা কোরআন বা হাদিসে নেই। পৃথিবীর সব কোরআন পুড়ে গেলেও কোরআন কয়েক ঘণ্টায় লিখে ফেলা যাবে। কোরআনের অলৌকিকত্ব তার বাণীতে। আগুনে না পোড়া কোরআনের কোন অলৌকিকত্ব না।

সৃষ্টিকর্তা শুধু সুইডেনের ঘটনা না কোন অন্যায় কর্মেই হস্তক্ষেপ করেন না। সৃষ্টিকর্তা হস্তক্ষেপ করলে পৃথিবীতে কোন অমুসলিম থাকতো না। সবাই মুসলমান হয়ে যেত। দুনিয়াটা মানুষের জন্য যে পরীক্ষা সেটা আর তখন পরীক্ষা থাকতো না। আল্লাহ মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন ভালো বা মন্দ করার। কে আল্লাহর আদেশ মানছে আর কে মানছে না এটা দেখার জন্যই আল্লাহ হস্তক্ষেপ করেন না।

২| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: কোরান পুড়িয়েছে একজন মুসলিম।সে আদালতের অনুমতিক্রমে,বাঁক স্বাধীনতার কথা বলে ,অনুমতি পায়।এটা তার অধিকার।
সুইডেন একটি শান্তিপ্রিয় দেশ।বেশির ভাগ নাগরিক ধর্ম নিরপেক্ষ।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেই কেউ মুসলমান হয় না। কোরআন যে পোড়াবে সে কখনও মুসলমান হতে পারে না। কোরআন পোড়ানোর কারণেই সে ইসলাম থেকে বহিষ্কার হয়ে যায়।

বাক স্বাধীনতা মানে অন্য ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো না। বাক স্বাধীনতারও একটা সীমা থাকে। এটা আমরা ভুলে যাই। সুইডেনের আইনে সমস্যা আছে। তারা বলছে কাজটা বৈধ কিন্তু কাজটা সঠিক না। যে জিনিস সঠিক না সেটা আইনসিদ্ধ হওয়ার কথা না। আইনের দায়িত্ব অন্য ধর্মের মানুষের অনুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে সেটা নিশ্চিত করা। বাক স্বাধীনতার নামে এই ধরনের আইন চালু রাখা ঠিক না। সুইডেনের নাগরিকদের নিয়ে কেউ কথা বলছে না। সবাই সুইডেনের আইনের সমালোচনা করছে যে আইন অন্য ধর্মকে অপমান করতে অনুমতি দেয়। আর এটাই প্রথম না। আগেও কয়েকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছুক্ষণ আগে সি এন এন এর সুত্রে জানতে পারলাম যে এই ব্যক্তি নিজেকে নাস্তিক দাবী করেছে এবং সে সুইডেনের নাগরিকত্ব পেয়েছে কয়েক বছর আগে। আরেকটা হাল নাগাদ খবর হোল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ঢাকাস্থ সুইডিশ চার্জ ডি এফেয়ারকে ডেকে পাঠিয়েছে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে। এছাড়া পৃথকভাবে বাংলাদেশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৫৩

বিজন রয় বলেছেন: এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তবে এটাও তো সৃষ্টিকর্তার কোন ইশারা। হতে পারে ভবিষ্যতে পৃথিবীতে, ধর্ম, জাত-পাত এগুলো থাকবে কিনা তার নমুনা।

তাই মানুষে মানুষে সহাবস্থান খুবই জরুরী।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে কোন বিবেকবান সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এই ঘটনার নিন্দা জানাবে। এই কারণে শুধু মুসলিম না অনেক অমুসলিম রাষ্ট্র/ সংস্থা (যেমন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র) এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। কারণ এই ধরণের ঘটনা বিশ্বে শান্তিকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

পৃথিবীর অনেক দেশে মানুষ এখন ধর্মকে শুধু মাত্র একটা সামাজিক প্রথা বলে মনে করছে। ধর্মের সাথে পরলৌকিক জগতের কোন সম্পর্ক নাই এটা অনেকেই মনে করে। এদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। নাস্তিকতাও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আস্তিক হোক নাস্তিক হোক কারও অধিকার নাই অশান্তি তৈরি করার।

পৃথিবীর কোন ধর্মই অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়াতে উৎসাহ দেয় না। যার যার ধ্যান ধারণা আর মত নিয়ে যে যার মত চলবে এটাই কাম্য হওয়া উচিত। কিন্তু কিছু মানুষ ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং কিছু দেশের আইন এই বিদ্বেষ ছড়াতে কোন বাধা দিচ্ছে না। আইনের মধ্যেই দুর্বলতা আছে। সুইডেন বলছে কাজটা আইনসিদ্ধ কিন্তু কাজটা সঠিক না। একটা কাজ যদি সঠিক না হয় তাহলে কেন সেটাকে আইনসিদ্ধ করা হোল। সুইডেন যদি এতো বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে তাহলে নাৎসি মতবাদ প্রচার করতে বাঁধা দিচ্ছে কেন। এগুলি ডাবল ষ্ট্যাণ্ডার্ড।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আহেতুক এবং আজাইরা মনোযোগ সৃস্টির পায়তারা!! এইগুলা পাত্তা না দিলেই হয়। গ্রামের বাজারে কিছু পাগল গায়ে গু মেখে হেটে বেড়াবে আপনি পাত্তা দিলেন তো ধরা খেলেন কিন্তু পাত্তা দেবেন না দেখবেন পাগল গায়েব।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাই যদি হয় তাহলে এই ধরণের অহেতুক এবং আজাইরা কাজকে একটা আদালত অনুমতি দেয় কেন। কারণ আইনের মধ্যে সমস্যা আছে। একজনের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে গিয়ে সারা বিশ্বের ১৮০ কোটি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে। এটা আইন প্রণেতাদের মাথায় থাকছে না। বিশ্ব শান্তি নষ্ট হচ্ছে। ঘটনা তুচ্ছ হলে অমুসলিম দেশগুলি নিন্দা করতো না। আন্তঃ ধর্ম সংঘাত কোন নতুন ঘটনা না। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আন্তঃ ধর্ম সংঘর্ষ চলে আসছে। তাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ব্যাপারটা বিশ্বের আইন প্রণেতাদের মাথায় থাকা উচিত।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:১৮

এভো বলেছেন: একজন মুসলমান হিসাবে তার কোরান পোড়ান উচিৎ হয় নি ।
যদি সে হাদিস গ্রন্থ পুড়িয়ে দিত , তাতে অনেক মুসলমানই খুশি হোত ।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন যে পোড়াবে সে যে মুসলমান থাকতে পারে না এটা মনে হয় আপনার মাথায় ঢুকছে না। মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেই কেউ নাস্তিক হতে পারবে না এমন না। এই ঘটনায় ঐ ব্যক্তির চেয়ে বেশী দায়ী করা হচ্ছে আইনকে যে আইন অন্য ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানকে অন্যায় মনে করে না। তাদের প্রেসিডেন্ট বলছে কাজটা ঠিক না কিন্তু আইনসিদ্ধ। একটা কাজ যদি ঠিক না হয় তাহলে সেটাকে আইনসিদ্ধ কেন করা হয়েছে। আইন তো বেঠিক কাজকে অনুমতি দেয়ার কথা না। সুইডেনের পুলিশ এখন এই ব্যাপারে তদন্ত করছে। তারা দেখতে চাচ্ছে এই কাজের দ্বারা কোন গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে কি না। এখন ঘটনা ঘটার পরে কেন তদন্ত করা হচ্ছে। আগেই এই কাজকে থামিয়ে দিল না কেন।

সহি হাদিস মানতে হবে এটা মুসলমানরা জানে। যারা সহি হাদিস মানে না তারা ভুল পথে আছে।

৬| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০৯

তানভির জুমার বলেছেন: উপরে কিছু নাস্তিক কমেন্ট করে ঘৃনা ছড়াচ্ছে। বাঁক স্বাধীনতা কি তারা কি আদৌও জানে? মুসলিম নাম হলেই কি মুসলমান হওয়া যায়? কোন কোরআন আগুনে পুড়ানো যায় না সেটা কি এই কুলাঙ্গারগুলো জানে? সভ্য দেশ কাকে বলে এটা কি তরা জানে? সুইডেনে কি পরিমান অপরাধ হয় সেটা সম্পর্কে তাদের নূন্যতম কোন ধারণা আছে?

০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাক স্বাধীনতার একটা সীমা আছে এটা অনেকেই জানে না। মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করা অনেক নাস্তিক আছে। এই ব্লগেও আছে। সভ্যতার দাবীদার এই দেশের আইন অন্যের ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করছে। এটা মোটেই কাম্য না। আপাত দৃষ্টিতে এদের সভ্য মনে হলেও অনেক অসভ্য কাজ এই দেশে হয় যেটাকে তারা আইনের দ্বারা বৈধ করে নিয়েছে।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১৬

ধুলো মেঘ বলেছেন: আমার মনে হয় লোকটা একটা কাজের কাজ করেছে। নুপুর শর্মা উত্তেজিত অবস্থায় একটা বাজে কথা বলে ফেলেছিল, সেটা মিথ্যা ছিলনা। কিন্তু মুসলমান নামের পুঙ্গবেরা তাকে একেবারে খেয়ে ফেলেছিল। সেই মহিলা ক্ষমা চেয়েছে, দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে, তারপরেও তার মুক্তি মেলেনি। আদালতে তার নামে শ খানিক মামলা হয়েছে, তাকে খুন এমনকি ধর্ষণের হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে।

সেই জিহাদী শেয়ালেরা এখন গর্তে ঢুকে আছে কেন? কোরআন পুড়ানো ব্যক্তি তো ক্ষমা চায়নি। সে ইচ্ছাকৃত ভাবে হাসতে হাসতে মসজিদের সামনে জুম্মার দিনে কুরআন পুড়িয়েছে। এবার পারলে জিহাদীরা কত খ্যামতা দেখাক!

বাংলাদেশে তসলিমা নাসরীনের চেয়েও ভয়ংকর সব নাস্তিকেরা আছে। তাদের কাউকে দেশ থেকে পালাতে হয়নি। কেবল তসলিমা নাসরীনের উপর এত রাগ কেন? সে মহিলা বলে?

মহিলাদের বিরুদ্ধে অনেক জিহাদ দেখাইলা। এইবার পুরুষের বিরুদ্ধে দেখি কি করতে পারো!

০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নুপুর শর্মা অন্যায় না করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার কেন করা হয়েছে। সেও বা ক্ষমা চাইল কেন। ভারতে তো মুসলমানরা সংখ্যালঘু। মুসলমানদের ভয়ে তো করার কথা না। সে তার অপরাধ বুঝতে পেড়েই ক্ষমা চেয়েছে। কথা বার্তা বুঝে শুনে বলতে হয়। কথার দ্বারা মানুষকে অপমান করা যায় এবং কষ্ট দেয়া যায়। বন্দুকের গুলির মত কথা মুখ দিয়ে বের হয়ে গেলে সেটাকে ফেরানো যায় না।

আপনি এই ব্যক্তিকে সমর্থন করার মাধ্যমে আপনার ইসলাম বিদ্বেষ প্রকাশ করে দিয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আচ্ছাদনে থেকে সে এই অন্যায় করেছে। সে সাহস থাকলে অন্য কোন দেশে গিয়ে এই কাজ কেন করলো না সে যদি এতো বড় বীর হয়ে থাকে। এই ধরণের ঘটনার প্রতিক্রিয়া কারও জন্য কল্যাণকর নয়। সালমান রুশদি ৩৩ বছর পরে হামলার শিকার হয়েছে। সেটাকে আমি সমর্থন করছি না। কিন্তু বলতে চাচ্ছি যে এই ধরণের ঘটনা বিশ্ব শান্তি নষ্ট করে। তাই কোন রাষ্ট্রের উচিত না এই ধরণের কাজকে অনুমোদন দেয়া। সুইডেনের পুলিশ এখন তদন্ত করছে ব্যাপারটা। অথচ তারাই তাকে ঘিরে রেখে ছিল এবং নিরাপত্তা দিয়েছিলো।

নাস্তিক হওয়া কোন দোষ না। দোষ হোল ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং উস্কানি ছড়ানো। তসলিমা দেশ ছেড়েছে ধর্মীয় শান্তি নষ্ট করার জন্য। জনপ্রিয়তার কারণে এই দেশে তসলিমার পর্যায়ের নাস্তিক তেমন নাই। যারা আছে তারা সেই মাত্রার বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে না। তসলিমা মহিলা হলেও সে পুরুষদের চেয়ে বেশী তেজি। ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোতেও সে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এখানে মহিলা না পুরুষ এটা কোন ব্যাপার না। তসলিমার মত বিদ্বেষ ছড়াতে পারে এমন একজন পুরুষের নাম বলেন। হাবিজাবি লোক ফেইসবুকে কত কিছুই বলতে পারে। সেগুলি কেউ গোনায় ধরে না। কিন্তু তসলিমা একজন পাবলিক ফিগার এবং সাহিত্যিক। তার বিদ্বেষ ছড়ানো আর অন্য একটা জদু মধুর বিদ্বেষ ছড়ানো এক ব্যাপার না।

৮| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪১

আমি নই বলেছেন: বাঁক স্বাধীনতা, হাহ, পারলে বড়দিনে বাইবেল পুড়িয়ে বাঁক স্বাধীনতা দেখাক। বাঁক স্বাধীনতা পু** ভিতরে ঢুকিয়ে দেবে। (একজন মুসলিম হিসেবে আমি বাইবেল পোড়ানোও সমর্থন করিনা।)

আর নাম মুসলিম হলেও যে সে মুসলিমই হবে তার কি গ্যারান্টি আছে? হাসান, কামাল এই নাম গুলাওতো মুসলিমরাই ব্যবহার করে।
@ধুলো মেঘ, আপনারা হলেন উস্কানি দাতা, উস্কানি দিয়ে গর্তে ঢুকে পরেন। কিছু বোকা মুসলিম আপনাদের ফাদে পা দিয়ে উল্টা-পাল্টা ঘটনা ঘটায় আর ঠিক তখনই আবার গর্ত থেকে বের হয়ে দুনিয়ার সকল মুসলিমকেই দোষারোপ করেন।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। যে কোন ধর্মের গ্রন্থ পোড়ানোই একটা অপরাধ। আরবের খৃষ্টানদের নাম আরবিতে রাখা হয়। শুনলে মুসলমান মনে হতে পারে। আর মুসলমানের ঘরেই অনেক নাস্তিক আছে। এই ব্লগেও আছে।

ধুলো মেঘ এই অপকর্মকে সমর্থন করছে এটা বোঝা যাচ্ছে। অথচ পৃথিবীর অমুসলিম দেশগুলি পর্যন্ত এই অন্যায়ের নিন্দা করেছে। ধুলো মেঘ মুসলমান কি না জানি না। কিন্তু তার বক্তব্যে ইসলাম বিদ্বেষের ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে।

৯| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

কিরকুট বলেছেন: লেখক বলেছেন: তাই যদি হয় তাহলে এই ধরণের অহেতুক এবং আজাইরা কাজকে একটা আদালত অনুমতি দেয় কেন। কারণ আইনের মধ্যে সমস্যা আছে। একজনের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে গিয়ে সারা বিশ্বের ১৮০ কোটি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে। এটা আইন প্রণেতাদের মাথায় থাকছে না। বিশ্ব শান্তি নষ্ট হচ্ছে। ঘটনা তুচ্ছ হলে অমুসলিম দেশগুলি নিন্দা করতো না। আন্তঃ ধর্ম সংঘাত কোন নতুন ঘটনা না। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আন্তঃ ধর্ম সংঘর্ষ চলে আসছে। তাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ব্যাপারটা বিশ্বের আইন প্রণেতাদের মাথায় থাকা উচিত।

সুইডেনের আইন নিয়ে ওখানকার মুসলিম জনগোষ্ঠী কিছু বলেছে? এখন পর্যন্ত তেমন কোন আপডেট পেলাম না যে সুইডিশ মুসলিম জনগোষ্ঠী কিছু বলেছে। তারা অমন কাজের প্রতিবাদ জানিয়েছে কিন্তু আইন নিয়ে একটা টু শব্দ উচ্চারন করে নাই । তাই বলি তাদের আইন তাদের কাছে । কেউ যদি এই সুজুগে গু খেতে চায় খাক না । আপনি না খেলেই হলো । করছেও একজন মুসলিম । তাই কেউ জাতিগত দাঙ্গাও বাধাতে পারছে না ।

আর ধর্ম এমন একটা জিনিস উহাকে পুড়িয়ে বা নদীতে ফেলে মুছে ফেলা যায় না । এমন করা গেলে পৃথীবিতে থেকে সাড়ে চারশো ধর্মের উৎপাটন এই মুসলিমরাই করতো ।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ঘটনা আন্তর্জাতিক ইস্যু তৈরি করেছে। তাই সুইডেনের মুসলমানরা কি বলল সেটা বড় কথা না। আর তাছাড়া সুইডেনের মুসলমানরা সংখ্যালঘু। দেশের আইনের বিরুদ্ধে বলার মত অবস্থায় তারা নাই। এই কারণেই বিশ্বের মানুষকে বলতে হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের পক্ষে বলতে হলে বাইরে থেকে বলাই সুবিধা জনক।

মুসলমান পরিবারে বহু নাস্তিক আছে যারা ধর্ম বিদ্বেষী। এই ব্লগেও আছে। শান্তিকামী নাস্তিকও অবশ্য আছে। তাই সেই ব্যক্তি মুসলমান ছিল এটা বলা সঠিক না। কোরআন পোড়ালে সেই ব্যক্তি মুসলমান না। এটা ইসলামের বিধান। সে মুরতাদ। প্রশ্ন জাতিগত দাঙ্গা না। প্রশ্ন হোল একটা অন্যায় কাজকে সমর্থন করা হয়েছে আইনের অসিলায়।

ধর্ম মোছারও প্রশ্ন না। সুইডেনের এই অন্যায়কে অনুমতি দেয়া ঠিক হয় নাই। তারা এখন কেন তদন্ত করছে। তারা বুঝতে পেড়েছে কাজটা সমস্যা তৈরি করেছে। বৃহত্তর স্বার্থে এই কাজকে তারা থামাতে পারতো। তাদের পুলিশ প্রথমে অনুমতি দেয় নাই। কিন্তু আদালত আইনের দোহাই দিয়ে অনুমতি দিয়েছে।

১০| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কোরআন পোড়ানোর সাথে বাক স্বাধীনতার সম্পর্ক খুঁজে পাইনি। তার এ ধরনের আচরণের নিন্দা জানাই। রাব্বুল আলামিন স্বয়ং পবিত্র কোরআন হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন। করতে দিন, তারা যা করতে চায়। কর্মফল সবাইকে ভোগ করতেই হবে আজ আর কাল। এদের ঘৃণা করুন আর ধৈর্য্য রাখুন। ধন্যবাদ।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অহিংস প্রতিবাদই শ্রেয়। প্রতিবাদ করতে গিয়ে অন্যত্র আগুন জ্বালানোর দরকার নাই। সুইডেন এখন তদন্ত করবে বলছে। ঘটনা ঘটার আগেই এই নিন্দনীয় কাজকে থামিয়ে দেয়া যেত। এক জনের অধিকার নিশ্চিত করতে গিয়ে কোটি কোটি লোকের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করাকে মেনে নেয়া যায় না।

১১| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১৮

নতুন বলেছেন: এরা মানুষিক ভাবে অসুস্থ। কোন বিশ্বাসের সাথে অমত থাকতে পারে কিন্তু কারুর মনে আঘাত দেওয়া অবশ্যই মূর্খতা মাত্র।

এটা শুধুই আলোচনায় আসার চেস্টা মাত্র।

কিন্তু সুইডেন সরকারেরও এমন ভাবে বাকস্বাধীনতার প্রকাশের অনুমুতি দেওয়া ঠিক হয় নাই। অন্যের মনে আঘাত লাগে সেটা করা স্বাধীনতা হতে পারেনা।

এতো ঘৃণা নিয়ে ঐ মানুষও মানুষিক ভাবে সুখী হবেনা কখনো।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি শান্তিপ্রিয় মানুষ তাই ভালো কথা বলেছেন। যে কোন বিবেকবান মানুষ এই ধরণের কাজকে নিন্দা জানাবে। আসলেই এই লোকের মানসিক ভারসাম্যের সমস্যা আছে মনে হয়। অথবা সে আলোচনায় আসতে চায়। সুইডেনের সরকার এখন তদন্ত করছে। ঘটনা ঘটার আগেই ব্যবস্থা নিলে এই নিন্দনীয় ঘটনা ঘটত না।

আপনার কথার সাথে একমত যে অন্যের মনে আঘাত লাগে সেটা করা স্বাধীনতা হতে পারে না।

১২| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আধুনিকতার মানে যদি হয় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা তাহলে সেই আধুনিকতা প্রত্যাখ্যান করি ।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তারা অনেক অসভ্য কাজকে আধুনিকতার দোহাই দিয়ে আর আইনের স্বীকৃতি দিয়ে বৈধ করেছে। ফলে তাদের অন্যায় তাদের চোখে পড়ে না। পৃথিবীর কোন ধর্মই অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতে বলে না। এগুলি আধুনিকতা না বরং অসভ্যতা।

১৩| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ফরাসি বিপ্লবের পর যখন ধর্মনিরপেক্ষতা স্থান পায় । তখন যুক্তির আন্দোলন বা এমন নামে একটি আন্দোলন সংঘটিত হয় যারা এইভাবে মুক্তবাকের নামে নির্বিচারে কিছু অপরাধ করতে শুরু করে । এদের বলা হত চরমপন্থি ধর্মনিরপেক্ষবাদী ।

সুইডেনেও এখন এসব দেখা যাচ্ছে । আর এইসব চলতে থাকবেই বলে মনে হয় । নিরপেক্ষ হলে তো কারও ক্ষতি ( সেটা মানসিক ও সাংস্কৃতিক ) করার কথা না । এখানে কেন হচ্ছে ? আর বাকস্বাধীনতার সাথে গ্রন্থ পোড়ানোর কোন সম্পর্ক আছে কী ? এটাও একধরেনর উগ্রবাদ এবং এটাও ভয়ানক বিধ্বংসতা বয়ে আনবে আমাদের মাঝে এই জগতে !!

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মানুষের কথা খুব মারাত্মক। শারীরিক আঘাতের চেয়ে কথার আঘাত অনেক সময় আরও বেশী যন্ত্রণাদায়ক হয়। আপনার উল্লেখ করা চরমপন্থি ধর্ম নিরপেক্ষবাদ মনে হচ্ছে এখনও আছে। যার নজির মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছে।

নিরপেক্ষ ব্যক্তির মধ্যে বিদ্বেষ থাকার কথা না। তারা নিরপেক্ষ সাজার চেষ্টা করছে কিন্তু ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোতে সাহায্য করছে। পৃথিবীতে বহু ধর্মের, বহু মতের মানুষ সব সময়ই থাকবে। কিন্তু অন্যের প্রতি ভালো আচরণের দ্বারাই পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখা সম্ভব। উগ্রবাদ এবং বিদ্বেষ ছড়িয়ে পৃথিবীতে শান্তি আনা যাবে না। সংখ্যালঘুদের প্রতিও সংখ্যাগুরুদের দায়িত্ব আছে। মুসলমানরা পৃথিবীতে সংখ্যালঘু তাই তাদের অনুভূতির ব্যাপারে সংখ্যাগুরুদের সতর্ক থাকা উচিত।

১৪| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪১

কিরকুট বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাক স্বাধীনতার একটা সীমা আছে এটা অনেকেই জানে না। মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করা অনেক নাস্তিক আছে।

নাস্তিক হতে হলে কি নাস্তিক পরিবারেই জন্মগ্রহন করা জরুরী ? বিষয়খানা ভাবার মতো ।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে মুসলমান পরিবারে নাস্তিক বেশী হচ্ছে। নাস্তিক হওয়ার জন্য নাস্তিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করা জরুরী না। অনেকে বলতে চাচ্ছেন যে ঐ ব্যক্তি মুসলমান। এই কারণে আমি বলতে চেয়েছি যে ঐ ব্যক্তি হয়তো নাস্তিক অথবা মুরতাদ যে অন্য ধর্ম গ্রহণ করেছে। ইসলামের বিধান অনুযায়ী কোরআন পোড়ালে সে মুসলমান থাকতে পারে না।

১৫| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮

আমি নই বলেছেন: @কিরকুট বলেছেন: করছেও একজন মুসলিম । তাই কেউ জাতিগত দাঙ্গাও বাধাতে পারছে না ।

ঐ ব্যাক্তি আর যাইহোক মুসলিম না। একজন মুসলিম কখনই, কোনো অবস্থাতেই কোরআন পায়ের নিচে ফেলবে না বা পোড়াবে না সুতরাং মুসলিম করেছে এটাও একটা প্রপাগান্ডা ছারা কিছুই নয়।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা সাধারণ বিষয় অনেকে বুঝতে পাড়ছে না যে কোন মুসলমান যদি কোরআন পোড়ায় সে তখন আর মুসলমান থাকতে পারে না। ইসলাম থেকে তার নাম কাটা যায়। একটা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে এই কাজ মুসলমান ব্যক্তি করেছে। অর্থাৎ অমুসলিমরা দায়ী না। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যা সারা বিশ্বে ঐ ব্যক্তির চেয়ে সুইডেনকে বেশী নিন্দা করা হচ্ছে। কারণ আইনের মারপ্যাঁচে তারা এই অন্যায়কে সমর্থন করেছে। এর আগেও তারা এই কাজ করেছে। এখন আবার পুলিশ দিয়ে তদন্ত করাচ্ছে। এই পুলিশই আবার সেই ব্যক্তিকে সুরক্ষা দিয়েছে যেন সে কোরআন পোড়াতে পারে। নিরপেক্ষতার নামে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াতে সাহায্য করেছে।

১৬| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

কিরকুট বলেছেন: আমি নই বলেছেন: @কিরকুট বলেছেন: করছেও একজন মুসলিম । তাই কেউ জাতিগত দাঙ্গাও বাধাতে পারছে না ।

ঐ ব্যাক্তি আর যাইহোক মুসলিম না। একজন মুসলিম কখনই, কোনো অবস্থাতেই কোরআন পায়ের নিচে ফেলবে না বা পোড়াবে না সুতরাং মুসলিম করেছে এটাও একটা প্রপাগান্ডা ছারা কিছুই নয়।


সেটা তো আপনার বিশ্বাস । এখানে বিশ্বাস দিয়ে কোন কাজ হবে না । যা বাস্তব উহাই ফ্যাক্ট । আপনার কাছে প্রপাগান্ডা মনে হতেই পারে কিন্তু বাস্তবতা বড্ড নিষ্ঠুর । উনি মুসলিম ছিলেন । আপনি তাকে যা খুশি বলতে পারেন ।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একজন মুসলমান কোরআন পোড়ালে তাকে মুরতাদ বলা হবে। এই ব্যক্তিকে মুসলমান বলার কোন যুক্তি দেখছি না। মুসলমান নাম ধারণ করলে আর মুসলমান পরিবার জন্মালেই কেউ মুসলমান হয় না। এখানে বাস্তব কথা হোল সেই ব্যক্তি ইসলাম বিদ্বেষী। ইসলাম বিদ্বেষী কখনও মুসলমান না। আপনি জোর করে তাকে মুসলিম বললেই সে মুসলিম না। তার কাগজপত্রে মুসলিম লেখা থাকলেও সে মুসলিম না। আর এখানে ঐ ব্যক্তির চেয়ে সুইডেনকে সবাই দোষারোপ করছে কারণ তারা আইনের মারপ্যাঁচে একটা অন্যায়কে সমর্থন করেছে। একটা জিনিস যদি সঠিক না হয় সেটা কিভাবে আইন স্বীকৃত হয়।

১৭| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫

মোগল সম্রাট বলেছেন:

বাইতুল মোকারমের দক্ষিন পাশে যখন কোরান শরীফের দোকানে আমাগো জামাত-বিম্পির ইমানদার মোছলমানেরা আগুন দিয়া শত শত কোরান শরীফ পোড়াইছিলো তখন কয়ডা মুসলিম দেশ নিন্দা জানাইছিলো? ইভেন আমাগো দেশের কয়জন জেহাদ ঘোষনা কছিলো?

জানতে মুঞ্চায়।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের নাম পৃথিবীর বহু লোক জানে না। তাই বাংলাদেশের ঘটনা বিশ্বে কমই প্রচার পায়। সুইডেনের মত দেশে এই জাতীয় ঘটনা আগেও ঘটেছে। আর ঐ ব্যক্তি ঘটা করে দিন ক্ষণ ঠিক করে আদালতের অনুমতি নিয়ে পুলিশের সাহায্য নিয়ে কোরআন পুড়িয়েছে। বাইতুল মোকাররমের ঘটনা আর এই ঘটনার তাৎপর্য ভিন্ন। আর ঐ ব্যক্তির চেয়ে সুইডেন সরকারকে সারা বিশ্বের মানুষ বেশী সমালোচনা করছে। কারণ ঐ দেশের আইনে সেটা বৈধ। যদিও তারা বলছে বৈধ হলেও সঠিক কাজ এটা না। একটা কাজ সঠিক না হলে সেটা বৈধ কিভাবে হয়। আইন কি তাহলে এমন কাজকে সাহায্য করছে যেটা সঠিক না। বাইতুল মোকাররমের ঘটনার এই দেশে নিষিদ্ধ। ফলে আইনি প্রতিকারের সুযোগ ছিল। রাষ্ট্রের আইন এই অন্যায়কে সমর্থন করে নাই। কিন্তু সুইডেনে রাষ্ট্রের আইন এই অন্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। এটাই মূল পার্থক্য। বাইতুল মোকাররমে এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা প্রকাশ্যে আসতে চায় নি। কারা করেছে সেটা নিয়ে সন্দেহ ছিল। তবে মানুষ প্রতিবাদ করেছে।

১৮| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

কিরকুট বলেছেন: লেখক বলেছেন: সুইডেনের এই অন্যায়কে অনুমতি দেয়া ঠিক হয় নাই। তারা এখন কেন তদন্ত করছে। তারা বুঝতে পেড়েছে কাজটা সমস্যা তৈরি করেছে। বৃহত্তর স্বার্থে এই কাজকে তারা থামাতে পারতো। তাদের পুলিশ প্রথমে অনুমতি দেয় নাই। কিন্তু আদালত আইনের দোহাই দিয়ে অনুমতি দিয়েছে।

একমত !!!

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুচিন্তিত এবং যৌক্তিক মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

১৯| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

আমি নই বলেছেন: কিরকুট বলেছেন: সেটা তো আপনার বিশ্বাস । এখানে বিশ্বাস দিয়ে কোন কাজ হবে না । যা বাস্তব উহাই ফ্যাক্ট ।
আপনার কাছে প্রপাগান্ডা মনে হতেই পারে কিন্তু বাস্তবতা বড্ড নিষ্ঠুর । উনি মুসলিম ছিলেন । আপনি তাকে যা খুশি বলতে পারেন ।


উনি কি ছিলেন সেটা কথা নয়, উনি এখন কি আছেন সেটা বলেন। তার এখনকার কর্মকান্ডকে একজন মুসলিমের কর্মকান্ড হিসেবে প্রচার করাই প্রপাগান্ডা। এখানে আপনার কি মনে হল তাতে কিছুই যায় আসেনা। যা বাস্তব উহাই ফ্যাক্ট। উনি মুসলিম নন।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন তো হঠাৎ করে পোড়ান নি ঐ ব্যক্তি। বহু আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে পুলিশের পাহারায় এই কাজ করেছেন। তাই এই পূর্ব প্রস্তুতির সময়েই সে নিজেকে মুরতাদ প্রমাণ করেছে। মুরতাদ অবস্থায় সে কোরআন পুড়িয়েছে। সম্ভবত আগে থেকেই সে ইসলাম বিদ্বেষী ছিল। কাজেই এই লোককে কোনভাবেই মুসলমান হিসাবে চিহ্নিত করা ঠিক হবে না। তার পক্ষে কোন মুসলমান কথা বলেছে বলে শুনি নাই। আর এই ব্যক্তির চেয়ে সুইডেনের সমালোচনা বেশী হচ্ছে। কারণ তারা এই অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দিয়েছে।

২০| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমরা যে যেই ধর্মের অনুসারী হই না কেন ইভেন যদিও আমরা ধর্ম না মানি তথা ধর্ম হীন হই তবেও এ জাতীয় কাজকে ব্যক্তি স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে কোন ভাবেই সমর্থন করা উচিত নয়। তা সে ব্যক্তি কিংবা রাষ্ট্রীয় পর্যায় যেখানেই হোক না কেন।

কারন , এ জাতীয় কাজ সমাজে অস্থিরতা তৈরীর সাথে সাথে মানুষে মানুষে হানা হানি তৈরী করে , ধর্মের অবমাননার কথা বাদ দিলেও। আর যে কাজ সমাজে অস্থিরতা - হানা হানি তৈরী করে তা কখনো বৈধ হতে পারেনা।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ঘটনার পরিনাম সম্পর্কে জেনেও এই ধরণের কাজকে অনুমতি দেয়া ঠিক হয় নাই। একজনের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে গিয়ে কোটি কোটি লোকের অনুভূতিতে আঘাত দেয়া যেতে পারে না।

আপনার সাথে একমত যে কাজ সমাজে অস্থিরতা - হানা হানি তৈরি করে তা কখনও বৈধ হতে পারে না। সুইডেনের পুলিশ প্রথমে অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি দেয়। কিন্তু আদালতের আদেশের কারণে পুলিশ তাকে সুরক্ষা দিতে বাধ্য হয়। এখন পুলিশ তদন্ত করবে বলা হচ্ছে।

২১| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা।
এরকম করা উচিৎ নয়। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হয়েছে।

একটা কথা আপনু ভালো বলেছেন, আল্লাহ মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন ভালো বা মন্দ করার। কে আল্লাহর আদেশ মানছে আর কে মানছে না এটা দেখার জন্যই আল্লাহ হস্তক্ষেপ করেন না।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আসলে একজন শান্তি প্রিয় মানুষ। তাই কোন রকমের হাঙ্গামা পছন্দ করেন না। কিন্তু পৃথিবীতে কিছু মানুষ হাঙ্গামা তৈরি করে আনন্দ পায়। এদের জন্যই কঠোর আইন প্রণয়ন করার দরকার হয়।

আল্লাহর উপস্থিতি মানুষ বুঝতে পারলে পৃথিবীর সব মানুষ আল্লাহ ভক্ত হয়ে যেত। তাহলে তো আর পরীক্ষা করা হতো না। আল্লাহ আকারে ইঙ্গিতে তার উপস্থিতি মানুষকে জানিয়ে থাকেন। বুদ্ধিমানেরা সেটা থেকেই আল্লাহকে চিনে নেয়।

২২| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১১

আমি সাজিদ বলেছেন: সুইডেন এমন একটি দেশ যারা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। ওদের রাজা/ প্রধানমন্ত্রীকে মিডিয়াগুলোতে রীতিমতো তুলোধুনো করা হয়, যে কেউই যা ইচ্ছে বলতে পারে বা করতে পারে। সে হিসেবে আইনত ওরা এই বিষয়ে কিছু করতে পারে না, কিন্তু কোরআন পুড়ানোর ঘটনায় ওদের বুঝা উচিত যে সব সময় মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া মানেই মানুষ এর অপব্যবহার করবে, সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করবে। যা ওদের জন্যই ক্ষতিকর। আমার মনে হয় অন্তত ধর্মীয় বিষয়গুলোতে ওদের আইন পুনরায় বিবেচনা করার সুযোগ আছে যেন অশান্তি না ছড়ায়। এক জন মানুষের দায় কখনও রাষ্ট্র নিতে পারে না। এত সুন্দর সুইডিশ সমাজব্যবস্থা কয়েকজনের জন্য নষ্ট হওয়া উচিত না। এর আগে এক খ্রিস্টান ডানপন্থী কোরআন পুড়িয়েছিল, এইবার এক ইরাকি সুইডেনে কোরআন পুড়ালো, বিষয়গুলো কারও রাজনৈতিক চালও হতে পারে।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব আইনেরই ব্যতিক্রম কিছু ধারা থাকে। বাক স্বাধীনতা বা ব্যক্তি স্বাধীনতার সীমা আছে। আমার প্রশ্ন হোল যে জিনিসকে তারা সঠিক না বলছে সেই জিনিসকে আইনের স্বীকৃতি কেন দিচ্ছে।

স্বাধীনতার অপব্যবহার বন্ধের জন্যও আইন থাকা প্রয়োজন। মানুষের দায় রাষ্ট্র নেয় না। কিন্তু রাষ্ট্রের উচিত না আইনের সাহায্য নিয়ে এই ধরণের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করা। এই ধরণের কাজকে ব্যতিক্রম হিসাবে আইনের দ্বারা নিষেধ করা উচিত। আইন তো মানুষেই বানায়। প্রয়োজনে এটার সংশোধন করার সুযোগ আছে।

২৩| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: সব আইনেরই ব্যতিক্রম কিছু ধারা থাকে। বাক স্বাধীনতা বা ব্যক্তি স্বাধীনতার সীমা আছে। আমার প্রশ্ন হোল যে জিনিসকে তারা সঠিক না বলছে সেই জিনিসকে আইনের স্বীকৃতি কেন দিচ্ছে।

আমাদের দেশে ঐ মানুষটা যদি কোন ঈদগাহের পাশে কোরান পোড়াতো তবে কি হতো?

জনগন তাকে পিটিয়ে/পুড়িয়ে হত্যা করতো। সেটা কি কোন আইনে বা ধর্মীয় আইনে ন্যায় বিচার হতো?

বাক স্বাধীনতা বা ব্যক্তি স্বাধীনতার সীমা আছে। এর সীমা নিদ্ধারন করে দিলে সেটা স্বাধীনতা থাকেনা, সমস্যা এইখানেই বাধে। তাই তারা তার কাজে বাধা দেয়নি কিন্তু সেই কাজকে তারা সর্মথন করেনাই।

আরেকটা জিনিস হইলো আপনি যদি এইসব পাগলদের কাজে বেশি উত্তেজিত হন তবে তারা সেটাই বেশি করবে। কিন্তু ইগরন করলে তখন তারা করবেনা। তাই এই রকমের এটেনসন সিকারদের এভয়ড করা উচিত।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কেউ যদি বোকার মত এই ধরণের কাজ আমাদের দেশে করে সেটার পরিনাম সে ভোগ করবে। এই দেশে কি হতে পারে সেটা তার জানা উচিত। তার পরেও যদি এই ধরণের কাজ করে তাহলে তাকে বোকা বলতে হবে। আমাদের দেশে এই ধরনের কাজ বেআইনি। বিচার পাবে কি পাবে না সেটা পরের কথা।

বাক স্বাধীনতার সীমা থাকে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন শর্ত থাকে। তাই বাক স্বাধীনতা একেক দেশে একেক রকম। আবার সময়ের সাথে সাথে একই দেশে নিয়ম বদলাতে পারে। এগুলি সাবজেকটিভ বিষয়। একজনের কাছে যেটা বাক স্বাধীনতা আরেকজনের কাছে সেটা হেইট স্পিচ। জার্মানিতে নাৎসিদের করা কোন অপকর্মের পক্ষে কেউ কোন কথা বললে সেটা একটা অপরাধ। অনেক দেশে নাৎসি চিহ্ন এবং পতাকা নিষিদ্ধ। হলকস্টকে মিথ্যা বলা বা অস্বীকার করা অনেক দেশে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। রেইস নিয়ে বৈষম্যমূলক কথা বলা অনেক দেশে নিষিদ্ধ। তাই যা খুশি তাই বলা যায় না কোন দেশেই। ফ্রি স্পিচের যেমন আইন আছে তেমনি আরও অনেক আইন থাকতে পারে যেগুলি কথা বলাকে বন্ধ করে। আপনি আপনার হাত যেমন খুশি নাড়াতে পারবেন কিন্তু সেই হাত অন্যের নাকে লাগার উপক্রম হলে সেটা আপনার স্বাধীনতা না।

এই ব্যক্তি এটেনশন সিকার না। সে একজন ইসলাম বিদ্বেষী।

২৪| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

ধুলো মেঘ বলেছেন: তসলিমা নাসরীন কি এমন লিখেছে, যা মোল্লাদের এত খেপিয়ে দিয়েছে? তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি লিখেছে হুমায়ূন আজাদ। লিখেছে আহমেদ শরীফ, বলেছে কবীর চৌধুরী -এদের বিরুদ্ধে মোল্লারা কি এ্যাকশন নিয়েছে? সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর সব গল্পেই কিছু না কিছু মুসলিম বিদ্বেষ থাকতো। তার কোন সমালোচনাও তো মুসলিম সাহিত্যিকদেরকে করতে দেখিনি।

আসিফ মহিউদ্দিন নামে 'ডিজিটাল বলদ' নবী যে সুদূর জার্মানীতে বসে মোল্লাদের পুন মেরে যাচ্ছে - তারা কি করছে?

আসল কথা হচ্ছে, মোল্লারা নারী দেখলেই ঈমান দন্ড খাড়া করে ফেলে। পুরুষ মানুষের ক্ষেত্রে তাদের ভাব হচ্ছে "ছেলে মানুষ একটু আধটু ভুল করতেই পারে - ও কিছু না, কিন্তু তুমি নারী হইয়া এত বাড়বা কেন?"

০২ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলাম ধর্মের সমালোচনা বা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করার একটা সীমা আছে। যারা রসূলকে (সা) নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেছে তারা বিপদে পড়েছে। এছাড়া ইসলামের অনেক বিধানের সমালোচনা এবং ভণ্ড হুজুরদের সমালোচনা অনেকেই করেছে। সেটা কোন সমস্যা না।

হুমায়ূন আজাদ ইসলামের সমালোচনা করলেও ইসলামের নবীকে (সা) নিয়ে কোন ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেছেন বলে মনে হয় না। সেও আক্রমণের শিকার হয়েছিল অবশ্য। কিন্তু তসলিমা রসূলকে (সা) নিয়ে আপত্তিকর কথা বলেছে। এখনও করে থাকে।

আহমেদ শরীফ আর কবির চৌধুরী নাস্তিক হলেও তারা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় নি বা রসূলকে (সা) নিয়ে কটূক্তি করেনি। নাস্তিকতার অধিকার প্রত্যেকের আছে। কিন্তু ইসলামের নবীকে (সা) নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ গ্রহণযোগ্য না।

২৫| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: ঐ দেশের সরকার নৈতিকভাবে সঠিক নয় বুঝিয়েছে।
একটি কাপড়কে আপনি ১০% লাভে বিক্রয় করতে করতে পারেন। আবার ৩০% বা আরও বেশী ৫০% লাভেও বিক্রয় করতে পারেন। মানুষ করেও! ব্যবসা হালাল ও সরকারীভাবে বৈধ ব্যবসার অনুমতি আছে। এখন লাভে ব্যাখ্যা কিভাবে সংজ্ঞায়িত করবেন? ক্রয় ক্ষমতা দিয়ে যদি চিন্তা করেন তাহলে একেক জনের ক্ষমতা একেক রকম। কিন্তু একই পণ্য বিভিন্ন ক্রয় ক্ষমতা অনুসারে বিভিন্ন দামে বিক্রয় করা কতটুকু সঠিক? কিংবা উচ্চ মুনাফা কতটুকু সঠিক বা নৈতিক সঠিক? যেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতা নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী দাম দিয়ে কিনেন বা বিক্রয় করেন। কিন্তু এখানে চাইলে ইহকালে স্থানীয় সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে। তারা বলতে পারে এতটুকু লাভ করতে পারবে। এটাও কি ন্যায়সঙ্গত হয় কি? নাকি ন্যায় নামে ট্যাগ দিলেই ন্যায় হয়ে যায়!?

উপরের ২৩ নং নতুন সাহেবর মন্তব্যকে যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে।
সাথে আমি যোগ করতে চাই, যদি সরকার সব ধরনের ধর্মীয় গ্রন্থের প্রতি সম্মান রাখার আইন করে তাহলে সঠিক। তখন এ ধরনের অনৈতিক অপরাধ কমে যাবে। এটা সব দেশের জন্য প্রযোজ্য। যে দেশের ৯৯%-১০০% মুসলিম বা সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মের হলেও একই নিয়ম অনুসরণ করতে বাধ্য থাকবে। এতে অন্য বিশ্বাসীদের মনে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকবে। থাকবে বললেও ভুল, যারা উগ্র তারা উগ্রতাই বেছে নিবে। সেটা পবিত্র কোরআন পুরানো হোক কিংবা মুসলিম লেবাসধারী রগ কাটা পার্টি হোক। (আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক)

০২ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে জিনিস নৈতিকভাবে সঠিক নয় আপনি বলছেন সেটাকে আইনি স্বীকৃতি কিভাবে দেয়। আইন কি তাহলে অনৈতিকতাকে সমর্থন করছে।

বিচারকরা আইনের মধ্যে থেকেই নিজস্ব বিবেক এবং জ্ঞানের সাহায্যে বিচাররিক ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। বিচারকের প্রতি আস্থা থাকতে হবে। সেকুলার জগতেও একই বিষয়ের উপরে একাধিক বিচারক বিপরীত রায় দিতে পারেন। বাস্তবে এমন দেখা যায়। যোগ্য লোক বিচারক হলে সে ন্যায় বিচার করবে। তার বিচারের উপর আস্থা থাকা জরুরী। নইলে সেই ব্যক্তির বিচারক হওয়ার যোগ্যতাই নাই।

নতুন ভাই বলছেন সীমাহীন বাক স্বাধীনতা। আসলে এই জিনিস পৃথিবীর কোথাও নাই। সব দেশেই কিছু শর্ত থাকে। আমি ওনার মন্তব্যের জবাবে কিছু উদাহরণ দিয়েছি। সীমা লঙ্ঘন করলে বাক স্বাধীনতা হেইট স্পিচ হয়ে যায়। ইসলামের নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করা এবং কোরআন পোড়ানো এখন একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে। মুসলমানরা এগুলিকে অপরাধ মনে করে। এটাই মুসলমানদের অবস্থান। তাই এই বিষয়ে অন্য ধর্মের মানুষের সচেতন হওয়া উচিত। ইচ্ছে করে মুসলমানদের খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। এটা কোন ভালো কাজ না। এই কাজ অপ্রয়োজনীয় এবং আপত্তিকর কাজ।

কোন ধর্মকেই ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা যাবে না। ইসলাম ধর্মে অন্য ধর্মকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা নিষিদ্ধ।

২৬| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫

আমি নই বলেছেন: উগ্রপন্থী বলদের একটা উৎকৃষ্ট উদাহরন হচ্ছে ধুলো মেঘ নামের নিকটি। এই বলদ হয়ত জানেই না কিছু উগ্রপন্থী দাড়ী/টুপিওয়ালা বলদের হাতে চাপাতির কোপ খেয়ে চোরা আসিফের জীবন সাংগ হবার অবষ্থা হয়েছিল, ভাগ্যের জোরে বেচে গিয়ে সে এখন জার্মানীতে। থাবা বাবা ওরফে রাজীব, অভিজিৎ ইত্যাদিদের ভাগ্য অত ভাল ছিলনা, হুমায়ূন আজাদের ছেলে মনে প্রানেই মানে তার বাবাকে উগ্রপন্থী দাড়ী/টুপিওয়ালা বলদরাই হত্যা করেছে। আর এই বলদ আসছে তসলিমাকে হাইলাইট করতে।
মনে হয় এই উগ্রপন্থী বলদ ধুলো মেঘ মনে-প্রাণেই চায় উগ্রপন্থী দাড়ী/টুপিওয়ালা বলদরা তছলিমাকে হত্যা করুক, তাইলে সে সামুতে আরো একটু বেশি ল্যাদাতে পারবে।
তার এটা বোঝার ক্ষমতা নেই যে দেশের মুসলিমরা ওদের শাস্তীর দাবী করলেও কয়েকটা উগ্রপন্থী দাড়ী/টুপিওয়ালা বলদদের মত হত্যা করতে চায়নি, চাইলে পরিচয় প্রকাশের পর ওরা একদিনও এইদেশে টিকতে পারতোনা।

@ধুলো মেঘ আপনার সাথে ঐসকল দাড়ী/টুপিওয়ালা বলদদের খুব বেশি তফাৎ নেই, আপনারা দুইপক্ষই মোটামুটি সমান উগ্রবাদী।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধুলো মেঘের কথাগুলি উস্কানিমূলক। সে মজা পাচ্ছে এই ধরণের অপকর্মে। বাংলাদেশের উগ্রবাদী নাস্তিকরা যে বিদ্বেষ ছড়ায় সেটা এই দেশের আইনে বড় অপরাধ। তারপরেও তারা মজা নিতে চায়। মুসলমানদের উস্কে দিয়ে মজা নেয়াটা একটা বড় অপরাধ। অন্যায় আগে করছে এই নাস্তিকরা পরে মুসলমানদের প্রতিশোধের শিকারে পরিনত হচ্ছে। বাংলাদেশের নাস্তিকরা বিদেশে গিয়ে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এটাকে তারা অনেক বীরত্ব মনে করছে। হুমায়ূন আজাদও আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। সীমা লঙ্ঘন করলে এই ধরণের লোকদের দায়িত্ব সরকার নেয় না। তাই মুসলমানদের দোষ দেয়ার আগে নিজেরা কি করছে এটা নাস্তিকদের ভাবা উচিত।

২৭| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে সত্যিকার অর্থে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করা যাবে বলে মনে হয়?

০২ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা সামান্য একটা ইস্যু এবং আবেগ নির্ভর। আরও বহু ইস্যু মুসলিম প্রধান দেশগুলির মধ্যে আছে যেগুলির সাথে ভুমি, অর্থ, সম্পদ, সংঘাত, স্বার্থ এবং ইগো জড়িত। এগুলির সমাধানের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কোন ইসলামিক রাষ্ট্র চীন বা অ্যামেরিকার মত পরাশক্তি হতে পারলে তাকে কেন্দ্র করে ঐক্য গড়ে ওঠার সম্ভবনা ছিল। নিকট ভবিষ্যতে সেই রকম কোন সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না।

২৮| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:১২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কেউ যদি বোকার মত এই ধরণের কাজ আমাদের দেশে করে সেটার পরিনাম সে ভোগ করবে। এই দেশে কি হতে পারে সেটা তার জানা উচিত। তার পরেও যদি এই ধরণের কাজ করে তাহলে তাকে বোকা বলতে হবে। আমাদের দেশে এই ধরনের কাজ বেআইনি। বিচার পাবে কি পাবে না সেটা পরের কথা।

* কোন মানুষ যদি কোরান পুড়ায় তার জন্য বাংলাদেশের আইনে কি সাজা আছে?
* ইসলাম ধর্মের এই বিষয়ে কি নিয়ম আছে?
* সাধারন জনগনের সামনে কোরান পুড়ালে জনগন কি তাকে মেরে ফেলতে পারে কিনা?

অর্থ আমি জানতে চাইছি। বাংলাদেশের মানুষ ঐ মানুষকে মেরে ফেলবে, কিন্তু সেটা কি ইসলাম ধর্মে অনুমুতি আছে কিনা?

০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের আইনে নিশ্চয়ই সাজা আছে। বাংলাদেশের পেনাল কোডের ২৯৫ থেকে ২৯৮ ধারা আছে যেগুলি ব্লাশফেমি আইনের বিকল্প। ইউরোপের কিছু দেশ সহ পৃথিবীর ৭১ দেশে ব্লাশফেমি আইন আছে। ধর্ম সংক্রান্ত সকল অবমাননা এই আইন/ ধারার মাধ্যমে বিচার করা হয়।

বাংলাদেশের ফৌজদারি দণ্ডবিধির ২৯৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোন ধর্মীয় স্থান বা সেখানকার কোন বস্তু ধ্বংস করা, ক্ষতি করা বা অসম্মান করাকে ধর্মীয় অবমাননা হিসাবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

ইসলাম ধর্মে কোরআন অবমাননা একটি ব্লাশফেমি। এই অপরাধের শাস্তি জরিমানা, জেল এমন কি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।

এখন একটা উদাহরণ দেই আপনার শেষ প্রশ্নের জন্য;
আপনার ছোট বোন যাচ্ছে আপনার সাথে। পথে একটা/ দুইটা বখাটে ছেলে আপনার বোনের গায়ে হাত দিল। আপনি একটা চড় মারলেন একজনকে। আপনার সাথে কিছু সাহসী লোক জূটে গেল তারা কয়েক মিনিটের মধ্যে বখাটে দুইটাকে পিটিয়ে জায়গায় মেরে ফেলল রাগের মাথায়। এই ব্যাপারে আপনার করনীয় কি হবে ঐ পরিস্থিতিতে। আপনি এদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিবেন?

ইসলাম তো আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বলেনি। কিন্তু পরিস্থিতি অনেক সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তখন কি করবেন?

২৯| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৭

জগতারন বলেছেন:
হাসান কালকবৈশাখী একটা জ্ঞান পাপী।
এ কাতারে এই ব্লগে আরও অনেকেই আছে তবে
হাসান কালবৈশাখী সকলের গোদা।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী সংশয়বাদী একজন মানুষ যার আল্লাহতে বিশ্বাস আছে কি না এটা নিয়ে সন্দেহ আছে। যার কারণে ইসলামের প্রতি তার কোন টান নাই এবং এই ধরণের উদ্ভট কথা বলেন। আল্লাহতে যে পূর্ণ বিশ্বাস করবে সে কখনো বলবে না যে আল্লাহ কেন হস্তক্ষেপ করলেন না। ওনার মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি আল্লাহকে নিয়ে কিছুটা মশকরা করার চেষ্টাও করেছেন মনে হচ্ছে।

৩০| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:২৫

নতুন বলেছেন: এখন একটা উদাহরণ দেই আপনার শেষ প্রশ্নের জন্য;
আপনার ছোট বোন যাচ্ছে আপনার সাথে। পথে একটা/ দুইটা বখাটে ছেলে আপনার বোনের গায়ে হাত দিল। আপনি একটা চড় মারলেন একজনকে। আপনার সাথে কিছু সাহসী লোক জূটে গেল তারা কয়েক মিনিটের মধ্যে বখাটে দুইটাকে পিটিয়ে জায়গায় মেরে ফেলল রাগের মাথায়। এই ব্যাপারে আপনার করনীয় কি হবে ঐ পরিস্থিতিতে। আপনি এদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিবেন?

ইসলাম তো আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বলেনি। কিন্তু পরিস্থিতি অনেক সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তখন কি করবেন?


মানুষ অন্যায় করতে পারে। বোনের গায়ে হাত দিলে তাকে যদি আপনি চড় মারেন সেটা আপনি আবেগ থেকে করবেন। কিন্তু সেটা যদি আইন অনুযায়ী বিচার হয় তবে সেটার ব্যাপারটা অন্য হবে।

ইসলাম যখন আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বলেনি তখন যারা কোরান পোড়ানের জন্য তাকে পুড়িয়ে মারলো তাদের কি সাজা সৃস্টিকর্তা দেবেন? দেশের বিচারেও কি ঐ মানুষের হত্যার জন্য সাজা হওয়া উচিত কি না?

০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ক্ষেত্রেও আবেগের কারণে হিট অব দা মোমেন্ট কিছু ঘটে যেতে পারে। তাই উভয় পক্ষকেই তাদের আচরণের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে যেন এই ধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। যে কোরআন পোড়াতে চাচ্ছে সে অপরাধের সূচনা করছে ঘটা করে এটা মনে রাখতে হবে। তাই পরবর্তী পরিণতির দায় তার উপরে বেশী আসবে। কারণ এটার সাথে কোটি কোটি মানুষের আবেগ জড়িত।

হিট অব দা মোমেন্ট অনেক কিছু হতে পারে। হজরত মুসা (আঃ) দুইজনের ঝগড়া থামাতে গিয়ে একজনকে জোড়ে ঘুষি মারেন। সেই ব্যক্তি তৎক্ষণাৎ মারা যায়। এখন আপনি হজরত মুসাকে (সা) কি একজন খুনি আসামী বলবেন। আমাদের দেশের বা যে কোন দেশের আইনেই এই ধরণের পরিস্থিতিতে অতি উৎসাহীদের কি বিচার হবে সেটা বলা আছে। ইচ্ছাকৃতভাবে আইন হাতে তুলে নিলে অবশ্যই শাস্তি হবে। আর ঘটনাচক্রে ঘটে গেলে সেটার শাস্তি হয়তো কম হবে।

ইসলামে সব কিছু নির্ভর করে নিয়তের উপরে। আল্লাহ এই ধরণের অতি উৎসাহীদের কি বিচার করবেন সেটা আল্লাহ ভালো জানেন। তিনি অবশ্যই
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সুবিচার করবেন।

৩১| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৩৬

আমি সাজিদ বলেছেন: সুইডিশ সমাজ কখনও ইসলাম বিদ্বেষী ছিল না। বরং সিরিয়া, ইরাক, ইরানের অনেক রিফিউজিতে আশ্রয় দিয়ে নিজেদের সমাজে যোগ করতে চেয়েছে, পরে ওরা দেখলো যাদের তারা আশ্রয় দিয়েছে তারা সুইডিশ কালচার সম্মান করে না। সহঅবস্থান বজায় রাখতে পারে না। তবুও অনেক সুইডিশ বিষয়টা মেনে নিয়েছে। আপনি অনেক প্রতিবেদন পাবেন যেখানে রিফিউজিরা সুইডেনে কিভাবে অরাজকতায় জড়িয়েছে তা নিয়ে প্রমাণ সহ বলা আছে। এই সবের জন্য সুইডেনে ডান পন্থীদের উত্থান হয়েছে যারা আসলে ভিনদেশীদের জন্য সুইডেনে প্রবেশাধিকার সীমিত করতে চায়। এর মধ্যেও কিছু এক্সট্রিমিস্ট কোরআন পুড়িয়েছে যার পেছনে রিফিউজিদের উপর ক্ষোভ মূল কারন ছিল। সুইডিশ আইন সবাইকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয় এর প্রেক্ষাপটে ওই একজন লোক কোরআন পুড়ায় যার দায় পুরো সুইডেনকে নিতে হয়। এইবারও শুধুমাত্র একজন ইরাকি এই বাজে কাজটি করেছে। নিজেদের আইনে সুইডেন নিজেই আটকে গেছে। ওরা কখনও ভাবে না মানুষ এই আইনের এই অপব্যবহার করবে।

আমার প্রশ্ন আমাদের কিছু কিছু মানুষ কেন নতুন দেশে অন্য ধর্মের সাথে সহঅবস্থানে থাকতে পারে না? কেন তাদের সহনশীলতা নাই? যদি নাই থাকে তাহলে নিজের দেশ ছেড়ে ওইসব দেশে যায় কেন ?

আশা করি এই বিষয়টি রাজনৈতিক চাল হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখা হবে। গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সে সুইডিশদের র‍্যাংক প্রথম তিনটা দেশের মধ্যেই প্রায় সবসময়। সুইডিশরা কাজ পাগল, শান্তিপ্রিয়, একাকী থাকে আর একাই মরে। ওদের এত সময় নাই ধর্মের পেছনে লাগার।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যক্তি নিজেই সম্ভবত রিফিউজি ছিল। সে ইরাক থেকে এসে সুইডেনের নাগরিকত্ব নিয়েছে। সুইডেনের নাগরিকদের কেউ দোষারোপ করছে না এই ঘটনার জন্য। বরং অনেক সুইডিশ নাগরিক এই ঘটনার নিন্দা করেছে।

ইউরোপে এবং অ্যামেরিকার অনেক দেশ সহ পৃথিবীর ৭১ টা দেশে ব্লাশফেমি আইন আছে। কিন্তু সুইডেনে ব্লাস্ফেমি আইন নাই। এটাই মূল কারণ। কারণ সুইডেনে ধর্ম অবমাননা বলে কিছু নাই। কিন্তু তারা ভুলে যায় যে তাদের দেশের ধর্ম অবমাননার প্রভাব সুইডেনের বাইরে পড়তে পারে যেটার কারণে তাদের দেশের সাথে অন্য দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। বর্তমান পৃথিবীতে কোন দেশ অন্য দেশকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করে চলতে পারে না। গ্লোবাল ভিলেজে অনেক কিছু সমন্বয় করে চলতে হয়। এই ঘটনায় সেটাই হয়েছে। সুইডেন রাষ্ট্রটি পুরোপুরি ধর্মহীন জাতি হয়ে গেছে ফলে ধর্মকে অবমাননা করা যে অপরাধ তারা সেটাই স্বীকার করে না।

যারা অন্য দেশে গিয়ে স্থায়ী হচ্ছে তাদের দায়িত্ব সেই দেশের নিয়ম মেনে চলা। তা না হলে নিজের দেশে থাকা উচিত। সুইডিশদের ধর্মের জন্য সময় না থাকলেও এটা তাদের মাথায় থাকা উচিত যে ওদের দেশে অনেকে ধর্ম মানে আবার অনেকে ধর্ম অবমাননা করতে চায়। তাই দেশের ভিতরে এবং বাইরে যেন কোন খারাপ পরিস্থিতির উদ্ভব না হয় সেটা তাদের নিশ্চিত করা উচিত দেশে উপযুক্ত আইন তৈরি করে বা আইনের সংশোধন করে। এই ছোট ঘটনার জন্য সুইডেনকে এখন অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এই ব্যক্তি বলেছে সে ১০ দিন পরে আবারও কোরআন পোড়াবে। সুইডিশ আদালত হয়তো আবারও তাকে অনুমতি দিবে। কারণ তাদের আইন অনুযায়ী তারা অনুমতি দিতে বাধ্য। কিন্তু এটা শুধু সমস্যা বৃদ্ধি করবে। বিশ্ব সমাজে বাস করতে হলে অন্য রাষ্ট্রের মানুষদের সেন্তিমেন্টকেও অনেক সময় সম্মান করার প্রয়োজন পড়তে পারে। এবার সেটাই প্রমাণিত হোল। বিশেষ করে ধর্মীয় ব্যাপার সংক্রান্ত ঘটনা দেশের সীমানা পেড়িয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

৩২| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কোরান পোড়ানো সমর্থনযোগ্য নয়,এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল বাধানোরও প্রয়োজন দেখিনা।

০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটাই প্রথম ঘটনা না। এই কারণেই এইবার প্রতিক্রিয়া বেশী হয়েছে। সুইডেনে আগেও একাধিকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে। দেশটি যেভাবে ব্যাপারটার মোকাবেলা করছে সেটাকে সুইডেনের জন্য ভালো মনে হচ্ছে না। ঐ ব্যক্তি বলেছে ১০ দিন পরে সে আবারও কোরআন পোড়াবে। রাষ্ট্র আগে থেকেই জানে যে এই ব্যক্তি একটা অস্বস্তিকর এবং আপত্তিকর কাজ করতে যাচ্ছে কিন্তু সেই দেশে সেটাকে ঠেকানোর জন্য কোন আইন নাই। ব্যাপারটা হাস্যকর। একদিকে বলছে কাজটা সঠিক না কিন্তু তাকে থামাতেও পাড়ছে না। এটা কোন দেশের জন্য ভালো আইন হতে পারে না।

এখন আবার তারা এই ব্যাপারটার তদন্ত করছে। রাষ্ট্রযন্ত্র মনে হচ্ছে অসহায় হয়ে গেছে ঐ ব্যক্তির কাছে। যে কোন সম্ভাব্য আপত্তিকর কাজকে থামানোর মত উপযুক্ত আইন থাকা প্রয়োজন। হুলুস্থুল না করলে অনেক সময় অন্যায়কারীকে থামানো যায় না। ইরানে প্রচণ্ড আন্দোলন এবং বিক্ষোভের কারণেই বর্তমানে সেখানে নৈতিক পুলিশ বাতিল করা হয়েছে। ছোট খাটো বিক্ষোভ হলে ইরানে সেটা হতো না। সারা বিশ্বে এত তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও সুইডেন ব্যাপারটাকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।

৩৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:২৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: পাগল বা অসুস্হ লোক এমন কাজ করতে পারে ।
.....................................................................................
সুইডেন সর্ম্পকে আমার ভাল ধারনা ছিল ।
কিন্ত সেখানের আইন যে মানুষের কল্যাণের জন্য নয় তা বুঝাই যাচ্ছে ।
কেউ একজন বাইবেল নিয়ে এধরনের ঘটনা ঘটালে কি প্রতিক্রিয়া হবে ?
আমার বিশ্বাস এমন কিছু করতে গেলে লংকাকান্ড হবে ।
তখন আইন একই কথা বলবে ???

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই লোক শেয়ান পাগল মনে হচ্ছে। আসলে পাগল না। চরমপন্থি নাস্তিক। সুইডেন এই ভাবে যদি বারবার কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দিতে থাকে সেটা তার ইমেজ নষ্ট করবে। সুইডেনের মূল সমস্যা তাদের আইনে ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত কিছু নাই।

বাইবেল পোড়ানোর ঘটনা শুনি নাই কখনও। পরিণতির কথা চিন্তা করে বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি দিবে বলে মনে হয় না। কিছু দিন আগে সুইডেনের পুলিশ তোরাহ পোড়ানোর অনুমতি দেয় নাই। আদালতে গেলে আদালত কি রায় দিত জানি না।

৩৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:৪০

অগ্নিবেশ বলেছেন: আল্লাহ মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন ভালো বা মন্দ করার। কে আল্লাহর আদেশ মানছে আর কে মানছে না এটা দেখার জন্যই আল্লাহ হস্তক্ষেপ করেন না। - আবারো সেই একই।

তোমরা ইচ্ছে কর না যদি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ ইচ্ছে না করেন।
Taisirul Quran
তোমরা ইচ্ছা করবেনা, যদি জগতসমূহের রাব্ব আল্লাহ ইচ্ছা না করেন।
Sheikh Mujibur Rahman
আর তোমরা ইচ্ছা করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ ইচ্ছা করেন।
Rawai Al-bayan
আর তোমরা ইচ্ছে করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ্ ইচ্ছে করেন (১)।
Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০. আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ – ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩২৮-(৬) আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঐ সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন! যদি তোমরা গুনাহ না করতে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে সরিয়ে এমন জাতিকে সৃষ্টি করতেন যারা গুনাহ করত ও আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা চাইত। আর আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে ক্ষমা করে দিতেন। (মুসলিম)(1)
(1) সহীহ : মুসলিম ২৭৪৯, শু‘আবূল ঈমান ৬৭০০, সহীহাহ্ ১৯৫০, সহীহ আত্ তারগীব ৩১৪৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
অধ্যায়ঃ ৩৫/ সুন্নাহ
৪৭০৩। মুসলিম ইবনু ইয়াসার আল-জুহানী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে এ আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলোঃ ‘‘যখন তোমার রব আদম সন্তানের পিঠ থেকে তাদের সমস্ত সন্তানদেরকে বের করলেন…’’ (সূরা আল-আ‘রাফঃ ১৭২)। বর্ণনাকারী বলেন, আল-কা‘নবী এ আয়াত পড়েছিলেন। উমার (রাঃ) বলেন, আমি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার পর স্বীয় ডান হাতে তাঁর পিঠ বুলিয়ে তা থেকে তাঁর একদল সন্তান বের করে বললেন, আমি এদেরকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং এরা জান্নাতবাসীর উপযোগী কাজই করবে।
অতঃপর আবার তাঁর পিঠে হাত বুলিয়ে একদল সন্তান বেরিয়ে এনে বললেন, এদেরকে আমি জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং জাহান্নামীদের উপযোগী কাজই করবে। একথা শুনে এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে আমলের কি মূল্য রইলো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মহান আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন তখন তার দ্বারা জান্নাতবাসীদের কাজই করিয়ে নেন। শেষে সে জান্নাতীদের কাজ করেই মারা যায়। আর আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর যখন তিনি কোনো বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তার দ্বারা জাহান্নামীদের কাজ করিয়ে নেন। অবশেষে সে জাহান্নামীদের কাজ করে মারা যায়। অতঃপর এজন্য তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করান।(1)
সহীহ, পিঠ বুলানো কথাটি বাদে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

না জানলে ঠিক আছে, তওবা করে পার পেয়ে যাবেন। আর যদি জেনেশুনে ইসলামকে বিকৃত তয় কাম শ্যাষ, বিবি তালাক হয়ে গেছে। তকদির মানেন না ক্যামনে মুসলমান?

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি মনে হচ্ছে মুসলমান ঘরের সন্তান কিন্তু মুক্তচিন্তার ধারক। অর্থাৎ নাস্তিক। নাস্তিক কিন্তু গালি না। তাই কিছু মনে করবেন না আবার। নাস্তিক কেউ হতেই পারে। কিন্ত আপনি মনে হচ্ছে উগ্রবাদীও। ইসলাম ভালো না লাগলে কোরআন, হাদিস পড়ার দরকার কি আপনার। আপনি তো মনে হচ্ছে ইসলামী বিধানের উপর পি এইচ ডি করেছেন। আপনি যে রাস্তায় আছেন সেই রাস্তাতেই থাকেন না কেন।

তকদিরে যেমন বিশ্বাস করতে হবে তেমন বিশ্বাস করতে হবে যে তকদির নির্ধারিত থাকলেও মানুষ সেটা জানে না তাই ভালো কাজের চেষ্টা করে যাবে। মানুষকে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে ভালো বা মন্দ কাজ করার। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে আল্লাহ জানেন কার ভাগ্যে কি ঘটবে কিন্তু যেহেতু মানুষ জানে না তাই সে চেষ্টা করবে। আপনি যদি এখন ঈমানদার হয়ে যান আল্লাহ আপনাকে বাধা দেবে না। আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। দেখবেন আপনার ভালো পথে আসাকে আল্লাহ ঠেকাবেন না। মানুষ যদি তকদির জানতো সেই ক্ষেত্রে সমস্যা হত।

৩৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:৫৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: বিধর্মী বা ভিন্ন জাতি সত্ত্বা বা নারী বা সমকামীদের বিরুদ্ধে ঘৃনামূলক আয়াত বা শ্লোক ধর্ম পুস্তকে থাকলেই সেটা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কিছু ব্যক্তির নুনুভুতিতে আঘাত লাগবে, তারা হাও কাও করবে, ম্যাও প্যাও পোষ্টাবে, জিহাদ করবে, ছুরি চাক্কু চালাবে, চালায়ে যাক। মানব জাতির স্বার্থে ইশ্বরকে মরতেই হবে।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার রাগটা কার উপর জানতে ইচ্ছে করছে। স্রস্টায় বিশ্বাস করলে তার উপর রাগ করার কিছু নাই। কারণ স্রষ্টা সবার প্রতি সুবিচার করবেন। আর যদি স্রস্টায় বিশ্বাসই না করেন সেই ক্ষেত্রে কাল্পনিক একজন স্রষ্টার প্রতি রাগ থাকাটা হাস্যকর।

ধর্মীয় পুস্তক পুড়িয়ে ফেললে আপনার কি লাভ হবে। মনের রাগ ঝাড়ার জন্য পোড়াবেন? আমরা মুসলমান হিসাবে অন্য ধর্মের দেব দেবীকে অস্বীকার করি। তাদের অনেক কথা আমাদের কাছে অদ্ভুত মনে হয়। কিন্তু তাদের ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর চিন্তা তো মাথায় আসে না। মুক্তচিন্তার লোকেরা এতো সংকীর্ণ মনের হলে সমস্যা। যার যা খুশি ভাবুক সৃষ্টি এবং সৃষ্টিকর্তা নিয়ে। আপনার তাতে সমস্যা কি। এই হিংসাত্মক মনোভাবের কারণ কি। কার বিরুদ্ধে এই হিংসা।

সমকামিতার প্রতি আপনার এতো ভালো লাগা কেন। এই ভয়ংকর কুকর্মের প্রতি আপনার এতো ভালোবাসার কারণ কি। এটাকে ঘৃণা না করে এদের সমর্থন কেন করছেন। আপনার মনের মধ্যে ময়লা জমে গেছে যে কারণে সমকামীদের প্রতি সমবেদনার জন্ম হয়েছে আপনার মনে। আপনার সন্তান সমকামি হলে আপনার ভালো লাগবে?

৩৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:২০

আমি নই বলেছেন: @অগ্নিবেশ আপনার মত কত পাগল-ছাগল আইলো গেলো। ভবিস্যতেও আসবে-যাবে। এই পোষ্টে আপনার মন্তব্য দেখেই বোঝা যাচ্ছে কার পাছানুভুতিতে আঘাত লাগছে। যতই ম্যাও প্যাও, হাও কাও করেন, জিহাদ করেন, ছুরি চাক্কুর চাইতেও মারাত্তক ভাবে আঘাত করেন, মানব জাতির স্বার্থে স্রষ্টাকে থাকতেই হবে, আছে এবং থাকবে, পারলে ঠ্যাকান।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের উগ্রবাদীরা বাস্তব জগতে লুকিয়ে থাকে আর ব্লগে বীরত্ব দেখায়। নিজেদের উদ্ভট চিন্তাগুলি শেয়ার করার কোন জায়গা পায় না তাই ব্লগে আসে।
ধর্ম আর নাস্তিকতার ইস্যু ছাড়া এরা ব্লগে মন্তব্যও করে না। ওনার কথায় মনে হচ্ছে উনি আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছেন। আল্লাহকে বিশ্বাস না করলে নিজের মত কেন থাকে না। বিশ্বাসীদের আলাপের মধ্যে ঢুকে কি মজা পায়। নাস্তিক হলে শান্তি প্রিয় নাস্তিক হওয়া উচিত। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বেশীর ভাগ নাস্তিক শান্তি প্রিয় হয়। তারা ধর্মীয় আলাপ নিয়ে মাথা ঘামায় না এবং দূরে থাকার চেষ্টা করে।

৩৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:২২

নাহল তরকারি বলেছেন: শেখ মুজিবুর এর বিরুদ্ধে কোন কিছু বলা যেমন অপরাধ, তেমন ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থ এর বিরুদ্ধে কোন কিছু বলা অপরাধ।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থ নিয়ে কথা বললেই সেটা অপরাধ এটা ঠিক না। ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থের সমালোচনা কেউ করতে পারে। কিন্তু সমালোচনা যখন হেইট স্পিচ হয়ে যায় তখনই সমস্যা হয়। যুগে যুগে আমাদের রসুলকে (সা) সমালোচনা করে বহু বই লিখেছে পশ্চিমের পণ্ডিতেরা। সেগুলি সমস্যা তৈরি করে নি। কারণ সেগুলির ভাষা ভালো ছিল। সেই বইগুলি পরোক্ষভাবে ইসলামকে জানা এবং প্রসারে সাহায্য করেছে। আমাদের রসূলের (সা) একাধিক বিয়ে নিয়ে কোন অমুসলিম সমালোচনা করতে পারে। মা আয়েশার (রা) বিয়ের বয়স নিয়ে একজন অমুসলিম সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু উগ্রবাদী নাস্তিকরা সমালোচনা না করে এই বিষয়ে ঘৃণা, ব্যঙ্গ, বিদ্বেষপূর্ণ এবং অশ্লীল ভাষায় কথা বলে থাকে। এটাই সমস্যা। কারণ এই উগ্রবাদিদের মনে এক ধরণের আক্রোশ আর হিংসা জমে আছে। এদের বেশীর ভাগেরই জন্ম মুসলিম পরিবারে। এই পোস্টে উপরে একজনকে পাবেন এই ধরণের মন মানসিকতার।

৩৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৪২

অগ্নিবেশ বলেছেন: @আমি নই ঈশ্বর নিজের পুস্তক নিজেই রক্ষা করতে পারে না, আর আপনে আইছেন ফালাইতে। আপনে ত দেখি ঈশ্বররের থেকেও মারাত্মক ক্ষমতার অধিকারী যে ঈশ্বরকে হেপাজত করবার চান? তা কে এই আপনার ঈশ্বর? আল্লাহ না ভগবান না গড না বুনঙ্গা বুনঙ্গা? আপনার দলনেতা কেডা? আপনার ন্যাতা কি শিশুকামী বহুগামী সেই ব্যাটা যে বিষের ব্যথায় কতরা‍য়ে কতরায়ে মরছে?
সত্য কথায় জ্বালা ত ধরবেই? বুদ্ধি বন্ধক দিলে মগজ খাটাবেন কিভাবে? আপনারা এক কলমেই কুপকাত। কলমের জবাব কলম দিয়ে দেখান।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই জ্ঞানটাও নাই যে কোরআন সর্বদাই সুরক্ষিত। কোরআন পোড়ানোর দ্বারা মুসলমানদের অপমান করা হয়। এটা আপনার মাথায় ঢুকছে না। অথবা আপনি ইসলাম বিদ্বেষী। এই রাগটা কার উপর সেটা জানা দরকার। ছোটকালে মসজিদে কখনও গিয়েছেন মনে হয়। বয়স হবার পরে আপনাকে শয়তানে পেয়েছে। তাই এই আক্রোশ প্রকাশ।

আমাদের রসূল (সা) আপনার কি ক্ষতি করেছে যে তাকে নিয়ে বাজে কথা বলছেন। আপনার এই গালি গুলি সব নাস্তিকেরাই দিয়ে থাকে। আপনি এই গালি দিয়ে কেমন শান্তি পাচ্ছেন এটা জানতে ইচ্ছে করছে। ইসলামের দ্বারা আপনার কি ক্ষতি হয়েছে। ইসলাম মানতে না চাইলে কেউ আপনাকে জোর করছে না। তারপরও অকারণে ইসলামী আলাপে ধুকেছেন কেন।

আপনি কলম দিয়ে জবাব দিতে বলেছেন। কিন্তু আপনার কলম থেকে অশ্লীল কথা বার্তা বের হয় সেটা খেয়াল করছেন না। মানুষ যুক্তিতে না পারলে এই ধরনের অশ্লীল কথা বলে।

৩৯| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০৯

আমি নই বলেছেন: @অগ্নিবেশ, পুস্তক যার সে শুরু থেকেই রক্ষা করে আসতেছে, এটা বোঝার মত মগজ আপনার নাই। আপনার পুর্বপুরুষরা হাজার বছর ধরেই চেষ্টা করতেছে, একটা অক্ষর পরিবর্তন করতে পারছেন?? ২-৪ খানা কোরআন পুড়িয়ে ভাবতেছেন খুব বা* ফালাইছেন, দুনিয়ার সকল কোরআন একত্রে পোড়ালেও কোরআনের একটা অক্ষরও বদলাতে পারবেন না। পারলে একটা অক্ষর পরিবর্তন করে দ্যাখান, আছে ঐ ক্ষমতা? আপনাদের ঐ ক্ষমতা নাই, সে কারনেই আপনাদের লক্ষ হল কিভাবে কথার মাধ্যমে, কর্মকান্ডের মাধ্যমে উস্কানি দেয়া যায় আর বোকা-সোকা ধার্মিককে উগ্রবাদী বানানো যায়। সকল উগ্রবাদের মুলে আপনারাই।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অগ্নিবেশ এবং তার সঙ্গিরা সবাই মিলেও কোরআনকে বিলুপ্ত করতে পারবে না। অগ্নিবেশ এবং তার সঙ্গিদের মূল অস্ত্র হোল অশ্লীল গালি আর উস্কানি এবং বিদ্বেষপূর্ণ কথা। সেগুলিও বাস্তব জগতে তারা পারে না। সেখানে তারা লুকিয়ে থাকে আর ব্লগে এসে বীরত্ব দেখায়। প্রকৃত উগ্রবাদী এই নাস্তিকেরা। যাদের কাজ হোল উস্কানি দিয়ে শান্তি নষ্ট করা। এদের বেশীর ভাগই মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে এবং কোরআন আর হাদিসের ছিদ্রান্বেষণ করা এদের জীবনের মূল লক্ষ্য।

৪০| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: সালোয়ানের উদ্দেশ্য ১০০% সফল হয়েছে। সে ইউরোপ আমেরিকার দৃষ্টি আকর্ষন করতে পেরেছে। তার এই সাফল্যের পেছনে অবদান রেখেছে আহাম্মক মুসলিমরা। কেউ যদি তাকে কোন গুরুত্বই না দিত , তাহলে সে পুরোপুরি ব্যার্থ হত।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সালোয়ানের উদ্দেশ্য যাই থাকুক তার এই অপকর্মের দ্বারা বিশ্বের অন্য দেশগুলির কাছে বার্তা গিয়েছে যে মুসলমানরা প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার যোগ্যতা রাখে। আমার মতে তাকে গুরুত্ব দেয়ায় ভালো হয়েছে। কারণ কোরআন পুড়লে মুসলমানদের যে কিছুই হবে না এটা মুসলমানরা ভালো করেই জানে। কিন্তু এই ঘটনার কারণে মুসলমানরা কিছু সময়ের জন্য হলেও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই একতা হয়তো যথেষ্ট না কিন্তু ছোট ছোট একতা বড় একতা তৈরি করতে পারে ভবিষ্যতে।

৪১| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:১৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: @আমি নই পুস্তক যার সে শুরু থেকেই রক্ষা করে আসতেছে তাইলে আপনে হুক্কাহুয়া করেন ক্যান? নাকি এক শেয়ালে ডাক দিছে তাই গলা মেলাচ্ছেন? যে ব্যাটা কোরান পোড়াচ্ছে, আল্লা তার মাথায় ঠাডা ফ্যালাবে, আমি বাহবা দিচ্ছি আল্লায় আমারে গলা টিইপ্যা মারবেন। আপনে নাকে সরষার ত্যাল দিয়ে ঘুমান গিয়ে। নাকি আল্লায় ভরসা নাই?

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুসলমানদের এই প্রতিবাদ মুলত ঐ ব্যক্তির জন্য না বরং সুইডেনের জন্য যারা একটা অন্যায় কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছে আইনের সাহায্যে। কোরআন রক্ষা এখানে কোন বিষয় না। এটা আপনার ভুল ধারণা। কোরআন সুরক্ষিত কেয়ামত পর্যন্ত। মুসলমানরা মুলত আপনার মত উগ্রপন্থিদের নিয়ে চিন্তিত যারা বিদ্বেষ এবং হিংসা ছড়িয়ে মুসলমানদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। এক কথায় আপনারা ইসলামের শত্রু। এই কারণেই মুসলমানরা সোচ্চার হয়েছে। এই শত্রুরা সুইডেনের মত কোন দেশের আইনি সমর্থন পেলে সেটা মুসলমানদের জন্য চিন্তার কারণ। ইসলাম ফোবিয়া বৃদ্ধি করতে আপনারা কাজ করে যাচ্ছেন। এগুলি মুসলমানরা পছন্দ করছে না। এই কারণে এই প্রতিবাদ। আর আপনারা হলেন এইসব বিদেশী উগ্রবাদী নাস্তিকদের লোকাল এজেন্ট। যারা ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত লাফাচ্ছেন। তবে পার্থক্য হোল ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা লাফায় দুঃখে আর আপনারা লাফান আনন্দে। কারণ আপনাদের পরম শত্রু মুসলমানদের বিব্রত করতে পেড়েছে আপনাদের বিদেশী বন্ধুরা।

শোনেন প্রকৃত নাস্তিক ইসলামের পিছনে লাগে না। তাদের সময় নাই ইসলাম বা কোন ধর্মের জন্য সময় দেয়ার। এরা সাধারণত শান্তি প্রিয় হয়। আপনারা জন্মেছেন মুসলমান পরিবারে। ছোটবেলায় নামাজ পড়তেন পরে বড় হয়ে শয়তানে পেয়েছে।

৪২| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:১৭

রানার ব্লগ বলেছেন: ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনেকরি পৃথীবির যে কোন ধর্ম এবং তার গ্রন্থকে অপমান বা ক্ষতিসাধন করাটা কোন পর্যায়ের বাক স্বাধীনতার পর্যায় পরে না । ইহা সরাসরি উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের মধ্যে সিমাবধ্য ।

আপনার বাক স্বাধীনতার কারনে অন্য একজন মানুষিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে ইহা মেনে নেয়া যায় না ।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে সব দেশে ব্লাশফেমি আইন আছে সেই সব দেশে এই ধরণের অপরাধ ঘটার সম্ভবনা কম। সুইডেনে ধর্ম অবমাননা বলে কিছু নাই। যার কারণে উগ্র নাস্তিকদের অভয়ারণ্য এই দেশ। ইউরোপের অনেক দেশে এই কাজ করতে পারতো না। করলে সেই দেশের আইনেই শাস্তি হত।

অন্য ধর্মের অপমান বা ক্ষতিসাধন করার অধিকার কোন ধর্মেই নাই। আপনার সাথে একমত যে একজনের বাক স্বাধীনতার কারণে আরেকজনের ক্ষতি হলে সেটাকে বাক স্বাধীনতা না।

৪৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭

আমি নই বলেছেন: @অগ্নিবেশ আমাদের ভরসা আছে কিনা সেটাতো আমাদের বিষয়, আমরা আমাদের মত হুক্কাহুয়া করব না শোক পালন করব এটাও আমাদের ব্যাপার, আপনে এইখানে কি ফালাইতে আসছেন? কোরআনে কি আছে বা নাই সেটা আপনার কাছে কেউ বা পোষ্টদাতা জানতে/শিখতে চাইছে?

অন্যায়কে অন্যায় বলার জন্য হ্যাডম লাগে, সেইটা আপনার নাই কিন্তু সমাজে কিভাবে অশান্তি ছরানো যায় সেই কুবুদ্ধি আছে শতভাগ। যাইহোক, তালেবানি/আইএস এর উগ্রবাদীদের যেমন আমাদের দেশ সহ বিভিন্ন দেশে আইন করে ধংশ করেছে তেমনি আপনার মত উগ্রবাদীদের কেও আইন করে ধংশ করা উচিৎ। মানব জাতির স্বার্থে, মানবতার স্বার্থে ধংশ করা উচিৎ।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অগ্নিবেশ যখন আল্লাহ, রসূল মানে না সে তাহলে এই সব আলাপে আসছে কেন। আসছে কারণ সে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে এক সময় নামাজ পড়তো পরে তাকে শয়তানে পেয়েছে। কোরআন আর হাদিস তো তার কাছ থেকে শেখার দরকার নাই।

ন্যায় অন্যায় বোঝার শক্তি এদের নাই। শয়তানে পাইলে অন্যায়কে ন্যায় মনে হয়। এরা হিংসা, বিদ্বেষ আর অশান্তি ছড়ায়। নাস্তিক হলেই ইসলামের পিছনে কেন লাগতে হবে। এরা ইসলামী জঙ্গিদের চেয়েও ভয়ংকর।

৪৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১০

অগ্নিবেশ বলেছেন: @ আমি নই, অন্যায়কে অন্যায় বলার জন্য হ্যাডম লাগে - সে হ্যাডম আছে বলেই আবারো বলছি বিধর্মী বা ভিন্ন জাতি সত্ত্বা বা নারী বা সমকামীদের বিরুদ্ধে ঘৃনামূলক আয়াত বা শ্লোক ধর্ম পুস্তকে থাকলেই সেটা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কিছু ব্যক্তির নুনুভুতিতে আঘাত লাগবে, তারা হাও কাও করবে, ম্যাও প্যাও পোষ্টাবে, জিহাদ করবে, ছুরি চাক্কু চালাবে, চালায়ে যাক। মানব জাতির স্বার্থে ইশ্বরকে মরতেই হবে। তালেবানি/আইএস ই আসল মুসলমান এরা কোরান হাদিস অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। এরা আর যা করুক আপনাদের মত ভন্ডামী করে না। আপনে না পারতাছেন মুসলমান হইতে, না পারতাছেন ইহুদী নাসারাদের ফলো করতে, না জানেন কোরান হাদিস, পড়ছেন মাইনকার চিপায়।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বই পুড়িয়ে ফেলার মানসিকতাটাই জঙ্গি প্রকৃতির। বইয়ের জবাব বই দিয়ে দেয়া উচিত। জঙ্গি আর আপনারা উভয়ের মধ্যেই উগ্র চিন্তা ভাবনা কাজ করে। আপনি কোরআন হাদিস সঠিকভাবে বুঝতে পারেন নাই তাই মনে হচ্ছে জঙ্গিরা ভালো। আই এস মুলত পশ্চিমাদের তৈরি করা সংগঠন। তৈরি করা হয়েছে মুসলমানদের দুর্নাম বৃদ্ধি করার জন্য।

আপনি আল্লাহ, রসূল মানেন না ভালো কথা। ইসলামের পিছনে লাগা ছেড়ে দেন। এগুলির পিছনে সময় কেন নষ্ট করছেন।

৪৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সারা দুনিয়াতেই অসুস্থা মানুষ আছে।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যক্তি অসুস্থ কি না আমি নিশ্চিত না। তবে ভয়ংকর।

৪৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:২৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: দস্যুদাদা, কোরান পুড়িয়ে যেমন ঐ ব্যক্তি অসুস্থতার পরিচয় দিয়েছেন ঠিক তেমনই এক মহাউন্মাদ কাবার ৩৬০টি মুর্তি ভেঙ্গে মহা মানবের পরিচয় দিয়েছেন। কৃষ্ণ করলে সবই লীলাখেলা। মারহাবা।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অন্যের ঘরে মূর্তি রাখতে হলে তো ঘরের মালিকের অনুমতি লাগবে। কাবা ঘর পৃথিবীর আদি ঘর। এটাকে আল্লাহর ঘর বলা হয়। আল্লাহর ঘর দখল করে মূর্তিপূজারীরা মূর্তি রেখেছে। তাই সেগুলি ভেঙ্গে ফেলতে হয়েছে। মূর্তিপূজারীরাও সেটা জানে। তারা আল্লাহতে বিশ্বাস করতো। কিন্তু আল্লাহর সাথে অংশীদার করতো এই সব দেব দেবীর সাহায্যে।

৪৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩১

আমি নই বলেছেন: @অগ্নিবেশ যতটুকু মুসলমান আছি ততটুকুই যথেস্ট। অন্তত আপনার মত উগ্রপন্থীদের মত আমার জন্যে সমাজে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয় না। তালেবান/আইএস আপনার মতই জংগি/উগ্রবাদী, উভয়ের ধংশই দুনিয়ার জন্য মংগলকর।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অগ্নিবেশ নিজে অবিশ্বাসী সে জ্ঞান দিতে আসছে বিশ্বাসীদের। ইসলাম ভালো না লাগলে অন্য সব রাস্তা খোলা আছে। ইসলামের পিছনে লাগার কি দরকার। এদের যত যুদ্ধ অনলাইনে।

৪৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪২

অগ্নিবেশ বলেছেন: @আমি নই, যতটুকু মুসলমান আছি ততটুকুই যথেস্ট, কিভাবে যথেস্ট হয়? ক্যামনে কি?

পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা ছাড়া মুসলিম হওয়া যায় না

ঈমান সাব্যস্ত হওয়ার জন্য ইসলামের সব অকাট্য বিধান ও বিশ্বাসকে সত্য মনে করা এবং মন থেকে কবুল করা অপরিহার্য। এর কোনো একটিকে অস্বীকার করা বা কোনো একটির ওপর আপত্তি তোলাও ঈমান বরবাদ হওয়ার জন্য যথেষ্ট।

আল্লাহ তাআলা সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, ‘তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে বিশ্বাস করো আর কিছু অংশ প্রত্যাখ্যান করো? সুতরাং তোমাদের যারা এ রকম করে, তাদের একমাত্র পরিণাম পার্থিব জীবনে হীনতা এবং কিয়ামতের দিন তারা কঠিন শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হবে, তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আল্লাহ বেখবর নন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ৮৫)

আমি ত আশায় আছি বাংলাদেশে শরীয়া কায়েম হোক, জামাইত্যারা ক্ষমতায় আসুক। আপনেরে অর্ধ মুসলমান থেকে পুর্ন মুসলমান তারাই করবে। আমার কি? আমারে ত মহান আল্লাহ পাছায় লাত্থি মাইর‍্যা দোযোখে দেবে। তার ইচ্ছা ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ইসলামের বাইরের লোক। আপনার কাছ থেকে কেউ ইসলামে প্রবেশের তরিকা জানতে চাচ্ছে না।

ইসলাম যেহেতু মানেন না তাহলে অকারণে এটার পিছনে সময় নষ্ট করছেন কেন।

বাংলাদেশে শরিয়া কায়েম হলে আপনি এই দেশ ছেড়ে পালাবেন। এই ধরণের লেখা লিখলে গলা কেটে দেবে জামাতিরা।

আপনার মত লোকের পাছায় লাথি মেরে আল্লাহ নিজের পা কে নোংরা করবেন না।

৪৯| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

আমি নই বলেছেন: অগ্নিবেশ বলেছেন: @কিভাবে যথেস্ট হয়? ক্যামনে কি?

সেই বিচারের দায়িত্ব বা চিন্তা কোনোটাই আপনার নয়। আমার দারা সমাজে কোনো অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছেনা আপনার জন্য এতটুকু জানাই যথেষ্ট। আর আপনি বা আপনার মতবাদের মানুষরা সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য ইচ্ছা করেই এমন কথা বলেন বা কর্ম করেন যাতে মানসিক আঘাত পায় এবং আঘাত করতেই থাকেন যতক্ষন পর্যন্ত না ধর্য হারিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখায়। আর একবার প্রতিক্রিয়া দেখালেই গুষ্ঠিশুধ্য ভিকটিম কার্ড প্লে করা শুরু করেন। আপনাদের আর আমাদের মাঝের পার্থক্য এখানেই।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অগ্নিবেশ নিজের প্রকৃত রূপ প্রকাশ করেছে এই পোস্টে। এদের দ্বারা সমাজের কোন কল্যাণ নাই। এরা শুধু হিংসা ছড়ায়। এরা নিজেকে ভিকটিম হিসাবে তুলে ধরে আর সেই কারণ দেখিয়ে সুইডেনের নাগরিকত্বের জন্য বসে থাকে যেন সেখানে গিয়ে কোরআন পোড়াতে পারে।

৫০| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: @আমি নই, সমাজে আপনাদের অবস্থান কে বলা হয় চেরী পিকার, আপনারা গাছেরও খাবেন আবার তলারও কুড়াবেন। আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে আপনারা ভাজা মাছ উল্টায়ে খেতে পারেন না। অথচ দেখা যায় দিন শেষে সবার রসুনেরই এক গোড়া। উপরে সূফী তলে তলে হায়েনা। একটু খোচা দিলেই নখ দাঁত ন্যাজা বাইর করে দেখায়ে দেন।
খ্রিষ্টানরা প্রচণ্ড মানষিক আঘাত পেয়ে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে পৃথিবী গোল, সুর্যের চারিদিকে ঘোরে।
খ্রিষ্টানরা প্রচণ্ড মানষিক আঘাত পেয়ে সমকামীদের অধিকার দিতে বাধ্য হয়েছে।
হিন্দুরা প্রচণ্ড মানষিক আঘাত পেয়ে বিধবা বিবাহ চালু করতে বাধ্য হয়েছে।
হিন্দুরা প্রচণ্ড মানষিক আঘাত পেয়ে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
এইবার,
মুসলমানদের প্রচন্ড মানষিক আঘাত দিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে বাধ্য করা হবে।
মুসলমানদের প্রচন্ড মানষিক আঘাত দিয়ে বহুবিবাহ বন্ধ করতে বাধ্য করা হবে।
মুসলমানদের প্রচন্ড মানষিক আঘাত দিয়ে তিন তালাক বন্ধ করতে বাধ্য করা হবে।
মুসলমানদের প্রচন্ড মানষিক আঘাত দিয়ে কোরান হাদিস থেকে বিধর্মী বিরোধী আয়াত বাদ দিতে হবে।
মুসলমানদের প্রচন্ড মানষিক আঘাত দিয়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হবে।
মুসলমানদের প্রচন্ড মানষিক আঘাত দিয়ে মুসলমান থেকে মানুষ করা হবে।
তৈরি থাকুন।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আন্দোলন শুরু করে দেন। তবে ইন্টারনেটে আন্দোলন না করে রাস্তায় নামেন। দেখেন আন্দোলন সফল করতে পারেন কি না।

৫১| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



এই পোস্টে প্রিয় ব্লগার অগ্নিবেশ মা- শাআল্লাহ যথেষ্ট পারফরমেন্স দেখিয়েছেন। স্বরূপে আবির্ভূত হওয়ার জন্য তাকে একটা ধন্যবাদ দেয়াই যায়।

অবশ্য অগ্নিবেশের কাছে কিছু কথা জানার ছিল। জানি না, তিনি সহজভাবে উত্তর দিবেন, না কি, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অন্য কিছু বলবেন। কুরআন পোড়ানোর এই ঘটনাকে তিনি সমর্থন করেন কি না এবং এই ঘটনাকে তিনি একজন মানুষের বাক স্বাধীনতা এবং অধিকার বলে মনে করেন কি না।

তার জন্য শুভকামনা।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি এক জায়গায় কোরআন পোড়ানকে অসুস্থতা বলেছেন আবার অন্য জায়গায় পোড়ানোর পক্ষে বলেছেন। এই ধরণের অবিশ্বাসীদের কথার কোন আগা মাথা নাই। তবে ওনার বিভিন্ন মন্তব্যে থেকে মনে হচ্ছে উনি কোরআন পোড়ানকে সমর্থন করছেন।

৫২| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯

রানার ব্লগ বলেছেন: ব্লাশফেমি আইন যুগ উপযোগী আইন না। উহা রাস্ট্রের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরুপ !!

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা আপনার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। কিন্তু এখনও ইউরোপ সহ পৃথিবীর ৭১ টি দেশে ব্লাশফেমি আইন আছে। সুইডেনে এই ধরণের আইন না থাকার কারণে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। তাদের আইন দ্বারা তারা এটাকে থামাতে পাড়ছে না। আবার বলছে কাজটা সঠিক হয় নাই। বাক স্বাধীনতা যেন হেইট স্পিচ না হয় সেই কারণে আরও কিছু আইন থাকে যার দ্বারা যা খুশি বলা বা করাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রাষ্ট্রের মানুষের স্বার্থেই এই ধরনের আইন রাখতে হয়। একটা রাষ্ট্রে বিভিন্ন ধর্মের লোক থাকে তাই ধর্ম অবমাননার আইন এখনও দরকার আছে। উন্নত দেশেও আছে।

৫৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: সাড়ে ভাই, পোস্ট হিট খাইয়া গেছে। মুবারক।
## মানুষকে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে ভালো বা মন্দ কাজ করার। ##
কোরান বা হাদিস থেকে রেফারেস্টা দ্যান, আমি তওবা করে ইসলামে ফেরত আসুম।
আপনি সৎ মানুষ আশা করি, এই সুযোগ আপনি ছাড়বেন না।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কি স্বাধীনভাবে হাত পা নাড়তে পারেন? যদি পারেন তাহলে বুঝবেন যে আল্লাহ আপনার হাত পা নাড়াতে কোন বাঁধা দিচ্ছেন না। আপনি নামাজে দাড়িয়ে যান। দেখেন কেউ আপনাকে বাধা দেয় কি না। যদি বাঁধা পান তাহলে আমাকে বলবেন। সুরা আল লাইলের ৫ থেকে ১০ নাম্বার আয়াত নীচে দিলাম;
৫. কাজেই কেউ দান করলে, তাকওয়া অবলম্বন করলে,
৬. এবং যা উত্তম তা সত্য বলে গ্ৰহণ করলে,
৭. আমরা তার জন্য সুগম করে দেব সহজ পথ।
৮. আর কেউ কার্পণ্য করলে এবং নিজেরা অমুখাপেক্ষী মনে করলে,
৯. আর যা উত্তম তাতে মিথ্যারোপ করলে,
১০. তার জন্য আমরা সুগম করে দেব কঠোর পথ।

আপনার ফ্রি উইল আছে দান করার, খোদাভীতি অর্জন করার বা উত্তম জিনিসকে ভালো মনে করার। কারণ আল্লাহ শর্ত দিয়েছেন যে এই কাজগুলি করলে আল্লাহ আপনাকে সহজ পথ দান করবেন। আর পরের আয়াতগুলিতে উল্লেখিত খারাপ কাজগুলি করলে আল্লাহ সুগম পথ কঠিন করে দিবেন। কাজেই ফ্রি উইল আছে। ফ্রি উইল না থাকলে আল্লাহ কখনও বলতেন না নামাজ কায়েম কর এবং জাকাত দাও। আল্লাহর কোন আদেশ দেয়ারই প্রয়োজন পড়তো না।

৫৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

নতুন বলেছেন: অগ্নিবেশ বলেছেন: দস্যুদাদা, কোরান পুড়িয়ে যেমন ঐ ব্যক্তি অসুস্থতার পরিচয় দিয়েছেন ঠিক তেমনই এক মহাউন্মাদ কাবার ৩৬০টি মুর্তি ভেঙ্গে মহা মানবের পরিচয় দিয়েছেন। কৃষ্ণ করলে সবই লীলাখেলা। মারহাবা।

যৌক্তিক আলোচনা করুন। আলোচনা করতে গিয়ে আক্রমন করা ঠিক না।

"মহাউন্মাদ" শব্দ ব্যবহার করা আপনার জ্ঞানের দৈনতা প্রকাশ পাচ্ছে।

৩৬০টা মুর্তি ভাঙ্গা অবশ্যই সেই সময়ের বির্ধমীদের অনুভুতিতে আঘাত করেছিলো।

দুনিয়াতে বিজয়ীরা তাদের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করে, তাদের মতন ইতিহাস লিখে...

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তর্কে জেতার জন্য উনি যুক্তির চেয়ে খারাপ শব্দ প্রয়োগ করাকে উপযুক্ত মনে করেন। আরবের কাফেররাও রসূলকে (সা) উন্মাদ বলে নি কখনও। কারণ তারা ভালো করেই জানতো যে তিনি উন্মাদ ছিলেন না।

কাফেররাও জানতো যে কাবা আল্লাহর ঘর। অন্যের ঘরে তার অনুমতি ছাড়া মূর্তি রাখা যায় না। এই কারণেই সেগুলিকে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। মক্কার কাফেররা নিজেদের দোষেই বিপদে পড়েছিল। হুদাইবিয়ার সন্ধি তারাই ভঙ্গ করেছিল। সন্ধি ভঙ্গ না করলে মক্কা বিজয় হতে আরও দেরী হত।

৫৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার অগ্নিবেশের কমেন্টে ব্লগ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এই ব্লগার সর্বদাই সাম্প্রদায়িক উস্কানিমুলক কমেন্ট করে।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পোস্টে মন্তব্য এবং প্রতি মন্তব্য এতো বড় হয়ে গেছে যে ব্লগ কর্তৃপক্ষ হয়তো খেয়াল করবে না তার আপত্তিকর মন্তব্য। আমি প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলাম। পরে ভাবলাম অগ্নিবেশ মানসিক সুস্থতা হারিয়ে এই সব কথা বলছেন। অসুস্থ লোকের কথায় গুরুত্ব দিতে চাই নি। এই ব্লগার নাস্তিকতা এবং ধর্ম সংক্রান্ত পোস্ট ছাড়া মন্তব্য করেন বলে মনে হয় না। অপেক্ষা করতে থাকেন কখন এই ধরণের পোস্ট আসবে আর উনি মনের সব ঝাল মিটাবেন।

৫৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমাকে আল্লাহ স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছেন । তিনি না দিলে তো আমি স্বাধীন ইচ্ছা পেতাম না । তো এর মানে কী এই না যে তিনি অনুমতি না দিলে আমি আসলে কিছুই করতে পারছি না । এই আয়াত দ্বারা তো সর্বশক্তিমান আল্লাহর ক্ষমতার মৌলিকত্ব ও তার কর্তৃত্বের মৌলিকত্ব প্রকাশ পাচ্ছে । আয়াতে তো তাই বলা হয়েছে ( যেহেতু আমরা অন্যান্য আয়াতে পাই আল্লাহ আমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন ভালো কাজ করবার ও মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকবার । এবং এইসব আয়াতের সংখ্যা কমও না , সুস্থ মস্তিষ্কে তো বোঝাই যায় যে কী বলা হচ্ছে এই আয়াতে ) ।

@অগ্নিবেশ , আপনি যে মানবজাতির কথা বলছেন মনে হচ্ছে কেবল সমকামিতাকে প্রমোট করাই মানবতাবাদ ও অস্তিত্ববাদে বলা আছে আর কোথাও বলা নাই । একটা কথা বলি আপনি যে মানবতাবাদের কথা বলছেন সেটাও কিন্তু ধর্ম থেকে পাওয়া এমনকি এই ইসলাম ধর্মে অস্তিত্ববাদের ধারণা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করা আছে ।

আপনি মানবের স্বার্থে ধর্মের বিলুপ্তি চান ভালো কথা , কিন্তু ধর্মের বিলুপ্তি হলেই যে মানবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য আসবে এই কথা কী করে নিশ্চিত হলেন ? কেবল সমকামিদের অধিকার রক্ষা হবে বলে ? এখন তো বলতেই হচ্ছে আপনি মানব বলতে কেবল সমকামিদের বুঝেন !!

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একমত আপনার সাথে। কোরআনে আল্লাহ অনেক কাজের আদেশ করেছেন মানুষকে উদ্দেশ্য করে। সেই কাজ কেউ করছে কেউ করছে না। এটা দিয়ে কি বোঝা যায় না আল্লাহ মানুষকে কোন কাজ করা বা না করার স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছেন।

ধর্মে আরও অনেক কিছুই নিষেধ আছে। সেগুলি বাদ দিয়ে বারবার সমকামিতাকে কেন অগ্নিবেশ টানছে। বোঝা গেল না।

৫৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: একমত আপনার সাথে। কোরআনে আল্লাহ অনেক কাজের আদেশ করেছেন মানুষকে উদ্দেশ্য করে। সেই কাজ কেউ করছে কেউ করছে না। এটা দিয়ে কি বোঝা যায় না আল্লাহ মানুষকে কোন কাজ করা বা না করার স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছেন।

সেটাই । স্বাধীন ইচ্ছা আছে বলেই তো আল্লাহ হিসাব নেবেন না হলে আর কী দরকার !! সুরা বালাদ পড়লে এর প্রমাণ পাওয়া যায় । যেখানে মানুষকে দুটো পথের কথা বলা হয়েছে......

সে যাক , অগ্নিবেশ মনে হয় কেবল সমকামকেই মানবতার নিদর্শন মনে করছেন । তার কথা থেকেই তাই মনে হয় !!

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ তো কোথাও বলেন নাই যে মানুষের কোন স্বাধীন ইচ্ছা নাই। তকদিরের বিষয়টা অনেকেই বুঝতে চায় না। মানুষ তার তকদির জানে না তাই সে ভালো নিয়তে ভালো কাজ করে যাবে। এই ব্যাপারে কেউ তাকে বাধা দেয় না। তবে আল্লাহ সব জানেন কি হবে।

অগ্নিবেশের মানবতার দর্শন অস্বাভাবিক প্রকৃতির।

৫৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৫৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: নকিব ভাই, মনে রাখার জন্য ধন্যবাদ। কোনো পুস্তক পোড়ানোকে আমি
আমি সমর্থন করি না, কারন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে জোর করে কোনো মতাদর্শ
কে ক্ষতি করা যায় না। তাই কোরান পোড়ানোকে আমি সমর্থন করছি না,
তবে আমি যে কোরান পুড়িয়েছে তার ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করছি।
সব চেয়ে বড় ব্যাপার, আমি আপনাদের পতিক্রিয়া দেখে মজা পেয়েছি।
আমি চাই মুসলিমরা বেশী বেশী অর্থসহ কোরান হাদিস পাঠ করুক।
ইন্টারনেটের যুগে মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ খুবই সহজ হয়েছে,
আমরা এখন পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে
পারি, আমরা একে অপরকে জানতে পারি। এমতাবস্থায় সাধারন মুসলমানরা
যখন কোরান পড়বে, করানে বর্নিত এই সব ঘৃণার সাথে সাথেই বানী বর্জন করবে।
কত কত পুস্তক টয়লেটে ফ্লাশ হয়ে যাবে কেউ আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানবে না।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মাথার লজিক ঠিক মত কাজ করে না। আপনি একদিকে বলেন কোরআন পোড়ানো সমর্থন করেন না। আবার বলছেন যে কোরআন পুড়িয়েছে তার ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন আছে। অনেকটা এরকম যে আমি চুরি করাকে অন্যায় মনে করি কিন্তু চোরের চুরি করার স্বাধীনতাকে সমর্থন করি। আপনার যুক্তিটা সুইডেন সরকারের মত। পাহারা দিয়ে এই আকাজ করিয়েছে এখন আবার বলছে কাজটা সঠিক ছিল না। আবার তদন্ত করবে বলছে। এই ব্যক্তি ১০ দিন পরে নাকি আবার কোরআন পোড়াবে। দেখা যাক তখন সুইডেন সরকার কি বলে।

কোরআন হাদিস পাঠ করে আপনার মত হলে সেই পাঠের দরকার নাই। কোরআনে অবশ্য বলা আছে যে কোরআনের আয়াত পাঠ করে অনেকের মনের কলুষতা আরও বৃদ্ধি পাবে। আপনি সেই দলের।

সুরা তওবার ১২৪ এবং ১২৫ নাম্বার আয়াতে আছে;

'আর যখনই কোন সূরা নাযিল করা হয়, তখন তাদের কেউ কেউ বলে, ‘এটি তোমাদের কার ঈমান বৃদ্ধি করল’? অতএব যারা মুমিন, নিশ্চয় তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করেছে এবং তারা আনন্দিত হয়। কিন্তু যাদের অন্তরসমূহে ব্যাধি রয়েছে, এই সূরা তাদের মধ্যে তাদের কলুষতার সাথে আরও কলুষতা বর্ধিত করেছে, আর তাদের কুফরী অবস্থায়ই মৃত্যু হয়েছে। '

আপনি কোরআনের মধ্যে ঘৃণা খুঁজে পান। হয়তো আপনার মত মন মানসিকতার লোকদের কথাই উপরের আয়াতে বলা হয়েছে।

৫৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১১

আমি নই বলেছেন: অগ্নিবেশ বলেছেন: নকিব ভাই, মনে রাখার জন্য ধন্যবাদ। কোনো পুস্তক পোড়ানোকে আমি আমি সমর্থন করি না, কারন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে জোর করে কোনো মতাদর্শ কে ক্ষতি করা যায় না। তাই কোরান পোড়ানোকে আমি সমর্থন করছি না, তবে আমি যে কোরান পুড়িয়েছে তার ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করছি।

যতগুলো হাসির ইমোজি আছে সবগুলোই এইখানে প্রযোজ্য।
অথচ এই ব্যাক্তি তার আলোচনার শুরুতেই পোড়ানোর কথা বলেছে । আপনার করা ২য় মন্তব্য (৩৫ নাম্বার) আবার পড়ুন।

সব চেয়ে বড় ব্যাপার, আমি আপনাদের পতিক্রিয়া দেখে মজা পেয়েছি।
অন্যর কষ্ট দেখে একমাত্র মানসিক বিকারগ্রস্থরাই মজা পেতে পারে। এটা প্রমানিত। সুতরাং আপনি যে মজা পাবেন এটাতো জানা কথা। আপনার পাছানুভুতি ছারা আর কোনো অনুভুতিই কাজ করেনা, মানবিক অনুভুতিতো নয়ই।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি একবার বলেন যে কোরআন পোড়ানো সমর্থন করেন না। কিন্তু অন্য মন্তব্যগুলিতে অনেক বিপরীত কথা বলেছেন। ওনার মধ্যে ইসলামের প্রতি আক্রোশ আছে। এটা ওনার বিভিন্ন মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে। কোরআন পড়ে উনি বিভ্রান্ত হয়েছেন। কারণ কোরআনে এই শ্রেণীর লোকের কথা বলা আছে যে কোরআনের আয়াত পড়ে তাদের অন্তরের কলুষতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

৬০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩

আমি নই বলেছেন: অগ্নিবেশ বলেছেন: এমতাবস্থায় সাধারন মুসলমানরা যখন কোরান পড়বে, করানে বর্নিত এই সব ঘৃণার সাথে সাথেই বানী বর্জন করবে। কত কত পুস্তক টয়লেটে ফ্লাশ হয়ে যাবে কেউ আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানবে না।

পাগলের সুখ মনে মনে, যত পারেন সুখ নিতে থাকেন, সেটা প্রকাশ করে নিজের মস্তিস্কের অবষ্থা মানুষকে জানানোর কি দরকার?

যাইহোক, চেষ্টাতো কম করতেছে না আপনার গুরুদেবরা। নবীর কল্পিত ছবি প্রদর্শন, আইএস-আলকায়েদা ইত্যাদি দিয়ে ফোবিয়া তৈরি করা, কোরআন পোড়ানোর মাধ্যমে আঘাত করা, গালি-গালাজ, প্রভোক করে উগ্রবাদীতে পরিনত করা ইত্যাদি সহ এহেন অপকর্ম নাই যেগুলা আপনারা করতেছেন না। তার পরেও দুনিয়ার সবচাইতে দ্রুত প্রসারিত হতে থাকা ধর্মের নাম ইসলাম। চেষ্টা করতে থাকেন, আপনার মত লালু-ভুলু আগেও এসেছে, ভবিস্যতেও আসবে আর মনে মনে সুখ নেবে। একটা চুলও ছিরতে পাবেনা।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি ওনার নিজের কথা এখানে বলতে চেয়েছেন। কিন্তু সরাসরি বলতে চান নি হয়তো কোন বিশেষ কারণে।

এমন অনেক উদাহরণ আছে যে অনেকে কোরআনকে ভুল প্রমাণ করতে গিয়ে ইসলামের পথে এসেছে। ইসলাম ফোবিয়া এবং ইসলামের প্রতি এক শ্রেণীর কাফের মুশরেকের ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানোর কারণে পশ্চিমে অনেকে ইসলাম এবং কোরআন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হচ্ছে। নাস্তিকরা বলে যে ইসলাম নারীদের প্রতি সুবিচার করে না। অথচ পশ্চিম সহ সারা বিশ্বে নারীরা পুরুষদের চেয়ে বেশী হারে মুসলমান হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত প্রসারমান ধর্ম হোল ইসলাম। এখন থেকে ৫০ বছর পড়ে সংখ্যার দিক থেকে ইসলাম হবে বিশ্বের ১ নাম্বার ধর্ম। নাস্তিকতা সেই হারে বাড়বে না যতটা নাস্তিকরা ভাবছে। তাই ওনাদের এগুলি দিবাস্বপ্ন।

৬১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:০৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: সাড়েদা, ## মানুষকে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে ভালো বা মন্দ কাজ করার। ## -- কোরান হাদিসের রেফারেন্স কোথায়? ব্লগে আপনি ওয়াজ করেন, বেশ কিছু ফ্যান ফলোয়ারও আছে, ভালো কথা। কিন্ত ইসলাম আপনার কথায় চলে না। ইসলাম চলে কোরান হাদিসের কথায়।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছায় কাজ করার বা চিন্তা করার ক্ষমতা দেয়া হয় নাই এই কথা কোরআন বা হাদিসের কোথায় আছে আগে সেটা বলেন। তকদির মানে এই না যে মানুষ স্বাধীনভাবে কিছু করতে পারবে না। আপনি কি আপনার হাত পা নাড়াচাড়ার আগে আল্লাহর অনুমতি নিয়ে নেন। অথবা আল্লাহ আপনাকে বাধা দিচ্ছে। কোরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা করে আপনারা এই কথাগুলি বলছেন। আমি আগের একটা প্রতি মন্তব্যে সুরা আল লাইলের ৫ থেকে ১০ নাম্বার আয়াত উল্লেখ করেছি। এই আয়াত থেকেই বোঝা যায় যে কিছু ভালো কাজ যেমন দান, তাকওয়া এবং উত্তম কাজকে সত্য হিসাবে মেনে নিলে আল্লাহ সহজ পথ সুগম করে দিবেন। আল্লাহ স্বাধীন ইচ্ছায় হস্তক্ষেপ করলে এই কাজগুলি করতে বলতেন না। এছাড়াও কোরআনের বহু আয়াতে আল্লাহ অনেক কিছু করার নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা না থাকলে এই নির্দেশগুলি দিতেন না। মানুষ তার ভাগ্য জানে না কিন্ত আল্লাহ জানেন। তাই আপনি কেন হাতগুটিয়ে বসে থাকবেন।

৬২| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৩০

অগ্নিবেশ বলেছেন: আমি ত ভাই কোরান হাদিসে যা লেখা আছে সেটাই বুঝি, আপনে ত দেখি যা লেখা নাই সেটাও বোঝেন, বেশী বেশী বোঝেন।
কোরানে লেখা আছে ,
আর তোমরা ইচ্ছে করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ্ ইচ্ছে করেন (১)।
এখানেআমি বুঝলাম, আমার ইচ্ছাও আল্লার ইচ্ছাধীন, তিনি না চাইলে আমার মনে ভালো বা মন্দ কিছুই ইচ্ছা জাগবে না।
এখানে আমার কোনো ব্যাখ্যা ট্যাক্ষা নেই, আমি ব্যাখ্যা দেওয়ার কেউ নই।
আপনে বুঝলেন মানুষকে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে ভালো বা মন্দ কাজ করার।
আপনি নিজের মত ব্যাখ্যা ট্যাক্ষা দিলেন, ইসলামে আপনি ব্যাখ্যা দেওয়ার কে?
আপনি এক দিক থেকে ভালো যে কোরানের হিংসার আয়াতগুলো চেপে গিয়ে নিজের মত ভালো মানে বের করে মনে মনে কলা খান। মনে মনে আম কাঁঠাল কলা খেয়ে সুখে থাকেন, কার কি? কিন্তু সহি মূসলমান যারা তারা কিন্ত দিন দিন বাড়ছে, আপনি সাবধান। ইসলামকে বিকৃত করার জন্য মুমিনরাই একদিন আপনারই কল্লা নেবে। আমি বাংলাদেশে থাকি না, আমাকে খুজে পাওয়া না মুমকিন। এই জন্য আমার সাহস বেশী। কোরানে যা লেখা আছে আমি তা বলবই। তাই মনগড়া ব্যাখ্যা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন প্লিজ। ইসলামে চুন থেকে পান খসলেই মুমিনরাই লেগে যায়, তর্ক বিতর্ক একখানে চলে না, একখানে চলে ছুরি। আগে ত কোরান নিয়ে কথাই বলা যেত না। এখন ইনন্টারনেটে নামে বেনামে সত্য প্রকাশ করা যায়। আমার মতে আপনি মানুষ হিসাবে ভালো। এই জন্য ভালো ভালো কথা লেখেন। কিন্তু বাস্তব খুব কঠিন, বাংলাদেশে শরীয়া ল এলে আপনাদেরই জিনা হারাম হয়ে যাবে। এ পোস্টে আর মন্তব্য করব না। ধন্যবাদ। তবে মনে ব্যাথা দেওয়ার জন্য ক্ষমা টমা চাইব না কারন, এটাই আমার কাজ। আপনি চাইলে আমার মনে ব্যাথা দিতে পারেন। ওয়েলকাম।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শোনেন তকদির নিয়ে অনেকেরই অনেক প্রশ্ন আছে যারা আপনার মত। কোরআন হাদিসে এই সংক্রান্ত অনেক কিছু বলা আছে। সারাংশ হোল তকদির নির্ধারিত কিন্তু তারমানে এই না যে আল্লাহ মানুষকে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে বলেছেন। এই মর্মে হাদিসও আছে। ভালো কাজ করলে আল্লাহ ভালো পথ দেখাবেন। মানুষ নিজের তকদির জানে না তাই তার ভালোটাই চিন্তা করতে হবে। আমরা ইনশাল্লাহ বলি কারণ আমাদের চেষ্টা সত্ত্বেও কাজটা না হতে পারে। কিন্তু চেষ্টা করতে হবে। মানুষকে ভালো কাজ করার নির্দেশ করা হয়েছে কারণ ভালো কাজের ফল ভালো হবে। আমরা কেন ধরে নেব যে আমার কপালে ঈমান নাই।

৬৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:১২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @অগ্নিবেশ ,

‘সত্য তোমাদের রবের পক্ষ থেকে। সুতরাং যে ইচ্ছা করে সে যেন ঈমান আনে এবং যে ইচ্ছা করে সে যেন কুফরী করে। নিশ্চয় আমি যালিমদের জন্য আগুন প্রস্ত্তত করেছি, যার প্রাচীরগুলো তাদেরকে বেষ্টন করে রেখেছে। যদি তারা পানি চায়, তবে তাদেরকে দেয়া হবে এমন পানি যা গলিত ধাতুর মত, যা চেহারাগুলো ঝলসে দেবে। কী নিকৃষ্ট পানীয়! আর কী মন্দ বিশ্রামস্থল!
(সুরা কাহাফ: আয়াত ২৯)

এই নিন আপনার স্বাধীন ইচ্ছার আয়াত !! আরও আলোচনা করতে চাইলে করুন সমস্যা নেই । তবে নিজের নিজের নিচু আচরণ দয়া করে দেখাবেন না ।

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই আয়াত থেকে বোঝা যায় আল্লাহ ইচ্ছা করার ক্ষমতা দিয়েছেন মানুষকে। ধন্যবাদ আয়াতটা শেয়ার করার জন্য।

৬৪| ০৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: @ঘোষ দাদা,
কাযা (ভাগ্য) ও তাকদীর (নিয়তি)- এর প্রতি ঈমান ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসের অন্যতম মূলস্তম্ভ। কোন মুসলিমের ঈমান ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সে বিশ্বাস করে যে, যা ঘটেছে সেটি এবং কেবলমাত্র সেটিই ঘটতোই ঘটতো। আর যা ঘটেনি সেটি কোন অবস্থাতেই কোন কিছুতেই ঘটতো না। কারণ আল্লাহপাক এমনটিই লিখে রেখেছেন যে, এমনটিই ঘটবে, এবং যা ঘটে নি তা ঘটবে না। এর কোন অন্যথায় হতে পারে না। যারা পূর্ণাঙ্গভাবে পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস করে যে, সবকিছু আল্লাহ্‌র কাযা ও তাকদীর অনুযায়ী ঘটে থাকে, শুধুমাত্র তারাই প্রকৃত মুসলিম। কারণ এটি ইসলামে বিশ্বাসের একটি অন্যতম পূর্বশর্ত। এটি বিশ্বাস না করলে কারো ইসলামে ইমান পূর্ণ হতে পারে না। এই বিষয়ে হাদিসে বলা হয়েছে।

সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৩৫/ তাকদীর
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
২১৫৮. ইয়াহইয়া ইবন মূসা (রহঃ) ….. আবদুল ওয়াহিদ ইবন সালিম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একবার মক্কায় এলাম। সেখানে আতা ইবন আবু রাবাহ (রহঃ) এর সঙ্গে দেখা করলাম। তাঁকে বললামঃ হে আবূ মুহাম্মদ, বাসরাবাসরীরা তো তাকদীরের অস্বীকৃতিমূলক কথা বলে। তিনি বললেনঃ প্রিয় বৎস, তুমি কি কুরআন তিলাওয়াত কর? আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ সূরা আয-যুখরুখ তিলাওয়াত কর তো। আমি তিলাওয়াত করলামঃ
হা-মীম, কসম সুস্পষ্ট কিতাবের, আমি তা অবতীর্ণ করেছি আরবী ভাষায় কুরআন রূপে, যাতে তোমরা বুঝতে পার। তা রয়েছে আমার কাছে উম্মূল কিতাবে, এ তো মহান, জ্ঞান গর্ভ (৪৩ঃ ১, ২, ৩, ৪)।
তিনি বললেনঃ উম্মূল কিতাব কি তা জান? আমি বললামঃ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ এ হল একটি মহাগ্রন্থ, আকাশ সৃষ্টিরও পূর্বে এবং যমীন সৃষ্টিরও পূর্বে আল্লাহ তাআলা তা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। এতে আছে ফির‘আওন জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত, এতে আছে তাব্বাত ইয়াদা আবী লাহাবীও ওয়া তাব্বা ‏(‏تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ‏) আবূ লাহাবের দুটি হাত ধ্বংস হয়েছে আর ধ্বংস হয়েছে সে নিজেও।
আতা (রহঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যতম সাহাবী উবাদা ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর পুত্র ওয়ালীদ (রহঃ)-এর সঙ্গে আমি সাক্ষাত করেছিলাম। তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলামঃ মৃত্যুর সময় তোমার পিতা কি ওয়াসীয়ত করেছিলেন?
তিনি বললেনঃ তিনি আমাকে কাছে ডাকলেন। বললেনঃ হে প্রিয় বৎস, আল্লাহকে ভয় করবে। যেনে রাখবে যতক্ষণ না আল্লাহর উপর ঈমান আনবে এবং তাকদীরের সব কিছুর ভাল-মন্দের উপর ঈমান আনবে ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি কখনো আল্লাহর ভয় অর্জন করতে পারবে না। তা ছাড়া অন্য কোন অবস্থায় যদি তোমার মৃত্যু হয় তবে জাহান্নামে দাখেল হতে হবে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম কলম সৃষ্টি করেছেন। এরপর একে নির্দেশ দিলেন, লিখ, সে বললঃ কি লিখব? তিনি বললেনঃ যা হয়েছে এবং অনন্ত কাল পর্যন্ত যা হবে সব তাকদীর লিখ। সহীহ, সহিহহ ১৩৩, তাখরিজুত তহাবিয়া ২৩২, মিশকাত ৯৪, আযযিলাল ১০২, ১০৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৫৫ (আল মাদানী প্রকাশনী)
(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি এ সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

সূরা তাকভীর, আয়াত ২৯ এ কি বলা আছে দেখেন।

তোমরা ইচ্ছে কর না যদি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ ইচ্ছে না করেন।
Taisirul Quran
তোমরা ইচ্ছা করবেনা, যদি জগতসমূহের রাব্ব আল্লাহ ইচ্ছা না করেন।
Sheikh Mujibur Rahman
আর তোমরা ইচ্ছা করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ ইচ্ছা করেন।
Rawai Al-bayan
আর তোমরা ইচ্ছে করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ্ ইচ্ছে করেন (১)।
Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria

আল্লাহ্‌ কোরআনে খুব পরিষ্কারভাবেই বলেছেন, তিনি কিছু মানুষের অন্তরে মোহর মেরে দেন, কানসমূহ বন্ধ করে দেন, চোখে পর্দা দিয়ে ঢেকে দেন। যার ফলে তারা ইসলামকে জানতে এবং বুঝতে পারে না। যার ফলশ্রুতিতে তারা কাফের হয়ে যায়। এখন আমার মত নাস্তিকের অন্তরে আল্লাহ যদি মোহর লাগিয়ে দেন, সেই কারণে যদি আমি ইসলামের সত্যতা অনুধাবন করতে না পারি, এর জন্য দায়ী আসলে কে?

যদি আপনার আয়াতের অনুবাদ সঠিক হয়, তাইলে ত প্যাচ লেগে গেলো, আল্লাহ কি এক মুখে দুই কথা কয়? সকালে একরকম কয় আর বিকালে অন্যরকম কয়?

৬৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭

জ্যাকেল বলেছেন: কাফেরগণ আসলে ভেতরে এত জ্বলে পুড়ে ছারখার হই যাইতেছে যে- এত গোজামিল+প্রপাগান্ডা+মিথ্যার বেসাতি করার পরেও ইসলাম বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়তেছে। বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রায় কোথায় মানুষ নাস্টেক মাস্টেক হইবে তা না, ইউরোপ আমেরিকায় ওশেনিয়ায় ইসলামের বিজয় সর্বান্তকরণে এগিয়ে চলেছে।
তাই কাফের সম্প্রদায় মাঝে মাঝে ঘৃণার চাষ করে, মনের ঝাল মেটায় কোরআন পুড়ায়ে, নবীর শানে বেয়াদবি করে
। অথচ ইসলামের চরম দুশমন (সাদা চামড়া) যে মসজিদ বোমা মেরে গুড়িয়ে দিতে চলছিল সেও আজ ইসলামের শান্তির বাণী প্রচার করে। আসলে এটাই ইসলাম, এটাই আল্লাহর মনোনীত জীবন বিধান, এটার জয়রথ থামাবার সাধ্য কোন শয়তানের নাই।

অপ্রাসংগিকঃ
মিস্টার অগ্নিবেশ তো নিজেই ইসলামে বিশ্বাসী না। তাহলে উনার জন্য ইসলামের ভেতরের খবর এত কি জরুর হল যে সেটা নিয়ে উনার ঘুম হচ্চে না। আপনে যেটার ওপর বিশ্বাস রাখেন না(অতএব অনুধাবন অক্ষম সেহেতু) সেটা নিয়ে এত অযথা পেচাল পাড়ার মানে কি?

এিরম সময় নষ্ট না কইরা চিল করেন, খান দান ফুর্তি করেন।

(বিশ্বাস করার ক্ষমতা না থাকাকেই আল্লাহ বধির/জঘন্য ইত্যাদি বলেছেন। তাই অবিশ্বাসীদের ইহাতে কিছুই যায় আসে না।)

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অগ্নিবেশ যদি আল্লাহ, রসূলকে বিশ্বাস না করতে চায় সেটা তার স্বাধীনতা। কিন্তু প্রশ্ন হোল যে বিষয়ে তার বিশ্বাস নাই সেই বিষয় নিয়ে কেন সে গবেষণা করছে সময় ব্যয় করছে। এটার কারণ হোল সে ইসলাম বিদ্বেষী।

ইসলামের ভুল ত্রুটি খুঁজতে গিয়ে অনেকে মুসলমান হয়েছে। এই ধরণের ঘটনা অনেক আছে। বাবরী মসজিদ ভাঙ্গায় যে অগ্রণী ভুমিকা রেখেছে সে এখন খাঁটি মুসলমান। নারী সংক্রান্ত বিষয়ে ইসলামের এতো সমালোচনা সত্ত্বেও বিশ্বে নারীরা পুরুষদের চেয়ে বেশী হারে ইসলাম গ্রহণ করছে। এগুলি দেখে ইসলাম বিদ্বেষীদের ভালো লাগছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.